৩৭৬১ইহুদি বিশ্বাস অনুযায়ী, পৃথিবী সৃষ্টি হওয়ার বছর। ইহুদি পঞ্জিকার প্রথম বছর বলে বিবেচিত হয়। অক্টোবর ৭: দ্বিতীয় শতাব্দী সালে ইহুদি রাব্বি ইয়োসে বেন হালাফতা বাইবেল ঘেঁটে দাবি করেন, এই দিনে পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে।
৩৫০০-১২০০ব্রোঞ্জ যুগ: প্রাচীন কানানীয়রা এসময় এক ধাতুবিদ্যার দেবতায় বিশ্বাস করতেন, যার ধারণা পরবর্তীকালে বিকশিত হয়ে ইহুদিদের এক ও অদ্বিতীয় ঈশ্বরের রূপ লাভ করে, যাঁর উচ্চারণনিষিদ্ধ নাম ইয়াহওয়েহ বা জিহোভা (יהוה)।*
* ইহুদি বিশ্বাস অনুযায়ী, ঈশ্বর এতই পবিত্র যে, তার নাম উচ্চারণ করা যাবে না। তাই তাঁরাইয়াহওয়েহবাজিহোভার (יהוה) নাম মুখে নেন না।আদোনাইবা প্রভু বলে ডাকেন।
৩৩০০-১১৫০ব্রোঞ্জ যুগ: কানানীয়* রাজ্যগুলোর কাল।
* এই কানানীয় গোষ্ঠীগুলোই আজকের ফিলিস্তিনিদের প্রাচীন পূর্বপুরুষ। এঁরা পৌত্তলিক ছিলেন। পরবর্তীকালে কানানীয়রা খ্রিস্টান ও মুসলমান হয়ে যান।
দ্বিতীয় সহস্রাব্দইহুদি বিশ্বাস অনুযায়ী, নবি অব্রাহামের সময়।
১৮০০ইহুদি বিশ্বাস অনুযায়ী, নবি অব্রাহাম তাঁর জন্মভূমি প্রাচীন সুমেরীয় নগরী উর ছেড়ে জ্ঞাতিগোষ্ঠী নিয়ে কানানে চলে আসেন।
১৫০০প্রাচীন মিসরে ছেলেদের খতনা বহুলপ্রচলিত প্রথা ছিল, এসময় ইহুদিরা প্রথাটি গ্রহণ করে নেন।
১৪০০ইহুদি বিশ্বাস অনুযায়ী, নবি মোশির সময়।
১২৫০-১২০০হিব্রুদের কানানে আগমন।* ইহুদি বিশ্বাস অনুযায়ী, নবুয়ত লাভ করলেন মোশি। তাবুতে সাকিনা বা ‘আর্ক অফ দ্য কোভেন্যান্ট’।
* বাইবেল অনুসারে, ইহুদিরা মিসর থেকে বিতাড়িত হয় এবং জোশুয়ার নেতৃত্বে কানান জয় করে। স্থানীয়দের – আজকের ফিলিস্তিনিদের পূর্বপুরুষ – ওপর হত্যাযজ্ঞ চালায়। (Masalha 2018) দাবি করেছেন, এই ধর্মীয় বক্তব্যের পক্ষে ঐতিহাসিক-প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ নেই; বাইবেলীয় বয়ানগুলোর ক্ষেত্রে যা একটি সাধারণ সত্য।
১১৫০-৯০০লৌহ যুগ: ইস্রাইল নামের কথিত যুক্তরাজ্যের কাল।*
* ইস্রাইল নামের এই কথিত যুক্তরাজ্যের পক্ষে এক বাইবেলের বর্ণনা ছাড়া আর কোনো ঐতিহাসিক বা প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ নেই।
১০৮০ইস্রাইল নামের কথিত যুক্তরাজ্যের উত্থান ঘটছে।
১০৮০-৭২
ইয়াহওয়েহবা
জিহোভা(יהוה) এসময় ইস্রাইল নামের কথিত যুক্তরাজ্যের দরবারি উপাস্য হয়ে উঠেছেন। পরবর্তীকালে তিনি জুদাহ/জুদিয়া রাজ্যের উপাস্যে পরিণত হবেন। কালক্রমে তিনি হয়ে উঠবেন ইহুদিদের একমাত্র উপাস্য।
১০৩৫-৯৭০ইস্রাইল নামের কথিত যুক্তরাজ্যের রাজা দাউদের জীবনকাল।
১০২০শমূয়েল কর্তৃক ইস্রাইল নামের কথিত যুক্তরাজ্যের রাজা হিসাবে অভিষিক্ত হলেন শৌল।
১০১০-৯৩১রাজা সোলেমানের জীবনকাল।
১০০৩ইহুদি বিশ্বাস অনুসারে, রাজা দাউদ জেরুসালেমে তাঁর ইহুদি রাজ্যের রাজধানী প্রতিষ্ঠা করলেন।*
* জেরুসালেম ইহুদি, খ্রিস্টান ও মুসলমান – এই তিন একেশ্বরবাদী সম্প্রদায়ের চোখেই পবিত্র এক নগরী। ইহুদিদের ওয়েস্টার্ন ওয়াল, খ্রিস্টানদের দ্য চার্চ অফ দ্য হোলি সেপুলচার, আর মুসলমানদের আল আকসা মসজিদ জেরুসালেমের ওল্ড সিটিতে অবস্থিত। “জেরুজালেম এক ঈশ্বরের ঘর, দুই জাতির রাজধানী, তিন ধর্মের মন্দির, আর একমাত্র শহর যা অস্তিত্বশীল ছিল দুইবার – একবার স্বর্গে আর একবার মর্ত্যে।” (Montefiore 2011)
প্রথম সহস্রাব্দহিব্রু বাইবেলের প্রথম পাঁচটি বইকে তোরাহ (תּוֹרָה) বলে, গ্রিকে যা পেন্টাটিউখ (πεντάτευχος) নামে পরিচিত। তোরাহ মানে আইন বা শিক্ষা বা নির্দেশনা। তোরাহের অন্তর্ভুক্ত বইগুলো হল আদিপুস্তক (בְּרֵאשִׁית), যাত্রাপুস্তক (שְׁמוֹת), লেবীয় পুস্তক (וַיִּקְרָא), গণনাপুস্তক (בְּמִדְבַּר), এবং দ্বিতীয় বিবরণ (דְּבָרִים)।
এই সহস্রাব্দেই তোরাহ লিখিত রূপ লাভ করে।
১০০০সম্ভবত এসময়ই তোরাহের জে উৎস লিপিবদ্ধ হয়।
৯৬৫ইস্রাইল নামের কথিত যুক্তরাজ্যের রাজা হলেন সোলেমান।
৯৫০ইহুদি বিশ্বাস অনুযায়ী, রাজা সোলেমান নির্মাণ করলেন জেরুসালেমের প্রথম মন্দির।*
* ইহুদিদের বিশ্বাস ছাড়া, এই মন্দির যে আদৌ রাজা সোলেমানের নির্মাণ, তার পক্ষে কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না।
৯২৫ইহুদি বিশ্বাস অনুসারে, ইস্রাইল এবছর দক্ষিণে জুদাহ/জুদিয়া আর উত্তরে ইস্রাইল নামে দুটি আলাদা রাজ্যে ভাগ হয়ে গেল।
৯০০সম্ভবত এসময়ই তোরাহের ই উৎস লিপিবদ্ধ হয়।
৮৪১উত্তরের ইস্রাইল রাজ্য এসময় অ্যাসিরিয়াকে খাজনা দিচ্ছে।
৭২২অ্যাসিরীয়দের সামারিয়া ও উত্তরের ইস্রাইল রাজ্য জয়, ইস্রাইল রাজ্যের উচ্চকোটিকে নির্বাসনে পাঠাল অ্যাসিরীয়রা।
৭০১অ্যাসিরীয় সম্রাট সেনাচেরিব জুদাহ’য়ের লাচিশ শহরটি ধবংস করে দিলেন, তবে জেরুসালেম দখল করতে ব্যর্থ হলেন তিনি।
৬২৬ইহুদি বিশ্বাস অনুযায়ী, নবুয়ত লাভ করলেন যিরমিয়।
৬২১সম্ভবত এসময়ই তোরাহের ডি উৎস লিপিবদ্ধ হয়।
৫৯৭বাবেলের সম্রাট নেবুশাদনেসারের জেরুসালেম জয়।
৫৮৭বাবেলীয়রা জেরুসালেমের প্রথম মন্দির ধবংস করে দিল, জুদিয়ার এক-তৃতীয়াংশ বাসিন্দাকে বাবেলে নির্বাসিত করল।
৫৮৭-৫৩৯বাবেলের বন্দী হিসাবে ইহুদিদের নির্বাসনের কাল।
৫৮০ইহুদিদের উপাসনা স্থান হিসাবে সিনাগোগের বিকাশ ঘটল।
৫৫০বাবেলের বন্দীদশায় ইহুদিদের মধ্যে
মসীহধারণার বিকাশ ঘটে। শব্দটির মানে ত্রাণকর্তা। এসময় থেকেই ইহুদিরা বিশ্বাস করতে শুরু করেন, একজন মসীহ আসবেন, এবং তাঁদের সব দুঃখদুর্দশার অবসান ঘটাবেন।
৫৩৯পারস্যের খসরু বাবেলে বন্দী ইহুদিদেরকে মুক্ত করলেন।
৫৩৯-৩৩০সম্ভবত এসময়ই তোরাহের পি উৎস লিপিবদ্ধ হয়।
৫২০-৫১৫ইহুদিরা জেরুসালেমে ফিরলেন।
৫১৬/৫১৫জেরুসালেমে নির্মিত হল ইহুদিদের দ্বিতীয় মন্দির।
৫১৫ পূর্বসাল – ৭০ সাল‘দ্বিতীয় মন্দির’ পর্ব। ইহুদিধর্ম এসময়ই সংগঠিত ধর্মের রূপ লাভ করে। এই পর্বেই ইহুদিদের পবিত্র বইগুলোকে কানুনীকৃত করা হয়, ইয়াহওয়েহ বা জিহোভা (יהוה) একমাত্র উপাস্য হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেন, প্রতিষ্ঠা পায় ইহুদি একেশ্বরবাদ।
৪৫০ পূর্বসাল-১৯৪৮ সাল২ হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে জর্দান নদী আর ভূমধ্যসাগরের মধ্যবর্তী ভৌগোলিক অঞ্চলটুকু
ফিলিস্তিননামে পরিচিত ছিল।
৩৩১ম্যাকিদোনিয়ার সেকান্দার শা শান্তিপূর্ণভাবে জয় করলেন জুদিয়া।
২৮০আলেকজান্দ্রিয়ার ইহুদি সম্প্রদায়
ডায়াসপোরাশব্দটি প্রবর্তন করেন। ইস্রাইল ভূমি থেকে দূরে বাস করা ইহুদিদেরকে নির্দেশ করতে শব্দটির ব্যবহার চালু হয়। ওই একই সম্প্রদায় এসময়ই ইহুদি বাইবেল গ্রিক ভাষায় অনুবাদের কাজ হাতে নেন, যা ‘৭০ জন অনুবাদকের অনুবাদ’ (Ἡ μετάφρασις τῶν Ἑβδομήκοντα) বা
সেপ্টুয়াজিন্টনামে পরিচিতি পাবে।
১৬৮সিরিয়ার গ্রিক রাজা চতুর্থ অ্যান্টিওকাস দ্বিতীয় মন্দিরে গ্রিক দেবতা জিউসের একটি মূর্তি স্থাপন করে মন্দিরটিকে অপবিত্র করেন। এই ঘটনায় ইহুদিদের ধর্মানুভূতি আহত হয় এবং তাঁরা অত্যন্ত সহিংসভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তার প্রতিক্রিয়ায় রাজা চতুর্থ অ্যান্টিওকাস জেরুসালেম থেকে ইহুদিধর্মের নামনিশানা মুছে ফেলবার চেষ্টা চালান।
১৬৭-৬০জুদাস ম্যাকাবির নেতৃত্বে দেখা দিল হাসমোনীয় বিদ্রোহ।
১৬৫জেরুসালেমের দ্বিতীয় মন্দিরকে পবিত্র করলেন জুদাস ম্যাকাবি।
১৪১জেরুসালেমের মন্দিরের প্রধান পুরোহিত হিসেবে নিয়োগ পেলেন সিমন ম্যাকাবি, এসময় থেকে পদটি বংশানুক্রমিকভাবে ম্যাকাবি পরিবারের দখলে থাকবে।
১৪০প্রাচীন ইহুদি মুরুব্বিদের সংসদ সানহেদ্রিনে সাদুচ্চি আর ফারিসি গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিল।
১০০এসেন নামে ইহুদিদের একটি গোষ্ঠী দুনিয়াবি জীবন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে মরুভূমিতে সন্ন্যাসীদের সম্প্রদায় গঠন করতে শুরু করল।
৬৩পম্পেই দখল করলেন জেরুসালেম, জুদিয়াকে রোমের নিয়ন্ত্রণে আনা হল।
৩৭ পূর্বসাল-৪ সালরোমের সিনেট হেরোদকে জুদিয়ার রাজা হিসাবে নিয়োগ দিল, ফিলিস্তিনের ওপর তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হল।
৩৭পার্থীয়দের কাছ থেকে জেরুসালেম হস্তগত করলেন রাজা হেরোদ।
২০জেরুসালেমে একটি নতুন মন্দিরের নির্মাণকাজ শুরু করলেন হেরোদ।
৯নাবাতীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন রাজা হেরদ।
৬ পূর্বসাল-৩০ সালজেসাস ক্রাইস্টের জীবনকাল।
২০জেসাস ক্রাইস্টের সরাসরি শিষ্যদের একজন সেইন্ট পল এসময় একজন কিশোর যাঁর পিতা ছিলেন একজন গ্রিকভাষী ইহুদি ও রুমি সাম্রাজ্যের একজন নাগরিক।
৩০জেরুসালেমের গলগথায় জেসাস ক্রাইস্টকে ক্রুশবিদ্ধ করা হল।
৪৮খ্রিস্টধর্ম শুরুতে ইহুদিদের মধ্যে সীমিত ছিল। এসময় একটা যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটে। রুমি সাম্রাজ্যে সফর করে অইহুদিদেরকে খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করতে শুরু করেন সেইন্ট পল।
৬৬রোমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বসলেন ইহুদিরা, এই বিদ্রোহে
জিলট‘রা নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেন।
৬৬-৭০জেরুসালেমে ইহুদি শাসন।
৬৮এসেন’রা তাঁদের পবিত্র পুঁথিগুলো রুমিদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য মৃত সাগরের নিকটবর্তী গুহাগুলোয় লুকিয়ে রাখল।
৭০রুমিদের হাতে ধবংস হল জেরুসালেমের দ্বিতীয় মন্দির। এই ধবংসযজ্ঞে নেতৃত্ব দেন সম্রাট ভেসপাসিয়ানের পুত্র ও রোমের সাম্রাজ্যিক সেনাবাহিনীর অধিনায়ক টাইটাস। জেরুসালেমে চার বছরের ইহুদি শাসনের রক্তাক্ত অবসান।
ইয়াভনে ইহুদিধর্মের প্রথম ইয়েশিবা স্থাপন করা হল। স্থাপন করলেন ইহুদি রাব্বি ইয়োহান্নান বেন জাক্কাই।
ডায়াসপোরাইহুদিদের মধ্যে চালু হল বিদ্যাচর্চার ঐতিহ্য।
৭৩বিদ্রোহী ইহুদিদের শেষ দুর্গ মাসাদার পতন ঘটল।
৭৫
প্রকাশিত বই
ফ্লাভিয়াস জোসেফাস,
দ্য জিউইশ ওয়ার।
১৩০জেরুসালেম সফর করলেন রুমি সম্রাট হাদ্রিয়ান। শহরটিকে একটি রোমক শহর হিসাবে পুনঃনির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিলেন। এই সিদ্ধান্ত ইহুদিদেরকে ক্ষুব্ধ করে তুলল।
১৩২শিমন বার-কোচবার নেতৃত্বে রোমের বিরুদ্ধে ইহুদি বিদ্রোহ, জেরুসালেম থেকে রুমিদেরকে বিতাড়িত করল ইহুদিরা।
১৩২-৩৫জেরুসালেমে ইহুদি শাসন।
১৩৫শিমন বার-কোচবার নেতৃত্বাধীন ইহুদিদের কাছ থেকে জেরুসালেম পুনঃদখল করল রোম, শহরটি থেকে সব ইহুদিকে তাড়িয়ে দেয়া হল।
১৩৫-৩৯০ফিলিস্তিন রোমক প্রদেশ ‘সিরিয়া প্যালেস্টাইনা’-র অন্তর্ভুক্ত হল।
২০০রাব্বি জুদাহ হা-নাসি কর্তৃক সংকলিত হল
মিশনা, মৌখিক ঐতিহ্যনির্ভর তোরাহের ছয় খণ্ডের সারসংক্ষেপ।
২৪৫সিজারিয়ার বাসিন্দা অরিজেন কর্তৃক সংকলিত হল
হেক্সাপ্লা।
৩০০
ডায়াসপোরাইহুদিরা এসময়ের মধ্যে সমগ্র রুমি সাম্রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছেন, যেখানে তাদেরকে সহ্য করা হচ্ছে।
৩১৩-৬৩৬‘আরব খ্রিস্টান ফিলিস্তিন’: ফিলিস্তিন ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোতে বাইজেন্টাইন শাসনের কাল।*
* রোমক সাম্রাজ্যের ভাঙনের পর পূর্ব রোমক সাম্রাজ্য বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য ((Βασιλεία Ρωμαίων) নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। এখানে
বাইজেন্টাইনবলতে সাম্রাজ্যটির শাসকদেরকে বোঝাবে। কুরআন শরিফে
রুমবলতে এই সাম্রাজ্যকেই বোঝানো হয়েছে, যার কেন্দ্র ছিল কনস্টান্টিনোপল, বর্তমান তুরস্কের ইস্তানবুল।
৩৩৫জেরুসালেমে নির্মিত হল চার্চ অফ দ্য হোলি সেপুলচার।
৬৩৬আরবদের জেরুসালেম জয়।
৬৩৮-১০৯৯‘জুন্দ ফিলিস্তিন’: ফিলিস্তিন ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোতে আরব শাসনের কাল।
১০৭১-৯৮এসময় ফিলিস্তিন শাসন করছেন সেলজুক তুর্কি সুলতানরা।
১০৯৯-১২৯১ফিলিস্তিন ক্রুসেডারদের দখলে। জেরুসালেমে ক্রুসেডাররা এক ভয়াবহ নিধনযজ্ঞ চালায়। শহরটির আরব ও ইহুদিরা এই হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়।
১১৮৭কুর্দি মুসলিম সেনাপতি সালাউদ্দিন আইয়ুবীর জেরুসালেম জয়।
১২৯১-১৫১৬এসময় ফিলিস্তিন শাসন করছে মিসরের মামলুক সুলতানশাহি।
১৫১৭-১৯১৭এসময় ফিলিস্তিন শাসন করছে তুরস্কের ওসমানি সুলতানশাহি।
১৭৭৬মশহুর ইংরেজ ঐতিহাসিক এডওয়ার্ড গিবন লিখলেন,
“মানবজাতির [সমষ্টিগত] স্মৃতিতে চিরকাল বেঁচে থাকবে ফিনিশিয়া (বর্তমান লেবানন) ও ফিলিস্তিন।”১৮৬২
প্রকাশিত বই
মোজেস হেস,
রোম অ্যান্ড জেরুসালেম।
১৮৭৮ওসমানি ফিলিস্তিনের দলিলপত্র থেকে দেখা যাচ্ছে, এ-সময় জেরুসালেম, নাবলুস আর আক্রে শহরে বসবাসরত চার লক্ষাধিক মানুষের মধ্যে মাত্র ১৫,০০০ ইহুদি। বিদেশি নাগরিক হিসেবে আরো ১০,০০০ ইহুদি আছেন। এসময় স্পষ্টত আরবরাই ফিলিস্তিনের জনমিতিক সংখ্যাগুরু।
১৮৮২-১৯০৪ফিলিস্তিনে ইহুদিদের প্রথম
আলিয়া, বা গণ অভিবাসন। ২৫,০০০ ইহুদি এসময় ফিলিস্তিনে আসেন। মূলত রাশিয়া থেকে।
১৮৮২
হিব্বাত জায়নআন্দোলনের সূচনা।
১৮৯০
প্রকাশিত বই
গাই লা স্ট্রেঞ্জ,
প্যালেস্টাইন আন্ডার দ্য মোসলেমস: আ ডেসক্রিপশন অফ সিরিয়া অ্যান্ড দ্য হোলি ল্যান্ড ফ্রম এডি ৬৫০ টু ১৫০০।
১৮৯৬
প্রকাশিত বই
থিওডর হার্জেল,
দ্য জিউইশ স্টেট।*
* ইসরায়েল রাষ্ট্রের তত্ত্বগত সাফাই বলে বিবেচিত হয়। রাষ্ট্রটি দাঁড়িয়ে আছে জায়নবাদের মতাদর্শের ভিত্তির ওপর। জায়নবাদীরা বিশ্বাস করেন, ইসরায়েল ইহুদিদের ‘আদি ভূমি’; তাই সেখানে থাকার অধিকার কেবল ইহুদিদেরই। যদিও এই লেখাতেই আমরা দেখেছি, আজকে ইসরায়েল নামের যে ভূখণ্ডটি রয়েছে, সেই ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনে সবসময়ই বহু ভাষা, জাতি ও ধর্মের মানুষের বাস ছিল। শুরুর দিকে জায়নবাদে অবশ্য বহু ধারা ছিল; অনেকেই ইওরোপীয় ইহুদিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়তে জায়নবাদী হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে মেহনতি মানুষের পক্ষের রাজনীতিকরাও ছিলেন। দার্শনিক হান্না আরেন্ট আর ভাষাবিজ্ঞানী নোয়াম চমস্কিও অল্পবয়সে কিছুকাল জায়নবাদী ছিলেন, পরবর্তীতে যাঁদের রাজনৈতিক অবস্থান বদলে যায়। আজকে জায়নবাদ একটা পুরোদস্তুর বর্ণবাদী মতাদর্শের রূপ নিয়েছে, ফিলিস্তিনিরা যার শিকারে পরিণত হয়েছেন।
১৮৯৭সুইজারল্যান্ডের বাসেলে প্রথম বিশ্ব জায়নবাদী কংগ্রেস অনুষ্ঠিত।
১৯০১প্রতিষ্ঠিত হল জিউইশ ন্যাশনাল ফান্ড (জেএনএফ)।
১৯০৪-১৪ফিলিস্তিনে ইহুদিদের দ্বিতীয়
আলিয়া, বা গণ অভিবাসন। ৪০,০০০ ইহুদি এ-সময় ফিলিস্তিনে আসেন। মূলত রাশিয়া থেকে।
১৯০৯কিব্বুজ দেগানিয়া ও তেল আবিব শহর প্রতিষ্ঠিত।
১৯১৩প্রতিষ্ঠিত হল এন্টাই-ডিফেমেশন লীগ (এডিএল)।
১৯১৪প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে দেখা যাচ্ছে, ফিলিস্তিনে আরবদের সংখ্যা ৬৮৩,০০০ আর ইহুদিদের সংখ্যা ৬০,০০০।
১৯১৬-১৭প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্কের ওসমানি সালতানাত ব্রিটিশ ও ফরাসিদের বিরুদ্ধে লড়াইরত জার্মানির মিত্র ছিল। এ-সময় মিসরে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার স্যার হেনরি ম্যাকমোহন মক্কার শরিফ হোসেনের কাছে একটা গোপন চিঠি পাঠান। সেখানে ম্যাকমোহন বলেন, আরবরা যদি ওসমানিদের বিরুদ্ধে ব্রিটিশদের সহায়তা করে, তাহলে ব্রিটিশরা ওসমানি সালতানাতের আরব প্রদেশগুলোতে একটি স্বাধীন আরব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সহায়তা করবে ফিলিস্তিন হবে যার অংশ। হোসেন এই টোপ গিললেন এবং তাঁর পুত্র ফয়সাল ওসমানি সালতানাতের বিরুদ্ধে একটি সফল আরব বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিলেন। ‘লরেন্স অফ অ্যারাবিয়া’ নামে বিখ্যাত টি. এইচ. লরেন্স এই আরব বিদ্রোহে অংশ নিয়েছিলেন। জাতীয়তাবাদী আরবদেরকে বোকা বানিয়ে এভাবেই ব্রিটিশরা ওসমানি সালতানাতের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিল ফিলিস্তিন। ঘোষিত হল ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড আর্থার বেলফোরের কুখ্যাত
বেলফোর ঘোষণা; যাতে বলা হল, ফিলিস্তিনে ‘ইহুদিদের একটি জাতীয় নিবাসভূমি’ স্থাপনে সহায়তা দেবে গ্রেট ব্রিটেন।
১৯১৯-২৩ফিলিস্তিনে ইহুদিদের তৃতীয়
আলিয়া, বা গণ অভিবাসন। ৩৫,০০০ ইহুদি এসময় ফিলিস্তিনে আসেন। মূলত রাশিয়া থেকে।
১৯২০বেলফোর ঘোষণার বিরুদ্ধে জেরুসালেমে প্রতিবাদ দেখা দিল। সান রেমোয় ফিলিস্তিনে ব্রিটিশ ম্যান্ডেট গৃহীত হল, ফিলিস্তিনে ব্রিটিশ হাই কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেলেন হার্বার্ট স্যামুয়েল। প্রতিষ্ঠিত হল দ্য জেনারেল অর্গানাইজেশন অফ ওয়ার্কার্স ইন ইসরায়েল (
হিস্তাদরুত) ও জায়নবাদী প্যারামিলিটারি সংগঠন
হাগান্নাহ।
১৯২১ব্রিটিশরা মোহাম্মদ আমিন আল-হুসেইনিকে জেরুসালেমের গ্র্যান্ড মুফতি হিসাবে নিয়োগ দিল, যিনি ফিলিস্তিনের একটি সম্ভ্রান্ত আরব পরিবারের সদস্য। জর্দান নদীর পশ্চিমদিকে প্রতিষ্ঠিত হল ফিলিস্তিন ম্যান্ডেট, পুবদিকে প্রতিষ্ঠা করা হল ট্রান্সজর্দান আমিরশাহি। নাহালাল নামে একটি
মোশাবপ্রতিষ্ঠিত হল।*
* ইসরায়েলের এক ধরণের কৃষি সমবায় কেন্দ্রিক শহর/বসতি, জায়নবাদীদের শ্রমজীবী ধারাটির হাতে যার শুরুয়াত।
১৯২৪-২৮ফিলিস্তিনে ইহুদিদের চতুর্থ
আলিয়া, বা গণ অভিবাসন। ৮০,০০০ ইহুদি এসময় ফিলিস্তিনে আসেন। মূলত পোল্যান্ড থেকে।
১৯২৫প্রতিষ্ঠা করা হল জেরুসালেম হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়।
১৯২৯-৩৯ফিলিস্তিনে ইহুদিদের পঞ্চম
আলিয়া, বা গণ অভিবাসন। ২৫০,০০০ ইহুদি এসময় ফিলিস্তিনে আসেন। নাৎসিদের উত্থানের প্রেক্ষিতে মূলত জার্মানভাষী দেশগুলো থেকে, তবে অনেকে পোল্যান্ড থেকেও।
১৯২৯আগস্টে বেতার ইহুদি তরুণ আন্দোলন জেরুসালেমের পশ্চিম দেয়ালের ওপর একটি জায়নবাদী পতাকা ঝোলায়। আল-আকসা মসজিদ আক্রান্ত হতে পারে এই আশঙ্কায় আরবরা জেরুসালেম, হেবরন, আর সাফেদে ইহুদিদের ওপর হামলা চালান। ফলে আরব-ইহুদি দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে, যাতে এক সপ্তাহে ১৩৩ জন ইহুদি ও ১১৫ জন আরবের মৃত্যু হয়।
১৯৩০-৩৫ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ও ইহুদি বসতিস্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে শেখ ইজ্জাদদিন আল-কাশেমের নেতৃত্বে ফিলিস্তিনিদের লড়াই শুরু হল।
১৯৩১হাগান্নাহের কমান্ডারদের একাংশ সংগঠনটির ওপর বিরক্ত হয়ে গড়ে তুললেন নতুন প্যারামিলিটারি সংগঠন ইরগুন।
১৯৩৩-৩৯নাৎসি জার্মানিতে চলছে ইহুদিদের ওপর বর্ণবাদী নিপীড়ন।
১৯৩৫ভ্লাদিমির জি’ভ জাবোনিৎস্কির নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হল নয়া জায়নবাদীদের সংগঠন।
১৯৩৬-৩৯জাফায় ফিলিস্তিনি বিদ্রোহ, যা ব্রিটিশরা জায়নবাদী মিলিশিয়া ও আরব বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর সহায়তায় দমন করে। এই বিদ্রোহে ৫,০০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়, আর আহত হন ১৫,০০০-এরও বেশি ফিলিস্তিনি। আল-হুসেইনি গ্রেপ্তার এড়াতে ফরাসি-নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ায় পালিয়ে গেলেন।
১৯৩৭পিল কমিশনের প্রতিবেদনে ফিলিস্তিনকে পার্টিশন করার সুপারিশ দেয়া হল।
১৯৩৯ব্রিটিশ সরকার একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করল, যাতে ফিলিস্তিনে ইহুদি সেটেলারদের আগমন সীমিত করা হল। জায়নবাদীরা এই শ্বেতপত্র প্রকাশকে বেঈমানি হিসেবে দেখলেন। জায়নবাদী-ব্রিটিশ মৈত্রীর অবসানের বছর বিবেচিত হয় এটি।
প্রকাশিত বই
সিগমুন্ড ফ্রয়েডের
মোজেস অ্যান্ড মনোথিজম।
১৯৩৯-৪৫দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
১৯৪০য়ের দশক‘
হলোকাস্ট‘: ইওরোপীয় ইহুদিদের ওপর পদ্ধতিগত নাৎসি নিধনযজ্ঞ। এসময় ইহুদিরা গণহারে ফিলিস্তিনে আসতে শুরু করেন। ফিলিস্তিনে একটি ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে সশস্ত্র ইহুদি গোষ্ঠীগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে।
১৯৪০
প্রকাশিত বই
অ্যালেক্স বেইন,
থিওডর হার্জল:আ বায়োগ্রাফি।
১৯৪৫দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে বিশ্ববাসী জানতে পারল, জার্মানির নাৎসিরা ৬০ লক্ষ ইহুদিকে খুন করেছে। প্রতিষ্ঠিত হল অ্যাংলো-আমেরিকান কমিটি অফ ইনকোয়ারি।
১৯৪৬জুলাই ২২: ইহুদি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইরগুন জেরুসালেমের রাজা ডেভিড হোটেল-স্থিত ব্রিটিশ সদরদপ্তরে বোমা হামলা চালাল। এবছরের শেষ নাগাদ ম্যান্ডেট ফিলিস্তিনে বসবাসরত আরবদের সংখ্যা ১২ লক্ষেরও বেশি, আর ইহুদিদের সংখ্যা ৬ লক্ষের মত। ফিলিস্তিনের ৭ শতাংশ জমি কিনে নিয়েছে ইহুদিরা, যা মোট আবাদি জমির ২০ শতাংশ।
১৯৪৭জাতিসংঘের পার্টিশন প্রস্তাব। ফিলিস্তিনের বুকে একটি আরব রাষ্ট্র ও একটি ইহুদি রাষ্ট্র গঠনের এবং জেরুসালেম আর তার আশেপাশের এলাকার ওপর আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণ কায়েমের প্রস্তাব দেয়া হল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং ইহুদিদের প্রতিনিধিরা জাতিসংঘের পার্টিশন প্রস্তাব সমর্থন করলেও ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিরা প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেন।
কামরান মরুভূমিতে ছাগল চড়াতে গিয়ে এক আরব বালক মৃত সাগর পুঁথিগুলোর সন্ধান পেল।
১৯৪৮ম্যান্ডেট ফিলিস্তিনের অবসান। মে ১৪: ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের ওপর প্রতিষ্ঠিত হল
ইসরায়েলরাষ্ট্র। ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়া প্রথম রাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়ন, অচিরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও রাষ্ট্রটিকে স্বীকৃতি দেয়। মে ২৬: প্রতিষ্ঠিত হল ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)।
১৯৪৮-৪৯প্রথম আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ। জর্দান পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেম এবং মিসর গাজা উপত্যকা দখল করে নিল। ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের বাকি অংশটুকু ইসরায়েলের দখলে থাকল।
‘নাকবা’: ৭৫০,০০০ ফিলিস্তিনি এই যুদ্ধের ফলে শরণার্থী হন। ফিলিস্তিনিরা এই ঘটনাকে
নাকবাহিসাবে দেখে থাকেন। আরবিতে
নাকবাশব্দের অর্থ হল বিপর্যয়।
ইসরায়েলের প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন শাইম ওয়াইজম্যান। দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন ডেভিড বেন-গুয়িরন।
১৯৪৯-১৯৬০য়ের দশক১০ লক্ষেরও বেশি ইহুদি, যাদের মধ্যে আড়াই লক্ষ হলোকাস্ট সার্ভাইভার, দুনিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে ফিলিস্তিনে বসতিস্থাপন করেন।
১৯৪৯মার্চ-এপ্রিল: লেবানন ও জর্দানের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি। মে ৪: জেরুসালেমকে নবগঠিত ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করা হল। মে ১১: জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করল ইসরায়েল। জুলাই: সিরিয়ার সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি। সেপ্টেম্বর: ইসরায়েলে বাধ্যতামূলক কম্পালসারি এডুকেশনাল ল পাশ করা হল। নভেম্বর: ওয়াইজম্যান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স উদ্বোধন করা হল। ডিসেম্বর ১৩: প্রতিষ্ঠিত হল ইসরায়েলের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইন্সটিটিউট ফর ইন্টিলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশাল অপারেশনস (মোসাদ)।
১৯৫০‘
অপারেশন ম্যাজিক কার্পেট‘: ইয়েমেনি ইহুদিদেরকে বিমানে করে ইসরায়েলে আনা হল।
১৯৫২ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট হলেন ইতজাক-বেন জিভি।
১৯৫৪ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হলেন মোশে শারেত। ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেসের (আইডিএফ) সর্বাধিনায়ক হলেন মোশে দায়ান।
১৯৫৫দ্বিতীয় মেয়াদে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হলেন ডেভিড বেন-গুয়িরন।
১৯৫৬-৫৭সুয়েজ সংকট: ব্রিটেন ও ফ্রান্সের সাথে মিসর আক্রমণ করে ইসরায়েল।* মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন মিসরের পক্ষে দাঁড়ায়। পিছু হঠতে বাধ্য হয় ইসরায়েল।
* দ্বিতীয় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ বা সুয়েজ যুদ্ধ নামে পরিচিত।
১৯৫৯মিসরে ইয়াসির আরাফাত কর্তৃক গঠিত হল ফাতাহ।
১৯৬১জেরুসালেমে নাৎসি যুদ্ধাপরাধী অ্যাডলফ আইখম্যানের বিচার হল, যাকে মোসাদের এজেন্টরা আন্তর্জাতিক আইন ভেঙে আর্জেন্টিনা থেকে ধরে আনেন।
প্রকাশিত বই
রাউল হিলবার্গ,
দ্য ডেস্ট্রাকশন অফ দ্য ইওরোপিয়ান জিউজ।
১৯৬২মে ৩১: অ্যাডলফ আইখম্যানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হল।
প্রকাশিত বই
ঘাসসান কানাফানি,
মেন ইন দ্য সান।
১৯৬৩
প্রকাশিত বই
হান্না আরেন্ট,
আইখম্যান ইন জেরুসালেম: আ রিপোর্ট অন দ্য ব্যানালিটি অফ এভিল।
১৯৬৩ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট হলেন শ্নেউর জালমান শাজার। প্রধানমন্ত্রী হলেন লেভি এশকল। এশকল ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর থাকা বিধিনিষেধ হালকা করা উদ্যোগ নিলেন।
১৯৬৪গঠিত হল প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও)। পিএলও’র প্রথম সভাপতি হলেন আহমেদ শুকাইরি। জেরুসালেমে প্যালেস্টাইনিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিলের (পিএনসি) প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হল, প্যালেস্টাইন ন্যাশনাল কোভেনেন্ট ইসরায়েলকে ধবংস করার ডাক দিল।
১৯৬৫ফাতাহ গঠিত হল।
১৯৬৬সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন শ্মুয়েল ইয়োসেফ আগনন।
প্রকাশিত বই
মাহমুদ দারবিশ,
আ লাভার ফ্রম প্যালেস্টাইন।
মোশে দায়ান,
ডায়েরি অফ দ্য সিনাই ক্যাম্পেইন।
১৯৬৭তৃতীয় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ, জুন যুদ্ধ নামেও পরিচিত।* ইসরায়েল এই যুদ্ধে পূর্ব জেরুসালেম, পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা, গোলান মালভূমি ও সিনাই উপদ্বীপ দখল করে নিল। সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং রুমানিয়া ছাড়া সোভিয়েত ব্লকে থাকা অন্য ইওরোপীয় রাষ্ট্রগুলো ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করল।
জর্জ হাবাশ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্টাইন (পিএফএলপি)।
১৯৬৮নায়েফ হাওয়াতমেহ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্টাইন (ডিএফএলপি)।
১৯৬৯পিএলও’র প্রেসিডেন্ট হলেন ইয়াসির আরাফাত। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হলেন গোল্ডা মেয়ার।
১৯৭০-৭১ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর: জর্দান সেনাবাহিনীর সাথে পিএলওর যুদ্ধ, যা জর্দানের গৃহযুদ্ধ নামেও পরিচিত।
১৯৭০
প্রকাশিত বই
ঘাসসান কানাফানি,
রিটার্ন টু হাইফা।
১৯৭১
প্রকাশিত বই
আমোস এলোন,
দ্য ইসরায়েলিজ: ফাউন্ডার্স অ্যান্ড সন্স।
১৯৭২মিউনিখ অলিম্পিকের সময় ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীরা ইসরায়েলি অ্যাথলেটদের জিম্মি করে, তাদের হাতে ১১ জন অ্যাথলেট খুন হন। ইসরায়েলের লোদ বিমানবন্দরে পিএফএলপি কর্তৃক নিযুক্ত জাপানিজ রেড আর্মির হামলায় ২৬ জন বেসামরিক ইসরায়েলি নাগরিক খুন হন।
প্রকাশিত বই
ওয়াটার ল্যাকিউর,
আ হিস্ট্রি অফ জায়নিজম।
১৯৭৩চতুর্থ আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ।*
* ‘অক্টোবর যুদ্ধ’, ‘ইয়োম কিপ্পুর যুদ্ধ’, ‘রমজান যুদ্ধ’ ইত্যাদি নামেও পরিচিত।
১৯৭৪বামপন্থী ফিলিস্তিনি দল পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্টাইন (পিএফএলপি-জেনারেল কমান্ড) আর ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্টাইন (ডিএফএলপি) উত্তর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ৪৩ জন বেসামরিক নাগরিককে খুন করে। পিএলও দশ দফা কর্মসূচি হাতে নেয়, যেখানে ইসরায়েলের সাথে আপোসের আভাস দেয়া হয়। এই আপোস প্রশ্নে পিএলওতে ভাঙন দেখা দেয়। আরব লীগ পিএলও-কে ‘ফিলিস্তিনি জনগণের একমাত্র বৈধ প্রতিনিধি’ বলে স্বীকৃতি দিল। ইয়াসির আরাফাত প্রথম ব্যক্তি, যিনি রাষ্ট্রপ্রধান না হওয়া সত্ত্বেও এবছর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেয়ার সুযোগ পেলেন। পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতিস্থাপনকে একটা ‘ধর্মীয় দায়িত্ব’ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে গঠিত হল গুশ এমুনিম (বিশ্বাসীদের ব্লক) আন্দোলন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হলেন ইতজাক রাবিন।
১৯৭৫জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ একটি প্রস্তাব গ্রহণ করল। তাতে বলা হল, জায়নবাদ এক ধরণের বর্ণবাদ।* ১৯৯১ সালে এই প্রস্তাব বাতিল করা হয়।
প্রকাশিত হল
ডেভিড ভাইটাল,
দ্য অরিজিনস অফ জায়নিজম।
১৯৭৬মার্চ ৩০: উত্তর ইসরায়েলের গালিলি অঞ্চলে সরকারি উদ্যোগে ভূমি গ্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি নাগরিকরা। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ৬ ফিলিস্তিনির মৃত্যু। ফিলিস্তিনিরা প্রতি বছর দিনটি ভূমি দিবস হিসাবে পালন করে থাকেন।
১৯৭৭ইসরায়েলে নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় এল ডানপন্থী লিকুদ পার্টি। তারা অর্থনৈতিক উদারীকরণ, ইহুদি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর মূলধারাকরণ এবং পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় অধিক হারে ইহুদি বসতিস্থাপন উৎসাহিত করল। মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত জেরুসালেম সফর করলেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হলেন মেনাশিম বেগিন।
প্রকাশিত বই
লেসলি হ্যাজেলটন,
ইসরায়েলি উইমেন: দ্য রিয়ালিটি বিহাইন্ড দ্য মিথস।
১৯৭৮ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি। মিসর কর্তৃক ইসরায়েলকে স্বীকৃতিপ্রদান ও কূটনৈতিক সম্পর্কস্থাপন। ইসরায়েল এই যুক্তিতে পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিদেরকে স্বশাসন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিল।
১৯৭৯
প্রকাশিত বই এদোয়ার্দ সাঈদের
দ্য কোশ্চেন অফ প্যালেস্টাইন। প্রকাশিত হল রোজমেরি সায়িগের
দ্য প্যালেস্টাইনিয়ানস: ফ্রম পিজেন্টস টু রেভল্যুশনারিজ।
১৯৮২ইসরায়েল লেবাননে হামলা চালাল, লেবাননের গৃহযুদ্ধ শুরু। বৈরুতের সাবরা ও শাতিলা শরণার্থী শিবিরের ফিলিস্তিনিদেরকে হত্যা করল লেবানীয় খ্রিস্টান ফ্যালাঞ্জিস্টদের বাহিনী, যারা ইসরায়েলের মদতপুষ্ট ছিল। হত্যাকাণ্ডের তদন্তে ইসরায়েলে একটি কমিশন গঠিত হয়, যা প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যারিয়েল শ্যারনকে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য পরোক্ষভাবে দায়ী সাব্যস্ত করে এবং তাকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার সুপারিশ দেয়।
পিএলও নেতৃত্ব লেবানন থেকে তিউনিসিয়ায় চলে এল, ১৯৯৪ সালে গাজা উপত্যকায় ফেরার আগ পর্যন্ত তারা যেখানে থাকবে।
১৯৮৩ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হলেন ইতজাক শামির।
১৯৮৪ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হলেন শিমন পেরেজ।
প্রকাশিত বই
জি’ইভ শিফ আর এহুদ ইয়ারি,
ইসরায়েল’স লেবানন ওয়ার।
১৯৮৬দ্বিতীয় মেয়াদে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হলেন ইতজাক শামির।
প্রকাশিত বই
লেসলি হ্যাজেলটন,
জেরুসালেম, জেরুসালেম: আ মেমোয়ার অফ ওয়ার অ্যান্ড পীস, প্যাশন অ্যান্ড পলিটিকস।
১৯৮৭প্রথম ফিলিস্তিনি
ইন্তিফাদা। গাজা উপত্যকায় গঠিত হল ইসলামপন্থী হামাস আন্দোলন। ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা আন্দোলন ১৯৪৮ সাল থেকে প্রায় চারদশক সেকুলার জাতীয়তাবাদী ও বামপন্থীদের হাতে থাকলেও এ-বছর থেকে তা আস্তে আস্তে ইসলামপন্থীদের হাতে চলে যায়।
১৯৮৮পশ্চিম তীরের ওপর থেকে দাবি ছেড়ে দেয় জর্দান। অঞ্চলটিকে পিএলও’র হাতে তুলে দেয়। নভেম্বর ১৫: আলজিয়ার্সে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন ইয়াসির আরাফাত, যে ঘোষণাপত্রটি লিখেছিলেন কবি মাহমুদ দারবিশ।
প্যালেস্টাইন ন্যাশনাল কাউন্সিল
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রঘোষণা করে।*
* জাতিসংঘের অধিকাংশ সদস্য রাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে দীর্ঘদিন ধরেই de facto রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে আসায় ফিলিস্তিনকে আংশিকভাবে স্বীকৃতপ্রাপ্ত রাষ্ট্র বলা যেতে পারে।
১৯৯০ইরাক কুয়েতে আগ্রাসন চালালে পিএলও ইরাককে সমর্থন দেয়। কুয়েত পিএলও’র সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে। ৪০০,০০০ ফিলিস্তিনিকে কুয়েত থেকে বহিষ্কার করা হয়।
১৯৯১মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে স্পেনের মাদ্রিদে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে ১৯৪৯ সালের পর প্রথমবারের মত ইসরায়েলি আর ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিরা পরস্পরের সম্মুখীন হন, শুরু হয় দুই পক্ষের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের প্রক্রিয়া। ইসরায়েলের ইতজাক শামিরের সরকার অনিচ্ছা সত্ত্বেও মার্কিন চাপের মুখে সম্মেলনে অংশ নেয়, পরিণতে শামিরকে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়।
১৯৯২দ্বিতীয়বারের মত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হলেন ইতজাক রাবিন।
প্রকাশিত বই
টমাস টমসন,
দ্য আর্লি হিস্টোরি অফ দ্য ইসরায়েলাইট পিপল ফ্রম দ্য রিটেন অ্যান্ড আর্কিওলজিকাল সোর্সেস।
১৯৯৩ইসরায়েলের পক্ষে ইতজাক রাবিন আর পিএলও’র পক্ষে ইয়াসির আরাফাত অসলো ঘোষণায় সই করলেন। এর মধ্য দিয়ে শেষ হল প্রথম
ইন্তিফাদা। কিছু ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী এই শান্তিচুক্তি প্রত্যাখ্যান করে।
প্রকাশিত বই
পল জনসন,
আ হিস্ট্রি অফ দ্য জিউজ।
১৯৯৪পশ্চিম তীরের হেবরনে প্রার্থনারত ২৯ জন ফিলিস্তিনিকে খুন করলেন উগ্রপন্থী ইহুদি কাচ আন্দোলনের নেতা বারুচ গোল্ডস্টেইন। ইসরায়েল আর জর্দানের মধ্যে শান্তিচুক্তি সাক্ষরিত। ইয়াসির আরাফাত, ইতজাক রাবিন, আর শিমন পেরেজ সম্মিলিতভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন। প্রথম তুর্কি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইসরায়েল সফর করলেন তানসু সিলার।
প্রকাশিত বই
রোজমেরি সায়িগ,
টু মেনি এনিমিজ: দ্য প্যালেস্টাইনিয়ান এক্সপেরিয়েন্স ইন লেবানন।
১৯৯৫তেল আবিবে ইহুদি উগ্রপন্থীরা ইতজাক রাবিনকে গুলি চালিয়ে হত্যা করল। দ্বিতীয় মেয়াদে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হলেন শিমন পেরেজ।
১৯৯৬ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হলেন বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ইয়াসির আরাফাত। প্রতিষ্ঠিত হল বর্ণবাদবিরোধী ইহুদি সক্রিয়তাবাদীদের সংগঠন জিউইশ ভয়েস ফর পীস (জেভিপি)।
প্রকাশিত বই
কারেন আর্মস্ট্রং,
জেরুসালেম: ওয়ান সিটি থ্রি ফেইথস।
কেইথ হোয়াইটলাম,
দ্য ইনভেনশন অফ অ্যানসেইন ইসরায়েল:দ্য সাইলেন্সিং অফ প্যালেস্টাইনিয়ান হিস্ট্রি।১৯৯৭হেবরন প্রোটোকল।
প্রকাশিত বই
নূর মাসালহা,
আ ল্যান্ড উইদাউট আ পিপল।
১৯৯৮ওয়াই রিভার মেমোরাণ্ডাম।
প্রকাশিত বই
জোনাথন তুব,
কানানাইটস।
জিভ স্টার্নহেল,
দ্য ফাউন্ডিং মিথস অফ ইসরায়েল: ন্যাশনালিজম, সোশালিজম, অ্যান্ড দ্য মেকিং অফ দ্য জিউইশ স্টেট।
রশিদ খালিদি,
প্যালেস্টাইনিয়ান আইডেনটিটি: দ্য কন্সট্রাকশন অফ মডার্ন ন্যাশনাল কনশাসনেস।
১৯৯৯ইসরায়েলে ক্ষমতায় এল লেবার পার্টি, প্রধানমন্ত্রী হলেন এহুদ বারাক।
প্রকাশিত বই
আভি শ্লাইম,
দ্য আয়রন ওয়াল: ইসরায়েল অ্যান্ড দ্য আরব ওয়ার্ল্ড।
টমাস টমসন,
দ্য বাইবেল ইন হিস্ট্রি: হাউ রাইটারস ক্রিয়েট আ পাস্ট।
২০০০দক্ষিণ লেবানন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করল ইসরায়েল। অ্যারিয়েল শ্যারন জেরুসালেমে আল-আকসা মসজিদ পরিদর্শন করলেন।
দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সূচনা।
প্রকাশিত বই
নূর মাসালহা,
ইম্পেরিয়াল ইসরায়েল অ্যান্ড দ্য প্যালেস্টাইনিয়ানস: দ্য পলিটিকস অফ এক্সপানশন।
নরম্যান ফিঙ্কেলস্টেইন,
দ্য হলোকাস্ট ইন্ডাস্ট্রি: রিফ্লেকশনস অন দ্য এক্সপ্লয়টেশন অফ জিউইশ সাফারিংস।
২০০১ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হলেন অ্যারিয়েল শ্যারন। ইউনেস্কো মাসাদাকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ বলে স্বীকৃতি দিল।
প্রকাশিত বই
বেনি মরিস,
রাইটিয়াস ভিকটিমস: আ হিস্টোরি অফ দ্য জায়োনিস্ট-আরব কনফ্লিক্ট।
২০০২‘অপারেশন ডিফেন্সিভ শিল্ড’: ১৯৬৭ সালের পরে পশ্চিম তীরে সবচে বড় আকারের সামরিক অভিযান। আরব লীগ একটি শান্তি পরিকল্পনা প্রস্তাব করল। তাতে বলা হল, ইসরায়েল যদি ১৯৬৭ সালে অধিকৃত ভূখণ্ডগুলো থেকে পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার করে, পূর্ব জেরুসালেমকে রাজধানী করে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে রাজি থাকে, এবং ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংকটের ন্যায্য সমাধান করে; তাহলে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে রাজি আছে আরব রাষ্ট্রগুলো।
প্রকাশিত বই
ইলান পাপ্পে,
দ্য ইসরায়েল/প্যালেস্টাইন কোশ্চেন।
২০০৩আন্তর্জাতিক উদ্যোগে ফিলিস্তিনে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার রোড ম্যাপ’।
প্রকাশিত বই
নরম্যান ফিঙ্কেলস্টেইন,
ইমেজ অ্যান্ড রিয়েলিটি অফ দ্য ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন কনফ্লিক্ট।
অ্যালান দারশোভিৎজ,
দ্য কেইস ফর ইসরায়েল।
২০০৪ইসরায়েলি আততায়ীদের হাতে খুন হলেন হামাস নেতা শেখ আহমেদ ইয়াসিন ও তাঁর উত্তরসূরী আবদুল আজিজ আল-রানতিসি। পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের তৈয়ারকৃত সেপারেশন ব্যারিয়ারকে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস (আইসিজে) তার পরামর্শমূলক মতামতে অবৈধ ঘোষণা করল। ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যু।
প্রকাশিত বই
জন রোজ,
দ্য মিথস অফ জায়নিজম।
ইলান পাপ্প,
আ হিস্ট্রি অফ মডার্ন প্যালেস্টাইন: ওয়ান ল্যান্ড, টু পিপলস।
২০০৫ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন মাহমুদ আব্বাস। মিসরের কাছ থেকে গাজা উপত্যকা দখল করার ৩৮ বছর পর সেখান থেকে একতরফাভাবে সেনা প্রত্যাহার করল ইসরায়েল। ফিলিস্তিনে শুরু হল বয়কট, ডাইভেস্টমেন্ট অ্যান্ড স্যাংশন মুভমেন্ট (বিডিএস)।
প্রকাশিত বই
গ্রেগরি হার্মস এবং টড এম. ফেরি,
দ্য প্যালেস্টাইন-ইসরায়েল: কনফ্লিক্ট আর বেসিক ইন্ট্রোডাকশান।
জ্যাকলিন রোজ,
দ্য কোশ্চেন অফ জায়ন।
২০০৬জানুয়ারি: স্ট্রোক করে কোমায় চলে গেলেন অ্যারিয়েল শ্যারন।
ফিলিস্তিনে সংসদীয় নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় এল হামাস। ইসরায়েল গাজা উপত্যকার ওপর অবরোধ আরোপ করল।* গাজা উপত্যকায় হামাস আর ফাতাহ সমর্থকদের সংঘাত।
* এতে
ওপেন এয়ার প্রিজনয়ে পরিণত হল গাজা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হলেন এহুদ ওলমার্ট।
জুলাই-আগস্ট: দ্বিতীয় লেবানন যুদ্ধ।
প্রকাশিত বই
ইয়াকভ রাবকিন,
আ থ্রেট ফ্রম উইদিন: আ সেঞ্চুরি অফ জিউইশ অপোজিশন টু জায়নিজম।
ইলান পাপ্পে,
দ্য এথনিক ক্লিনজিং অফ প্যালেস্টাইন।
২০০৭ফাতাহ আর হামাস নিজেদের মধ্যকার সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করল। কিন্তু এই ঐক্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। অচিরেই ফাতাহকে গাজা উপত্যকা থেকে তাড়িয়ে দেয় হামাস। ইসরায়েল গাজা উপত্যকার ওপর থাকা অবরোধ আরো জোরদার করে। মিসর তার গাজা সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। ফিলিস্তিনে দুটি পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী সরকার গঠিত হল। পশ্চিম তীরে ফাতাহ আর গাজা উপত্যকায় হামাস।
সেপ্টেম্বর: ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর (আইএএফ) হামলায় সিরিয়ার দেইর আজ-জোরের পারমাণবিক চুল্লি ধবংস হয়ে গেল।*
* ২০১৮ সালে এসে ইসরায়েল দায় স্বীকার করে।
নভেম্বর: ‘আনাপোলিস সম্মেলন’: মার্কিনীদের উদ্যোগে আয়োজিত এই সম্মেলনে প্রথমবারের মত ‘দুই-রাষ্ট্র সমাধান’কে ইসরায়েল আর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মধ্যে হতে যাওয়া পরবর্তী সব আলোচনার ভিত্তি নির্ধারণ করা হল।
প্রকাশিত বই
স্টুয়ার্ট রস,
দ্য ইসরায়েলি-প্যালেস্টাইনিয়ান কনফ্লিক্ট।
২০০৮ডিসেম্বর: ‘অপারেশন কাস্ট লিড’: গাজায় মাসব্যাপী পূর্ণ মাত্রার আগ্রাসন চালাল ইসরায়েল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমবারের মত ইসরায়েল সফর করলেন জর্জ বুশ জুনিয়র। এহুদ ওলমার্ট ও মাহমুদ আব্বাসের সাথে সাক্ষাৎ করলেন। দ্বিতীয় লেবানন যুদ্ধ নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করল উইনোগ্রাদ কমিশন।
প্রকাশিত বই
ডেভিড লেশচ,
দ্য আরব-ইসরায়েল কনফ্লিক্ট: আ হিস্ট্রি।
২০০৯জানুয়ারি: ইসরায়েলের অফশোরে প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুতের সন্ধান মিলল।
ফেব্রুয়ারি: ইসরায়েলের নির্বাচনে ডানপন্থী দলগুলোর জয়লাভ। সরকার গঠন করল লিকুদ দল। দ্বিতীয় মেয়াদে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হলেন বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।
‘গোল্ডস্টোন প্রতিবেদন’: ইসরায়েলের গাজা আগ্রাসন নিয়ে জাতিসংঘের ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিশন প্রতিবেদন দাখিল করল। প্রতিবেদনে দুই পক্ষকেই দায়ী করা হল।
প্রকাশিত বই
শ্লোমো স্যান্ড, [ইংরেজি অনুবাদ]
দ্য ইনভেনশন অফ দ্য জিউইশ পিপল।
২০১০মে: গাজা উপত্যকায় ৯ জন ফিলিস্তিনপন্থী তুর্কি সক্রিয়তাবাদী খুন হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল ও তুরস্কের মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি ঘটল।
সেপ্টেম্বর: ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মধ্যে সংলাপ শুরু হলেও অধিকৃত ভূখণ্ডের অবৈধ ইহুদি বসতি প্রশ্নে তা ভেস্তে যায়।
প্রকাশিত বই
নোয়াম চমস্কি ও ইলান পাপ্পে,
গাজা ইন ক্রাইসিস: রিফ্লেকশন অফ ইসরায়েল’স ওয়ার অ্যাগেইনস্ট দ্য প্যালেস্টাইনিয়ানস।
২০১১সেপ্টেম্বর ২৩: জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হতে আবেদন করল ফিলিস্তিন। আবেদন খারিজ হল। তবে এবছরই ইউনেস্কোর সদস্যপদ লাভ করে ফিলিস্তিন।
জার্মানি ও মিসরের মধ্যস্ততায় ১০২৭ জন ফিলিস্তিনি কারাবন্দীকে মুক্তিপ্রদানের বিনিময়ে ইসরায়েলি সৈনিক গিলাদ শালিতকে ছেড়ে দিল হামাস।
প্রকাশিত বই
সাইমন সেবাগ মন্টেফিওরি,
জেরুসালেম:আ বায়োগ্রাফি।
২০১২‘কায়রো চুক্তি’: কাতার, ফাতাহ, ও হামাসের মধ্যে সই হল।
নভেম্বর ১৪: ‘অপারেশন পিলার অফ ডিফেন্স’: ইসরায়েলি শহরগুলোতে গাজাভিত্তিক সশস্ত্র ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর রকেট হামলা বৃদ্ধি পাওয়ার অজুহাতে অধিকৃত গাজায় সামরিক আগ্রাসন চালাল ইসরায়েল। নভেম্বর ২৯: জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে ‘অসদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের’ মর্যাদা প্রদান করল।*
* এটি ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে একটি মাইলফলক।
প্রকাশিত বই
নুরিত পেলেদ-এলহানান,
প্যালেস্টাইন ইন ইসরায়েলি স্কুল বুকস: ইডিওলজি অ্যান্ড প্রোপাগাণ্ডা ইন এডুকেশন।
নূর মাসালহা,
দ্য প্যালেস্টাইন নাকবা: ডিকলোনাইজিং হিস্টোরি, ন্যারেটিং দ্য সাবঅল্টার্ন, রিক্লেইমিং মেমোরি।
সারাহ আয়ারভিং,
লেয়লা খালেদ: আইকন অফ প্যালেস্টাইনিয়ান লিবারেশন।
২০১৩জানুয়ারি-মার্চ: জানুয়ারিতে ইসরায়েলের নির্বাচনে দেশটির দুনিয়াবি ও মধ্যপন্থী দলগুলো ভালো করায় মার্চে সরকারে থাকা ধর্মীয় দলগুলোকে প্রথমোক্তদের দ্বারা প্রতিস্থাপিত করলেন বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।
জুলাই: যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ইসরায়েলের সাথে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সংলাপ শুরু হল, কিন্তু কোন পক্ষই কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারল না।
ডিসেম্বর: লোহিত সাগর থেকে পানি পাম্প করে মৃত সাগরকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য জন্য ইসরায়েল, জর্দান, ও ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের মধ্যে চুক্তি সই করল।
প্রকাশিত বই
মার্টিন বান্টন,
দ্য ইসরায়েলি-প্যালেস্টাইনিয়ান কনফ্লিক্ট: আ ভেরি শর্ট ইন্ট্রোডাকশন।
নূর মাসালহা,
দ্য জায়োনিস্ট বাইবেল: বিবলিকাল প্রিসিডেন্ট, কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড দ্য ইরেজার অফ মেমোরি।
শ্লোমো স্যান্ড [ইংরেজি অনুবাদ],
দ্য ইনভেনশন অফ দ্য ল্যান্ড অফ ইসরায়েল।
২০১৪জানুয়ারি: ইসরায়েলের জ্বালানি ও পানি মন্ত্রী সিলভান শালোম আবু ধাবিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ক একটি সম্মেলনে অংশ নিলেন।
মার্চ মুসলিম ব্রাদারহুডের সাথে যোগাযোগ রাখার অভিযোগে হামাসের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল মিসর।
এপ্রিল: পিএলওর সবচেয়ে বড় দল ফাতাহ ও হামাস জাতীয় ঐক্য সরকার গঠন করতে রাজি হল। শিগগিরই ফাতাহ অভিযোগ করল, হামাসের একটি পৃথক মন্ত্রীসভা গাজা শাসন করা অব্যাহত রেখেছে।
জুলাই-আগস্ট: ‘অপারেশন প্রটেকটিভ এজ’: ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলার জবাব দেয়ার অজুহাতে গাজায় বিমান হামলা চালাল ইসরায়েল। ৫০ দিনে ৫০০রও বেশি ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু। আগস্ট: মিসরের মধ্যস্ততায় গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের অবসান হল।
ডিসেম্বর: অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাদের সাথে সংঘাতের সময় শহিদ হলেন জিয়াদ আবু এইন।
অ্যারিয়েল শ্যারনের মৃত্যু।
২০১৫মার্চ-মে: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু নির্বাচনে জিতে ডানপন্থী দল বায়িত ইয়েহুদির সাথে জোট গঠন করলেন।
জুন ২৬: ভ্যাটিকান ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করল, এতে ইসরায়েল ব্যাপক ক্ষোভ প্রদর্শন করে।
অক্টোবর: অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি আরব বন্দুকধারীর গুলিতে খুন হলেন এক ইসরায়েলি দম্পতি।
নভেম্বর: অধিকৃত পশ্চিম তীরের ইহুদি বসতি থেকে আসা যে কোন পণ্যকে ‘ইসরায়েল থেকে আসা’ পণ্যের বদলে ‘ইহুদি বসতি থেকে আসা’ পণ্য হিসেবে চিহ্নিত করার সিদ্ধান্ত নিল ইওরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইসরায়েল ইইউ’র কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ স্থগিত করল। উল্লেখ্য, ইইউ’ইয়ের মধ্যস্ততায় ফিলিস্তিনিদের সাথে সংলাপ চলছিল।
প্রকাশিত বই
ফিলিস বেনিস,
আন্ডারস্ট্যান্ডিং দ্য প্যালেস্টাইনিয়ান-ইসরায়েলি কনফ্লিক্ট: আ প্রিমিয়ার।
২০১৬জুন: তুরস্ক ও ইসরায়েল ২০১০ সালের ঘটনার ব্যাপারে একটা সমঝোতায় এসে সম্পর্ক স্বাভাবিক করল।
সেপ্টেম্বর: যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার ইসরায়েলকে পরবর্তী দশ বছরে ৩৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের সামরিক সহায়তা প্রদানের চুক্তি করল।
ডিসেম্বর: অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবৈধ ইহুদি বসতিনির্মাণের বিরোধিতা করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আনা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিল ১২টি দেশ। ইসরায়েল তাদের সাথে কার্যত সম্পর্ক ছিন্ন করল। যুক্তরাষ্ট্র এই প্রথমবারের মত এহেন প্রস্তাবে ভেটো দেয়ার বদলে ভোটদান থেকে বিরত থাকল।
ছয় দফা শান্তি পরিকল্পনা ইস্যু করলেন জন কেরি। নেতানিয়াহুর জোটে যোগ দিল ডানপন্থী ইসরায়েল বেইতেনু দল। ইন্টারন্যাশনাল হলোকাস্ট রিমেম্ব্রেন্স অ্যালায়েন্স (আইএইচআরএ) ইহুদিবিদ্বেষের একটা সংজ্ঞা নির্ধারণ করল, যা
দি আইএইচআরএ ডেফিনিশনহিসেবে পরিচিতি পায়।
২০১৭ফেব্রুয়ারি: ইসরায়েলি সংসদে একটি আইন পাশ হল, যা পশ্চিম তীরে ব্যক্তিমালিকানাধীন ফিলিস্তিনি জমি দখল করে বানানো কয়েক ডজন অবৈধ ইহুদি বসতিকে retroactively বৈধতাপ্রদান করল।
জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের নবি সালেহ গ্রামের আহেদ তামিমী দখলদার ইসরায়েলি সৈনিকের গালে চড় মেরে গ্রেপ্তার হলেন।
জুন: পশ্চিম তীরে আড়াই দশকের মধ্যে প্রথমবারের মত নতুন ইহুদি বসতিস্থাপনের কাজ শুরু হল।
অক্টোবর: গাজার প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরিত করার উদ্দেশ্যে একটি সমন্বয়সাধন চুক্তিতে সই করল হামাস, কিন্তু বিবাদের কারণে এই চুক্তির বাস্তবায়ন থমকে গেল।
ডিসেম্বর: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিনি ও ফিলিস্তিনপন্থীদের প্রতিবাদ উপেক্ষা করে জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী বলে স্বীকৃতি দিলেন।
ইউনেস্কো হেবরনের ওল্ড সিটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ বলে স্বীকৃতি দিল।
২০১৮গোলান উপত্যকায় ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের দাবিকে স্বীকৃতিপ্রদান করলেন ট্রাম্প। ১৯৬৭ সালের জুন যুদ্ধের সময় সিরিয়ার কাছ থেকে গোলান উপত্যকা দখল করে নিয়েছিল ইসরায়েল, পরে নিজ সীমানাভুক্ত করেছিল। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গোলান উপত্যকার ওপর ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের দাবি স্বীকার করে না।
মার্চ: ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী রামি হামদাল্লা গাজা সফর করলেন। সেখানে তাঁর কাফেলার মানুষেরা ভাগ্যক্রমে এক সড়কপার্শ্বের বোমা হামলা থেকে বেচে যান। গাজা সীমান্তে সহিংসতা বৃদ্ধি পেল, আর এই অজুহাতে অধিকৃত গাজায় আগ্রাসন চালাল ইসরায়েল।
জুলাই-নভেম্বর: জাতিসংঘ ও মিসরের মধ্যস্ততায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই।
ইসরায়েল আনুষ্ঠানিক ভাষাতালিকা থেকে আরবিকে অপসারণ করল।
প্রকাশিত বই
হিদার মরিসের
দ্য ট্যাটুইস্ট অফ আউশভিৎজ।
২০১৯নভেম্বর: যুক্তরাষ্ট্র সরকার জানাল, তারা পশ্চিম তীরের ইহুদি বসতিগুলোকে আর অবৈধ গণ্য করে না।
তিনটি আলাদা আলাদা মামলায় ঘুষ নেয়া, জোচ্চুরি, আর আস্থা ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত হলেন বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।
মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি
হাগাই লেভি, জোসেফ সেডার, ও তৌফিক আবু-ওয়াইলি,
আওয়ার বয়েজ।
২০২০এপ্রিল: কোভিড মহামারীর বিস্তার রুখতে একটি জাতীয় ঐক্য সরকার গঠন করলেন বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ও বেনি গানজ।
আগস্ট: প্রথম উপসাগরীয় রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি।
বাহরাইন আর ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ঘোষণা দিল।
প্রকাশিত বই
রশিদ খালিদি,
দ্য হান্ড্রেড ইয়ার্স’ ওয়ার অন প্যালেস্টাইন: আ হিস্ট্রি অফ সেটেলার কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড রেজিস্ট্যান্স, ১৯১৭-২০১৭।
মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি
মাইকেল পেট্রনি,
মেসিয়াহ।
২০২১শেখ জাররা আন্দোলনের সূত্র ধরে গাজায় ইসরায়েলি বিমানহামলায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু। এদের মধ্যে ৬৭ জন ফিলিস্তিনি শিশু। মিসরের মধ্যস্ততায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সাক্ষরিত।
ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করল কসোভো, জেরুসালেমে নিজস্ব দূতাবাস খোলার ঘোষণা দিল।
ইহুদিবিদ্বেষ প্রসঙ্গে জেরুসালেম ঘোষণা (জেডিএ) প্রকাশিত হল, যেখানে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে কোন অবস্থান ইহুদিবিদ্বেষী আর কোন অবস্থান ইহুদিবিদ্বেষী নয় তা নির্ধারিত হল।
মে: পূর্ব জেরুসালেম থেকে ফিলিস্তিনিদের জবরদস্তিমূলকভাবে উৎখাত করার কারণে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ল। ইসরায়েল রাষ্ট্রের সাথে হামাসের সংঘাত দেখা দিল। ইওরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রথম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে অধিকৃত অঞ্চলে ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি ভূমির de facto annexationয়ের নিন্দা জানিয়ে সংসদে আনা প্রস্তাবের পক্ষে সর্বসম্মতিক্রমে ভোট দিলেন আইরিশ সংসদ সদস্যরা।
জুন: বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য একটি বিশাল ঐক্যজোট গঠন করলেন ইহুদি জাতীয়তাবাদী ইয়ামিনা দলের নেতা নাফতালি বেনেত।
প্রকাশিত বই
ডায়ানা অ্যালেন (সম্পা.),
ভয়েসেস অফ দ্য নাকবা: আ লিভিং হিস্ট্রি অফ প্যালেস্টাইন।
প্রকাশিত প্রতিবেদন
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ),
আ থ্রেশহোল্ড ক্রসড: ইসরায়েলি অথোরিটিজ অ্যান্ড দ্য ক্রাইমস অফ অ্যাপার্টহেইড অ্যান্ড পারজিকিউশন।
মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি
বারলেট শের,
অসলো।
২০২২মে ১১: এক ইসরায়েলি সৈনিকের গুলিতে খুন হলেন ফিলিস্তিনি-আমেরিকান ও আল জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ।
প্রকাশিত প্রতিবেদন
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল,
ইসরায়েল’স অ্যাপার্টহেইড অ্যাগেইনস্ট প্যালেস্টাইনিয়ানস: আ ক্রুয়েল সিস্টেম অফ ডমিনেশন অ্যান্ড আ ক্রাইম অ্যাগেইনস্ট হিউম্যানিটি।
২০২৩জানুয়ারি: ইসরায়েলি বাহিনী এক শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়ে ৭ জন ফিলিস্তিনি বন্দুকধারী ও ২ জন বেসামরিক নাগরিককে খুন করল। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসলামিক জিহাদ ইসরায়েলের দিকে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিঃক্ষেপ করল, যাতে কোন বেসামরিক নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হননি। ইসরায়েল এর প্রতিক্রিয়ায় গাজায় বিমান হামলা চালাল।
অক্টোবর ৭-৮: ১৯৭৩ সালের ইয়োম কিপ্পুর যুদ্ধের ৫০ বছর পূর্তিতে হামাস গাজা থেকে ইসরায়েলে নজিরবিহীন মাত্রার রকেট হামলা চালাল। ইসরায়েল এর প্রতিক্রিয়ায় গাজায় বিমান হামলা চালাল। যুক্তরাষ্ট্র ও ইওরোপীয় দেশগুলো ইসরায়েলের পক্ষ নিল। রাশিয়া, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ইসরায়েলের প্রতি সেনা প্রত্যাহারের আহবান জানাল। শুধু ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান হামাসকে সমর্থন দিল। ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানাল, হামাসের হামলায় ইসরায়েলি মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ৬০০; ফিলিস্তিনের চিকিৎসা মন্ত্রণালয় জানাল, ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনি মৃতের সংখ্যা ৩৮০ ছাড়িয়েছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ গাজার ফিলিস্তিনিদের মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে শেষোক্তদের দ্রুত গাজা ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যেতে বলল।
প্রকাশিত বই
আজাদ এসসা,
হোস্টাইল হোমল্যান্ডস: দ্য নিউ অ্যালায়েন্স বিটউইন ইন্ডিয়া অ্যান্ড ইসরায়েল।
ঘাদা কারমি,
ওয়ান স্টেট: দি অনলি ডেমোক্রেটিক ফিউচার ফর প্যালেস্টাইন-ইসরায়েল।