নির্মোহ লেখা আছে ? থাকলে প্লিজ লিঙ্কান। বিবেকানন্দ নিয়ে পড়েছি। একটা বাংলাদেশ এর বিখ্যাত ব্লগার অভিজিৎ রায় ও লিখেছিলেন, স্ববিরোধী বিবেকানন্দ। তবে ওটাতে কিছু ভুলত্রুটি ও ছিল। রামকৃষ্ণ এর ওপর থাকলে দিন না।
* আর আগের কমেন্ট এ কীবোর্ড ঘেঁটে গেছিল
রামকৃষ্ণ নিয়ে বড় এবং তিক্ত নির্মোহ ছিল। অ্যাডমিন তুলে দেবেন নিশ্চয়ই।
@Ranjan Roy আপনি যা khushi লিখুন লিংক দিয়েছি দেখে নেবেন। সংবাদ পত্রগুলোকে আবার এন্টি ন্যাশনাল বলে দাগিয়ে দেবেন না আশা করি।
চতুরানন, হে হে তা তো ঠিকই। এটা তো আর রামকৃষ্ণের টই নয়। তবে শ্রীম ও কথা লিখলেও সেটা বুজরুকি, না লিখলেও - এই যা।
রমিত, আমার কুনো লেখা নাই। আপাতত লেখার পরিকল্পনাও নেই। গুরুতে একটিই ভালো আলোচনা আছে এ বিষয়ে - বিবেকানন্দ ৩। বাকিগুলো সময় নষ্ট।
ওকে ধন্যবাদ
@Aa,
'অ্যান্টি ন্যাশনাল? আমি কাউকে দাগাই না। দাগানোর ঠেকা তো আপনাদের। লিবেরাল,, রাণীমার ভক্ত, বিজেপি ইত্যাদি। এই যে কথাটা বললেন তাতে কি আমাকে দাগিয়ে দিলেন না? গত তেরো বছরের গুরুর পাতায় ন্যাশনাল/ অ্যান্টি ন্যাশনাল নিয়ে কোন কথা বলেছি? কিসের ভিত্তিতে এটা বললেন? এটা আমাকে গালাগাল দেয়ার সমগোত্রীয়।
২ লিং দেয়ার জন্যে ধন্যবাদ। হয়তো জানেন না যে আমি 4numberplatform.com মাঝে মাঝেই পড়ি। গত তিনবছর ধরে। গুরুর এলেবেলে এবং প্রতিভা সরকারের লেখাও ওখানে বেরোয়। আমি লিখি 4thpillars.com এ।
৩ আপনাকে অনুরোধ প্রয়াত বাম চিন্তাবিদ অশোক মিত্র মশাইয়ের প্রতিষ্ঠিত "আরেক রকম" পত্রিকার গত সংখ্যার সম্পাদকীয় এবং তার আগের সংখ্যায় প্রবুদ্ধ বাগচীর প্রবন্ধ দেখে নেবেন। সেগুলো সম্ভবতঃ ব্রিগেড সমাবেশের আগে লেখা।
কচি কম্মেডদের আজকাল টেরনিং ফেরনিং হয় না নাকি? হিন্দু মহাসভা --> জনসঙ্ঘ -->ভারতীয় জনতা পার্টি এই ট্রানজিশান তো নব্বইয়ের দশকেও পড়াত পার্টির ক্লাসে। এদের শুদু খিস্তাতে শিখিয়ে মাঠে ছেড়ে দিয়েছে?
সরি Aa,
সম্ভবতঃ আপনার চিমটিকে ভুল বুঝেছি। যদি ভুল করে আঘাত দিয়ে থাকি, তাহলে মাপ করে দেবেন। বুড়ো হয়েছি, হঠাৎ হুঠাৎ তেলে বেগুনে জ্বলে উঠি। আসলে 'ওই 'অ্যান্টি ন্যাশনাল কথাটা'!!
এক্ষুণি শ্যামাপ্রসাদের উপর সৌমিত্র দস্তিদারের লেখাটা পড়লাম। ভাল লেগেছে, কিন্তু কোথাও একটু পার্টিজান গন্ধ।আরেকটু তথ্য ও বিশ্লেষণ পেলে ব্যালান্সড হত।
সাভারকর দ্বিজাতি তত্ত্বের আসল প্রণেতা, কিন্তু উনি দেশভাগের ঘোর বিরোধী। অথচ দ্বিজাতি তত্ত্ব মানলে দেশ ভাগও মানতে হবে। হিন্দু ও মুসলমানের আলাদা দেশ মেনে নিতে হবে। এই স্ববিরোধিতা তখন আম্বেদকর ভাল করে দেখিয়েছিলেন। শ্যামাপ্রসাদ তখন সাভারকরের শিষ্য মাত্র। দেখানো দরকার কীভাবে মুসলিম লিগের সঙ্গে একই মন্ত্রীসভায় হিন্দু মহাসভার প্রতিনিধিরা রয়ে গেলেন--সিন্ধ এবং বঙ্গে।
আবারও বলছি--সরি!
ইসে আমার একটা অন্য অরশ্ন আছে। এই ব্লিগটা আসলে কার লেখা? ব্লগারের নাম পি বাগচি এদিকে ভেতরে সংযুক্তা মিত্র। সংযুক্তার ব্লগ শেয়ার করে থাকলে সেটা স্পষ্ট উল্লেখ করা দরকার।
প্রশ্ন
ব্লগ
"এরপরে আসে ব্যক্তি হিসেবে আব্বাস সিদ্দিকির প্রশ্ন। সাতশো বছরের পুরোনো, কিন্তু একশো পচাত্তর বছরের প্রামাণ্য ইতিহাসে সমৃদ্ধ ফুরফুরা শরিফের মাজার ইসলামের যে শাখা নিয়ন্ত্রণ করেন তাঁরা মূলত সুফি ধর্মে প্রভাবিত। বলা হয় ‘দেওবন্দি’ ও ‘বেরলভি’ মতবাদের মাঝামাঝি এঁদের একটা ধর্ম ধারা আছে যা কোরাণ বা হাদিসের অনুসারী গোঁড়া মতবাদের থেকে কিছুটা আলাদা ও উদার।"
মাফ করবেন। এসব ইতিহাস জ্ঞানতত্ব সবই ভোটের বাজারে অচল, তাই এসব ভাল ভাল বুলি আপাতত বরং কুলুঙ্গিতে তোলা থাক। কারণ বাস্তবতা এর ঠিক উল্টোটাই স্বাক্ষর দেয়।
পপর্যবেক্ষণ বলছে, আব্বাস মোটেই ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের প্রতিনিধিত্ব করে না, ফুরফুরা শরীফ বা সুফিবাদের তো নয়ই। রামরাজ্যের বিপরীতে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করাই তার রাজনৈতিক দর্শন, যার প্রত্যক্ষ ফল জিহাদ। তবে এই রাক্ষস ভোটের বাজারে ফুরফুরার ছদ্মবেশে বিরাজমান, বাম ব্রিগেডও তার আরেকটি মেষছাল। সময় মতো ঠিকই দন্ত নখে স্বরূপে মহিমান্বিত হবেন তিনি।
অতএব সাধু সাবধান!
@ বিপ্লব রহমান, "পর্যবেক্ষণ বলছে, আব্বাস মোটেই ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের প্রতিনিধিত্ব করে না, ফুরফুরা শরীফ বা সুফিবাদের তো নয়ই। রামরাজ্যের বিপরীতে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করাই তার রাজনৈতিক দর্শন, যার প্রত্যক্ষ ফল জিহাদ। "
আপনার পর্যবেক্ষণ ঠিক হতেই পারে, তবে পার্টি সমর্থক হিসেবে নেতৃত্বের বিচার বুদ্ধির উপর আস্থা রাখাটাই কর্তব্য। সেনাপতির কথা না শুনে যুদ্ধ জেতা যায় কি? সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, জ্যোতি বসুর প্রধানমন্ত্রী না হওয়া, 2008 এর upa থেকে সমর্থন প্রত্যাহার, বিজেপির ফ্যাসিস্ট চরিত্র না বোঝা বা জনগণকে না বুঝাতে para এগুলোর মতোই হয়তো আর একটা ভুল হতে চলেছে। কিন্তু বামপন্থী পার্টি হিসাবে বাকিগুলো তো তৃণমূলের কোলে বসে আছে ওদের তো একেবারেই বিশ্বাস করা যায় না। ফ্যাসিবাদ কে পরাজিত করার যে গুরুদায়িত্ব সব থেকে বড় শ্রমিকশ্রেণীর দল হিসাবে সিপিআইএম এর উপর এসে পড়েছে এই দায়িত্ব পার্টি না পালন করতে পারলে অন্য কোনো লাল পার্টি শক্তিশালী হয়ে উঠে আসবে, সংগ্রামে নেতৃত্ব দেবে।
@ হুলো জন সংঘের সাথে মনে হয় সিপিআইএম কোনোদিন ভোটে alliance করেনি। ওটাই বোঝাতে চাইছিলাম। হাত ধরা টা প্রতীকী। অবশ্যই সেটা অন্যায়, কিন্তু tmc এর কীর্তিকলাপ (যথা 'বিজেপিকে ফ্রন্ট এ এনে লড়বো ', ' মা দুর্গা ', ' আরএসএস natural ally ' ইত্যাদি) এর সাথে তার তুলনা হয় না।
https://cpim.org/content/evolution-our-tactics-perspective
আর এটা তো সত্যি যে লাল পার্টি হিন্দুত্ববাদী শক্তিকে চিরকাল underestimate করে এসেছে। না হলে 2008 এ পরমাণু চুক্তির সময় সরকার ফেলার চেষ্টা করতো না। তবে এই ব্যাপারে বোধ হয় সব দলই কম বেশি দোষী।
@ ranjan ray ক্ষমা করে দেবেন খাপছাড়া একটা দুটো কমেন্ট দেখে আপনাকে ভক্ত বলে ভেবেছিলাম। sameside হয়ে গেছে। আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
Aa,
এপার থেকে ভারতের রাজকূট তথা ভোটের বাজারের হালফিল পুরোপুরি হয়তো বোঝা দায়। তাই ভুলভাল বলে থাকলে শুধরে দেবেন।
ঝান্টু বাম বা মুলো বামদের (মুলোর মতো, যার বাইরে লাল, ভেতরটা সাদা) ওপরেও খুব আস্থা নেই। তার চেয়ে বড় কথা আব্বাসের মতো উগ্র মৌলবাদের সাথে গাটছড়া বেধে লাল ঝান্ডাওয়ালারা আদৌ কী আর লাল রইলেন?
অভিজিৎ রায় খুন হওয়ার পর ফ্যানাটিক ফারাবি (অভিদাকে প্রকাশ্যে হত্যার প্রধান হুমকিদাতা) প্রসংগে গুরুচন্ডালীরই বারান্দায় একজন লিখেছিলেন, ফারাবিদের বোঝা নাকি সহজ নয়। এই নিয়ে কিছু বিতর্ক করে বলেছি, আসলে অভিজিৎ নয়, বরং অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী ফারাবিদের বোঝাই সহজ। আর অভিজিৎ পাঠের যাত্রাটি দীর্ঘ ও বন্ধুর।
এক্ষেত্রেও, আব্বাসদের বোঝা গেলেই মৌলবাদীদের ভাই, ব্রাদার, জ্ঞাতিকুলের প্রকৃতি ও দিগদারি বোঝা সম্ভব।
বিতর্ক চলুক।
এই "কন্ফিউশন" নতুন কিছু নয়। এশিয়ার মুক্তিসূর্য যখন এপার বাংলায় বামেদের ঠেঙাচ্ছেন ওপার বাংলার কমুনিশরা তখন দুহাত তুলে তাঁর প্রশংসা করতেন।