কয়েক বছর আগে একটা গ্রুপের সাথে বান্দরবন ঘুরতে গেছিলাম। একেবারে গহিনে চলে গিয়েছিলাম। আদিবাসীদের বাড়িতে রাত কাটিয়েছি। তাদের মতো করেই খানাপিনা, ঘুম সব কিছু। উঁচু পাহাড় বাওয়া, প্রায় অলৌকিক এক সৌন্দর্য দেখার সৌভাগ্য হয়ে ছিল সেবার। কয়েকজনের সাথে পরিচয় হয়েছিল। কথা বলে মোটামুটি আরাম পেয়েছিলাম। ফেরার পরে তাদের কয়েকজনের সাথে ফেসবুকে যুক্ত হয়ে গেলাম। এর মধ্যে খুলনার একটা মেয়ে আমাদের ময়মনসিংহের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। কথা প্রসঙ্গে ওকে বলেছিলাম শেরপুর ঘুরে যাও। ও লুফে নিলো কথাটা। ও করল কী আরও কয়কজনকে নিয়ে, ওই গ্রুপেরই কয়েকজনকে নিয়ে চলে আসল শেরপুর। শেরপুর সীমান্তবর্তী এলাকা। অনেকেই ঘুরতে আসতে চায়। কমন কিছু জায়গা আছে, সবাই তাই দেখে। আমিও তাদেরকে ঘুরিয়ে দেখলাম সীমান্তের কাছের পাহাড়, ভারতের পাহাড়, এদিকে যে পোর্ট আছে ওই পোর্টের কাছে গিয়ে ছবি তোলা এই সবই করা হল। সীমান্ত ধরে একটা পাকা রাস্তা আছে। এইটা দিয়ে ঘুরলেই দারুণ লাগে। বনের মধ্য দিয়ে সড়ক। এই সড়কেই কিছু জায়গায় সতর্কতা সংকেত দেওয়া আছে। হাতি চলাচলের জায়গায়। সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আমি তাদেরকে হাতির নানা গল্প শোনালাম। বললাম কীভাবে হাতি কোন বাধা না মেনে ভারত বাংলাদেশ সব জায়গায় অবাদে যাতায়াত করে। এদের মধ্যে একজন, তিনি বললেন ঢাকায় তারা যে ফ্ল্যাটে থাকে সেখানে সীমান্তের কাছে থাকে এমন একটা পরিবারও থাকে। তারা না কি তাদেরকে বলেছে হাতি এমনে এমনেই আসে না, ভারত ইচ্ছা করে ছেড়ে দেয় এইদিকে, কাঁটাতার খুলে দেয় বাংলাদেশে আসার জন্য, যাতে ক্ষতি করে বাংলাদেশের। শিক্ষিত স্মার্ট, ঢাকায় থাকে একজন যদি এমন একটা কথা বলে, আর সে যদি আমার এলাকায় ঘুরতে আসে তাকে আমি কী বলতে পারি? বললাম, এমন করার কোন সুযোগ নাই। বন্য হাতি কারও কোন নিয়ম মানে না। ওদের যখন যেদিকে গেলে সুবিধা হয় তখন ওরা সেদিকেই যায়। কোন কিছু দিয়েই তাদেরকে আটকে রাখা যায় না। সীমান্তের কাঁটাতার তাদের জন্য কোন বাধা না। সব কিছু লণ্ডভণ্ড করে চলে হাতি। একেকটা পালে পঞ্চাশ, একশ হাতি থাকে। এরা যখন চলা শুরু করে তখন কিছুই মানে না। কিন্তু তিনি মানতে রাজি না। ভারত ইচ্ছা করেই করে, ওই পরিবার বলছে, তারা সীমান্তের কাছে থাকে! আমি আবার বললাম, আমি এমন কিছু শুনি নাই। সীমান্ত না থাকলেও আমরা সীমান্ত থেকে এমন কোন দূরে না, আমাদের বাড়ি থেকে সীমান্ত ৩০/৪০ কিলোমিটার। হাতির কথা শুনে শুনেই বড় হলাম। কিন্তু না, ওইটাই ঠিক, আমি জানি না আসলে। তো আমি আর অতিথির সাথে প্যাঁচালে যাই নাই, মেনে গেছি, চুপ হয়ে গেছিলাম।
এই গল্প আজকে কেন করলাম বলছি। খুলনার যে মেয়েটা ময়মনসিংহ পড়ত ও এখন স্কলারশিপ নিয়ে দেশের বাহিরে চলে গেছে। ও সনাতন ধর্মাবলম্বী। দেশের এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক ভাবেই ও উদ্বিগ্ন। সংখ্যালঘুর উপরে নানা অত্যাচার ও দেখছে। আমাদের থেকে ওরা আরও বেশি করে এগুলার খোঁজ রাখছে। ও নিজে এই আন্দোলন চলাকালীন সময়ে ফেসবুকে সোচ্চার ছিল। কিন্তু এখন কিছুতেই এই অত্যাচার মানতে পারছে না। ও ঢাকা কলেজের হিন্দু ছাত্রাবাসের তাণ্ডবের একটা ভিডিও শেয়ার করেছে। সেখানে এই ভারত ইচ্ছা করে হাতি ঢুকিয়ে দেয় বাংলাদেশে তত্ত্বের সেই নারী হা হা রিয়েক্ট দিয়েছে। হিন্দুদের হলের মন্দিরের যে অংস আক্রমণকারীরা হাত দেয়নি তা নিয়ে ঠাট্টা করছে! আমি বর্তমান সময়ে ফেসবুকে একদম কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছি। এবার হাত নিশপিশ করা শুরু করল আমার। লিখলাম কে কেন করেছে তা বাদ দিয়েই এই জঘন্য একটা কাজের প্রতিবাদ করা উচিত। আপনে হাসি ঠাট্টা করছেন কেন? এগুলা বিষয় নিয়ে এমন আচারন করে অন্যকে কষ্ট দিচ্ছেন এবং নিজেকে ছোট করছেন। তিনি এর উত্তরে লিখেছেন ছোট হওয়ার প্রশ্নেই উঠে না। কারণ এখানে কোন সাম্প্রদায়িক হামলা হয়নি। এগুলা হাস্যকর সব কাজ করে সাম্প্রদায়িক ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে।
মানসিকতা বুঝার জন্য দুইটা ঘটনা লিখলাম। এরা সব এক ছাঁচে তৈরি। কারা যে কী চায় তা আগেই বুঝা যায়। এই ধরনের লোকদের আমি খুব ভালো করেই চিনি। সেদিন ওই মাইক্রবাসে ওই মেয়েটা বাদে বাকি সবাই তার মানসিকতারই ছিল। সবাই যেভাবে তখন ঠিক, ভারতেরই কাজ এগুলা বলে সমর্থন দিয়েছিল তা থেকেই আমি নিশ্চিত ছিলাম। এখন, এতদিন পড়ে শুধু যোগের ফলাফল দেখলাম।
ইউনুস সাহেবের সরকার এখন পর্যন্ত এই একটা জায়গায় শূন্য পেয়েছে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার ব্যাপারে কার্যত তিনি কিছুই করতে পারেন নাই। ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে সংখ্যালঘু বা হিন্দু হিসেবে না, দেশের নাগরিক হিসেবে, মানুষ হিসেবে বিচার চাইতে বলছেন। এই সুন্দর কথা বলা ছাড়া আর কিছুই আমি দেখি নাই। এর মধ্যে সর্বনাশ যা হওয়ার তা হয়েই যাচ্ছে।
খুলনায় এক গ্রামে পুরুষরা যখন রাত জেগে গ্রাম পাহারা দিচ্ছিল তখন রাতের আধারে একদল পিশাচ এসে হাজির এক হিন্দু বাড়িতে। বাচ্চার গলায় চাকু ধরে দশ বারোজন মিলে গন ধর্ষণ করেছে মাকে! দেশে এখনও কোন আইনের শাসন নাই। কে করছে এই কাজ? গ্রাম পাহারা দিচ্ছিল যেহেতু তার মানে বাহিরের কেউ না। গ্রামেরই লোকজন। তার মানে আসামি সবাই হয়ত পরিচিতই। কিন্তু লাভ কী? বিচার করবে কে? সরকার তো ক্রমাগত এইসবকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলতে চাচ্ছে। আর বলতে চাচ্ছে সব আওয়ামীলীগের কাজ, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তারাই এমন কাজ করছে! সমাধান হয়ে গেল না?
ঢাকা কলেজে কী হয়েছে? তল্লাশি চালানো হয়েছে হিন্দুদের হলে। মানে এইটাই বলা হয়েছে প্রথমে। হলের ছেলেদের জন্য একটা মন্দির ছিল। তারা সেখানে পূজা আর্চনা করত। ওই মন্দিরের দেওয়াল জুড়ে নানা দেবদেবীর পোস্টার লাগানো ছিল। পূজার নানা উপকরণ ছিল। সব টেনে ছিঁড়ে ফেলা হইছে। ছিঁড়ে নিচে ফেলে দেওয়া হইছে। প্রত্যেকটা ছাত্রের রুমে ঢুকে তল্লাসির নামে সব তছনছ করেছে। ঢাকার কোন কলেজের কোন হলে এমন কাজ হয়েছে? এইটাকে আমি কেন সাম্প্রদায়িক হামলা বলব না?
বলা হচ্ছে সব জায়গাই, সবাইই তো আক্রান্ত হচ্ছে, তাহলে কেন হিন্দুদের কথা আলাদা করে বলা হচ্ছে? এই হিসাব যদি ধরি তাহলে তো এই দেশে কোনদিনই কোন সাম্প্রদায়িক হামলা হয়নি। খুন রাহাজানির শিকার কি মুসলিমরা হয় না? মুসলিমদের বাড়িঘরে কেউ কোনদিন আগুন দেয় নাই? ধর্ষণ হয় নাই কোন মুসলিম নারী? তাহলে কেন হিন্দুদের উপরে হামলা কে সাম্প্রদায়িক বলব? কেস তো ডিসমিস!
কিন্তু আমরা জানি কেস ডিসমিস না। সাম্প্রদায়িক হামলা দেখলেই বুঝা যায়। হামলায় যখন অন্য অনেক কিছু থেকে বড় কারণ থাকে লোকটা হিন্দু, ওইটা হিন্দু বাড়ি, হিন্দু মেয়ে তখন তা সাম্প্রদায়িক হামলা হয়ে যায়। হিন্দু হলে ঢুকে টাকা পয়সা নিয়ে চলে গেলে কেউ একে সাম্প্রদায়িক বলত না। টাকা দাবি করলেও বলত না। তারা দেবদেবীর পোস্টার ছিঁড়েছে, ওইখানে রাখা পূজার নানা উপকরণ নষ্ট করেছে। এগুলার কোন যুক্তি পাবেন না সাম্প্রদায়িক হামলা ছাড়া। এমন প্রতিটা ক্ষেত্রেই হয়েছে। যখন আমি শুধু মাত্র হিন্দু হওয়ার জন্য আক্রান্ত হব, আমি মুসলিম হওয়ার জন্য জখম হব তখন তাকে আমি সাম্প্রদায়িক হামলাই বলব। আর না, বিচ্ছিন্ন বলে কিছু নাই। পাঁচ তারিখের পর থেকে টানা চলছে এই সিনেমা, আর বিচ্ছিন্ন বলে শেষ করে দিবেন? আওয়ামীলীগের কাজ বলে পার পেয়ে যাবেন? আপনাকে থামাতে হবে, না হলে আপনি ব্যর্থ এইটা শিকার করতে হবে।
ইউনুস সাহেব এর মধ্যেই বলেছেন ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নাই, কারণ বিকল্প নাই! বিকল্প নাই কেন কোন অর্থে বলে বুঝা গেছে? এক সপ্তাহেই বিকল্প নাই বলা শুরু হয়ে গেল? বিকল্প নাইয়ের লক্ষণ এখন পর্যন্ত তো খুব ভালো না। আওয়ামীলীগ সরকারের উপরে দোষ দেওয়া ছাড়া আর কিছু করছে বলে দেখছি না আমি। যদি দোষ দিয়েই কাজ চলে তাহলে মুশকিল না?
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ভারতের রাষ্ট্রদূতের কাছে বলছে যেন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য রপ্তানি বন্ধ না হয়। হলে সর্বনাশ হয়ে যাবে।দুই একদিন আগে ব্যবসায়ীদের একটা সম্মেলন হয়েছে এর মধ্যে। আমাদের প্রধান যে ব্যবসা, গার্মেন্টস সেখানে রীতিমত আতঙ্ক বিরাজ করছে। কত গুলো ফ্যাক্টরি যে পুড়েছে তার হিসাবও এখনও পাই নাই। চাঁদাবাজি তো চলছেই। এ কে আজাদ, অন্যতম বড় গার্মেন্টস গ্রুপ অফ কোম্পানি, হামিম গ্রুপের মালিক। তিনি সেই সম্মেলনে বলছেন এর মধ্যেই ২০ শতাংশ গার্মেন্টস অর্ডার চলে গেছে ভিন্ন দেশে। এর প্রভাব পড়বে না? ক্রেতারা বলছে তারা ঝুঁকি নিতে রাজি না। এক ঝুড়িতে সব ডিম রাখতে রাজি না। তিনি নিজের সহ আরও অন্য কোম্পানির কথা বলেছেন। কত অসহায় অবস্থায় আছেন তারা। দিগুণ দাম দিয়েও গ্যাস পাচ্ছেন না, বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না। দৈনিক পাঁচ ছয় ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এগুলা দেখবে কে? সমন্বয়ক সঙেরা? ইউনুস সাহেবের সময় হবে? এ কে আজাদ বলছে তিনি ক্রেতাদের বুঝাতে পারছেন না সব স্বাভাবিক হয়েছে। সরকার নিরাপত্তা দিবে, তবুও যেন অর্ডার দেয়, বাতিল না করে। তিনি বলছেন অন্তত ইউনুস সাহেব যদি একটা বিবৃতিও দেয় তবুও ক্রেতাদের কিছু বুঝানো যাবে। কিন্তু ইউনুস সাহেব এখন পর্যন্ত এই দিকে কিছুই করে নাই। কবে করবেন কে জানে!
অর্থ উপদেষ্টা সালাহউদ্দিন আহমেদ সাবেক বাংলাদেশের ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন। টাকার নোটে উনার সাক্ষর দেখছি আমরা। তিনি অর্থনীতি বুঝেন, এতে সন্দেহ নাই। তিনি কয়েকদিন আগে কয়েকটা কথা বলেছেন। যা আমার নজরে আসছে দেরি করে। তিনি বলেছেন বাহির থেকে যত খারাপ দেখা যাচ্ছে অর্থনীতির অবস্থা অত খারাপ না! মন্থর হয়ে আছে, গতি আসলে স্বাভাবিক হয়ে যাবে সব। মন্থরের কারণ তো বুঝাই যাচ্ছে, যা হয়ে গেল দেশের উপর দিয়ে তাতে মন্থর না হওয়ার কোন কারণ নাই। তো অর্থনীতি শেষ, বাংলাদেশকে শেষ করে দিয়ে আওয়ামীলীগ সরকার চলে গেছে এগুলা যে এতদিন বলা হল, এর মানে কী? যতখানি খারাপ তা দুনিয়া জুড়েই খারাপ। আমাদের এখানে মুদ্রাস্ফ্রিতি হয়েছে, এটাও সত্য। তার পরেও রিজার্ভ, জিডিপি টু ফরেইন লোন রেশিও বেশি না। এমন অবস্থায় যদি না চালাইতে পারেন, যদি ফেইল মারেন তাহলে দোষ দিবেন কাকে?
দেশের জনগণের কিন্তু যথারীতি এগুলা নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তা নাই। তারা বরাবরের মতোই আজগুবি সব গাল গপ্প নিয়ে ব্যস্ত আছে। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর খুনিকে ফাঁসির আদেশ থাকার পরেও ফাঁসি দিয়ে মারেন নাই, তিনি নিজেই জেলে ঢুকে বুকে উপরে পা দিয়ে গলায় কুরবানির চাকু দিয়ে জবাই করছে! এইটাও খাচ্ছে মানুষ! বিডিআর বিদ্রোহের সব দোষ শেখ হাসিনাকে দিয়ে শাস্তি চাচ্ছে কেউ কেউ। কেউ ব্যস্ত জাফর ইকবালের বই পুড়ানর কর্মসূচি নিয়ে। সারজিস নামের এক সমন্বয়ক সাংবাদিকদের সামনে বলেছে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে শুধু মাত্র অল্প কয়েকজন সেনা অফিসারের বিদ্রোহের কারণে এমন ঘটনা ঘটেনি। জনগণও এই হত্যাকাণ্ডের সমর্থক ছিল। সেদিনও স্বৈরাচারের পতন হয়েছিল। এদিকে গতকাল ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের অফিসে হামলা হয়েছে। এদের পত্রিকা হচ্ছে কালের কন্ঠ, বাংলা নিউজ টুয়েন্টিফোর। কেন হামলা হচ্ছে? কে হামলা করছে? জবাব নাই।
সবচেয়ে হট টপিক হচ্ছে শেখ হাসিনা রুপপুর পারমানবিক কেন্দ্র চালুর জন্য ৫ বিলিয়ন ডলার নিয়েছেন! বিদেশি কোন এক নিউজ পোর্টাল নিউজ করেছে, ব্যাস! আর কোন প্রমাণ দরকার নাই। সবাই মিলে, আক্ষরিক অর্থেই সবাই মিলে এই খবরে ইমান আনছে। কেউ জিজ্ঞাস করছে না সত্যতা কী এই খবরের? পাঁচ বিলিয়ন ডলার মুখের কথা? যেখানে পুরো প্রজেক্ট হচ্ছে ১২ বিলিয়ন ডলারের, সেখানে ৫ বিলিয়ন ডলার শেখ হাসিনা একাই নিছে? এই প্রজেক্টের ৯০% টাকা দিচ্ছে রাশিয়া। বাংলাদেশ দিবে ১০%, তাও একবারে দিবে না, কিস্তিতে দিবে। এইখান থেকে কেমনে ৫ বিলিয়ন ডলার মেরে দিল শেখ হাসিনা? বাংলাদেশিদের গড় আইকিউ খুব খুব খারাপ, দুনিয়ার গড়ের থেকেও নিচে। কাজেই এগুলা নিয়েই চলতে হবে, কিচ্ছু করার নাই।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, যাকে মনে করা হচ্ছে আসল ক্ষমতার অধিকারী, যিনি মূলত সরকার চালাচ্ছেন বলে মনে করছেন অনেকে। তিনি কিছুদিন আগে ভারত বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য বলেছিলেন দেশে ২৬ লাখ ভারতীয় চাকরি করে! দেশের ছেলেমেয়েরা চাকরি পায় না, আওয়ামীলীগ ২৬ লাখ ভারতীয়কে চাকরি দিয়ে রাখছেন! তিনিই এখন সরকার, ২৬ লাখ ভারতীয়র হিসাব কী এখন দিবেন উনি? তিনি নিশ্চয়ই দেশের সাথে এমন প্রতারণা করবেন না? এত এত বেকার, তিনি একটা ব্যবস্থা নিবেন না? এই কার্টুন গুলাকেই সরকার চালানোর দায়িত্ব দিয়েছি আমরা।
মজার একটা তথ্য দিয়ে আজকের কিস্তি শেষ করি। ফেসবুকে কেউ একজন একটা পোল চালু করেছিল, বর্তমান অবস্থায় কোন দল সবচেয়ে বেশি যোগ্য? জামাত বিপুল ভোটে এক নাম্বারে। মজাটা হচ্ছে বিএনপি এরপরেও আওয়ামীলীগের পিছনে! আওয়ামীলীগ যতদ্রুত গুছিয়ে ফিরতে পারবে তত টিকে থাকাটা সহজ হবে। না হলে এই দেশ থেকে নাম নিশানা মুছেই যাবে এই দলের। আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের জন্য আবেদন করা হচ্ছে! বাঁচতে হলে পুরাতন ধ্যান ধারণা ঝেড়ে ফেলে নতুন করে শুরু করতে হবে। দেখা যাক কী করে তারা।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।