নিভে যাওয়া ছাই মাটির উনুনের ভেতর নিস্তেজ হয়ে আছে। উনুনের পাশেই ছড়ানো ডালপালার পেয়ারা গাছ। পাতার ভেতর দিয়ে নিভে যাওয়া উনুনে উঁকি দিচ্ছে সূর্য। খুব সকালে এই উনুনে নিজের রান্না শেষ করে লোকের বাড়ি কাজ করতে চলে গেছেন গীতা নস্কর (৪৮)।
দুপুর আড়াইটে। এখনও খাওয়ার সময় পাননি গীতা। বারোয়ারি টাইম কলের জল ধরে স্নান সেরে অপেক্ষা করছেন ছেলের জন্য। ছেলে সকাল সকাল বাড়ি বাড়ি নিউজ পেপার দিয়ে ঘরে ফিরে আবার বেরিয়েছেন নতুন কোনও কাজের আশায়। করোনার ভয়ে অনেক মানুষ কাগজ নেওয়াও বন্ধ করেছেন। রোজগার ঠেকেছে তলানিতে। গীতার স্বামী গুরুতর হার্টের অসুস্থতায় ভুগছেন। করোনা আতঙ্ক এবং টাকার অভাবে আপাতত তাঁর চিকিৎসা বন্ধ। একমাত্র মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন গত বছর। নিজের পায়ের পাতায় কিছুদিন আগে অপারেশন হয়েছে গীতার। হাঁটতে সমস্যা। তবু হেঁটেই কাজে যান। শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব। ডাক্তার বলেছেন দুধ, ডিম, ফল বেশি করে খেতে। কী ভাবে যোগাড় করবেন? মাসে একদিন মাছ, সপ্তাহে একদিন ডিম। বাকি দিনগুলোয় রেশনের ডাল আর সয়াবিন।
কাজ বলতে মাত্র দুটো বাড়ি। লকডাউনের আগে পাঁচটা বাড়ি ছিল। পুরোনো কাজের জায়গায় টাকা আটকে। লকডাউনের মধ্যে চালু হওয়া রেশনের ত্রাণ-বরাদ্দও কমে গেছে। আগে পাচ্ছিলেন সাত কেজি চাল, এখন মাসে তিন কেজি। গমের পরিমাণ বেড়েছে। দ্বিধা নিয়ে বললেন, ‘চালটা বাড়লে ভাল হয়।’
যাদবপুর-সন্তোষপুর এলাকার এক বস্তির একটি মাত্র দরমার ভাড়া ঘরের পাশে দাঁড়িয়ে দীর্ঘশ্বাস চেপে গেলেন গীতা। তাঁর মেয়ে নিজের রেশন কার্ড শ্বশুরবাড়ির ঠিকানায় করবেন। একটা কার্ড কমে যাবে। রেশনের বরাদ্দও। বারো’শ টাকা ঘর ভাড়া দিয়ে সংসার চলবে কী করে?
আরও পড়ুন, করোনাকণ্টকিত ভারতের তথ্যপ্রযুক্তিক্ষেত্রের কর্মীরা
চিন্তায় সব গৃহকর্মীরা। কোভিড-১৯ সব তছনছ করে দিয়েছে। দুবেলা খাবার যোগাড়েরও সামর্থ্য নেই অনেকের। সমস্যাগুলি ঠিক কীরকম?
সংগঠক মুনমুন বিশ্বাস ‘সংগ্রামী গৃহশ্রমিক ইউনিয়ন’-এর পক্ষ থেকে কথা বললেন। ট্রেন বন্ধ হওয়াতে অনেক মেয়ে কাজ হারিয়েছেন। শহরতলির মেয়েরা বাস ও অটো ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় বিপদে পড়েছেন। অনেকটা পায়ে হেঁটে কাজের বাড়ি পৌঁছচ্ছেন। যাদের কাজ আছে তাঁরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। এরকম একটা অসংগঠিত ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিমার প্রশ্নই নেই। মাইনেও কমে গেছে। এমনিতেই গৃহকর্মীদের সঙ্গে নানান অবমাননাকর ব্যবহার করা হয়। জামাকাপড় পাল্টাতে হচ্ছে, স্নান করতে হচ্ছে – এরকম নানান কিছু সহ্য করে কাজ করতে হচ্ছে অনেককে।
মুনমুন বললেন, ‘বিশেষ করে বড় বড় হাউজিং সোসাইটির অ্যাসোসিয়েশন সারা ভারতবর্ষ জুড়ে খুব অরগানাইজড ওয়েতে গৃহকর্মীদের সঙ্গে অত্যন্ত অমানবিক ব্যবহার করেছে। গৃহকর্মীদের করোনা ভাইরাস হিসেবেই যেন ট্রিট করেছে। আসলে কিন্তু গৃহকর্মীদের সংক্রমণের সম্ভাবনাই বেশি।’
খাপ বললে কিছু বছর আগে কলম বা তলোয়ারের অনুষঙ্গ আসত। এখন অবশ্য ফেসবুক, কিংবা হরিয়ানা। খুব জোর যোগেন্দ্র যাদব কী বলেছিলেন বা রায়া সরকার! সিরিয়াস৯-র পরের সংখ্যা খাপ নিয়ে। লিখছেন তাতিন বিশ্বাস, বল্লরী সেন, প্রতীক, শাশ্বতী দত্তরায়, অভিজ্ঞান সরকার। খাপ এড়াবেন না।
‘পশ্চিমবঙ্গ গৃহ পরিচারিকা সমিতি’ কলকাতাসহ সাতটি জেলায় কাজ করে। সমিতির দশ হাজার সদস্য। তার মধ্যে সাড়ে পাঁচ হাজার সদস্যর ওপর লকডাউনের মধ্যে একটা সার্ভে করেছিলেন তাঁরা। পঁচিশ শতাংশ মেয়ে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে কাজ করছেন। বাকি পঁচাত্তর শতাংশ কাজ হারিয়েছেন।
পড়ুন: লকডাউনে ব্যতিক্রমী হকারটাউনে
গ্রামের পরিচারিকাদের জব কার্ড না থাকায় গ্রামে কাজ পাচ্ছেন না। দু’তিন কেজি মুড়ি ভেজে বিক্রি করে প্রতিদিনের তেল-নুন সংগ্রহ করছেন। সরকারি রেশনে পাঁচ কেজি করে চাল পাওয়া যাচ্ছিল। অগাস্ট মাস থেকে এক কেজি চাল আর এক কেজি গম পাচ্ছেন। এক কেজি করে ডাল পাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে শহরের বস্তিগুলিতে থাকা মেয়েদের ভোটার কার্ড হয়েছে কিন্তু রেশন কার্ড হয়নি। রেশন পাচ্ছেন না।
লকডাউনের আগে, ট্রেনের বার্তালাপ
সংগঠনের কার্যকরী সমিতির সদস্য স্বপ্না ত্রিপাঠী জানালেন, অগাস্টের আট তারিখ লকডাউনের দিন বেহালার এক পরিচারিকা হেঁটে কাজে যাচ্ছিলেন। পর্ণশ্রী থানার পুলিশ তাঁকে আটক করে। রাতে তিনি ছাড়া পান। পরের দিন ওই বাড়িতে কাজে গেলে লকডাউনের দিন না আসার অজুহাত দেখিয়ে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। তিনি বললেন, ‘কোভিডের অজুহাতে মালিকরা কাজ থেকে ছাড়িয়ে দিচ্ছেন বা কম পারিশ্রমিক দিচ্ছেন। মেয়েরাও বাধ্য হয়ে কম টাকাতেই কাজ করছেন।’
দীপা ধর (৩৫), বেহালা শীলপাড়ায় থাকেন। করোনার ফলে কাজে যাওয়াটাই তাঁর কাছে প্রথম সমস্যা। প্রতিদিন এক ঘণ্টা হেঁটে কাজে যেতে হচ্ছে। অর্ধেক কাজ নেই। কেউ কাজ করিয়েও টাকা দেননি। দু একটা বাড়িতে অবশ্য তাঁর পারিশ্রমিক কখনও বন্ধ হয়নি। স্ট্রিক্ট লকডাউন পর্বে দু একটা বাড়িতে কাজ করার সমস্যা না-থাকলেও পুলিশের ভয়ে রাস্তায় বেরোনোর সাহস হয়নি। ছেলেমেয়েকে নিয়ে সংসার। দশ বছর হল স্বামী তাঁকে ছেড়ে গেছেন। বস্তির একটা ঘর। দু হাজার ভাড়া। আগে সাড়ে আট হাজার আয় হত। এখন মাত্র পাঁচ হাজার। ধার করতে হচ্ছে। ছেলে মাধ্যমিক পাশ করেছে। ইলেভেনে ভর্তি হতে গিয়ে স্কুল চাইছে বাবার পরিচয়পত্র। কাজ কামাই করে ছুটতে হবে স্কুলে। জানেন না তিনি, স্কুল আদৌ ছেলেকে ভর্তি নেবে কিনা।
‘গৃহ পরিচারিকা সমিতি’-র সম্পাদক মিঠু সাহা ২০১৪ থেকে শোভাবাজার এলাকায় গৃহকর্মীদের নিয়ে কাজ করেন। লকডাউনের মধ্যে অনেক মালিক কাজ করিয়ে নিয়েও টাকা বাকি রেখেছেন। বেশিরভাগ মেয়েদের স্বামীরাই ভ্যান চালায়। স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই কাজ বন্ধ হয়ে পরিবারগুলি সমস্যায় পড়েছে।
‘হয়তো মাইনে দেড় হাজার টাকা। কিন্তু আটশ বা হাজারের বেশি দিচ্ছে না। যারা ব্যবসায়ী তাঁরা আয় কম দেখিয়ে মাইনে কমিয়েছেন। এমনকি সরকারি চাকুরেরাও করোনার সুযোগ নিয়ে মাইনে কমিয়েছেন।’, অসন্তুষ্ট স্বরে বললেন তিনি।
আধুনিক পরিবারগুলির প্রতিদিনের জীবন যাপন গৃহকর্মীদের বাদ দিয়ে ভাবা যায়? রেডিও জকি এবং অভিনেতা অরুণিমা ঘোষ তাঁদের সাহায্য ছাড়া নিজের কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা ভাবতেই পারেন না। নিজের মেয়ের দেখভাল থেকে বাড়ির কাজ সবেতেই তিনি গৃহকর্মীদের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু করোনা আতঙ্কে ঘরের সব কাজ নিজে হাতেই করছেন আপাতত। নিজের কাজ আগের তুলনায় কমেছে। বাড়ির কাজ করতে পারছেন। বাড়ির দুজন পরিচারিকা কাজে না এলেও নিয়মিত মাইনে দিচ্ছেন, জানালেন তিনি।
ট্যাংরা এলাকার সাধনা পাণ্ডে (৪০) আটটা বাড়িতে কাজ করতেন। এখন কোনও বাড়িতেই ঢোকার অনুমতি নেই। একটা বাড়ি লকডাউনের পরেও পারিশ্রমিক দিচ্ছিল। গত দু মাস সেটাও বন্ধ। বললেন, ‘লকডাউনে আমি- আমার বর দুজনেই ঘরে বসা। চারমাস হয়ে গেল লাইটের বিল, কেবল ভাড়া, ছেলেমেয়ের অনলাইন ক্লাস চালানোর খরচ কিছুই দিতে পারছি না।’
আরও পড়ুন, উন্নয়নের ভুগোল ও করোনা সংক্রমণ
একটা মোবাইল আছে। স্ক্রিন ফাটা। মোবাইল সারানো বা নতুন মোবাইল কেনা সম্ভব নয়। ছেলে নাইনে, মেয়ে ইলেভেনে পড়ে। বড় মেয়ের অল্প বয়সে বিয়ে দিয়েছেন। স্বামীর আলসার। মাঝে মাঝে মুখ দিয়ে রক্ত ওঠে। তাঁর ওষুধপত্র বন্ধ। স্বামী অনুষ্ঠান বাড়িতে রান্নার কাজ করতেন। লকডাউন পর্বে একটাও কাজ জোটেনি। দুজনে ঘুগনির দোকান খুলেছিলেন। চলেনি। কাজ কামাই করে রেশন কার্ড বানানোর সময় পাননি। প্রথম দিকে রেশনও পাননি। স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে আবেদন করে আপাতত পাচ্ছেন। কিন্তু সংসার চালানোর জন্য তা যথেষ্ট নয়। ভবিষ্যৎ কী জানেন না।
আমরা দেখেছি কাজ হারিয়ে দলে দলে ফিরছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। এঁদের একটা অংশ গৃহশ্রমিক। কলকাতার অলিগলির বস্তিতে পরিযায়ী গৃহশ্রমিকেরা। এঁদের অনেকেই শ্বশুরবাড়ি এবং বাবার বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়েছেন বা স্বামী অসুস্থ হওয়ায় পরিচারিকার কাজ করছেন। এই অসংগঠিত শ্রমে তাঁদের জীবনের নিশ্চয়তার ভাড়ার শূন্য। আরও শূন্য করে দিয়েছে কোভিড-১৯। জীবন ও জীবিকার নিশ্চয়তা দিতে ব্যর্থ সরকার। কিন্তু এঁদের নিয়ে দাবিদাওয়া জানাচ্ছেন সংগঠকরা?
মুনমুন বললেন, ‘যতটা সম্ভব ত্রাণের ব্যবস্থা করেছি। মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি পুজোর বোনাস যদি কিছুটাও আদায় করা সম্ভব হয়। সব মেয়েরা যাতে ঠিকমতো রেশন পান সেই দাবি করছি।’ মিঠু সাহাও এই দাবিগুলোর কথা বললেন। মেয়েরা যাতে পুরোনো কাজ ফিরে পান সেটাও দেখছেন তিনি।
স্বপ্না ত্রিপাঠী জানালেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী সবার জন্য রেশনের কথা বললেও সেটা বাস্তবে কার্যকরী হয়নি। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়ে দাবি জানাচ্ছি, দরিদ্রদের জন্য যে রেশন কার্ড পরিচারিকাদের সবার জন্যও সেই কার্ডের ব্যবস্থা হোক। সব জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য মাসিক দু হাজার টাকা ভাতার ব্যবস্থা হোক। যে পরিমাণে ইলেকট্রিক বিল আসছে মেয়েদের পক্ষে পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। লাইন কেটে দিচ্ছে। ইলেকট্রিক বিল মকুব করা হোক। অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য ‘সামাজিক সুরক্ষা যোজনা’ কোভিডের অজুহাতে বন্ধ আছে। আমরা সেটা চালু করার আবেদন করছি। কোনও মালিক যেন এই অবস্থায় কাউকে কাজ থেকে বরখাস্ত করতে না পারেন সেটাও দেখা হোক।’
ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) ২০০১ সালে শ্রমিকদের জন্য নির্দিষ্ট আইন তৈরির কথা বলেছিল সব দেশের কেন্দ্রীয় সরকারকে। আমাদের দেশে সেটা আজও তৈরি হয়নি। ‘অ্যাকশন এইড অ্যাসোসিয়েশন’ সেই আইন কার্যকর করার উদ্দেশ্যে সারা ভারতের পরিচারিকাদের অধিকারের পক্ষে মিসড্ কল ক্যাম্পেন করছে।
"এই অসংগঠিত শ্রমে তাঁদের জীবনের নিশ্চয়তার ভাড়ার শূন্য। আরও শূন্য করে দিয়েছে কোভিড-১৯। জীবন ও জীবিকার নিশ্চয়তা দিতে ব্যর্থ সরকার।"
মর্মান্তিক !
সরকার (বা সমাজ) যদি না বোঝে যে সার্বিক উন্নয়ন এবং তাকে স্থায়িত্ব দিতে গেলে এই মানুষগুলো কে সবচেয়ে আগে দেখতে হবে, সমূহ সর্বনাশের খুব বেশি বাকি নেই । Sustainable ডেভেলপমেন্ট Goal এর ১.৩.১ ধারায় ভারত সই সাবুদ করেছে বটে কিন্তু কাজে কর্মে কমিটমেন্ট সেরকম নেই । এই প্রান্তিক মানুষগুলোর সামাজিক সুরক্ষা প্রয়োজন (social protection ) কিন্তু তথ্য দেখাচ্ছে সেখানে সরকারের খরচ নগন্য!
https://www.social-protection.org/gimi/WSPDB.action?id=40
(নীচের তথ্য দেখুন):
Social Assistance এর যাবতীয় খরচ সরকারের কাছ থেকে আসার কথা, এর পরেও এঁদের যদি এই অবস্থা হয়, অনুমান করা যেতে পারে, সরকারের তরফে এঁরা সেরকম কিছু পান না নিশ্চই । Social Insurance এ সরকারের তরফে খরচের অঙ্গীকার খুব ই কম (1.16%) আর মালিকের প্রদেয় 8.33% । অসংগঠিত শ্রমিকরা কি পান ঈশ্বর জানেন।
তার ওপরে কোভিড -১৯!
একটা রাফায়েল যুদ্ধবিমান কিনতে যা খরচসময় পরিমান টাকা খরচ করলে এই প্রান্তিক এমন কতজন মানুষের সামাজিক কল্যাণ নিশ্চিত করা যেতে পারে?
কোন সরকারই আইন করে অসংগঠিত শ্রমিকদের/ গৃহপরিচারিকাদের জন্য কিছু করবে না। আইন হলেও মালিকরা মানবে না। শুধু প্রয়োজন মানুষের নৈতিকতা বোধ, মানবিক মুখ। সংখ্যায় কম হলেও এখনো রয়েছে। তবে বড়ই নগন্য ।
কোন সরকারই আইন করে অসংগঠিত শ্রমিকদের/ গৃহপরিচারিকাদের জন্য কিছু করবে না। আইন হলেও মালিকরা মানবে না। শুধু প্রয়োজন মানুষের নৈতিকতা বোধ, মানবিক মুখ। সংখ্যায় কম হলেও এখনো রয়েছে। তবে বড়ই নগন্য ।
কোন সরকারই আইন করে অসংগঠিত শ্রমিকদের/ গৃহপরিচারিকাদের জন্য কিছু করবে না। আইন হলেও মালিকরা মানবে না। শুধু প্রয়োজন মানুষের নৈতিকতা বোধ, মানবিক মুখ। সংখ্যায় কম হলেও এখনো রয়েছে। তবে বড়ই নগন্য ।
আসল সমস্যার মূল প্রায় সব রাষ্ট্রীয় সংস্থার বেসরকারী করণ নীতি র মধ্যে প্রথিত । বেসরকারী সংস্থাগুলো যখন তখন যেকোনো অজুহাতে কর্মী সঙ্কোচন করতে পারে । সেই সব কর্মীরাও তাদের কর্মীদের ছাঁটাই করতে বাধ্য হয় । জনগণের দ্বারা নির্বাচিত জনগণের জন্য সরকার আজ ব্যক্তি বিশেষের জন্য সব সরকারি সুযোগ-সুবিধা বরাদ্দ করেছে । এখনো যেটুকু সরকারি সংস্থা অবশিষ্ট আছে সেটা সরকার আর সরকারি কর্মচারী দায়িত্ব নিয়ে ধংস করার জন্য সচেষ্ট ।