বাংলাদেশের কিছু নিয়ম নীতির মধ্যে একটা খুব স্বাভাবিক নিয়ম হচ্ছে যে নানা কারণে স্মৃতিসৌধে যেতে হবে আপনাকে। সরকার গঠন করছেন, স্মৃতিসৌধে গিয়ে ফুল দিয়ে আসুন, এরপরে বাকি কাজ। বিদেশি কোন মেহমান আসছে, নিয়ে যাও স্মৃতিসৌধে, তিনি ফুল দিলেন, গাছ লাগালেন, এরপরে বাকি ঘুরাফেরা। সাক্ষাত রাজাকার নিজামি, আলী আহসান মুজাহিদরা যখন গদিতে বসে ছিল তাদেরকেও যেতে হইছে স্মৃতিসৌধে। বাংলাদেশে রাজনীতি করবেন আর মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করবেন এইটা কোনদিন হয়নি, হবেও না সম্ভবত।
স্থাপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেনের নকশায় তৈরি করা হয় আমাদের স্মৃতিসৌধ। তিনিই নির্মাণ করেন স্মৃতিসৌধ।যারা আমাদের স্মৃতিসৌধ দেখেছেন তারা দেখছেন যে ছোট থেকে বড় এমন সাতটা স্তম্ভ পাশাপাশি দাঁড়িয়ে তৈরি হয়েছে এই ১৫০ ফুট উঁচু স্মৃতিসৌধ। শুধুই দেখতে সুন্দর? আর কোন অর্থ নাই এর? সাতটা স্তম্ভের অর্থ আছে। সবার প্রথম ধাপ, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, এরপরে ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৬ সালের শাসনতন্ত্র আন্দোলন, ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছোয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। এই সাতটা ধাপ নিয়ে তৈরি করা হয়েছে স্মৃতিসৌধ।
এখন আজকে যারা এগুলা সব অস্বীকার করতে চাচ্ছেন তাদের হিসাব কী? যারা ১৯৪৭ সালের স্বাধীনতা হচ্ছে প্রকৃত স্বাধীনতা বলতে চাচ্ছেন তাদের মতলব কী? এরা একদিন স্মৃতিসৌধকে অস্বীকার করবে? বলবে এগুলার কোন মূল্য নাই? আর যাবে না এই সরকারের কেউ শহীদের স্মরণে তৈরি অদ্ভুত সুন্দর আমাদের স্মৃতিসৌধে? একদিন কি ভেঙ্গে ফেলার আহবান করে বসবে কেউ?
এগুলা অতি কল্পনা মনে হয় কিন্তু মনের ভিতরে তীব্র আতঙ্কও তৈরি হয়। আমাদের ছোট্ট শহরে গতকাল এমন এক কাণ্ড হল যে এই সব ভাবতে বাধ্য হলাম। পুরো শহর জুড়ে জামাত ইসলামির সভার মাইক লাগানো। গতকাল তাদের সভা ছিল, আগেরদিন রাত থেকেই মাইক বাজানো শুরু করেছে। জামাতে ইসলামির বিভিন্ন ইসলামি গান বাজাচ্ছিল। এই দৃশ্য আমার বয়সে আমি কোনদিন দেখি নাই। একবার হাসি আসল, পরক্ষনেই আতঙ্কটা জেঁকে বসল মনে। এর শেষ কই? এরা কই গিয়ে থামবে?
এগুলা আরও মাথায় আসছে ইউনুস সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে দিল দেখে! ওপরে যে সাতটা ধাপের কথা লিখছি, তার প্রতিটার সাথে যে সংগঠনের নাম ওতপ্রোত ভাবে জড়িত তা হচ্ছে ছাত্রলীগ। এবং এরপরে যা বলতে হচ্ছে তা হচ্ছে আমাদের রক্তের কথা! আমি সাধারণত বাঙালি জাতি নিয়ে কখনও হীনমন্যতায় ভুগি না। কিন্তু মাঝে মধ্যে এই সব দেখে গালি দিতে ইচ্ছা করে। এমন একটা কাজ হয়ে গেল, মানুষের কোন হেলদোল দেখলাম না। এটা খুব স্বাভাবিক একটা কাজ যেন! এত ইতিহাস বিমুখ জাতি এই দুনিয়ায় সম্ভবত আর নাই।আমরা এমন কেন? এখন এমন সময় যে মন মতো রাগও করা সম্ভব না। বলা সম্ভব না যে যা করলেন ক্ষমতা পেয়ে তা ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে রইবে।
ছাত্রলীগের দোষ নাই? হাজার হাজার দোষ আছে। নানা অপকর্মের ভারে দলটা ন্যুব্জ হয়ে আছে। কেন্দ্রীয় কমিটির একেকজন নিজেকে রাজা মহারাজা মনে করতেন। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ড, বুয়েটে আবরার হত্যা এগুলা মানুষের মনের মধ্যে এখনও বেঁচে আছে। এই আন্দোলনে আবরার হত্যাকাণ্ড বেশ ভালো রসদ জুগিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে হাঁটলে দশজনের সাথে দেখা হলে আটজন ছাত্রলীগের কর্মী আর বাকি দুইজন ধান্দা খুঁজছে ছাত্রলীগের নেতাদের কাছে কীভাবে যাওয়া যায় তার। এই সবই সত্য। কিন্তু এর জন্য সংগঠনকে নিষিদ্ধ করে দিবেন? হিজবুত তাহরীরের নেতাদের মুক্তি দিবেন, জঙ্গিরা ছাড়া পাবে আর ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ? সব বুঝে করেন না আন্দাজেই করে বসে থাকেন?
ছাত্র শিবিরের অপকর্মের হিসাব নিতে বসলে তার আর তল পাওয়া যাবে না। ছাত্রদলের যখন ক্ষমতা ছিল তখন তারা করে নাই এমন কোন কাজ নাই। নিষিদ্ধ হল ছাত্রলীগ! যাদের ইতিহাসের সাথে দেশের ইতিহাস জরিয়ে আছে। বলা চলে দেশের সবচেয়ে প্রাচীন সংগঠন হচ্ছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের জন্ম আওয়ামীলীগেরও আগে। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা হয় ছাত্রলীগের। আর আওয়ামীলীগের জন্ম ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন। প্রথমে নাম হয় আওয়ামী মুসলিম লিগ যা ১৯৫৫ সালে পরিবর্তিত হয়ে হয় আওয়ামীলীগ। তো এমন একটা দলকে নিষিদ্ধ করতে কোন চিন্তা ভাবনা করতে হয়নি এই সরকারকে। যে ইতিহাসের সাথে ছাত্রলীগ জরিয়ে আছে সেই ইতিহাসেরই মূল্য নাই তাদের কাছে, তাহলে নিষিদ্ধ করতে সমস্যা কী?
ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের জন্য যদি নিষিদ্ধ হত তাহলে কোন কথাই থাকত না। দেশের জন্মের ইতিহাসের সাথে জরিয়ে আছে বলেই তার সাত খুন মাফ এমন তো হতে পারে না। কিন্তু এখানে তা হয়নি। হলে আরও আগে শিবির নিষিদ্ধ হত, ছাত্রলীগের সাথেই ছাত্রদল নিষিদ্ধ হত। তা হয়নি। আর তাই অনুমান করাই যায় কেন ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ।
আমি আমার লেখায় এর আগে বহুবার লিখেছি যে ছাত্রলীগ থাকতেই শিবির ক্যাম্পাসে যেভাবে প্রভাব ধরে রেখেছ, ছাত্রলীগ না থাকলে কী করবে এরা? বা এখন যখন দেখি তাদের ধূর্ত বুদ্ধি, শিবিরের কর্মী সব ছাত্রলীগের ভিতরে ঢুকে বসে আছে, তখন অনুমান করা যায় না যে এরা সামনে কী করতে পারে?
তবে অনুমান না। আসল কারণ সবারই জানা। যারা জানে না সেই সব পাঠকদের জন্য বলি একটু। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ পত্র রাষ্ট্রপতির কাছে নাই এমন খবর প্রকাশের পরে খুব গরম হয়ে গেল সমন্বয়কসহ উপদেষ্টারা। পারলে সেদিনই নামিয়ে ফেলেন রাষ্ট্রপতিকে তার পদ থেকে। এমন কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করা হল তাকে যে বলার মতো না। যে এই রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ নিয়ে উপদেষ্টা হয়েছে সেও বলতে লাগল চুপ্পুকে টেনে নামানো হবে। তার পদে থেকে যে তিনি রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারেন না, বললে তা আইন লঙ্ঘন হবে এইটা বুঝার বা চিন্তা করার প্রয়োজনও বোধ করে নাই এরা। দেড় দুইশজন মিলে বঙ্গভবনের সামনে খুব আন্দোলন করল। সাধারণ মানুষ পাত্তাও দিল না এই সবে। সেনাপ্রধান দেশের বাহিরে, এই ফাঁকে কিছু করে ফেলবে এমন একটা শঙ্কার কথা আমি গত লেখায় লিখেছিলাম। এরপরে কী হল? এরপরে ম্যালা দোষে দোষী, এতদিন ধরে যারে ইচ্ছামতো গালিগালাজ করছি, সেই বিএনপি একটা ঐতিহাসিক কাজ করল। তারা সোজা জানিয়ে দিল রাষ্ট্রপতিকে এই মুহূর্তে সরিয়ে সাংবিধানিক যে জটিলতা তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে এতে তারা সায় দিচ্ছে না, এটা তারা চায় না! বিএনপির এই একটা ঘোষণা সব এক ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিল। কই গেল আল্টিমেটাম, কই গেলে আজকেই, ত্রিশ মিনিটের মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে বলে আস্ফালন! সব দিঘির জলের মতো শান্ত নিটোল!
এর পরেই আসে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের ঘোষণা। আমার ধরনা এইটা দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপতি অপসারণের ব্যর্থ চেষ্টাকে ঢাকার জন্য। আর আরেকটা কাজও হতে পারে, একটু পরীক্ষা করে দেখা মানুষের প্রতিক্রিয়া কেমন হয় তা দেখা। আসল পরীক্ষা, আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের যে পরীক্ষা তার আগে এইটা দিয়ে দেখা কেমন আচারন করে মানুষ। তাদের পরীক্ষা নিরীক্ষা সফল। মানুষের কোন চ্যাতভ্যাত নাই!
বিএনপি কেন এই কাজ করল? আওয়ামীলীগের নিয়োগ দেওয়া রাষ্ট্রপতি, তার পদত্যাগ তো তিন চার মাস আগে বিএনপিই সবচেয়ে বেশি চাইত, এখন কেন না? বলা চলে এতদিনে বিএনপি একটু পরিপক্ব আচারন করল। দুই ধাপ পরের চালটা ধরতে পারছে তারা। রাষ্ট্রপতির এখন পদত্যাগ মানে সংবিধানের দফা রফা! সংবিধান না থাকলে বিএনপির দাঁড়ানোর জায়গাটা কই? তখন নতুন করে সংবিধান লিখবে মাহফুজ আলমেরা। সেই সংবিধানের চেহারা কেমন হবে তা বিএনপি এখনই বুঝে গেছে। সেই সংবিধানের অধীনে তারা কল্কে পাবে? জামাত সহ ইসলামি দল গুলো হচ্ছে নোবেল ম্যানের পছন্দের মানুষ এখন। বিএনপি পারবে তাদের সাথে?
এ ছাড়াও আরেকটা বড় কারণ ছিল বিএনপির এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিছনে। এই আন্দোলন চলার সময় থেকেই বিএনপিকে হেয় করে নানান পোস্ট, দেওয়াল লিখন করা হচ্ছিল। এখন সরকার পতনের পরেও এইটা জারি আছে। শহীদ মিনারে এক সমন্বয়ক বলেই দিলেন জাতীয় পার্টিকেও নিষিদ্ধ করতে হবে! বিএনপি এই ভয়টাই পেয়েছে। এরা যেভাবে যখন যা চাচ্ছে তাই যেমন করে পাচ্ছে তাতে এরা যদি একদিন বিএনপিকে নিষিদ্ধ করতে চায়? এইটা অবধারিত ছিল যে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের পরেই ধরা হত সেনাপ্রধানকে। সেনাপ্রধানও চলে গেলে পুরোপুরি কব্জা হবে মাহফুজ আলমদের। না হলে সব হয়ে সারছে না। আর পুরোপুরি তাদের হাতে শাসনতন্ত্র চলে গেলে বিএনপি ক্যাডা? তারে তখন সকাল বিকাল কানে ধরে উঠবস করাবে না?
বিএনপির এই একটা কাজ বলা চলে তাদের অনেক হিসাব নিকাশ পরিবর্তন করে দিল। আমরা দেখতে পেলাম মাস্টার মাইন্ডের মেটিকুলাস ডিজাইনের মধ্যে বিশাল বড় এক ফাঁক! আসলে যা ভাবছে তা না। আমরা দেখলাম আসলে একটু বেক্কলই আছে এরা। রাষ্ট্রপতির কী হবে এইটা তাদের ডিজাইনে নাই কেন? সাহাবুদ্দিন না হয়ে যদি গত রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ হতেন তাহলেও সাহস করতেন এমন করে ডিজাইন করার? আব্দুল হামিদ থাকলে এতদিনে একটা কেলেঙ্কারি হয়ে যেত বলে আমার বিশ্বাস। চুপ্পু সাহবে যে এমন কিছু করবে না তা তারা নিশ্চিত?
মাস্টার মাইন্ড মাহফুজ আলম যেভাবে সংবিধান ফেলে দিতে চায় তাতেও কিন্তু বুঝা যায় একটু আন্দাজের সমস্যা আছে এই ছেলের। বাংলাদেশে ত্রিশ চল্লিশ বছর আগে সংবিধানে যোগ হয় বিসমিল্লাহ আর রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম। এই বিতর্কই আজ পর্যন্ত মিটাতে পারে নাই কেউ। প্রবল ক্ষমতাধর আওয়ামীলীগ সরকারেও সাহস হয় নাই এইসবে হাত দেওয়ার। আর কোন জনসমর্থন ছাড়া কয়েকজন পুলাপান সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল সংবিধান চলবে না, পোশাক বদলের মতো করে সংবিধান বদল করে ফেলবে আর বদল হয়ে যাবে? এত সহজ?
তবে এইটা আমার দেখা আছে! আমি দেখতে চাই এমন চেষ্টার পরেও মানুষের ঘুম ভাঙে কি না। আমি দেখতে চাই বাঙালি, আমরা আর কত নিচে নামতে পারি! কতখানি মেরুদণ্ডহীন হতে পারি আমরা এইটা দেখার আছে!
এক সমন্বয়ক এক টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাতকার দিয়েছে। সেখানে তিনি পরিষ্কার বলে দিলেন পুলিশ না মারলে, মেট্রোতে আগুন না দিলে, বিটিভিতে আগুন না দিলে আন্দোলন হত কী করে? বিপ্লব করতে হলে তো এই সব করতেই হবে! এই স্বীকারোক্তির পরে এখন শুধু বাকি রইল স্নাইপার দিয়ে লাশ ফেলার কথা স্বীকার করা। ওইটা হয়ে গেলেই সব হিসাব আমাদের মিলে যাবে। যদিও আমাদের বুঝতে বাকি নাই আর। তবুও যখন স্বীকারোক্তির সময় এসেছে তখন এইটাও যদি স্বীকার করে তাহলে আমাদের জন্য সুবিধা হয়। জনগণের কথা বলে লাভ নাই। জনগণ ভেড়ার পালের মতো, নিজস্ব কোন চিন্তা নাই!
তবে বাজারের যে অবস্থা তাতে এই ভেড়ার পাল যে কখন কোনদিকে রউনা দিবে তা বুঝা মুশকিল। বাজার নিয়ে একটা ঘটনা বলে শেষ করি। আমি বাজারের আশেপাশেও যাই না। বাড়িতে কেউ নাই। রান্না করব, কাঁচামরিচ নাই। সন্ধ্যায় যখন বের হয়েছি তখন ভাবলাম কাঁচামরিচ নিয়ে যাই। ভ্যানে করে সবজি বিক্রি করছে একজন। বললাম কাঁচামরিচ কত করে? তিনি বললেন একশ টাকা। আমি ধরেই নিলাম এইটা এক কেজির দাম বলছে। বললাম এক পোয়া দিন। তিনি মেপে দিয়েছে। আমি টাকা দিয়েছি, ওই লোক প্রথমে অবাক হয়ে পরে রাগি চোখে আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে! বললাম কত? তিনি বললেন কত দিছেন? বললাম ২৫, কেন দাম ১০০ না বললেন? তিনি এবার রীতিমত চেঁচামেচি শুরু করে দিলেন, একশ কইছি এক পোয়ার দাম, ৪০০ টাকা কেজি মরিচ। আমার মাথা ঘূর্ণি মারল কয়েকবার! তিনি ভাবছে আমি উনাকে মিথ্যাবাদী বলছি, এত দাম না, তাই রাগারাগি শুরু করে দিয়েছিল। মানুষজন জমার আগে তাড়াতাড়ি টাকা দিয়ে চলে আসছি! এই হইল অবস্থা। মানুষ সস্তায় ডিম খেত, পাঙ্গাশ মাছ খেত, পোলট্রি মুরগি খেত। সব চান্দে উঠে বসে আছে দাম। খাবে কী? ইউনুস সরকার বুঝতেছে না তিন মাসের মধ্যেই যদি মানুষ বলা শুরু করে লাভ কী হল, আগেই তো ভালো ছিলাম, তাহলে তা হবে চরম রকমের অন্যায়। এত এত রক্ত ঝরল, প্রাণ গেল, এরপরে যদি শুনতে হয় আগেই ভালো ছিলাম তাহলে সেই সরকারের আসলে মাফ চেয়ে সরে যাওয়াই ভালো।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।