এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভ্রমণ  জাদু দুনিয়া

  • জাতীয় জাদুঘর /১

    দীপাঞ্জন মুখোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | জাদু দুনিয়া | ২০ জানুয়ারি ২০২৪ | ৬২৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • লুটিয়েনের দিল্লীতে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে কর্তব্য পথ [আগে যেটা রাজপথ ছিল] ধরে ইন্ডিয়া গেটের দিকে হাঁটতে থাকলে জনপথের চৌরাস্তায় বাঁদিকে ঢুকলে জাতীয় মহাফেজখানা আর ডানদিকে ঢুকে গেলে জাতীয় জাদুঘর। জাদুঘরের বর্তমান তিনতলা প্রধান বাড়িটা ১৯৬০ সালে উদ্বোধন হয়েছিল। প্রথমে বলা হয়েছিল বর্তমান সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের আওতায় এই বাড়িটা ভেঙে ফেলা হবে। কিন্তু কালকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী বাড়িটা ভাঙা হবে না কারণ এখনকার দু লক্ষ পুরাবস্তু জমা রাখার মত কোনো জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। এমনিতেও যেকোনো সময়ে মাত্র ১০ শতাংশ জিনিস দেখা যায় , সেদিক থেকে দেখলে ব্যাপারটা ওই আধুনিক শিল্প গ্যালারির মতোই। রোজ গেলে কিছু নতুন নতুন জিনিস দেখা যাবে। আর মাঝে মাঝে কিছু জিনিস গুপ্তস্থান থেকে বের করে বিশেষ থিমের ওপর প্রদর্শনী করা হয়। 
     
    এই জাদুঘরের সবথেকে পুরোনো হরপ্পা মহেঞ্জোদারোর গ্যালারি দিয়ে শুরু করা যাক। 
     

    প্রথমেই সেই বিখ্যাত চার হাজার বছর+ পুরোনো নর্তকী এবং তার সামনের কুকুরের ব্রোঞ্জের মূর্তি। ১৯২৬ সালে পাঞ্জাবের সিন্ধ প্রদেশে মূর্তিটা আবিষ্কার হয়েছিল। 
     
    চুনাপাথরের তৈরী মহেঞ্জোদারোর বুড়ো সাধুর মাথা 
     

    মাথায় মুকুট পরা পশুপতি এবং গিলগামেশ সীল। হিটাইটদের মহাকাব্য অনুযায়ী উরুক শহরের গিলগামেশ ১৬ ফুট লম্বা ছিলেন এবং একা দুই বাঘের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন। 
     

    একশৃঙ্গ প্রাণীর সিল 
     
    অদ্ভুত দেখতে ল্যাজওলা মানুষ , অনেকটা গ্রীক সেন্টরের মত। 
     

    গন্ডার 
     
    জেলিফিশ ?
     
    স্বস্তিকা চিহ্ন ?!
     
    এবার কয়েকটা টেরাকোটার মূর্তি দেখা যাক। সিন্ধু নদী উপত্যকার মানুষরা জন্তু জানোয়ারদের সিলের পাশাপাশি ছোট ছোট মূর্তিও বানাতেন। 
     
    একদম ওপরে দুটো কুঁজওয়ালা বৃষ। নিচে কাঁচের বাক্সে দেখুন একটা বাঁদর তেলমাখানো বাঁশে উঠতে চাইছে। 
     

    শুয়োরের মাথা ইত্যাদি। ট্যাক্সিডার্মি করার বদলে টেরাকোটা। 
     
    মোরগ এবং বিড়াল 
     
    এবারে মানুষ 
     

    এই মূর্তিগুলোকে বলা হচ্ছে সবথেকে প্রাচীন যোগ অভ্যাসকারী , সুন্দর হাত জোড় করে নমস্কাররত মূর্তি।  কোণায় খেলনা গরুর গাড়ি বাচ্চাদের জন্য। 
     

    তুলাপাত্র এবং নানা ভারের ওজনসমূহ 
     
    তৎকালীন দেবীমূর্তি। কোমরে বেল্ট , গলায় মালা। 
     
    এর পাশে আছে এক গর্ভবতী নারীমূর্তি যার মাথাটা জন্তুর 
     
     
    বর্তমান ভারতের ধোলাভিরা , রাখিগর্হি , লোথাল এইসব জায়গায় এই সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। লোথালে বন্দর ছিল। কচ্ছের রণের মধ্যে ধোলাভিরা ছিল ছোট এক নগর , তখনও কচ্ছের রণ লবনাক্ত মরুভূমিতে পরিণত হয়নি। হরিয়ানার রাখিগর্হিতে পাওয়া গেছে সেসময়ের সমাধি এবং তার সঙ্গের জিনিসপত্র। সেখানকার একজন নারীর কঙ্কালও  রাখা আছে এখানে। 
    সিন্ধু সভ্যতার মানুষেরা পরজন্মে বিশ্বাস করতেন। সমাধির সংগে মিশরীয়দের মতোই নানা সামগ্রী পোঁতা পাওয়া গেছে। 
     

    পোড়ামাটির কলসের গায়ে অলঙ্করণ 
     
    আরেকটা অলঙ্করণ এবং গড়নের কলস। নানারকম গড়ন দেখে মনে করা হয় কোনোটাতে খাদ্যশস্য , কোথাও অন্য কিছু জমা রাখা হত। 
     
    সেযুগের গরুর গাড়ি , ঢালাই ব্রোঞ্জের তৈরী 
     
    এরপর ঢুকছি মৌর্য্য , শুঙ্গ এবং সাতবাহনদের গ্যালারিতে।  
     

    মৌর্য্য যুগের বেলেপাথরের ছিন্ন মাথা 
     

    গ্রিফিন সমেত সাতবাহনদের সাঁচী স্তুপের এক তোরণের অংশ 
     

    সিদ্ধার্থের জন্মের সময় তার পিতা , কপিলাবস্তুর রাজা শুদ্ধোদনের প্রাসাদে অসিত মুনির আগমন। অসিত ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন কালক্রমে সিদ্ধার্থ হয় চক্রবর্তী হবেন বা একজন বিখ্যাত ধর্মগুরু। সাতবাহন যুগের এই স্তম্ভ পাওয়া গেছে অন্ধ্রপ্রদেশের অমরাবতী স্তুপ থেকে। 
     
    সাতবাহনদের অমরাবতী স্তুপের আরেকটি পাথরের স্ল্যাব 
     
    ইক্ষাকু বংশের সময় [তৃতীয় শতাব্দী] এক বৌদ্ধ স্তুপের চুনাপাথরের স্ল্যাব। অন্ধ্রপ্রদেশের নাগার্জুনকোন্ডা থেকে পাওয়া গেছে। 
     
    ইক্ষাকু বংশের আরেক লম্বাটে আয়াগাপট্টর অংশ। গৌতম বুদ্ধের জাতক কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। 
     
    গৌতম বুদ্ধ অথচ গ্রীক রাজাদের মত দেখতে লাগছে। 
     

    কুষাণ যুগে পেশোয়ারের কালো Schist পাথরের থেকে তৈরী বিখ্যাত দুই গান্ধার বুদ্ধমূর্তির মধ্যে একটা 
     

    কালো Schist পাথরের বহুল ব্যবহার এবং গ্রিক ভাস্কর্যের সঙ্গে অনেক মিল থাকায় গান্ধার শিল্পকলা দেখলেই চেনা যায় 
     

    মথুরা ঘরানায় লাল পাথরের তৈরী কুষাণযুগের কুবেরের মূর্তি। নোয়াপাতি ভুঁড়ি এবং পাকানো গোঁফ। 
     
    যুধিষ্ঠির এবং জয়দ্রথের লড়াই / গুপ্তযুগ [ ষষ্ঠ শতাব্দী] / টেরাকোটা / উত্তর প্রদেশের অহিচ্ছত্র থেকে পাওয়া 
     
    শিবের বামন অবতার / বকাটক সাম্রাজ্য [ পঞ্চম শতাব্দী ] / মহারাষ্ট্র 
     
    গুপ্ত যুগে সারনাথের লিওগ্রাফ 
     

    কৃষ্ণ পা দিয়ে রথ উল্টে দিচ্ছেন  /  গুপ্তযুগ / উত্তরপ্রদেশের দেওগড় থেকে পাওয়া 
     
    রাম কর্তৃক অহল্যার শাপমোচন / গুপ্ত যুগ / দেওগড় , উত্তর প্রদেশ / লালপাথর 
     
    দক্ষযজ্ঞ ধ্বংস / গুপ্তযুগ / অহিচ্ছত্র , উত্তর প্রদেশ /  টেরাকোটা 
     
    বৃষাননা যোগিনী / প্রতিহার বংশ [দশম শতাব্দী] /  উত্তর প্রদেশের বান্দা থেকে পাওয়া গেছে 
     
    দাক্ষিণাত্যের পল্লব বংশের সিংহ স্তম্ভের অংশ [সপ্তম শতাব্দী] 
     

    দাক্ষিণাত্যের পল্লব বংশের জৈন তীর্থঙ্কর [দশম শতাব্দী] 
     
    দাক্ষিণাত্যের চোল বংশের [দ্বাদশ শতাব্দী] বিষ্ণুমূর্তি , বসে থাকা অবস্থায় 
     
    দাক্ষিণাত্যের চোল আমলের দাঁড়িয়ে থাকা বিষ্ণুমূর্তি। দক্ষিণ ভারতের বিষ্ণুমূর্তির হাতগুলো একটু অন্যরকম , পরে বিশদে লিখব। 
     
    জাদুঘরের বাড়ির ভেতরে এই খোলা আকাশের নীচে বৃত্তাকার উঠোন। সেখানে এসে বাইরের উইংগুলো সব করিডোরের মাধ্যমে মিশেছে। নীচের মূর্তিগুলো আছে বৃত্তকে ঘিরে ঢাকাপথে যেগুলো দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আবার মূল গ্যালারিতে ফিরে যাওয়া যায়। 
     

    বাংলার পালযুগের [দ্বাদশ শতাব্দী] সূর্যদেবের মূর্তি। 
     
    মধ্যপ্রদেশের পারমার বংশের [দ্বাদশ শতাব্দী] চামুন্ডা মূর্তি 
     
    অষ্টম শতাব্দীর বাংলার পালযুগের নরসিংহ অবতার 
     

    বাংলার সেনযুগের চামুন্ডা [দ্বাদশ শতাব্দী] 
     
    এর পরে লিখব ব্রোঞ্জ গ্যালারি , ছবি এবং মুদ্রার গ্যালারি নিয়ে। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ভ্রমণ | ২০ জানুয়ারি ২০২৪ | ৬২৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ২০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:০১527814
  • আহা সেই কব্বে ১৭-১৮ বছর আগে দেখেছিলাম।
     
    মহেঞ্জোদড়োর মুর্তির সাথে উনিজির চেহারার বেশ মিল আছে কিন্তু। হরপ্পার নর্তকীর একটা পরিবর্তিত রেপ্লিকা বানিয়েছিল সেন্ট্রাল ভিস্তা উদ্বোধনের সময়। সে যে কি কুচ্ছিত দেখতে বানিয়েছিল...  নিজেদের মগজের গোবরগুলো লেপে দিয়েছিল এক্কেরে। 
     
    আমি গত বছরে  কখানা হরপ্পার সিলের রেপ্লিকা সংগ্রহ করেছিলাম। 
  • দীমু | 182.69.***.*** | ২০ জানুয়ারি ২০২৪ ২০:২৩527823
  • laughlaugh 
     
    হ্যাঁ সিলগুলো বেশ ভালো দেখতে। ফ্রিজ ম্যাগনেট বানানো যেতে পারে। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন