নো-ভোট-টু-বিজেপি একটি আন্দোলনের নাম। পরিষ্কার কথা, যাকে খুশি ভোট দিন, বিজেপিকে নয়। ভোটটা বিজেপির বিরুদ্ধে দিন। কারণ বিজেপি’র মতো হিংস্র ও ভয়ানক এই মুহূর্তে কোনও দল ভারতবর্ষে নেই। এই আন্দোলন নজর কেড়েছে মানুষের। আসন্ন নির্বাচনের জন্য ভোটের কথা আসছে বটে, কিন্তু এই-স্লোগান নিছক ভোটের স্লোগান নয় বলেই আমার মনে হয়। ভোট গুরুত্বপূর্ণ আয়ুধ, আবার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই তার বাইরে গিয়েও লড়তে হবে। জনমানস থেকে, জনসমাজ থেকে ক্রমশ গেঁড়ে-বসা বিভাজনের রাজনীতিকে উপড়ে ফেলতে হবে। বে-পরোয়া এই শক্তির সিংহভাগ শক্তি আসে মন্ত্রী-সান্ত্রী-পুলিশ-হাকিম-মিডিয়াসহ জেড-ক্যাটিগরির রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাবলয় থেকে, এই ক্ষমতাবলয় থেকে এদের দূরে রাখতে পারলে বেলুনের হাওয়া বেরিয়ে যায় অনেকটাই। এই হাওয়া বার করতে ভোট একটা মস্ত অস্ত্র বটে! যাইহোক, ‘যাকে খুশি ভোট দিন, বিজেপিকে নয়’, এখানেই হয়েছে কেলো, সিপিএম এতে ক্ষুব্ধ। ক্রুদ্ধ। সরকারিভাবে দলের ক্রোধ কিনা জানি না, ফেসবুকের সিপিএম-নামধারী ভক্ত-ক্যাডাররা খুব ক্রুদ্ধ। সরাসরি তাঁরা তীব্র ট্রোলিং-এ নেমে পড়েছেন এই ক্যাম্পেইনের বিরুদ্ধে। এমনকী সোশ্যাল মিডিয়ার বাইরে গিয়ে পোস্টার-ছেঁড়া বা উপরে-অন্য-পোস্টার-চাপিয়ে-দেওয়া অবধি গড়িয়েছে সেই ক্রোধ। নো-ভোট-টু-বিজেপি প্রচারে বিজেপি কতটা ক্রুদ্ধ জানা নেই, কিন্তু ক্যাডাররা দৃশ্যত ক্রুদ্ধ। সরকারিভাবে দল যদিও এই স্ট্যান্ডের বাইরে গিয়ে কথা বলেনি বা ক্যাডারদের এমত ট্রোল-আচরণের প্রতিবাদও করেনি।
আচ্ছা একটু পিছে মুড়কে দেখা যাক, কীভাবে শুরু হল এই ক্রোধ-লকলক বিরুদ্ধ প্রচার? মূলত নো-ভোট-টু-বিজেপি অংশ, সিপিআইএম লিবারেশন ও দীপঙ্কর ভট্টাচার্য – সবটা মিলিয়ে সম্প্রতি একটা মণ্ড তাঁরা বানিয়েছেন আর তার নাম দিয়েছেন লিবারেল। দীপঙ্কর ছিল তাঁদের প্রথম টার্গেট। কেন? গত বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ১২টি সিট জিতে মুহূর্তে উল্লেখযোগ্য বাম দল হিসেবে, দেশে প্রাসঙ্গিক আলোচনায় চলে আসে ভাকপা-মালে। দীপঙ্কর বলেন, বাংলায় তৃণমূলের থেকে বড় শত্রু বিজেপি। ব্যস, সেই বাক্য হল না হজম, শুরু হল সিনে মে জ্বলন।
তারপর নো-ভোট-টু-বিজেপি ক্যাম্পেইন জোরদার হল বাজারে। লেফট লিবারেলগণ, মূলত সোশ্যাল মিডিয়ায়, সমর্থন করলেন দীপঙ্কর-উবাচ ও নো-ভোট-টু-বিজেপি প্রচার। বাংলায় লিবারেশনের কোনও স্টেক ছিল না অ্যাদ্দিন, কিন্তু সহি-বাম হিসেবে ভাকপা-মালের এন্ট্রি যেন শুরু হয়েছে বাংলায়, দীপঙ্কর ও তাঁদের দলের গ্রহণযোগ্যতা যেন ক্রমবর্দ্ধমান, আঁচ পেয়ে বিপন্নতাবোধ তাড়িয়ে বেড়াল ক্যাডারদের। সঙ্ঘী রাজনীতির ভয়াবহতা উপেক্ষা করে তারা পেছনে পড়ল লেফট লিবারেলদের। ‘লিবারেল’ শব্দকে গালি হিসেবে ব্যবহার করলে, নিজেকে যে কনজারভেটিভ হিসেবে দেগে দেওয়া হয়, সেই বোধও গেল হারিয়ে!
ট্রোলিং যে-একটি মানসিক বিকার, সমবেত ট্রোলিং যে-একটি মাস হিস্টিরিয়া, বেমালুম লোপাট হল মস্তিষ্ক থেকে! গোলি মার ভেজে মে! উল্টে তাদের স্বর মিলে গেল আরেসেস-বিজেপির স্বরের সঙ্গে! সঙ্ঘের বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধাচারণ করা জনপ্রিয় স্লোগানের বিরোধিতা করতে গিয়ে তারা সঙ্ঘের সহায়ক শক্তি হয়ে উঠল, এটাই ট্র্যাজেডি। নিতান্তই অপরাধবোধে সম্ভবত, অতি সম্প্রতি, সোশ্যাল মিডিয়ায় সিপিএম ক্যাডারদের পক্ষে দু-একটি পোস্ট দেখা যাচ্ছে, বিজেপিকে একটিও ভোট নয়, সম্ভাব্য বিজেপিকেও নয়। তাই সই, সকলেই চায় কমিউনিস্ট পার্টি গর্জে উঠুক আরেসেস-বিজেপির মতো সংগঠিত শক্তির বিরুদ্ধে, কিন্তু হা হতোস্মি, সেই প্রচারের সংখ্যার স্বল্পতা ও সদিচ্ছার অভাব দেখেই মালুম, বাঁ হাতে ফুল ছুঁড়ছেন চাঁদবণিক!
বাস্তবতা এমনই, সদিচ্ছা ও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন প্রতিটি মানুষ আজ পরিষ্কার স্ট্যান্ড নেবেন, যে দল যে-কেন্দ্রে বিজেপির বিরুদ্ধে শক্তিশালী তাকেই ভোট দেওয়া হবে। যদি তৃণমূল হয় তৃণমূল, যদি সিপিএম হয় সিপিএম, কংগ্রেস হলে কংগ্রেস। সিধা হিসাব। বিরোধী দল রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে জোট করতে না-পারলে, মানুষই করবে মহাজোট। কিন্তু এই পরিষ্কার স্ট্যান্ড সিপিএমের না-পসন্দ। কিন্তু কেন? তার কারণ পানীয় জলের মতো পরিষ্কার, গত ভোটের হিসেব কষলে তাদের দুর্বলতা প্রকাশ হয়ে যাবে হাটের মাঝে, দু’বছর আগের লোকসভা ভোটে ৪২ আসনেই তাদের জামানত জব্দ হয়েছে, ২৯৪ বিধানসভা আসনের একটিতেও তাদের লিড নেই! ১৬৪-তে এগিয়ে তৃণমূল, ১২১-এ বিজেপি, সিপিএমের জোটসঙ্গী কংগ্রেস এগিয়ে বাকি ৯টিতে, সিপিএম ০। গত বিধানসভা ভোটের পাটিগণিত ধরলেও গুনতিতে আসে না পার্টি। ফলত ‘যে দল যে-কেন্দ্রে বিজেপির বিরুদ্ধে শক্তিশালী’ বললেই সিপিএমের নাম আর থাকে না, তৃণমূল (এমনকী কংগ্রেসের নামও) এগিয়ে আসে। কোনও অবস্থাতেই তারা এই অবস্থাকে মেনে নিতে পারবে না। তাই তাদের আবদার নো-ভোট-টু-বিজেপি’র লগে লগে বলতে হবে ভোট-ফর-লেফট বা নো-ভোট-টু-টিএমসি। মামারবাড়ির আবদারের থেকেও এককাঠি বেশি আবদার!
বস্তুত, ডিভিডেন্ড পাবে তৃণমূল, এমন কোনও অবস্থাকে তারা মানবে না। তৃণমূল দলটি একটি ক্লাব গোছের, নেত্রীর ফ্যানক্লাবও বলেন অনেকে। দলগতভাবে তৃণমূলের যা বৈশিষ্ট বা অবস্থান, আপাতত তারা ডিভিডেন্ড পেলেও, ভবিষ্যতে, লড়াইয়ের মাঠে থেকে সেই ডিভিডেন্ড ছিনিয়ে আনা অপেক্ষাকৃত সহজ। অন্তত বিজেপির থেকে ছিনিয়ে আনার থেকে সহজতর। এই সত্য জানার জন্য রাজনৈতিক বিশ্লেষক হওয়ার দরকার নেই। কিন্তু এই সত্য বোঝার মতো মানসিকতা বা বাস্তববোধ আজ সরকারি বামকুলের লুপ্ত।
এমনকী যে-কৃষক আন্দোলন নিয়ে দু’দিন আগেও ক্যাডাররা সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা কাঁপাত, সংযুক্ত কিষান মোর্চার নেতাদের বাংলায় আসন্ন আগমন নিয়ে তারা স্পিকটি নট, কারণ কৃষক নেতৃত্ব রাজ্যে আসবেন মূলত বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার করতে। কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্বে পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য হান্নান মোল্লা থাকা সত্ত্বেও ক্যাডারকুল মন থেকে মানতে পারছে না, কৃষক-নেতৃত্বের আসন্ন বাংলা-আগমন। কাঁটা আরও বিঁধছে কারণ কৃষক-নেতৃত্ব যাবেন দুই মাইলফলক সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামে, জমায়েতে বলবেন বিজেপির বিরুদ্ধে। আগ্রাসী মনোভাব দেখে অনেকের আশঙ্কা, কৃষকদের না-আবার চালচোর বলে গালি দিয়ে দেয় অবিমৃষ্যকারী ক্যাডারকুল! অবশ্য কৃষকদের গালি দিলে ঝুঁকি আছে, তাঁরা আবার পাল্টা জমিচোর বলে দিতে পারেন!
কিন্তু কেন এই দশা হল ‘কমিউনিস্ট’ নামধারী একটি দলের? এই উত্তর খোঁজার জন্যও রাজনৈতিক বিশ্লেষক হওয়ার প্রয়োজন নেই। মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ক্ষমতা হারানোর জ্বালা আজ দাউদাউ ঈর্ষা ও যন্ত্রণায় পরিণত। আর ঈর্ষার কোনও ইস্তেহার হয় না। আমরা তো সাতের দশকের সেলিম-জাভেদের হিন্দি সিনেমা দেখে-দেখে জেনে গিয়েছি, বুকের আগুন মাথায় উঠলে একমাত্র প্রতিহিংসাই পারে সেই আগুন নেভাতে! তাই হা-রে-রে-রে প্রতিহিংসা, এখন নেতা থেকে ক্যাডারে সংক্রমিত। ধর্মান্ধ হুজুরের খুঁট ধরতেও তাই কাঁপে না হাত! সোশ্যাল মিডিয়া দেখলে মনে হয়, অরাজনৈতিক অসূয়াজনিত এই সংক্রমণ কখন যে ক্যাডারকে ভক্তে পরিণত করেছে, সে ধরতেও পারেনি!
অবস্থা আজ এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে, প্রগতিশীল বাম আন্দোলন উচ্ছন্নে যায় যাক, বাংলার মাটি সাম্প্রদায়িক রাজনীতির রক্তে ভিজলে ভিজুক, বাংলার সংস্কৃতির সাড়ে-সব্বোনাশ ঘটলে ঘটুক, এনার্সি-লাঞ্ছিত মানুষের হাহাকারে ভরে যাক ডিটেনশন ক্যাম্প, কোই পরোয়া নেই! এমনকী নিজে মরলে মরব, তাও ভি আচ্ছা, তবু মেরে মরব!
ফলত বুকে বোম-বাঁধা আত্মঘাতী জঙ্গির মতো এগিয়ে চলেছেন ধুতি-পরা বৃদ্ধ স্ট্যালিন। ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে টুম্পা-সোনা নামক নয়া-ইন্টারন্যাশানাল! ক্রমশ সেই সুর ফেয়ারওয়েল। বেহালা-বিধুর।
স্বামিজি আসার আগে বাঙালি হিন্দুর বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশের চাকরি পাওয়া, চেতনা ছিল ইসলামোফোবিয়া। বেঁচে থাকুক সেই সেলফ কন্ট্রাডিকশন যা বাঙালি হিন্দুকে দেশের মানুষের কথা ভাবতে শেখাল আর ব্রিটিশের বিরুদ্ধে লড়তে।
ধর্মের সঙ্গে অধর্মের বিরোধ সবযুগেই ছিল। এইযুগে বেড়েছে অবশ্যই। সমস্যা ঐটাই যে বিজেপি ধর্মের নামে অধর্ম করছে।
"“I would like to tell him that I belong to a Brahmin family and he should not play the religion card with me. Don’t teach Hindu dharma to me,” she said."
ওহে অতিবদ অতিবাম কমরেডগণ, নির্বাচনী জনসভায় এ কেমন সেকুলার উচ্চারণ? শুধু ধর্ম নয়, এখন জাতের কার্ডও খেলতে হচ্ছে!!
তর্ক বিতর্কে বাতাস বড্ড ভারি হয়ে গেছে।
ধর্মের নানান ডেফিনেশন। ছত্তিশগড়ের এক গাঁয়ে যৌবনবতী নগরবধুকে ভুতে ধরেছে। বৈগা মন্তর পড়ে ঝাঁটা মারছে কিন্ত মেয়েটির জোড়া পায়ের লাথিতে ছিটকে পড়ছে। আমি অতিকষ্টে হাসি চাপছি। এমন এমনসময় শুরু হল মাতালদের বহস-- ধর্ম কাকে বলে?
মেয়েটির মাতাল ভাই বলল-- যার যা কাজ তাই তার ধর্ম। যেমন নুনুর ধর্ম সুসু করা।
পিটি
সে তো রাহুল গাঁধী আগেই পথ দেখিয়েছেন। গত নির্বাচনে রাতারাতি পৈতে বের করে জনেউধারী সাচ্চা শান্তি শান্ডিল্যগোত্রের ব্রাহ্মণ। অর্থাৎ ধর্ম উঁচু জাত সব একসঙ্গে। তাও ফলস! দাদু ফিরোজ গাঁধী ছিলেন পার্শী, নাতি ব্রাহ্মণ বা শান্ডিল্য গোত্র কেং করে?
মমতার দলের নামে এখনও কং নামের লেজ জুড়ে আছে যে।
শাহী ফেকু!!
Breaking:
In Oct, Home Minister @AmitShah gave an interview to CNN News18 where he claimed "there are bomb-making factories in every district of West Bengal". So, I filed a 4-point RTI seeking the source of Home Minister's comments.
And this is where it gets shocking.
https://twitter.com/SaketGokhale/status/1369126436825571329
https://www.siasat.com/amit-shahs-bomb-factories-in-west-bengal-claim-a-lierti-response-says-so-2106503/
https://www.thenationwide.in/news/national/did-union-home-minister-amit-shah-lie-on-national-media-rti-reply-from-mha-seems-to-indicate-so
এত আলোচনা পড়ে ওঠা শক্ত। বরং একটা টিডবিট দেই।
মণিপুরে তৃণমূলের এক এমএলএ আছেন, রোবিন্দ্র কি যেন নাম। তা ইনি ওখানে বিজেপির জোটে যোগ দিয়েছিলেন, তৃণমূলে থেকেই। বছর তিনেক বাদে উনি বিজেপি সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে কংগ্রেসকে সমর্থন করেন। বিজেপি সেটা নিয়ে কোর্টে দলত্যাগের মামলা করে হারে।
কাগজের খবর অনুযায়ী উনি এখনো টিএমসি।
" 2014-এর পর থেকে লাগাতার তৃণমূল সহ বিরোধী মুখগুলোর উপর অত্যাচার বিজেপি থেকে নেমে এসেছে । সিবিআই , ইডি , পার্টি নেতাদের জেলে ভরা , ইনকাম ট্যাক্স রেড .......অথচ খেয়াল করে দেখবেন। এই সিপিএমের উপর কিন্তু ভাজপার কোনো আক্রমণ করার খবর এই 7 বছরে একবারের জন্যও খবরে আসেনি।"
এটা কি সিপিএমের নিন্দা করে লিখলেন ? :)))):)
নো ভোট টু বিজেপি নিয়ে সিপিয়াইএম এর ক্ষোভ বললে অত্যুক্তি হবে। আসলে নো ভোট টুর প্রতি এত আক্রমণ মুখ্যত ফেসবুকীয় সেলেব সিপিয়াইএম ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের মধ্যেই মুখ্যত সীমাবদ্ধ। আর সমস্ত বাম মনোভাবাপন্ন ফেসবুক গ্রুপের মতো নো ভোট টুকেও হাইজ্যাক করার উদ্দেশ্য ছিলো এদের। শুরুর দিকে সেই উদ্দেশ্যেই ক্রমাগত গ্রুপটাকে ব্যবহার করতে চেষ্টা করেছে ফেসবুকে পরিচিত সিপিয়াইএম এর সমর্থক হিসেবে পরিচিত কিছু মুখ। সমস্ত লেফট স্পেসকে হাইজ্যাক করার এই প্রচেষ্টা অ্যালাও করা হয়নি বলেই দাঁত নখ বের করে আক্রমণ করছে। প্রতিহিংসার তাড়নায় বিজেপির লেভেলে নেমে যেতেও তাই এদের লজ্জা নেই, কারণ এদের গোটাটাই ফেসবুকী ইমেজ নির্ভর। তাই বিজেপির দেওয়া খুনের হুমকির পোস্ট এরা শেয়ার করে। বিজেপির তৈরি ভুয়ো খবর এরা নির্দ্বিধায় ছড়ায়। বিজেপির "বীফবিপ্লবী", "মুসলিম তোষণ" জাতীয় ন্যারেটিভকে মান্যতা পর্যন্ত দেয়। এদের জন্য সিপিয়াইএম এর দুর্নাম হচ্ছে, বিজেপিবিরোধী আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, বিজেপি ও তৃণমূল এর ফায়দা লুটছে, তবু এদের কোনো চৈতন্য নেই। শ্রেণীগতভাবে চূড়ন্ত প্রিভিলেজড হয়ে স্টাটাস মেইনটেইন করতে নিজেকে সিপিয়াইএম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে যা হয় আর কী।
এদেশে মানে মার্কিন দেশে বহু কমেরড বসে আছেন - যারা মারসিডিজ গাড়ি কিনে ফেসবুকে 'এ ড্রিম কামস ট্রু' বলে পোস্ট করে এখনো নিজেদের বামপন্থী বলে জাহির করেন। আপনি কি এদের কথা বলছেন কমরেড? হ্যাঁ - এদেরও আমার দেখা হয়ে গেছে।
বাই দ্য ওয়ে - আগের পোস্টে যদি মনে করেন আমি সারা বছর নিজের দুটো ধুতি পান্জাবী নিজের হাতে কেচে - আমি কি সহজ সরল জীবন যাপন করি - ওরে রে আছিস - আমাকে নোবেল দে - সে খেলাতে আমি নাই। বেসিকালি বলতে চাইছি সবাই যদি কিছু হলেও কনসিউম করে তাহলেও দেশের ইকোনমির কিন্চিত বৃদ্ধি হয়।
এ তো আমার মতো কথা হয়ে গেল! আমার মতো ক্যাপিটালিস্টরা চায় লোকে বেশী বেশী করে কনসিউম করুক, তাতে ইকোনমি বাড়বে আর আমরা ভালো থাকবো।
সিপিএমের তো গোঁসা হবেই। গত লোকসভায় সিপিএম সমর্থকদের ভোট হৈহৈ করে গেছিল বিজেপিতে, তৃণমূলের অত্যাচারের বিরোধিতা করতে। তৃণমূল বুঝেছে বিরোধীশূন্য পব করতে সিপিএম কংগ্রেসকে নির্মূল করতে গেলে ওদের বিরোধী ভোট বিজেপিতে গিয়ে জড়ো হবে। তার বদলে একটা নোভোট্টু এনে ফেললে আর কং সিপিএমকে নড়াচড়ার জায়গা দিলে, মিছিল, গানবাজনা করতে দিলে আগের বিজেপিতে যাওয়া ভোট তাদের কাছে ফিরে আসবে। গতবারের কং সিপিএমের হারানো ভোট আর বিজেপির বেড়ে যাওয়া ভোটের অঙ্ক তাই বলছে। এবার ওই বিজেপির বেড়ে যাওয়া ভোট যদি কং সিপিএমে চলে আসে, তৃণমূলকে ঠেকায় কে?
নেত্রী তো কালকে সরাসরি "বাম-বন্ধুদের" ভোট প্রার্থনা করেছেন। যেটা বুঝতে চাইছি সেটা হচ্ছে যে নন্দীগ্রামের একদা হার্মাদ, তাদের পরিবার, প্রতিবেশী, সমর্থকেরা কি এখন তিনোমুলের "বাম-বন্ধু"?
@ নাম নেই নিজের পয়সায় যদি গাড়ি কেনে , সেটা যদি নিজের পরিশ্রমের পয়সায় হয়, তাহলে সে বামপন্থী হতে পারে না কেন একটু বুঝবেন? বামপন্থা বলতে কি আপনি charity বোঝেন? আপনার যুক্তিতে এঞ্জেলস ও বামপন্থী নয় কারণ ওনার বিরাট ব্যবসা ছিলো।
@ jayarshi আমি এই গ্রুপ টাতে শুরুর দিকে কিছুদিন ছিলাম। ওখানে যেভাবে অবিরাম তৃণমূলের প্রশংসা এবং সিপিআইএম এর নিন্দা করা হতো , কোন সিপিআইএম সমর্থক, যদি সত্যি সমর্থক হয়, তাহলে সেটা সহ্য করতে পারে না প্রতিবাদ করবেই। প্রতিবাদ করার সাথে সাথে ব্লক করা হয়। আমাকে গ্রুপ থেকে বের করে দেয় এবং ব্লক করে দেওয়া হয়। কেন এত ভয় বলতে পারেন? আমি সিপিআইএম এর গ্রুপ এ দেখেছি বিজেপি ও তৃণমূলের লোকজন এসে যথা সম্ভব criticise করে। আমি বিজেপির একটা পেজ এ একটা কমেন্ট করার সাথে সাথে আমায় ব্লক করা হয়। কাদের চিন্তাধারার সাথে no vote to bjp group এর চিন্তাধারার মিল আছে এটা থেকেই পরিষ্কার । No vote to bjp এর মধ্যে অনেক ভালো লোক আছে, অনেক সত্যিকার বামপন্থী আছে। অনেক লোক আছে যারা ফিল্ড এ নেমে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ছে। কিন্তু তার সঙ্গে আছে কিছু লোকজন যাদের তৃণমূলের প্রতি অন্ধ মোহ। এরাই আসল ক্ষতি করছে এবং বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করে দিচ্ছে। আর এই campaign টা তৃনমূল হাইজ্যাক করেছে বলে যে কথাটা উঠছে সেটা যদি মিথ্যা হয় মানুষ নিজেই বিচার করে নেবে, campaign এর ক্ষতি হবে না। আর যদি সত্যি হয় তাহলে campaign এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সেই প্রশ্ন তোলার সুযোগ যারা করে দিচ্ছে তাদের গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়া উচিত, যারা প্রশ্ন করছে তাদের ক্লাস privilege নিয়ে প্রশ্ন না তুলে। এই রকম যুক্তি বিজেপি দেয়, তাদের বিরুদ্ধে বিরোধিতাকে delegitimize করার জন্য।
আম্বানি আদানি ও নিজেদের পরিশ্রমের পয়সাতেই সব করছেন। উহারাও বামপন্থী নয় কেন? আর বেকার বেকার কিছু কন্সপিরেসি তত্ব খাড়া করলেন তো কেউ টি আপনারে ব্লক করে নাই।