এই সাইটটি বার পঠিত
অবশেষে এসে পড়েছে গুরুর নিজস্ব ঠেক ও ঠিকানা - ১৫ বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট, কলেজ স্কোয়ার! ফোন/ হোয়াটসঅ্যাপঃ +৯১৯৩৩০৩০৮০৪৩
- বুলবুলভাজা ধারাবাহিক সমাজ শনিবারবেলা
-
লেবারের বিদেশ যাত্রা ১১
মঞ্জীরা সাহা
ধারাবাহিক | সমাজ | ০৯ অক্টোবর ২০২১ | ২১৮০ বার পঠিত - পর্ব ১ | পর্ব ২ | পর্ব ৩ | পর্ব ৪ | পর্ব ৫ | পর্ব ৬ | পর্ব ৭ | পর্ব ৮ | পর্ব ৯ | পর্ব ১০ | পর্ব ১১ | পর্ব ১২ | পর্ব ১৩ | পর্ব ১৪ | পর্ব ১৫ | পর্ব ১৬ | পর্ব ১৭ | পর্ব ১৮
লেবারের পাহাড়ে চড়া - ২
প্রথমে শব্দটা বুঝতে পারিনি। পরে দু’তিনবার অ্যাঁ অ্যাঁ করে যেটা বুঝতে পারলাম, শব্দটা উগ্রপন্থী। মাটির তলায় কোথায় কোন সম্পদ আছে – তার সাথে মাটির উপরের গোলমালের বোধ হয় যোগাযোগ নেই। মাটির উপর কোন কোন অধিকার রক্ষার লড়াই চলছে – তার সাথে কোম্পানি-তলার তরল সোনা হস্তগত করার অঙ্কের সমাধান-সূত্র এই এত দূর থেকে বোধহয় বোঝা সম্ভব না।
সন্টু বলে চলল, কোম্পানি সরকারি না বেসরকারি ছিল জানি না কিন্তু ওই উগ্রিপন্থি অ্যালাকাতে মিলিটারি সাথে সাথে যেত আমাদের। পাহারা দিত। আমরা কাজ করতাম।
- কোনও বিপদ হয়নি ওই সব এলাকায় কাজ করতে?
- হ্যাঁ। মদ খেয়ে মরল লেবারেরা। ডেঙু-ম্যালেরিয়া হল। কত মরল!
আমি যে বিপদের কথা আশা করে প্রশ্নটা করেছিলাম আশা মিটল না।
- কোথায় পেত সে মদ?
- ও-ই আশপাশের গ্রাম থেকে আনত। চুল্লু, চুল্লু... ওই সব গ্রামেই তৈরি করে মেয়েরা। ওইসব খেয়ে আমাদের এইদিককার লোক ওইখানে গিয়ে মরত।
- মারা গেলে কি হত? বডি পাঠাত বাড়িতে?
- সে তো জানিনা। আমরা তো কাজ করতাম কোম্পানি থেকে দূরে। জঙ্গল-পাহাড়ের ভিতর। ওইসব কোম্পানির ব্যাপার। কোম্পানি বডি নিয়ে কি করবে, বডি পাঠাবে কিনা, সে সব খবর আমাদের কাছে আসত না। কে খবর দেবে! আমরা তো বোরিং করার জন্য ঘুরছি। শ্মশান-মশান কোনও বাছাবাছি নেই। গু-মুত যা থাক! যেইখানে বোরিং করে বোম ফাটিয়ে তেল আছে জানতে পারবে, আমাদের সেইখানেই থাকতে হবে। কোম্পানির লোক যেখানে থাকতে হবে বলেছে, সেইখানে একটু পরিষ্কার করে, জঙ্গল কেটে, সাপ-কোপ মেরে, তাম্বু টানিয়ে থেকে গেছি।
দু’হাজার কুড়ির বাইশে মার্চ ওরা শ্মশানে, জঙ্গলে, পাহাড়ের ঠিক কোন খাড়াইতে ছিল, সে জায়গার নাম ওদের জানা হয়নি। ওই জঙ্গল-পাহাড় থেকে দূরে, টিভি চ্যানেলে প্রধানমন্ত্রীর মুখ দেখা গেল। ঘোষণা হল লকডাউন। প্রধানমন্ত্রী বললেন, যিনি যেখানে আছেন, তিনি সেখানেই থাকুন। খবর হল – সারা দেশের ট্রেন-বাস-বর্ডার সবকিছু বন্ধ হল একুশ দিনের জন্য।
ডিসেম্বর থেকে মার্চ অবধি কোন কোন সব দেশ থেকে ফ্লাইটে চড়ে কারা কারা সব রোগ নিয়ে এল। রোগ ছড়াতে দেওয়া হল। আর ওরা আটকে পড়ল পাহাড়ের উপর, জঙ্গলের ভিতর। ওরা চেয়েছিল ত্রিপুরাতেই পাহাড়ের উপর, গ্রামের পাশের মাঠে তাঁবু টাঙিয়ে থাকতে। হল না। গ্রামবাসীরা এসে তাঁবু ছিঁড়ে দিয়ে গেল। জোর ঝামেলা করল। গ্রাম্য তিব্বতি ভাষায় বলল, তোরা কলকাতা থেকে এসেছিস, তোরা রোগ নিয়ে এসেছিস।
সুন্দরবন আর কলকাতার মাঝে বেশ কতকগুলি নদী, ঘর-বাড়ি, গাছপালার পার্থক্য থাকলেও ওই দূরের রাজ্যে রোগের ভয়ে কলকাতা আর সুন্দরবনের কোন পার্থক্য নেই। নিজের জায়গায় কলকাতার মতো ডাক্তার-হাসপাতাল-গাড়িঘোড়ার সুবিধা না পেলেও দূরে গিয়ে ওরা কলকাতার মানুষ।
গ্রাম থেকে তাড়া খেয়ে ওদের আশ্রয় হল কোম্পানির ঠিক করা জায়গায়। সন্টু বলেছিল, প্রজেক্টের ভিতর রেখেছিল আমাদের।
ওই পাহাড়ের উপরে প্রজেক্ট ব্যাপারটা ঠিক কিরকম – জিজ্ঞাসা করলাম। বাইরে প্রাচীর-ঘেরা হলেও, ভেতরে গর্ত-খোঁড়া, মাটি, কাদা, জংলা লতা-পাতা, ঝোপঝাড়ে ভরা। নোংরা পরিষ্কার করে সাপ-খোপ মেরে জঙ্গল সাফ করল। তাঁবুর পাশে তাঁবু বাঁধা হল। সাতশ’ জন। তাঁবুতে তাঁবুতে গাদাগাদি করে থাকতে শুরু করল। একেক তাঁবুতে বারো-চোদ্দ, কোনও তাঁবুতে আঠারো-কুড়ি জন অবধি। কাজ বন্ধ হল। নীচ থেকে গাড়ি করে যা চাল-ডাল আসবে, সেটাই ফুটিয়ে খেতে হবে। গাড়িতে যা জল আসবে, সেটা দিয়েই খাওয়া-নাওয়া সব কিছু। জল না এলে জল নেই।
সন্টু বলছিল, যতবার ফোন করেছি, মালিক-কে-মালিক খিস্তি দিয়েছে। বলেছে এসেছিস কেন কাজে? এখন বসে থাক! এখন তো আটকে থাকতেই হবে।
ওই উঁচু পাহাড়ের উপর এক সপ্তাহ পরপর খাবার যাওয়ার কথা। একের জায়গায় দেড় সপ্তাহ পার হয়ে গেছে। খাবার যায়নি। এক টিনে যতটুকু জল, তা দিয়েই স্নান জল খাওয়া। আর জল না গেলে – জল নেই। ওরাও ত্রিপুরার পাহাড়বাসীদের নকল করে পাহাড়ে গর্ত খুঁড়েছে। পাথর চুঁইয়ে চুঁইয়ে যতটুকু জল জমেছে গর্তে, সেটাই খেয়েছে। বারবার মালিকের কাছে বাড়ি ফেরার আবদার করেছে। গালি খেয়েছে।
দেশে ট্রেন, বাস, দোকানপাট, রাজ্যের বর্ডার সিল থাকলেও রাজ্যগুলোর ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়, জল, বৃষ্টি, হাড়-কাঁপুনি হাওয়া – ঋতুচক্রের এসব দানের কোনও বদল হয় না। এই লকডাউনের মাসগুলিতেও হয়নি। পাহাড়ের উপর ঝড় বয়েছে। তাঁবুর জোড়া-তাপ্পি দিয়ে জল পড়েছে। মশা-মাছি, পোকামাকড় ঢুকে পড়েছে তাঁবুর ভেতর। রাত হলে অপেক্ষা করেছে পরের দিনের। দিন শেষে রাতের। ২… ৩… ৪…। লকডাউনের নতুন নতুন নাম শুনতে পেয়েছে। মোবাইলে নিউজ দেখেছে, সুন্দরবনে ওদের বাড়িঘর, গোয়াল, ছাগলের ঘর, নদীর বাঁধের উপর দিয়ে আম্ফান ঝড় বয়ে যাচ্ছে। বাঁধ ভেঙে ভাসিয়ে দিচ্ছে ধান, মাঠ। কখনো খবর পেয়েছে। কখনো পায়নি। যোগাযোগ ছিঁড়ে গেছে বাড়ির সাথে। আধপেটা খেয়ে ওরা দিন গুণে গেছে বাড়ি ফেরার। আর গালি খেয়ে গেছে মুন্সি ঠিকাদারের।
আড়াই মাস পরে ওদের ফ্লাইটে পাঠানো হয়েছে। কথা ছিল, যাওয়া-আসার খরচ কোম্পানির। সাড়ে চার মাস হাড়ভাঙা খাটুনির টাকা থেকে সব কেটে নিয়ে এক হাজার টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়েছে।
সন্টু বলেছিল, টিকিটে কোনও অ্যাকাউন্ট লেখা ছিল না। বুঝতে পারিনি টিকিটের দাম কত!
বার দু’তিনেক কথাটা শোনার পর বুঝলাম কথাটা হবে ‘অ্যামাউন্ট’।
বাড়ি ফিরে এসে, লোকাল ঠিকাদারের কাছে শুনেছে – ওদের কাজের সব টাকা শোধ হয়ে গেছে। আর কিছু পাওনা নেই। লকডাউন চলেছে তারপরেও। টাকা আর আসবে না – ওরা জেনে গেছে।
বেরিয়ে এলাম ঘর থেকে। নোনা জল এখন অনেক দূর সরে গিয়ে গোমরের তলার কাদামাটি বেরিয়ে এসেছে। সন্ধে হয়ে এসেছে। মশার ভনভন কানে আসছে ভ্যানের জন্য দাঁড়িয়ে থেকে। সামনের পিচের রাস্তাটার সাদা দাগগুলো আলো পড়ে ঝলমল করছে। রাস্তাটার ডানে-বাঁয়ে ঘরগুলোর ভেতর অপেক্ষা চলছে, ট্রেন চালু হওয়ার, ঠিকাদারের ফোনের। ওই নতুন পিচের ঝকঝকে রাস্তাটা অপেক্ষা করছে লকডাউন শেষে ট্যুরিস্টদের বাঘ-কুমির-জঙ্গল দেখতে আসার আর ওই পাড়াগুলোর ছেলে-বুড়োদের অন্য অন্য রাজ্যে কাজে চলে যাওয়ার …
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। - আরও পড়ুনলেবার মেয়ের কথা - মঞ্জীরা সাহাআরও পড়ুনহাঙ্গেরি এক - হীরেন সিংহরায়আরও পড়ুনচেকিয়া ৭ - হীরেন সিংহরায়আরও পড়ুনআমেদাবাদ - পাপাঙ্গুলআরও পড়ুনঅদ-ভূত!.. - Kasturi Dasআরও পড়ুনপরীক্ষার বন্ধু - শুভাশিস পাল
- মতামত দিন
-
বিষয়বস্তু*:
| 2406:7400:63:3c5e::***:*** | ০৯ অক্টোবর ২০২১ ১৫:৫৪499341- মাসিমা , ত্রিপুরার লোক তিব্বতি ভাষায় কথা বলে না | একজনকে কে সহজ সরল ভিক্টিম দেখতে গিয়ে অন্যজন কে কি Demonise করতেই হবে ?
- হেহে | 2405:8100:8000:5ca1::16d:***:*** | ০৯ অক্টোবর ২০২১ ১৬:৩৫499342
- ও বাবা পুটকিচোদন এট্টকনি পড়াশোনা করে দেখো ত্রিপুরার ভাষা ককবরক সাইনো টিবেটান ভাষা। ওকে চলতি কথায় তিব্বতি বলে লোকে। মুখটা পোঁদে ঢুকিয়ে আস বলে কি মগজটাও পোঁদে?
- r2h | 2405:201:8005:9947:2d58:5b99:ee7a:***:*** | ০৯ অক্টোবর ২০২১ ১৬:৫৮499343
- এই সিরিজটা খুবই ভালো হচ্ছে, নিয়মিত পড়ছি।
ত্রিপুরার লোকেরা তিব্বতি ভাষায় সত্যিই কথা বলেন না, ককবরককে চলতি কথায় তিব্বতি বলে, এমনটা কখনো শুনিনি, অন্তত ত্রিপুরার বাঙালীরা তো বলেনই না, ভাষার অরিজিন যাই হোক।
তবে এগুলো সংলাপ, ধরে নিচ্ছি যাঁরা বলেছেন তারা তিব্বতি বলে উল্লেখ করেছেন, হয়তো বাইরে থেকে যাঁরা যান তাঁদের কাছে ককবরক থেকে তিব্বতি বেশি পরিচিত।
আর ওপরের দুটো মন্তব্যই কুরুচিকর।
- | 2406:7400:63:3c5e::***:*** | ০৯ অক্টোবর ২০২১ ১৭:০৩499344
- দাদু আপনার মুখের ভাষা তো চমৎকার , কত্ত কিছু জানো | ককবরক কে চলতি ভাষায় তিব্বতি বলে এই খবর টা কি মাসিমা দিলো ??
- | 2406:7400:63:3c5e::***:*** | ০৯ অক্টোবর ২০২১ ১৭:১৩499345
- এদিকে মরাল মেসো এসে গিয়েছে , সুরুচি - কুরুচি আর আপোসমোস্কিতি বোঝাতে |
- :-)) | 2a03:e600:100::***:*** | ০৯ অক্টোবর ২০২১ ১৯:৫১499359
- হুতোভাইঅপিসে বাড়িতে রাস্তায় দোকানে সর্বোত্তর লাথ খে এসে এ মালগুলো একেনে খিস্তি চোদায়। এ দুটো লাথখোর মালই একেনে বেশ কিছুকাল ঘুরে ঘুরে খিস্তে বেড়াচ্চে।
- | 2402:3a80:d1a:4fc7:bdec:7ad0:d6a5:***:*** | ০৯ অক্টোবর ২০২১ ২০:৫২499365
- চোদানো ?? ।.উরি বাবা কি অপসমস্কৃতি ... :)
-
Ramit Chatterjee | ১১ অক্টোবর ২০২১ ১৩:৫০499426
- এই সিরিজটা খুবই ভালো হচ্ছে।
-
দ | ১১ অক্টোবর ২০২১ ১৩:৫৬499427
- এই পর্বটা মিস করে গেছিলাম। খুবই ভাল জরুরী সিরিজ।
- বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 49.37.***.*** | ১১ অক্টোবর ২০২১ ১৪:০৪499431
- এই সিরিজটা ভালো লেগেছে। যদিও সব কটা পর্ব পড়া হয় নি। কয়েকটা হয়েছে। খুব ই অভিঘাত হয়েছে। বিষয়ের প্রায়োরিটি, উদ্যোগ এবং পরিশ্রম টা খুব ই ভালো। সবাই কে অভিনন্দন। কিন্তু ফর্মটা যেটা বাছা হয়েছে, সে ব্যাপারে একট কথা ছিল। একটা প্যারালেল কমেন্টারি থাকলে কনটেক্সচুয়ালাইজ করতে সুবিধে হত। ফিকশন এবং নন ফিকশন এর মধ্যে বেড়া ভেঙে ফেলে, এই স্টোরি টার কোন লাভ আছে বলে মনে হয় না। কমেন্টারি একটা থাগলে ভালো হত। মানে ধরুন একটা রুটের বা একটা সোর্সের বা একটা ডেস্টিনেশনের মাইগ্রেশন যদি বাছা হয়েই থাকে, কেন বাছা হল, ইত্যাদি থাগলে সুবিধে হত।এ মানে সারাজীবন কোন না কোন ফর্মে চলা উচিত। লেবারের জীবনের কথা বাদ দিয়ে তো আর জীবন হয় না।বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত
- সিএস | 49.37.***.*** | ১১ অক্টোবর ২০২১ ১৮:২৭499434
- আমার মতটা বোধির মতের উল্টো। আমি এই লেখাটিকে ডকুমেন্টেশন হিসেবে নয়, উপন্যাস হিসেবে পড়ি। উপন্যাস তাই যা বানানো কিছু নয়, বাস্তবের ডকুমেন্টেশন। এই যে সব লোকগুলো - আমাদের, মানে আমাদের সভ্যতার যে চোখে দেখা বাস্তব, তার যা কীর্তি আর শহর আর বন্দর আর বাণিজ্য আর টাকাপয়সা ইত্যাদি - সেই বাস্তবের আড়ালে রয়ে যাবে অথচ সভ্যতার বাস্তবকে বোঝাই যায় না, এই লোকগুলোর পরিস্থিতি না বুঝলে। দৈনন্দিনের আড়ালে যেসব ঘূর্ণিপাক, আড়কাঠি - ঠিকাদার - গুন্ডা ইত্যাদি নিয়ে যে জটিল, জালের মত ব্যবস্থা সেসব এই লেখাটি থেকে বোঝা যায়।
এই পর্বটি পড়তে গিয়ে মনে হল, এবারের সাহিত্যের নোবেল যিনি পেয়েছেন তার লেখার বিষয় হল রিফিউজি এক্সপিরিয়েন্স, পোস্ট কলোনিয়াল এক্সপেরিয়েন্সের হয়ত পরের ধাপ, বিংশ শতক যদি হয় উদ্বাস্তু হওয়া আর ঘর থেকে ছিন্ন হওয়ার শতক, তো সেই এক্সপেরিয়েন্সের হয়ত লেখক পাওয়া গেছে কিন্তু এই 'লেবারদের' জগতের , যাদের ওপর আমাদের সময় দাঁড়িয়ে আছে, আদৌ সম্ভবই না মনে হয় তাদের জীবন তাদের দ্বারাই প্রকাশিত হওয়া, উপন্যাসের মাধ্যমে। এদের মধ্যে কেউই সেই অবস্থায় পৌঁছতে পারবে না যেখান থেকে সে তাদের অভিজ্ঞতার নভেলাইজেশন ঘটাতে পারবে।
আর উপন্যাসকে আমি ডকুমেন্টেশনের থেকে বেশী গুরুত্ব দিই, উপন্যাস অন্য অনেক কিছুর সাথে তথ্য আর বাস্তব অভিজ্ঞ্তাকে শুষে নিতে পারে বলে । ডকুমেন্টশনের শর্ত মানলে লেখককে নিজের কথা বলতে হবে অথবা নিজের কাজের কথা অথবা সেই কাজের উদ্দেশ্যের কথা , কিন্তু সেরকম না হয়ে লেখিকা যদি 'আমি'- কে লুকিয়ে ফেলেন, আলাদা করে নিজের ওপর কোন ভাবেই গুরুত্ব আরোপ না করেন, পরিচয়ও না দেন, বরং ঐ সব মানুষগুলোর জীবনের লিপিকর হয়ে থেকে যান শুধু, আমার কাছে সেটা বেশী গুরুত্বপূর্ণ।
-
- কিন্তু এটা উপন্যাস নয়। মঞ্জীরা ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন শ্রমিকদের বক্তব্য টেপ করে করে আনেন। তারপর লিখে দেন।
- মতামত দিন
-
বিষয়বস্তু*:
-
গুরুচণ্ডা৯-র গ্রাহক হোন
কোনোরকম কর্পোরেট ফান্ডিং ছাড়া সম্পূর্ণরূপে জনতার শ্রম ও অর্থে পরিচালিত এই নন-প্রফিট এবং স্বাধীন উদ্যোগটিকে বাঁচিয়ে রাখতে গুরুচণ্ডা৯-র গ্রাহক হোন।
- ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
এই সাইটটি
বার পঠিত
- বুলবুলভাজা : সর্বশেষ লেখাগুলি
পরীক্ষার বন্ধু : শুভাশিস পাল(লিখছেন... Madhabi Bijuli, কৌশিক চট্টোপাধ্যায় , guru)
পুজোর ভিড়ে ছনেন্দ্রনাথ : রমিত চট্টোপাধ্যায়(লিখছেন... ., সুবর্ণরেখা, Sukdeb Chatterjee)
হাঙ্গেরি এক : হীরেন সিংহরায়(লিখছেন... মোহাম্মদ কাজী মামুন, হীরেন সিংহরায়, রমিত চট্টোপাধ্যায়)
কাদামাটির হাফলাইফ - ইট পাথরের জীবন : ইমানুল হক(লিখছেন... কৌতুহলী, Eman Bhasha, কৌতূহলী)
বিপ্লবের আগুন - পর্ব ত্রিশ : কিশোর ঘোষাল(লিখছেন... )
- হরিদাস পালেরা : যাঁরা সম্প্রতি লিখেছেন
নেক : মোহাম্মদ কাজী মামুন(লিখছেন... )
আলোক পাঠ - পর্ব দুই : হীরেন সিংহরায়(লিখছেন... শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় , Debanjan Banerjee )
তোমার বাস কোথা যে...- ২৫ : Nirmalya Nag(লিখছেন... )
অর্থনীতির নোবেল, ২০২৪ : Anirban M(লিখছেন... Ranjan Roy, Debanjan Banerjee , যদুবাবু)
ছত্তিশগড়ের গেঁয়ো ব্যাংকঃ স্মৃতির কোলাজ (৩) : Ranjan Roy(লিখছেন... Pad Gaon, Ranjan Roy, হীরেন সিংহরায়)
- টইপত্তর : সর্বশেষ লেখাগুলি
একটি দুর্ঘটনা ও কিছু কথা : দীপ(লিখছেন... )
এবার ঝাড়গ্রামে চিকিৎসকের আত্মহত্যা : দীপ(লিখছেন... )
কবি ও সন্ন্যাসীর দৃষ্টিতে শক্তিতত্ত্ব : দীপ(লিখছেন... )
আমেরিকান নির্বাচন ২০২৪ : X(লিখছেন... X, X, পাপাঙ্গুল)
বেসরকারি পরিষেবার মহিমা! : দীপ(লিখছেন... )
- কি, কেন, ইত্যাদি
- বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
- আমাদের কথা
- আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
- বুলবুলভাজা
- এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
- হরিদাস পালেরা
- এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
- টইপত্তর
- নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
- ভাটিয়া৯
- যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
- টইপত্তর, ভাটিয়া৯, হরিদাস পাল(ব্লগ) এবং খেরোর খাতার লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই। | ♦ : পঠিত সংখ্যাটি ১৩ই জানুয়ারি ২০২০ থেকে, লেখাটি যদি তার আগে লেখা হয়ে থাকে তাহলে এই সংখ্যাটি সঠিক পরিমাপ নয়। এই বিভ্রান্তির জন্য আমরা দুঃখিত।
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত