এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অপার বাংলা

  • ড্রয়ারওয়ালা কাঠের টেবিল

    প্রতিভা সরকার
    অপার বাংলা | ১৭ আগস্ট ২০২২ | ২৮৯৪ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)


  • আমার পরিবারকে প্রত্যক্ষ ভাবে দেশভাগের যন্ত্রণা সইতে হয়নি, কারণ আমার পিতামহ, যাঁর নাম ছিল অবিনাশ চন্দ্র (দে)সরকার, তিনি ছিলেন এডভেঞ্চার প্রিয় এক প্রবল প্রতাপী মানুষ, যিনি ঘরে সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে রেখে চলে গেছিলেন রেঙ্গুন। তার সদা চঞ্চল মন সেখানেও তাকে তিষ্ঠোতে দেয়নি, অনেক বছর বাদে যখন অবিভক্ত ভারতে ফিরে এলেন, তখন স্ত্রীকে নিয়ে বসত করলেন হিমালয় ঘেঁষা উত্তরে, তখন তাঁর হাতে জাদু, নিষ্প্রাণ কাঠের টুকরো অনায়াসে বদলে বদলে যায় কোনো অপরূপ মূর্তি, অলঙ্কৃত সিংহাসন, বা কারুকাজ মন্ডিত দুটো ড্রয়ারওয়ালা কাঠের টেবিলে, যেটার অধিকার নিয়ে আমি অতিমাত্রায় সচেতন ছিলাম। আমি একাই দাদুর বানান চেয়ার টেবিলে বসে লেখাপড়া করব, খালি আমার জিনিসপত্রেরাই থাকবে ঐ ড্রয়ার দুটোতে। এর অন্যথা হলে চেঁচামেচি মারামারি লেগে যেত।

    সে যাক, এ তো আমার দাদুর গল্প নয়, দেশভাগের কাহিনী, যার গায়ে লেগে আছে, আগুন, হত্যা, অসম্মান আর সব হারাবার টক টক গন্ধ। কিন্তু একথা তো ঠিক, দেশভাগ সম্বন্ধে আমার জ্ঞান পুঁথিগত হয়েও হতে পারেনি ঐ ড্রয়ার দুটির জন্য। আসলে আজকাল স্মৃতি নির্ভর অভিজ্ঞতা, গল্পকাহিনী, এগুলোও ইতিহাসের অঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি পায়, তাই মনে পড়ল ঐ অবিনাশী ড্রয়ার দুটির কথা, যে দুটোতে এখনও রয়ে গেছে মা, ঠাম্মা, দিদা এমনকি প্রতিবেশীদেরও নিজস্ব অভিজ্ঞতা অথবা নিছকই শোনা কথা। টুকরো টুকরো আলাপ এবং প্রলাপ, যাদের জোড়া দিলে উঠে আসে এই উপমহাদেশের একটি বালিকার অকিঞ্চিৎকর শৈশব এবং সেই শৈশবের গায়ে লেগে থাকা এক ভয়ংকর অবিমৃষ্যকারিতার তীব্র গন্ধ। দেশভাগের অনেক পরে জন্ম বলে যে বালিকার পাওনা ছিল একটি নিরুপদ্রব মেয়েবেলা, যে ছিল এইসব ঘটনা থেকে অনেক দূরে, দেশভাগের গল্পকথার অভিঘাত তাকেও ছাড়েনি। চারপাশে মন পালটে দেওয়া, মনুবাদী করে তোলার সমস্ত মাল মশলাই তৈরি ছিল, কিন্তু তাকে বাঁচিয়ে দিয়েছে ঐ গল্প ভর্তি গোপন দুটি ড্রয়ার আর সাহিত্যপাঠ। ভাগ্যিস!

    যখন জানতে পারি, দেশভাগে সব খুইয়েছিল দেড় কোটির বেশি মানুষ, মরেছিল দশ লক্ষেরও বেশি, ধর্ষণ করা হয়েছিল প্রায় পঁচাত্তর হাজার মেয়েকে, তখন ড্রয়ার হাতড়ে বার করি আমার মাতামহীর বলা এক টুকরো গল্প, যা নিজের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় পেয়েছিলেন তিনি, আর বলতেনও বলতেন এমন আবেগ, ভয়, কান্না মিশিয়ে, যেন চোখের সামনে ঘটতে থাকত গোটা ব্যাপারটা। আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠত!

    মাতামহীর নাম ছিল কিরণ, কিরণবালা মজুমদার। ঘটনাচক্রে তার বিয়ে হয়েছিল নিজের অকাল মৃত সহোদরা মনোরমার স্বামী নিবারণ চন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে। নোয়াখালির বাসিন্দা এই মনোরমা আর কিরণ, দুই বোন দিব্যি বড় হচ্ছিলেন হেসে-খেলে। হঠাৎ নিবারণ নামে এক কৃষ্ণকায় সুঠাম যুবকের সঙ্গে মনোরমার বিয়ে হয়ে গেল, নিমন্ত্রিত নাইওররা মুখ বাঁকাল,” অমন সোনার বরণি মাইয়াটার এমন কালা হুমদা বর!”

    এই উপমহাদেশে যদি পুরুষের গাত্রবর্ণ ধর্তব্যের বিষয় হত, তাহলে ‘সোনার আংটি বাঁকাও ভাল,’ এই প্রবাদের জন্ম হত না। মিষ্টভাষী যুবক স্বামীর সঙ্গে মনোরমার প্রেম দিন দিন চন্দ্রকলার মতই বাড়ছিল, কিন্তু মুশকিল করল তার গর্ভধারণের অক্ষমতা। মন্দিরের দেবদেবী, বটতলার সিঁদুর-মাখা পাথর, পীর বাবার দোয়াদরুদ কিছুই কাজে লাগে না, মনোরমার চোখের জলও শুকোয় না। এই নিয়ে নিবারণ তাকে কোনদিন একটি কথাও শোনায়নি, সে ছিল পত্নীঅন্ত প্রাণ। কিন্তু পাড়াপড়শিদের ক্ষুরধার সবজান্তা সমালোচনায় “নিবারণের আঁটকুইর্যা্ বৌ” তকমাটা মনোরমার বড় গায়ে লাগত।

    কিরণ দিদিকে অনেক বোঝাতে চেষ্টা করেছে, কিন্তু কিছুতেই কিছু হবার নয়, মনোরমা দিন দিন খালি শুকিয়ে যায়, সোনার অঙ্গ কালি হয়ে যায়, চোখের কোলে ঘন আন্ধার ! নোয়াখালিতে তখন শুরু হয়ে গেছে নানা গুজব আর চাপা উত্তেজনা। দেশভাগের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে বাতাসে, সম্পন্নদের হতোদ্যম কথাবার্তায়, পদদলিতদের হঠাৎ দুর্বিনয়ে। জমিদারেরা প্ল্যান আঁটছেন, টাকাপয়সা যতটা পারা যায় হাতে হাতে, হুন্ডিতে বা যে কোনো বিনিময়ের মাধ্যমে ওপারে পাঠিয়ে দেবার। আর যাদের কোনো সঙ্গতি নেই, তারা সর্ব শক্তিমানের ভরসায় বুক বেঁধেছে, কিন্তু অনবরত চলছে গুজগুজ ফুসফুস, গুজবেরই রাজত্ব তখন! এ বলে চারটে গ্রামের পরের গ্রাম হাওড়-খালিতে মাঝ রাতে ঘরে আগুন দিয়েছে প্রতিবেশীরাই, ও বলে নাভিতে গরম শিক ঢুকিয়ে পোঁচের পর পোঁচ দিয়ে শুয়োর মারার মত মেরেছে কাউকে, কাউকে বা রামদার এক কোপ। মারেনি শুধু কাঁধে তুলে নিয়ে যাওয়া সোমত্ত মেয়েদের। কই মাগুরের মত জিইয়ে রেখে খাবে এই লোভে।

    এই ডামাডোলের সময়েই বিয়ের দশ বছর পরে মনোরমা হঠাৎ গর্ভবতী হয়ে পড়ল।

    গর্ভাবস্থার শুরুতে মনোরমা খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল, কবিরাজ বলবৃদ্ধির জন্য তাকে মকরধ্বজ পিষে খেতে বলেছিলেন, আর বারণ ছিল যে কোনো উত্তেজনা। দিদির সেবা করার জন্য কিরণ এসে থাকছিল, কিন্তু সোমত্ত মেয়ে, সেও যেন এক বাড়তি ঝামেলা! নিবারণ দিশেহারা হয়ে পড়ছিল। গর্ভবতী স্ত্রী, তরুণী শ্যালিকাকে নিয়ে সে এখন কী করে, কোথায় যায়!

    ১৯৪৬ এর ১০ই অক্টোবর কোজাগরি লক্ষ্মী পূর্ণিমা ছিল। পূর্ণ চন্দ্রের মায়ায় চরাচর ভেসে যাচ্ছিল৷ কিন্তু গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংয়ের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সে রাতে সব গুজব সত্যি হয়ে দেখা দিল। মা লক্ষ্মী পুজো না পেয়ে বোধহয় পালিয়ে বাঁচলেন, নাহলে তার কপালেও কী ছিল কে জানে! খড়ের চালার পোড়া গন্ধ, পোষ্যদের আর্তরব, মানুষের হাহাকার, এতো কিছুর মধ্যে বাড়ির পেছনের কচু বনে লুকিয়ে বসে ছিল নিবারণ, তার স্ত্রী, শ্যালিকাকে নিয়ে। পুরো রাত সে বসে বসে ভেবেছে আরও আগে চলে যাওয়া উচিত ছিল, আর কোনো আশা নেই, কোন মায়ায় সে এতদিন পড়েছিল!

    ভোর হতে না হতেই শুরু হয়ে গেল এক অসম্ভব যাত্রা। পুরো মাসের গর্ভবতী এক রমণী, তার হাত ধরে রয়েছে এক তন্বী, সবার আগে হনহন করে হেঁটে এগিয়ে যাচ্ছে এক দীর্ঘদেহী পুরুষ। হাতে বাঁশের লাঠি, আর চিঁড়ে-গুড়ের পুঁটলি। পাট ক্ষেতের ঝোপঝাড়ের আড়াল দিয়ে মেয়েরা চলছে অতি মন্থর, নিবারণ বেশি দূর চলে গেলেই আবার সচকিত হয়ে পেছন দিকে ফিরে ফিরে দেখছে।

    কারও না কারও সাহায্য ছাড়া রেল স্টেশনে পৌঁছান অসম্ভব ছিল। নিশ্চয়ই সাহায্য তারা পেয়েছিল, কিন্তু এও ঠিক অনিষ্টের ভয়ে তারা গ্রাম বা লোক চলাচলের রাস্তা পরিহার করেছে। তৃষ্ণার্ত হয়ে ডোবার জলও খেয়েছে। অনাহার অনিদ্রা এবং ভয়ে আধমরা তিনটি প্রাণী প্ল্যাটফর্মে উঠে এলো যেন তিনটি পিশাচ। নোংরা কাপড়, হলদে উসকোখুসকো চুল, কোটরাগত চোখ। এর ওপর এই অনিয়মে গর্ভিণীর শুরু হল এশিয়াটিক কলেরা। তখনও ওআরএস আবিষ্কৃত হয়নি, কলেরার রোগীকে এক ফোঁটা জলও দিত না কেউ, তাতে নাকি তার দাস্ত আরও বেড়ে যাবে।

    ফলে শান বাঁধানো প্ল্যাটফর্মে আছাড়-পিছাড়ি খেয়ে একফোঁটা জলের জন্য হাহাকার করছিল মনোরমা, "ওগো আমারে এট্টু জল দিবা, এট্টু জল!"
    যেন তার কণ্ঠনালী ভর্তি কেবল শুকনো বালি আর পাথর। মলিন শাড়ির আঁচল দিয়ে দিদিকে হাওয়া করছিল কিরণ, তার চোখে অবিশ্রান্ত ধারা। নিবারণের অবস্থা আরও খারাপ। পুরুষেরা আজন্ম জানে তারাই রক্ষক। হঠাৎ করে যদি দেখা যায় রক্ষা করার কোনো ক্ষমতাই নেই তার, তাহলে সে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বেদম উদভ্রান্ত হয়ে পড়ে। নিবারণ সবার হাত ধরে ধরে ভিড়ের মধ্যে একজন কবিরাজের খোঁজ করছিল।

    যারা ভিড় করে দেখছিল তারা বুঝতে পারছিল, একটু একটু করে থেমে যাচ্ছে অসুস্থ নারীটির বুকের স্পন্দন। দৃষ্টি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে চোখ থেকে। এখনই কোথা থেকে বমির গন্ধে হাজির হয়েছে ডুমো নীল মাছি। তারা যথেচ্ছ বসছে মৃতপ্রায় মনোরমার ঠোঁটের কোণে। এইরকম দমবন্ধ পরিস্থিতিতে ভিড় ঠেলে এগিয়ে এলো এক মাঝ বয়েসী মহিলা, মাথায় ঘোমটা, হাতে সবুজ কাচের চুড়ি, মনে হয় কাউকে নিতে এসেছে সে, হয়ত ওপার থেকে পালিয়ে আসা তার কোনো স্বজন।

    কিন্তু ট্রেন চলাচল নাকি বন্ধ হয়ে গেছে এর মধ্যেই। কিছুক্ষণ আগে কিরণ এই মহিলাকেই চেঁচিয়ে বলতে শুনেছিল, "গান্ধীজীর ছাগলিটারে কাটি খায়া ফেললি তোরা কোন আক্কেলে! এত গুনাহের কাম কইরলে তার ফল ভুগতি হবে তো।"

    এখন সেই মহিলাই একটি মাটির ভাঁড়ে জল নিয়ে এসে বলছে,"আর দেখতি পাত্তিসি না। এন্তেকাল ঘনাইসে, মুখে দু ফোঁটা পানি দিবা না…।"

    ভিড়ের ভেতর থেকে একটা প্রবল গুঞ্জন আছড়ে পড়ে। একে কলেরা, তায় মুসলমানির হাতের জল। নিবারণ দোটানায় পড়ে যায়। জাত আগে না তেষ্টা আগে! ইহকাল আগে, না পরকাল! ভাবতে ভাবতে তার চোখ পড়ে মনোরমার দিকে। তার বিস্ফারিত চোখদুটো জলের পাত্রে সেঁটে রয়েছে, অতি কষ্টে সে ভারী জিভের ডগাটুকু বার করতে পেরেছে, কালচে হয়ে যাওয়া ঠোঁট দুটি থরথর করে কাঁপছে। যেন দু ফোঁটা জল না পেলে সে শান্তিতে মরতেও পারছে না।

    নিবারণ আর পারে না। মহিলার হাত থেকে বিদ্যুৎ গতিতে ছিনিয়ে নেয় জলপাত্র। অল্প ঢেলে দেয় স্ত্রীর ঠোঁটে। একটি অতি দীর্ঘায়ত আঃ, তারপরই সমস্ত শরীর শিথিল হয়ে পড়ে মনোরমার। অজাত শিশুটিকে নিয়েই সে মানুষের সমস্ত হানাহানির বাইরে যাত্রা করে৷

    তারপর কী করে বিপত্নীক জামাইবাবুর সঙ্গে এপারে আসতে পারে কিরণ, চরম দুঃখ কী ভাবে বেঁধে দেয় দুজনকে অমোচনীয় গ্রন্থিতে, সে আলাদা গল্প। কিন্তু এত কান্ডের পরেও আমার মাতামহীকে কোনোদিন কোন রকম সাম্প্রদায়িক মনোভাব ব্যক্ত করতে শুনিনি। বরং চিরকাল কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেছেন সেই মহিলার উদ্দেশ্যে, যার দেওয়া দু ফোঁটা জলে তার দিদির মরণ কালীন তৃষ্ণা মিটেছিল৷ সেই সাহসী মহিলা, গান্ধীজির অনুগামী, অন্য ধর্মানুসারীকে ঐ পরিস্থিতিতে জল দিলে ঝামেলা হতে পারে জেনেও দয়ায় আর্দ্র হয়েছিলেন, তাকে আমার দিদা চিরকাল দু হাত তুলে প্রণাম করে গেছেন৷ গান্ধীজিকে দুধ দেওয়া ছাগলি, যেটাকে সঙ্গে করে তিনি নোয়াখালি নিয়ে গিয়েছিলেন খাদ্যাভ্যাস পাল্টাবেন না বলে, তাকে কেটে খেয়ে স্বয়ং গান্ধীজিকে যে বার্তা দিতে চেয়েছিল অপর পক্ষ, তার বিরুদ্ধে জনসমক্ষে একা কথা বলার সাহস রেখেছিলেন ঐ নাম-না-জানা মহিলা৷

    দুই ড্রয়ার ওয়ালা টেবিলটা নষ্ট হয়ে গেছে। যারা পেয়েছিল তারাই অযত্নে নষ্ট করেছে৷ আর মেয়েরা তো কিছু পায় না, খুব ছোট স্মৃতিমাখা জিনিসগুলো থেকেও তাদের বঞ্চিত করা হয়, পাছে আরও বেশি কিছু চেয়ে বসে৷ তবু আমি জানি দুই ড্রয়ার ভর্তি এই যে দেশভাগের গল্প, এ থেকে বঞ্চিত করে এমন কারও সাধ্য নেই। ওরা থাকবে, কারণ এরাই আমার পূর্বজাদের উত্তরাধিকার। যখন গোটা মহাদেশে মানুষের অবনমন হয়েছিল রক্তপিপাসু দানবে, যখন মানবিকতার থেকে বড় হয়ে উঠেছিল ধর্ম পরিচয়, তখন এই মেয়েদের গভীর সাহসের পরিচয়, মায়া মমতার কাহিনী, পাশে দাঁড়াবার আখ্যান চিরকাল থেকে যাবে, সব ক্ষতের ওপর শুশ্রূষার শান্তিজল হয়ে!


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অপার বাংলা | ১৭ আগস্ট ২০২২ | ২৮৯৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • স্বাতী রায় | 117.194.***.*** | ১৭ আগস্ট ২০২২ ১১:১৫511098
  • অ্যাজ ইউজুয়াল, খুব ভাল  লিখেছ।

    আমার এইটা খুব বুঝতে ইচ্ছে করে যে একই পরিবেশে জন্মে কি করে একজন সাম্প্রদায়িক হয়, আরেকজন হয় না! আমার পারিবারিক ইতিহাসে দেশভাগ নেই, তবে স্বাধীনতা পরবর্তী দাঙ্গা আছে। বাবাদের মুখে গল্প শুনেছি কিভাবে দেখিয়ে দেখিয়ে রামদাতে ধার দেওয়া হত আর বলা হত যে এককোপে সবকটাকে মারব। কিন্তু সেই সঙ্গে এও গল্প শুনেছি, কিভাবে ট্রেনের অপরিচিত মুসলমান সহযাত্রী নিজের পোশাক পরিয়ে এক দাদুর প্রাণ বাঁচিয়ে তারপর তাঁকে নিয়ে গিয়ে নিজের বাড়িতে রেখেছেন, সব দিক শান্ত হলে তবে বাড়ি পাঠিয়েছেন।  অথবা দাঙ্গা করার অনুমতি চাইতে গ্রামের  মুসলমান ইউনিয়ন মেম্বারের বাড়িতে একদল হাজির হলে, উল্টে সেই  অনুমতিপ্রার্থীদেরই সেই অশিক্ষিত মানুষটি  সড়কি নিয়ে তাড়া করেছেন যে তোদের সাহস কম না, তোরা লোক মারতে চাস, আজ তোদেরই কেটে ফেলব। অথবা ফরিদপুর টাউনের মুসলমান প্রশাসক কিভাবে দাঙ্গার শুরুতেই স্থানীয় মুসলমান গুন্ডাদের জেলে পুরেছেন। ভাবি, এঁরাও তো ওই ফুটন্ত পরিবেশে বসেও সাম্প্রদায়িক হন নি। তোমার  দিদিমাও হন নি। আগুন পেরিয়ে এসেও। তাহলে? ইক্যুয়েশনটা কি? শুধু ক্ষমতার লোভ দিয়েও তো এক্সপ্লেইন করা যায় না।
  • R.K | 203.18.***.*** | ১৭ আগস্ট ২০২২ ১১:৫২511102
  • এই কাহিনীতে কোন মন্তব্য হয়না .
    আপনার লেখা ভীষণ জীবন্ত। 
  • santosh banerjee | ১৭ আগস্ট ২০২২ ১৪:৪৮511112
  • স্বাধীনতার স্বাদ !!! হা হা হা!! যারা বলেন দেশ স্বাধীন হয়েছে রক্তপাতহীন বিপ্লবে তারা এই ঘটনা টা পড়ুন। প্রশংসা বাণী নয়, যে মর্মান্তিক ঘটনা গুলোর বিনিময়ে আমাদের নৃশংস নেতা নেত্রী রা মসনদে গদিয়ান গত ৭৫ বছর ধরে, তাদের চিনে রাখুন!! আরও আরও ব্যক্ত হোক সেই ইতিহাস!! ক্ষমতা লোভী বর্বর নেতাদের স্বরূপ উন্মুক্ত হোক!! 
  • Amit | 118.2.***.*** | ১৭ আগস্ট ২০২২ ১৫:৩৩511115
  • আরে ধ্যার মশাই। সব জায়গায় এরকম শান্তিগোপাল মার্কা ড্রামা করে বেড়ান কেন ?
  • Sara Man | ১৭ আগস্ট ২০২২ ২০:৩৪511126
  • আপনি ঠিক লিখেছেন দিদি, মেয়েরা কিছু পায়না। তাদের ভাগে শুধু স্মৃতি থাকে, যা তারা ছিনিয়ে আনে, বাঁচিয়ে রাখে গোপনে। ছেলেরা আর তস‍্য ছেলেরা পায় বলে অবহেলায় নষ্ট করে। 
  • Jayanta Sengupta | ১৭ আগস্ট ২০২২ ২০:৩৯511127
  • ধর্মকে দু্রে সরিয়ে জয় হলো মানবিকতার। যথারীতি মন ভা ভালো করা লেখা
  • এনার | 115.96.***.*** | ১৭ আগস্ট ২০২২ ২২:১৮511131
  • ভালোই  লিখেছেন  কিন্তু not one of your বেস্ট 
  • বিপ্লব রহমান | ১৮ আগস্ট ২০২২ ০৭:১৭511134
  • হৃদয় স্পর্শী লেখা।  তবু দুই নোক্তা পেশ করি। 

    কিন্তু দিদি, নোয়াখালীতে "গান্ধীর ছাগল কেটে খেয়ে ফেলা" মতান্তরে "গান্ধীর ছাগল চুরি" নিছকই গল্প, যা এখনো প্রচলিত (ছোট বেলায় আমিও স্কুলে শুনেছি) কোনো ঐতিহাসিক সত্যতা নাই। 

    "দেশ বিভাগ" কথাটির ভেতর যে কোটি কোটি মানুষের উদ্বাস্তু জীবন, গণহত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াও, মর্মবেদনা ইত্যাদি রয়েছে, যার শেল প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বহমান...

    এরপরেও দেশ বিভাগের একটি প্রত্যক্ষ সুফল কিন্তু স্বাধীন পূর্ব বাংলা, প্রধানত বাংলা ভাষাভাষীর রাষ্ট্র, যদিও এপার বাংলা, ওপার বাংলা মিলেই রাষ্ট্র গঠন যৌক্তিক ছিল, মোদ্দা কথা-- দেশ বিভাগ না হলে বাংলাদেশ হতো না-- এই পয়েন্টটি মনে রাখা জরুরি। 
    ~
    ভালো থেক, অনেক লেখ। 
    একদিন আগামীর ভোর  heart

     
  • Amit | 121.2.***.*** | ১৮ আগস্ট ২০২২ ০৮:৩০511137
  • দ্যাখেন স্বাধীন বাংলাদেশ ১৯৪৭ এ একটা সুদূরপ্রসারী অসম্ভব চিন্তা ছিল। একটা দেশ ভাঙা - নতুন দেশ গড়া সবই অনেকগুলো পলিটিকাল সোশ্যাল ফ্যাক্টর্স এক হলে তবে সম্ভব হয়। হয়তো পুব পশ্চিম মিলিয়ে সেই সময় একটা বাংলা রিমোটলি পসিবল হলেও হতে পারতো কিন্তু সেই সময় সেই সমস্ত ফ্যাক্টর্স গুলো এক হয়নি  সেটার জন্যে -সুতরাং জাস্ট ঘটেনি। শরৎ বসু বা কিরণশঙ্কর রায় - এরা একটা হালকা ধুয়ো তুলে ছিলেন ঠিকই অবিভক্ত স্বাধীন বঙ্গের জন্যে- কিন্তু সেটা আদৌ কোনো ট্রাক্শনই পায়নি - তখনকার টক্সিক পলিটিকাল অবস্থায় পাওয়া সম্ভবও নয়। আবার ৭১ এ ​​​​​​​পাকিস্তান ভেঙে যাওয়ার সব ​​​​​​​ফ্যাক্টর্স ​​​​​​​গুলো ​​​​​​​ঘটনাচক্রে একসাথে  ​​​​​​​হয়েছিল - তাই আজকের বাংলাদেশ ​​​​​​​ঘটেছে। 
     
    আর ১৯৪৭ এ স্বাধীন হওয়ার সময় স্টিল ৫০০ এর ওপর অলমোস্ট ইন্ডিপেন্ডেন্ট রাজা-গজা  শাসিত রাজ্য - যেগুলোকে ধমকে চমকে বা বুঝিয়ে - সারেন্ডার করিয়ে সবগুলোকে একটা ফেডারেল ইন্ডিয়ার ছাতার তলায় আনা হয় ১৯৫০ এর আগে। ৪৭ এ স্বাধীন বাংলার দাবি উঠলে হয়তো সেগুলোর মধ্যে অনেকগুলো রাজাই ইন্ডিয়া বা পাকিস্তানের তলায় আসার বদলে নিজের স্বাধীন দেশের দাবি তুলতেন- ওনাদের কি দায় পড়েছিল ফেডারেল স্টেট্ এর তলায় এসে নিজের ফুর্তি কম্প্রোমাইস করার ? কাশ্মীরের রাজা হরি সিংহ এর ও সেই প্লানই ছিল -যদ্দিন না পাকিস্তান মিলিশিয়া ঢুকে ওনার কাঁথায় আগুন লাগিয়ে দিলো - তখন বাপ্ বাপ্ বলে নেহরুকে ফোন করেছিলেন। 
     
    হায়দরাবাদের নিজাম ও তো কম চেষ্টা করেননি ইন্ডিয়ার বদলে ইন্ডিপেন্ডেন্ট মুসলিম স্টেট্ বা পাকিস্তানে যাওয়ার জন্যে- ওনার দলবল সেখানে প্রচুর অত্যাচার চালিয়েছিল ওখানে মাইনোরিটি দের তাড়ানোর জন্যে ৪৭-৪৮ এ। তাপ্পর ​​​​​​​প্যাটেল ​​​​​​​এর ​​​​​​​ধমক খেয়ে  যখন ​​​​​​​দেখলেন ​​​​​​​শখের আম ছালা ​​​​​​​দুটোই ​​​​​​​যেতে ​​​​​​​পারে ​​​​​​​তখন তাড়াতাড়ি ল্যাজ ​​​​​​​গুটিয়ে ​​​​​​​মেনে ​​​​​​​নিলেন। 
     
    এইটা হতেই পারতো যে ১৯৪৭ এ ইন্ডিয়া দুটো মাত্তর দেশে ভাঙার বদলে ৬০-৭০ টা ছোট ছোট দেশে ভেঙে যেত।কে বলতে পারে ? ব্রিটিশদের দিক থেকে ন্যাচারালি সেই ডাইরেকশন এ কোনো উৎসাহ ছিলোনা। দুটো দেশের সাথে সিম্পল চুক্তির বদলে ৬০-৭০-৮০ টা দেশের সক্কলের সাথে আলাদা আলাদা ইন্ডেপেন্ডেন্স প্যাক্ট সাইন করা- বলে গিয়ে ওয়ার্ল্ড ওয়ার এর পরে ওদের নিজেদের ই মাথার ঘায়ে কুকুর পাগল অবস্থা। সুতরাং ব্রিটিশ দের দিক থেকে হোক বা নেহেরু জিন্নাহ র দিক থেকে হোক - সেই সময় দুটোই পার্টিশন করার ফেবারে ছিল ওভারঅল সিচুয়েশন - সো ইট হ্যাপেন্ড। 
     
    এর মানে এটাও নয় যে ১০০-২০০ বছর পরেও ইন্ডিয়া পাকিস্তান বাংলাদেশ সব আজকের ফর্মেই থেকে যাবে। থাকতেও পারে - আবার নাও পারে। একটা বড়ো যুদ্ধ - ইন্টারনাল আপহিবিল - মিলিটারী কূপ - ইভেন মেজর ন্যাচারাল ডিসাস্টার হলেও একটা দেশ ভেঙে যেতেই পারে। নোস্ত্রাদামুস এর বাবা ও প্রেডিক্ট করতে পারবে না কালকে কি হবে। 
     
    আর রাজনীতির কাছে সাধারণ লোকের দাম পোকামাকড় এর চাইতে বেশি না। পার্টিশনে যাদের সর্বস্ব গেছে - ৭১ যুদ্ধে যারা মারা গেছে - দিনের শেষে সব তাদের আর তাদের ফ্যামিলি র ই লস। যারা দেশ চালায় তাদের আসলে কিস্যু আসে যায়না। মিডিয়ার সামনে চোখের জল সবই নাটক। এইযে রাশিয়া ইউক্রেন এর যুদ্ধে ছমাস ধরে ম্যাংগো লোক মরছে - এখন কোন মিডিয়া তাদের নিয়ে ভাবছে ? দুদিন খুব হৈচৈ -তাপ্পর সব শান্তিকল্যাণ। 
  • কী মুশকিল | 2401:4900:16db:e2a6:2:1:d399:***:*** | ১৮ আগস্ট ২০২২ ০৮:৫০511138
  • এটি শ্রুতিনির্ভর, স্মৃতিনির্ভর লেখা। 
     
    বাংলাদেশ গড়ার প্রসঙ্গ গোটা পারস্পেক্টিভটাই পালটে দেয়।
     
     
  • Sara Man | ১৮ আগস্ট ২০২২ ১১:০২511140
  • বিপ্লববাবু, আপনার কাছে যা সুফল, আমার কাছে তা বেদনার। তবে এতে আপনার বা আমার কারোরই কোন দোষ নেই।
  • | 2401:4900:4129:723f:0:46:850e:***:*** | ১৮ আগস্ট ২০২২ ১৪:০৩511143
  • হঠাৎ মানটো-র গল্পগুলো মনে পড়ে গেল। এইরকম ধারালো কলম ছাড়া আর তো কিছুই নেই আমাদের হাতে, এই উন্মাদ সময়ে ছবিগুলো অন্তত থাকুক। লিখুন আরো। 
  • dc | 2401:4900:1cd1:b5:cc9a:42ca:89a1:***:*** | ১৮ আগস্ট ২০২২ ১৫:২৪511144
  • অমিতের পোস্ট পড়ে মনে হলো, ১৯৪৭ এ যদি সবকটা কিংডম বা রাজ্য নিজের নিজের মতো একেকটা দেশ হয়ে যেত তাহলে হয়তো অনেক বেশী ভালো হতো। একটা বিরাট দেশের একটা কেন্দ্রীয় সরকার, যা কিনা চূড়ান্ত ইনএফিসিয়েন্ট, তৈরি হতো না। এদ্দিনে হয়তো ইউরোজোনের মতো ইন্ডিয়াজোন তৈরি হয়ে যেত, নিজেদের মধ্যে ফ্রি ট্রেড হতো। প্রতিটা রাজ্যের (মানে দেশের) যে ন্যাচারাল রিসোর্স আছে সেটা নিজেও ব্যবহার করতো, অন্যদের সাথে ট্রেডও করতো, হিউম্যান রিসোর্সের ফুল ভ্যালু আনলকড হতো। হয়তো নেহরুর সোস্যালিজম নামের ঢপের চপটাও ইমপোজড হতো না, ফলে লাইসেন্স রাজ ইত্যাদিও তৈরি হতো না। উই মিসড আওয়ার ট্রিস্ট উইথ ডেস্টিনি :-(
  • | ১৮ আগস্ট ২০২২ ১৭:০৮511150
  • এই লেখার কোনও ভাল মন্দ হয় না, এগুলো ইতিহাসের অঙ্গ। এই অভিজ্ঞতা সব লিখিত থাকা খুবই জরুরী।  যারা সহজে ড্রয়ারওলা টেবল পায় তারাই সহজে হারিয়ে ফেলে যারা পায় না তারা টেবিলের প্রত্যেকটা খাঁজখোঁজ দাগছোপ স্মৃতির দেয়ালে গেঁথে ​​থাকে। 
     
    কমেন্টে এই বাংলাদেশ সম্পর্কিত আলোচনা পুরোটাই অপ্রাসঙ্গিক। যাঁরা প্রাণ দিতে বাধ্য হয়েছিলেন, ভেসে গেছিলেন তাঁরা জানলেনও না কোন অপরাধে তাঁদের মরতে হল। end never justifies the means. 
     
    ডিসির বলকানাইজেশান নিয়ে মোহটাও বেশ ভুলভাল। এখন অবরে সবরে দুটো দেশ যুদ্ধ করে (ভারত আর পাকিস্তান)। বলকানাইজেশান হলে ১০টা কি  ১৫টা  দেশ নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়ি করে মরত। পাকিস্তানে বালুচদের প্রতি ট্রীটমেন্ট, আফগানিস্তানের অবস্থা ইত্যাদি দেখলে এটা আরো ভাল বোঝা যায়। আর মাউন্টব্যাটেন অ্যাটলিদের তরফে বলকানাইজেশান ঠ্যাকানোর এবং ভারত ও পাকিস্তানকে কমনওয়েলথের অন্তর্ভুক্ত করার বিশেষ আগ্রহ ছিল। আশঙ্কা ছিল নাহলে রাশিয়া এসে গপ করে গিলে নেবে। 
     
  • Ranjan Roy | ১৮ আগস্ট ২০২২ ১৭:১৪511152
  • কলমের কী ধার! কী গ্রাফিক্স! 
     
    টুপি খুললাম।
     
     
  • dc | 2401:4900:1cd1:b5:cc9a:42ca:89a1:***:*** | ১৮ আগস্ট ২০২২ ১৭:৪৫511153
  • হ্যাঁ, কামড়াকামড়িও হতে পারত, বা হয়তো হতোই। আসলে আমার এই বিরাট দেশ, বিরাট সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট ইত্যাদি কনসেপ্টগুলোই ভাল্লাগে না। তাই একটু স্পেকুলেশান আর কি :-)
  • Amit | 121.2.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২২ ০৫:০৩511168
  • ওরম অনেক কিছু মনে হয় অনেক বছর পরে আরামে বসে বসে। শুধুমাত্তর ছোট হলেই যদি সব সমস্যা মিটে যেত তাহলে আফ্রিকা আজকে সবথেকে রিচ কন্টিনেন্ট  আর আম্রিগা একটা পুওর দেশ হতো। হয়েছে কি ? 
     
    উল্টে আমার ও এটাই মনে হয় ২০-৩০-৪০ টা দেশে ভাঙলে সেগুলো র মেজরিটি গুলোতেই এখোনো আফ্রিকার মডেলে ডিক্টেটরশিপ বা মোনার্কি চলতো আর নিজের পোঁ সামলাতে না পেরে পাশের স্টেট্ এর ওপর হামলা চালাতো। আজকে যাবতীয় হাজার গন্ডা সমস্যা সত্ত্বেও দেশটা এতো ডিফারেন্স নিয়েও যে ডেমোক্রেটিক মডেল টিকিয়ে রেখেছে এটাই একটা মিরাকল। জাস্ট আনপ্যারালাল্ড। 
     
    যাকগে। যা ঘটেনি সেসব নিয়ে হাজারটা স্পেকুলেশন করাই যায়। দিনের শেষে সবই টাইম পাস্- কোনোটাই ফ্যাক্ট নয়। এসবের আর কোনো ভ্যালুই নেই। 
  • &/ | 151.14.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২২ ০৫:১৪511169
  • বিদেশী শাসন চলে যাবার পর আস্তে আস্তে টুকটুক করে খন্ড গুলোকে জুড়ে দেওয়া বরং উচিত ছিল। শেষ তিন খন্ড তো বটেই, পারলে তার আগেরগুলোকেও। কিন্তু শর্ত অনেক উদার রাখতে হত, প্রতিটা রাজ্য তার বহুরকম স্বাতন্ত্র ও ক্ষমতা বজায় রাখতে পারবে ইত্যাদি ইত্যাদি। তো, তখন দূরের কথা, সেসব ব্যাপার তো এখনও আয়ত্তে আসে নি। দেখা যাক, ভবিষ্যতের লোকেরা যদি পেরে ওঠে।
  • Amit | 121.2.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২২ ০৫:১৬511170
  • ভাঙার পরে জুড়বে কি করে ? সেই তো যুদ্ধ করতে হয় আবার ? 
  • &/ | 151.14.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২২ ০৫:৪৮511171
  • তবেই বুঝুন। কীরকম অখন্ড "আপন" ভাই-ভাই সব। ঃ-)
    বৃটিশদের দিকে আঙুল তোলা আসলে আমাদের কাগ দেখানো বগ দেখানো। আসল কথাটা হল ক্ষমতাকামী যারা ছিল তারাই সাগ্রহে নিজেরাই টুকরো করেছিল নিজের নিজের অংশে রাজ করার জন্য। যদি তা না হত, বিদেশী চলে যাবার পরে অনায়াসে মিলতে পারত।
  • Amit | 121.2.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২২ ০৬:১১511172
  • কিন্তু মেলার এতো দরকার টাই বা কি ? আজকে দুনিয়ার অনেক দেশই এইভাবেই ভেঙেচুরেই  তৈরী হয়েছে। কালকেও হবে। আজকে সব জুড়লে তাতে কি লাভ হবে ? 
     
    যাদের লস অলরেডি হয়েছে ভাঙার সময় , আজকে জুড়লে কি সেসব মিটবে ? 
  • &/ | 151.14.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২২ ০৬:৪০511173
  • কোনোকিছুই কি আর মেটে? যা হয়ে গেছে, তা হয়ে গেছে। তবুও তো মানুষ নানা চেষ্টা করে, নানা প্ল্যান প্রোগ্রাম করে। কেউ কেউ বিরাট পরিবর্তনও ঘটাতে চেষ্টা করে আরো ছ্যাড়াব্যাড়া কেলেঙ্কারি করে। এইভাবেই চলে। কেই বা জানে কোথা থেকে কী হবে।
    যা হচ্ছে, ভালোই হচ্ছে। যা হবে, ভালোই হবে।
  • Amit | 121.2.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২২ ০৭:২৬511174
  • আমার পার্সোনাল মত হলো যদি কোনো দেশ বাইরে থেকে জোর করে ভাঙা হয় তাহলে তাদের জুড়ে যাওয়ার একটা ড্রাইভ থাকে। যেমন জার্মানি। আমাদের ক্ষেত্রে পুরোটা তা নয়। ব্রিটিশ দের উস্কানির সাথে সাথে নিজেদেরও একটা বড়ো অংশের ধর্মের বেসিসে ভেঙে যাওয়ার তাগিদ ছিলই  আর বিদ্বেষ এখনো ভালোই আছে সবদিকেই। তাই জুড়ে যাওয়ার তাগিদ টাও কমই। 
  • &/ | 151.14.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২২ ০৮:০৩511175
  • যার যার মতন ভালো থাকাই ভালো। জোরজার করে একান্নবর্তী পরিবার ধরে রেখে যেমন লাভ নেই, দেশের ক্ষেত্রেও তেমনই। যার যার মতন আলাদা থেকে করে কম্মে খাও। ঃ-)
  • dc | 2401:4900:1f2b:6b45:58ac:932f:9b87:***:*** | ১৯ আগস্ট ২০২২ ১০:৪৪511177
  • আপনাদের আলোচনা পড়ে মনে হলো, অনেকগুলো দেশ না হয়ে একটা বড়ো দেশ হয়ে হয়ত বেটার হয়েছে, নিজেদের মধ্যে মারপিট হয়নি। এই পয়েন্টটা মেনে নিলাম। (যদিও লোকে ​​​​​​​এতো ​​​​​​​দেশ ​​​​​​​দেশ ​​​​​​​কেন ​​​​​​​করে ​​​​​​​বুঝিনা, ​​​​​​​আমার ​​​​​​​তো ​​​​​​​কোন ​​​​​​​দেশই ​​​​​​​নিজের ​​​​​​​দেশ ​​​​​​​মনে হয়না)। 
     
    তবে নেহরুর সোশ্যালিস্ট ডেভেলপমেন্ট মডেল আর ইন্দিরা গান্ধীর ন্যাশনালিজম ড্রাইভ মারাত্মক ক্ষতি করেছে, এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। প্রথম থেকেই যদি ক্যাপিটালিস্ট মডেল বেছে নেওয়া হতো, মিনিমাম গভর্ন্যান্স অনুসরন করা হতো আর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ইনফ্রা বাদ দিয়ে বাকি বিজনেস সেক্টরগুলোতে প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট আসতে দেওয়া হতো, লাইসেন্স রাজ না তৈরি করা হতো তাহলে অনেক বেশী ডেভেলপমেন্ট হতো। নব্বুই সালে ইকোনমিক রিফর্মসের পর যে লাভ হয়েছে সেই লাভ আমরা অনেক আগেই পেতে পারতাম। 
  • Amit | 121.2.***.*** | ১৯ আগস্ট ২০২২ ১১:০৪511179
  • হেইডে তো পুরো অন্য আলুচোনা। তার সাথে দেশের সাইজে র কি সম্পক্ক ?
  • যোষিতা | ২০ আগস্ট ২০২২ ০৩:২৪511194
  • গল্পটা ভালো। তবে বিশ্বাস করা শক্ত। কলেরার রোগীকে লোকে ভিড় করে দেখছে, কারো ভয়ডর নেই। তার মধ্যে একজন যে ধর্মেরই হোক তাকে জল দিচ্ছে খেতে। ভয়ঙ্কর ছোঁয়াচে রোগ। খুবই গ্রাফিক। 
  • যোষিতা | ২০ আগস্ট ২০২২ ০৩:৫১511195
  • কলেরার রোগীর ওভাবে শেষ মুহূর্তে জ্ঞান থাকে না। 
  • র২হ | 63.119.***.*** | ২০ আগস্ট ২০২২ ০৪:৫৯511196
  • dc | ১৯ আগস্ট ২০২২ ১০:৪৪
    • ...প্রথম থেকেই যদি ক্যাপিটালিস্ট মডেল বেছে নেওয়া হতো, মিনিমাম গভর্ন্যান্স অনুসরন করা হতো আর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ইনফ্রা বাদ দিয়ে বাকি বিজনেস সেক্টরগুলোতে প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট আসতে দেওয়া হতো, লাইসেন্স রাজ না তৈরি করা হতো তাহলে অনেক বেশী ডেভেলপমেন্ট হতো। ...
     
    পাকিস্তানে ছিল, শুরু থেকে খোলামেলা অর্থনীতি। শুরুর দিকে যদ্দূর জানি দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বুমিং উন্নতির বান।
    ভারত সাবধানে লাইসেন্স রাজ ইত্যাদি।
  • dc | 2401:4900:1cd0:152b:28f4:253e:61f7:***:*** | ২০ আগস্ট ২০২২ ০৬:৩৩511197
  • পাকিস্তানে বোধায় প্রথম দিকে ইনডিভিজুয়াল ফ্রিডম ইত্যাদিও বেশী ছিল। তারপর আস্তে আস্তে কট্টর ইসলাম শুরু হয়, এখন যেমন ইন্ডিয়াতে হিন্দুত্ব প্রোজেক্ট শুরু হয়েছে। 
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন