এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • তুরস্ক,আজারবাইজান ও ভারত

    Sandipan Majumder লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৫ মে ২০২৫ | ৩৩ বার পঠিত
  • বিভিন্ন কাগজে বেরিয়েছে ভারতীয় পর্যটকরা দলবেঁধে  তুরস্ক আর আজারবাইজান ভ্রমণ ক্যানসেল করছেন। মেক মাই ট্রিপ, ইজ মাই ট্রিপ এবং অন্যান্য ভ্রমণ সংস্থার রেকর্ডবুক তাই বলছে। সদ্য সমাপ্ত ভারত পাক সামরিক সংঘাতের সময় এই দুটি দেশ প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে।

     দেশপ্রেম জিনিসটা বেশ ভাল, যখন সেটা সৎ, দায়বদ্ধ, যুক্তিবাদী মানুষদের থাকে। আমাদের দেশে অবশ্য  ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে, কর্মক্ষেত্রে কাজ ঠিকমত না করে, সারাদিন রাজা উজির মেরেও সপ্তাহান্তে বা মাসান্তে ধর্মস্থানে গিয়ে পুণ্য কুড়োনোর রেওয়াজ আছে। ঘুষ খাওয়া, দুর্নীতি প্রভৃতি সামাজিক অন্যায়ের সঙ্গে যে প্রকৃত ধার্মিকতাকে মেলানো যায় না সে বোধ এদের নেই। এই মাঝে মাঝে দেশপ্রেম  উথলে ওঠা  সম্পন্ন ঘরের ( যারা বিদেশ ভ্রমণের রেস্ত পকেটে রাখেন ) নাগরিকদের ঠিকুজি কোষ্ঠীর খোঁজ নিলেও এরকম অনেক (সবাই নন ) মানুষের খোঁজ পাওয়া যাবে যাঁরা দেশপ্রেমিকের উপযুক্ত নাগরিক কর্তব্য পালন তো করেনই না, বরং তার বিপরীত আচরণ করেন--- এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।
     
    তুরস্কের ব্যাপারে এদের রাগটা আরো বেশি কারণ তুরস্কে ভয়ংকর ভূমিকম্পের পর ভারত নাকি সাহায্য পাঠিয়েছিল – বেইমানের জাত সেটা ভুলে গেছে। এইসব কাণ্ডজ্ঞান  বর্জিত মানুষগুলোকে একথা বলে চুপ করিয়ে দেবার কেউ নেই  যে  এটাই আন্তর্জাতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে যে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়া দেশকে শত্রু মিত্র বিবেচনা না করেই সাহায্য করতে হয়। কাছের বন্ধুরা বেশি সাহায্য করে, বাকিরা কম। ভারতও তাই করেছে। শুধু তাই নয় এইসব ক্ষেত্রে যে তুরস্কও অতীতে বহুবার ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে সেটাও জানা দরকার। ২০০১ এর গুজরাট ভূমিকম্প, ২০১৩ সালের উত্তরাখণ্ড বন্যা, , ২০১৮ সালের কেরল বন্যা--- প্রতিটি ক্ষেত্রেই তুরস্কের সরকার এবং এন জিওরা ভারতেকে সাহায্য করেছে। Turkish Red Crescent নামে এন জি ও  গুজরাট ভূমিকম্পের পর পুনর্বাসনে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল তা সেখানকার অধিবাসীদের স্মরণে থাকতে পারে। কোভিড মহামারীর সময় তুরস্ক থেকে যে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর, ভেনটিলেটর এবং অন্যান্য মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট এসেছিল সে কথা আমরা দিব্যি ভুলে মেরে দিয়েছি।
     
    তাহলে তুরস্ক এবং আজারবাইজান  পাকিস্তানকে সমর্থন করল কেন ? সহজ উত্তর—মুসলিম দেশ বলে। তাহলে ঘোর মুসলিম দেশগুলো পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ালো না কেন? উত্তর নেই। কারণ দুটিরই উত্তর হবে ভূরাজনৈতিক কারণে ।
     তুরস্কর বর্তমান শাসক এর্দোয়ানের মুসলিম বিশ্বের নেতা হওয়ার বাসনা একটা আছে  কিন্তু নিজের দেশেই এখনও মুসলিম আইডেনটিটিকে তিনি সর্বাত্মকভাবে প্রতিষ্ঠা করতে পারেন নি। মুসলিম  সংখ্যাগুরু দেশগুলোর মধ্যে তুরস্ক আর আজারবাইজানই সবচেয়ে বেশি সেকুলার এখন পর্যন্ত। তুরস্কে কামাল পাশার সময় আরবী ভাষায় আজান দেওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ ছিল। তুরস্কের সেনাবাহিনী কঠোরভাবে সেকুলারিজমের পক্ষে। গত শতাব্দীর শেষ তিনটি দশকে সে দেশে হিজাব কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছিল সেনাবাহিনী। এই নিয়ে ইসলামপন্থী  সমাজের সঙ্গে তাদের সংঘাতও তৈরি হয়। তুরস্কের নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ওরহান পামুকের ‘স্নো’ উপন্যাস এই দ্বন্দ্বের পটভূমিতে লেখা। ২০০৩ সালে এরদোয়ান প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে এবং তাঁর ফ্রিডম পার্টির ক্ষমতাবৃদ্ধির পর ধর্মীয় পরিচয়ের প্রকাশ ঘটানোর পথে বাধা অনেক কেটেছে বটে তবে রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র পালটায় নি।তুরস্কে মুসলিমদের জনসংখ্যায় অনুপাত ৯৯ শতাংশ।
    আজারবাইজান সম্ভবত দীর্ঘদিন সোভিয়েত  ইউনিয়নের নাস্তিকতার আঁচ পুইয়ে ধর্মনিরপেক্ষ।  সেখানে শিয়া ইসলামপন্থীরা মোট জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশ ,সুন্নিপন্থীরা ২৫ শতাংশ, খ্রীস্টান ৬ শতাংশ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ যদিও সামাজিকভাবে  হিজাব নিষিদ্ধ নয়। সেখানে বাইরে থেকে (পড়ুন আরব দুনিয়া ) ধর্মীয় পুস্তকের আমদানি নিষিদ্ধ। বাইরে থেকে ধর্মশিক্ষা করে এসে কেউ সেখানে ইমামগিরিও করতে পারে না।
     
    তাহলে তুরস্ক বা আজারবাইজান পাকিস্তানের সঙ্গে কেন ? আগেই বলেছি ভূরাজনৈতিক কারণে। তুরস্কর সঙ্গে পাকিস্তানের দীর্ঘকালীন সম্পর্ক।  দুটি দেশই আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে আজারবাইজানকে সমর্থন করে। আর্মেনিয়া আর আজারবাইজান সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে মুক্ত হবার পর দুই দেশের মধ্যে সীমান্তসংঘর্ষ এবং একবার ২০২০ সালে যুদ্ধ হয়েছে। পাকিস্তানের পরিকাঠামোতে তুরস্কের বিনিয়োগ আছে (ইস্তাম্বুল-ইসলামাবাদ পণ্যবাহী ট্রেন, বিদ্যুৎ প্রকল্প ইত্যাদি)। তুরস্কের সঙ্গে সাইপ্রাস এবং গ্রীসের সঙ্গে বিরুদ্ধতায় পাকিস্তান তুরস্কের পাশে দাঁড়ায় সবসময়।
     
    তুরস্ক আর আজারবাইজানের মধ্যে মিল এতটাই যে তারা নিজেদের মনে করে ,’One Nation, Two States’ এর অন্তর্গত।  তারা উভয়েই নৃতাত্ত্বিকভাবে টার্ক, তাদের ভাষা পরস্পরবোধ্য। দুই দেশের মধ্যে আছে সামরিক ,বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক বিনিময় । এমনকি দুই দেশের নাগরিকদের অন্য দেশে যেতে ভিসাও লাগে না। ফলে তুরস্ক যা বলবে আজারবাইজানও তাই বলবে। সেখানেই তাদের আন্তর্জাতিক রাজনীতির ঐক্য।
     
    পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব সংঘাত, সামরিক সংঘর্ষ  এমনকি যুদ্ধও হতে পারে। সেইসময় কে কোন পক্ষে দাঁড়াচ্ছে সেটা দেখেই শুধু সেই দেশটাকে বিচার করতে যাওয়া ঠিক নয়। অনেক বাস্তব অসুবিধা দেখা দেবে। দেখা যাবে আপনার সন্তানকে উচ্চশিক্ষার জন্য কোনো উন্নত দেশে পাঠাতে পারছেন না। বিদেশি পণ্য বর্জন করতে আপনার জরুরী ওষুধ খেতে পারছেন না কারণ সেই ওষুধের কাঁচামাল আপনার অপছন্দের দেশ থেকে আসে। এইসব দেশপ্রেমের নিদর্শন না দেখিয়ে যাদের ওপর দেশের স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব তাদের সেই কাজটা সুষ্ঠুভাবে করতে দিন।
     
    হ্যাঁ, একটা জায়গায় ভারত আর তুরস্কের মিল পাওয়া যায়। যে রাজনৈতিক দল আর শিবিরের হাতে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতা লঙ্ঘিত হবে বলে আমরা ভয় পাই তাদের হাতে অপ্রতিহত ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতার সর্বোচ্চ কেন্দ্র থেকে আজও ঘোষণা করতে হয়, ধর্মনিরপেক্ষতা আমাদের রক্তে। তুরস্কে এর্দোয়ান এবং তার দল ফ্রিডম পার্টি ২০০৩ সাল থেকে ক্ষমতা ভোগ করেও পারেনা রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান বা ব্যবস্থাকে পাল্টাতে, দুই একটি ইসলামপন্থী কনসেশন দেওয়া ছাড়া। তাকেও ঘোষণা করতে হয়  তুরস্ক ধর্মনিরপেক্ষ থাকবে। বোঝা যায় দুই দেশের রাষ্ট্রচরিত্রেই ধর্মনিরপেক্ষতার একটা পোক্ত বনিয়াদ রয়েছে যাকে খুব সহজে নস্যাৎ করা যায় না। জওহরলাল নেহরু(সমমনস্ক রাজনীতিবিদদের উল্লেখসহ)  এবং কামাল পাশার কাছে  যথাক্রমে ভারত এবং তুরস্কের অধিবাসীদের কি এই বিষয়ে  কৃতজ্ঞ থাকা উচিত নয় ?

     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • MP | 2409:4080:d8d:cf9a:58ea:1836:aab7:***:*** | ১৬ মে ২০২৫ ০৩:৫৯731366
  • লেখকের বর্তমান লেখাটির মধ্যে একটি ভুল চোখে পড়লো আমার l এর্দোয়ানের দলের নাম ফ্রিডম পার্টি নয় , একেপি পার্টি যেটির নাম হতে পারে জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি l লেখক ফ্রিডম পার্টি নামটা পেলেন কোত্থেকে ?               ভারত থেকে প্রতি বছরে প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ তুরস্কে বেড়াতে যেত , সংখ্যাটা তুরস্কের সর্বমোট বাৎসরিক বিদেশী ট্যুরিস্টের এক শতাংশেরও কম !!! কাজেই ভারতীয়রা তুরস্কে বেড়াতে না গেলেও কিছুই বিশেষ যায় আসবেনা তুর্কীর l এই কথাটা আপনার লেখাতে স্থান পেল ভালো হত বোধহয় l    দ্বিতীয়তঃ সেক্যুলারিজম এর অর্থ ভারতের আর তুরস্কের ক্ষেত্রে এক নয় l এটাও বুঝবার প্রয়োজন আছে l তাছাড়া , তুরস্কের ইসলাম , পশ্চিম এশিয়ার ইসলামের থেকে অনেকটাই আলাদা অনেক কারনে l 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন