এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভ্রমণ  ঘুমক্কড়

  • বাঙালের কলিকাতা দর্শন! ( চতুর্থ ভাগ) 

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | ঘুমক্কড় | ২৩ জুন ২০২২ | ১৩৩৯ বার পঠিত
  • চতুর্থ দিন
    ২২/০৬/২০২২

    রনি, আজকের দিনটা শুরু হয়েছিল একদম ম্যারম্যারে অবস্থায়। শেষটা হয়েছে আমার জীবনের অন্যতম সেরা প্রাপ্তি দিয়ে। আর এই প্রাপ্তির অংশীদারও তুমি বেশ অনেকখানি। খুলে না বললে বুঝবে না। বলছি।

    সকালে উঠেই দৌড় দিলাম কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগার দেখার জন্য। বাসে যাব বলে ঠিক করলাম। আমি জানি গ্রন্থাগার আলিপুরের দিকে। তো চিন্তা করলাম, আলিপুরের দিকে যে বাস যাবে, যে বাসে দেখব আলিপুর লেখা সেই বাসেই উঠে পড়ব। এই চিন্তা করে যাত্রী ছাউনিতে বসলাম। বসেই আছি, কোন বাসেই লেখা নাই! দুই একজন বাসের হেল্পারকে বললাম, ভাই আলিপুর যাবে এই বাস? নেহি জায়েগা! ( এরা প্রচুর হিন্দি কোন কারণ ছাড়াই ব্যবহার করে। সময় আসলে লিখব এই হিন্দি প্রীতির গল্প!) । হিন্দি শুনে আমিও আর জিজ্ঞাস করতে পারি না তুমি যাবা না তাহলে কোন মহারাজ যাবে তা তো অন্তত জানাও!
    শেষে ক্ষেমা দিলাম। বাইকের ডাক পড়ল। তিনি দেখি আমাকে আমি যে দিকে আলিপুর ধরে বসে ছিলাম তার উল্টো দিকে তুলে নিয়ে রউনা দিলেন!

    জাতীয় গ্রন্থাগারের প্রধান ফটকেই আমাকে আটকে দেওয়া হল। বললাম, লাইব্রেরীতে কেন যায়? বই দেখব, পড়ব, হাতাব! মছুয়া দারওয়ান বলল, উঁহু, এখানে ওই সব হয় না! ওই সব করতে হলে আগে থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়, কবে আমি আসব তা আগে থেকেই ঠিক করে আসতে হবে। আর যদি সদস্য হওন তাহলে বই বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবেন! তাহলে এখন? তিনি জানালেন, ‘ভিজিট’ দিয়ে আসতে পারবেন! ভিজিট দিয়েই না হয় আসলাম। নাম, ঠিকানা, ডাবল ডোজ টিকা চাইলেন, আমি টিপ্রল ডোজ টিকার কার্ড দেখিয়ে, নাম ধাম দিয়ে ঢুকলাম। ওই ঢুকা পর্যন্তই। ভিতরেও একই কাণ্ড। একজন মহিলা আমাকে নিয়ে রিডিং রুমে নিয়ে গেলেন। বললেন, ওই যে ওইটা রিডিং রুম। আমি কাছে যেতে চাইলে বললেন, উঁহু, কাছে যাওয়া যাবে না। বোঝ? আমি এদিকে একটু উঁকি দিতে চাই, নানা কোন দিকে তাকানো যাবে না! একটা ছবি তুলি? নেহি! অজ্ঞতা আর কী, চলে আসলাম।    

    এরপরের কাহিনী হচ্ছে হণ্টন! হেঁটে হেঁটে ক্ষিদিরপুর গেলাম। কাওসাররা আসল। ওদের ব্যবসায়িক আজ চলল। ওঁদের সাথেই চলে আসলাম মির্জা গালিব ষ্ট্রীটে। এখানেই ওরা উঠেছে। এখান থেকে খাওয়া দাওয়া করে আমরা আলাদা হলাম। কেন হলাম? সেটাই হচ্ছে আজকের গল্প!

    তুমি আমাকে একটা খাতা আর কলম কিনে দিয়েছিলে আল জাদিদ এন্টারপ্রাইজ থেকে। বলছিলা লেখার জন্য। আমি ছাতাও লেখি নাই ওই খাতায়। আমার লেখা শুরু হল কখন? আমার লেখা শুরু হল তুমি চলে  যাওয়ার পরে, তোমাকে স্মরণ করেই আমার লেখা শুরু। তখন থেকেই পশ্চিমবঙ্গের একটা ব্লগ, যার নাম গুরুচণ্ডালী, তাতে টুকটাক করে লেখি। আমি জানি যে আমি তেমন কোন ভাল লেখা লেখি না। আমি নিজে বই পড়ি দেখে আমি জানি আমি আসলে কত ভাল লেখি! বিভিন্ন সময়ে নানা বিষয়ে লিখেই যাচ্ছি। আমার ক্রমাগত লেখা একমাত্র এখানেই আছে। এর বড় কারণ ইপ্সিতা দি। তিনি আমার মত অলস লোককে দিয়ে নানা সময়ে নানা বিষয়ে লেখিয়ে নিয়েছেন। আমার মনে মনে ধারণা ছিল, এঁদের কাছে আমি মুখ্য না, এই বাংলার কেউ একজনের লেখা দরকার হয়, প্রায়ই নানা কাণ্ড হয় সেগুলা নিয়ে এদিকের একজনের একটা লেখা থাকা দরকার, তাই আমায় দিয়ে লেখিয়ে নিচ্ছে! এইসব যদি সত্যিও হয়, আজকের পরে তা নিয়ে আফসোস নাই। ওই ছাইপাঁশ লেখার সূত্রেই গুরুর দুইজন অসামান্য মানুষের সাথে তাঁদেরই একজনের বাড়িতে আড্ডা হল। আমি কাওসারদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম, সায়ানদার বাড়িতে। এখানে আরেকটু বলি, সায়ানদা যখন আমাকে উনার বাড়িতে যেতে বলল তখন আমার স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া কী হওয়া উচিত? ভাই, বাড়িতে কেন? বাহিরে কোথাও দেখা করি? সম্পূর্ণ অপরিচিত একজনের বাসায় গিয়ে হাজির হওয়া যায়? আমি আসছি কোন বাংলাদেশের মফস্বল শহর শেরপুর থেকে। আমি কেউ বললেই তাঁর বাড়িতে চলে যাব? এইটাই তো হওয়া উচিত ছিল? আমি তা করলাম না। আমার কাছে মনে হল এই জন্মে কলকাতার কারো বাড়িতে আমি প্রবেশাধিকার পাব এমন কোন আশা নাই। দেখি না গিয়ে! আমি সায়ানদাকে আমার বন্ধু, মানে কাওসারের কোথাও বলে ছিলাম। ও ব্যস্ত থাকায় আমি একাই চলে গেলাম। চিন্তা করে দেখো! চিনি না জানি না, শুধু মাত্র আমার ওই লেখাই যাদের সাথে যোগসূত্র, তাঁদের বাড়িতে আমি চলে গেলাম। গিয়ে সেখানে ইমানুল ভাইয়ের সাথে পরিচয়। এরপরে শুধুই আমার প্রাপ্তি!  সায়ানদার ভাই এবং উনার মা, আমাকে এত আপন করে নিলেন যে আমি হকচকিয়ে গেলাম! এঁরা আমার জন্যই বসে আছে? মাসিমা আমার সাথে দেখা করবেন বলেই উঠে আসলেন অসুস্থ শরীরে? আমি কথার মাঝেই হারিয়ে যাচ্ছিলাম।
    মাসিমার পূর্বপুরুষ বাংলাদেশের ছিলেন। তাও আমাদের কিশোরগঞ্জের! শুধু মাত্র এই সূত্রেই তিনি কত গল্প করে গেলেন। আমি মুগ্ধ হয়ে উনার কথা শুনলাম। উনারা ত্রিপুরার মানুষ। ভাষা আমাদের মত। কী দারুণ লাগল শুনতে উনার মুখে সেই ভাষা! ইমানুল হক ভাই গল্পের রাজা। আড্ডা কোথা থেকে কোথায় ভেসে গেল। উনাদের কত জানার ইচ্ছা বাংলাদেশ সম্পর্কে, আমার কত কিছু বলার ছিল। সব ভেসে গেছে আড্ডার তোড়ে। রাতের খাবার খেয়ে অসম্ভব এক প্রাপ্তি নিয়ে চলে আসলাম সেই বাড়ি থেকে।

    রনি, আমাকে শেরপুরের মানুষজনই ঠিকমত চিনে না। বাংলাদেশ বা ঢাকা তো বহুদূরের আলাপ। সেখানে আমার লেখার সূত্রেই কেউ আমাকে আপন করে নিচ্ছে, এইটাই কি আমার শ্রেষ্ঠ অর্জন না? এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি কি এর আগে ঘটছে আমার? সায়ানদার পরিবারকে, গুরুর সকলকে এই জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

    রনি, শেষ করার আগে যথারীতি একটা গল্প বলে শেষ করি। আমি যে বাইকে করে সায়ানদার বাসায় গেলাম সেই বাইকের চালকের নাম ধরে নিলাম ফারুক। তিনি কিছুদূর যেতেই বললেন, ভাই আমার নাম ফারুক। আমি তো উনার নাম অ্যাপে দেখেছিই, তিনি পরিচয় দিচ্ছেন কেন? আমি কী বলব না বুঝে বললাম, ও! একটু পরে মনে হল আচ্ছা, উনি আলাপ করার জন্য কথা শুরু করে ছিলেন? তাই এবার আমি শুরু করলাম। বললাম, উনার বাড়ি কই? উনি বাঙালি কি না? উনি এরপরে সব অদ্ভুত উত্তর দিতে থাকলেন। বাড়ি এখানেই, জন্ম এখানেই, কিন্তু তিনি বাঙালি না! মানে? তাহলে অন্য কোন জাত? আছে না, অনেক প্রদেশের লোকজনও তো এখানে স্থায়ী হয়, হয় না? আমি ভাবলাম তেমন কেস। কিন্তু না। তিনি কলকাতারই লোক। আমি বললাম, আপনি তাহলে কী? আমি মুসলমান! এবার একটু বুঝলাম। বললাম, ও, বাঙালি মুসলমান? না, উনার কাছে বাঙালির সংজ্ঞা কী জানতে পারলাম না। তিনি বলে গেলেন তারা বাড়িতে হিন্দি বলে, উনার পড়ালেখার সময়ও বাংলা ছিল না, হিন্দি আর ইংরেজি ছিল! কেন? কারণ ইংরেজি আর হিন্দিটা দরকার, এখানে এই দেশে থাকতে গেলে খুব জরুরি দরকার! উনাদের বাসায়ও উনারা হিন্দি বলেন। বললাম, হিন্দি না উর্দু? প্রশ্ন করেই বুঝলাম খুব স্পর্শকাতর প্রশ্ন করে ফেলছি, তবে তিনি জানালেন না, উর্দু না, হিন্দিই বলেন। উনার অবস্থা দেখে আমার কাছে মনে হল কেউ বলছে, ভাই, আমি মাতৃ দুধ পান করিনি। কেন? কোন সমস্যা ছিল? না, অন্য বিদেশি দুধ ছিল, তাতে বেশি পুষ্টি পাওয়া যাবে বলে আমরা তাই খেয়েছি!   আমি বললাম, ভাই, আমাদের কিন্তু কোন সমস্যা হয় নাই মুসলমান আর বাঙালি দুইটাই এক সাথে হতে। আপনাদের সমস্যা কোথায়? এরপরে তিনি নানা হুদা প্যাঁচাল পারলেন। শেষে বললেন, সামনে পুলিশ ধরলে বলবেন না যে আপনি অ্যাপের মধ্যমে যাচ্ছেন, বলবেন আপনি আমার বন্ধু মানুষ, সামনে যাচ্ছি একসাথে! আমি বললাম, কেন? উবার নিষিদ্ধ এখানে? না। তাহলে? তাহলের উত্তর হল উবার শুনলেই পুলিশ নানা যন্ত্রণা দিবে। কিন্তু আমি বুঝলাম না এতে আমি কোন যুক্তিতে তাকে সাহায্য করব? একটু আগেই তিনি মেজাজ একটু খারাপ করে দিয়েছেন। আমি মনে মনে নিয়ত করে বসে রইলাম পুলিশ তেমন কিছু জিজ্ঞাস করলেই আমি অ্যাপ বের করে দেখাব যে এই যে আমি উনার সাথে অ্যাপেই যাচ্ছে!
    শেষ পর্যন্ত তেমন কিছু হয়নি। দিনটা দারুণ কিছু মানুষের জন্য অসামান্য ভাল কেটেছে। আর আগামীকাল হচ্ছে বিদায় ও শেষ রজনী। সেই পর্যন্ত শুভ রাত্রি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ভ্রমণ | ২৩ জুন ২০২২ | ১৩৩৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • যোষিতা | ২৩ জুন ২০২২ ০২:১৯509281
  • ফিরবার ঘটনাও লিখবেন, কেমন?
  • | ২৩ জুন ২০২২ ১১:৪৩509299
  • সায়ান,
    না, সায়ন য়' আ-কার নেই। 

    আপনার এই এলোমেলো ​​​​​​​বেড়ানোটা ​​​​​​​ব্যপক। 
  • rabaahuta | 134.238.***.*** | ২৩ জুন ২০২২ ১৫:১২509303
  • কাল সত্যিই খুব ভালো কাটলো সন্ধ্যেটা। বেশ ক'বছর হল সাদেকুজ্জামানে শরীফের লেখা পড়ছি, লেখা পড়ে তাঁকে যেমন আন্তরিক ও গভীর মানুষ বলে মনে হয়, সাক্ষাতেও তাই। চমৎকার আড্ডা হলো।
    'ইমানুল হক ভাই গল্পের রাজা।' - এইটা লাখ কথার এক কথা, ইমানুলদার উপস্থিতিতে প্রসঙ্গ ও প্রসঙ্গান্তরের অভাব হওয়ার জো নেই!
    আর, মা অন্য সবকিছুর ওপর 'বাপের বাড়ির দেশের মানুষ' দেখে আপ্লুত!

    আবার হয়তো কখনো দেখা হবে, জীবন বিচিত্র, চমকে ভরা।
  • Ranjan Roy | ২৩ জুন ২০২২ ১৫:৫৪509305
  • হগ্গ‌ল ব্যাডারে অ্যাক প্যাট হিংসা দিলাম।
    এমন সময় আমি কইলকাতায় নাই?
    আমারও দ্যাশ ময়মনসিং, কিশোরগঞ্জ সাবডিভিশন, বাজিতপুর। 
    সায়ন আর অর ভাইয়ের লগে আমারও পরিচয় আছে।
    আগে জানলে বিনা ডাকেই মাগনা প্যাচাল পাড়তে হাজির হইলাম নে!
    হায় কপাল! কী আর কইয়াম।
  • kk | 2601:448:c400:9fe0:2107:955d:4c73:***:*** | ২৩ জুন ২০২২ ১৯:৪৭509311
  • ভালো লাগছে এই সিরিজটা পড়তে। রনি'র জন্য মনখারাপ লাগছে।
  • dc | 2401:4900:1f2a:6d7b:75fe:3594:c297:***:*** | ২৩ জুন ২০২২ ২০:৪০509314
  • আচ্ছা সাদেকুজ্জামান সাহেব খাওয়াদাওয়া কিছু করলেন না? ফুচকা, রোল, কাটলেট, সিঙ্গারা, কচুরি ইত্যাদি? আমি তো ওইসব খাওয়ার লোভেই কলকাতা যাই! 
  • কিংবদন্তি | ২৪ জুন ২০২২ ০২:০০509321
  • @যোষিতা, ফেরার ঘটনা বলার মত হলে লেখব। 
    সায়নদার নাম ভুল করার জন্য দুঃখিত। 
    ময়মনসিংহের মানুষ দেখাটা মিস হওয়াতে আফসোস হচ্ছে এখন। আমাদের গপ্পটা জমত। 
     
    @ rabaahuta, আমার সারা জীবন মনে থাকবে গতকালের কথা! 
     
    খাওয়া দাওয়া নিয়ে বলার সাহস হচ্ছে না। এই অল্প দুই একদিনের খাওয়া নিয়ে কথা বলার মত কিছু নাই আসলে। এরপরে খাবারের জন্যই ঘুরব। এবার আমি জানি আমি জায়গা মত যেতে পারি নাই খাওয়ার জন্য। রাস্তাঘাটে যা খেয়েছি তা বেশ ছিল কিন্তু তা বলার মত না। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন