এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  পড়াবই  পড়শির কথা

  • স্বাভিমানের জয়ন্তী প্রতিমা

    তৃষ্ণা বসাক
    পড়াবই | পড়শির কথা | ২০ ডিসেম্বর ২০২০ | ৩০৩১ বার পঠিত | রেটিং ৩.৫ (২ জন)
  • তারা মীরচন্দানী। এ সময়ের এক অনন্য সিন্ধী সাহিত্যিক। চারপাশের চেনা জগত থেকে উঠে আসে তাঁর কথাবস্তু। মানুষের যন্ত্রণা আনন্দ দিয়ে তিনি কাহিনি বুনে চলেন অনায়াস দক্ষতায়। উপন্যাসের নাম হঠযোগী। বাংলা তরজমায় পড়লেন তৃষ্ণা বসাক


    মনে আছে নরেন্দ্র হিরোয়ানিকে? টেস্ট অভিষেকে ১৬ টা উইকেট নিয়ে হইচই ফেলে দেওয়া সেই উজ্জ্বল যুবা (সালটা ১৯৮৮ সম্ভবত), তাও আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে। তখন হিরোয়ানিকে নিয়ে জোর আলোচনা রকে, রকে, বাসে ট্রেনে। তাতে একটা কথা উঠে আসত প্রায়ই, ছেলেটি সিন্ধী। পদবীতে আনি থাকলেই নাকি সিন্ধী।

    তখন বেশিরভাগ বাঙালি জানত সিন্ধীরা জাত ব্যবসায়ী, হিরোয়ানি আসার পর জানল তারা ক্রিকেটও খেলে। (তবে উইকিপিডিয়াতে কেন যে দেখাচ্ছে মারাঠী!)। কিন্তু সিন্ধী সাহিত্য? নাহ, ন্যুনতম ধারণাও ছিল না সিন্ধী সাহিত্য কত প্রাচীন এবং কত সমৃদ্ধ। সেই বিখ্যাত বাঙালি উন্নাসিকতা। অথচ বাংলা সাহিত্য থেকে সিন্ধীতে অনুবাদ হয়েছে যথেষ্ট। আজ যে বইটি নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি তাতে রবি ঠাকুরের ‘নৌকাডুবি’-র আবছা ছায়া, যা সিন্ধী অনুবাদে ‘তুফানী বঙ্গ’।

    অষ্টম নবম শতাব্দীতে প্রথম যে গুটিকয়েক প্রাচ্যভাষায় কোরানের অনুবাদ হয়, তার অন্যতম সিন্ধী। বাগদাদে খলিফার দরবারে সিন্ধী কবি তাঁর মাতৃভাষায় কবিতা পাঠ করছেন, তার নজির আছে। শুধু কবিতা নয়, এই সময় সিন্ধী ভাষায় রীতিমতো জ্ঞানবিজ্ঞানের চর্চাও হত। জ্যোতির্বিদ্যা, চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং ইতিহাসের মতো বিষয়ে গ্রন্থ রচনার প্রমাণ পাওয়া যায়। সিন্ধী কবিতার প্রথম রচয়িতার দাবীদার পির নুরুদ্দিন, তিনি সিন্ধ প্রদেশে আসেন ১০৭৯ খ্রিস্টাব্দে। তাঁর কবিতায় সুফিবাদের স্পষ্ট প্রভাব। তাঁর পরবর্তী কয়েকজন বিশিষ্ট কবি হিসেবে নাম করা যায় পির শামস সবজ়ওয়ারি মুলতানি (মৃত্যু আনুমানিক ১২৭৬), চতুর্দশ শতকের পির সাদারদিন প্রমুখ। এঁদের রচিত কবিতা পরিচিত ছিল ‘গিনান’ নামে। পির শাম্‌স বিশেষ ভাবে পরিচিত তাঁর কালোত্তীর্ণ ‘গিনান গর্বি’-গুলির জন্য। অন্যদিকে পির সাদারদিন সিন্ধী বর্ণমালারও সংস্কার করেন।


    এখানে শুনুন পির শাম্‌স রচিত কিছু গর্বি


    ১৩৫১-১৫২১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে কবিতা যেমন নতুন নতুন বাঁক নেয়, তেমনি সূচনা হয় গদ্য সাহিত্যেরও। যদিও আধুনিক গদ্যসাহিত্যের জন্যে অপেক্ষা করতে হল তিনশ বছরের বেশি। ১৮৪৩ সালে ব্রিটিশরা সিন্ধ প্রদেশ অধিকার করে। তারপর ছাপাখানা, সংবাদপত্র, সাময়িক পত্র-পত্রিকা, বিদেশি ভাষার অনুবাদ ইত্যাদির ধাক্কায় প্রাণ পেল সিন্ধী সাহিত্য। ভাষা খুঁজে নিল প্রকাশের বিচিত্র মাধ্যম। এই সময়ের একজন বনস্পতি লেখক মির্জা কালিচ বেগ (১৮৫৩ – ১৯২৯)।



    মির্জা কালিচ বেগ

    এর পরের পট বদল প্রথম মহাযুদ্ধ এবং সোভিয়েত রাশিয়ার বিপ্লবের সময়। প্রগতিবাদী চিন্তাধারায় পুষ্ট সিন্ধী সাহিত্য নতুন পথে হাঁটতে থাকে। পরবর্তীকালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রশস্ত করে উপন্যাস ও ছোট গল্প রচনার পরিসর। স্বাধীনতা আন্দোলন তাকে খুঁজতে শেখায় নিজের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির শেকড়। পোপটি হিরানন্দানি (১৯২৪-২০০৫), পদ্ম শর্মা, গুলাম রব্বানি অগ্রো (১৯৩৩ -২০১০) প্রমুখ সে সময়ের উজ্জ্বল ফসল।

    সেই ধারারই এক উল্লেখযোগ্য নাম তারা মীরচন্দানী। তাঁর জন্ম ১৯৩০ সালে বর্তমান পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশ। পেশা স্বাধীন সাংবাদিকতা ও লেখালিখি। উল্লেখযোগ্য উপন্যাস কোমল কলি, ঊষা, গল্পগ্রন্থ উল ঝরল তনু রেশমজু ইত্যাদি। পেয়েছেন সাহিত্য অকাদেমি সহ অন্যান্য বহু পুরস্কার।



    তারা মীরচন্দানী

    তারা একজন স্বতঃস্ফুর্ত লেখিকা। চারপাশের চেনা জগত থেকে উঠে আসে তাঁর কথাবস্তু। তাঁর লেখার মনটি ভারি দরদী । মানুষের যন্ত্রণা আনন্দ দিয়ে তিনি কাহিনি বুনে চলেন অনায়াস দক্ষতায়। হঠযোগীর গল্পটি তিনি পেয়েছিলেন তাঁর স্বামীর এক বন্ধুর কাছ থেকে। চরিত্র যেন নিজেই এসে লেখককে বলেছিল ‘আমাকে নিয়ে একটা গল্প লেখো শরতবাবু’ তার ফলশ্রুতি একটি করুণমধুর উপন্যাস। যার পটভূমি স্বাধীনতা-পূর্ব ভারতের প্রাচীন শহর বেনারসী আর নবীন শহর কলকাতা।বাংলা ক্লাসিক উপন্যাসগুলির ছায়া আদর বিছিয়ে দিয়েছে অপ্রকাশ্য ভাবে। নানক হিঙ্গোরানী, সিন্ধী নব যুবক, সিন্ধের প্রথম ভূতত্ববিদ হবে সে- দাদার এই স্বপ্ন নিয়ে করাচী থেকে এসে ভর্তি হল বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ব বিভাগে। সেখানে রামনগর গঙ্গার ঘাটে এক ষোড়শীর অপূর্ব সুর মূর্ছনা তার জীবনটাই বদলে দিল। মেয়েটির জীবনে আছে এক রহস্য। সে শৈশবে সম্পন্ন শিক্ষিত পরিবার থেকে চুরি হয়ে গেছিল। মেয়েটি নানকের জীবনে দ্বিমুখী দ্বন্দ্ব আসে। একদিকে তার প্রেম, অন্যদিকে মেয়েটিকে তার আসল বাবা মার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব।

    এই দুয়ের টানাপোড়েনে বোনা হয় কাহিনি। কাহিনির নায়িকা মল্লিকা বা মালু এক আশ্চর্য মেধাবী মেয়ে। নানক তাকে পড়াশোনা শেখাতে শুরু করে, কিন্তু অচিরেই সে তাকে তাক লাগিয়ে দেয় তার পাঠের আগ্রাসী খিদে দিয়ে। হিন্দি বাংলা এমনকি ইংরেজি সাহিত্য সে গোগ্রাসে গেলে। তাই নানকের আত্মপ্রবঞ্চনা তাকে শরতচন্দ্রের নায়কের কথা মনে করিয়ে দ্যায়।

    একদিন মালু যখন শ্রীকান্ত পড়ছিল, তখন নানক আসে। কথায় কথায় মালু তাকে বলে ‘বাবুজী আপনিও বাংলা নায়কের মতো হতে চান। সত্যি থেকে দূরে... স্বাভাবিকতা থেকে দূরে... আপনি যা হতে চান তা আপনি নন। আপনি নিজেকে ঠকাচ্ছেন। সত্যি থেকে একশ ক্রোশ দূরে পালিয়ে যাচ্ছেন’

    সে এর তুলনায় মুন্সী প্রেমচন্দের চরিত্রদের কথা বলে ‘আমি সম্পূর্ণ ভাবে মানুষকে চিনতে পারি। আমি মুন্সী প্রেমচাঁদের বইও পড়েছি। ওঁর লেখা চরিত্র সাধারণ মানুষের মত। জীবনযাত্রার প্রকৃতি সরল, আবেগপ্রবণ নয়। বলতে গেলে একটি যথার্থ চরিত্র যারা পরিবেশের কাছে হার স্বীকার করে না। সুখ-দুঃখের সম্মুখীন হওয়াই পুরুষার্থ।’

    নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে একসময় নানক কলকাতায় গিয়ে মালুকে তার বাবা মার কাছে ফিরিয়ে দ্যায়। কিন্তু মালু তো তা চায়নি, সে তো নানকের কাছেই থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু নানক তো বাংলা সাহিত্যের নায়ক। যারা বিশ্বাস করে ‘বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলিয়া ফেলে।‘ সে বুঝতে পারে নিজের দুর্বলতা ‘দাদার আশা পূর্ণ করা।। মালুকে না রাখার দুর্বলতা... আত্মীয়দের সামনে না দাঁড়াবার দুর্বলতা। সত্যি আমার চিন্তা ভাবনা আমার নিজের দুর্বলতা থেকেই সৃষ্টি।’

    সে মালুকে ছেড়ে চলে আসে। পেছনে দাঁড়িয়ে রইল মালু প্রতিমার মতো। ‘সে প্রতিমা না সরস্বতীর, না মীরার। সে ছিল স্বাভিমানের জয়ন্তী প্রতিমা’।

    লক্ষ্যনীয় বিষয় হল এই উপন্যাসটির অনুবাদ করেছেন যিনি, তাঁর মাতৃভাষা সিন্ধী। অধ্যাপনা সূত্রে কলকাতায় থাকার দরুন তিনি বাংলা ভাষাটাও ভালো জানেন। সে খুবই আনন্দের কথা নিঃসন্দেহে। কিন্তু এটাও কি খেয়াল করার বিষয় নয় যে কোন বাঙালি এখনও সিন্ধী ভাষা শিখে উঠতে পারেননি, অন্তত আমার জানার মধ্যে? আমি ভুল প্রমাণিত হলে খুশি হব নিশ্চয়। সেই অনুবাদক তাঁর কথায় বলছেন, ‘আমি জাতিতে সিন্ধী, পড়াই হিন্দী। আমার সিন্ধী ভাষায় দুটি লিপির প্রচলন— আরবী আর দেবনাগরী। তারা মীরচন্দানীর উপন্যাস সাহিত্য অকাদেমি দেবনাগরী লিপিতে প্রকাশ করেছেন। সাহিত্য অকাদেমি নানা ভাষা থেকে রূপান্তর করিয়েছেন কিন্তু সিন্ধী ভাষার রূপান্তর খুবই কম। ভাষার প্রতি ভালবাসার জন্যে তৃতীয় ভাষায় বাংলা শিখে ভালো ভাবেই গল্পের বই পড়তে পারতাম। মনে মনে ইচ্ছে ছিল সিন্ধী সাহিত্যের সঙ্গে সবার যেন পরিচয় করাতে পাই।

    ... সাধারণত সবাই ভাবে যে সিন্ধীরা শুধু ফ্যাশনেবল বণিক জাতি, তা নয়, তারাও সাহিত্য-সংস্কৃতিতে যোগ দিয়েছেন, আর দিচ্ছেন। আমাদের খাওয়া-দাওয়া, ভাবনা-চিন্তা তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে মাতৃভাষার প্রতি ঋণ শোধ করবার চেষ্টা এই কাজ দিয়ে করতে চেয়েছি।’

    খাদ্য রসিকরা সিন্ধী খাবার ডাল-পকোয়ানের খোঁজ পেয়ে মুগ্ধ হবেন নিঃসন্দেহে।

    বইয়ের বিষয়ে লিখতে গিয়ে সিন্ধী টাইমস পাবলিকেশনের মুখ্য সম্পাদক নারায়ণ ভারতী উপন্যাসের তুলনা করেছেন ‘অনেকদিন আগে পড়া গুরুদেব টেগোরের উপন্যাস নৌকাডুবির সিন্ধী অনুবাদ তুফানী বঙ্গের’ সঙ্গে। নৌকা ডুবির ফলে রমেশের ভাগ্য বিপর্যয় আর কমলাকে নিয়ে তার অসহায়তা যেন ফুটে উঠেছে হঠযোগীর নায়ক নানকের মধ্যে।

    ‘নায়ক হঠযোগী এবং পূর্ণযোগী। তার হঠকারিতার জন্যে নায়িকার সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে। নায়িকাকে নায়ক খুব ভালবাসে। কিন্তু সে নিজের কর্তব্য থেকে কোনদিন পিছপা হয়নি। - এই পবিত্র আত্মা হঠযোগী’। শুধু প্রেম নয়, এই উপন্যাস ধরে রেখেছে স্বাধীনতা-পূর্ব বারাণসীর এক নিখুঁত ছবি, দশাশ্বমেধ ঘাট, হরিশ্চন্দ্র ঘাট, সঙ্কটমোচন মন্দির, রামনগরের রাজপ্রাসাদ। রাজপ্রাসাদের অস্ত্রশালা, শাহী লাইব্রেরি আর বড় দেওয়াল ঘড়ি, যা চলে লোহার শেকল আর দড়ির ভারসাম্যে। রামনগরের মিস্ত্রিরা যা তৈরি করেছে, যাকে তুলনা করা যায় লণ্ডনের বিগবেনের সঙ্গে। বহু বছর পরেও বেনারস গিয়ে মিলিয়ে দেখা যাবে অবিকল এক। সময় থেমে আছে এই শহরটায়।

    আর তুলনায় নবীন, অকুলীন এই কলকাতার সম্পর্কে লেখকের মূল্যায়ন পড়েও অদ্ভুত মজা লাগে। কলকাতাও কি আদৌ বদলেছে?

    সিন্ধী যুবক নানক জীবনে প্রথম দেখেছিল ‘... যে মানুষ রিকশা টানছে। ভীষণ কষ্ট হল। রাস্তার ধারে পেটের তাগিদে হাড় বের করা মানুষের ভিড়, ফুটপাথের ধারে দোকানে রান্না থেকে সরষের তেলের গন্ধ পাচ্ছিলাম। ভাবলাম- এই বঙ্গভূমিতে কী করে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোস আর রাসবিহারী বোসের মতো ভারতরত্ন জন্মাল? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আর শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মত এতবড় মহান ব্যক্তিত্ব তথা সাহিত্যিক কীভাবে এত সুন্দর রচনা লিখেছিলেন এই পরিবেশে থেকে?’

    সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে, কী বলেন?


    হঠযোগী
    তারা মীরচন্দানী
    অনুবাদ - মায়া গরানী
    সাহিত্য অকাদেমি
    মুদ্রিত মূল্য: ৯০ টাকা
    প্রাপ্তিস্থান: দে'জ, দে বুক স্টোর


    বাড়িতে বসে বইটি পেতে হোয়াটসঅ্যাপে বা ফোনে অর্ডার করুন +919330308043 নম্বরে।



    গ্রাফিক্স: মনোনীতা কাঁড়ার

    এই বিভাগের লেখাগুলি হোয়াটসঅ্যাপে পেতে চাইলে এখানে ক্লিক করে 'পড়াবই'এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • পড়াবই | ২০ ডিসেম্বর ২০২০ | ৩০৩১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন