এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  সমাজ  শনিবারবেলা

  • লেবারের বিদেশ যাত্রা ১৫

    মঞ্জীরা সাহা
    ধারাবাহিক | সমাজ | ২৬ মার্চ ২০২৩ | ১০৯৫ বার পঠিত

  • বিদেশের ড্রাইভার
    পর্ব ২


    -ভাই সেই ভিসা পাঠাল, সেই ভিসাতে গিয়ে নামলাম। ভাইয়ের একখানা চেনাজানা মানুষের সাথে আমার দেখা করার কথা ছিল। দেখা হল। সেই চেনাজানা মানুষটা ওমরা করিয়ে দিল।
    -ওমরা কী?
    -বেটাইমে হজ করাকে ওমরা বলে। একখানা বাসস্ট্যান্ডের নাম বলে দিয়েছিল। এয়ারপোর্ট থেকে বাসে করে নামলাম গিয়ে সেই স্ট্যান্ডে। কাফিলের লোক আসার কথা ছিল সেই স্ট্যান্ডে। এল তারা। দেখা হল। বাসস্ট্যান্ড থেকে কাফিলের কাছে নিয়ে গেল আমাকে। ওখানে আকামা কার্ড করিয়ে দিল আমার।
    -আকামা কার্ডটা কী?
    -এটিএম কার্ড দেখেছেন না! এটিএম কার্ডের মতো একখানা কার্ড। ওই দেশে লেবারি করতে গেলে ওরকম কার্ড করাতে লাগে। ওই দেশেই গিয়েই সে কার্ড হয়। ওই কার্ড দেখেই পুলিশেও বুঝতে পারে—এ কোথায় এসেছে। কী কাজে এসেছে। তারপর কাফিল নিয়ে নিল আমার ভিসা-পাসপোর্ট। ওইরকমই করে ওইখানে। যে কাফিলের আন্ডারে কাজ করতে হবে, কাফিল তার ভিসা-পাসপোর্ট নিজের কাছে জমা রেখে দেয়। তখনও জানি ড্রাইভারি করতে হবে গাড়ির। আমি ড্রাইভারি করতে জানি। ভিসাটাও ছিল ড্রাইভারি ভিসা। আমাকে নিয়ে গেল—যেইখানে উট থাকে। সত্তরখানা উট ধরিয়ে দিল আমাকে। বলল, কাল থেকে ওই উট চরাবি। কোথায় গিয়ে উট চরাতে হবে বুঝিয়ে দিল। দেখি, যেখানে উট চরাতে হবে, সে তো মরুভূমি। খালি বালি। হাঁটা যায় না। বসা যায় না। খালি কাঁটা গাছ। ওই ওর মধ্যে উট ছুটে চলে যায়। ডাকলে ফেরে না। কিছুতেই কথা মানে না। বশে আসে না। সঙ্গে ওই তাপ। মনে হত স্টোরোক হয়ে যাবে বোধহয় এই এক্ষুনি। ধাক্কা মেরে ফেলে দেবে হাওয়া। বালিতে ঢাকা দিয়ে দেবে আমাকে। সেই বিদেশেই পড়ে মরে থাকব। লাশ পড়ে থাকবে বালুতে। বালির ঝড়ে লাশ ঢাকা ঢাকা পড়ে যাবে। বাড়ির মানুষগুলোর আর শেষ দেখা হবে না।
    -মালিককে বললেন না—এ কাজ পারবেন না!
    -কী বলব! সে খরচা দিয়ে খানাপানি দিচ্ছে। পুষছে আমাকে। তার যা কাজ দরকার, সে তো সেটা করিয়ে নেবেই। সে কি জানতে চাইবে আমার কীসে সুবিধা, কীসে অসুবিধা! কীসে আমার মর্জি! আমার মতো আমার কাফিলের এরকম অনেক বাঁধা লোক ছিল। সবাইকে যার যার দেশ থেকে এরকমই এনে রেখে দিয়েছে।
    -আপনার ভাইকে কিছু বললেন না!। তার জন্যই তো এত দুর্ভোগ হল আপনার!
    -ভাই কী জানে! ভাই খবর পেয়েছিল একখানা কাফিলের লোক লাগবে। ওর চেনাজানা লোক মারফৎ খবর পেয়েছিল। তাই তো একখানা ভিসা দানে পেয়ে পাঠিয়ে দিল আমার কাছে। ভাই নিজেও ওদেশে লেবারি খাটে। সে যে কী করে কে জানে! হয়তো এইরকমই কিছু করে! আমার একখানা কাজের দরকার—তাকে বলেছিলাম। এইখানে কি কাজ আছে, যে করব! এই তো অন্যের জমিতে লেবারি করি! যেদিন কাজ আছে—দুটো পয়সা পাই। কাজ না পেলে হল! আর এইজায়গায় সেইরকম ভাঙন। সেই দুই হাজার ষোল থেকে শুরু হল। তিন-চারবার নদী কাটল। পয়সাকড়ি জমিয়ে ঘর বানালাম। সেই ঘর, জায়গা, জমি, খাট, বিছানা নিয়ে জলে চলে গেল। কিছু ইট হয়তো ভেঙেচুরে আনলাম। তাতে কি হয়? আবার ইট কেনো। আরেক জায়গায় উঠে এসে বসলাম, আবার দুই দিন পর নদী কেটে সব ভেঙে নিয়ে চলে গেল। বিদেশে যা কাজ কাফিল বলবে, সেই কাজ না করে উপায় কী বলেন! এরপর কিছু একটা ভাবতে ভাবতে বিড়বিড় করে বললেন, কী জানি, ভাই কী শুনেছিল—উট চালাতে হবে নাকি গাড়ি!

    কথা থামল। বড় একখানা নিঃশ্বাস ছাড়লেন।

    গাড়ির ড্রাইভিং করা আর ধূ ধূ মরুভূমিতে সারাদিন উট চরানোর ভেতর আমার ধারণায় যে বড় একখানা পার্থক্য আছে—সেটা এই বিদেশের লেবারটির কাছে যেন ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে। ড্রাইভারির কাজের আশায় গিয়ে ওই ধূ ধূ বালির ভেতর ওই উঁচু লম্বা মরুভূমির অবুঝ প্রাণীকে বশে আনার কাজটা এই পশ্চিমবঙ্গে নদীর পারে বড় হওয়া এক ষাট-বাষট্টির বৃদ্ধের কাছে যতটা দুর্ভোগেরই হোক, সবটা যেন মেনে নিয়েছেন নিজের মতো যুক্তি সাজিয়ে সাজিয়ে। অভিযোগ করেননি। দোষারোপ করেননি। ভাই বা সেই বিদেশের মালিক—কারুকেই না। একজন জেনে বা না জেনে দায়সারাভাবে ঠেলে দিয়েছে তার নিকট বা দূর আত্মীয় কোনও এক দাদাকে অন্য এক দেশে কোনো এক অনিশ্চিত কাজে। যে কাজ করতে গেলে সে বাঁচতেও পারে, মরতেও পারে। সে নিজেও বিদেশে খাটে। এই আনিকুল আলমের মতোই হয়তো সেও এভাবেই খাটে। তার কাছেও হয়তো উট চালানো আর গাড়ি চালানোর আর কোনও ফারাক নেই। খুব একটা ফারাক নেই দু-তিন বছর ধূ ধূ মরুভূমিতে অমানবিক পরিশ্রম করে জীবিত অবস্থায় ফিরে আসার বা সময়কালের মাঝে কখনও লাশ হয়ে ফেরার। আর অন্য দেশের কোনও এক মানুষ খাটানোর মালিক বছরের পর বছর একে বন্দি করে রেখে দিয়েছে। রুক্ষ শুষ্ক মরুভূমির উট আর মৌসুমি জলবায়ুর মানুষের শরীরকে পোষ মানিয়ে কাজে লাগিয়ে গেছে। মালিক বা লেবার-ভাই কারুরই কোনও অপরাধ নেই আনিকুলের কাছে। তার নিজের বাঁচার আশায় যেতে চাওয়াটাই তার কাছে সবচেয়ে বড় অপরাধ।

    -প্রথম যখন উট চালাই, মনে হত আর পারছি না। মরে যাব এক্ষুনি। থাকতে পারব না। প্রথম বছর খালি মনে হত পালাই!
    -পালানোর চেষ্টা করেননি!
    -না। না…।

    আনিকুলের এই না বাচক উত্তর শেষ হওয়ার আগেই পাশ থেকে এক অল্পবয়সী ছেলে হেসে উঠল। বেশ কিছুটা আওয়াজ করে হাসতে হাসতে বলল, হ্যাঁ… হ্যাঁ…। পালিয়েছিল! পালায়নি আবার! হেঃ হেঃ হঃ হঃ…।

    মনে হল, হঠাৎ কী যেন একটা মজার প্রসঙ্গ এসে পড়ল এই ভাঙাচোরা উঁচুনীচু ভাগীরথীর পলি দিয়ে গড়া পাড়াটাতে। চারিদিকে বাকি দর্শকেরাও হাসতে শুরু করল। পুরুষ-মহিলা কন্ঠে নানারকম হাসি। হঠাৎ মনে হল ষাট-বাষট্টির আনিকুল যেন বাচ্চা একটা ছেলে। যেন আনিকুলের টিফিন টাইমে ইস্কুল পালানো বা রাগী স্যারের টিউশন থেকে প্রেম করতে পালানোর মতো বেশ একটা মজার ব্যাপার নিয়ে এক্ষুনি কথা হচ্ছে। ছেলেটা খিক খিক আওয়াজ করে হাসতে হাসতেই বলে চলেছে, পালাতে নিয়েছিল তো কয়বার! পেরেছে নাকি! পেরেছে নাকি!

    আনিকুল ইতস্তত করতে শুরু করেছে। মুখের ভাবটা বদলে গেছে। গলার স্বরটা নামিয়ে নিয়ে এবার যে উত্তরটা দিল, সেটা আগেরবারের থেকে সম্পূর্ণ উলটো।

    -হ্যাঁ…। পালিয়েছি। সত্যি বলি কি, অনেকবার পালাতে চেষ্টা করেছি। পারিনি। ওসব বিদেশে পালানো সেকি সোজা কথা! ভিসা পাসপোর্ট হাতে নেই। দেশে ফিরব কী করে? সে তো সব দূরের কথা, পালিয়ে ধরা পড়লে খুব শাস্তি হয় ওদেশে। ভয়েই পারিনি। উট চরাতে চরাতে পালানোর চেষ্টা করেছিলাম অনেকবার। বালির মধ্যে দৌড়ও লাগিয়েছিলাম। পালিয়ে কিছু দূর গিয়ে ফের ফিরে গেছি।

    সেই বিকেলে আমার সামনে ‘হ্যাঁ’-‘না’, ‘সত্য’-‘মিথ্যার’ পালা বদল ঘটে গেল। একখানা সত্য প্রায় চেপে ফেলেছিল। অপরের নির্বুদ্ধিতার কারণেই হোক বা রসিকতার জন্যই হোক—গোপন সত্য প্রকাশ হয়ে পড়ল। আনিকুল আলম এখন নিজের গ্রাম মোল্লাটোলায়। তার দু-বারের ভাঙনের পর তিনবার কাজে লাগানো ইট দিয়ে বানানো বাড়ির সামনে বসে আছে। বাড়িটা তার নিজের। সামনে মরুভূমি নেই। শয়ে শয়ে উট নেই। কাফিল নেই। আছে নিজের পাড়ার মানুষ। আর বাইরে থেকে আসা কোনও এক ভদ্রমহিলা। যিনি রেকর্ড করে চলেছেন আনিকুল আলমের মুখের কথা। ভাবছি, আনিকুল সেই বিদেশ থেকে পালানোর কথা প্রথমবার চেপে গেল কেন? কোন ভয়ে? আমার ক্যামেরাকে? ওর পালানোর কথা রেকর্ড হলে আর দশটা মানুষ শুনে ফেলবে। ফেললেই বা কী! আর কোন শাস্তি হবে? কাকে ভয় পাচ্ছে সে এখনও? সেই বিদেশের মালিক? যার সাথে হয়তো আর কোনও দিন আর দেখা হবে না! নাকি এই ভয়টা কোনও এক মালিককে নয়! ও দেশ, এ দেশ—নানা দেশের সারা জগতে যত মালিক আছে প্রত্যেককে ভয়? যে ভয় ওর মধ্যে ঢুকে গেছে—সেই যবে থেকে অন্যের মালিকানায় খাটা লেবার হিসেবে নিজেকে জেনেছে। সে ভুলে গেছে, এ শ্রেণীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে। দোষারোপ করতে। শুধু মনে রেখেছে, এই ভরণপোষণ দেওয়া মালিক শ্রেণীর হুকুম বিনা দ্বিধায় তামিল করার নিয়মগুলি। বেঁচে থেকে বা মরতে মরতে।

    মুখটা কাচুমাচু করে বলে চলেছে আনিকুল, পালালে খুব শাস্তি হত ওখানে। খুব পেটায় ওরা ধরা পড়লে।
    -কে পেটায়? পুলিশ!
    -না না! পুলিশ পেটায় না। ওদেশে কাফিলই আসল। পুলিশ যদি ধরে আকামা কার্ড দেখে বলবে, বল তোর মালিক কে? কাফিলের ফোন নম্বর দে! সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে দেবে কাফিলকে…



    চলবে…

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ২৬ মার্চ ২০২৩ | ১০৯৫ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    অদ-ভূত!.. - Kasturi Das
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই প্রতিক্রিয়া দিন