তমে কেবি ছে ? সরস !.
“দ্যাখো, দ্যাখো, ওই তো টিভিতে শাহেনশাহের ঘোষণা পড়ে শোনাচ্ছে মোটাভাই। ক’দিন ধরে খবরের কাগজেও দিচ্ছে, সুযোগটা আমাদের নেয়া দরকার, সংসারের যা অবস্হা, তোমার চাকরি চলে গিয়ে”। স্বামী যতীনকে বলল অমৃতা।
“আরে শাহেনশাহ আর মোটাভাইয়ের কথা বাদ দাও তো, সকলের অ্যাকাউন্টে আপনা থেকে টাকা আসবে বলেছিল শাহেনশাহ, উলটে আমাদের ব্যাঙ্কটাই লাটে উঠে গেল।” বলল যতীন।
“ফোন করে দ্যাখোই না, পাড়ার নিতাইরা তো বাড়ির সবাইকে নিয়ে ট্রাই করতে গেছে, নিশ্চয়ই পুরস্কার নিয়ে ফিরবে, দলে দলে লোক যাচ্ছে, সারা রাজত্বে সাড়া পড়ে গেছে।” বলল অমৃতা।
“তুমিই ফোন করো, আমার তো মেজাজ খিঁচিয়ে থাকে, মুখ ফসকে যা-তা বলে ফেলবো, আর মোটাভাই চটে যাবে, ওর স্যাঙাতরা চটে গেলে আরও বিপদ।” বলল যতীন।
টিভিতে, খবরের কাগজে ফোন নম্বর দেয়া ছিল। মোবাইলে নম্বর আগেই সেভ করে রেখেছিল অমৃতা। ফোন করতেই ওদেক থেকে গম্ভীর কন্ঠস্বর ভেসে এলো, “আরে আম্রুতবেন, কেম ছে ?”
অমৃতা মোটাভাইয়ের গলার আওয়াজ টিভিতে অনেকবার শুনেছে, টেলিফোনে ওনার কন্ঠস্বর শুনে ভাবল বোধহয় আনসারিঙ মেশিনে রেকর্ড করা; কিন্তু তাই যদি হবে তাহলে মোটাভাই ওর নাম জানল কেমন করে। অমৃতার ভাবনার মাঝেই মোটাভাইয়ের প্রশ্ন শোনা গেল, “যতিনভাই কেবা ছে ?” মানে, যতীনভাই কেমন আছেন ? আরও অবাক হল অমৃতা, ভয়ও পেল। মোটাভাই যদিও মোটা কিন্তু মোটাভাইয়ের ভাষায় মোটাভাই মানে বড়দা; ওনার একটা আসল নাম আছে বটে কিন্তু উনি শাহেনশাহের এতো কাছের লোক, এতো বেশি কাছের যে উনি চান লোকে শাহেনশাহের জয়ধ্বনি করুক, ওনার নয়।
“তমে আপনে ভায়ো ছো ?” আপনি আমাদের চেনেন ? অবাক হল অমৃতা। শাহেনশাহের রাজত্বে কোটি কোটি লোক অথচ বেছে বেছে শুধু ওদেরই চেনেন ? শাহেনশাহের লোকেরা ওদের দুজনের ওপর লক্ষ্য রাখে নাকি ?
“হু বদানে জানুঁ ছুঁ”, বলল মোটাভাই।
“আরে উনি আমাদের চেনেন, আমার নাম জানেন, তোমার নাম জানেন, জিগ্যেস করছিলেন তুমি কেমন আছো, উনি এমনকি বললেন শাহেনশাহের রাজত্বে সবাইকে চেনেন উনি।” অমৃতা উত্তেজিত হয়ে যতীনকে বলল। তারপর বলল, “তুমি ওনার সঙ্গে কথা বলে দ্যাখো, বলো যে আমরাও শাহেনশাহের প্রশংসা-রচনায় অংশ নিতে চাই, নয়তো উনি ভাববেন, স্বামী কথা বলছে না কেন, বউকে দিয়ে বলাচ্ছে।”
রাগ হল যতীনের, বলল, “আরে রচনা লেখা নিয়ে তো কথা, দুজনেই যাবো, তুমিও যাবে, তাতে স্বামী-স্ত্রীর কে কথা বলল বা বলল না, তা নিয়ে শাহেনশাহ নিজে বা মোটাভাই কেউই চিন্তা করেন না। যাকগে, বলছ যখন, দেখি কথা বলে।”
“প্রণাম মোটাভাই ছে”, বলল যতীন, বউয়ের কাছ থেকে যেটুকু শিখতে পেরেছে দুচারটে কাজ চালানো বাক্য। তারপর জিগ্যেস করল, “মোটাভাই, হুঁ মাত্রভাসামাম লাখি সাকুন ছুঁ?”
এই কথাটা বলতে শুনে অমৃতা বলল, “এটা জিগ্যেস করে ভালো করলে, আমাদের ইংরেজি তো সেই ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির সময়কার, আর মোটাভাইয়ের ভাষাতেও তেমন করে লিখতে পারবো না, মাতৃভাষায় তো তুমি ফাটিয়ে দিতে পারবে, কতো পুরস্কার আর সম্বর্ধনা পেয়েছো এতোকাল, এবার কিছু রোজগারপাতি হোক।” মুচকি হাসি দিয়ে অমৃতার কথা অনুমোদন করল যতীন।
“তমারে কয়ারে আভাভুঁ ছে ? তারিখা আপো।” বলল মোটাভাই, মানে, তোমরা কবে আসবে, তারিখ জানিয়ে দিও।
“আপানে আজই যাইসুঁ”, বলল যতীন, যতো তাড়াতাড়ি যোগ দিয়ে পুরস্কার জিতে নেয়া যায় ততোই সুবিধে। শেষে সোনার ভাঁড়ার ফুরিয়ে গিয়ে শুধু রুপোর আর লোহার ভাঁড়ার থেকে যাবে।
“ঠিক ছে, আজে আভো, ত্যায়ে ঘানুম সোনুঁ আনে চাঁদি ছে।” আশ্বস্ত করলেন মোটাভাই, সোনারুপোর অনেক স্টক আছে।
পুরস্কারের তালিকা বেশ লোভনীয়। শাহেনশাহের পছন্দ হলে তিরিশ কিলো করে সোনা দেয়া হবে, যার প্রশংসা সামান্য ভালো লাগবে তাকে দেয়া হবে তিরিশ কিলো করে রুপো, আর যার প্রশংসা খারাপ লাগবে তাকে দেয়া হবে কুড়ি কিলো করে লোহা।
আগে একজন বাঙালি পুরস্কার জিতেছে, তার নাম প্রকাশ করা হয়নি, কিন্তু তার রচনাটা খবরের কাগজে, পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়েছে, সুন্দরী পাঠিকা তা টিভিতে পড়েছে, সুকন্ঠী পাঠিকা তা রেডিওতে শুনিয়েছে।
অমৃতা কাগজের কাটিঙটা নিয়ে এলো, যাতে ধারণা করে নেয়া যায়, কেমন প্রশংসা-রচনা লিখতে হবে। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই রিভাইজ করে নিল গদ্যটা, যদিও এর আগে উচ্চমাধ্যমিকের মতন বার বার পড়েছে। অমৃতা রচনাটা জোরে-জোরে পড়তে লাগল আর যতীন চোখ বুজে শুনতে লাগল প্রথম পুরস্কার পাওয়া রচনা, মগজে ঝকমক করতে লাগলো পনেরো কিলোর এক-একটা সোনার ফুটবল :
ভাবসো আমি কিছু বুজিনা? আমি খুব মিউমিউ কইরা কইলাম, ভাবি গো ছয় দিন হইলো বিছনায় পইড়া আছি। ওষুধ চলে, খুব ঘুম আসে, ঘুম আইলেই ভাইঙ্গা যায় পাখপাখালির আওয়াজে।তুই আর নেই!!!!ভাবতেই পারছি না, কি থেকে কি হল রে, অভিমান ছিল জানি। এই তো সেদিনও কথা হোলো, বাড়ি করবি বলছিলি, তাই বলে এমন জায়গায় বাড়ি করলি রে দীপান্বিতা… সবসময় হাসিমুখটা খুব মনে পড়ছে রে, মন তোর জন্য ভালো নেই।বেসিক্যালি আপনার কোনো বন্ধু নেই। আপনি পেঁচার মতো মুখ করে থাকলেও কেউ বিশ্রীরকম জোক করে আপনাকে জ্বালাতন করার নেই। স্কুলের বন্ধুদের যারা নাগালে আছে তাদের ফোন রিঙ হয়ে যাবে। পকেটে তিরিশটাকা পড়ে থাকবে যা দিয়ে একটা নিপও হয় না। অনেক ভেবে পুরোনো এক নেশাখোরকে ফোন করলে দেখবেন সে অসুস্থ এবং তার মা ফোন রিসিভ করে আপনার কুশল সংবাদ নিচ্ছে। পৃথিবীর যাবতীয় বন্ধু ভাবাপন্ন সম্পর্কগুলো সময়ের সাপেক্ষে বদলে গেছে। এবং আপনার একমাত্র বন্ধু, আপনার প্রেমিক ড্যাং ড্যাং করে অনুমতির তোয়াক্কা না করেই মরে গেছে। এবং আপনি ঠিক বুঝতে পারছেন না আপনি ঠিক কী কেশোৎপাটিত করছেন। তাকে বলে বাঁশ। সবকা বাপ। এই সময়ে ঘরে কিচ্ছু নেই। না মদ, না তামাক, না ওষুধ; যেখানে থাকিস ভালো থাকিস রে….দীপু.. বেশি না খালি সালাউদ্দিনরে সরায়া আর ৪০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ কইরা (স্টেডিয়াম ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ, কোচ প্রশিক্ষন, বিজ্ঞাপন আর বিপনন ) খেলাটারে বিলিয়ন ডলার ব্যবসার জায়গা বানানো যায়। তাও মাত্র পাঁচ বছরে। পরিমান মত রান্নায় স্বাদ হয় বেশ, মহাকাব্যে আছে অতিদর্পে শেষ। ক্লাব ফুটবলে চল্লিশটা দলকে অনুদান (স্বল্প সুদে ঋণ, শেয়ার বিক্রি) দেন। হিড়িম্বা মন্দির।ভালো লাগলো,হিড়িম্বা অর্থাৎ মহাভারতের ভীমসেনের ঘরনির নামে মন্দির আছে।অন্য কাস্টের হওয়ার দরুণ মা কুন্তী তাঁকে পরিবারে ঠাঁই দেননি, ঘটৎকচ যুদ্ধে প্রাণ দিলেন, বংশের পুত্র।নিঃসঙ্গ হিড়িম্বার স্মৃতি চিহ্ণ দেখে সত্যি ভালো লাগলো। কড়া অডিটের ব্যবস্থা করেন যাতে টাকা মাইরা যাইতে না পারে।
“দারুন লিখেছে”, চোখ খুলে বলল যতীন। মিটিমিটি হেসে অমৃতা বলল, আমি তো লিখে অনেকবার প্র্যাকটিস করে নিয়েছি।
রচনাকেন্দ্রে দুজনে পৌঁছে দেখলো প্রচুর ভিড়, নামের তালিকা দেখে ওরা নিজের-নিজের সিটে গিয়ে বসল। দুজনে গুডলাক বলে হাই ফাইভ করে নিলো। সবায়ের টেবিলের ওপরে কমপিউটার। অমৃতা আর যতীন চেক করে নিশ্চিন্ত হয়ে নিল যে বাংলা ফণ্ট আছে। ওদের দুজনের মগজেই রচনার খসড়া কিরকির করছিল। বাঁশি বাজতেই ঝটাপট লিখে ফেলল। মোটাভাইয়ের স্যাঙাতরা এসে বলে গেল দশ মিনিটেই রেজাল্ট ঘোষণা করা হবে কেননা গ্রেডিঙ ব্যাপারটা শাহেনশাহের পছন্দ-অপছন্দ অনুযায়ী আরটিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের মাপকাঠি দিয়ে তৈরি।
যে চব্বিশজন তিরিশ কিলো করে সোনা পাবে তাতে অমৃতা আর যতীনের নাম ছিল। শুনে ওরা দুজনে আহ্লাদে আট দ্বিগুণে ষোলোখানা। যারা রুপোর ফুটবল পেলো, তাদের মুখেও হাসি। গোমড়ামুখে বসে রইলো লোহার ফুটবল পাওয়া জনগণ।
অমৃতা এই রচনাটা লিখেছিল :
ওদের কান নেই, শোনেনি আমার ডাক। এঁর এককালে টিউশনের রমরমা বাজার ছিল আমাদের স্কুলে। কানিং এবং বাতেলাবাজ হিসেবেই পরিচিতি ছিল। মুশকিল হচ্ছে, বাতেলাবাজ টিচারদের ছাত্ররা খুউব পছন্দ করে। কারণ বাকিরা নেসেসারিলি শুধু ভয়ই দেখান। সমব্যথী বোতল নিজেই এগিয়ে এসেছে, কম্পনরত হাত তবু খুলতে পারেনি ছিপি; এই যে এক ফোঁটা ঘর। বাড়ি জানালা যমুনামায়ের দু’ফোঁটা বালক। এই তো নিরীহ বালিকা দরজা। ভোর হয়ে এলো দুগগাপুজার হুল্লোড়।একটু ঘিয়ে ভাজা মুরগি, একটু ঘিয়ে ভাজা আলু, একটু ঘিয়ে ভাজা অ্যাস্পারাগাস; গরিবের লাঞ্চ; ঠিক এইখানেই তোমার বাড়ি। এখানে ঘুম ডাকো তুমি। জাগো প্রাণায়াম থেকে। তারাদের উচ্চারণে কথা বলো। এখানেই নদীটির সিঁথি। সিঁদুরখেলার প্রতিমা।আরো ভাল লাগল, সোজাসাপ্টা বললেন, নিজেদের কেরিয়ার পড়াশুনা নিয়ে থাকতেন, ছেলে নিজের কত পড়াশুনা বা অন্যান্য কাজ করেছে। মায়েরও যে নিজস্ব জগত, আইডেন্টিটি থাকতে পারে, আর সেটা যে রেঁধেবেড়ে সংসারকে খাওয়ানোর বাইরেও অন্য কিছু করার আছে, সেটা এত স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। দু:খ, এসব বোঝাতে হল সেই সাংবাদিককে যিনি আবার কিনা মহিলাই। স্টিরিওটাইপিং, তোমার শেষ যে না পাই!! তো আমি জানি ঘটনা, পাশে থাকার সুবাদে উনার কিন্নর কণ্ঠের বজ্রনিনাদ আমি কী দিনে, কী রাতে শুনি ডেইলি। এই তো গেল ভাবি, ভাইয়ের ভাষা শুনলে আগে ছাদের তালা ভাঙতে মন চায়, তারপর উপ্রেত্থেকে লাফ দিয়া পইড়া মইরা যাইতে মন চায়।
আর যতীন লিখেছিল এই রচনাটা :
যতই ভাবি, বলি তোমরা সবাই স্বাধীন এখন। ভোগ কর স্বাধীনতা যে যার মত। গুছিয়ে নাও যে যার সংসার। তবুও কেন জানি তা মানতে চায় না কেউ।তবে কি এই পরাধীনতাটুকুতেই শান্তি সবার ! নাই ভাইদের স্নেহ, লেখবার অবসর। শুধু অবনত শ্রাবণ-গারদ; ভাঁড়েদের উল্লাস, মোহরের ঝনঝন।যাউকগা, আজ সন্ধ্যায় মিসেস চ্যাটার্জী কষাইয়া কষাইয়া মাটন রান্না করিবেন বলিয়া মনস্থির করিয়াছেন। কারণ, তাহার ডাক্তারবাবু খুব সম্প্রতি উহাতে নিষেধাজ্ঞা বসাইয়াছেন। বারবার গৃহত্যাগ বারবার ঘরে ফিরে আসা। সারা দুনিয়া জেনে গেছে আমার দ্বারায় প্রেম – ভালোবাসাটা হবেই না; আমিও হার মেনে নিয়েছি কারণ সত্যি ওটা আমার টপিক নয়।কারণ গুলো এই যে – ন্যাকামি করবে প্রেমিক, যেটা আমার সবচেয়ে অপচ্ছন্দের, ঠাস করে দুমদাম চড়িয়ে দেবো, তারপর ছেলের মা এসে বলবে, তুমি আমার বাবুকে মেরেছো? লে হালুয়া এসব ঝামেলায় আমি নেই বস। ঝোলাগুড়ে চিতইপিঠার নাহাল এ কলিজা খাবি খায়। বলছিলা ঘরের গল্প একখান, বলছিলা জোনাকি সাজানো ঘর। বাবুইয়ের বাসা লাট খায়। কী দিবা, কাকে দিবা, আমি বলতেছি শোনো, নদীপাড়ে শোক জমা হয়। তুমি বলো শোক নয়, পলিমাটি, চর। ঐ চরটুকু দিবা, ঐ পলিটুকু? দেহ দিছি, প্রাণ দিছি, রইয়া গ্যাছে সংসারখান, তুমার বিধায় লাগে আগুনের খাপরা লাহান; চিকখইর পাইড়া তাই ছুটসি তুমার পাছ পাছ, এ জনমে, তুমি সাঁই, যত দূর লইয়া যাও,… যাই…সারারাত শরীরে কালাজ্বর। মনে হয়েছে কেউ আমাকে বাক্স বন্দি জোঁকের ভিতর আঁটকে রেখেছে। গলা শুকিয়ে গেছল, একঢোঁক জল চেয়েছি জোঁকের কাছে। খুইট্যা টেঙর; কিছু সত্যি কথা, কিছু ভয়ের কথা, কিছু অপমানের কথা, কিছু গ্লানির কথা বলছি আজ। আমার বিয়ে হয়েছিল মাত্র এক বছর, তারপর ডিভোর্স, আমি ওর সাথে কোনোদিনই শারীরিক হতে পারিনি সে অর্থে, আমি ওকে ঘেন্না করতাম।না তেমন কোনো কারণ নেই ঘেন্না করার, জানেন তো ও খুব ভালো রান্না করতে পারতো, ওর হাতের খাসি মাংসের ঝোল আমার ফেভারিট ছিল।
সোনার তালের ঘর, রুপোর তালের ঘর আর লোহার তালের ঘরগুলো আলাদা-আলাদা জায়গায়। সোনার বারো জোড়া দম্পতিকে নিয়ে যাওয়া হল সোনার ঘরে। পনেরো কিলোর ফুটবলে সোনার শেকল লাগানো। অমৃতা-যতীনের মুখে অন্যদের মতন হাসি খেলছিল।
“যাক শেকলে বাঁধা ফুটবলগুলো টেনে নিয়ে যেতে সুবিধা হবে।” বলল যতীন।
ওদের সবাইকে চেয়ারে বসতে বলা হলো। তারপর পুরুষদের প্রত্যেকের পায়ে পনেরো কিলো করে সোনার নিরেট বলগুলো শেকলসুদ্ধ তালা লাগিয়ে দেয়া হল। মহিলাদের হাতে পনেরো কিলো করে সোনার সলিড বলগুলো শেকলসুদ্ধ তালা দিয়ে দেয়া হল।
স্পিকারে শাহেনশাহের ঘোষণা শোনা গেল, “ আপনারা খুশি তো ? তিরিশ কিলো করে সোনা মানে প্রত্যেক দম্পতি পেলেন ষাট কিলো সোনা। আপনারা এবার বাড়ি যেতে পারেন।”
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।