এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অপার বাংলা

  • বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলন এবং …..

    নরেশ জানা
    অপার বাংলা | ২৮ জুলাই ২০২৪ | ৮৯২ বার পঠিত

  • প্রতিবেশী বাংলাদেশ উত্তপ্ত। কোটা বিরোধী আন্দোলন সে দেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এক বিশাল অংশের ছাত্র সমাজ সরাসরি রাস্তায় নেমেছে। পুলিশের সঙ্গে এবং অন্যান্য সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন দেড় শতাধিক মানুষ। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন ছাত্র রয়েছেন কিন্তু সিংহভাগই সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে পুলিশ কর্মীরও। এই বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষের মৃত্যু বুঝিয়ে দিয়েছে আন্দোলন ও সংঘর্ষের ব্যাপকতা কতখানি ছিল যার ঢেউ ক্যাম্পাস ছাড়িয়ে রাজপথে আছড়ে পড়েছে। আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের দাবি, কোটা প্রথার বিলোপ অথবা সংস্কার করতে হবে। আরও স্পষ্ট করে বললে বলতে হয় যে, আন্দোলনকারীরা মূলতঃ মুক্তিযোদ্ধা কোটার বাতিল চেয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছনে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান ঐতিহাসিক ভাবে সত্য। বাংলাদেশের সাহিত্য, সংস্কৃতি, রাজনীতি প্রায় সবক্ষেত্রেই মুক্তিযুদ্ধ একটি বিশেষ আবেগকে বহন করে। এই আবেগ পাক ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে স্বাধীনতার লড়াই। কৃষক, মজুর থেকে শুরু করে শিক্ষক, অধ্যাপক, সাধারণ মানুষ ও বহু যুবক যুবতী এই লড়াইয়ে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, সর্বস্ব খুইয়েছেন, নারীরা পাক সেনাদের গণধর্ষিতা হয়েছেন। আধুনিক অস্ত্র সম্ভার, সেনাবাহিনীর সংখ্যা সব কিছুতেই পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে থাকা একটি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর লড়াই ও জয় সম্ভব হয়েছিল শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধাদের আন্তরিক আত্মোৎসর্গের জন্য। একে অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই।

    স্বাধীনোত্তর বাংলাদেশে এই বিপুল সংখ্যক নিগৃহীত, নিপীড়িত, সর্বস্ব হারানো মুক্তিযোদ্ধাদের সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনা প্রধান ও প্রাথমিক দায়িত্ব ছিল। সেই পরিস্থিতিতে সরকার মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ বা কোটা ব্যবস্থা চালু করে। ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী মুজিবর রহমানের উদ্যোগে এই ব্যবস্থা চালু হয়। তারপর বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহ চলেছে। মুজিবর রহমানের হত্যা, সামরিক শাসন, একনায়কতন্ত্র, স্বৈরশাসন, ইত্যাদি নানা ঘটনা প্রবাহকে ঘিরে বাংলাদেশ আলোড়িত হয়েছে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে।

    এটা ঘটনা যে যখনই বাংলাদেশে অগণতান্ত্রিক শক্তি, মৌলবাদ মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে তখনই বাংলাদেশের ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করার চেষ্টা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শাসকের অশ্রদ্ধা, অসহনীয়তা, ঘৃণা ও আস্ফালন প্রকট হয়েছে। কারণ ওই শাসক কুলের বড় অংশই পাকিস্তানের সঙ্গে ছিল, বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী ছিল। পাশাপাশি একটি অংশ বরাবর বাংলাদেশকে ঐস্লামিক মৌলবাদী শাসন ব্যবস্থার অঙ্গ করতে চেয়েছে এবং এখনও তারা সক্রিয়। আরও একটা বিষয় মনে রাখার যে ওই মৌলবাদ, স্বৈরশাসক ও একনায়করা ঐতিহাসিক ভাবে ভারত বিরোধী। এই বিরোধিতার কারণ শুধুমাত্র এই নয় যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সক্রিয় সমর্থন ছিল কিংবা ভারতই প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল, বিরোধিতার আরও একটি বড় কারণ হল শত প্রতিকূলতা ও হিন্দু মৌলবাদের চোখ রাঙানোর মধ্যেও এই উপমহাদেশে ভারতে একটি শক্তিশালী গণতন্ত্রের অবস্থান রয়েছে।

    তা’বলে বাংলাদেশের কোটা বিরোধী কিংবা কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্রসমাজের বীরত্বপূর্ণ আন্দোলনকে অস্বীকার করা যায় না। সমাজের একটি বিশেষ অংশকে কতদিন ধরে কোটার আওতায় রেখে দেওয়া হবে, বর্তমান বাস্তবতার নিরিখে এই কোটার প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা তার পর্যালোচনা জরুরি। এর আগেও বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলন হয়েছিল এবং নিরন্তর আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনা সরকার ২০১৮ সালে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করেছিলেন। তখন ছাত্র আন্দোলন কিছুটা স্তিমিত হয়ে পড়ে কিন্তু গোল বাধে ২০২১ সালে যখন সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধাদের কয়েকটি পরিবার হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন। হাইকোর্ট সরকারি সিদ্ধান্তকে বাতিল করে ফের পুরানো কোটা ব্যবস্থাকেই বহাল রাখে যার ফলে ফের ৫৬ শতাংশ সংরক্ষণ ফিরে আসে। হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কোটা বিরোধীরা।

    ২১ শে জুলাই সেই বিষয় নিয়েই সুপ্রিম কোর্টের শুনানি হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তার মাত্র কয়েকদিন কোটা বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়ে যায় এবং সারা বাংলাদেশ অশান্ত হয়ে ওঠে। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে দেশ এবং দুর্ভাগ্যজনক ভাবে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। ২১ শে জুলাই সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে কোটা ব্যবস্থার ব্যাপক রদবদল করে ৫৬ থেকে মাত্র ৭ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। প্রশ্ন হল ২১ শে জুলাই সুপ্রিম কোর্টে শুনানি নির্ধারিত হওয়া সত্ত্বেও সেই পর্যন্ত অপেক্ষা না করে কেন তার মাত্র কয়েকদিন আগেই আন্দোলন শুরু হয়ে গেল? হতে পারে আন্দোলনকারীরা আদালতকে, সরকারকে চাপে রাখতে চেয়েছিল বা অন্য কিছু কিন্তু বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এই ঐতিহাসিক রায়ের পরও আন্দোলনকারীরা আন্দোলন থেকে সরে আসতে রাজি হননি। এবার তাঁদের দাবি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ইত্যাদি। নতুন করে হিংসার খবর না এলেও বাংলাদেশ থমথমে, সেনা মোতায়েন করা হয়েছে, কারফিউ জারি হয়েছে।

    ছাত্র আন্দোলনকে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে হাসিনা সরকারের দুর্বলতা প্রকট হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর একটি মন্তব্য, পুলিশের গুলিতে আবু সঈদ নামক সহ কয়েকজন ছাত্রের মৃত্যু, কোটা বাতিল করেও কোটার প্রতি সরকারের দুর্বলতা, শাসকদলের ছত্রছায়ায় থাকা ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের দাদাগিরি ইত্যাদি আন্দোলনকে হিংসাত্মক হয়ে উঠতে সুযোগ করে দিয়েছে। এর সংগে যুক্ত হয়েছে সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাব, ২০২৪ সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ না হওয়ার অভিযোগ ইত্যাদি ইত্যাদি। এই অবস্থায় সরকার কী উপায়ে ছাত্রছাত্রীদের ক্ষোভ প্রশমিত করে তাদের ক্যাম্পাসে প্রত্যাবর্তন ঘটায়, দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনে সেটাই দেখার।

    খুব স্বাভাবিক ভাবেই এই আন্দোলনের সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশের মৌলবাদী শক্তি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী নব্য রাজাকাররা। তারা শ্লোগান দিয়েছে, "জাতির পিতা মুজিবর রহমান ঘোড়ার ডিম,জাতির পিতা সবার প্রিয় ইব্রাহিম।" শ্লোগান উঠেছে, "ভারত যাদের মামাবাড়ি, বাংলা ছাড়ো তাড়াতাড়ি।"

    বাংলাদেশের কোটা বিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে বুঝে অথবা না বুঝে ভারতেও সংরক্ষণ বিরোধী মনোভাবের পালে হাওয়া তুলতে মরীয়া উচ্চ বর্ণবাদী চেতনা। তারা বাংলাদেশ ও ভারতের সংরক্ষণ পদ্ধতিকে এক করে দেখাতে চাইছে। যুগের পর যুগ ধরে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ না করায়, কর্মসংস্থান না করায় ভারতে যে বেকারত্বের পাহাড় তৈরি হয়েছে সেই মুল কারণটিকে আড়াল করে সংরক্ষণকেই বেকারির মূল কারণ বলে নিশানা করা হচ্ছে। আর রয়েছে দু'দেশের মৌলবাদী শক্তি যারা হাত ধরাধরি করে দু'দেশেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পতন ঘটানোর জন্য ঘোলা জলে মাছ ধরার জন্য মরীয়া। প্রতিবেশী দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমাদের তেমন কিছু করার সুযোগ নেই কিন্তু সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের দেশের যাতে অগণতান্ত্রিক শক্তি সক্রিয় হয়ে উঠতে না পারে তা দেখার দায়িত্ব ও কর্তব্য আমাদেরই।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অপার বাংলা | ২৮ জুলাই ২০২৪ | ৮৯২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | ২৮ জুলাই ২০২৪ ২২:৩১535478
  • বিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন, হাসিনা সরকার প্রথম থেকেই বলে আসছে, তারা কোটা সংস্কারের পক্ষে।...
     
    চলতি আন্দোলনের জেরে সংসতার মধ্যে  স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এবং আইনমন্ত্রী পর পর দুটি সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট বলেছেন, তারা কোটা আন্দোলনের পক্ষে। 
     
    তাহলে কোটা আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশলীগ+ ছাত্রলীগ নামধারী  হেলমেটলীগ ঝাঁপিয়ে পড়লো কেন? কেন শান্তিপূর্ণ আলোচনায় মিমাংসার বদলে উগ্র পাকিস্তানি সামরিক জান্তার মতো সহিংসতাকে ডেকে আনা হলো? 
     
    এই নথ খসিয়ে, হত্যাযজ্ঞ কেন?? 
    আরও দেখুন: 
  • upal mukhopadhyay | ২৯ জুলাই ২০২৪ ১০:২১535500
  • একই জলে  দু  বার   চান  করা  যায়  না , এই  প্রবাদ  অনুসারে  হাসিনা  সরকারের  আগের  করা আন্দোলনের  গুমোর  ভেঙেছে  বাংলাদেশের  মানুষ ।কিছু দশক  আগের আওয়ামী  লীগ যে  আন্দোলন  করেছিল  তা  ভাঙিয়ে  যে  চলবে  না সেটা  পরিষ্কার ।এ  আন্দোলন  সম্পর্কে  বলতে  গিয়ে  বিকল্প  মিডিয়া  আন্দোলনকারীদের  ভাষায়  কথা  বলুক  তা  না  করে  আওয়ামী  লীগের বন্ধু  সিপিএমের  ছাত্র  সংগঠনের  রিভাইসড  এডিশন  এই  লেখা ।মৌলবাদ  টৌলবাদ  নিয়ে  জ্যাঠামি  মারতে  কী  দায়বব্ধতা  আছে  বিকল্প  মিডিয়ার ।যা  বোঝার  ওদের  বুঝতে  দিন।  আপাতত  শুধু ভারত রাষ্ট্র সুলভ   দাদাগিরি  ভুলে  শিখুন , কেউ  জ্ঞান  শুনতে চাইছে  কলকাতার  ভদ্র বৃন্দের কাছে ।
  • upal mukhopadhyay | ২৯ জুলাই ২০২৪ ১০:২২535501
  • শুনতে  চাইছে  না 
  • upal mukhopadhyay | ২৯ জুলাই ২০২৪ ১০:২৩535502
  • একই জলে দু বার চান করা যায় না , এই প্রবাদ অনুসারে হাসিনা সরকারের আগের করা আন্দোলনের গুমোর ভেঙেছে বাংলাদেশের মানুষ ।কিছু দশক আগের আওয়ামী লীগ যে আন্দোলন করেছিল তা ভাঙিয়ে যে চলবে না সেটা পরিষ্কার ।এ আন্দোলন সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিকল্প মিডিয়া আন্দোলনকারীদের ভাষায় কথা বলুক তা না করে আওয়ামী লীগের বন্ধু সিপিএমের ছাত্র সংগঠনের রিভাইসড এডিশন এই লেখা ।মৌলবাদ টৌলবাদ নিয়ে জ্যাঠামি মারতে কী দায়বব্ধতা আছে বিকল্প মিডিয়ার ।যা বোঝার ওদের বুঝতে দিন। আপাতত শুধু ভারত রাষ্ট্র সুলভ দাদাগিরি ভুলে শিখুন , কেউ জ্ঞান শুনতে চাইছে না  চাইছে কলকাতার ভদ্র বৃন্দের কাছে ।
  • দীপ | 2401:4900:3828:739:7b18:d232:234:***:*** | ২৯ জুলাই ২০২৪ ১০:৪৫535503
  • সেই একই যুক্তিতে আপনার জ্যাঠাগিরির‌ও কোনো প্রয়োজন নেই!
  • upal mukhopadhyay | ২৯ জুলাই ২০২৪ ১১:০১535504
  • চাড্ডির পোটাও এসেছে ল্যাং  ল্যাং করে ।
  • dip | 103.77.***.*** | ২৯ জুলাই ২০২৪ ১৪:৩৩535511
  • দুকানকাটা ছাগু অন্যকে চাড্ডি বলে! 
  • ঠিক | 185.107.***.*** | ২৯ জুলাই ২০২৪ ১৭:০৩535514
  • বাংলাদেশ গাজা উগান্ডা মঙ্গলগ্রহ নিয়ে কলকাতার ভদ্রবৃন্দের মিটিং মিছিল বিপ্লব বন্ধ হোক।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন