এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বাঙালের রোমানিয়া গমন! 

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৯ এপ্রিল ২০২৩ | ১৪৫৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৩ জন)
  • আচ্ছা, ইউরোপে মানুষ আসে কেন? গতকাল একজনের সাথে পরিচয় হল। কথা বলছি এর মধ্যে একজন কাছে এসে সিগারেটের আগুন চাচ্ছিল, ভাষা বুঝি নাই, আরবি হতে পারে বলে মনে হল। আমি যার সাথে কথা বলছিলাম ওই লোক পকেট থেকে লাইটার বের করে গরগর করে কথা বলা শুরু করল। দুই জন বেশ আলাপ করল। সিগারেটখোর চলে যাওয়ার পরে আমি জিজ্ঞাস করলাম, আরবি? এত চমৎকার আরবি বলেন? তিনি বললেন, হুম, আরবি, ১৭ বছর সৌদি থেকে এসেছি! আমি এবার একটা হোঁচট খেলাম, একজন ১৭ বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে কেন আবার রোমানিয়ায়? কিসের নেশায়? 

    একই চিত্র আমি আরও দেখলাম। আমার আশেপাশের প্রায় সবাই, যারা বিদেশ করে এখানে এসেছে তারা সবাই লম্বা মেয়াদে কাতার, সিঙ্গাপুর, মালয়শিয়া, সৌদি, দুবাই কাটিয়ে এখন আবার রোমানিয়ায় হাজির! প্রশ্ন হচ্ছে কেন? এদের প্রায় সবাই এক বাক্যে বলে যে ওই দেশ গুলো ভাল ছিল, দেশ হিসেবে উন্নত, তারা শ্রমিক হিসেবে এখানের থেকে ভাল ছিল সেখানে। কারো ভাল পদ ছিল, কেউ অনেক ভাল কামাই করত। কিন্তু প্রশ্ন সেটাই, আবার কেন রোমানিয়ায় মত দেশে আগমন তাদের? 

    উত্তর হচ্ছে রোমানিয়া ইউরোপের দেশ। শেঙ্গেন ভুক্ত না কিন্তু ইউরোপ। মানুষের চোখে ইউরোপ এমন এক জায়গা নিয়ে বসে আছে যে বয়স ৫০ পার করে ফেলেছে, সে হাজির ইউরোপ দরজায়। এদের প্রায় সবাই ইউরোপের সংস্কৃতি নিয়ে বিরক্ত, ইউরোপের যা আসল সৌন্দর্য, মানুষের মর্যাদা, মুক্তচিন্তা, ব্যক্তিস্বাধীনতা এই সব তাদের খুব অপছন্দ। অথচ কেউ কেউ দশ লাখ টাকা খরচ করে এসেছে এই দেশে। এবং এরা কেউই এখানে থাকবে না তা এক প্রকার নিশ্চিত। প্রত্যেকেই মূল ইউরোপে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা মাথায় নিয়ে বসে আছে। ইতালি ফ্রান্স, স্পেন, পর্তুগালে এদের বেশিরভাগকেই দেখা যাবে আগামী ছয় মাসের মধ্যে। যাওয়ার সোজা পথ নাই, যাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, এত টাকা খরচ করে এসেছে তার বেশির ভাগ হয়ত জলে যাবে। সীমান্তে ধরা খেয়ে জেলে যেতে হতে পারে, বাড়িতে মানে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে, এই সব জেনে বুঝে সবাই ঝুঁকি নিয়ে চলে যাবে। ইউরোপের কোন বিষয়টা তাদেরকে এমন ঝুঁকি নিয়ে উদ্বুদ্ধ করছে? কেউ আমাকে সঠিক উত্তর দিয়ে পারেনি। সবাই বলে আরে ভাই, ইউরোপ বুঝেন না! আমি তো বুঝি, আপনে বুঝেন কতখানি? অলিক স্বপ্ন নিয়ে এমন ঝুঁকি নিচ্ছে ওই ৫০ পার করা লোকটা? না কি ইউরোপ বলতে বুঝে সুন্দর গাছপালা, ভাল দালান কোঠা, ঝকঝকে সাদা মানুষ, ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা আবহাওয়া? ইউরোপ কেসের নাম এদের কাছে?
    আমার সাথে কথা হয়েছে যাদের তারা প্রায় সবাই ইউরোপের সভ্যতা সম্পর্কে বিন্দুমাত্র জ্ঞান রাখে না। রোমানিয়ান আর রোমান এক জিনিস না সেটাও জানে না। ফরাসি, ডাচ, ফিনিশ, ইংলিশ, স্ক্যান্ডিনেভিয়ান কারো সম্পর্কে ধারনাও নাই। এই সব না জানলে আসা যাবে না এমন না। এই জাতিগুলোর ঐতিহ্য, ইতিহাসে আগ্রহী হলেও একটা কথা ছিল। আমি জানতে চাইছি কেন, ঠিক কী কারণে ইউরোপের এমন দুর্গম রাস্তায় সবাই? 
    নব্বই শতাংশের উপরের প্রচণ্ড আপত্তি আছে ইউরোপিয়ান সংস্কৃতি নিয়ে, ব্যক্তিস্বাধীনতা নিয়ে, বাক স্বাধীনতা নিয়ে, মুক্ত চিন্তা নিয়ে। নব্বই এমনেই লেখছি, একটু হাতে রেখে, সত্য হয়ত আরও বেশি ভয়াবহ!  

    আমি আমার কথা জানি। আমার কাছে রোমানিয়া না হয়ে লিথুনিয়া হলেও সমস্যা ছিল না। রোমানিয়ায় সহজে আসা যাচ্ছে বলেই আসছি এখানে। আমার দরকার ঘুরে দেখা। আমি স্থির হব কবে কোথায় জানি না। রোমানিয়া দেখব, কাজ করব, খাব, ঘুরব, এরপরে সহজ কোন পথে যদি এখান থেকে অন্য কোথাও চলে যাওয়া যায় চলে যাব। আবার যদি মনে হয়, বহুত হইছে, ঘরে চল। তাইলে সব বাদ দিয়ে চলব ঘরের পানে। আমাকে কেউ দিব্যি দেয়নি যে ইউরোপ জয় করেই ফিরতে হবে। আমি ঋণ করেও আসিনি তাই এমন না যে এই টাকা শোধ না করলে মহাজন ঘরের টিন খুলে নিয়ে যাবে। বাপের তৈরি একটা ঘর আছে, সেখানে ফেরা আমার জন্য আজীবনই সহজ পথ। ফিরতে চাইলেই ফেরা যাবে। তাই আমার জন্য সবই সহজ। কিন্তু বাকিদের তো এমন না। বাকিরা প্রায় সবাই সংসার রেখে, বাচ্চাকাচ্চা রেখে এসেছে। 

    ইউরোপ এদেরকে খুব বেশি বেতন দিবে এমনও না। ভাল বেতন পাওয়ার যে উপায় এরা প্রত্যেকেই তার থেকে শত শত মাইল দূর দিয়ে হাঁটছে। কেন কিসের টানে, কিসের নেশায় পঙ্গপালের মত সবাই রোমানিয়া আসছে তা আসলেই রহস্য আমার কাছে। বুঝার চেষ্টা করছি, যা বুঝছি তা এক ভয়ংকর সত্য। সবাই জায়গা চায় এখানে। ইউরোপ কাওকে ফেরায় না, কষ্ট করলে, কেউ যদি রাষ্ট্র ভেদে চার পাঁচ ছয় আট বছর কাটায় তাহলে এখানকার নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে, সত্য মিথ্যা জানি না, তবে সবাই তাই বিশ্বাস করে। ইউরোপ সবাইকে আশ্রয় দেয়। এখানে থাকলে এক সময় নাগরিকত্ব পাওয়া যায়, এখানকার একটা পাসপোর্ট কোটি টাকার চেয়েও দামি বলে মনে করে অনেকে। তো? সব যুক্তিতর্ক শেষ! এরা সবাই ইউরোপ নিবাসি হয়ে যাবে। ১৭ বছর যে সৌদি থেকে এসেছে সে জানে আরও ১৭ বছর থাকলেও কোনদিন সৌদি সরকার তাকে নাগরিকত্ব দিবে না। মালয়েশিয়া দিবে না, সিংগাপুর দিবে না, কাতার দিবে না, কুয়েত দিবে না, কেউ দিবে না। দিবে ইউরোপ। আর এই কারণেই হুমড়ি খেয়ে হাজির সবাই। যেহেতু মূল ইউরোপে ঢোকা কষ্টকর, প্রায় অসম্ভব তাই সহজে ইউরোপের রাস্তা হিসেবে রোমানিয়া ব্যবহৃত হচ্ছে। 
     
    আর এই সুযোগ নিচ্ছে রোমানিয়ানরাও। মানব পাচারের নতুন এক পন্থা আবিষ্কৃত করে এরা। ধরুন একটা কোম্পানির কাজের জন্য লোক লাগবে বিশ জন, সে যে তরিকায়ই হোক লোক আনার জন্য অনুমতি নিল দুইশজনের! দুইশন ওর রাখার জায়গা নাই, রাখার চিন্তাও নাই। ও জানে এরা আসছে চলে যাওয়ার জন্য। ও প্রতিটা পারমিট দালালের কাছে বিক্রি করে একটা দামে। দালাল ওইটা বিক্রি করে আরেকজনের কাছে, এমন করে কয় হাত হয় আল্লাই জানে, শেষে গিয়ে পারমিটের বা ভিসার দাম পরে আট লাখ, নয় টাকা। এখানে কেউ কেউ দশ লাখ দিয়েও এসেছে! রমরমা ব্যবসা করছে সকলেই। নতুন লোক আসার আগ পর্যন্ত শুধু ধরে রাখতে হবে, এরপরে চাইলে যেথা খুশি সেথা যা! 
     
    রোমানিয়ান সরকার সমস্যাটা নিয়ে কী ভাবছে আমি জানি না। সমস্যাটা ধরতে পাড়ছে কি না তাও জানি না। শুনতেছি ঢাকায় ভিসা দেওয়ার জন্য একটা দল গেছে রোমানিয়া থেকে। তারা গিয়ে খুব কড়াকড়ি করছে। ভিসা দিচ্ছে কম। এতে রোমানিয়ার জন্য ভাল হবে। রোমানিয়া শেঙ্গেনে ঢুকার জন্য চেষ্টা করছে। গত বছর অস্ট্রিয়ার ভেটোতে বাদ পরে গেছে, ক্রোশিয়া ঢুকে গেছে শেঙ্গেনে। রোমানিয়াও যদি ঢুকতে চায় তাহলে তাদের এই সব দিকে কড়া নজর দিতে হবে। আইন শক্ত হলে মনে হয় খুব ভয়ংকর একটা কাণ্ড হল। আসলে আইন কড়া হলে শেষ পর্যন্ত তা মানুষের কল্যাণেই লাগে। রোমানিয়া এই সব ভুয়া কোম্পানির প্রতি কঠোর হবে এমন আশা করে আছি। দেখা যাক সামনে কী আছে।  

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৯ এপ্রিল ২০২৩ | ১৪৫৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ইন্দ্রাণী | ০৯ এপ্রিল ২০২৩ ০৩:৪৩518465
  • শিরোনাম দেখে ফুরফুরে সুখময় লেখা ভেবে নিয়েছিলাম। কিন্তু
    এ তো মারাত্মক।
    মঞ্জীরা সাহার একটি ধারাবাহিক প্রকাশিত হয় এই সাইটেই, অন্য বই ও রয়েছে ওঁর।
    লেখা এই সাইটের সম্পদ মনে করি। আপনার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাও।
    এখন থেকে নিয়মিত পড়ব।
  • dc | 2401:4900:1cd1:3912:b8d0:b068:f000:***:*** | ০৯ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:৫১518471
  • সবকটা পর্বই পড়তে ভালো লাগছে আর এলিসিয়াম সিনেমাটার কথা মনে হচ্ছে। আশা করি একদিন সব দেশের মানুষ অবাধে সব জায়গায় যাতায়াতের সুযোগ পাবে, এই পাসপোর্ট ভিসা ব্যপারগুলোই উঠে যাবে। 
  • হীরেন সিংহরায় | ০৯ এপ্রিল ২০২৩ ১১:২৪518473
  • খুবই সুন্দর লিখছেন। এতো দিন ইউরোপে থেকেও ভেবে দেখি নি। কিছুটা সময় কাটানো গেলে ইউরোপ কাউকে ফেরায় না । একটা অসম্ভব মুক্ত মনে আপনি বিষয়টি দেখছেন। 
  • দীপাঞ্জন মুখোপাধ্যায় | ০৯ এপ্রিল ২০২৩ ১২:৪৮518477
  • এই লেখাগুলো এবং মঞ্জীরা সাহার ধারাবাহিক পড়লে মুজতবা আলীর 'নোনাজল' গল্পটাকে বারবার মনে পড়ে । yes
  • যোষিতা | ০৯ এপ্রিল ২০২৩ ১২:৪৮518478
  • নাগরিকত্ব এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটা মুক্ত সমাজ। সঙ্গে অর্থ, শিক্ষার অধিকার, সুস্বাস্থ্যের অধিকার, এ সবই ইয়োরোপের পজিটিভ দিক।
    তবে স্কিল্ড লেবার ব্যতীত কিছু কিছু দেশ চাকরি দেয় না। আমার জানা মতে শেঙ্গেনের জারমানি, অস্ট্রিয়া, সুইটজারল্যান্ড, এসব দেশে স্কিল্ড লেবার না হলে চাকরি পাওয়া মুশকিল তো বটেই, অসম্ভবও হতে পারে।
    তাই "হাজার মাইল দূরে হাঁটছে" যারা, তারা স্কিল্ড লেবার নয়। তাদের ওটা ছাড়া অন্য পথ নেই।
    পেপার ম্যারেজের দাম দেশ বিশেষে কম বা বেশি। ধার দেনা করেও বিবাহ করবে।
    এমন বিবাহ জানি, যেখানে নব্বই বছরের বৃদ্ধাকে বিবাহ করেছে তরুণ, একটু সস্তায় হবে বলে। সে থাকেও অন্যত্র। স্ত্রী ঘরে মরে পচে গেছে, পুলিশ গিয়ে খবর পেয়ে তরুণকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করছে - আপনি কেমন আছেন? আপনির স্ত্রী কেমন আছেন?
    তরুণ বলছে — সব ঠিকঠাক।
    তারপরে দেখা গেল, পেপার ম্যারেজ।
    শুধু নাগরিকত্ব পাবার জন্য অনেক পথ দিয়ে হাঁটতে এরা রাজি।
  • যোষিতা | ০৯ এপ্রিল ২০২৩ ১২:৪৯518479
  • এ সমস্তই প্রায় চল্লিশ বছর ধরে দেখছি প্রতিনিয়ত।
  • Kuntala | ০৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:৫৮518488
  • ইউরোপে আমাদের দেশগুলো থেকে দলে দলে অভিবাসী যায় কিছুটা উঁচুহারে শ্রমের মূল্য পাওয়ার জন্য, আর বেশিরভাগটাই সামাজিক নিরাপত্তার সুবিধাগুলোর জন্য। 
    তবে আপনি কবিতার চর্চা করেন বলে আপনার 'আমি চঞ্চল হে', হওয়া পোষায়, আর অন্যরা ইউরোপের ওইসব মুক্তচিন্তা, ব্যক্তিস্বাধীনতা ইত্যাদি জানে না বলে তাদের 'জাস্ট যাচ্ছি' - এরকম হওয়ার অধিকার নেই তা মানবো না।
    বাংলাদেশীরা, নেপালিরা, আর ভারতের পাঞ্জাবিরা  - সবাই জাস্ট যেতে ভালোবাসেন।
    একবার দিল্লিতে ফিলিপাইনের ভিসার জন্য দরখাস্ত করতে গিয়ে দেখি দলে দলে পাঞ্জাবি ভাইয়েরা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। আমি তো কনফারেন্স,  ওনারা ওই, 'জাস্ট যাচ্ছেন', ভাগ্য পরীক্ষায়।
  • কিংবদন্তি | ০৯ এপ্রিল ২০২৩ ২০:৫৫518497
  • @Kuntala, আমার লেখার সুর হয়ত ভিন্ন রকম হয়ে গেছে। আমিও কিন্তু এদের বিপক্ষে না। আমি শুধু পরিস্থিতিটা বলার চেষ্টা করেছি। আমি অনেকের আফসোস দেখে লিখেছি। তারা জাস্ট যাচ্ছি চিন্তা করে এসে এখন পস্তাচ্ছে। তারা কিছু না বুঝেই হাজির। তাদের ইউরোপ আমেরিকা সম্পর্কে সত্যই কোন ধারনা নাই। যারা জেনে বুঝে ঝুঁকি নিচ্ছে জীবনের উপরে তারা যাবেই, তাদেরকে কোন কিছুতেই ফিরিয়ে রাখা যাবে না। একেকজন এখানেই বলছে সাত বছর আট বছর টার্গেট, ততদিনে কাগজপত্র হয়ে যাবে বলে আশা করছে। এইটা চিন্তা করে, এত লম্বা সময় অবৈধ থাকার ঝুঁকি নিয়ে যাচ্ছে এইটা অবিশ্বাস্য একটা ব্যাপার আমার কাছে মনে হয়েছে। আর আমি আমার প্রসঙ্গ টেনে এনেছি কারণ আমার ক্ষেত্রে কী কাজ করেছে তাও বলা উচিত। কারণ ওরা আমি আসলে কোন পার্থক্য নাই। সবাই একই ভিসায় এসেছি। আমি থাকতে চাচ্ছি ওরা চলে যাবে বলে বসে আছে ব্যাগ গুছিয়ে। 
     
    @যোষিতা দিদি, ( দিদিই লেখলাম, কাকে যে কী বলে সম্বোধন করব বুঝে উঠতে পারি না!) এরা সম্ভবত কোন ভুল তথ্য পেয়ে এমন ঝুঁকি নিচ্ছে। কেউ বলছে ইতালিতে গেলে এখানে ফিঙ্গার প্রিন্ট দেওয়া থাকলেও কোন সমস্যা হবে না, ১৮ মাস পরে ফিঙ্গার প্রিন্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়! কেউ বলছে পর্তুগালে গেলে তিন বছরে কাগজপত্র তৈরি হয়ে যায়! কারো বক্তব্য হচ্ছে স্পেনে গিয়ে আবেদন করলে তিন চার বছরে কাগজ পেয়ে যাবে। আমি জানি না এগুলা কিছুই। তাদের মুখে যা শুনেছি তাই বললাম। আমি একজনকে বলেছি যে ভাই লম্বা সময় অবৈধ হয়ে থাকাটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে না। তিনি হেসে উড়িয়ে দিলেন। মাত্র গত পরশুদিন আমার সাথে ঢাকা থেকে এক সাথে এসেছে একটা ছেলে, বিক্রমপুর বাড়ি ওর। বাচ্চা একটা ছেলে, ২০২০ সালে মাধ্যমিক দিয়েছে। ও চলে গেল। আগের দিন শুধু আমাকে বলল ভাই আমি কালকে চলে যাব! আমার এত খারাপ লাগল! কিন্তু কী বলব ওকে? ও সব তৈরি করেই এসেছে দেশ থেকে। এখানে এসে থাকবে অল্প কয়েকদিন, চলে যাবে এরপরে। ও যাচ্ছে ফ্রান্স। ওর এলাকার এক বড় ভাই আছে, তিনি প্রাথমিক আশ্রয় দিবেন। ও এখন সীমান্ত পার হতে পারেনি। তিমিসোরা সীমান্তে বসে আছে। দালালরা সুযোগ বুঝে পাঠিয়ে দিবে। এই পাচার হওয়ার একটা নাম দিয়েছে মানুষ, গেম দেওয়া! সবাই গেম দিবে! ও এখন আছে গেম ঘরে। কী একটা অবস্থা! 
     
    সবাইকে ধন্যবাদ।  
  • Kuntala | ১০ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:১৭518520
  • আপনার লেখা সকলেই পড়ছেন, আলোচনা হচ্ছে, এটাই তো ভালো। আপনি লিখতে থাকুন। সত্যিই আরো উন্মোচন করতে পারলে এই লেখাটা একটা গুরুত্বপূর্ণ মানবিক দলিলে পরিণত হতে পারে। এর মধ্যেই 'এই দেশ করেছি', আর 'গেম করা', দুটি শব্দ প্রয়োগ শিখলাম। হয়তো মাস্টারি করার অভ্যাসর  দোষে প্রশংসা তেমন প্রকট হয়নি। সময় নিয়ে অনেকেই পড়ছি কিন্ত।
  • যোষিতা | ১১ এপ্রিল ২০২৩ ০০:২২518535
  • "রোমানিয়া এই সব ভুয়া কোম্পানির প্রতি কঠোর হবে এমন আশা করে আছি।"
    সাদেকভাই যে কোনও ব্যবসায়ে সাপ্লাই চেইন বলে একটা ব্যাপার আছে, সেখানে চাহিদা না থাকলে সাপ্লাই কমাতে হয়। এখানে মূল চাহিদা হচ্ছে "ইয়োরোপে  যাবার ইচ্ছা" তা সে মূল কারন যাই হোক না কেন। আইন কড়া করলেও ডিম্যান্ড কমবে না। যেটা হবে সেটা হচ্ছে যাবার জন্য দালালের ফি বেড়ে যাবে, যাবার পথ আরও কঠিন হবে, আরও ঝুঁকিপূর্ণ হবে।
    দেখুন প্রত্যেক বছর ভূমধ্য সাগরে অসংখ্য রবারের ডিঙিনৌকো উল্টে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয় এই একই কারনে। আফ্রিকার বিভিন্ন জলসীমা থেকে নৌকোগুলো ইয়োরোপের গ্রীস ইতালি পোর্তুগালের দিকে পাড়ি জমায়। তিনটেই শেংগেনভূক্ত দেশ। দালালকে টাকা দিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েও বিভিন্ন দেশের মানুষ  ছেলে বুড়ো স্ত্রীলোক শিশু নিয়ে ওভারলোডেড অবস্থায় ইয়োরোপে আসতে চায় উদ্বাস্তু হিসেবে। কারও দেশ যুদ্ধ বিদ্ধস্ত, কারও দেশে রাষ্ট্রবিপ্লব, দুর্ভিক্ষ, দারিদ্র্য, রাজনৈতিক অচলাবস্থা। শুধু বেঁচে থাকার জন্য, আরেকটু ভালভাবে বেঁচে থাকার জন্য, এই জীবন বাজি রেখে বিদেশ যাত্রা।
    জীবন তেমন সুখকর হয় না সবার জন্য। সবার অ্যাসাইলাম মেলেও না। বেশ কিছু মানুষ পোর্ট অফ এন্ট্রিতেই নতুন দালালের হাতে পড়ে ক্রিতদাস হয়ে যায়, মেয়েরা যৌনদাসী। 
    ইয়োরোপে প্রায় অদৃশ্য অন্ধকার জগৎ আছে একটা। এই জগতে কৃতদাসের সংখ্যা কম নয়। হিউম্যান ট্র্যাফিকিং তখনই হয়, যখন যে ট্র্যাফিকড হচ্ছে, সে স্বেচ্ছায় ট্র্যাফিকড হচ্ছে। অধিকাংশই স্বেচ্ছায়।
    আপনি যে ঘটনাগুলো দেখছেন/লিখছেন এগুলো একটাও নতুন গল্প নয়। আমরা সবাই এগুলো জানি যারা পশ্চিম ইয়োরোপের দেশগুলোয় থাকি।
    আইনের বাঁধুনি কড়া হলেও কিস্যু হবে না। 
    মূল সমস্যা অন্যখানে। এত রিস্ক নিয়ে কেন একজন উনিশ বিশ বছরের যুবক বর্ডারে গেম দেবার জন্য অপেক্ষারত? এখন তো তার লেখাপড়া করার বয়স। এই কিশোর বয়সে সে কেন এই চরম ঝুঁকি নিচ্ছে?
     
  • kk | 2601:14a:500:e780:be3b:bddb:2888:***:*** | ১১ এপ্রিল ২০২৩ ০১:২০518537
  • এই সিরিজটা অসম্ভব ভালো লাগছে। এত সরস কথার মধ্যে দিয়ে জীবনের খুব বড় সত্যি, অনেক অসুন্দর সত্যির ছবি কী স্পষ্ট আঁকা হচ্ছে। ঐ মানুষদের অনুভূতির কিছু অংশ বুঝতে পারছি। অনেক ব্যথা আছে তার মধ্যে, ভয়, ইনসিকিউরিটি, ডেসপেয়ার। কষ্টকর অনুভূতি।
  • যোষিতা | ১১ এপ্রিল ২০২৩ ০১:৩২518539
  • অন্যদিকে আরেকটা সাপ্লাই-ডিম্যান্ডের হিসাব ঐ সমান্তরাল অর্থনীতি।
    যেখানে প্যাকেজিং এর কাজ, হস্তশিল্প, যৌনদাসী, টয়লেট পরিস্কার করা, ট্রেনের বোগি ধোওয়া, লুকিয়ে গাঁজার চাষ, এসব কাজে ইয়োরোপের নাগরিকদের সঠিক পারিশ্রমিক দেওয়া হলে ঢাকের দায়ে মনসা বিকোবে এবং বেআইনি কাজগুলিতে লোক নেওয়া যাবে না।
    সবটাই ব্ল্যাকে হয়। ফলে কর দিতে হয় না। ফলে মূল অর্থনীতিতে পয়সা ঢোকে না। এবং যারা কাজ করে তারা দিনের আলো দেখতে পায় না, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর অন্ধ কুঠুরিতে বাস করে, সুযোগ পেলেও পুলিসের কাছে যায় না, পুলিশ উদ্ধার করলে ডিপোর্ট করবেই, তাতেও সরকারের অনেক খরচ।
    তাই এরা কাজ করে চলে, পয়সা জমিয়ে এবং দেশি ভাইদের থেকে ধার দেনা করে পেপার ম্যারেজ করে। তারপর থাকার ব্যবস্থা।
    বেআইনিভাবে থাকার সময়ে যে কাজ করেছে, সে সবের জন্য কোনও প্রভিডেন্ট ফান্ড, স্বাস্থ্যবীমা, পেনশন ফান্ডের টাকা, কিচ্ছু জমা পড়ে না।
    তবু এরা থাকে। তবু এরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে না। বুঝুন।
    আরও কিছু চক্র আছে যারা পোলিটিক্যাল অ্যাসাইলাম চায়। এরকম কিছু লোকের সঙ্গে ফার্স্ট হ্যান্ড অভিজ্ঞতা আছে যারা অভিজিত রায় হত্যার পরে নিজেদের ব্লগার দাবী করে ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে জারমানি চলে গেছে। সেসব ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা। একটি মৃত্যুও এর সঙ্গে জড়িত। এরা কেউ নাদান বোকা নয়। যে পরিমান বুদ্ধি খরচ করে তাতে তাজ্জব বনে যেতে হয়। অথচ সামনাসামনি দেখলে মনে হবে বুদ্ধিজীবি।
    সময় করে লিখব সেসব।
  • যোষিতা | ১১ এপ্রিল ২০২৩ ০১:৪৩518541
  • শুধু ইয়োরোপ নয়, অ্যামেরিকাতেও এই একইভাবে সমান্তরাল অর্থনীতিতে কাজ করে অসংখ্য লাতিন অ্যামেরিকান। চাষবাসের কাজে এদের ক্রীতদাসের মত খাটানো হয়। এ নিয়ে বেশ কিছু ডকুমেন্টারি ছবি হয়েছে। টমেটোর ক্ষেতে কাজ করতে করতে হাত পা ফুলে গেছে, ঘা হয়ে গেছে। তবু বর্ডার পার করা চাই। তবু আশা থাকে মনে যদি পরে কখনো ভাল জীবন মেলে।
  • যোষিতা | ১১ এপ্রিল ২০২৩ ০১:৫১518542
  • এরকম ফোর্সড লেবার, বন্ডেড লেবার হিউম্যান ট্র্যাফিকিং এর ফল।
    দুনিয়ায় যে কটি অন্ধকার জগতের ইকোনমি চলছে, যেমন ড্রাগস, বেআইনি অস্ত্র, সোনা এবং দামী পাথর পাচার, পেট্রোলিয়াম এবং মানব পাচার— এগুলি থেকে একটা অংশ যায় টেররিস্ট কাজ কর্মে, রাজনীতির উঁচুতলার লোকেদের কাছে এবং দালাল ও ব্যবসায়ীদের  কাছে।
    হিউম্যান ট্র্যাফিকিং এ সবচেয়ে সস্তার লেবার মেলে। যে "ভাই"টি ঐ কিশোরটিকে ফ্রান্সে নিয়ে যাচ্ছে, সেই লোকটিও এই ট্র্যাফিকিং এ সামিল। 
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ১১ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:১৭518549
  • যোশীতা, আপনি এই বিষয়গুলো নিয়ে একটা ডিটেইল্ড সিরিজ লিখুন। আমরা পড়তে আগ্রহী। আরো বেশি করে সবাই জানতে পারবে বিষয়গুলো। বেশির ভাগ নাদান লোকের কাছে ইউরোপ মানে স্বর্গের সমতুল্য এক আনন্দ ভূমি। এর অন্ধকার গুলো জমিয়ে মায়াপাতায় নিয়ে আসুন।
     
    সাদেক ভাই, আপনার লেখাও খুব এনজয় করছি। ভালো লাগছে টুকরো টাকরা রসিকতায় মোড়া এই ভিনদেশি দিনলিপি।
  • কিংবদন্তি | ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ০১:৪১518577
  • ধন্যবাদ। অশেষ ধন্যবাদ সকলকে। লেখটা বন্ধ করার কোন ইচ্ছা নাই আমার। তবে কতদিন কী লেখব তাও জানি না। বিষয় বাছাই করে তো লিখছি না, আমি যার ভিতর দিয়ে যাচ্ছি তাই লিখে যাচ্ছে। তাই বলতে পারছি না যে সব সময়ই দারুণ চমকপ্রদ লেখা হবে। আমার লেখার মান যে উন্নত না তা আমি জানি। মুশকিল হচ্ছে আমি লিখে মজা পাই। তাই যেমনই হোক, লিখে যাচ্ছি। এই নতুন দেশে, নতুন পরিবেশে, হুট করেই শ্রমিক হয়ে গিয়ে এই লেখাটা হচ্ছে আমার জানালা। এখানেই আমি আবার আমার পরিচিত জগতে প্রবেশ করি। মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে পারি, এমন মনে হয় আমার। আজকে চতুর্থ কিস্তি দিচ্ছি, পড়ার আমন্ত্রণ রইল। 
  • কিংবদন্তি | ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ০১:৪৪518578
  • দুঃখিত, পঞ্চম কিস্তি দিয়েছি! 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন