—অক্ষয়, হরপ্রসাদ দাস
এইভাবেই অবশেষের ঐশ্বর্যের মধ্যে অক্ষয় হয়ে থাকে মহৎ সাহিত্য, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে অব্যাহত থাকে তার বহতা। ওড়িয়া সাহিত্যের বিবর্তনের দিকে চোখ রাখলে সেই সত্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বাংলার মতো ওড়িয়া কবিতার সূচনাতেও আছে চর্যাপদ। তারপর থেকে ওড়িয়া সাহিত্যকে সুস্পষ্ট কয়েকটি পর্বে ভাগ করা যায়।
সরলা দাস, পঞ্চশাখা, উপেন্দ্র ভঞ্জ, রাধানাথ, সত্যবাদী, মার্কসবাদ বা প্রগতি যুগ, রোম্যান্টিকতা বা সবুজ সংঘ, উত্তর- ঔপনিবেশিকতা—ওড়িয়া সাহিত্যের এক-একটি গৌরবময় অধ্যায়। ঈশ্বর বন্দনা থেকে মানবতাবাদী তীরভূমি ছুঁয়ে ক্রমে আধুনিক, উত্তর-আধুনিকতার দিকে বেঁকে গেছে সাহিত্যের গতিপথ। পঞ্চদশ শতাব্দীতে সরলা দাসের মহাভারত, তারপর পুরাণনির্ভর কাব্যকথার প্রেক্ষিতে প্রথম উল্লেখযোগ্য নাম রাধানাথ রায়। গদ্যসাহিত্যের সূচনালগ্নে যাঁরা মহিরুহের মতো দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে সর্বাগ্রে নাম করতে হয় ফকিরমোহন সেনাপতি (১৮৪৩-১৯১৮), কালিন্দীচরণ পানিগ্রাহী (১৯০১-১৯৯১), গোপীনাথ মহান্তি (১৯১৪-১৯৯১), সুরেন্দ্র মহান্তি (১৯২২-১৯৯০) প্রমুখের। পরবর্তীকালে এসেছেন প্রতিভা রায়, বীণাপাণি মহান্তি, শান্তনু কুমার আচার্য, এবং আরও অনেকে।
এই ধারার সুযোগ্য উত্তরসূরি মনোরমা বিশ্বাল মহাপাত্র (জন্ম ১৯৪৮)। শিশুসাহিত্য থেকে লোকসাহিত্য পর্যন্ত তাঁর অবাধ যাতায়াত। মূলত কবি হলেও প্রবন্ধ তাঁর বিশেষ ভালোবাসার ক্ষেত্র। ‘ভাবনার ভাস্কর্য’, ‘স্মৃতিত কদাপি নহে ফিরিবার’, ‘সাত সমুদ্র তের নই’ ‘কবি মানসিংহক কাব্য প্রীতি’—তার কয়েকটি উদাহরণ। শান্তিনিকেতনের শিক্ষাকাল তাঁর চিন্তাজগতকে এক আন্তর্জাতিকতা দিয়েছে। এই সময়ের স্মৃতি নিয়ে একটি অসাধারণ গ্রন্থ ‘শান্তিনিকেতন অনুভূতি’।
ওড়িয়া সাহিত্য অকাদেমি-সহ বহু পুরস্কারে সম্মানিত, বহু ভ্রামণিক মনোরমা এইবার এমন একটি কাজ করলেন, যার জন্য শুধু ওড়িয়া সাহিত্য নয়, অসমিয়া এবং বাংলা সাহিত্যও তাঁর কাছে চিরকৃতজ্ঞ হয়ে থাকবে। ব্রহ্মপুত্র, গঙ্গা ও মহানদী তীরের নারীপ্রতিভাদের নিয়ে তিনি রচনা করেছেন শব্দ সরস্বতী গ্রন্থটি। এই গ্রন্থটি হাতে নিয়ে লজ্জায় পড়তে হয়। কই, আমরা তো আমাদের পড়শিদের নিয়ে এমন কিছু করা দূরে থাক, ভাবিইনি। আমাদের দৃষ্টি হাইপারমেট্রোপিয়া আক্রান্ত। ভাষান্তর করতে গেলেই আমাদের মাথায় আসে দূরের স্প্যানিশ, ফরাসি বা জার্মান ভাষা, কিন্তু হাতের কাছের পড়শি ভাষাগুলির দিকে মোটেই চোখ যায় না।
মনোরমা সেই অত্যন্ত জরুরি কাজটি করেছেন, তিনি শুধু ওড়িয়া ভাষার লেখিকাদের নিয়েই কাজ করেননি, একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে স্মরণ করেছেন প্রতিবেশী বাংলা ও অসমিয়া ভাষার পথিকৃৎ লেখিকাদের। তাই তাঁর লেখায় যেমন আসে ওড়িশার কবি মাধবী দাস, নিঃশংক রায় রাণী, সুলক্ষণা পট্টনায়ক, দেবভূতি, অন্নপূর্ণা দেবী থেকে শুরু করে প্রতিভা রায়ের কথা, তেমনি আসেন বাংলার কৈলাসসুন্দরী দেবী, রাসসুন্দরী দেবী থেকে স্বর্ণকুমারী দেবী, জ্যোতির্ময়ী দেবী, সাবিত্রী রায়, রাধারাণী দেবী, আশাপূর্ণা দেবী,কবিতা সিংহ, নবনীতা দেবসেন আবার অসমিয়া সাহিত্যের পদ্মপ্রিয়া, হিমিলা, যমুনেশ্বরী দেবী থেকে আধুনিক যুগের নির্মলপ্রভা বরদলই, ইন্দিরা গোস্বামীও আছেন তাঁর আলোচনায়।
এঁদের জীবনের ও সাহিত্যের বিশ্লেষণের মধ্যে দিয়ে মনোরমা ফুটিয়ে তুলেছেন নারীর লেখকজীবনের বন্ধুর পথের কথা। অবরুদ্ধ অন্দর থেকে শুরু করে আজ নারী যে জায়গায় এসে পৌঁছেছে, তার একটা রুটম্যাপ যেন এই বইটি। কখন অজান্তেই তা হয়ে ওঠে তুলনামূলক সাহিত্যের পাঠ। মনোরমা দেখিয়েছেন বাংলার কবিতা সিংহের সঙ্গে ওড়িয়া কবি প্রতিভা শতপথীর মিল। কবিতা যেমন প্রথম বিদ্রোহিনী ব্রাত্যকন্যা, তেমনি প্রতিভা শতপথী তাঁর অভিব্যক্তির জন্যে বারবার বেছে নেন শবরী-র মতো চরিত্র।
‘রামায়ণের বর্ণময় চরিত্রগুলির মধ্যে আমি কেন তাকে (শবরীকে) নির্বাচিত করলাম? বোধহয় ঐশ্বর্য, আভিজাত্যের অহংকারে সুসজ্জিত পুরাণের চরিত্রগুলির মধ্যে সে একেবারেই পৃথক মনে হয়েছিল, সাধারণ একটি নারীর মধ্যে সেই অমোঘ সত্তার উপস্থিতি আমি প্রত্যক্ষ করেছিলাম।’ (শবরীর পৃষ্ঠবন্ধ, প্রতিভা শতপথী)
নবনীতা দেবসেনের সুন্দর শৈশব, বাড়ির সারস্বত পরিবেশ যেমন তাঁর লেখার মানসভূমি গড়ে দিয়েছিল, তেমনি অসমিয়া লেখিকা ইন্দিরা গোস্বামীর শৈশবে ছিল প্রকৃতির অকৃপণ দান।
‘আমার কাকার হাত ধরে বাড়ির এক পাশে থাকা মস্ত জঙ্গলটায় ঢুকতাম। কী সুন্দর গন্ধ বুনোফুল, কাগজি লেবুর গন্ধ। শাল, শিমুল, গামারি, নাগেশ্বর। ব্রহ্মপুত্রের দক্ষিণ দিকে আমাদের সত্র-র সেই অপরূপ ছবি আমার মনের ক্যানভাসে ফুটে ওঠে। এই স্মৃতিকথা ভিত্তি করে ‘উই খাওয়া হাওদা’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম। এই উপন্যাস লেখার সময়ে অতীতে আমার প্রিয় চরিত্রগুলির সঙ্গে যেন সত্রে সত্রে ঘুরে বেড়াতাম।’ (ইন্দিরা গোস্বামী)
অসমিয়া ভাষার প্রখ্যাত কবি গল্পকার নির্মলপ্রভা বরদলই-র জীবন কি তাঁর শতাব্দী প্রাচীন পূর্বসূরী বাংলার রাসসুন্দরী দেবীর থেকে খুব আলাদা? বাল্যবিবাহ এবং তার পরবর্তী ভয়ানক জীবন তাঁর সারস্বতচর্চায় দীর্ঘ ছেদ আনে, বহু বছর পরে, নিজের চেষ্টায় তিনি আবার শুরু করেন লেখা। আমাদের মনে পড়তে পারে রাসসুন্দরী কীভাবে রান্নাঘরের মেঝেতে কাঠকয়লা দিয়ে লিখতে শিখেছিলেন একা একা!
মনোরমা না কলম ধরলে আমরা তো জানতেই পারতাম না ওড়িয়া লেখিকা প্রতিভা রায়ের ‘যাজ্ঞসেনী’ বলে একটি অসাধারণ উপন্যাস আছে, যেখানে মহাভারতের পরিচিত চরিত্রগুলোকেই নতুন আলোয় দেখা হয়েছে। জানতে পারতাম না কীভাবে ওড়িয়া লেখক বীণাপাণি মহান্তি কবি থেকে হয়ে উঠলেন এক কথাকার।
‘১৯৬৫ সালে লুকোচুরি না করে গল্প আমার পথরোধ করে দাঁড়ায়। বুঝতে পারলাম কবিতা শক্তিতে পারবে না, তাই তাকে লুকিয়ে রাখলাম নিজের ভিতরে, গল্পের স্পর্শে লজ্জাবতী লতার মত চোখ বন্ধ করে সে ঘুমিয়ে পড়ল আমার হৃদয়ের গোপন কক্ষে। আনুষ্ঠানিকভাবে আমি গল্পকে স্বাগত জানালাম আমার টেবিলে থাকা কাগজ কলম দিয়ে। সেদিন থেকে আমি গল্পকেই নিজের করে নিয়েছি। গল্প তো একটা ঘর নয়, ঘরের পরে ঘর, কত যে ঘর, কত মানুষ, কত বড় তার এলাকা, বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড থেকে বড়। তার সীমা পরিসীমা, বসন ভূষণ এবং অভিনব চমৎকারিতা অথচ রক্তাক্ত যন্ত্রণাকাতর আত্মার সার্বজনীন আবেগের মধ্যে আমি আত্মহারা হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি।’
এইভাবেই এই বই হয়ে ওঠে বাংলা ওড়িশা আসামের নারীসাহিত্যে বিশ্বের দলিল। একবার হিন্দি কবি অনামিকা লিখেছিলেন—
বাড়িতে বসে বইটি পেতে হোয়াটসঅ্যাপে বা ফোনে অর্ডার করুন +919330308043 নম্বরে।
ঋদ্ধ হলাম, সেই সঙ্গে আশ্বস্ত ও। কারণ আমিও নারী কলমচি। তবে কেউ আমাদের কথাও বলবে।
এই বিভাগটি ভাল লাগল। আশা করব পরে পরে এই রকম আরো ইন্টারেস্টিং বই এর সন্ধান পাব। আগামীর অপেক্ষায় ।
উড়িষ্যা নামে কোনও আলাদা রাজ্য নেই, তা বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত। সেটা ইংরেজরা করেছে প্রশাসনিক কারণে, কিন্তু বাঙালিরা মনে করে, উড়িষ্যা যেন বাংলারই একটা অংশ। ওড়িয়াদের নিজস্ব ভাষার কোনও মর্যাদা নেই। সর্বত্র বাংলা ভাষা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। সব স্কুল কলেজে বাংলা পড়ানো হয়, অধিকাংশ শিক্ষক, এমনকী প্রধান শিক্ষকরাও বাঙালি। উকিল ব্যারিস্টার-জজ-ম্যাজিষ্ট্রেট-ডাক্তারদের মধ্যেও বাঙালির সংখ্যা প্রচুর। অনেক জমিদারিও বাঙালিদের। এই বাঙালি-প্রভুত্বের বিরুদ্ধে ওড়িয়াদের ক্ষোভ জমছে দিন দিন। তারা যত শিক্ষিত হচ্ছে, ততই নিজেদের ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে মর্যাদাবোধ জাগছে, বাংলা ভাষা-সংস্কৃতির চাপে সেই মর্যাদা হারাতে তারা কিছুতেই রাজি নয়।
অবশ্য উড়িষ্যার কিছু কিছু লেখক প্রথমে বাংলা ভাষাতে সাহিত্য শুরু করেছিলেন, বাংলা সংস্কৃতিকে গ্রহণ করে তাঁরা বাঙালিদের সমকক্ষ হতে চেষ্টা করেছিলেন। কিছুদিনের মধ্যেই তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে নিজেদের ভাষায় ফিরে এসেছেন।
বিহারীলালের বাড়ির আসরে প্রায়ই আসেন মধুসূদন রাও, তিনি উড়িষ্যার একজন গণমান্য কবি। তিনি বাংলাতেও কবিতা লিখেছেন, কলকাতার পত্রিকায় ছাপাও হয়েছে। মধুসূদন রাও নির্বিবাদী শান্তশীল মানুষ, কিন্তু ফকিরমোহন সেনাপতি নামে আর একজন লেখকের সঙ্গে ভরতের আলাপ হয়েছে, তিনি অত্যন্ত উগ্র ধরনের। ভরতের ব্যাঙ্কের হেড ক্লার্কের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব আছে। তিনি কেঁওনঝর স্টেটের ম্যানেজার, মধ্যে মধ্যে কটুকে আসেন, তখন ব্যাঙ্কে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে যান। তিনি হাসতে হাসতে এমন সব গল্প বলেন, যার মধ্যে তীব্র বিদ্রুপ আর রাগ ঝকঝক করে।
একদিন তিনি বলেছিলেন, তাঁর অল্প বয়েসের এক কাহিনী। বালেশ্বর জেলায় গভর্নমেন্ট স্কুলে একজন শিক্ষক ছিলেন কান্তিচন্দ্র ভট্টাচার্য, তিনি পড়াতেন ওড়িয়া আর সংস্কৃত। সে ভদ্রলোক ওড়িয়া ভাষা পড়তে পারতেন মোটামুটি, কিন্তু উচ্চারণ করতে পারতেন না একেবারেই। ওড়িয়া ভাষার ন এবং ণ-এর উচ্চারণ আলাদা, বাঙালিরা মূর্ধ ণ-এর উচ্চারণ জানেই না। ওড়িয়াতে ল-এর উচ্চারণও অন্যরকম। ভটচার্যিমশাই এমন বিকৃত উচ্চারণ করেন যে তা ইসির উদ্রেক করে। তিনি হে বালকগণ’ এর বদলে বলেন ‘হে বাড় গনো’, তা শুনে ছাত্ররা হেসে গড়াগড়ি যায়।
ছাত্রদের হাসি থামানো যাচ্ছে না দেখে ভট্টচার্যিমশাই এক বুদ্ধি বার করলেন। একদিন তিনি বলেই ফেললেন, আরে বাপু, ওড়িয়া তো আর আলাদা ভাষা কিছু নয়, বাংলারই বিকৃতি মাত্র, তা হলে আর ওড়িয়া ভাষা পড়ার দরকার কী?
তিনি ঝটপট একটা পূস্তিকা লিখে ফেললেন, ‘ওড়িয়া স্বতন্ত্র ভাষা নয়’। হেডমাস্টারও বাঙালি, তিনি সেই পুস্তিকাখানি জুড়ে দিয়ে একটা রিপোর্ট পাঠালেন ইনসপেক্টরের কাছে। সেই সময়ে স্কুল বিভাগের ইনসপেক্টর যদিও সাহেব, কিন্তু তার অফিস মেদিনীপুরে এবং সেখানকার সব কর্মচারীই বাঙালি। সবাই মিলে সাহেবকে এমনভাবে বোঝাল যে সাহেব এক সাকুলার দিয়ে দিল, বালেশ্বর গভর্নমেন্ট স্কুলে শুধু সংস্কৃত আর বাংলা পড়ালেই চলবে, ওড়িয়া পড়াবার দরকার নেই। উড়িষ্যার শিক্ষা বিভাগে উচ্চপদস্থ সব কর্মচারীই বাঙালি, সবাই বলল, ঠিক ঠিক। শুধু সরকারি স্কুলে কেন, সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতেও ওড়িয়া ভাষা তুলে দেওয়া হোক।
এইভাবে ওড়িয়া ছাত্র-ছাত্রীদের তাদের মাতৃভাষায় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করার চক্রান্ত চলেছিল।
ছাত্ররাও তখন এর প্রতিবাদ করেনি। কারণ ওড়িয়া ভাষা তখন দ্বিতীয় ভাষা হিসেবেও বাধ্যতামূলক ছিল না। পাস করার কোনও কড়াকড়ি নেই, তা বলে আর শুধু শুধু পড়তে যাওয়া কেন?
ফকিরমোহনই তখন কিছু লোককে বুঝিয়ে বিভিন্ন জায়গায় সভা করে এর প্রতিবাদ জানাতে আরম্ভ করেন।
এই কাহিনী বলার সময় হঠাৎ এক সময় থেমে গিয়ে তিনি ভরতের দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, ওহে, তা বলে সব বাঙালির নামেই আমি দোষ দিচ্ছি না। দৈত্যকুলেও প্রহ্লাদ জন্মায়। এই উড়িষাতেই এমন বাঙালিও আছেন, যাঁদের উদ্দেশে আমি শত সহস্র প্রণিপাত করি। যেমন বাবু গৌরীশঙ্কর রায়। তিনি ‘উৎকল দীপিকা নামে পত্রিকা বার করেছেন, সেখানে প্রতি সপ্তাহে আমাদের ভাষার সমর্থনে প্রবন্ধ বার করতেন। অতি যুক্তিপূর্ণ সে সব প্রবন্ধ। তিনি আমাদের চেয়েও অনেক জোরাল ভাষায় আমাদের ভাষার পক্ষ নিয়ে লিখেছেন। তাঁর ভাই রামশঙ্কর রায় ওড়িয়া ভাষায় নাটক লিখেছেন, উপন্যাস লিখেছেন।
(প্রথম আলো, ২য় পর্ব, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়)
খুব সুন্দর আলোচনা। ভাষা না জানায় মূল বইটি পড়তে অপারগ, তবে এই আলোচনা পড়ে শব্দ সরস্ববতীর বঙ্গানুবাদ পাঠে আগ্রহ জাগছে।