এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আমেরিকার নির্বাচন!

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১০ নভেম্বর ২০২৪ | ৩৮০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • আমেরিকার নির্বাচনের তাপ এই দুনিয়ায় বেশিরভাগ দেশই একটু আধটু পেয়ে থাকে। এবার আমাদের এই ভূখণ্ডে যেন একটু বেশিই পাওয়া গেল সেই তাপ। ডক্টর ইউনুসের সাথে ডেমোক্রেটদের খাতির বেশি এইটা এখন আলাভোলা খড়ের পালা সবাই জানে। তাই একটা পক্ষ চেয়েছে ডেমোক্রেট জিতুক, কামলা হ্যারিস যোগ্য না অযোগ্য, গত চার বছর ডেমোক্রেটরা কেমন চালিয়েছে তাদের দেশ এবং দুনিয়া তা চিন্তা না করেই চেয়েছে ডেমোক্রেট জিতুক। অন্য দিকে রিপাবলিকানরা জিতলে নোবেল ম্যান একটু ফাঁপরে পড়বে এই চিন্তা করে ট্রাম্পের মতো একটা মানুষ জিতুক, এইটাই চেয়েছে। প্রবল ভাবে চেয়েছে। ঢাকার রাস্তায় কামলা হ্যারিসের নামে ভোট চাওয়া হয়েছে! 

    ট্রাম্পের জেতায় আমার আমেরিকানদের বিচার বুদ্ধি থেকে বিশ্বাস উঠে গেছে! একটা লোক বিজ্ঞান মানেন না, করোনার সময় যা ইচ্ছা তাই বলে গেছেন, চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে একটা উনি বলে গেছেন আরেকটা, তিনি জলবায়ু পরিবর্তন মানেন না, যার চরিত্রের নামে যা আছে তা ভদ্র ভাষায় বলার মতো না, যিনি সংক্ষুব্ধ হয়ে তার সমর্থন গোষ্ঠীকে লেলিয়ে দিয়েছেন ন্যাকারজনক কাজে, যিনি এবার নারীর গর্ভপাতের বিরুদ্ধে আইন পাশ করাবেন এমন কথা বলেই আসছেন তাকে ভোট দিল মানুষ? একবার ভোটে পাশ করিয়ে ছিল, ওইটা না হয় বুঝা গেছিল যে মানুষ একটা কাণ্ড করে ফেলছে। আবার একই কাজ? চিন্তাটা কী করে মানুষ? 

    কামলা হ্যারিস সম্ভবত আমার ধারণা ভাইস প্রেসিডেন্ট না হয়ে সাধারণ কেউ হত তাহলে বেশি সুযোগ পেত এই নির্বাচনে। মানুষ গত চার বছরে ডেমোক্রেটদের শাসনে ক্ষুব্ধ, সেই শাসনের অংশ কামলা, তাই তাকেই কেন ভোট দিবে? একমাত্র কারণ বিপক্ষে ট্রাম্প, তাই? আমি হলে এইটাই যথেষ্ট হত, আমেরিকানদের জন্য সম্ভবত এইটুকুই যথেষ্ট না! তারা বিপুল বিক্রমে ভোট দিল ট্রাম্পকে! 

    এবার আমাদের এদিকের অবস্থা বলছি। ট্রাম্পের প্রশংসায় একদল এখন পঞ্চমুখ! এর যে এত গুণ তা আমি জানতাম না। এত প্রশংসা কেন? এত বছর বিএনপি যা ভেবে আসছে সেই একই রাস্তায় ভাবছে আওয়ামীলীগ ও তার সমর্থকেরা। কোলে করে কেউ তাদেরকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে যাবে! ভয়ঙ্কর চিন্তা না? কিন্তু এইটাই ভাবছে অনেকে। সমীকরণ হচ্ছে এমন, ট্রাম্পের সাথে ভারত তথা মোদীর ভালো সম্পর্ক, তার মানে এই অঞ্চলে ভারত মানে মোদীজি যা বলবে তাই হবে, এই অঞ্চল ভারতের হাতেই ছেড়ে দিবে ট্রাম্প! মোদীজি কি এইদিকে মানে বাংলাদেশে আওয়ামীলীগ ছাড়া আর কাওকে চাইবে? না। মানে আওয়ামীলীগ আবার ক্ষমতায় চলে আসবে! হাস্যকর  শোনালেও এমন চিন্তা অনেকেই করছে। কেউ আরও অগ্রিম ভাবছে, একদম সৈন্য পাঠিয়ে দিবে, ঢাকার বুকে আমেরিকান বা ভারতীয় সৈন্য মার্চপাস্ট করছে এমন স্বপ্নও দেখছে কেউ কেউ! 

    আমার কাছে এগুলার কোনটাই বাস্তবসম্মত কিছু বলে মনে হয় না। কিন্তু এটাও ঠিক যে আমেরিকার নির্বাচনে ট্রাম্পের জেতা অবশ্যই আমাদের এখানে প্রভাব ফেলবে। এর আগের ট্রাম্পের জেতার পর ইউনুস সাহেব ওইদিনকে কালোদিন বলে উল্লেখ করেছিলেন। ট্রাম্প কোন এক প্রসঙ্গে ইউনুস সম্পর্কে বলেছেন ক্ষুদ্র ঋণের ওই ডোনার কই যে আমার বিরুদ্ধে ডোনেট করেছে বলে মন্তব্য করেছিল। তো বুঝা যায় এদের সম্পর্ক ঠিক মধুর না। এইটার একটা প্রভাব তো পড়বেই আমাদের রাজনীতিতে। এইটা যে একটা ঘটনা, এর যে প্রভাব আছে তা আরও জানা যায় নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব যখন বলে ট্রাম্পের লোকজনের মধ্যেও ডক্টর ইউনুসের বন্ধু আছে বলে ঘোষণা দেয়!  যাই হোক, এইটা পরিষ্কার যে ইউনুস সাহেবের একটু হলেও ক্ষমতা খর্ব হয়েছে। সামনে কী হয় সেটাই দেখার বিষয়। অনেক কিছুই হতে পারে। মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি কতখানি পরিবর্তন হবে, এই অঞ্চল নিয়ে আসলেই কোন পরিকল্পনা আছে কি না, থাকলে ট্রাম্প তা পরিবর্তন করবে না তা যেমন আছে তেমনই থাকবে? জানি না। এই সবের উত্তর সময়েই দিতে পারবে। আপাতত অপেক্ষা করা ছাড়া কিছু করার নাই। 

    কিন্তু আওয়ামীলীগ কেন জানি অপেক্ষা করতে রাজি না। আমি যখন এই লেখা লিখছি তখন ১০ নভেম্বর হয়ে গেছে ঘড়ির কাটায়। ১০ নভেম্বর নুর হোসেন দিবস। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর  স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদ হয় নুর হোসেন। সেই থেকে নুর হোসেন দিবস পালন করে আসছে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত সব রাজনৈতিক দল। আওয়ামীলীগ বেশি করেই পালন করে কারণ এর সাথে শেখ হাসিনা নিজে জড়িত। আন্দোলনের সময়, মৃত্যুর একটু আগেই নুর হোসেনকে শেখ হাসিনা দেখেন বুকে-পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ ও ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক’ লেখা নিয়ে নুর হোসেন মিছিলে। তিনি তাকে ডাক দেন। বলেন এইভাবে লেখছ ওরা তো গুলি করে দিবে তোমাকে। নুর হোসেন হেসে বলছিল আপনে দোয়া করে দেন কিচ্ছু হবে না! ( এমন একটা কিছু কথাবার্তা হয়েছিল সেদিন, ঠিকঠাক মনে নেই এখন) 
    গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট, নুর হোসেন চত্বরে প্রতি বছর ফুল দিয়ে সম্মান জানানো হয় নুর হোসেন সহ সেই আন্দোলনে সমস্ত শহীদদেরকে। 

    আওয়ামীলীগ এবার সবাইকে নুর হোসেন দিবসে নুর হোসেন চত্বরে জড়ো হওয়ার জন্য ডাক দিয়েছে। এই ডাকের রহস্য আমি বুঝিনি। এইটা শুধুই ডাক দিয়ে দেখা? সরকার কেমন আচারন করে? ভেরিফাইড পেজ থেকে যে প্রতি নিয়ত বলা হচ্ছে বিকাল তিনটায় সবাই যেন জিরো পয়েন্টে চলে যায় এইটা কেন? কতজন যাবে? অল্প কয়েকজন গেলে হাস্যকর হয়ে যাবে না? এবং ওই অল্প কয়েকজনকে ধরে বেদুম মাইর দেওয়া হবে, পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে। এখন যখন তুমুল ধর পাকড় শুরু হয়ে গেছে তখন কর্মীদের এমন বিপদে ফেলার যুক্তি কী? এতদিন শুধু মামলা হয়েছে। এখন ধরা চলছে সমস্ত শক্তি দিয়ে। যে যেখানে আছে সেখানেই খুঁজে বের করছে পুলিশ। দৈনিক খবর পাচ্ছি হয় ধরা পড়ছে কেউ না হয় কত টাকায় রফা হয়েছে সেই খবর! এমন পরিস্থিতিতে সবাইকে গুলিস্তান যাওয়ার আহবানের মানে কী? এখনই দেখলাম বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে যে ছাত্র জনতা নুর হোসেন চত্বর দখল করে বসে আছে! রাতেই তারা অবস্থান নিয়ে নিয়েছে। কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখলাম প্রকাশে বলছে রাম দা নিয়ে আসতে, যারা আসবে সবাইকে কুপিয়ে মনের ঝাল মেটাবে! একজন লিখেছে পুলিশের হাতে দেওয়া যাবে না, পুলিশ কিছু করার আগেই কুপাইতে হবে! যিনি এই পোস্ট দিয়েছেন তার সাথে আমাদের মাহফুজ আলমের গলাগলির ছবিও বের হয়ে আসচ্ছে! তো এই পরিস্থিতিই তো স্বাভাবিক, তাই না? এর মধ্যে কেন ঠেলে দেওয়া হচ্ছে কর্মীদের? আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা সব আছে দৌড়ের ওপরে, কাদেরকে বলি দেওয়ার জন্য পাঠানো হচ্ছে এখানে? সরকারের তরফ থেকে বলেছে আওয়ামীলীগের এমন কর্মসূচি দেওয়ার কোন সুযোগ নাই! তার মানে তাদের অবস্থানও পরিষ্কার। এমন হওয়ার তো কোন সম্ভাবনা নাই যে আওয়ামীলীগ বিকাল তিনটায় কয়েক লাখ কর্মী জমা করবে গুলিস্তানে? সেই দিন আছে? সেই সুযোগ ছিল যখন এই ছাতার আন্দোলন হাত থেকে চলে যাচ্ছিল তখন। তখন যদি আওয়ামীলীগ ঘোষণা দিত তাহলে দশ লাখ মানুষ ঢাকায় আনা কোন ঘটনাই ছিল না। প্রশাসন ছিল, কর্মীরা ছিল। এই আন্দোলন কোনদিনই এই পর্যন্ত আসতে পারত না। ওই দিন হয়েছে বাসি, এইটা আওয়ামীলীগ ভুলে গেছে? 

    এই ডাকের কোন অর্থ খুঁজে পাই না। না কি এইটা অন্য কোন পরিকল্পনার অংশ? ট্রাম্প জেতার জন্য অপেক্ষা করে ছিল আওয়ামীলীগ? কিন্তু কেন? বর্তমান সরকারের জনপ্রিয়তা রকেটের গতিতে নিম্নমুখী, তাহলে তাদেরকে এখন এমন একটা অস্ত্র হাতে দেওয়ার অর্থ কি হতে পারে? এইটা বুঝার জন্য যে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা প্রয়োজন তা আমার নাই। আমার অপেক্ষা করেই থাকতে হবে বুঝার জন্য। এখন পর্যন্ত এইটাকে আমার হঠকারী সিদ্ধান্তই মনে হচ্ছে। আর দুই তিন মাস গেলে নোবেল ম্যান নিজেই দিশা কুল পাবে না কই থেকে কই যাবে। সেখানে এমন একটা কাজ কেন করতে হবে?  কোথা থেকে কোন ম্যাসেজ আসছে? কালকের এই কুরবানির মানে কী? অপেক্ষায় রইলাম। 

    ধর পাকড় নিয়ে একটা গল্প বলে শেষ করি। সাতক্ষিরার এক আওয়ামীলীগ কর্মীর সাথে কথা বলার সুযোগ হয়েছে এর মধ্যে আমার। সে এক জটিল গল্প শোনাল আমাকে। সেখানের বিএনপি নেতা রীতিমত দপ্তর খুলে বসেছে একটা। দশ হাজার টাকা দিবে, তিনদিন বাড়িতে থাকতে পারবে আওয়ামীলীগের কর্মী! নিশ্চয়ই হেভি ওয়েট নেতাদের জন্য এই পদ্ধতি কাজ করবে না। ছোটখাটো নেতা কর্মীরা এই সুযোগ নিয়ে বাড়ি যেতে পারবে, দশ হাজার দিবে, তিনদিন বাড়িতে থেকে যাবে, কেউ কোন বিরক্ত করবে না! কী দুর্দান্ত প্রতিভা ভাবেন একবার! 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১০ নভেম্বর ২০২৪ | ৩৮০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 2601:84:4600:5410:4cb6:30bb:ff2c:***:*** | ১০ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:১২539338
  • পড়ছি ।  পড়াচ্ছি ও অনেক কে 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:414d:9605:52c1:***:*** | ১০ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:৫৩539339
  • "একবার ভোটে পাশ করিয়ে ছিল, ওইটা না হয় বুঝা গেছিল যে মানুষ একটা কাণ্ড করে ফেলছে। আবার একই কাজ? চিন্তাটা কী করে মানুষ?"
     
    এইবারের ইলেকশানে খুব বড়ো ইস্যু ছিল ইকোনমি আর ইমিগ্রেশান। রিপাবলিকান আর তাদের মিডিয়া ইকোস্ফিয়ার এই দুটো ইস্যু খুব সফল ভাবে তুলে আনতে পেরেছিল, সমস্ত আমেরিকার মানুষের কাছে এগুলোই প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছিল। অন্যদিকে, ডেমোক্র‌্যাটরা আর তাদের মিডিয়া ইকোস্ফিয়ার এই ইস্যুদুটো খন্ডন করতে পারেনি, এর পরিবর্তে অন্য কিছু তুলে আনতে পারেনি। অ্যাবর্শান, ডেমোক্রেসি ইত্যাদি ইস্যু তোলার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সফল হয়নি। এখনও যদি বিভিন্ন অনুষ্ঠান, টক শো, ডিবেট ইত্যাদি দেখেন, তো দেখবেন দুদলই এখনও ইকোনমি আর ইমিগ্রেশান নিয়ে তর্ক করে চলেছে। ফলে, ট্রাম্প ব্যাক্তি হিসেবে যতোই রেসিস্ট, সেক্সিস্ট, জেনোফোবিক ইত্যাদি হন না কেন, সাধারন মানুষ ওনার পলিসি ভিত্তিক আশ্বাস গুলোর ওপর বেস করে ওনাকে ভোট দিয়েছে। সাধারন মানুষ মনে করেছে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে জিনিসের দাম কমবে, ইল্লিগাল ইমিগ্রান্টদের ফেরত পাঠানো হবে। সত্যিই সেসব হবে কিনা সে তো আগামী চার বছরে আমরা দেখতে পাবো। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:4cb6:30bb:ff2c:***:*** | ১০ নভেম্বর ২০২৪ ১০:২৬539343
  • 'এইবারের ইলেকশানে খুব বড়ো ইস্যু ছিল ইকোনমি আর ইমিগ্রেশান' - ঠিক কথা 
  • Guru | 2409:4060:206:1b43:b480:5af3:39b0:***:*** | ১০ নভেম্বর ২০২৪ ১২:১১539344
  • @কিংবদন্তী , আমি নিজে শেখ হাসিনার ট্রাম্প জেতায় উল্লাস প্রকাশ করতে ভীষণ অবাক হয়েছি l এই গত তিনমাস ধরেই গুরুতে বলে আসছি যে আম্রিকা সেন্ট মার্টিন না দেবার জন্যে শেখ হাসিনাকে ফেলে দিয়েছে আর এখন স্বয়ং শেখ হাসিনা নিজেই আম্রিকাকে টেনে আনছেন ! কি বলবো আর ! এর পর থেকে আওয়ামী লীগের আর কোন বিশ্বাসযোগ্যতা রইলোনা l এর থেকে শেখ হাসিনা নিজেই দিল্লীতে সাংবাদিক সম্মেলন করে জয়শঙ্কর আর মোদীকে পাশে নিয়ে সেন্ট মার্টিনে একটা দ্বিতীয় দিয়েগো গার্সিয়া করবার জন্যে সেটা আম্রিকার হাতে আগামী ১০০ বছরের জন্য তুলে দেবার ঘোষণা দিতে পারতেন বদলে শুধু ওকে আজীবন ঢাকার গদীতে রেখে দিতে হবে বলে ট্রাম্পকে অনুরোধ করতে পারতেন !                                                                                     পুনশ্চ : প্যালেস্টাইনের জেনোসাইডের জন্যে দায়ী বাইডেন সরকারের পতনে আমি নিরুত্তাপ l ট্রাম্প কামলা দুটোই জায়নবাদীদের হাতের পুতুল যেমন ইউনুস সাহেবও ওদের হাতের পুতুল l শেখ হাসিনাও গদির লোভে জায়নবাদীদের হাত থেকেই তামাক খেতে চাচ্ছেন ! সবাই গোল্লায় যাক l 
  • কিংবদন্তি | ১০ নভেম্বর ২০২৪ ১২:১২539345
  • অরণ্য দা, দেশের অবস্থা যে কই গিয়ে ঠেকছে বুঝা বড় মুশকিল। কে যে কোনদিকে খেলছে তাও বুঝা মুশকিল। প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন, জাগৃতি প্রকাশনীর মালিককে কুপিয়ে মারে জঙ্গিরা। তার বাবা অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হককে  কিছুদিন আগে ইউনুস সরকার বাংলা একাডেমীর সভাপতি নির্বাচিত করে। অনেকেই খুব খুশি হয়েছিল। যোগ্য লোক জায়গা মতো গিয়েছে ভাবছি আমরা। এই লোক শুক্রবার বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘ইসলামের অভেদ ভাব’ নামের এক আলোচনাসভায় সভাপতির বক্তব্যে বলেন "আমাদের মুক্তিযুদ্ধ জাতীয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। কিন্তু ৩০ লাখ শহিদের কথা বলা কি ঠিক হয়েছে? কেউ এটি গণনা করে দেখেনি। এটা ইতিহাসের বিকৃতি। এর ফলে জাতির জীবনে ভালো কিছু হয় না। এক জায়গায় মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠা করলে, আরও বহু জায়গার তার প্রভাবে ভিন্ন ভিন্ন মিথ্যা প্রতিষ্ঠা পায়।" 
     
    তিনি জানেন না, তিনি বইপত্র পড়েন নাই এমন কোন কথাই খাটবে না এখানে। অথচ কি একটা মন্তব্য করে বসল! এঁদের মুখে এমন কথা শুনলে কেমন অস্বস্তি লাগে! বাতাস বুঝা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে দিনদিন।  
     
  • Guru | 2409:4060:206:1b43:b480:5af3:39b0:***:*** | ১০ নভেম্বর ২০২৪ ১২:১৭539346
  • কামলার বিপক্ষে খুব বেশী করে গেছে প্যালেস্টাইনের জেনোসাইডের পিছনে বাইডেন প্রশাসনের সমর্থনের ব্যাপারটা l ট্রাম্প এটাকেও শেষের দিকে ভালোই খেলিয়েছে l ডেমোক্র্যাটরা আইডেন্টিটি পলিটিক্স খেলে অভ্যস্ত কিন্তু এবারে প্যালেস্টাইনের জেনোসাইডের এই ইস্যুটার জন্যেই সেই আইডেন্টিটি তাস সফল হয়নি l
  • হীরেন সিংহরায় | ১০ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৪৭539349
  • এক কঠিন  মোড়ে দাঁড়িয়ে আপনি যে দলিল লিখে  যাচ্ছেন, আগামী ইতিহাস তার জন্য কৃতজ্ঞ থাকবে।বই বা সামাজিক মাধ্যম নয়, আপনি ইতিহাসের ভেতরে হাঁটছেন ভাই। শেষ টুকু পড়ে ভীষণ মজা পেলাম - দশ হাজার টাকায় তিন দিনের জন্য খাওয়া শোয়া নিরাপদ আস্তানা । এয়ার বি এন বি এ খবর পেলে তাডের সাইটে তুলে দেবে - নিউ বিজনেস মডেল 
    ভালো থাকবেন । সাবধানে থাকবেন। 
  • কিংবদন্তি | ১০ নভেম্বর ২০২৪ ২৩:২৩539357
  • হীরেন দা, সম্ভবত আমি বুঝাইতে পারিনি। দশ হাজার টাকায় খাওয়া শোয়া না, দশ হাজার টাকায় আপনি আপনার বাড়িতে থাকবেন। বিএনপির ওই নেতা টাকার বিনিময়ে এই তিনদিন কোন সমস্যা করবে না। মামলা, পুলিশ এগুলা ঝামেলা বা মব লেলিয়ে দেওয়া এই সব না করে তিনদিন বাড়িতে থাকতে দিবে, বাড়ির লোকজনের সাথে দেখা করল, থাকল, এইটাই প্রাপ্তি! 
  • . | ১১ নভেম্বর ২০২৪ ০০:০৪539358
  • এত দুর্বুদ্ধি যাদের মাথায়, তারা যদি বুদ্ধিগুলো ভালো কাজে লাগাতো, দেশটার ভালো হতো।
    এটা ঠিক পার্টি পোলিটিক্স ধর্ম কালচারের ব‍্যাপার না। এটা নির্দেশ করে একটা জনজাতি কী ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর অমানবিক এবং করাপশনে নিমজ্জিত হয়ে গেছে।
  • হীরেন সিংহরায় | ১১ নভেম্বর ২০২৪ ০০:৪২539359
  • এইবারে বুঝলাম। তিন দিনের সিকিউরিটি ফী! 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:f086:89b9:848c:***:*** | ১১ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:০৪539367
  • @কিংবদন্তি, মৌলবাদীদের হাতে দীপনের খুন হওয়ার কথা মনে আছে। বর্তমান সরকার, সেই মৌলবাদীদেরই কব্জায়। দীপনের বাবা এদের সাথে আছেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন - বিস্ময়জনক; যন্ত্রণার , কষ্টের ব্যাপার । 
    খুবই চাপে আছেন হয়ত 
  • বিপ্লব রহমান | ১১ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:২০539369
  • ট্রাম্পের ছবিসহ প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানববন্ধন করার চেষ্টা করেছে পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ -- সম্ভবতঃ এটি জোক অব দ্য ইয়ার!! devil

    আম্রিগা  সেন্ট মার্টিন দেয়নি বলে ক্ষমতা থেকে পিছু হটতে হয়েছে-- অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগের এই লম্প ঝম্প আসলে 
    হেজিমনির প্রকাশ ছাড়া আর কিছু নয়! 
  • Guru | 115.187.***.*** | ১১ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:০৪539382
  • @বিপ্লবভাই , ভাই আমি গত তিনমাস ধরে এই গুরুর ফোরামে বলে আসছি যে শেখ হাসিনা আম্রিকি জিয়োপলিটিক্যাল চক্রান্তের শিকার | আমি এখনো তাই বিশ্বাস করি | কিন্তু এখন আমার মুখটা কোথায় রাখলেন বলুন তো এই শেখ হাসিনা আপা ! আমি শুধু আওয়ামী লীগের আর ছাত্রলীগের যুবলীগের লক্ষ্ লক্ষ যুবক যুবতী কর্মীদের কথা ভাবছি আর ভয় পাচ্ছি | এদের বিশ্বাস আশা ভরসা ভালোবাসা আদর্শ পুরোপুরি মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছেন শেখ হাসিনা | এখন আর কোনো মুক্তমনা যুবক  একশোবার ভাববে লীগের রাজনীতি করবার আগে | পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে , শেখ হাসিনার রাজনীতি আন্তর্জাতিক কূটনীতির উপরে পুরোপুরি নির্ভরশীল | অনেকের বিশ্বাস ভেঙ্গে দিলেন উনি প্রথমে ভারতে পালিয়ে তারপরে এভাবে আম্রিকার হাতে তামাক খেয়ে | এথেকে আওয়ামী লীগ কবে উঠবে কে জানে ? BNP জামাত যে ওনাকে ভারতের পুতুল বলতো দেখা যাচ্ছে উনি সেটাকেই ঠিক প্রমাণিত করবার জন্যে উঠে পড়ে লেগেছেন |
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন