এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বৈঠকি আড্ডায় ১১ 

    হীরেন সিংহরায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১২ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২৩ বার পঠিত
  • ভোটাভুটি খরচাপাতি

    পর্ব ৫

    ভোটের সময় এলেই দেওয়াল লিখনে প্লাবন , পাইকপাড়ায় আমাদের বাড়ির উলটো দিকের মাঠে জনসভা, গান , নাটক – দিন বদলের পালা সেখানেই দেখেছি- বাতাসে উন্মাদনা  ।  সাতের দশকের শেষে  স্লোগান  বদলেছে  ‘ বন্দুকের নলই   ক্ষমতার উৎস’  অথবা  ‘ বিপ্লব কোন ভোজসভা নয় ‘ অমিল  ;   তিমির ( তিমু )  গাঙ্গুলি অমর রহে লেখা সাদা শহিদ বেদির পাশ দিয়ে কাস্তে হাতুড়ি তারার মিছিল, স্বৈরাচার নিপাত যাক । ১৯৭৭ সালে দেশ ছাড়ার আগে পাইকপাড়া কুমার আশুতোষ স্কুলে মায়ের সঙ্গে যখন ভোট দিতে যাই,  জানতাম না পরের দেড় দশকে পাসপোর্টের রঙ বদলে যাবে, জন্মভূমিতে ভোট দেওয়ার অধিকার হারাবো চিরতরে । দেশে সেটাই আমার শেষ মতদান ।

    ভাষা শিক্ষা ও ব্যাংকিং ট্রেনিং সম্পূর্ণ হলে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় যোগ দিয়েছি -এবার ফ্রাঙ্কফুর্টে স্থিতু , কাজের ঠিকানা গোয়েথস্ত্রাসে ২৬-২৮,  বাড়ির ঠিকানা হার্টমান-ই-বাখস্ত্রাসে ২৩।  এমন সময়ে জানা গেলো আমাদের হেসেন প্রদেশে নির্বাচন হবে। কিন্তু নগরীতে কোন  উত্তাপ  নেই কেন ? জার্মান টেলিভিশনের তিনটে চ্যানেল,  দুটো দেশব্যাপী , একটি প্রাদেশিক - হেসেন দ্রাই ; সেগুলো চালু হয় সন্ধ্যে ছটায় , রাত সাড়ে এগারোটায় টি ভি পর্দা অন্ধকার।  ব্রিটেনে মর্নিং টেলিভিশন শুরু হওয়ার খবরে প্রচুর ব্যঙ্গ হয়েছিল – ব্রিটিশরা সকালে উঠে কাজে যাবেন না টি ভি দেখবেন !

    টেলিভিশন সরকারি । কেবলমাত্র  সন্ধ্যে সাতটা থেকে পনেরো মিনিট কার্টুন সহযোগে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। আর কোন  কমার্শিয়াল ব্রেক নেই , কেউ বলে না এখুনি ফিরছি, সঙ্গে থাকুন । কলগেট  টুথপেস্ট বা ভারস্টাইনার বিয়ারের গুণের কোন প্রচার হয় না সেখানে। জার্মান টেলিভিশনে অন্য ভাষার ছবির সাব টাইটেল নেই, সবই ডাব করা ; জেমস বন্ড রূপী শন কনারি , মেরিলিন মনরো সব্বাই কি চমৎকার সাধু জার্মান বলেন ( এ ব্যাপারে অবশ্য জার্মানরা একা নন, ফ্রেঞ্চ ইতালিয়ান স্প্যানিশ টি ভি ডাব করায় সিদ্ধহস্ত ) । সন্ধ্যে বেলা প্রাইম টাইমে কার্ল নভোতনি বনার রুনডে ( রাজধানী বনের পরিক্রমা ) নামক সাময়িক বিষয়ের এক ক্লান্তিকর আলোচনা অনুষ্ঠান করতেন।  ইংরেজি টি ভি দেখার একমাত্র উপায় ছিল আমেরিকান ফোরসেস নেটওয়ার্ক – সেটা ফ্রাঙ্কফুর্ট অঞ্চলে পাওয়া যেতো । ডাচ এবং জার্মান টি ভি সেকালে ইউরোপে  সবচেয়ে বোরিং বলে পরিচিত , এমনকি বেলজিয়ান টি ভিতে সাব টাইটেলওলা ছবি দেখায় তখন ! ইংরেজি সংলাপ শোনা যায়।  বেলজিয়ান টি ভির সাব টাইটেল কখনো তিন ধাপে – ইংরেজি ফ্লেমিশ ফরাসি !


    বনার রুনডে : এ্যাংকর নভোতনি ১৯৮০

    জার্মান বেতার তরঙ্গ সরকারি - যেমন কমন মার্কেটের অন্য দেশেও। সে সময়ে  লন্ডনের কাছে টেমস নদীর বজরায় বসে কিছু উদ্যোগী যুবক নিয়ন্ত্রণকে কলা দেখিয়ে প্রথম প্রাইভেট রেডিও  স্টেশন চালান, তার নাম রেডিও ক্যারোলাইন।  

    জার্মান টেলিভিশনে ( ফার্নসেহেন – আক্ষরিক অর্থে দূরদর্শন !) দু বার খবর পড়া হয়,  সন্ধ্যে সাতটা ও রাত দশটায় । এর মধ্যে দুনিয়া উলটে গেলেও সে সংবাদ জানানোর কোন ব্যবস্থা নেই । রেডিও অবশ্যই আছে তবে সেখানেও ঐ কয়েক দফা সমাচার পরিবেশিত হয় , সেটা তাদের আপন মরজিমাফিক,  আপনার নয় ।

    তাহলে দীন দুনিয়ার খবর মেলে কোথা থেকে ? দৈনিক  কাগজের কৃপায়  – সেটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত মালিকানার অধীন। ফ্রাঙ্কফুরটার আলগেমাইনে , মিউনিকের সুদ ডয়েচে তসাইতুং,  হামবুর্গের ডি ভেলট , বারলিনার মরগেনপোস্ট ইত্যাদি  দৈনিক এবং ইউরোপের সবচেয়ে বিক্রীত সাপ্তাহিক ডের স্পিগেল – আয়না ( তাদের সঙ্গে ব্যবসা করার সুযোগ হয়েছিল , আমার জার্মানি বইতে সে গল্প আছে ) অথবা স্ট্যারন ।

    ভাষা শিক্ষার স্কুল থেকে স্টেট ব্যাঙ্কের অফিসে আসামাত্র বুঝেছি সৌজন্য মূলক বারতালাপ করতে পারি কিন্তু  বিজনেস জার্মান অথবা ফ্রাঙ্কফুরটার আলগেমাইনে পড়ার মতন উচ্চমার্গের সংবাদ পত্র পড়ে বোঝার ক্ষমতা অর্জন করি নি। এমন সময় সাক্ষাৎ হলো যে পরিত্রাতার সঙ্গে সেটি হামবুর্গের আক্সেল স্প্রিঙ্গার গ্রুপের বহুল বিক্রীত বিলড নামক দৈনিক পত্রিকা  ( পনেরো লক্ষ বিক্রি , পাঠক পঁচাত্তর লক্ষ, পাঁচ জনে সে কাগজ  ভাগাভাগি করে থাকেন )  আট পাতার কাগজ ; যেটিকে আজকের হিসেবে ট্যাবলয়েড বলা যায় ,  রগরগে খবরে পাতা ভরানো, কিছু চাঞ্চল্যকর  ছবি। ছাপার ফন্ট বড়ো।  কোনো  খবর দুশ  শব্দের বেশি নয়। অত্যন্ত অবাক হয়ে লক্ষ করলাম পড়ে বুঝতে পারছি ! ইউরেকা মুহূর্ত ! আমার মা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বর্ণ পরিচয়ের দ্বিতীয় ভাগ অবধি বিদ্যাশিক্ষা করে আনন্দবাজার পত্রিকার  মাস্তুলে পয়লা মাঘ  থেকে আরম্ভ করে কাগজ যে ৬ নম্বর সুতারকিন স্ট্রিট ( পরে প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট) ছাপা হয়েছে সে অবধি পড়তে পারতেন। জার্মান বর্ণ পরিচয়ের প্রথম ভাগের সমতুল্য বিদ্যায় বিলড পত্রিকা গড়গড় করে পড়া ও তার চেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, বোঝা যায় । ইউরোপে এর  তুলনা  লন্ডনের সান । প্রসঙ্গত বলি একান্ত অজ্ঞাত কারণে লন্ডনের কোথাও আপনি বিলড কিনতে পাবেন না, জার্মানিতে সান মেলে না।  অথচ এ দুটো কাগজ স্পেনের যে কোন বিচে নিউজ স্ট্যান্ডে পাশাপাশি দেখা যায় ।

    দু মাসের ভেতরে হেসেন রাজ্যে প্রাদেশিক নির্বাচন।  কোথাও কোন সাড়াশব্দ নেই।  ‘ ভোট দিন’  বলে কোন জুলুস বেরোয় না, দলে দলে কোন জনসভায় যোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে পোস্টার বা দেওয়াল লিখন চোখে পড়ে না । শহর বাজারে বড়ো দোকানের সামনে ফুটপাথে একটু বিশাল আকৃতির ফোটো ফ্রেমে কোন প্রার্থীর হাসিমুখের ছবি – উপরে লেখা এঁকে ভোট দিন!  আমাদের হিসেবে জনসভা হয় না । পুরনো ফ্রাঙ্কফুর্টের রোয়েমারে বড়জোর শ দুই মানুষ দাঁড়িয়ে  বিদেশ মন্ত্রী হান্স- দিয়েতরিখ গেনশারের ভাষণ শোনেন ।


    ফ্রাঙ্কফুর্ট - পুরনো শহর- রোয়েমার
     
    ছয়ের ও ষাটের দশকের ভোট রঙ্গে উত্তাল কলকাতা দেখেছি।  এখানে  এসে মনে হচ্ছে এ কি ব্যাপার ? অফিসে দোকানে কোন গরম হিটেড তর্ক হচ্ছে না,  যার বিয়ে তার হুঁশ নেই । এ কেমন নির্বাচন? আপিসে খোঁজ করি । আমার ভোটের অধিকার নেই তবু একটু জানতে ইচ্ছে করে বিশেষ করে ঐ যে প্রার্থীর ছবির ওপরে তার দল এবং পাশে একটি চৌকো বাক্সে পার্টির নামে টিক দেওয়া থাকে কেন ? শ্রীধরের সহকর্মী  ক্লাউস নিহুস বুক কিপিঙের গুরু , ভালো ইংরেজি বলতেন । একদিন  তাঁর কাছে হাজির হলাম । নিহুস তাঁর কাজের ফাঁকে বললেন,  জার্মানিতে  পোলিং বুথে গিয়ে কেবল স্থানীয় প্রার্থী নির্বাচন করা হয় না । সেখানে আপনি একটি দলের প্রতি আপনার সমর্থন ব্যক্ত করেন।  আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ( প্রপরশনাল রিপ্রেসেনটেশন ) পদ্ধতির এই নিয়ম। ধরুন কোন কেন্দ্রে চারজন প্রার্থী ; সেখানে যিনি বেশি ভোট পাবেন তিনি নির্বাচিত হবেন – ইংরেজিতে যাকে আপনারা বলেন  ফার্স্ট পাসট দি পোস্ট । একজন পেলেন পাঁচ হাজার, কেউ চার হাজার একজন ছ হাজার কিন্তু সাড়ে ছ হাজার ভোটে পেয়ে একজন জিতলেন ( ঠিক আমাদের দেশে যা হয়ে থাকে) ।  পনেরো হাজার ভোট মাঠে মারা গেলো , সাড়ে ছ হাজার পেয়ে কেউ জিতলেন । মনে রাখতে হবে হেসেনের বিধান সভায় আছে সত্তরটি আসন কিন্তু সরাসরি নির্বাচনে তার অর্ধেক সিট নির্ধারিত হয়।

    মূর্খের মতন প্রশ্ন করলাম, বাকি পঁয়ত্রিশ জন কিভাবে বাছা হবে ?

    নিহুস বললেন,  ব্যালট পত্রে টিক দেবার জায়গা দুটো -প্রার্থীর নাম এবং তার পাশে দলের নাম।  সে দল ঐ প্রার্থীরই  হতে হবে এমন মানে নেই;  ধরুন আপনি ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নের প্রার্থীকে ভোট দিলেন । তাঁকে  আপনার পছন্দ কিন্তু আপনি রাজনীতিতে রাস্তার বাঁ দিকে হাঁটতে ভালবাসেন , তাই সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক দল আপনার বেশি পেয়ারের । অর্থাৎ সরাসরি ভোটটা দিলেন ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন পার্টির কাউকে কিন্তু বৃহত্তর অর্থে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক দলকে ভালবেসে স্বচ্ছন্দে সেখানে টিক মেরে দিলেন।

    সরাসরি প্রার্থীর বাইরে প্রত্যেক পার্টির একটা লিস্ট তৈরি করা থাকে, যে দল যত বেশি পারসেন্ট ভোট পাবে তাদের  অধিকার তত বেশি বিধায়ক পাঠানোর।  কিন্তু হিসেবটা এখানেই শেষ নয়;  ঐ যে সরাসরি যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাঁদের ভোট সংখ্যার সঙ্গে জোড়া হবে পার্টি যে ভোট পেয়েছে ( ছবিতে দেখুন, দ্বিতীয় লিস্ট ) এই দুটো মিলিয়ে যে দল ৫০.১ % ভোট পেয়েছে সে দল সরকার গঠন করতে পারে । তাদের একার মুরোদে না কুললে কোয়ালিশনের গাঁটছড়া ।


    পাঠক!  জানি এ অবধি পড়ে আপনার মাথা ঝিমঝিম করছে । সেদিন আমার মনে হয়েছিল কি মরতে ক্লাউস নিহুসের কাছে এ প্রসঙ্গ পেড়েছিলাম ! শ্রীধর ( পরে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ) একটু ভ্রুভঙ্গিতে ক্লাউসকে বিড়ম্বিত না করার অনুরোধ জানাল। সে আমলে গুগল নেই, জার্মান লাইব্রেরিতে গিয়ে দেশের নির্বাচন পদ্ধতি বোঝার মতন ভাষার দৌড় নেই । অতএব লোকমুখে জ্ঞান আহরণ করাটাই একমাত্র পথ ; আমার প্রিয় বন্ধু , চিফ এবং পথ প্রদর্শক ( ফ্রয়েনড ফুয়েরার উনড ফিলসফ ) অরটউইন কোন প্রকারের রাজনৈতিক আলোচনা থেকে শত হস্ত দূরে থাকে । এমন সময়ে পেলাম দিয়েতরিখ  লেমানকে;  তাঁদের আদি বাড়ি এককালের শ্লেজিয়েন  /সাইলেশিয়া ; বর্তমান পোল্যান্ডের ভ্রতস্লাভ ( পুরনো জার্মান নাম ব্রেসলাউ)।  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে সাইলেসিয়া থেকে বিতাড়িত হাজার হাজার জার্মানদের মতন লেমান পরিবার পদব্রজে  প্রথমে যুদ্ধ বিধ্বস্ত পশ্চিম জার্মানিতে এসেছিলেন।  দিয়েতরিখের  পিতা মাতা দশ বছরের ছেলেকে নিয়ে  শান্তির নীড়ের সন্ধানে চলে যান অনেক দূরে, আফ্রিকায় পর্তুগিজ কলোনি মোজাম্বিকে, সেখানে দিয়েতরিখের স্কুল পর্ব । প্রথম কয়েক বছর ভালো কাটলে কি হবে, কপাল গেছে  সঙ্গে! সেখানে প্রথমে শুরু হলো কলোনিয়াল পর্তুগিজের সঙ্গে  সংঘর্ষ ,  তার পরে গৃহযুদ্ধ।  অগত্যা তাঁরা গেলেন দক্ষিণ আফ্রিকা;  ছয়ের দশকে সাদা কালোর সংঘাত সেখানে তুঙ্গে । ততদিনে পিতা বিগত , মাতা বললেন যা থাকে কপালে, জার্মানি যাই , দেশটা তেমন  চিনি না তবু তারা অন্তত ভাষাটা বলে! দিয়েতরিখ এলেন ফ্রাঙ্কফুর্ট । বিয়ে করেন নি।  বাড়িতে অজস্র বই।   প্রচুর পড়াশোনা করেছেন , করেন। স্কুলে  পর্তুগিজ স্প্যানিশ শিখেছেন , ভালো আফ্রিকানস জানতেন ( মোজাম্বিক ও দক্ষিণ আফ্রিকা বাসের কারণে )। নানা দেশ ঘুরে , নানান যুদ্ধ দেখে,  এতবার ঘা খেয়ে হারিয়েছেন বিশ্বাস।  তিনি পলিটিকালি কারেক্ট কথাবার্তার ধার ধারতেন না।  একদিন বললেন, আইরিশ রিপাবলিকান আর্মির স্টাইলে আমাদের উচিত একটা সাইলেসিয়ান রিপাবলিকান আর্মি বানিয়ে সাইলেসিয়া উদ্ধার করা । নুরমেবেরগে আদালত খুলে ভিয়েতনামে আমেরিকানদের ওয়ার ক্রাইমের বিচার হোক।

    তাঁর সঙ্গে এই আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব নিয়ে আলোচনা করছিলাম একদিন আমাদের  ওঙ্কেল মাক্স পাবে বসে। দিয়েতরিখ বললেন এই সিস্টেমটা জটিল মনে হতে পারে আপনার কাছে কারণ আপনারা ব্রিটেনের ওয়েস্ট মিনসটার স্টাইলে দশজনের মধ্যে যে বেশি ভোট পেল তাকেই নির্বাচন করেন।  সে ব্যবস্থা আমাদেরও আছে, কিন্তু ভাইমার সংবিধান স্থির করেছিল দেশ সেই দলই শাসন করবে যারা দেশের ভোটারদের অন্তত অর্ধেকের বেশিজনের  মত পেয়েছে । ব্রিটিশ সিস্টেমে ৩২% ভোট পেয়ে কোন দল নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেতে পারে – ভাইমার সংবিধান সেটির রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিল।

    কিন্তু সমস্যা দেখা দিলো  অন্যত্র –সংখ্যা গরিষ্ঠ না হলে বৃহত্তম দলকেও কোয়ালিশনে যেতে হয় । সে কোয়ালিশন হবে কাদের সঙ্গে? আর যদি ঠিক বনিবনা না হয় তাহলে? আবার নির্বাচন ? এই অনিশ্চয়তার দরোজা দিয়েই তো ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট পার্টি ক্ষমতা দখল করেছিল , সেটি আর ফেরত দেয় নি !

    জার্মানিতে আসার পর এই প্রথম কোন জার্মান হিটলার প্রসঙ্গ তুললেন ।

    অয়মারম্ভ।  সে ইতিহাস জানতে গেলে আরও গভীরে যেতে হবে। 
     
    যাবো। 

    ক্রমশ
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১২ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Amit | 118.208.***.*** | ১৩ এপ্রিল ২০২৪ ০৩:৫৬530533
  • এইটা একটা দারুন শুরু হয়েছে। ডেমোক্রেসি র প্যাচ পয়জার একেবারে। মেজরিটি সিলেকশন কিভাবে হবে তার জটিল সব হিসেব নিকেশ।  লিখতে থাকুন প্লিজ। 
     
    এই সরকারি টিভি থেকে জার্নি শুরু করে আজকের হাজার হাজার ২৪*৭ চ্যানেল- এই পথটা যে কটা দেশে থেকেছি মোটামুটি সিমিলার। বাকি বেশির ভাগ দুনিয়াও হয়তো তাই। গত ৩০-৪০বছরে পুরো একটা মেজর স্টেপ জাম্প। আজকের মিডিয়া মোঘল রা হয়তো অনেক দেশের সরকারের থেকে বেশি পাওয়ারফুল। 
     
    এক ওই নর্থ কোরিয়া আর কয়েকটা এক্স সোভিয়েত রিপাবলিক বা তালিবান টাইপস ডিক্টেটর রেজিমে গুলো ছাড়া। 
  • Kishore Ghosal | ১৩ এপ্রিল ২০২৪ ১১:১৬530553
  • বহুদিন ধরেই আমাদের নির্বাচনের প্রক্রিয়াটা বেশ বিরক্তিকর এবং অদ্ভূত লাগে, কারণ, 
    ধরা যাক, ভোটার সংখ্যা  ১০০
    ভোট দিল - ৮২ জন।  (স্বাভাবিক  নিরপেক্ষ অবস্থায়) (কখনো কখনো ক্ষমতায় থাকা দল ১১০/১১৫ জনের ভোটও ভৌতিক ভাবে আদায় করতে পারে। 
    দল ক পেল - ৩৬ টা ভোট
    দল খ পেল - ৩২ টা ভোট
    অন্যান্য গ, ঘ, ঙ এবং নির্দল মিলে পেল - ১৪টা ভোট।
    মাত্র ৩৬টা  লোকের সমর্থনে এখানে দল ক নির্বাচিত হল- কিন্তু তার বিরুদ্ধে রইল ৪৬ জন এবং ১৮ জন (যারা ভোট দেয়নি) - মোট ৬৪ জন।  
    জানি না জার্মান পদ্ধতিতে এর কোন সুরাহা করা যায় কি না।     
  • হীরেন সিংহরায় | ১৩ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৪২530555
  • কিশোর 
     
    আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া ইংরেজের দান -  ওয়েস্টমিনস্টার স্টাইল।  ঠিক আপনি যেমন দেখিয়েছেন ৩৬ জনের সমর্থনে ( ৩৬%) একশ জনের মধ্যে একজন নির্বাচিত হতে পারেন .ইউরোপে আজ ইউ কে একমাত্র দেশ যেখানে এই পদ্ধতি চালু আছে এবং আমাদের দেশে আমরা আঁকড়ে ধরে আছি। 
     
    ১৯৭৯ সালে মিসেস থ্যাচার বিশাল সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করেন – ৩৪% প্রদত্ত  ভোট পেয়ে একটা হিসেবে দেখানো হয়েছিল ৭০% মতদাতা ভোট দেন অর্থাৎ ২৩% মতদাতার ভোটে থ্যাচার পেলেন বিশাল সাফল্য ।  ভারতে বিগত দুটি সাধারণ নির্বাচনে ঠিক তাই হয়েছে। 
     
    এটা আজ ইউরোপে কোথাও সম্ভব নয় – আলবানিয়া আইসল্যান্ড থেকে সুইডেন মাল্টা ৪৩টি দেশের কোথাও। একশো বছরের বেশি আগে যখন কিছু মানুষ জার্মানির প্রথম গণতান্ত্রিক সংবিধান লিখতে বসলেন তাঁরা বললেন প্রদত্ত ভোটের ভিত্তিতে পার্টির  সংখ্যা গরিষ্ঠতা  নির্ণয় হবে।  ১৯৪৯ সালের সংবিধানে একটু পরিবর্তন হল – ভোটার দুটি ভোট দিলেন , একটি পাড়ার প্রত্যাশীকে ( তিনি যা পার্টির হন না কেন) অন্যটি তাঁর প্রিয় পার্টিকে কিন্তু আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ফরমুলা বজায় রেখে। 

    জন্ম থেকে আমাদের লিব ডেম পার্টির ম্যানিফেসটোতে প্রপরশনাল রিপ্রেসেনটাশানের দাবি লিখিত হয়েছে।

    ইংরেজ তাদের ফার্স্ট পাসট দি পোস্ট -আপনার উদাহরণ অনুযায়ী – নির্বাচন পদ্ধতি শিখিয়ে গেছে তাদের সকল আফ্রিকান কলোনিকে । পারে নি দুটি সাদা কলোনিকে -অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ড।
     
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:f70:4ce:713a:***:*** | ১৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৫৬530562
  • বিভিন্ন ভোটিং সিস্টেমের অ্যাবসার্ডিটি নিয়ে কোথাও একটা লেখা পড়েছিলাম। দুটো রেজাল্ট দেখে মজা লেগেছিল। দুটোই ব্রিটিশ সিস্টেম নিয়ে।
     
    এক, কত কম ভোট পেয়ে একটা পার্টি পার্লামেন্টে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পারে? যদি p টা পার্টি থাকে, এবং অসংখ্য আসন ও প্রতি আসনে অসংখ্য ভোটার থাকে তো 50/p শতাংশের সামান্য বেশী ভোট পেলেই চলবে। দুটো পার্টি থাকলে 25%, দশটা পার্টি থাকলে 5%।
     
    দুই, কত বেশী ভোট পেয়ে কোন পার্টি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেতে পারে? উত্তর হল 50 + 50/p শতাংশের সামান্য কম। দুটো পার্টি থাকলে 75% এর কম হলে হবে না, দশটা হলে 55%।
  • হীরেন সিংহরায় | ১৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:১২530563
  • এই অনবদ্য ব্রিটিশ অবদানকে বাকি ইউরোপ প্রত্যাখান করেছে সঙ্গত কারণেই ! হয়তো ব্রিটেন আমেরিকায় টিকে আছে টু পারটি সিস্টেমের সৌজন্যে! 
  • DEBABRATA MANDAL | ১৩ এপ্রিল ২০২৪ ২১:৩৮530576
  • হিটলারি জমানার বর্ণনার রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষা .....
  • s | 209.64.***.*** | ০৯ মে ২০২৪ ০৮:৫৩531520
  • আমেরিকায় কিছু জুরিসডিকশনে লোকাল ইলেকশনের জন্যে এখন র‌্যান্কড চয়েস ভোটিং ব্যবহার হচ্ছে। তবে প্রেসিডেনশিয়াল ইলেকেশনে এর ব্যবহার কবে হবে বলা মুশকিল। এই প্রসেসে যে প্রার্থী সবথেকে বেশি ফার্স্ট চয়েসের ভোট পান তিনি উইনার। ধরা যাক ক, খ আর গ এই তিনজন প্রার্থী আছেন। প্রথম রাউন্ডে ক যদি মেজরিটির ফার্স্ট চয়েস হন, তাহলে তিনি আইটরাইট উইনার। কিন্তু যদি কোনো ক্লিয়ার মেজরিটি না পাওয়া যায়, তাহলে যে প্রার্থী সব থেকে কম ফার্স্ট চয়েস পেয়েছেন - ধরা যাক খ, তিনি এলিমিনেটেড এবং অটোমেটিকালি সেকেন্ড রাউন্ড শুরু হয়। এখন যারা খ কে ফার্স্ট চয়েস হিসেবে ভোট দিয়েছিল তাদের সেকেন্ড চয়েসকে ফার্স্ট চয়েস ধরে আবার গোনা শুরু হয়। যতক্ষণ না কোনো ক্লিয়ার উইনার পাওয়া যায়, এই সাইকেল চলতে থাকে। তবে এই সিস্টেমের মুশকিল হল সময় বেশি লাগে এবং কাজটা খুব সহ্জ নয়। কিন্তু উইনারস টেক অল সিস্টেমের থেকে বেটার।
  • হীরেন সিংহরায় | ১১ মে ২০২৪ ১২:০৯531603
  • ঠিক । এই পদ্ধতিতেই অনেক দেশে সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়ে থাকে । যেমন ফ্রান্স অথবা  আর্জেন্টিনা। কোন কলোনি ছাড়ার আগে ব্রিটেন দিয়ে এসেছে এই ফার্স্ট পাস্ট দি পোস্ট সিস্টেম ; এতে  জনমতের সঠিক প্রতিফলন হয় না , ৩৩% ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করা সম্ভব । এই ব্যবস্থায় ছোটো দল গুলি ভোট পায় কিন্তু প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পায় না । একটা স্ট্যাটিস্টিকস দিই 
     
    গত সাধারণ নির্বাচনে ( ২০১৯ ) লিবারাল ডেমোক্র্যাট দল  পায় ১১.৫% (৩৭ লক্ষ ) ভোট  কিন্তু এগারোটি সিট  তাহলে সিট পিছু ৩,৩৬,০০০ ভোট 
     
    কনজারভেটিভ : ৪৩%, ( ১,৩৯,৬৭,০০০ ) ভোট ৩৬৫ আসন - সিট পিছু ভোট ৩৮,০০০ 
    লেবার :            ৩২% ( ১,০২, ৬৮,৭৭৬ ) ভোট   ২০২ আসন   সিট পিছু ভোট   ৫০,০০০ 
     
    এই সিস্টেম দুটো দলকে টিকিয়ে রাখে , অন্যদের সুযোগ দেয় না । 
     
    মারগারেট থ্যাচার বলতেন , এখন শ্রী সুনাক বলেন, ছোটো পার্টিকে ভোট দেওয়া মানে ভোট নষ্ট করা এবং কোয়ালিশন সরকার দুর্বল !
    ১৯১৯ সালে লেখা জার্মানির ভাইমার সংবিধানের  নির্বাচন পদ্ধতি বাকি ইউরোপ ( এমনকি নিউ জিল্যান্ড -১৯৯৪- চালু করেছে ) গ্রহণ করেছে। বিলম্ব হয় না , ভোটের রেজাল্ট পাওয়া যায় পরের দিনে । হ্যাঁ , ১৯৫৭ -১৯৬১ বাদে জার্মানি বরাবর বিভিন্ন দলের কোয়ালিশনে শাসিত হয়েছে । তাতে সে দেশের কোন ব্যাপক বিপর্যয় হয় নি । 
     
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন