এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • guru | 103.175.***.*** | ০৫ অক্টোবর ২০২৩ ১২:৪০524303
  • অসাধারণ লিখছেন সৈকতবাবু। ইতিহাসের ভুলে যাওয়া অনেক অধ্যায়কে তুলে আনছেন সামনে।
     
    কিন্তু ক্রুশ্চেভ শুধুমাত্র জিয়ো পলিটিক্সের জন্যই কি ভারত নিয়ে একেবারে এতো রেডিকাল শিফট নিয়ে এলেন? আর কোনো কিছু কারণ নেই? কোনো অন্য কিছু স্বার্থ ছিল কি?
     
    আরেকটা ব্যাপার এই নতুন ভারত নীতির ফলে ক্রুশ্চভ সোভিয়েতের জন্য কি আনতে পেরেছিলেন নেহরুর থেকে? ক্রুশ্চেভের পরে যারা সোভিয়েতের ক্ষমতায় এসেছিলেন যেমন ব্রেজনেভ তারা কেন ক্রুশ্চেভের ভারত নীতির বিরোধিতা করেননি? 
     
    ইতিহাসে ক্রুশ্চেভের সঙ্গে মাও এর বিরোধকে সিনো সোভিয়েত স্প্লিট (sino-soveit split) বলে। ক্রুশ্চেভের এই পরিবর্তিত ভারত নীতিটার কতটা অবদান এই সিনো সোভিয়েত স্প্লিট এর জন্য?
  • সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় | ০৫ অক্টোবর ২০২৩ ২২:৫৯524321
  • ক্রুশ্চেভের নীতিবদল নিয়ে অনেক আলোচনা আছে তো।  খুব সম্ভবত (একটু চেক করে নেবেন) বিংশতি পার্টিকংগ্রেসে, ৫৬ সালে ক্রুশ্চেভ ব্যাপরটাকে তত্ত্বায়িত করেন। তত্ত্বের মূল খুঁটি ছিলঃ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, শান্তিপূর্ণ প্রতিযোগিতা এবং শান্তিপূর্ণ উত্তরণ। 
    সহাবস্থান এবং প্রতিযোগিতা মানে পুঁজিবাদ আর সমাজতন্ত্র পাশাপাশি শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করতে পারে। মানবকল্যাণে প্রতিযোগিতা করতে পারে। সেই দিয়েই নির্ধারিত হবে কোনটা উন্নত, ইত্যাদি। 
    শান্তিপূর্ণ উত্তরণ মানে, বিপ্লব করেই সমাজতন্ত্র আনতে হবে এমন না। শান্তিপূর্ণ ভাবে অন্য ব্যবস্থা থেকে সমাজতন্ত্র বা জনগণতন্ত্রে  উত্তরণও হতে পারে। এইটা ভারতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল। ভারত এমন একটা কেস স্টাডি, যেখানে কংগ্রেস সরাসরিই নিজেকে সমাজতন্ত্রী বলে দাবী করে, কিন্তু দেশটা সমাজতান্ত্রিক না। এখানে শান্তিপূর্ণ উত্তরণ হয়তো সম্ভব। ফলে ওই সময় থেকেই কংগ্রেসের মধ্যে 'প্রগতিশীল' অংশ খুঁজে বার করার চেষ্টা শুরু হয়। 
    এই নীতিপরিবর্তন পুরোটাই কি জিওপলিটিক্সের কারণে? হতে পারে। অন্য কিছুও থাকতে পারে। অনেকেই নানা নাটকীয় তত্ত্বের অবতারণা করেছেন। ত্রৎস্কি এবং স্তালিনপন্থীরা। উৎপল দত্তের একটা বই আছে, প্রতিবিপ্লব। খুব সুখপাঠ্য। তাতে এইসব ধারণা বিশদে বলা আছে, উৎপল দত্ত সুলভ নাটকীয়তা সমেত। পড়ে দেখতে পারেন।
     
    ক্রুশ্চভের এই নীতিপরিবর্তনের ফলে গোটা পৃথিবীর কমিউনিস্ট আন্দোলনেই নাড়াচাড়া পড়ে যায়। চৈনিক পার্টি অবিলম্বে 'সংশোধনবাদী বিচ্যুতি' বলে-টলে নিন্দে করে। চিন-সোভিয়েত বিভাজনের অবশ্যই এটাই কারণ। চিন আরও পরে আরও চরম অবস্থান নেয়। সোভিয়েতকে 'সামাজিক সাম্রাজ্যবাদ' আখ্যা দেয়। ভারতেও বিতর্ক হয়। বিশেষ করে কংগ্রেসের মধ্যে 'প্রগতিশীল' খুঁজে বার করার চেষ্টা এবং রাষ্ট্রের শ্রেণীচরিত্র নিয়ে কমিউনিস্ট পার্টি মোটামুটি দুইভাগই হয়ে যায়। রাষ্ট্রের চরিত্র মানে বেনিয়া-পুঁজি থেকে সরে গিয়ে 'জাতীয় পুঁজি' আবিষ্কার করার প্রবণতা নিয়ে। ভাগ বাড়তে বাড়তে পার্টি দু-টুকরো হয় ষাটের দশকের গোড়ায়। 
     
    খুবই সংক্ষেপে বললাম। কিন্তু এই নিয়ে গুচ্ছের লেখা আছে। ফলে এইটা কভার করবনা। যেটা নিয়ে লিখছি, সেটার মালমশলা সবই থাকলেও লেখা কিছু নেই।  
  • রবি রায় | 2402:3a80:1968:37b0:578:5634:1232:***:*** | ০৬ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:৫৭524328
  • এই লেখাটির আকর্ষণেই গুরুতে এলাম। ভালো লেখা হলে খুঁজেপেতে পড়ি। এটা তেমনই একটি লেখা।
  • হাইট অফ ভাবা প্রাকটিস | 117.199.***.*** | ৩১ মার্চ ২০২৫ ২২:২১542032
  • আওয়ারা রিলিজ করে ১৯৫১ ডিসেম্বরে, ১৯৫৩ তে কান ফিল্ম ফেস্টিভাল -এ এটি Grand Prize of the Festival (Palme d'Or) এর নমিনেশন পায়। ইতিমধ্যে, In India, the film grossed a record of 2.1 crore in 1951,[25] making it the highest-grossing film in India up until that time.[38] 
    ১৪ ডিসেম্বরে রিলিজ করে তখনও সেবছরের সর্বকালের এই হায়েস্ট গ্রোসিং তাহলে মাত্র তিন সপ্তাহে। ভাবা যায়!
    রাশিয়ায় সিনেমাটি রিলিজ করবে আরও তিন বছর বাদে, ১৯৫৪ তে যখন এটি অলরেডি কাল্ট এবং তুমুল হিট। অর্থাৎ সোভিয়েত এবং তার প্রোমোটিং এর প্রশ্ন আসছে সিনেমা রিলিজের এবং রেকর্ড হিট হওয়ার তিন বছর বাদে।
    সুতরাং সোভিয়েত ষড়যন্ত্রেই সিনেমাটি মহানক্ষত্রের জন্ম দিল গোছের কনস্পিরেসি থিয়োরি না খুঁজে এভাবেও ভাবা যায় যে অলরেডি হিট সিনেমাটি সোভিয়েত ও তুর্কিতে রিলিজ ও রি-রিলিজের সময়ও বিপুল হিট হয়, সেভাবে নানা সমাজতান্ত্রিক দেশেই, কারণ একটি হিট সিনেমায় যা থাকা দরকার, তার সবই এতে ছিল বিশেষত অপ্রেসন এর অ্যঙ্গেল, যা সমাজতান্ত্রিক দুনিয়ার মানুষের পছন্দের। 
  • . | ৩১ মার্চ ২০২৫ ২২:২৫542033
  • সকলে তো সন তারিখ ক্রস চেক করে পড়েন না। অতএব মনের মাধুরী দিয়ে ভুল তথ্য যত বেশি বেশি প্রচার করা হবে ততই তা ক্রমশ সত‍্য হয়ে উঠবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন