১। চায়ের দোকান। বাবলাবোনা। ডোমকল।
কথোপকথনে রুহুল বিশ্বাস (৪২), ভাগচাষি। আজিজুল মণ্ডল (৪৫), ভাগচাষি। আসরাফুল মণ্ডল (৫০), ক্ষুদ্র চাষি। হান্নান মণ্ডল (৬০), পাট ব্যবসায়ী।
আসাদুদ্দিন ওয়াইসি-কে চেনেন বা জানেন?
: না, চিনি না। দেখিনি কোনওদিন।
টিভির খবরে দেখেছেন?
: না, দেখিনি।
ওনার এমআইএম পার্টির কাজকর্ম এদিকে দেখা যায়?
: আমাদের এদিকে আসেনি।
: টিভিতে দেখা যায়।
: টিভিতে দেখা যায় (বক্তাকে)? টিভিতে দেখা যায় বলছে (প্রতিবেদককে)!
যদি এমআইএম পার্টির মিছিল এদিকে বেরোয়?
: তাহলে মার খাবে।
: আমাদের এখানে তৃণমূল, কংগ্রেস আর সিপিএম- এছাড়া আর কোনও পার্টি নাই।
আর বিজেপি-র মিছিল হলে?
: বিজেপি-ও মার খাবে।
কিন্তু কিছু কিছু গ্রামের কোনও কোনও বাড়িতে বিজেপি-র পতাকা উড়ছে দেখা গেল।
: আমি বিজেপি ধরে নেন (নিজের দিকে নির্দেশ করে)। এই কথা কেন বলছি? চোরাগোপ্তা থাকবেই। ওটা আলাদা জিনিস। কিন্তু প্রকাশ্যে নাই।
মিম পার্টি প্রার্থী দিলে এদিকের মুসলিমরা ভোট দেবে?
: (একাধিক স্বর একসঙ্গে) না।
: সিপিএম, তৃণমূল আর কংগ্রেস এই তিন পার্টির নড়ন-চড়ন হচ্ছে। এর বাইরে আর কেউ ভোট পাবে না।
কেন?
: ওদের নীতি খারাপ তার জন্য।
: ওরা বিহারে ভোট নষ্ট করল। ওখানে এমআইএম পার্টিকে ভোট দিয়ে কী লাভ হয়েছে? বিজেপি-র লাভ হল।
: মুসলমানের ক্ষতি হয়েছে।
: এখানে এমআইএম পার্টির জায়গা নাই।
এমআইএম পার্টি মুসলিম জনগণের ভালর জন্য ভোটে লড়ছে শোনা যাচ্ছে?
: তা করবে না। কী ভাল কাজ করেছে ওরা? ওদের ভাল কাজ এখন অব্দি দেখিনি।
: মানুষ এখন এমআইএম পার্টির কাজ বুঝে গেছে। ভাল যখন করবে তখন দেখবে, বুঝবে, ভোট দেবে। আপাতত এই ইলেকশনে ওদের ভোট হবে না।
: মানুষ আগে বুঝবে, বুঝে ভোট দেবে। এবারকার ভোট এত সহজ না।
যে কোনও বিষয়ের প্রথম দিকে এখন পর্যন্ত কোনও মুসলিম ছেলেমেয়েকে কম দেখা যায়। এইসব জায়গায় মুসলিম জনতার পৌঁছতে কোনও পার্টি সাহায্য করতে পারে?
: পার্টি থেকে হয় তাই? সব জনগণের, মানে সবারই সবকিছু দরকার আছে।
: না না, পার্টি থেকেই তো হয়। হিন্দুরাও পারবে না, মুসলমানরাও পারবে না।
: আমাদের ডোমকলের জনকল্যাণ মাঠে একবার বামফ্রন্টের মিটিং হয়েছিল… তাতে রেজ্জাক মোল্লা বলেছিলেন, ‘ভারতবর্ষে কি মুসলিমের যোগ্যতা নাই মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার? কেন হতে পারে না?’ তারপর থেকেই কিন্তু রেজ্জাক মোল্লা রাগ করে নেমে গেছেন।
এমআইএম পার্টি মুসলিমদের উন্নতি করবে?
: কী উন্নতি হবে? কেউ কিছু দেয় না।
: যত টাকাপয়সা তো মমতা সরকারই দিল। ভুল কথা বললে তো হবে না। ‘কন্যাশ্রী’, ‘রূপশ্রী’… যত টাকা মমতা সরকারই দিল। আগে কেউ পেয়েছে? ৩৫ বছর বামফ্রন্ট রাজত্ব করেছে, কেউ দশ টাকা পেয়েছে?
২। রাস্তা। বরফখানা গ্রাম। প্রসাদপুর অঞ্চল। জিয়াগঞ্জ।
কথোপকথনে সাবের আলি শেখ (৩৭), দিনমজুর।
: এই যে ‘কন্যাশ্রী’, ‘রূপশ্রী’… আপনাকে যদি বসে বসে টাকা, চাল-ডাল দিই সেটা মঞ্জুর করবেন না আপনাকে যদি কাজ দিই… কাজ করে রোজগার করবেন সেটা মঞ্জুর করবেন? বলুন? (লেখককে)
আপনারা কোনটা চাইছেন?
: আমরা চাইছি কর্ম… কাজ চাইছি। দু টাকা কেজি চাল, পাঁচ টাকা কেজি ডাল… এসব চাই না, কাজ চাই (উত্তেজিত)।
এমআইএম পার্টি এসব সমাধান করতে পারবে?
: সেটা ভাবছি না। ভাবছি আরেকটা নতুন পার্টি যদি আসে তাহলে উপকার হবে। সাধারণ মানুষের যেটায় উপকার হবে সেই পার্টিতেই আমরা যাব।
এই গ্রামে হিন্দু-মুসলিম সবাই বাস করেন?
: না ম্যাডাম, এখানে সবাই মুসলিম।
ফুরফুরা শরিফ বিষয়ে জানেন?
: না ম্যাডাম। আমরা যাইনি কখনও। নাম শুনেছি। ব্যাস, ওই টুকুই।
এমআইএম পার্টি মুসলিমদের উন্নতি করবে?
: এটা আসলে মানুষের ভুল। এই পার্টি সবাইকে নিয়ে চলার চেষ্টা করছে… পিছিয়ে পড়া মানুষ যেমন দলিত, আদিবাসী বা মতুয়া…
দলিত, আদিবাসী, মতুয়া এঁদের সঙ্গে এমআইএম পার্টির কী সম্পর্ক?
: এরা চাইছে পিছিয়ে পড়া মানুষকে নিয়ে কাজ করবে, সবাই যাতে সমান অধিকার পায়।
কিন্তু সবাই বলছে বিহারের নির্বাচনে এমআইএম পার্টি বিজেপি-র সুবিধা করে দিয়েছে।
: না, এই ভাবনা ভুল। বিহারের কিষানগঞ্জে বিজেপির থেকে এমআইএম পার্টি বেশি ভোট পেয়েছে।
এমআইএম পার্টির হয়ে এতকিছু বলছেন, আপনি কি এমআইএম-এর সদস্য?
: না, আমি সাধারণ মানুষ।
এখানে এমআইএম পার্টির পতাকা দেখছি। সংগঠন আছে?
: নিশ্চয় আছে। নাহলে পতাকা উড়বে কেন? মিটিং হয়েছে। আবার হবে। মিছিলও হবে। তাতে বাধাবিঘ্ন সবই হচ্ছে। আগামী দিনে মিম পার্টি এখানে খাড়া হবে। এটাই আশা করছি।
৩। চায়ের দোকান। রসুলপুর। ডোমকল।
কথোপকথনে আনোয়ারা বেওয়া (৬০), দোকানের মালকিন। মিলন (৩০), আনোয়ারার ছেলে।
: এমআইএম পার্টিও যা, বিজেপিও তাই। একই তো, ওরা দল বাঁধছে। মুসলমানের ক্ষতি করার জন্য দল বাঁধছে।
: না মা, এমআইএম পার্টি আলাদা, বিজেপি আলাদা পার্টি।
: না না, তুমি বুঝতে পারছ না। ওরা একজোট হবে।
এমআইএম পার্টি প্রার্থী দিলে এই এলাকার মুসলিমরা ভোট দেবে?
: না, মিম পার্টিকে দেবে না। আমরাও দেব না।
: মা, যতই বল ওরা কিন্তু ভোট পাবে অল্পবিস্তর।
৪। চায়ের দোকান। ব্রিজ মোড়। ডোমকল।
আব্দুল গণি মণ্ডল (৫১)। শ্রমজীবী এবং ক্ষুদ্র কৃষক।
: সারা ভারতবর্ষের দিক দিয়ে যদি লক্ষ করা যায়… এত হত্যা, ধর্ষণ, মহামারী, এত লুঠ… এতকিছুর পরেও আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলুন আর আব্বাস সিদ্দিকিই বলুন মুসলমানের পক্ষে কেউই দাঁড়ায়নি, তার উপর আরএসএস-বিজেপি-র মতো শক্তিকে আটাকানোর চেষ্টাও করেনি। সেজন্যই এখানকার সাধারণ মানুষ মনে করছে এমআইএম পার্টির সঙ্গে বিজেপি-র গাঁটছড়া সম্পর্কই আছে। যেদিন ২০১৯-এ ১১ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে সিএএ আইন পাশ হচ্ছে সেদিন আসাদুদ্দিন ওয়াইসি পার্লামেন্টে সিএএ-এর কাগজ ছিঁড়েও ফেললেন। সেটাও আমরা দেখলাম। কিন্তু এর বার্তাটা কী?
আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বা আব্বাস সিদ্দিকি এখানকার জনগণের জন্য কিছু করবেন মনে হচ্ছে?
: না না, জনগণের জন্য কোনও নেতারা কিছু করবেন না। জনগণের জন্যে যদি কিছু করতে হয় তো জনগণকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। জনগণকেই ঠিক করতে হবে আমরা কী করব।
৫। ব্রিজ মোড়। ডোমকল।
আব্দুল জলিল (৬৩)। দলিল লেখক।
: মুসলমানদের জন্য কেউ কিছু করবে না। এরা ভোট ব্যাঙ্ক। ওই ইমাম ভাতাতে কিছু হবে না। প্রাথমিক যেটা দরকার… শিক্ষা, চাকরি… এই সমস্ত মুসলিমদের কে কতটা দিল?
পাইয়ে দেওয়ার কথা বলছেন?
: না না, পাইয়ে দেওয়া না… ন্যায্য যেটা… নিজের যতটা অধিকার সেটা তো পাবে?
ফুরফুরা শরিফ বিষয়ে কী ভাবেন? এখানে কেমন প্রভাব?
: কিছু ভাবি না। কিন্তু আছে… অনেক লোক আছে যারা ওদেরকে ভাল চোখে দেখে, মুসলিম ধর্মের প্রতিনিধি হিসেবেই দেখে। বাঙালি মুসলিমের ওপর সামান্য কিছু প্রভাব আছে। কিন্তু ফুরফুরা শরিফের ওনারা তো বাঙালি মুসলিম না বোধহয়। হয়তো যুগ যুগ ধরে বাংলায় ওনারা বাস করছেন। কিন্তু ওনারা উর্দুভাষী মুসলিম। আসাদুদ্দিন ওয়াইসিও তাই। ধর্মীয় আবেগ এক হলেও বাঙালি মুসলিমদের সঙ্গে ওনাদের সংস্কৃতির কোনও মিল নেই।
পুনশ্চ:
মুসলিম মেয়েদের অধিকার নিয়ে এমআইএম দল ভাবতে পারে?
কলকাতা
শাশ্বতী ঘোষ। নারী আন্দোলনকর্মী এবং অধ্যাপিকা।
: বিজেপি যে তিন তালাক আইন এনেছে আমি তার বিরোধী। কারণ কোনও ধর্মে যদি কেউ তালাক দেয়, কেউ বিবাহ বিচ্ছেদ করে তাকে ক্রিমিনালাইজ করার কোনও জায়গা নেই। কিন্তু এই আইনে তার জেল হবে… এই যে বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা হয়েছে আমার তাতে তীব্র আপত্তি রয়েছে। তালাক হোক, কিন্তু সেটা হোক আদালতের মাধ্যমে- এইটা যদি দলগুলো তাদের কেন্দ্রীয় দাবির মধ্যে আনে… সম্পত্তি, বিবাহ… যেগুলিতে বিচ্ছিন্নতা রয়েছে… হিন্দু মেয়েদের আইনগুলো আছে প্রয়োগ হয় না। যে হিন্দু মেয়েরা সক্ষম, মামলা লড়তে পারে সে অধিকার পেতেও পারে।
কিন্তু মুসলিম মেয়েদের ক্ষেত্রে সেই আইনগুলোই নেই। এই বৈষম্যের জায়গাটা নিয়ে কোথাও একটা সরব হওয়া দরকার। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নাবালিকা বিবাহ রোধ- এগুলোর সঙ্গে সঙ্গে সম্পত্তি, বিধবা স্ত্রীদের অধিকার এবং তিন তালাকের ব্যাপারটা নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা খুব প্রয়োজন। কিন্তু এটা কোনও রাজনৈতিক দলই, এমনকি তারা যদি নিজেদের ধর্ম নিরপেক্ষ বলে দাবিও করে তাহলেও তারা এই দাবিগুলো তুলবে কিনা সন্দেহ। কারণ এই দাবিগুলো তুললেই মুসলিম জনতার মধ্যে এবং রাজনৈতিক দলের মধ্যে পিতৃতান্ত্রিক ভাবনাগুলোকে, পুরুষ শাসনের ভাবনাগুলোকে জারি রাখার পক্ষে যে সমস্ত লোকেরা রয়েছেন তাঁরা কিন্তু ধর্মে হস্তক্ষেপ করছে বলে রে রে করে উঠবেন এবং যারা এই দাবিগুলো তুলবেন তাঁদের সমাজ বিচ্ছিন্নতা, রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতা শুরু করে দেওয়া খুব সহজ হবে বলে আমার মনে হয়।
মুর্শিদাবাদ। বহরমপুর।
খাদিজা বানু। ‘রোকেয়া নারী উন্নয়ন সমিতি’-র সম্পাদক। দরিদ্র মুসলিম মহিলাদের শিক্ষা সংক্রান্ত, আইনি ও স্বনির্ভরতার সহায়তা দান করে সংস্থাটি।
: সরকারকে যারা টাকা ঢেলে ক্ষমতায় নিয়ে আসে… এই আম্বানি, আদানি, টাটা, বিড়লা, গোয়েঙ্কা… নিজেদের স্বার্থই দেখে। ফলে যতদিন এঁদের স্বার্থে আইন তৈরি হবে কোনও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের, বিশেষ সম্প্রদায়ের লোকের, বিশেষ সম্প্রদায়ের নারীদের কিচ্ছু ডেভেলপমেন্ট হবে না। তাহলে চাই এই সিস্টেমটার আমূল পরিবর্তন।
বর্তমান ব্যবস্থাটার নাম হচ্ছে ‘পুঁজিবাদী ব্যবস্থা’, পুঁজিপতি শ্রেণির স্বার্থে প্রোডাকশন। এখানকার আইন এমনকি বিচারও তাঁরা ঠিক করে দিচ্ছেন আজকাল। বিচারের মধ্যে দুর্নীতি ঢুকে গেছে, পুলিশ-প্রশাসনের মধ্যে দুর্নীতি ঢুকে গেছে। এবং গোটা দেশে দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের জন্য যে পণ্য পরিষেবা- শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, চাকরি, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান… এইসব মূল পরিষেবা কোটি কোটি মানুষকে তাঁরা দিতে চান না। যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায় তাদের জন্য কিছু নাই। এরকম একটা সিস্টেম চললে কেউ কখনও ক্ষমতায় এসে আলাদা করে কিছু করতে পারে? পারা সম্ভব? দেশটার চালক হচ্ছে আদানি, আম্বানি-রা। এঁদের পরিবর্তন না করে এমআইএম কী করে পারবে? এমআইএম-এর ক্ষমতা আছে তালাক বন্ধ করা, বহু বিবাহ বন্ধ করা, সম্পত্তিতে সম অধিকার নিয়ে আসা? তাহলে তাকে তো গর্জে উঠতে হবে মুসলিম পার্সোনাল ল-এর বিরুদ্ধে। পারবে এমআইএম? কক্ষণও না।
মুসলিম ভোট বিজেপি আশা করেনা, পাবো না। এরা চায় এই ভোট তৃণমূল, মিম ও অন্যান্যদের মধ্যে ভাগ হোক। হিন্দু ভোট যেন বেশিরভাগ ওরাই পায়। এই আশঙ্কাজনক ব্যাপারের দিকে যাচ্ছে বাংলা। মিম, ফুরফুরা যত অ্যাক্টিভ হবে তত বিজেপির সুবিধা। কংগ্রেস ও বামেরা যত নিজেদের মুসলিম ও হিন্দু ভোট ফিরে পাবে, বিজেপির লাভ। যতই অপছন্দ করি, তৃণমূল একমাত্র শক্তি যে আটকাতে পারে সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিস্ট পার্টিটাকে।
*পাবেনা। পাবোনা নয়। প্রথম লাইন।
মিডিয়াতে ২১-এর রাজ্য নির্বাচন নিয়ে এক বাইনারির খেলা চলছে। হয় বিজেপি নয় তৃণমূল। অমিতবাবু যখন এই সিদ্ধান্তে ইতিমধ্যেই উপনিত হয়ে পড়েছেন যে তৃণমূলই একমাত্র শক্তি যে নাকি বিজেপি-কে রুখতে পারে, তখন সরাসরি বলুন না যে কংগ্রেস ও বামদের উচিত হয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা বা নিজ নিজ দলের কর্মী ও সমর্থকদের তৃণমূলকে ভোট দিতে বলা। তাহলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়! নইলে ভোটের পর ত্রিশঙ্কু অবস্থা হলে গোটা তৃণমূল দলটার বিজেপি-তে বিলীন হওয়ার একটা সম্ভাবনা তো থেকে যাবে।
বর্তমানে ওয়াশিং পাউডার নির্মার কার্যকলাপ যা দেখছি তাতে কি এরকম আশঙ্কা অমূলক? কী বলেন অমিতবাবু?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো নিজেই বলেছিলেন বিজেপি অস্পৃশ্য নয়, বাংলায় স্বাগত। তবে আজ তাদের উল্টো গান কেন ? তাহলে কি একেক সময় একেক দল এদের কাছে অস্পৃশ্য হয়ে যায়। যেমন 2011 তে বামের থেকে খারাপ কেউ ছিল না। আবার আজ যদি মিম সবচে বড় দল হতো তবে তারা অস্পৃশ্য হত। তখন কালীঘাটে হিন্দুত্বের ঝান্ডা উড়ত। যেমন এখন মালদাতে এক ডায়লগ , কালনায় অন্য ডায়লগ শোনা যায়।
সেটাই তো ভয়। সামান্য গরিষ্ঠতা পেলেও তৃণমূল দল রাখতে পারবেনা। জোড়া ফুল ঝেঁটিয়ে পদ্মফুল হয়ে যাবে। আর বিজেপি বৃহত্তম দল হলে তো কথাই নেই। বাম আমলে যেরকম পাড়াত সম্মানিত শিক্ষিত পুরোন কংগ্রেসি ভদ্রলোক জেঠু দেখা যেত, স্বাধীনতাসংগ্রামী ইত্যাদি, সেরকম বয়স্ক বামেরা তাঁদের আদর্শ নিয়ে থাকবেন কিন্তু ভোটের বাজারে অচল। কমবয়েসী লড়াকু মস্তানরা ছিল তৃণ, এখন বিজেপি। বামেদের লড়াকু ছাত্র যুব ফ্রন্ট আর তাদের টানেনা।
খুবই মূল্যবান তথ্য। এই পরিস্থিতি নিয়ে আপনার নিজস্ব বোঝাপড়াটা যুনতেও আগ্রহী। মানে হাওয়া কোন দিকে যাচ্ছে বলে আপনার মূল্যয়ন।