এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  ইতিহাস

  • বহু জাতি, বহু ভাষা, এক রাষ্ট্র  - স্বাধীনতার পরের কিছু বিস্মৃত টুকরো (৪)

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | ইতিহাস | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১৯৬ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  • ৪। কেশকর

    নেহরু-প্যাটেল ভাষাভিত্তিক এই দাবীদাওয়া নিয়ে বিলক্ষণ ওয়াকিবহাল ছিলেন। অন্ধ্রের দাবী নিয়ে না জানা অসম্ভব, সেখানে সক্রিয় হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল। এছাড়াও ১৯৫০ সালে সরকারি ভাষা হিসেবে হিন্দির স্বীকৃতির পর, দেশের নানা অংশে বিক্ষোভ ইত্যাদিও না জানা সম্ভব না। বস্তুত ১৯৫২ সালে এটাই ছিল সরকারের সামনে অন্যতম মূল চ্যালেঞ্জ। কংগ্রেসের মধ্যেও এই নিয়ে নানারকম মতামত ছিল। মূল বিরোধী দল কমিউনিস্ট পার্টিও এটাকেই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে সামনে আনছিল। ফলে একথা ভাবার কোনো কারণ নেই, যে, নেহরু-প্যাটেল চোখ বন্ধ করে থাকতে পেরেছিলেন। সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তাঁদের একটা নীতি নিতেই হয়েছিল।

    অন্য সমস্ত নীতির মতোই এটাও মূলত ছিল নানা দিক সামলে চলার নীতি। হিন্দিকে সরকারি ভাষা করার সিদ্ধান্ত ইতিপূর্বেই হয়ে গিয়েছিল। দেশীয় পুঁজিপতিদের বস্তুত একচেটিয়া দেবার নীতিতেও শিলমোহর পড়ে গিয়েছিল। এগুলো মূলত ডানদিক-ঘেঁষা সিদ্ধান্ত। উল্টোদিকে কিছু বাম-ঘেঁষা এবং সোভিয়েতপন্থী নীতিও ছিল সরকারের। যেটা বহুল-প্রচারিত, সেটা হল রাষ্ট্রীয়কৃত বড় শিল্প, যেটা সোভিয়েত মডেল। এছাড়া আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে, কোরিয়া নিয়ে নেহরুর অবস্থান ছিল সোভিয়েতপন্থী। এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে, গণমাধ্যম, বিশেষ করে সিনেমার ক্ষেত্রে নেহরুর অবস্থান ছিল সোভিয়েতপন্থী। একাধিকবার জনশিক্ষার কাজে সিনেমা ব্যবহারের কথা বলেছেন নেহরু। কৃষক, শ্রমিক জেগে ওঠো - ইত্যাদি বাণীমূলক সিনেমায় সোভিয়েতের আগ্রহ থাকাই স্বাভাবিক। আশ্চর্যজনকভাবে, দেশভাগের ফলে কলকাতার সিনেমাশিল্প লাটে উঠতে বসে ঠিক এই সময়েই। এবং কলকাতা থেকে বামপন্থী শিল্পীদের বোম্বের পথে এক মহানিষ্ক্রমণ শুরু হয় ১৯৫০-৫১ সালে। প্রথম নির্বাচনের একদম গা ঘেঁষে শুরু হয় ব্যাপারটা। অন্য জায়গার বামপন্থী শিল্পীরাও যোগ দেন বোম্বের সিনেমাশিল্পে। ব্যাপারটা নতুন না, কিন্তু এই মাপের কাছাকাছি কিছু হয়নি এর আগে। ব্যাপারটায় সোভিয়েতের হস্তক্ষেপ থাকাই স্বাভাবিক। সিনেমায় বিনিয়োগ বা নীতি-নির্ধারণের ক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশি প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া অবশ্য কঠিন। কিছু ইঙ্গিত পাওয়া যায় নানা জায়গায়, কিন্তু সেটা এই লেখার আলোচ্য না। এখানে নবগঠিত ভারত-সরকারের নীতি নিয়ে কথা হচ্ছে।

    ভারত স্বাধীন হবার পর তথ্য ও সম্প্রচার দপ্তর ছিল প্যাটেলের হাতে। প্যাটেল দপ্তর নিয়ে একটা শক্তিশালী বেতার-ব্যবস্থা তৈরিতে মন দেন। বেশ কিছু দেশীয় রাজ্যের রেডিও-স্টেশন অধিগ্রহণ করে সর্বভারতীয় ব্যবস্থায় জুড়ে দেওয়া হয়। বেশ কিছু স্থানীয় কেন্দ্রের পরিবর্তন করা হয়। প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার পর মিশ্র অর্থনীতির নীতি অনুযায়ী রেডিও হয়ে দাঁড়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত্ব "মূল(core) শিল্প", যা নীতি নির্ধারণ করবে, মাপকাঠি ঠিক করবে, আর সিনেমাসহ বাকি সবকিছু ব্যক্তিমালিকানাধীন, কিন্তু তত্ত্বানুযায়ী তারা সরকারি মাপকাঠি মেনেই চলবে। প্যাটেলের জমানায় এই মাপকাঠি অগোছালো কিন্তু স্পষ্ট ছিল। প্যাটেল ক্ষমতা হাতে পেয়েই প্রথম যেটা করেন, তা হল, রাজগায়িকা (পড়ুন বাইজি বা তওয়ায়েফ)দের রেডিওয় গাওয়া বন্ধ করে দেন।

    ১৯৫২ সালে প্রথম নির্বাচনের পর, এই নীতি আরেকটু দানা বাঁধে। নেহরু জমানার প্রথম তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হন বালকৃষ্ণ বিশ্বনাথ কেশকর। তিনি একদিকে সোরবোর্নের ছাত্র, অন্যদিকে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে সুপন্ডিত মারাঠি। যদিও সমাজতন্ত্রী, কিন্তু সংস্কৃতিচিন্তনে তিনি প্যাটেলেরও এককাঠি উপর দিয়ে যেতেন। খুব স্পষ্ট করেই তিনি শিল্প এবং সঙ্গীতের নাম করে ভারতীয় সংস্কৃতিতে পশ্চিমী অনুপ্রবেশ পছন্দ করতেননা। সোজা বাংলায় যাকে লারেলাপ্পা বলে, তার একান্ত বিরোধী ছিলেন। এই লারেলাপ্পার মধ্যে অবশ্যই হিন্দি সিনেমার গানও পড়ে। কিন্তু শুধু এটুকুই না, তিনি ছিলেন খাঁটি ধ্রুপদভক্ত, ভারতীয় সঙ্গীতে ইসলামী যুগের অনুপ্রবেশও একদম পছন্দ করতেননা। এটাকে, আজকের চোখে সাম্প্রদায়িক মনে হতেই পারে, সাম্প্রদায়িক কোনো উপসর্গ ছিলনা তাও না, কিন্তু প্রেক্ষিতটা বোঝানোর জন্য একটা কথা বলা উচিত, যে, ধ্রুপদ-বনাম-খেয়াল বিতর্ক ভারতীয় সঙ্গীতে বহু পুরোনো। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও ধ্রুপদ পছন্দ করতেন। খেয়াল নয়। ধ্রুপদ-বনাম-খেয়াল বিতর্ক নিয়ে কুমারপ্রসাদের একাধিক লেখা আছে। 

    যা হোক, সাম্প্রদায়িকতা থাকুক বা না থাকুক, পুরোটাই নেহরুস্বীকৃত ছিল। কারণ প্যাটেল তখন মারা গেছেন। নেহরুর অবশ্য গানের লারেলাপ্পা নিয়ে কোনো ছুঁৎমার্গ ছিল বলে জানা যায়না। কিন্তু সিনেমাকে তিনি চপল বিনোদন নয়, জনশিক্ষার অংশ হিসেবে ভেবেছিলেন। ফলে কেশকরের আমলে রাষ্ট্রীয়কৃত রেডিও ভারতীয় ভাষা এবং শিল্পের যে রূপরেখা তৈরি করেছিল, তা এরকমঃ

    ১। শুধু হিন্দি বা ইংরিজি না, সমস্ত ভাষায় রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার। (এটা দানা বাঁধতে একটু সময় লাগে, কিন্তু পরবর্তীতে এই ঘরানাটা থেকে যায় আশির দশকে টিভি জনপ্রিয় হবার আগে পর্যন্ত। তখনও দিল্লি থেকে প্রতিটি রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সমস্ত স্থানীয় ভাষায় হত।)

    ২। সঙ্গীতের ক্ষেত্রে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পন্ডিত রতনজনকরকে নিয়োগ করা হয়, সঙ্গীতের মানের ক্ষেত্রে মতামত দেবার জন্য (এই রতনজনকরের কলেজেই কুমারপ্রসাদের পিতৃদেব ধূর্জটিপ্রসাদের সঙ্গীতশিক্ষা)।

    ৩। সারাদিন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতই শোনানো হবে শ্রোতাদের তা নয়। লঘু এবং জনপ্রিয় সঙ্গীতের নতুন ঘরানা তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তাতে ছিল স্থানীয় এবং লোকসঙ্গীতের মিশেল। পন্ডিত রবিশঙ্কর তৈরি করেন একটা রেডিও অর্কেস্ট্রা, যার নাম বাদ্যবৃন্দ। লঘুসঙ্গীত নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা রবিশঙ্কর এর আগে থেকেই করছিলেন, এবার সেটা আরও জোর পায়।

    ৪। বোম্বের সিনেমাকে সরকারি নীতি অনুযায়ী লাগাম পরানোর চেষ্টা হয়। অঘোষিতভাবে সিনেমাশিল্পের ভিতর কীভাবে চাপ দেওয়া হয়েছিল সে সবই আন্দাজের ব্যাপার। কিন্তু রেডিওর ক্ষেত্রে, প্রথমেই সিনেমার গানের ক্ষেত্রে ১০% কোটা নির্ধারণ করা হয়। তারপর গান পরীক্ষা করে ছাড় দেবার ব্যবস্থা চালু হয়। গানের সঙ্গে সিনেমার নাম ঘোষণা বন্ধ করে দেওয়া হয় (অকারণে প্রচার কেন দেওয়া হবে, এই ছিল কেশকরের নীতি)। বোম্বে সিনেমার চালু ঘরানায় এই নিয়ে তুমুল অসন্তোষ তৈরি হয়। প্রোডিউসার্স গিল্ডের সঙ্গে সরকারের কথাবার্তা শুরু হয়। কিন্তু ফলপ্রসূ না হওয়ায়, অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, ১৯৫৪ সালে সিনেমার গান প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়, সরকারি গণমাধ্যম থেকে।(১)

    ৫। কাছাকাছি সময় ক্রিকেট সম্প্রচারও বন্ধ হয়ে যায় বেতারে।(২)

    অর্থাৎ যা দেখা যায়, ক্রিকেট এবং বলিউড, যার উপর নাকি ভারতীয়ত্বের অভিজ্ঞান দাঁড়িয়ে আছে বলে মনে হয় আজ, দুটোকেই ভারতবর্ষের সূচনাবিন্দুতে বিষবৎ ভাবা হত। এরা রাষ্ট্রের ঐক্যের মূলধারা হয়ে উঠবে, এ তো কল্পনার বাইরে ছিলই, এমনকি সরকারের ঘাড়ে চড়ে বিনামূল্যে প্রচার পাবে, এটুকুও দেবার কথা ভাবা হয়নি। 'এন্টারটেনমেন্ট' শব্দটার উপর কোনো দিব্যজ্যোতিও ছিলনা। সিনেমার উপর বরং চাপ ছিল কেবল বিনোদন নয়, গণমুখী হয়ে ওঠার। সেটা মূলত হিন্দি সিনেমার ক্ষেত্রেই, অন্য কোনো কেন্দ্রকে পুনর্গঠন করতে নেহরু আগ্রহী ছিলেন বলে জানা নেই।

    নেহরুর নীতির রূপরেখা ঠিক কেমন ছিল, আজ এতদিন পরে আন্দাজ করা অসম্ভব। তবে অনেক পরে আশির দশকে রাষ্ট্রীয় দূরদর্শনের সম্প্রচারের ঘরানা দেখে, ব্যাপারটার খানিকটা আন্দাজ পাওয়া যায়। সরকারি দূরদর্শনে, সেই সময়েও জনপ্রিয় সিনেমার জন্য বরাদ্দ ছিল সপ্তাহের সামান্য কিছু অংশ। বাকি সঙ্গীত এবং সিরিয়াল, সবাইকেই একটা নির্দিষ্ট মাপকাঠি টপকে আসতে হত। ভাষার প্রশ্নে হিন্দির ভাগ অবশ্য অনেক বেশি ছিল, বস্তুত সার্বজনীন বাধ্যতামূলক হিন্দিশিক্ষার চলই দূরদর্শন থেকে, নেহরু জমানায় হিন্দির এত প্রাধান্যের কথা আদৌ ভাবা হয়নি, সেটা বেতারের কার্যক্রম দেখলেই বোঝা যায়। এবং কেশকরের সময় সিনেমা আর ক্রিকেট মূলত বন্ধ করে দেবার অভিমুখেই এগোনো হচ্ছিল। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ব্যাপারটা ছিল এই, যে, যদিও হিন্দিকে সরকারি ভাষা হিসেবে মেনে নেওয়া হয়েছিল, পুঁজিপতিদের দেওয়া হয়েছিল খোলা মাঠ, ভাষাভিত্তিক রাজ্য তৈরিরও কোনো নীতি ছিলনা, আধিপত্যের সূচনাও তখনই হয়েছিল, কিন্তু তার পরেও সেই আধিপত্যের রূপরেখা আজকের মতো করে নেহরু কল্পনা করেননি। বরং তথাকথিত 'আঞ্চলিক' ভাষার সম্প্রচারে জোর দেওয়া হত। 'ভারতীয়' এক বিকল্প সংস্কৃতি গড়ে তোলার পরিকল্পনা ছিল সংস্কৃতি এবং সঙ্গীতে। সিনেমাকে করে তোলার ইচ্ছে ছিল জনমুখী। সমস্ত ত্রুটি-বিচ্যুতি সহই, হিন্দির আধিপত্য সত্ত্বেও, হিন্দি-বলিউড-ক্রিকেট কেন্দ্রিক আজকের যে দানবীয় ব্যবস্থা, তা ভারতের সূচনাবিন্দুতে অকল্পনীয় ছিল।

    সূত্রঃ      
    ১। https://www.jstor.org/stable/466366   (পাতা ১১৮ - ১২০)
    ২। https://archive.org/details/popcultureindiam0000kasb/page/132/mode/2up ( পাতা - ১৩০)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১৯৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ঙঞ: | 182.16.***.*** | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:৩৯523782
  • এই পর্বটিই এখনো পড়া হয়নি। তবে প্রথম পর্ব থেকেই...স্ট্যালিন কিভাবে বহু ভাষার রাষ্ট্রে কোন নির্দিষ্ট একটি ভাষার আধিপত্য থেকে অন্য ভাষার মানুষদের স্বকীয় স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার কথা বলেছেন....এই দৃষ্টিকোণ থেকে লেখকের লেখার উদ্যোগটি ভাল লেগেছে। মধ্য এশিয়ার অনেক ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বা যাদের লিখিত বর্ণমালা ছিল না, সোভিয়েত সরকার বহু ভাষাবিদদের দিয়ে বছরের পর বছর পরিশ্রম করিয়ে, তাদের লিখিত বর্ণমালা পর্যন্ত দিয়েছেন। আবার সেসব প্রজাতন্ত্রে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে পড়ার পর ধর্মভিত্তিক রাজনীতিও প্রবল হয়েছে। মানুষের সভ্যতায় নানামুখী লড়াইয়ের শেষ কোথায় কে জানে। 
     
  • ঙঞ: | 182.16.***.*** | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:৪৬523783
  • পড়ে ফেললাম। কিছু নতুন বিষয় জানা গেল। কেশকরের ধ্রুপদ প্রীতি, ধ্রুপদ বনাম খেয়াল বিতর্ক ( রবীন্দ্র বনাম নজরুল বিতর্ক??), প্যাটেল কর্তৃক রাজগায়িকাদের গান বেতারে প্রচার বন্ধ করে দেয়া। তবে দেশভাগের পর বাংলা সিনেমা ও গান বিষয়ে লেখকের ধারাবাহিক মনোবেদনা এর আগেও তাঁর আরো কিছু লেখায় পড়া হয়েছে। বাকি পর্বগুলোও পড়া হবে নিশ্চিত- ধীরে ধীরে। তথ্যলোভী কাকেরা যেখানে যা তথ্য পায়, সবই খুঁটে খায়। 

     
  • aranya | 2601:84:4600:5410:25df:721b:bbb2:***:*** | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:২৩523787
  • এই সিরিজটা পড়ছি, ভাল লাগছে 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন