এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ভ্যালেন্টাইন্স ডে গল্প কথা - আজকের পর্ব ১ : প্রপোজ ডে - কলমে সহেলি বন্দ্যোপাধ্যায়

    Saheli Bandyopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৪৮০ বার পঠিত

  • তড়িঘড়ি চুলে হালকা ব্রাশ চালিয়ে হালকা একটা লিপ কালার এর তুলি বোলালো রিনিতা ঠোঁটে। হাত ঘড়িটা হাতে দিয়ে সময় দেখলো। ঘড়িতে বাজছে প্রায় ২টো। এখনই বেরিয়ে পড়তে না পারলে টিউশন এ পৌঁছতে দেরি হয়ে যাবে। এই সময়টা এই তল্লাটে কেউ বিশেষ ভাবে থাকে না, সবাই খেয়ে দেয়ে একটা ভাত ঘুম দেয়। জায়গাটা উত্তর কলকাতার একটা গলির ভিতর। এখনো আধুনিক কলকাতার পুরোপুরি ছোঁয়া এই অঞ্চলের বসবাসকারী লোকেদের মধ্যে সে ভাবে গড়ে উঠে নি। বাড়ি থেকে বেরিয়ে বা দিকে ঘুরে কয়েক পা চললেই একটা মোড় পরে, মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকে সারি সারি রিক্সা। কিন্তু সে তো সকালে, এই দুপুর ২টোর সময়ে কেউ থাকে না। রিনিতা ক্লাস ১২ এ সাইন্স নিয়ে পড়ে। ছুটির দিন গুলোতে স্যারদের বাড়ি, টিউশনগুলো বেশি বেশি করে পড়ে। এতো পড়া যে মাথা ঝিম ঝিম করে, সারা সপ্তাহ স্কুল করে তারপর সপ্তাহ শেষে আবার স্যারদের বাড়ি। রিনিতার মনে হয় মাঝে মাঝে সে যেন হোমলেস হয়ে যায়, তাহলে আর বাড়ি আসতে হবে না, বাবা, মা, স্যার কেউ থাকবে না তার জীবনে।

    বাড়ির মোড়ে কারা গাদা গাদা নোংরা ফেলেছে, ইশ, দেখলে কি গা ঘিন্‌ঘিন্‌ করে। তার মধ্যে আবার খানিকটা গোবর। নাক সিট্‌কে কোনো রকমে পাশ কাটিয়ে বা দিকে মোড় নিলো রিনিতা। ডান দিকে একটা উঁচু রোয়াক। সন্ধে হলেই এখানে ছেলের দল বসে আড্ডা মারে, বেশির ভাগ ই সব বেকার ছেলের দল। এটা আসলে একটা দর্জির দোকান, দোকানের পিছনের দিকটাতে একটা লোক সারাক্ষণ ইস্ত্রিও করে। সামনে একটা সেলাই কল সারাক্ষণ ঘড়ঘড় করে চলে, একটা লোক সারাক্ষণ সেলাই করে প্যান্ট, জামা, blouse। রিনিতা ভাবে, কি করে সারাদিন সেলাই করে রে বাবা। স্কুলের যে টুকু সেলাই ছিল সবই তো মা করে দিত। কোন সেলাই কে কি বলে শুধু জেনে রেখেছিল পরীক্ষার জন্য, রান, বখেয়া, কাশ্মীরি ইত্যাদি ইত্যাদি।

    এখনো পুরোপুরি গরম পড়ে নি। বাতাসে এখনো একটা শীতের আমেজ রয়েছে। রাস্তার অপর পারে মোহন ময়রা দোকান ঝাঁটা দিয়ে পরিষ্কার করছে, একটু পরে সিঙ্গাড়া র ময়দা মাখতে বসবে। চোখাচোখি হতে হাসিটাকে আকর্ণ বিস্তৃত করে বললো, “দিদিমণি পড়তে চললে? আজ ফুল কপির সিঙ্গাড়া হবে, নিয়ে যেও সন্ধে বেলা।” দোকানের সামনে দুটো কুকুর একে অপরের গায়ে ভর দিয়ে বসে আছে। কি আদিখ্যেতা, লোকজন মানামানি নেই, সবার সামানে বসে প্রেম করছে। সব কিছু সামনা সামনি এদের, মানুষের মত কোনো কিছুই গোপন নেই ওদের। তেরছা চোখে তাকালো দুটোই তাকালো রিনিতার দিকে, তারপর একটা আলগা টাইপ এর গলা দিয়ে শব্দ বের হলো, মানে করলে দাঁড়ায়, “কি, সব ভালো তো?”

    রিক্সা স্ট্যান্ড এ দাঁড়িয়ে আছে দিলীপ। হাসি মুখে এগিয়ে এসে বললো, “চলুন দিদিমণি, যাবেন তো।” দিলীপ বাবারই ঠিক করে দেওয়া রিক্সাওয়ালা। চেনাশোনা, বিশ্বস্ত। আজকাল দিনকাল এমন পড়েছে বলার নয়। রিক্সা স্ট্যান্ড এ এমন সব ছোকরা রিক্সাওয়ালাদের ভিড় কি বলব। যুবতী মেয়ে দেখলেই কেমন একটা তির্যক্‌ দৃষ্টিতে দেখতে থাকে। অসভ্য নোংরা ইঙ্গিত ও চোখে পড়ে আজকাল। রিক্সাতে উঠে বসলো রিনিতা।

    পাড়া ছাড়িয়ে বেশ খানিকটা দূরে এসে পড়েছে রিক্সা। এ পাশটায় অনেক খানি জায়গা জুড়ে চট এর বস্তা তৈরির কারখানা। এই খানটায় অনেক পুরুষ নারী একসাথে কাজ করে। কিন্তু এই সময়ে দুপুর বেলা কেউ কোথাও নেই। সবাই ভাত খেতে বাড়ি যায় মনে হয়। এই কারখানাটার সামনে একটা বিশাল কাঠের দরজা, এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। পুরো দরজাটা পার হতে হতেই রিক্সাতেই প্রায় এক মিনিটের কাছাকাছি লাগে। দরজার গা বেয়ে জড়িয়ে উঠেছে অনেক লতা পাতা। তারও ওপাশে একটা শিরীষ গাছ। রিনিতার হঠাৎ করে মনে হয় শিরীষ গাছের ওপাশ থেকে কেউ তার দিকে তাকিয়ে আছে। গাছের গুঁড়িটার এ পাশে দরজার সামনে খুব ফর্সা করে একটা ছেলে দাঁড়িয়ে আছে, চোখ দুটো ভাসা ভাসা, তাকে দেখছে। চোখে চোখ পড়তেই একটু যেনো লাজুক হেসে চোখ সরিয়ে দিলো। রিনিতার সারা শরীরটা কেমন একটা করে উঠলো।

    এরকম ব্যাপারটা বেশ কিছুদিন ধরেই শুরু হয়েছে। এই পথটা দিয়ে রিনিতাকে স্কুলে ও যেতে হয়। ছেলেটা ঠিক একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে। যেনো চুম্বক এর মত আকর্ষণ করে। রিনিতা আড়ে আড়ে তাকায়। বুঝতে পারে একজোড়া দৃষ্টি তাকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে দেখছে। ব্যস ওই টুকুই। যেমনি রিনিতা সেই দিকে তাকাতে যায় নিমেষের মধ্যে সে চোখ ঘুরিয়ে নেয়। ছেলেটা অসম্ভব রকমের ফর্সা, সুপুরুষ। রিনিতার ছেলেটা অজানা নয়। এই কারখানার মালিকের ছেলে। কি সব finance এ মাস্টার্স করে এসে বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করে এখন। ব্যবসা যখন দেখে তখন লাজুক প্রকৃতির নিশ্চয়ই নয়। তাহলে রিনিতা কে দেখে ওই রকম লাল লাল হয়ে যায় কেনো? রিনিতা ভাবে একবার নিজেই ডেকে কথা বলবে? তারপর ভাবে, আরও কিছুদিন দেখা যাক। তবে হ্যাঁ, রিনিতার বংশে বাপের জন্মে কেউ প্রেম করেছে কি? মা জানতে পারলে আর রক্ষা থাকবে না।

    রিনিতার কাছে ব্যাপারটা বেশ খানিকটা অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওই খান দিয়ে যাবার সময় সে মনে মনে ভাবতে থাকে আজ ছেলেটিকে দেখতে পাবে তো? বেশ খানিকটা আকর্ষণ তৈরী হয়েছে আজকাল। আজ দুদিন হলো আকাশে খুব ঘন মেঘ। মাঝে মাঝেই বৃষ্টির ফোঁটা নেমে এসেছে। রিনিতা দুদিন ধরে ছেলেটাকে দেখতে পাচ্ছে না। কোথায় গেলো? কাঠের দরজার ওপারে দূরে রিক্সা থেকে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলো রিনিতা, যদি দেখা যায়। না, সে কোথাও নেই। হালকা হালকা বৃষ্টি পড়ছে। রিনিতা মনকে প্রবোধ দিলো, “আহা, এই বৃষ্টিতে দাঁড়ায় কি করে?”

    পরের দিন সকালে স্কুল যাবার জন্য তাড়াতাড়ি করছে এমন সময়ে পাড়ার মুখার্জী কাকীমা এসে হাজির। মা বললেন, “এসো এসো, কি মনে করে? অনেক দিন বাদে।” মুখার্জী কাকীমা বললেন, “এলাম গো, তোমার মেয়ের বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে এসেছি।” মা আকাশ থেকে পড়লেন, “আমার মেয়ের সম্বন্ধ, সে তো বারো ক্লাসও পাশ করে নি, তার এখন কি বিয়ে দেবো? ছেলে কে?” মুখার্জী গিন্নি ব্যাখ্যা করে জানালেন, “ওই তো গো জুট মিলের মালিকের ছেলে, তোমার মেয়েকে তার খুব মনে ধরেছে, বিয়ে করতে চায়।” রিনিতার সারা শরীর আর মন জুড়ে কি হচ্ছে বলার নয়, কোথাও একটা ভীষণ আনন্দ হচ্ছে আবার কোথাও একটা ভীষণ ব্যাথা কোথাও লাগছে, চিন চিন করছে, ছেলেটা আগে তাকে বললো না কেনো? রোজই তো দেখা হয়। রিনিতা কি ভাবছে একবার জিজ্ঞেস করতে পারতো তো? পর মুহূর্তেই মনে হলো আচ্ছা জিজ্ঞেস করলে কি বলতো সে? হ্যাঁ বলতে পারতো? পর মুহূর্তে মা এর কণ্ঠস্বরে তার ঘোরটা কেটে গেলো, মা বলছে, “ছেলেটা তো ভালো, কোনোদিন খারাপ কিছু শুনি নি, কিন্তু আমার মেয়ের থেকে তো বাপু দশ বারো বছরের বড় হবে, আমার মেয়ে তো এখনো বারো ক্লাসই পাশ দে নি, বিয়ের বয়সই তো হয় নি।” মুখার্জী গিন্নি বললেন, “আহা হা.. এখন থেকে সমন্ধ টা করে রাখ, আঠার টা হলেই বুঝলে না.. ওই ছেলের অনেক সমন্ধ আসছে, কিন্তু জানি না বাপু ওই ছেলে তোমার মেয়েকে কোথায় দেখে পছন্দ করেছে।” মা এর গলা একটু কঠিন শোনালে, “দেখুন দিদি, এত ছোট অবস্থায় আমি মেয়ের বিয়ে দেবো না।” রিনিতা জানে তার এর পরে আর কোনো কথা বলার ক্ষমতা নেই।

    স্কুলে যাবার পথে ছেলেটিকে আর কোনোদিন দেখে নি রিনিতা। কয়েক বার দেখেছিলো ওখানে দাড়িয়ে দাঁড়িয়ে কারোর সাথে কথা বলছে। কিন্তু একবারের তরেও সে চোখ তুলে চায় নি। রিনিতা প্রত্যাশা করেছিলো কি, একবার, খালি একবার হলেও সে চোখ তুলে দেখবে। কিন্তু না, সামনা সামনি দেখা হয়ে গেলেও কোনোদিন সে তাকায় নি। রিনিতা ভাবতো, কেনো সে চায় এরকম, সে তো ফিরিয়ে দিয়েছে তাকে, মায়ের কথার প্রতিবাদ করে নি। আবার মনে মনে রাগও হয়, কেনো সে নিজে এসে একবার বললো না? বলে দেখতে পারত, আমি ফিরিয়ে দিই কিনা?

    Copyright সহেলি বন্দ্যোপাধ্যায়, February 9,2025, USA
    (রিনিতা আমার গল্পে একটি নাম যে বারবার করে নানা গল্পের চরিত্রে ফিরে আসে)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সহেলি বন্দ্যোপাধ্যায় | 2600:8804:8261:7300:84d1:af00:456e:***:*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:৫২541118
  • যাঁরা শেয়ার করলেন ধন্যবাদ জানাই, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্ব পড়ার অনুরোধ রইলো
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন