এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  শনিবারবেলা

  • রসুইঘরের রোয়াক ২

    স্মৃতি ভদ্র
    ধারাবাহিক | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ৪৯৩০ বার পঠিত | রেটিং ৪.৮ (৫ জন)
  • পটল বিরন, পটল দিয়ে তুলশীমালা চালের পোলাও।

    এঁটেল মাটিতে লেপা উঠোনে দীঘা ধান রোদ পোহায়। বাতাসে ভাদুরে ভ্যাপসাভাব একটু একটু করে ফুরিয়ে আসে। আর খারজলে ফুটিয়ে ধুয়ে নেওয়া বিছানার চাদরের ভেজা ভেজা ঘ্রাণ বাতাসে মিলতেই ভেসে আসে ঠাকুমার গলা, মুড়ির টিনগুলো উপর থেকে পাড়তে হবে।

    বড়ঘরের দোতলায় ঠাকুমার আনাগোনা বেড়ে গেলেই বুঝতাম আশ্বিন মাস চলে এসেছে। বড়ঘর আসলে ঠাকুমার ঘর। সে ঘরের একমাত্র বিশেষত্ব নকশা করা কাঠের জানালা আর দরজা। আর লোহার শিকবিহীন সে জানালায় হুড়কা নয়, পড়তো ডাঁসা। সে জানালা ডিঙিয়ে ঘরবাহির করা ছিল আমার সবচেয়ে পছন্দের খেলা।

    আমাকে পাশ কাটিয়ে যেতে যেতে ঠাকুমা বলে, দিদি ওভাবে ডিঙ্গায় না হড়কে পড়ে গেলে ব্যাথা পাবে।

    তখন আমি সবে বাঁধা ডিঙোতে শিখেছি। বাঁধা ডিঙানোয় আনন্দ পেয়ে যাওয়া আমি ঠাকুমার বারণ শুনলে তো। আমি কয়েকবার এপাড় ওপাড় করতেই এবার সত্যি সত্যিই হড়কে যাই। একদম ধপাস!

    দিদি তুমি কথা শোনো না, তাড়াহুড়োয় মুড়ির টিনগুলো বড়ঘরের দরজায় ফেলেই ঠাকুমা আমাকে টেনে তুলছে। ঠাকুমার নিষেধ শুনিনি, তাই হাঁটুতে ব্যথা পেলেও কান্না করা যাবে না। ও ঠাকুমা, জানালা উঁচু বলেই তো আমি পড়ে গেলাম।

    আমার হাত পায়ের ধুলো ঝাড়তে ঝাড়তে ঠাকুমা বলে, দিদি উঁচু জানালা জেনেও তুমি কেনো ডিঙোতে গেলে? উত্তরহীন আমি অপরাধী চোখে ঠাকুমার দিকে তাকাই।
    আমাকে বিব্রত দেখেই কীনা জানি না; ঠাকুমা উঠোনে রোদ পোহানো দীঘা ধান দেখিয়ে বলে, দিদি ধানগুলো একটু পা দিয়ে নেড়ে দেবে? সব ব্যথা ভুলে আমি উঠোনে নেমে যাই। বলকানো ধান সারারাত ঠান্ডা জলে ভিজে সকালেই রোদে পড়েছে। ও ঠাকুমা, ধান এখনো ভেজা।

    ঠাকুমা দ্রুত পায়ে ধানের কাছে চলে আসে। পা দিয়ে নেড়েচেড়ে দেয় ধান, আজ সারাদুপুর রোদ খেলেই ধান শুকিয়ে যাবে দিদি। ঠাকুমা ধানে পা দিতেই আমি গিয়ে বসি ঢেঁকির উপর, ও ঠাকুমা আজ বিকেলেই ধান বানবে? মাথা নেড়ে ঠাকুমা হ্যাঁ বলতেই আমি ছুট লাগাই বাইরবাড়ি। মনিপিসি ফেরিওয়ালার কাছ থেকে চুলের ক্লিপ কিনছে যে।

    ফেরিওয়ালার চৌকো কাঁচের বক্সে আসলে যাদু আছে। যা চাওয়া যাই তাই মেলে। আমার একটা গোলাপি ফুল ক্লিপ লাগবে তো। আর একটা লাল নেলপলিশও। ও হ্যাঁ, লালচুড়ির কথা তো ভুলেই গিয়েছি। আমার আবদার দেখেই মনিপিসি চটপট বলে ওঠে, মনি বাচ্চাদের এত সাজতে হয় না। বললেই হলো, আমি তো পূজার জামার সঙ্গে মিলিয়ে ক্লিপ লাগাবো এবার।
    আমার ঘ্যানঘ্যান শুনেই দাদু বাইরবাড়িতে চলে আসে, গিন্নি যা যা চায় কিনে দে রীতা।

    আমি চুড়ি, ক্লিপ আর নেলপলিশ নিয়ে যখন উঠোনে এসে দাঁড়ায় ঠাকুমা ততক্ষণে উনুনে আগুন দিয়ে দিয়েছে। আজ খুব বেশী রান্না হবে না। দুপুরের খাওয়া সেড়ে আজ মুড়ির ধান বানা হবে যে। আজ বাজারের ব্যাগ নিয়ে কোনো রিক্সাওয়ালাও তাই আসবে না। রান্নাঘরের মাচার নীচে রাখা সবজির ধামার তলানিতে যা আছে তা দিয়েই দুপুরের পর্ব সারা হবে।
    ঠাকুমা কালো পাথরের বাটি হাতে বড়ঘরের দিকে যেতেই আমি পিছু পিছু হাঁটা ধরি, ও ঠাকুমা নেলপলিশের রঙটা কত সুন্দর দেখছো? ঠাকুমা পেছনে ফেরে না, ওসব রঙ ভাল না; আমার দিদি তো রঙ ছাড়াই সুন্দর। আমি থেমে যাই। লাল বারান্দায় বসে ভাবি, কাল ফেরিওয়ালা এলে সব ফিরিয়ে দেবো।

    ঠাকুমা কালো পাথরের বাটি ভরে তুলশীমালা আতপ চাল নিয়ে উপরতলা থেকে নেমে আসে। লাল বারান্দায় বসে থাকা আমার হাতে তিলের কটকটি গুঁজে দিয়ে বলে, কাল মুড়ির মোয়া বানাবো দিদি। আমি তিলের কটকটি পেয়ে আনন্দে গোলেনুর দাদীর বাড়ির দিকে চলে যাই।

    আর লাল বারান্দায় অবহেলায় পড়ে থাকে ফেরিওয়ালার সেই চুড়ি, ক্লিপ।
    গোলেনুর দাদীর তাঁতঘর ঘেঁষা সুপারি বাগান।একটা দু'টো কমলারঙের সুপারি সবুজ ঘাসের উপর পড়তে না পড়তেই কোথা থেকে যেন গোলেনুর দাদী চলে আসে। কিন্তু আজ ব্যতিক্রম। তাঁতঘর ঘেঁষে কত্তগুলো পাকা সুপারি পড়ে আছে। কিন্তু গোলেনুর দাদীর দেখা নেই।

    আমি পা টিপে টিপে সেই বাগানের ভেতর যাই। একটা, দুইটা, তিনটা কোঁচড় ভরে যায় আমার কমলারঙের সুপারিতে। তাঁতঘরের ভেতর কেউ গাইছে,
    ' বটবৃক্ষের ছায়া যেমন রে
    মোর বন্ধুর মায়া তেমন রে।
    বন্ধু কাজল ভ্রমরারে
    কোন দিন আসিবেন বন্ধু
    কয়া যাও কয়া যাও রে'
    আমার কোঁচড় ভরতেই আমি দৌড়ে যাই গোলেনুর দাদীর ঘরের দিকে, ও দাদী দেখো কত সুপারি তোমার বাগানে পড়েছিলো।

    গোলেনুর দাদী বারান্দায় একটা বড় জলচৌকিতে চুপচাপ হয়ে বসে আছে। গোলেনুর দাদীর চোখমুখের সে ছবি আমার খুব অচেনা। আমার ডাকে গোলেনুর দাদীর তেমন পরিবর্তন হয় না। জলচৌকিতে বসেই খুব আস্তে বলে, ঠাকুমাকে দে, পূজার জন্য সুপারি লাগবে বলছিলো।

    আমি গোলেনুর দাদীর চেহারা পড়তে না পেরে যখন বাড়ির দিকে হাঁটছি তখন সুমী আমার পাশে এসে বলে, দাদাজান এ মাসেও বাড়ি আসবো না।
    সুমীর দাদাজানকে আমি ক'বার দেখেছি মনে পড়ে না। তাই বলতে গেলে প্রায় অচেনা মানুষটির আসা না আসার কোনো ছাপই আমার কাছে খুব স্পষ্ট হয় না। আমি সুমিকে পেছনে ফেলে দৌড়ে বাড়িতে ঢুকি, ঠাকুমা তোমার পূজার সুপারি বারান্দায় রাখলাম।
    উঠোনের মেলা ধানে ততক্ষণে বারবেলার রোদ পড়েছে।

    আমি কলতলা থেকে কয়েক ঘটি জল মাথায় ঢেলেই রান্নাঘরে গিয়ে উঠি। রান্নাঘর জুড়ে তখন ভাজাভুজির ঘ্রাণ। ও ঠাকুমা, কতরকম ভাজি! কাঁসার বগি থাল থেকে মুচমুচে ভাজা আলু আমার হাতে দিয়ে ঠাকুমা বলে, পটল বিরন ভাজাভুজির সাথে খেতেই ভাল লাগে।



    উনুনের কড়াইয়ে বেগুনের চাক ভাজা শেষ হতেই ঠাকুমা সেই তেলেই অর্ধেক করে কেটে রাখা পটল একটা একটা করে দেয়। এপাশওপাশে একটু লাল করে ভেজে নেয় পটলগুলো। সবগুলো পটল ভাজা হলে এরপর তেলে একটু ঘি মিশিয়ে তাতে দারচিনি, এলাচ ফোড়ন দেয়। এরপর তাতে জিরা বাটা, শুকনো মরিচ বাটা, আদা বাটা, দিয়ে বেশ কষিয়ে নেয় ঠাকুমা। মশলা থেকে তেল ছেড়ে এলে ভিজিয়ে জল ঝড়ানো তুলশীমালা আতপ চাল কড়াইয়ে পড়ে। সাথে সাথেই হলুদ আর লবণ দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ভেজে নেয়। চাল আর মশলা কষানোর ঘ্রাণ তীব্র হতেই ঠাকুমা গরমজল দিয়ে দেয় চালে। গরমজল পড়তেই কড়াইয়ের চালগুলো ফুটতে শুরু করে। খুন্তা দিয়ে নেড়ে ঠাকুমা জল আর চাল ভাল করে মেশায়। এরপর চালগুলো জল খেয়ে ফুলে উঠতেই তাতে পড়ে ভাজা পটল। এরপর ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ আর ভাজা বাদাম মিশিয়ে ঠাকুমা উনুনের গনগনে খড়ি বের করে আঁচ কমায়। ততক্ষণে কড়াইয়ের চাল সব জল টেনে নিয়েছে। একটু ঘি আর চিনি ছড়িয়ে ঠাকুমা কড়াইয়ে ঢাকনা দেয়। তুলশীমালা আতপচালের ঘ্রাণ ততক্ষণে রান্নাঘরের জানালা দিয়ে উঠোনে মেলে রাখা ধানে গিয়ে মিশেছে।
    দাদু টিফিনে স্কুল থেকে ফিরে স্নান আর আহ্নিকও সেরে নিয়েছে। লাল বারান্দায় দাদুর পাশে আমার পাত পড়ে।পটল বিরন থেকে কিশমিশ আর বাদাম বেছে বেছে খেয়ে আবার বায়না ধরি বাদামের। দাদু নিজের পাত থেকে খুঁজে বের করে দেয় সব বাদাম।

    দুপুরে সেদিন ভাতঘুম আর হয় না। ঠাকুমা রোদ মরে এলেই গা ধুয়ে ঠাকুর শয়নে দেয়।
    বাইরবাড়ির গোলকচাঁপা গাছের ফুরিয়ে আসা ফুলগুলো সব তুলে আনে ঠাকুমা ভেজা কাপড়েই। ও ঠাকুমা, তুমি সব ফুল নিয়ে নিলে আমার খেলনাবাটির ফুল কই? ঠাকুমা কয়েকটি ফুল ফেলে দেয় নারিকেলের মালইয়ে। কিন্তু খেলি কই? আবার ঠাকুমার পিছে পিছেই বড়ঘরে ঢুকি।
    ঠাকুমা ধোয়া শাড়ি পড়ে ঠাকুর শয়নে বসে। জল বাতাসায় পূজা। সব আচার একে একে সারে ঠাকুমা। একদম শেষে শয়ন দিয়ে ঠাকুরকে নকশী হাতপাখায় বাতাস। ও ঠাকুমা, আমাকে ওই পাখাটা দিবা? কী সুন্দর নকশা করা তোমার ঠাকুরের পাখা।

    এই পাখাটা তোমার জন্য রেখে যাবো দিদি, ঠাকুমা বাতাস করা থামিয়ে বলে।
    কোথায় যাবে ঠাকুমা? আমিও তো ঠাকুমার সাথেই যাবো, ঠাকুমা তো সব জায়গাতেই আমাকে নিয়ে যায়---- এসব ভাবতে ভাবতেই ঠাকুমার ঠাকুর শয়ন শেষ হয়ে যায়।
    ঢেঁকির গড়ে দীঘা ধান পড়ে। মুড়ি ভাজা হবে, মুড়ির মোয়া হবে। তখন সন্ধ্যার মুখে কোথা থেকে যেন একটা ঠান্ডা বাতাস এসে মিশে যায় আমাদের বাড়ির উঠোনে।
    আর ঠিক তখনি গোলেনুর দাদী আরোও দু'তিনটি কমলারঙের সুপারি হাতে নিয়ে ঢেঁকিতলা এসে দাঁড়ায়।

    চোখেমুখের সেই অচেনা ভাবটুকু ততক্ষণে কেটে গিয়েছে। সুপারিগুলো ঠাকুমার আঁচলে বেঁধে দেয় গোলেনুর দাদী আর বলে, বউ এই সুপারিগুলান খুব মিঠা ।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ৪৯৩০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Saoni Mandal | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৯:৩০97717
  • খুব ভালো লাগছে ।অপেক্ষায়  ছিলাম ।আমিও এমনি পা দিয়ে উঠোনে মেলে রাখা ধান নেড়ে চেড়ে দিতাম .

  • দীপক দাস | 115.124.***.*** | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:৩৫97732
  • পরিবেশ বর্ণনার কারণেই লেখাটা পদগুলোর মতো স্বাদু হয়ে উঠছে। 

  • নিরুপমা | 45.123.***.*** | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৭:২৭97855
  • তোমার লেখার মাঝে নিজের হারিয়ে যাওয়া ছেলে বেলা খুব সহজেই খুঁজে পাই বলেই মনে হয় তোমার রসুই ঘরের অপেক্ষা করি । পড়ার সময় মনে হয় না  জানি এবার কোন সময় টা ফিরে পাব। আর রেসিপি গুলি ও অসাধারন। 

  • reeta bandyopadhyay | ২৫ অক্টোবর ২০২০ ২০:১৫98993
  • মুগ্ধতা..... হাত ধরে নিয়ে যায় সে কোন পুরনো দিনে।

  • raju Sengupta | ০৯ ডিসেম্বর ২০২০ ০৭:২০101019
  • এমন সাবলীল লেখা আমি খুব কম পড়েছি। কি করে লেখেন এমন মন কেমন করা লেখা? 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন