[বইটির নাম “Lies Our Mothers Told Us—The Indian Woman’s Burden”; লিখেছেন নীলাঞ্জনা ভৌমিক।]
বন্ধুরা বলেন--একুশ শতকে ভারতের মেয়েরা অনেক এগিয়ে গেছে। আমাদের সমাজে পিতৃতন্ত্রের ভিত এখন অনেক দুর্বল, থাম গুলোয় ফাটল দেখা দিচ্ছে। মেয়েরা এখন পুলিশ- মিলিটারি- প্রশাসন - সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় সবেতেই উঁচু পদে বসছেন।
তাই কি? একজন ইন্দিরা গান্ধীর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বা একজন এ পি জে আবদুল কালামের রাষ্ট্রপতি হওয়ার উদাহরণ দেখে কি ভারতে মেয়েদের এবং অল্পসংখ্যকদের বাস্তবিক অবস্থা নিয়ে সিদ্ধান্ত টানা যায়?
আইনের চোখে তো মেয়েরা পুরুষের সমান—সেই সংবিধান প্রণয়নের দিন থেকেই। রয়েছে নারীপুরুষের ভোট দেবার সমান অধিকার। কিন্তু গাঁয়ের দিকে ক’জন ঘরের বৌ নিজের ইচ্ছের ক্যান্ডিডেটকে ভোট দিতে পারে? বেশির ভাগের ভোট দেবার নির্ণয় কী আগে ভাগে পরিবারের কর্তাব্যক্তিটি ঠিক করে দেন না?
আচ্ছা, দেশের জনসংখ্যায় নারী -পুরুষের অনুপাতের কী অবস্থা? পিউ রিসার্চ সেন্টারের রিপোর্ট বলছে ইদানীং জেন্ডার গ্যাপ অনেক কমেছে, প্রতি ১০০ জন মহিলা পিছু ১০৮ জন পুরুষ, প্রায় সমান সমান।[1] তাহলে সংসদে নারী-পুরুষ জনপ্রতিনিধির সংখ্যাও প্রায় সমান সমান না হোক, কাছাকাছি হওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু সমান সমান ছেড়ে দিন, সংসদে ও বিধানসভায় মহিলাদের জন্যে এক-তৃতীয়াংশ সিট রিজার্ভ করার জন্যে সংবিধান সংশোধনের বিল(২০০৮) আজও পাশ হয় নি।
পঞ্চায়েতের জন্যে ১/৩ সীট মহিলাদের জন্য এখন সংরক্ষিত। মহিলারা এখন পঞ্চায়েত-প্রধান বা সরপঞ্চ হতে পারেন। কিন্তু বাস্তবে কী হয়? বর্তমান সমীক্ষকের হাতে-গরম অভিজ্ঞতা বলে মহিলা-সরপঞ্চের বদলে তাঁর পতিদেবতা বৈঠকে আসেন। তিনি খরচার জন্যে অনুমোদিত নোটশীটে এবং ব্যাংক থেকে টাকা তোলার চেকে মহিলার দস্তখত করিয়ে নিয়ে আসেন অথবা বৈঠকে উপস্থিত মহিলা সরপঞ্চ হালকা ঘোমটা টেনে কোন রা’ না কেড়ে পতিদেব যা বলেন তাতে সায় দেন। তাই গাঁয়ের দিকে দু’দশক ধরে একটা নতুন শব্দ চালু হয়েছে—‘সরপঞ্চ পতি’।
ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে, কিন্তু সেটা ব্যতিক্রমই। এটুকু বলা যায় যে ব্যতিক্রমের সংখ্যা ক্রমশঃ বাড়ছে। আশার কথা, এতদিন ম্যারিটাল রেপের অবধারণা নিয়ে কথা বলাই ব্ল্যাসফেমির পর্যায়বাচী ছিল। কিন্তু ইদানীং সুপ্রীম কোর্টের কিছু রায় দেখে (যেমন মেয়েদের স্বেচ্ছায় গর্ভপাতের অধিকার) আশা জাগছে।
আমার পরিচিত দু’জন মেয়ে আইন পড়ার সময় ম্যারিটাল রেপ নিয়ে ফিল্ড স্টাডি করার সময় কথা বলেছিল উকিল এবং পুলিশ অফিসারের সঙ্গে। তাঁরা ভারতীয় প্রেক্ষিতে ‘ম্যারিটাল রেপ’ ধারণাটিকে পাত্তা দিতে নারাজ।
তাঁদের মতে প্রজাপতির নির্বন্ধে বিয়ে ঠিক হয়েছে।মেয়েটি সপ্তপদী গমন এবং যজ্ঞের মাধ্যমে স্বামীকে নিজের শরীর ছোঁয়ার অধিকার তো দিয়েই দিয়েছে। এ নিয়ে আবার প্রশ্ন তোলা মূর্খতা। কেন?
ওঁদের মতে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর মেয়েটি স্বামী যখন চেয়েছে তখন দেহদান করেছে—আজ হঠাৎ না করবে? ন্যাকামি?আরে স্বামীর ওই অধিকার তো এত বছরে ব্যভার সিদ্ধ। আজ নতুন কথা বললে সেটা শোনা হবে কেন?
যখন বলা হল—ধরে নিলাম আপনার কথা ঠিক, কিন্তু এত সব সত্ত্বেও কি কোনদিন মেয়েটির শারীরিক ক্লান্তি বা মানসিক যন্ত্রণা (ধরুণ, বাবা-মার অসুখের খবর পেয়ে) তাকে –আজ নয়, বলতে প্রেরিত করতে পারে না? আর তখন স্বামীদেবতাটি নিজের পাওনাগণ্ডা যদি জোর-জবরদস্তি করেন সেটা কি আইনের পরিভাষায় ম্যারিটাল রেপ হবে না?
না, ওঁরা শুনতেই চান না।
কখনও বিশিষ্ট হিন্দি কথাসাহিত্যিক শ্রীমতী মন্নু ভাণ্ডারী তাঁর একটি গল্পে লিখেছিলেন যে অফিসে পুরুষ সহকর্মীরা মহিলার পদোন্নতি সহ্য করতে পারেনা, তাঁর দক্ষতাকে মেনে নিতে পারে না। তাই চাকরিতে এগিয়ে যাওয়া মহিলাকে নিয়ে মুখরোচক দ্বিপদী তৈরি হয়—ইয়া তো বড়ে ঘর কী বেটি, নহীঁ তো অফসর সঙ্গ লেটি।
প্রমোশন পেয়েছে? হয় ক্ষমতাশালী পরিবারের মেয়ে, নয় বসের সঙ্গে শুয়ে।
মনে হয় ওসব স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতের বিবর্ণ সাদাকালো ছবি। আজ ওসব অপ্রাসঙ্গিক।
কাজের ক্ষেত্রে মেয়েদের সুরক্ষার জন্যে রয়েছে বিশাখা আইন। অফিসে বড়কর্তাটি নিজের চেম্বারের নিরাপদ ঘেরাটোপে অল্পবয়েসি স্টেনো বা পিএ মেয়েটিকে চেপে ধরে হামলে চুমু খাচ্ছেন—এ ঘটনা আজকাল বিরল।
মজাটা হল এসবই ছেলেদের চোখে দেখা মেয়েদের দুনিয়া। কিন্তু মেয়েদের চোখে? পর্দার ওদিক থেকে দেখলে? মেয়েরা যখন মেয়েদের কথা বলবে? সেই মেয়েরা, যারা না সমাজের উঁচুস্তরের সুবিধাপ্রাপ্ত পরিবারের, আর না নীচুতলার খেটেখাওয়া পরিবারের।
বলতে চাইছি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েদের কথা। আজ ‘মহানগর’ সিনেমার আরতিকে ঘর থেকে বেরিয়ে চাকরি খুঁজতে পরিবারের অন্যদের পূর্ব অনুমতির দরকার হয় না। পারিবারিক বাজেটে বড়সড় যোগদানের ফলে ঘরেলু সমস্যা্র সমাধানে যাদের কণ্ঠস্বর কিছুটা হলেও শোনা হয়, তারা কতটা সফল? কতখানি নিজের জীবন নিয়ে নির্ণয় নেবার অবস্থায় আছেন?
তাঁদের অফিসে কেউ মেয়ে বলে রেয়াত করবে না। মাইনে তো সমান সমান, তাহলে বিশেষ ছাড় কেন? এমনিতেই তো মাসে ক’দিন ভগবানের ভুলে ঘরে থাকে, আবার বাচ্চার মা হবার সময় তিন থেকে ছ’মাস!
তবু ঘরে এসে রান্নার কাজ, ঘর পরিষ্কারের কাজ খানিকটা হলেও সামলাতে তো হবে। বাচ্চাদের হোমটাস্ক করানো? স্কুলে পৌঁছে দেওয়া, ফেরত আনা? ক’জন বাড়িতে সর্বক্ষণের না হলেও রান্না এবং ঘরের বাকি কাজ, কাপড় ধোয়া, বাসন মাজা, ঘর পরিষ্কার ইত্যাদির জন্যে আলাদা আলাদা কাজের মাসি রাখতে পারেন?
তারপর আরও আছে।
রাত্তিরে অবুঝ স্বামী? এখন সন্তান চাই, নাকি কিছুদিন স্থগিত রাখা যায়? কজন চাকরি করা মেয়ে বরের পারমিশন না নিয়ে অফিস থেকে বা ছুটির দিনে নিজের বন্ধুদের নিয়ে সিনেমা দেখতে বা রেস্তোরাঁয় খেতে যেতে পারেন?
যদি পালটা প্রশ্ন করা যায় যে স্বামীদেবতাটি কি অফিস ফেরত বন্ধুদের সঙ্গে সিনেমা দেখতে বা মদ খেতে যাবার আগে স্ত্রীর পারমিশন নেন?
কী অ্যাবসার্ড প্রশ্ন! আমার মাইনের টাকায় যদি কখনও সখনও কিছু এদিক সেদিক খরচা করি তার জন্যে বৌয়ের অনুমতি নিতে হবে? মামাবাড়ির আবদার! আর আমরা, আধুনিক প্রগতিশীল পিতা বা পার্টনারের দল কি ঘরের কাজকর্মে হাত লাগাই না? রান্না বা বেবিকেয়ারের ক্ষেত্রে বৌকে সাহায্য করি না?
সত্যিই কি অবস্থা খুব বদলে গেছে?
কিছু তথ্য দেখা যাক।
একটি সার্ভে বলছেঃ বিশ্বের অন্য দেশগুলোর তুলনায় ভারতবর্ষের মেয়েরা সবচেয়ে বেশি খেটে মরে। “Women are overworked, underpaid, and more stressed: Deloitte Study’.[2]
ভারত সরকারের ২০১৯ সালের সার্ভেতে দেখা যাচ্ছে মহিলারা প্রতিদিন গড়পড়তা ২৯৯ মিনিট ঘরের কাজে ব্যয় করেন এবং ১৩৪ মিনিট বাচ্চা ও বুড়োদের দেখাশুনোয় (কেয়ার গিভিং ডিউটি)। সেখানে পুরুষের বরাদ্দ গড়ে ৯০ মিনিট ঘরের কাজ আর ৭৬ মিনিট দেখাশুনোর কাজ। [3]
আমাদের দেশে মহিলারা ঘরের কাজের প্রায় ৮২% এবং দেখাশুনোর ২৮% দায়িত্ব পালন করে থাকেন। পুরুষদের ক্ষেত্রে ওই অনুপাতটি যথাক্রমে ঘরের কাজের জন্যে ২৬% থেকে সামান্য বেশি এবং দেখাশুনোর ১৪% মাত্র।[4]
আচ্ছা, ঘরের কাজের যদি মূল্যায়ন করা যায়? মিনিমাম ওয়েজ ধার্য করা যায়? এব্যাপারে আমাদের আদালত কী বলেন?
অথচ, ১৯৯৮-৯৯ সালের সরকারি সার্ভে মেয়েদের ঘরের কাজকে ‘নন-প্রোডাক্টিভ ওয়ার্ক’ বা অনুৎপাদক শ্রমের পর্যায়ে ফেলেছিল।
হাওয়া বদলাচ্ছে, সুপ্রীম কোর্টের উপরের রায়ের পর বিতর্ক উঠেছে যে কীভাবে মহিলাদের ঘরের কাজ এবং বাচ্চা সামলানোকে ‘আন-পেইড’ কাজ স্বীকৃতি দিয়ে রাষ্ট্রের থেকে ন্যাশনাল পলিসি নির্ধারণ করে ক্ষতিপূরণ হিসেবে -স্বামীর পকেট থেকে নয়—সরকার থেকে একটি নির্ধারিত টাকা মহিলাদের দেয়া যায় কিনা।
ওসব তো ভবিষ্যতের কথা। কবে ন’মণ তেল পুড়বে আর কবে রাধা নাচবে!
বর্তমান অবস্থাটি কীরকম?
‘Modern Indian women are burdened with so much housework and caregiving that they are leaving their hard-won financial independence, dropping out of schools, and dropping off the labour force. Many women self-identify as housewives but work in low paid jobs in the informal sector, and their struggle with the ‘double shift’ is largely invisible’.[9]
পিটিআই জানাচ্ছে যে একটি ন্যাশনাল পোর্টালে ২০২১ সালে নাম রেজিস্ট্রি করা ৪০ মিলিয়ন ইনফর্ম্যাল বা অনিয়মিত শ্রমিকের মধ্যে আদ্দেকের বেশি মহিলা।
‘These women soldier on, unhappy, stressed, and overworked, knowing they deserve better, that they deserve more, that they need help, but not knowing how, or whom to ask’.[10]
হ্যাঁ, ওই মহিলারা তাঁদের শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা, অসুখী মন এবং ভাঙা স্বপ্নের ভার বহন করে খেটে চলেন উদয়াস্ত, ঘরে-বাইরে। অভিনয় করেন তথাকথিত ভাল নারী, ভাল বৌ, ভাল মা হবার। আর নিজেকে কুয়াশায় ঢেকে গড়ে তোলেন এক মহিমামণ্ডিত জ্যোতির্বলয়।
দেখেছ, কী ভাল! হাসিমুখে ঘরে-বাইরে কেমন সামাল দিয়ে চলছে। মডার্ন হলে কী হবে, আমাদের দেশের কালচার, সনাতন ঐতিহ্য সব মেনে চলে।
তোর আর কি চিন্তা! অমন গুণের বৌ পেয়েছিস, হিংসে হয়। আমার না, কী আর বলব, সবই তো বুঝিস।
সত্যি মাসীমার কত গুণ!
আরেকটি ব্যাপার ঘটে। সুখের চেয়ে স্বস্তি ভাল ধরে নিয়ে অনেক মেয়ে চাকরি ছেড়ে ফের হাউস ওয়াইফ হয়ে যান, নিজের পড়াশুনো, অনেক পরিশ্রমে গড়ে তোলা ক্যারিয়ার ছেড়ে দিয়ে ‘পুনর্মুষিকঃ ভব’ হয়ে সেটাকেই তাঁর নিয়তি বলে মেনে নেন।
কিন্তু তাঁর অন্তর্মন কি সেটা স্বীকার করে? সেটা জানতে হলে আমাদের শুনতে হবে মেয়েদের কথা, উদারহৃদয় পুরুষ স্বামী বা সন্তানের মুখে নয়, তাঁদের অন্তরঙ্গ আলাপন, মন খুলে বলা গোপন কথাগুলো।
এত সাতকাহন বলার একটাই কারণ। ইদানীংকালের লেখা একটি বই আমাকে আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। বুঝতে পারছি যে ঘরের কাজে সামান্য যতটুকু সাহায্য করি বা টেনশন ভাগ করে নেওয়ার ভান করি, সেটা ভানই। যেটা হওয়ার কথা ছিল শ্বাস-প্রশ্বাসের মত স্বাভাবিক –সেটাকে নিজের বিশেষ ব্যতিক্রমী ভূমিকা বলে বিশ্বাস করি এবং তার জন্যে ভ্যালিডেশন এবং সার্টিফিকেট আশা করি। একটুখানি কৃতজ্ঞতাও কি?
বইটির নাম “Lies Our Mothers Told Us—The Indian Woman’s Burden”; লিখেছেন নীলাঞ্জনা ভৌমিক। এতে কুড়িটি পরিচ্ছেদে মধ্যবিত্ত মহিলারা নিজেদের এই ঘরে বাইরে খেটে মরা এবং মুখ বুজে ‘গুড কন্ডাক্টের’ সার্টিফিকেট নেওয়ার প্রবঞ্চনার কথা তাদের নিজেদের ভাষায় বলেছেন।
প্রখ্যাত সমাজতাত্ত্বিক এবং নারীবাদী আন্দোলনের প্রধান মুখ কমলা ভাসিন বলতেন—মেয়েরা কবে মুখ ফুটে নিজেদের কথা বলবে?
এই বই সেই জিজ্ঞাসার উত্তর।
নীলাঞ্জনা সততার সঙ্গে এই আখ্যান শুরু করেছেন তাঁর মায়ের ইন্টারভিউ দিয়ে। মা ছিলেন পুলিশ কনস্টেবল। চাকরি করতেন, সেখানেও গঞ্জনা শুনতেন এবং প্রমোশন নিতেন না। নিলে তাঁর ট্রান্সফার হবে, অথবা বেশি বেশি কাজের দায়িত্ব নিতে হবে। রাতবিরেতে এমার্জেন্সি কল অ্যাটেন্ড করত হবে। ঘড়ি ধরে সময়ে বাড়ি ফেরা হবে না।
তাহলে তাঁর দুই মেয়েকে দেখাশুনোর দায়িত্ব কীভাবে পালন করবেন? যদিও ঘরে উদারহৃদয় স্বামী বর্তমান।
নীলঞ্জনার মা খালি একবারই তাঁর স্বামীদেবতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন—মেয়েদের বিয়ে না দিয়ে হায়ার স্টাডিজ এর অনুমতি এবং সাহায্য চাই। ওরা যতদিন ইচ্ছে পড়ুক , নিজের পায়ে দাঁড়াক।
ফলে নীলাঞ্জনারা দুইবোনই আজ প্রতিষ্ঠিত।
উনি নিজে লব্ধপ্রতিষ্ঠ সাংবাদিক, বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস রেডিও, লণ্ডন; টাইম ম্যাগাজিন, ওয়াশিংটন পোস্ট, আল জজিরা ইত্যাদি মিলিয়ে একুশ বছরের সাংবাদিক জীবন। জেন্ডার ইস্যু এবং উন্নয়নের বিতর্কিত ইস্যু নিয়ে প্রতিবেদনের ফলে তিনটে আন্তর্জাতিক পুরষ্কার পেয়েছেন।
আলেফ বুক কোম্পানি থেকে প্রকাশিত এবং রূপা পাবলিকেশন দ্বারা ভারতে প্রচারিত এই হার্ডকভার সুমুদ্রিত ও গ্রন্থিত বইটির দাম ৬৯৯ টাকা।
বইটি ছেলেদের বেশি করে পড়া উচিত।
কারণ আমার এন জি ও বন্ধু রাণু ভোগলের মতে নারীমুক্তি আন্দোলনের আসল উদ্দেশ্য তার সঙ্গী পুরুষকে ক্রমাগত সচেতন করা যে হাজার বছরের সুবিধাভোগী অবস্থানের ফলে তারা কত বর্বর এবং সংবেদনহীন হয়ে পড়েছে। পিতৃতন্ত্রের অনেক গোপন এবং প্রকাশ্য এজেন্ডাকেই তারা স্বাভাবিক এবং প্রাকৃতিক অধিকার বলে মনে করে।
[1] দ্য ইকনমিস্ট, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২।
[2] Business Standard, 19 May, 2021.
[3] Ministry of Statistics & Programme Implementation, ‘NSS Report: Time Use in India-2019, PIB Delhi, 29 September, 2020.
[4] Ibid.
[5] ইকনমিক টাইমস, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২।
[6] ঐ, ৩০ মে, ২০২০।
[7] ন্যাশনাল হেরাল্ড, ২ জুলাই, ২০২০।
[8] হিন্দুস্থান টাইমস, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১।
[9] নীলাঞ্জনা ভৌমিক, ‘লাইজ আওয়ার মাদার্স টোল্ড আস’, pp. xi.
[10] ঐ; pp. xi.