দীপ এটাও দেখুন। স্বভাব বা প্রকৃতি একই,
প্রকৃতেঃ ( প্রকৃতির, স্বভাবের) আমি না, জগদীশ্বরানন্দ বলছেন শ্লোক ৩/৩৩।
এবার সংস্কৃত টাইপ না করে সোজা ওনার বাংলা অর্থ তুলে দিচ্ছি।
"জ্ঞানীও স্বীয় প্রকৃতির অনুরূপ কার্য করেন, অজ্ঞের কি কথা"?
এবার উনি শংকরাচার্যের ভাষ্য অনুসরণ করে 'প্রকৃতি' মানে বোঝাচ্ছেনঃ
"বর্তমান জন্মের আদিতে অভিব্যক্ত পূর্বজন্মকৃত ধর্মাধর্মাদির সংস্কারই প্রকৃতি"।
অর্থাৎ ওই প্রকৃতি বা স্বভাব জন্মসূত্রেই নির্ধারিত হয়। তাই ব্রাহ্মণের ছেলের উপনয়ন হয়, আমার হয় না।
এবার দেখুন দুটো শ্লোক পরে কী বলা হচ্ছে।
"শ্রেয়ান স্বধর্মো বিগুণঃ পরধর্মাৎ স্বনুষ্ঠিতাৎ।
স্বধর্মে নিধনং শ্রেয়ঃ পরধর্মো ভয়াবহঃ।। ৩/৩৫
"স্বধর্মের অনুষ্ঠান দোষযুক্ত হইলেও উত্তমরূপে অনুষ্ঠিত পরধর্ম অপেক্ষা উৎকৃষ্ট। বর্ণাশ্রম বিহিত স্বধর্ম সাধনে নিধনও কল্যাণকর; কিন্তু অন্যের বর্ণাশ্রমোচিত ধর্মের অনুষ্ঠান অধোগতির কারণ বলিয়া বিপজ্জনক"।
দেখতেই পাচ্ছেন, তৃতীয় ও অষ্টাদশ দুটো অধ্যায়েই ভয় দেখানো হয়েছে। তুমি বাপু বর্ণাশ্রম ধর্ম মেনে চল। ভাল করে পড়াতে না পারলেও যখন ব্রাহ্মণ হয়েছ তখন পড়াতেই থাক। ভাল রান্না করতে জান বলে রাঁধুনি বামুন হতে যেয়ো না।
আবার মুচির ঘরে জন্মেছ, জুতো সেলাই কর, ভাল করে না পারলেও। খামোকা চণ্ডীপাঠ করতে যেও না।
কী বললে? তোমার সংস্কৃত উচ্চারণ ভাল? শুনে শুনে শিখেছ? তাতে কি? জাতে মুচি সেটা ভুলে যেও না।