এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • পারিবারিক মহিলা লোক আদালত - যেমন দেখছি

    প্রতিভা সরকার লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৫ নভেম্বর ২০১৭ | ৮৮৬ বার পঠিত
  • ওরা দুজনেই শিক্ষিত। ভদ্রলোক খাস কলকাতায় ব্যাঙ্কের অফিসার। আঠারোর জানুয়ারিতে রিটায়ার করবেন। দুই মেয়ে ওর দুদিকে। সুন্দরী স্ত্রী একটু তফাতে আর একটি চেয়ারে। ফর্সা টুকটুকে গাল একটুও লাল হলো না যখন বললেন, স্বামী দুই মেয়ের সাহায্য নিয়ে ওর ওপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালান। কিন্তু তাও উনি একসাথেই থাকতে চান। একা থাকতে ওর ভালো লাগে না।
    কারই বা লাগে!
    কিন্তু ফুঁসে উঠল দুই মেয়ে। একজন গ্রাজুয়েট, অন্য হাইয়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষার্থী।
    --মিথ্যে কথা। মা-ই বাবার ওপর অত্যাচার করে, মারে অব্দি। বড় হবার পর থেকে এইই দেখছি।
    অনেক আলোচনার পর আদালত জিজ্ঞাসা করল,
    ---তোমরা কি চাও?
    মেয়েরা সমস্বরে বলল, - এপ্রিল মাস অব্দি মা নিজের ফ্ল্যাটে থাকুক। পরীক্ষার পর যেন আসে।
    ভদ্রমহিলা তাতে বিচলিত হলেন না। ওর বেশি মাথাব্যথা স্বামীর প্রভিডেন্ট ফান্ডের নমিনি কে তাই নিয়ে। ওকে বোঝানো হল ফ্যামিলি পেনশন স্ত্রীকে বাদ দিয়ে হয় না।
    এবার ভদ্রলোক কাঁদতে কাঁদতে হাত জোড় করে বললেন, --আমার ফ্যামিলি পেনশনের জন্য যে জয়েন্ট ছবি দরকার সেটাই কি করে পাবো জানি না। আমার মায়ের টাকায় কেনা ফ্ল্যাট নিজের নামে করে নিয়েছে। তাতেও আপসোস নেই। কিন্তু অন্য পাওনাকড়ি আমার মেয়েদের। এতে আপনারা আপত্তি করবেন না।
    আমাদের সে এক্তিয়ারই নেই, একথা বলার পর মহিলা বললেন, -- ওর মা কি এমনি এমনি টাকা দিয়ে গেছে! দেখভাল করিনি তাকে?
    লোক আদালত তাকে আলাদা থাকতে বললো ছোট মেয়ের পরীক্ষা না হওয়া অব্দি। মাসে খরচ হিসেবে স্বামীটি যা দেবেন তার পরিমাণও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হল।
    এখনকার মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন ছোট পর্দার বড় ব্যক্তিত্ব। ঠাট্টা করে বললাম, ----আপনার সিরিয়ালের বিষয়বস্তু তো আপনি এখানেই পেয়ে যাচ্ছেন।
    সত্যিই টিভি সিরিয়ালের এক একটি কেস মহিলা কমিশনে দাখিল হওয়া এক একটি আবেদন। ব্যক্তি আর সমাজ জীবনের জলছবি। মেয়েরা মাথা নীচু করে আর সবকিছু মেনে নিচ্ছেন না। কিন্তু সংসারের কর্ত্রী হয়ে থাকবো এই বাসনা থেকে এখনো বেরোতে পারেননি। স্বামী নিজের বোনকে নিয়ে চলে গেছে, এগারো মাস বাদে ফিরে এসেছে, তবু স্ত্রী ছেলেকে নিয়ে আবার সংসারের পুনঃপ্রতিষ্ঠা চায়। ছেলে ডিপিএসেই পড়ুক চায়। টাকা দেবে কে, একথার উত্তরে একুশ বাইশের মেয়েটি জানায়, ----ওকে রাজারহাট নিউটাউনে সবাই চেনে। সিন্ডিকেট করে ও। এখানকার কাউন্সিলরের ঘর থেকে বেরিয়ে আমায় সেদিন বলছে, কত টাকা পেলে আমায় ছাড়বি ? কুড়ি লাখ, ত্রিশ লাখ ? আপনারা সিসিটিভি দেখুন। বলেছে কিনা। ও ইচ্ছে করলেই আমার ছেলেকে পড়াতে পারে।
    যাদের বয়স কম, তারাও স্বপ্রতিষ্ঠার কথা ভাবে না। বয়স্কারা তো একেবারেই না। বৃত্তিমূলক শিক্ষা নেই কারোরই, গ্রাজুয়েশন পর্যন্ত বেশিরভাগ। সবাই চান সংসার ফিরে পেতে, তা আমূল নষ্ট হয়ে গেছে একথা বুঝেও। লড়াকু মন বিরল। শিশুবেলা থেকে পরনির্ভরতা ছাড়া বাঙালি পরিবারে মেয়েদের আর কিইই বা শেখাই আমরা। ফলে সবাই চাইছেন ম্যাক্সিমাম খোরপোষ আদায় করতে। পুরুষেরা দিচ্ছেন বলে শাহেনশা মেজাজে থাকেন। একলাখির রেল কর্মচারি অবলীলায় বলতে পারেন, --কেন টাকা বাড়াবো? পরপুরুষের সাথে ঘোরার জন্য? উত্তরে মহিলা শান্তভাবেই জাজদের জানান, --ও কাজের মেয়েদেরও ছাড়ে না, জানেন।
    সম্পর্ক যখন এই তলানিতে, তখন সেটা বয়ে নিয়ে যাওয়ার কোন মানে নেই জেনেও এরা শেষ চেষ্টা করতেই থাকেন। সংসার না থাকলে মেয়েদের ভয়াবহ আত্মপরিচয়ের সংকট। শাহেনশাদের সে সংকট নেই। তারা সবাই আত্মপরিচয়ে বলীয়ান। বাইরের জগতে স্বচ্ছন্দ চলাফেরা। বৌ না থাকলেও সমাজজলে মীনের ন্যায় স্বচ্ছন্দ সাঁতারে কোন বাধা নেই। বরং সহানুভূতি আছে। আর আছে দাতার শ্লাঘা, গ্রহীতার প্রতি তাচ্ছিল্য। ফলে তারা চকচকে। বলিয়েকইয়ে। মেয়েদের প্রত্যেকের মুখ ক্লিষ্ট। সবচেয়ে নির্দয় যাকে মনে হয়েছে, যার কথায় এ লেখা শুরু, তারও মধ্যে মনোরোগীর ছাপ স্পষ্ট। কিন্তু কি আশ্চর্যকথা, টেবিলের এপার থেকে যখন সাইকিয়াট্রিস্ট দেখাবার কথা বলা হচ্ছে, দুপক্ষই হাঁ হাঁ করে উঠছেন। শুরু হয়ে যাচ্ছে তুই পাগল না মুই পাগলের গপ্পো।
    মেয়েদের বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার বা অভিযোগ নেবার জায়গা রাজ্য মহিলা কমিশন এইটুকু প্রায় সবাই জানি। কি তাদের এক্তিয়ার, কাজের পদ্ধতিই বা কি, লোক আদালতের সঙ্গেই বা গাঁটছড়া কোথায়, এসব খবর দায়ে না পড়লে কেউ রাখে না। ১৯৯২ সালে নারীমুক্তির জন্য লড়াকু বলে খ্যাত কিছু নামজাদা মহিলাকে নিয়ে তৈরি হয়েছিল এই কমিশন। এর এক্তিয়ারে আছে এদেশের সংবিধানে নারীর জন্য রক্ষিত সমস্ত অধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রটিকে কন্টকবর্জিত করা আর বঞ্চনাগুলির সঙ্গে লড়াই করা।
    এই যুদ্ধের একটি হাতিয়ার মহিলা পারিবারিক লোক আদালত। দীর্ঘসময়ের পলি চাপা পড়া ন্যায় তো আসলে ন্যায়ের পদবাচ্য নয়, তাই দ্রুত ফয়সালার জন্য কিছুদিন অন্তর অন্তর বসে এই আদালত, মূলত গার্হস্থহিংসার বিরুদ্ধতায়, বৈবাহিক সম্পর্কের জটিলতায় বা অন্য কোন পারিবারিক অশান্তির সমাধান কামনায়।
    মহিলা কমিশনের কথা বার বার খবরের কাগজে এলেও, লোক আদালত সম্বন্ধে আমরা খবর রাখি আরো কম। এই আদালতের ভিত্তিপ্রস্তর হচ্ছে ১৯৭৬ সালের সংবিধান সংশোধনের ফল আর্টিকেল ৩৯এ। রাষ্ট্র, হোক সে কেন্দ্র অথবা রাজ্য, ন্যায়বন্টনের ব্যবস্থাকে নিখুঁত করে তোলবার লক্ষ্যে ফ্রি আইনি পরিষেবা প্রকল্প চালু করবে যাতে সমতার ভিত্তিতে প্রত্যেক নাগরিক ন্যায়বিচার পাবার অধিকারী হতে পারে। এইজন্য আনা হলো লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটিজ এক্ট এবং প্রত্যেক রাজ্যে, জেলায় গঠন করা হলো লোক আদালত। সবচেয়ে কম সময়ে, কম ঝঞ্ঝাটে এবং নিখরচায় ন্যায়বিচার দেয় লোক আদালত। একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলাজজ, একজন আইনজ্ঞ এবং সমাজকর্মী নিয়ে গঠিত হয় একটি বেঞ্চ। বাইরের আইনজীবির সাহায্য ছাড়াই বাদী ও বিবাদীর সহমতের ভিত্তিতে যে কোন সমস্যা সমাধান করবে লোক আদালত এবং এর রায় দেশের আর কোথাও চ্যালেঞ্জড হবে না, এমন কি সুপ্রিম কোর্টেও নয়।
    তবে পারিবারিক মহিলা লোক আদালতে বৈবাহিক এবং পারিবারিক বিষয়গুলিরই ফয়সালা হয়। কমিশনের প্রশস্ত ঘরে শান্ত পরিবেশে বাদী বিবাদী দু পক্ষই মন খুলে বিচারকদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। কমিশনের চেয়ারপার্সন তো থাকেনই, অন্য সদস্যারাও উপস্থিত থাকতে পারেন। সবচেয়ে কম সময়ে বিচার পাবার সেরা জায়গা। কোন পক্ষের যদি কথা বলে মনে হয় এখানে ন্যায়বিচার পাবেন না, তাহলে তিনি কোর্টে কেস দাখিল করতে পারেন। বেশির ভাগই সে হ্যাপা পোহাতে চান না।
    প্রত্যেকটি পারিবারিক মহিলা লোক আদালতের পেছনে থাকে ন্যাশনাল উইমেনস কমিশন এবং স্টেট লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটি।
    পশ্চিমবঙ্গ উইমেনস কমিশনের একটি চমৎকার ইউজার-বান্ধব ওয়েবসাইট আছে। প্রি লিটিগেশন এন্ড কাউন্সেলিং সেল আছে। দক্ষ কাউন্সিলরকে বার বারই সরব হতে দেখলাম। সুয়ো মোটো তদন্ত করবার ক্ষমতা আছে। কর্মক্ষেত্রে সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের অভিযোগও জমা পড়ে। বিশাখা গাইডলাইন মেনে চলা হচ্ছে কিনা তাও কমিশন দেখতে পারে। কোন নির্যাতিতা প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করলে থানাকে নজর রাখবার নির্দেশ দিতে পারে।
    মহিলা কমিশন পারে অনেক কিছু। যা পারে না তা হলো ক্ষমতার সমীকরণ পাল্টাতে আর হৃদয় পরিবর্তন করতে। তিনটে কেসে দেখা গেল মায়ের বিরুদ্ধতা করলো মেয়েরা। হ্যাঁ, মেয়েরা। এই দম্পতিদের পুত্রসন্তান নেই। সে করতেই পারে, কিন্তু মায়েরাও এক কথাই আওড়ালেন, টাকা ছড়িয়ে বাবা আনুগত্য কিনেছে। কথাটা উড়িয়ে দেবার মতো নয়। ছোটরা ভালোমন্দের বিভিন্ন স্তরগুলো বুঝে ফেলার পরিপক্বতা নিয়ে জন্মায় না। তার জন্য দরকার শিক্ষা, মানসিক পরিণতি এবং জাগতিক অভিজ্ঞতা। শুধু একটা দামী মোবাইলের লোভে বড়দেরও সাময়িক আনুগত্য কেনা যায়।
    মেয়েদেরকে ঠকানো অতটা সহজ নেই আর দিনশেষে এইরকমই মনে হল। ছোট একটি মেয়ে, নেট পেয়েছিল, বিয়ের পর দেখলো স্বামীটি ড্রাগ এডিক্ট এবং মানসিক রোগী। তাকে চাকরিও করতে দেয়নি বড়লোক শ্বশুরবাড়ি। দু বছরের ব্যর্থ চেষ্টার পর সে ফিরে এসেছে। কোন মেইন্টেন্যান্স ছাড়া সে টিউশানি করে চালাচ্ছে। দু বার নোটিশ পেয়েও ও পক্ষ থেকে কেউ কমিশনে না আসায় সহমতের ভিত্তিতে মেটানো সম্ভব নয়। তাই সে এবার আলিপুরে লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির কাছে যাবে মামলা করতে।
    সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে সে জানে, হয়তো কোন কথায় মনে হয়ে থাকবে তার ভবিষ্যতের ভালো চাইছি, যাবার সময় একটা সুন্দর কৃতজ্ঞ হাসি উপহার দিয়ে গেল সে সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে। এই চোখে চোখ রাখাটা মেয়েদের আয়ত্বে এসেছে এতোদিনে, এই অনুভূতিটুকুই সেদিনের পারিবারিক লোক আদালতের সবচেয়ে বড় পাওনা।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৫ নভেম্বর ২০১৭ | ৮৮৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কান্তি | ***:*** | ১৫ নভেম্বর ২০১৭ ০৭:০৬82451
  • আগ্রহ নিয়ে পড়লাম। আরো লিখুন না।
  • তৃষা | ***:*** | ১৫ নভেম্বর ২০১৭ ০৯:২৬82452
  • স্বপ্রতিষ্ঠার কথাটা একদম যথাযথ বলেছেন । এখনো আমাদের মেয়েদের মধ্যে সেই অনুভুতিটা শিকড় পায়নি । খুব ভালো লেখা ।
  • asmitaa | ***:*** | ১৫ নভেম্বর ২০১৭ ১০:৪৪82456
  • স্বনির্ভর হয়েও লাভ হয় না সবসময়। আমার খুব চেনা এক পরিবার - মেয়েটি একলা রোজগার করে সংসার চালায় গত ১৫ বছর। ছেলেটি অতি উচ্চশিক্ষিত - কিন্তু কারো সঙ্গে মানিয়ে কাজ করতে পারে নি। আমার চাইতে ভাল কেউ নেই - এ যদি সর্বক্ষণের মানসিকতা হয় কোনো জায়গায় কাজ করা মুশকিল। নিজে ব্যবসা করতে গিয়ে অল্পকিছুদিনের মধ্যেই পার্টনারদের বিশ্বাস হারায় - আমি তোমাকে বিশ্বাস করে কিছু বলব না, অথচ তোমাকে আমার সঙ্গে থাকতে হবে এই ভাবনার কারণে। এখন সম্ভবত মাথায় গন্ডগোল দেখা দিয়েছে - সব সময় বক্তব্য সে নাকি এমন কিছু করছে যা এই পৃথিবীতে হয় নি। গায়ে হাত না তুলে যত ভাবে অত্যাচার করা যায় করে, মেয়েটি আলাদা হবার কথা বললে বলে এই তো কদিন বাদেই আমার ডীল হয়ে যাবে তারপরে। অথচ মেয়েটি ছেড়ে গেলে ওকে রাস্তায় বসতে হবে।
    মেয়েটি যে কেন এই সম্পর্কে পড়ে আছে আমার বোঝার বাইরে।
  • Mandi | ***:*** | ১৫ নভেম্বর ২০১৭ ১০:৫০82453
  • আমার ভাত্রবধূ গর্ব কোরে বলেন "আমি কেন কাজ কোরতে জাবো, আমার বাবার টাকা আ্ছে, আমার বর ভালো চাকরী করে।।।" ইদিকে পি এইচ ডি টি করেছেন সরকারী টাকায়। এরপরেও নিন্দুকেরা "লিকিঙ্গ পাইপ" বললে কি করে দোষ দিই!
  • Mandi | ***:*** | ১৫ নভেম্বর ২০১৭ ১১:০৪82454
  • এদিকে সন্তান পালনের ভার ফেলে রেখেছিলেন বাবা মার উপর।।।মানে পাঠাভ্যাসের সময় টিতে।।।।মানে সেদিকেও কোন মার্কস পাবেন না।।।এদের আপনারা কোন দলে ফেলবেন?
  • de | ***:*** | ১৫ নভেম্বর ২০১৭ ১১:০৪82455
  • স্ব এবং ওনলি স্বনির্ভরতাই উপায় - মেয়েরা যে কবে বুঝবে -

    যে সম্পর্ক মৃত, শুধুই অসম্মান উদ্রেককারী, তাকে ত্যাগ করতে না চেয়ে লেবু কচলানোর দরকার থাকবে না যদি মেয়েরা ঠিকভাবে স্বনির্ভর হতে শেখে!
  • Du | ***:*** | ১৬ নভেম্বর ২০১৭ ০১:১৯82457
  • কর্মক্ষেত্রে অসফল বলেই কোন মেয়েকে পুরুষেরা তো ছেড়ে যায় না ইউজুয়ালি।
  • Swati Ray | ***:*** | ১৬ নভেম্বর ২০১৭ ০৫:২০82458
  • ছোটরা ভালোমন্দের বিভিন্ন স্তরগুলো বুঝে ফেলার পরিপক্বতা নিয়ে জন্মায় না। তার জন্য দরকার শিক্ষা, মানসিক পরিণতি এবং জাগতিক অভিজ্ঞতা। - ছোট বড় সবার জন্যেই সত্যি। ... পারিবারিক আদালত সম্বন্ধে জানতামই না। জানা হল।
  • sm | ***:*** | ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ০১:৩৯82462
  • একজন শিক্ষিতা তরুণী চাকরি ছেড়ে বা না করে ,সংসার প্রতিপালন করতেই পারেন।সেটা তাঁর নিজস্ব চয়েস । গোলটা কোথায়?ছেলে মেয়ে মানুষ করাও একটা জব হিসাবে ভাবতে পারেন।চাকরি করছেন ,বস হয়েছেন এসব তো আল্টিমেট মোক্ষ নাও হতে পারে কারো কারোর।
    দুই,নারী তবেই উচ্চাসনে বসবেন-যেদিন মোটা বেতন পাওয়া কোনো নারী বা উচ্চ শিক্ষিত হওয়া সত্বেও বেকার বা কম শিক্ষিত কোনো তরুণ কে বিবাহ করবেন।
    নিরাপত্তার খাতিরে, বর ভালো চাকরি করবে,সমাজে বলে বেড়ানো মতন ডিগ্রি থাকবে অথচ প্রচলিত সমাজের উল্টো দিকে গিয়ে সাংসারিক ঝক্কি কাঁধে তুলে নেবে -এমন টা হওয়া দুষ্কর। কিছু দূর অবধি নাটক চলে;তারপর নয়।
  • শামীম আহমেদ লস্কর | ***:*** | ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ০২:০০82464
  • অনেক আশার আলো জ্বালালো লেখাটি। জানা গেলো অনেককিছু। এই হাতিয়ার কাজে লাগুক সবার। মুক্তি ও সাম্য আসবেই, এই বিষয়ে আশাবাদী।
  • শামীম আহমেদ লস্কর | ***:*** | ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ০২:০০82463
  • অনেক আশার আলো জ্বালালো লেখাটি। জানা গেলো অনেককিছু। এই হাতিয়ার কাজে লাগুক সবার। মুক্তি ও সাম্য আসবেই, এই বিষয়ে আশাবাদী।
  • পৃথা | ***:*** | ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:১৯82465
  • মেয়েরা স্বনির্ভর হতে চায় ও না। বিয়েটাকে shortcut সুখের বন্দোবস্ত বলে ভাবে।সেরকম ই শেখানো হয়। ভয় দেখানো হয়। চাকরি থাকলেও তাকে কে দেখবে। নিরাপত্তা র ভয়। তাই বহু মেয়ে চাকরি করার কথা ভাবে না পর্যন্ত। খুব বুদ্ধিমান লেখাপড়া য় বেশ ভালো এরাই একটু অন্য রকম।মধ্যম মেধাবী মেয়েরা ও যে পরিশ্রম করলে একটা ব‍্যবস্থা করে ফেলতে পারবে এই ভরসা তাকে কখনও দেওয়া হয় না।বিয়ে ভালো হল তো হল, নচেৎ এইসব উপরোক্ত ঘটনা।
  • পৃথা | ***:*** | ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:১৯82466
  • মেয়েরা স্বনির্ভর হতে চায় ও না। বিয়েটাকে shortcut সুখের বন্দোবস্ত বলে ভাবে।সেরকম ই শেখানো হয়। ভয় দেখানো হয়। চাকরি থাকলেও তাকে কে দেখবে। নিরাপত্তা র ভয়। তাই বহু মেয়ে চাকরি করার কথা ভাবে না পর্যন্ত। খুব বুদ্ধিমান লেখাপড়া য় বেশ ভালো এরাই একটু অন্য রকম।মধ্যম মেধাবী মেয়েরা ও যে পরিশ্রম করলে একটা ব‍্যবস্থা করে ফেলতে পারবে এই ভরসা তাকে কখনও দেওয়া হয় না।বিয়ে ভালো হল তো হল, নচেৎ এইসব উপরোক্ত ঘটনা।
  • Mandi | ***:*** | ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ০৭:০৩82467
  • পৃথা ঠিক ই বলে্ছেন।।।বহু মেয়েরাই নিজের পায়ে ভর কোরতে চান না।।।কারন তাদের মানসিকতাই এই রোকোম যে তাদের তো রোজগার এর দোরোকার নেই।।।বর ই তো আছে।আর এসেম এর মতে ধরতে গেলে চয়েস টা বোধহয় তখন চলে যখন টাকা যোগান টা অন্যে করে, নাহোলে নয়। যে মেয়েটি পরের কাছে দাসীবৃত্তি করে তার চয়েস থাকে কি? চয়েস থাকে তার মালকিন টির, তাই না? আর কজন ছেলেরা বিয়ের আগে বোলতে পারে " আমি কি্ছুতেই কাজ কোরোবো না, কারন আমার বৌ কাজ কোরুক"? পারে না, কারন সামাজিক নির্র্মাণ তাদের ই রোজগার করার দায় দিয়ে থাকে
  • স্বাতী | ***:*** | ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ১১:৫৪82459
  • সত্যি সিরিয়ালের পৃথিবী। সংসার ও স্বামী-নির্ভরতাটা কেন, এটা কতটা শ্রেণী নির্ভর (বা আদৌ কি না), সেটাও জানতে চাই।
  • জারিফা | ***:*** | ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ১২:৩০82460
  • চেনা অনেক মানুষের কথা মনে এল, পড়তে পড়তে। আগে জেনারেশনের দোহাই দিয়ে ভাবতাম যে দিদা-ঠাকুমা'র আমলে সামাজিক চিন্তাভাবনা এত বেশি পুরুষতান্ত্রিক ছিল বলে হয়ত শিক্ষিত হয়েও বহু পরিবারে মেয়েদের স্বাবলম্বী হওয়াটা যে প্রয়োজনীয়তা, সেটা মগজে গেঁথে বসেনি কিন্তু এখনও যখন শিক্ষিত হয়েও বহু মেয়েই "বাবার আছে, আমি তো কিছুদিন চাকরি করব" টাইপ কথা বুক ফুলিয়ে বলে, তখন রাগ নয় - হতাশ লাগে আসলে।

    পারিবারিক আদালত নিয়ে কিছুই জানা ছিল না। প্রতিভা দি, আরও লেখ না, জানতে পারি তাহলে।
  • | ***:*** | ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ১২:৪৮82461
  • মানসিকতায় স্বনির্ভর না হলে আর্থিক স্বনির্ভরতা খুব বেশীদূর এগিয়ে দিতে পারে না সে বারেবারেই দেখি। তবু ঐ কেউ কেউ চোখে চোখ রাখতে পারছেন .... বড্ড বড্ডই আস্তে এগোন, যতটুকুও এগোন তারথেকেও মাঝেমধ্যেই হু হু করে পিছিয়েও যায় ....
  • রত্না রশীদ ব্যনার্জী | ***:*** | ১৮ নভেম্বর ২০১৭ ০৬:১২82468
  • দারুন। বাস্তবভিত্তিক জোরালো কলম। শুভেচ্ছা অনেক।
  • Ishani | ***:*** | ১৮ নভেম্বর ২০১৭ ০৭:২৫82469
  • এই বিষয়ে আমি বেশিরভাগ লোকের থেকে ভিন্ন মত্ পোষণ করি। বিয়ে kintu একটা কন্ট্রাক্ট । Dekhte হবে এতে Bor কি পাচ্ছে আর কনে কি পাচ্ছে। বর এই গ্যারান্টি pachhe যে তার সন্তান মেয়েটি বহন এবং palon করবে। Anno কারো নয়। মেয়েটি গ্যারান্টি পাচ্ছে যে তার এবং তার santan এর ভরণ পোষণ এই lokti korbe। Ajibon। Apnara বলতে পারেন santan তো মেয়ের ও । তাহলে ও কোনো monetary contributions করবে না? এর উত্তর হলো এই যে bharan পোষণ এর binimayei meyeti তার abadh partner choose karar swadhinata ট্রেড korechhe। সে অন্য karur santan ধারণ korchhe না। That's টি original ডিল: bharan poshan এর against এ ekanisthata।

    এখন chhele meye বড় habar পর মা কে chole যেতে bolle সে যাবে কোনো? তার ডিল সারা jiboner। Paranirbhar habar prosno নেই। Bharan পোষণ তার বেসিক রাইট। সে chharbe কেন?
  • pi | ***:*** | ১৯ নভেম্বর ২০১৭ ০২:২৬82470
  • এই ডিলটা কোথায় হয় ?
  • aranya | ***:*** | ১৯ নভেম্বর ২০১৭ ০২:৩৮82471
  • হুম, জাতি জানতে চায়, এই সন্তান ধারণের ডিলটা ঠিক কোথায় লেখা আছে - ম্যারেজ রেজিস্ট্রি সংক্রান্ত আইনে?

    একনিষ্ঠতা-র ব্যাপারটাও (শুধু স্ত্রীর ক্ষেত্রেই নয়, স্বামীর ক্ষেত্রেও) ইম্প্লায়েড, কোন কন্ট্রাক্টে থাকে কি? অ্যাডাল্টারি তো অনেকই হয়
  • শিবাংশু | ***:*** | ১৯ নভেম্বর ২০১৭ ০৮:১১82472
  • রচনাটি সংক্ষিপ্ত, কিন্তু অনেক প্রয়োজনীয় প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাচ্ছে আমাদের। মেয়েদের স্বনির্ভর হওয়ার কোনও বিকল্প নেই। অনেক কিছু নিয়েই দরাদরি (ডিল) চলতে পারে, কিন্তু মেয়েদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের সঙ্গে সেটা চলতে পারেনা। আমরা নিত্য দেখি 'বিবাহ' নামক প্যাকেজে বহু মেয়েই হয়তো স্বচ্ছন্দ বোধ করে। কিন্তু আজকের সমাজজীবনে তা মধ্যযুগের মতো শুধুমাত্র ভাতকাপড়ের 'চুক্তি' হয়ে থাকতে পারেনা। অর্থ উপার্জন একজন করুক বা উভয়েই, অধিকার ও দায়িত্বের সমবন্টনটিই বিবাহের 'ডিল'। ঘড়ির কাঁটা বলপ্রয়োগ করে পিছনে ঠেলা যায়না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন