থ্রি সেভেন এইট ফোর ওয়ান আপ হাওড়া বর্ধমান লোকাল ভায়া মেন বিকেল বিকেল পাঁচটা বেজে ত্রিশ মিনিটে আট নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে। এক প্যাকেট পাঁচটাকা। তিন প্যাকেট দশ…। ডাঁসা ডাঁসা ডাঁসা পেয়ারা…। তিনটে মোসাম্বি দশ…। তিনটে মোসাম্বি দশ…। বড় বড় লেবু। রস ভর্তি। কেটে খেয়ে দেখে নিন। নানারকম গলার স্বর। হাওড়া জেলা ছেড়ে লাক্স কোজি লাক্স কোজি আন্ডার ওয়্যারের বিজ্ঞাপন শরীর জুড়ে দেখাতে দেখাতে অনেকক্ষণ আগেই ট্রেনটা হুগলি জেলায় ঢুকে পড়েছে। একটা স্টেশনে এসে থামল এইমাত্র। এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের একখানা টিউব লাইট জ্বলছে-নিবছে-জ্বলছে-নিবছে। দপদপ করছে। ট্রেন থেকে যারা নামছে সেদিকে একবারও না তাকিয়ে ব্যাগটা কাঁধে ঠিকঠাক করে নিয়ে রুমাল বার করে ঘাম মুছতে মুছতে কেউ কলারটা ঘাড় থেকে একটু পিছনে সরিয়ে পা চালিয়ে প্ল্যাটফর্ম ছাড়ছে। সন্ধে হয়েছে একটু আগেই। গাঢ় অন্ধকার হয়নি এখনও। বেশিরভাগ ডেলিপ্যাসেঞ্জার। এক নম্বর প্ল্যটফর্ম। প্ল্যাটফর্মের আলোটা কম। ভিড়টা বেরিয়ে যাচ্ছে গেট দিয়ে। বাঁ-পাশে বিরাট একটা ফ্লেক্স। হাতটা জোড়া করে নমস্কার করে আছে। হাতের উপর থেকে গলাটা ফাঁড়া। ফ্লেক্সে পলিটিকাল নেতার ছবি। ঝড়ে ফেঁড়ে গেছে। ভোট হয়ে গেছে। রেজাল্ট বেরিয়েছে। ওই ফাঁড়া ছবির ব্যক্তিটি হয়তো জিতেছে। বা, হেরেছে। বা, অন্য কেউ হেরেছে। ছবিটা থেকে গেছে ওভাবেই। টিউবের আলোতে দূর থেকে হলুদে কালো দিয়ে বোর্ডে লেখা স্টেশনের নামটা দেখা যাচ্ছে। খন্যান। ভিড়টা এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের যেদিক দিয়ে বেরোচ্ছে সেদিক দিয়ে বেরোতে হবে। জি টি রোডের দিকে। অটোর লাইন ওখানে। আঠারো ফুটের পিচের রাস্তা দিয়ে চলবে অটো। অটোতে স্টেশন থেকে তিন মিনিট। নামতে হবে হরিদাসপুর মসজিদ তলা। স্টপেজের নাম হরিদাসপুর জামে মসজিদ থেকে। রাস্তার উপরেই গন্তব্য বাড়িখানা। বাড়ির সামনে একটা পেয়ারা গাছ। বাড়িটা একতলা। পাকা বাড়ি। এখন বাড়ির পিছনটা অন্ধকার। আলো থাকলে দেখা যেত বিশাল সাইজের একটা বিল মতো। অনেকখানি ছড়ানো। পাশে খড়ের পালুই এদিক সেদিক। অনেকগুলো বাঁশঝাড়-তাল-সুপুরি-আমগাছ। পিছনে ধূ-ধূ-মাঠ। কিন্তু জলাধারের গর্ভে এত বর্ষাতেও জল নেই বেশি। নিচে কাদা। ওই কাদার নিচে আছে বালি। পঞ্চাশ বছর আগের কথা। ওগুলোকে বলা হত বালু খাদ। এখনও ওই নামটাই থেকে গেছে। খাদের চরিত্রটা কেবল বদলে গেছে। আশপাশের পলি এসে চাপা দিয়েছে বালিকে। তাই এখনও জল শুষে নেয় শরীর থেকে। এরকম এ গ্রামে আট-দশটা আছে। এই বালু খাদ থেকে সেসময় বালি তোলা হত। রোডের উপর দাঁড়িয়ে থাকত ট্রাক। ওই বালি ভরা হত ট্রাকে। বালি চলে যেত দূরে দূরে। বিক্রি হত। এ বাড়ির দুই প্রজন্ম আগের পুরুষ ওই ব্যবসাই করত। সরকার থেকে বালি তোলা নিষিদ্ধ হল। ব্যবসা ছেড়ে চাষবাস শুরু করল পরের পুরুষ। জমিজমা বিশেষ কিছু নেই। ওই যা পাঁচ-ছয় বিঘে। বাড়ির গোয়াল ঘরে জোড়া বলদ আর দাওয়ায় লাঙল। বছরে একবার ধান। তারপর আলু। যে ঘটনার জন্য এ বাড়ির ঠিকানা জোগাড় করা তা ওই দাদু-বাবা কারুকে নিয়েই নয়। নতুন প্রজন্মের বড় ছেলেকে নিয়ে ঘটনাটা।
বোম্বে বাজারে থাকতে গিয়ে সারাফা বাজারে সোনার কাজ করতে করতে বেশ কিছু বন্ধু হয়। সিনেমার গল্প, হিরো-হিরোইনের গল্প, হিট গানের গল্প, প্রেমিকার গল্পের সাথে সাথে আর যে প্রসঙ্গটা ঘুরেফিরে আসত সেটা আর একটু বেশি ইনকাম। এক বন্ধুর দাদা তখন বিদেশ। যে এজেন্টের হাত ধরে সে বিদেশে পাড়ি দিয়েছে সেই এজেন্ট হুগলি জেলারই মানুষ। পোলাবা থানা অঞ্চলে তার বাড়ি। তবে থাকে তখন দুবাই। গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। যোগাযোগ করিয়ে দিল বন্ধুই। আলাপ হল। কাজ দেবে সে। এদেশে নয়। বিদেশে। ইনকাম বেশ খানিকটা বেশি। গন্তব্য হবে ইরান।
শেখ মইনুদ্দিনের পাসপোর্ট ততদিনে রেডি। গিয়াসুদ্দিনের পাসপোর্ট দরকার। প্রথমে পাসপোর্টের ছবি দিলেই যথেষ্ট। তারপর হাতে পাসপোর্ট চাই তার। যে কোম্পানিতে ঢুকিয়ে দেবে নাম রেজিস্ট্রাশন করাতে লাগবে সেখানে।
ইরানে তখন এক নতুন সোনার কারিগরির কোম্পানি তৈরি হবে। মালিক গিয়েছিল ইরান থেকে দুবাই। ছেলে দরকার। এরকম জায়গায় ছেলে সাপ্লাই করে হুগলির পোলবার এই গিয়াসুদ্দিন। কথা হল ছেলে দেবে আর যা যন্ত্রপাতি সোনার কাজে দরকার - সব দেবে। যন্ত্রপাতি পাঠাবে ট্রান্সপোর্টে। ছ’মাস ইরানে সে নিজে থেকে ছেলেদের সেট করে দেবে। ভালোমতো কাজ চালাতে দেখাশোনা করবে সে। কন্ট্রাক্ট হল। ইরানের কোম্পানির মালিকের থেকে চল্লিশ লাখ পেল গিয়াসউদ্দিন।
সোনার কারিগর ছেলের খোঁজ চলছে তখন পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায়। গিয়াসুদ্দিন এবং গিয়াসুদ্দিনের আন্ডারে কাজ করা আরও চার পাঁচজন এজেন্ট খোঁজ করছে ইরানের সেই কোম্পানির জন্য সোনার কারিগরিতে এক্সপার্ট ছেলে।
ছেলেদের তরফ থেকে লাগবে পাসপোর্ট আর লাগবে টাকা। ফ্লাইটে ইকোনমি ক্লাসে টিকিটের দাম দশ-বারো হাজার যাই হোক, দিতে হবে অনেক বেশি। সেই বাড়তি টাকা যাবে গিয়াসউদ্দিনের অ্যাকাউন্টে। ওটা ছেলেদের থেকে লাভ করা কমিশন। আবার ছেলে পাঠানোর কমিশন পাবে কোম্পানির থেকেও। লাভ দু’তরফ থেকে। মইনুদ্দিনকে প্রথম কিস্তিতে দিতে হবে পঁয়তাল্লিশ হাজার মতো। শেষে বাদবাকি অ্যামাউন্ট নিয়ে মোট ষাট হাজার।
মইনুদ্দিনের বয়স তখন সবে কুড়ি পেরিয়েছে। পাতলা গোঁফের বদলে সামান্য সামান্য মোটা গোঁফ। ঠোঁটের নিচে থুতনিতে সামান্য কিছু দাড়ি। পাতলা সুন্দর চেহারার চোখদুটোতে তখন বিদেশ। আর মনে আরও একটু বেশি ইনকামের অনেকখানি আশা। দুমাস আগেই স্বর্ণ-ধান পেকেছে ওদের জমিতে। ধান কাটা হয়েছে। গোলা ভর্তি হয়েছে সেই ধান। পাঁচ বছর ইন্দোরে সোনার কাজে জমেছে পনেরো কুড়ি হাজার মত। লাগবে ষাট হাজার। তার সাথে খন্যান থেকে কলকাতা এয়ারপোর্ট পৌঁছানোর খরচ। আবার কলকাতা থেকে দিল্লি এয়ারপোর্ট ফ্লাইটে যেতে খরচ। আর সাথে হাতখরচের টাকা নিয়ে মোট পঁচাত্তর হাজার প্রায়। সেই গোলা-ভরা স্বর্ণ ধান বিক্রি করে বাবা ছেলের হাতে দিল নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা। যাতে ছিল অনেকদিনের খন্যানের ওই একতলা বাড়ির ছাতের নিচে সংসার টানার উপাদান।
টাকা আর পাসপোর্ট যথাসময়ে জমা পড়ল গিয়াসউদ্দিনের কাছে। তারপর আবার সব চুপচাপ। দু-আড়াই মাস গিয়াসউদ্দিনের আর কোনও ফোন নেই। যাওয়ার কোনও খবর নেই। ইন্দোরের সোনার কাজ ছেড়ে এসে মইনুদ্দিন তখন বেকার। জোড়া বলদ তার শরীরের শক্তি লাগিয়ে খন্যানের মাটি চষছে। ধান রোয়া চলছে মাঠে। ধান পাকছে। সে ধান কাটা পড়ছে। সেই আয়ে চলছে দিন।
মইনুদ্দিনের মুখে এত অবধি শুনে মনে হল ঘটনার ক্লাইম্যাক্স বোধহয় আন্দাজ করতে পারছি। যাত্রা বোধহয় ভঙ্গ। যে নিয়ে যাবে তারই পাত্তা নেই। গিয়াসুদ্দিন দুবাইতে। টাকা আর পাসপোর্ট সবই বোধহয় গেল।
এক মিনিট থেমেই মইনুদ্দিন আবার বলা শুরু করল ওর ক্ষীণ গলার স্বরে। আড়াই মাস পর ফোন এল গিয়াসউদ্দিন মোল্লার এজেন্টের। বলল, তোমাদের কাজের ব্যবস্থা হয়ে গেছে। টিকিট-ভিসা রেডি। যেতে হবে ইরানের চাবাহার। আগে যেভাবে কথা হয়েছিল - দিল্লি এয়ারপোর্ট হয়ে যেতে হবে - পরিকল্পনায় সব মিলে যেতে থাকল। আমার অনুমান ব্যর্থ হল।
সালটা ২০১৮। মইনুদ্দিনছাড়া আরও এগারোজন ছেলে। হাওড়ার রোবিন কোলে, পূর্ব বর্দ্ধমানের ইমানুল শেখ, উত্তর ২৪ পরগনার গগন মালিক আরও কয়েকজন। ব্যাগপত্র গুছিয়ে সবাই নানা জেলার নানারকম বাড়ি থেকে দমদম এয়ারপোর্টের দিকে রওনা দিল।
রাত তিনটে। ঝলমল করছে দিল্লি এয়ারপোর্ট। জাগ্রোস এয়ারলাইন্স-এর ফ্লাইট। দু’ঘণ্টা আগে রিপোর্টিং হয়ে গেছে। লাগেজ-চেকিং কমপ্লিট। গন্তব্য চাবাহার হলেও, ফ্লাইট তেহেরান অবধি। ভোর পাঁচটা। নামল গিয়ে প্রথমবারের মতো বিদেশের রুক্ষ মাটিতে। তেহেরান থেকে আবার যাত্রা শুরু। এবার আর ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেনি গিয়াসউদ্দিন। এবার বাস। ভাড়া কমে যাত্রা। সাতাশ ঘণ্টার বাস।
নতুন দেশ। নতুন ভূ-প্রকৃতি। অন্যরকম তাপমাত্রা। বাস চলেছে ইরানের চাবাহারের দিকে। ১৪৫৫ কিলোমিটারের যাত্রাপথ। ডানে-বাঁয়ে একেবারে আলাদা দৃশ্য। বর্দ্ধমান, হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ চব্বিশ-পরগনা, উত্তর চব্বিশ-পরগনার চেনা কলাবাগান-বাঁশঝাড়-কাঁঠালগাছ-আমবাগান-পুকুরপাড়ের কলমি-ফার্ন-মস-কচুরিপানার ঘন-কালো-গাঢ় সবুজ-হাল্কা কচিকলাপাতা সবুজ দেখা চোখগুলোর ডানে-বাঁয়ে কাচের বাইরে তখন কেবল অন্য একটা রঙ। ধূসর চারপাশ। চারপাশে কেবল পাথর আর পাথর। পাহাড়গুলো যেন কেমন মৃত। শরীরে কোনও প্রাণ নেই। কচি-কচি চারা, পাথর থেকে খোলা আকাশের দিকে বেড়ে উঠে সবুজ করে দেয়নি পাহাড়ের শরীরকে। রুক্ষ ধূসর বাদামি রং তাদের। চলেছে তো চলেছে। শ্যাওলা-পড়া বাড়ির দেওয়ালের বদলে পাথরের ইটে তৈরি বাড়ি। বেশিরভাগ ধ্বংসাবশেষ। কোনওটার ছাত আছে। কোনওটার ছাত নেই। ভাঙাচোরা দেওয়াল। মানুষের বাস নেই। কুকুর-বেড়াল-ছাগল-গরু নেই। মাঝে মাঝে খাঁ-খাঁ প্রান্তর। ঊষর ভূমি।
সাতাশ ঘণ্টার কয়েক ঘণ্টা পার করে মাঝে এসে থামল বাস। বাসের দরজা খুলল। বেরোতেই লাগলো ছ্যাঁকা। চিড়বিড় করে উঠল চামড়া। তাপমাত্রা চুয়াল্লিশ-পঁয়তাল্লিশ ডিগ্রি চলছে। মাথার উপর সূর্য। কোথাও বিন্দুমাত্র মেঘ নেই। ছায়া নেই। চড়া রোদের শুষ্ক তাপ শুষে নিতে চাইছে ওই শরীরগুলোর জল। জলখাবার খাওয়া হবে। একটা শুকনো সব্জির সাথে রুটি।
আবার স্টার্ট। আবার বাস চলল সাঁ-সাঁ করে দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের দিকে। সেইরকমই ঊষর প্রান্তর, প্রাণহীন পাথরের মাঝখান দিয়ে। এগারোজন সোনার কারিগরের শরীর তখন খুব ক্লান্ত। আর মনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। রওনা দেওয়ার কিছুক্ষণ আগে যা জানা গেছে, সেটা জানা ছিল না গতকালকেও। বিদেশে কাজ করতে গেলে দরকার এমপ্লয়মেন্ট ভিসা। গিয়াসউদ্দিন বলেছিল সব করে দেবে। ভিসা রেডি। কী ভিসা সেটা বলেনি। যাওয়ার অল্প কিছুক্ষণ আগে জানিয়েছে, যে ভিসা দিয়েছে ওদের হাতে - সেটা ট্যুরিস্ট ভিসা। এই ভিসার মেয়াদ মাত্র নব্বই দিন। কথা আছে থাকতে হবে অনেকগুলো মাস। বছরের পর বছর। না হলে লাভও হবেনা কিছুই। বাড়ির গোলা-ভরা ধান বেচে, চড়া সুদে ধার করা টাকা জমা দিয়ে, বন্ধন ব্যাঙ্কের লোন নিয়ে, পাড়ার স্বর্ণকারের দোকানে বাড়ির গয়না বন্ধক রেখে, এগারোটা মানুষ চলেছে জেলা-রাজ্য-দেশের সীমা পার করে মাঝে আরও একখানা দেশ পার করে অন্য একটা দেশে। চেনা মুখগুলো ছেড়ে অনেক দূর। যেখান থেকে ইচ্ছে হলেই বাসে ট্রেনে চেপে ফেরা যায়না আর। আশা একটু বেশি রোজগার। খাওয়া খরচ, হাত খরচের পর আরও কিছু টাকা। কিন্তু এমপ্লয়েমেন্ট ভিসা তৈরিই হয়নি ওদের। কেমন একটা খটকা লাগছে মনে। একটা অস্বস্তি। বাস ছুটে চলেছে তখন কঠিন পাথুরে চড়াই-উৎরাই ভূমির উপর দিয়ে ওমান উপসাগরের দিকে…
কিচ্ছু বলার নেই। পড়ছি
খুব খুব ভালো লাগলো, এত নিখুঁত বর্নণা যেন সব কিছুই চোখের সামনে ভাসছে।
এক্সেলেন্ট লেখা।
এই শ্রমিকদের পুরো যাত্রাপথটাই এমন বিপজ্জনক; মধ্যপ্রাচ্যে যেরকম পরিস্থিতিতে কাজ করতে হয়, তাতে কারখানায় আগুন লেগে বা উঁচু হাইরাইজে কনস্ট্রাকশনের কাজ করতে গিয়ে প্রচুর দুর্ঘটনা ঘটে। সৌদি আরবে বোধহয় মানবাধিকারের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। আবার ওখান থেকে মুক্তি পেতে উত্তর আফ্রিকা হয়ে ইউরোপে, বিশেষত লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পার করে গ্রীসে ঢোকার রাস্তাও ভয়ানক; সেখানেও দালালদের সঙ্গে ঝামেলা বাঁধে। এরকম ঝামেলার পরিণতিতে বছরখানেক আগে লিবিয়ায় হিউম্যান ট্র্যাফিকারদের হাতে একটা ম্যাসাকারের খবর পড়ি।
আবার গ্রীসের স্ট্রবেরি ক্ষেতে এই মজুরদের প্রায় ক্রীতদাসের মতো ব্যবহার করা হয়; সে আরেক কাহিনী। এই লেখাগুলো বাংলাতে হোক।
খুব ভালো লাগলো, শেষ অব্দি কী হল কে জানে বেচারি মইনুদ্দিনের।
সকরুণ ঘটনা। চোখে জল এসে যায়।
অভাব মানুষকে কিভাবে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেয়।