এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  পড়াবই  কাঁটাতার

  • ৫০ বছরে বাংলাদেশ যা পারে, ভারত পাকিস্তান এবং পশ্চিমবঙ্গ ৭৫ বছরে তা কেন পারে না?

    ইমানুল হক
    পড়াবই | কাঁটাতার | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১৯৫৮৫ বার পঠিত | রেটিং ৪.৩ (৯ জন)
  • ১৯৪৭ উত্তর ভারতবর্ষ জন্ম দিয়েছিল নতুন কিছু শব্দবন্ধের। এই প্রবীণরা কখনও স্বাধীনতা বলেননি, বলেছেন পার্টিশন, তৃতীয় বিশ্বের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে যে শব্দ ভারতের অবদান। পার্টিশনের হাত ধরে এসেছে উদ্বাস্তু। রিফিউজি কলোনি। তারও পরে এসেছে অনুপ্রবেশ। বসেছে কাঁটাতার। এসেছে এনআরসি, নতুন নাগরিকত্ব আইন। শুরু হয়েছে "বৈধ-অবৈধ" বিচার। শোনা যাচ্ছে, নতুন শব্দবন্ধ, "অবৈধ অনুপ্রবেশ"। যাঁরা বিচার করছেন, তাঁদের বিচার কে করে। এসব শব্দের, আখ্যানের জন্ম হচ্ছে প্রতিনিয়ত। দেশভাগের এই আদি পাপ, মুছে দেবার আপ্রাণ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, এভাবেই থেকে গেছে বেদনায়, ভাষায়, আখ্যানে। থেকে গেছে, এবং এখনও যাচ্ছে। সেই আখ্যানসমূহের সামান্য কিছু অংশ, থাকল পড়াবই এর 'কাঁটাতার্' বিভাগের দ্বিতীয় সংখ্যায়।


    লেখা।

    দু অক্ষরের শব্দ।
    কিন্তু ব্যাপ্তি বিশাল।
    লেখার কোনো মূল্য নেই যদি না তাতে দর্শন থাকে। দর্শন মানে ভিন্ন চোখে দেখা ও একটি জীবন দর্শন। যে জীবন দর্শন না দেখাকে দেখতে বলে, অথবা দেখাকে ভিন্ন চোখে দেখতে শেখায়।

    অমল সরকার পেশায় সাংবাদিক, নেশায় জীবনপড়ুয়া।
    তিন দশকের বেশি সাংবাদিক জীবন। রাজনীতি অর্থনীতি সমাজের গভীরে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। ভারতের দুই তৃতীয়াংশ রাজ্য নির্বাচন ইত্যাদি কাজে গেছেন। গেছেন একাধিকবার বাংলাদেশ। পাকিস্তানে যান নি। কিন্তু পাকিস্তান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন মনস্ক ভাবে।

    অমল সরকার একটা বই লিখেছেন, আমার দেশ আমার দ্যাশ
    দেশভাগ ও পরবর্তী কুফল সুফল-- দুই আছে তাঁর আলোচনায়। ভারত পাকিস্তান বাংলাদেশ এবং অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গ আছে তার আলোচনায়।

    স্বাধীনতার পরও পশ্চিমবঙ্গ শিল্প, শিক্ষা  ও কর্মসংস্থানে অন্য অনেক রাজ্যের চেয়ে এগিয়েছিল। পিছিয়ে পড়ল। কেন? মূলত, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি। যে সরকারই দিল্লিতে এসেছে, কংগ্রেস, জনতা বা বিজেপি-- কেউই পশ্চিমবঙ্গের ভালো চায় নি। মাশুল সমীকরণ নীতি, লাইসেন্স দিতে গড়িমসি, প্রাপ্য টাকা না দেওয়া, ভারি শিল্প দুর্গাপুর ছাড়া আর কোথাও সেভাবে না গড়া, পশ্চিমবঙ্গের কয়লা দূরে গেলে সস্তা হবে, আর তুলো দূর থেকে পশ্চিমবঙ্গে আনলে দামি হবে-- এইসব কারণে পশ্চিমবঙ্গ মার খেয়েছে। এটা শুধু শ্রমিক অসন্তোষ বা বাম আন্দোলনের দায় নয়। শুধু ৩৪ বছরকে দোষ দেওয়া ঠিকনয়,মনে করেন লেখক।

    আর রাজ্যের যে-সব নেতারা কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী হয়েছেন তাঁদের মধ্যে গণি খান চৌধুরী, অজিত পাঁজা ও  মমতা  বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া রাজ্যের জন্য কেউ তেমন কাজ করেন নি। এবং আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  ছাড়া বাকি দলের বড় নেতারা সর্বভারতীয় হতে চেয়ে গায়ে যাতে বাঙালি ও প্রাদেশিক ছাপ না লাগে তার দিকে নজর  রাখতে গিয়ে বাংলার ক্ষতি করেছেন। ১৯৭৭-১৯৮৬ বামফ্রন্ট বিশেষত, অশোক মিত্র বাংলার তপথা রাজ্যের অধিকারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। তিনি সরকার ছাড়লেন।পরে কম্ল। ১৮৮৪-এ ন্তুন শিল্পনীতি। নতুন ভাবনা।

    অশোক মিত্র পশ্চিমবঙ্গকে বঞ্চনার জন্য যাঁর বিরুদ্ধে সবচেয়ে সরব  ছিলেন, সেই প্রণব মুখার্জি রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। কিন্তু তিনিই তো আটকে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের টাকা, প্রক্রিয়া। গুজরাট ও রিলায়েন্সের স্বার্থে হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসের লাইসেন্স প্রাপ্তি ২০ বছর আটকে রেখেছিল কে এবং কারা? কটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন রাজ্যের প্রভাবশালী কংগ্রেস বা বিজেপি নেতারা-- নিজের এলাকায়। পশ্চিমবঙ্গের একটা নেতিবাচক প্রবণতা হল, প্রাকৃতিক বিপর্যয় অন্য রাজ্যে সব দল কেন্দ্রীয় সহযোগিতা চেয়ে দিল্লিতে দরবার করে। এ-রাজ্যে সরকারি দলকে বিপদে ফেলতে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে থাকা দল সবসময়ই বিরোধিতা করে। বলে, টাকা দিও না।

    রণজিৎ রায়ের পর সাংবাদিক  অমল সরকার বই লিখে চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছেন, কীভাবে বাংলা বঞ্চিত। অশোক মিত্র, তপন মিত্র, অশোক দাশগুপ্তরাও বাংলার বঞ্চনা নিয়ে লিখেছেন। অমল সরকার একটা আস্ত বই লিখে ফেলেছেন বাংলার বঞ্চনা নিয়ে।

    তিনি দেখিয়েছেন, ১৯৭৭ এর অবস্থা থেকে বামফ্রন্ট সরকার অনেকটা এগিয়েছিল রাজ্যকে। কিন্তু অসীম দাশগুপ্তের ঘাটতি শূন্য বাজেট নীতি, দিল্লিতে বছর বছর টাকা ফেরৎ যাওয়া, এই খাতের টাকা ওই খাতে খরচ করা, বেতন পেনশন ও ঋণশোধে  সিংহভাগ ব্যয়, কেন্দ্র থেকে প্রাপ্য ঠিক মতো ও সময়ে না পাওয়া, ভোটের ভয়ে কর না বসানো, বিক্রয়কর আদায়ে ঢিলেঢালা ভাব, কেন্দ্রীয় বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ কম আসা, সর্বোপরি স্থিতবস্থার রাজনীতি -- রাজ্যের উন্নয়নের বাধা।  ২০১৩ তে একটা আন্তর্জাতিক সমীক্ষা হয়, তাতে ৮১টি বিষয়ে তুলনামূলক বিচার করে ভারতের ৩৪ টি রাজ্যের একটা পর্যায়ক্রম করা হয়। তাতে পশ্চিমবঙ্গের স্থান দাঁড়ায় ২১।

    ২০১১ তেও তাই ছিল। তবে ২০২০তে অনেক  এগিয়েছে রাজ্য। লেখক জানাচ্ছেন, 'ইন্ডিয়া টুডে'-র সমীক্ষা অনুযায়ী বেস্ট পারফরমিং স্টেটের বিচারে পশ্চিমবঙ্গের স্থান এখন ১০। এবং বেস্ট ইমপ্রুভড স্টেটের বিচারে চতুর্থ। 

    বইটিতে অজস্র তথ্য, পরিসংখ্যান আছে। আগ্রহী পাঠক দেখতে পারেন। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং পশ্চিমবঙ্গের সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক মানদণ্ডের বিচিত্র পরিসংখ্যান মিলবে  বইয়ে।

    লেখক লিখেছেন: বর্তমানকে জানতে, বুঝতে সুদূর এবং নিকট দুই অতীতকেই জানা জরুরি। সেই জানতে ও জানাতে লিখেছেন আটটি লেখা। এক জাতি, দুই দেশ, ধর্মনিরপেক্ষতা-স্বাধিকার-সাম্য এবং বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু ও রক্তাক্ত বাংলা, অনুপ্রবেশ-তোষণ-এনআরসি-সিএএ এবং বিভাজনের রাজনীতি, বাংলা-বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ, সোনার বাংলা ও এক বাবা ও মেয়ের কাহিনি, সোনার বাংলা সোনার পাথরবাটি, বাংলাদেশ: আমরা যা শিখতে পারি ।

    অমল সরকারের পূর্বপুরুষ পূর্ব বঙ্গের মানুষ। দেশভাগের আগেই চলে আসা। এই ধরনের পরিবারের সদস্যদের লেখায় অনেক সময় নস্টালজিয়া বা হা-হুতাশ বড় হয়ে দেখা দেয়। ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে।

    কিন্তু অমল সরকার এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমের ব্যতিক্রমী।

    দেশভাগের পর পশ্চিমবঙ্গ ৭৫ বছর পার করল। আর বাংলাদেশ দুটো দেশভাগ দেখেছে। দ্বিতীয় দফায় তারা সম্পূর্ণ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। নতুন রাষ্ট্র। সমস্যা লাখ লাখ। কারখানা নেই তেমন। ভারি শিল্প নেই। বিপুল খনিজসম্পদ নেই। সোনার ভাণ্ডার নেই। বিদেশি মুদ্রা আসে দান হিসেবে। সেই দেশ  বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন, আত্মত্যাগ ও তাঁর কন্যার শাসনকালে এবং সবচেয়ে বড় সম্পদ মানবসম্পদ নিয়ে কীভাবে এশিয়ার সবচেয়ে বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি হারের দেশ হয়ে উঠল -- এটা দেখিয়েছেন অমল সরকার।

    দু পাড়েই বাংলা ও বাঙালি।
    বাংলাদেশ পারল পশ্চিমবঙ্গ  কেন পারল না?
    জানতে বুঝতে পড়তে হবে 'আমার দেশ আমার দ্যাশ'।

    ভারতের উন্নতি কেন থেমে গেল? পাকিস্তানে কেন মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্ম হল না, আর মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ না ঘটলে বাজার ও শিল্পের বিকাশ ঘটে না।
    অর্থনৈতিক উন্নয়ন অসম্ভব। দেখিয়েছেন অমল সরকার।
    বাংলাদেশ যে যে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তানে। বঞ্চনা, অবকাঠামো, অনুন্নয়ন, বিমাতৃসুলভ মনোভাব-- সবকটির শিকার ভারতে পশ্চিমবঙ্গ।
    তাহলে পূর্ব পাকিস্তান  কেন পূর্ব বঙ্গ থেকে বাংলাদেশ হতে পারল?
    কারণ তাঁরা মেনে নেয় নি, এবং মনে নেয় নি।

    পশ্চিমবঙ্গের নেতাদের বড় অংশ দিল্লির কাছে সর্বভারতীয় হয়ে ওঠার দায় দেখাতে হয়েছে। ফলে বিধানচন্দ্র রায় থেকে জ্যোতি বসু বঞ্চনার কথা বলেও চুপ করে আপোস করতে হয়েছে।

    মুজিবুর রহমান 'বঙ্গবন্ধু' হয়ে ওঠার আগেই ছয় দফা দাবি তোলেন। তোলেন পূর্ববঙ্গের নিজস্ব মুদ্রা, মুদ্রাভাণ্ডার ও  নিজস্ব রিজার্ভ ব্যাংকের কথা। কেন্দ্রীয় সরকারের কেন অর্থমন্ত্রী থাকবে? এগুলো তো থাকবে প্রাদেশিক সরকারের হাতে। সোভিয়েত ইউনিয়নে তো তাই হয়েছে। তাই উন্নতি করতে পেরেছে। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন মুজিবুর রহমান। অমল সরকার মুজিবুর রহমানের সংসদ ভাষণ, ছয় দফার দাবি অনুপুঙ্খভাবে তুলে এনে দেখিয়েছেন পূর্ব বঙ্গ কীভাবে বঞ্চিত।

    'আমার দেশ আমার দ্যাশ' বইয়ের পৃষ্ঠা সংখ্যা ২৭২।
    লেখা মাত্র  আটটি। কিন্তু প্রতিটি লেখায় অজস্র উপপ্রসঙ্গ, স্মৃতিচারণ, অভিজ্ঞতা, পাঠ, মত বিনিময়, রাজনৈতিক বিশ্লেষণ, সমাজদর্শন, ভিন্নতর বীক্ষা ও দিশার বিপুল হদিস মিলবে। এই বইয়ের সব লেখার সঙ্গে আপনি একমত নাও হতে পারেন, বিশেষ করে, আপনার নিজের মত তৈরি থাকলে তো বটেই, কিন্তু বইটি পাঠ শেষ করে আপনাকে ভাবতে হবে-- আগের ভাবনায় কতটা দাঁড়িয়ে থাকতে পারবেন। বা পারা উচিত নাকি আরেকবার পড়তে শুরু করবেন তর্ক করবেন বা তুলবেন বলে। এ বই তর্ক তোলার, তর্ক থামানোর নয়।

    বইটির উৎসর্গ পত্রে নাম আছে রণজিৎ রায়, দেবাশিস ভট্টাচার্য, পরিমল সরকারের।

    রণজিৎ রায় অতীতের নামী সাংবাদিক। পশ্চিমবাংলা কীভাবে বঞ্চিত হচ্ছে দিল্লির মসনদীদের হাতে, ধ্বংসের পথে বাংলা, বলে জানিয়েছিলেন তিনি। মাশুল সমীকরণ নীতি, লাইসেন্স রাজ, পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেশি টাকা নিয়ে গিয়ে কম টাকা ফেরৎ দেওয়া, বিমাতাসুলভ আচরণ-- অনুপুঙ্খভাবে দেখিয়ে দিয়েছিলেন রণজিৎ রায়। বাঙালি তাঁকে মনে রাখে নি। একদিন দিল্লির বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছিলেন। আর কোনো খবর পাওয়া পায় নি। তিনি স্মৃতিভ্রষ্ট না বাঙালি-- প্রশ্ন ওঠে। রণজিৎ রায়ের উত্তরসূরী হিসেবে কাজ করেছেন অনেকটাই অমল সরকার। যদিও আরো অনেক তথ্য দরকার। আরো বিস্তারিত আলোচনা। এই বিষয়ে আরেকটি পৃথক বই লেখার দাবি রইল।

    সাংবাদিকতার বিশ্বকোষ দেবাশিস ভট্টাচার্য। অমল সরকার এবং দুজনেই তাঁর সহকর্মী ছিলাম। তখন এবং পরে বহু বিষয়ে তিনি দিক নির্দেশনা দেন। এই বইয়ে দেবাশিস ভট্টাচার্যের সহকর্মের ও সহমর্মের পরিচয় কিছুটা মিলবে।।

    বইয়ের প্রথম লেখা শুরু স্মৃতিচারণ দিয়ে। উদ্বাস্তু কলোনির অভিজ্ঞতা। কিন্তু এখানে চোরা মুসলিম বিদ্বেষ নেই। দেশভাগ নিয়ে বহু লেখাতেই যা অনিবার্য বিষয়।
    ভালভভরা রেডিও ছিল কলোনির প্রধান আকর্ষণ। পাকা বাড়ি বলতে স্কুল। সালমান রুশদির  'স্যাটানিক ভার্সেস' এবং 'হ্যারি পটার'-এর প্রকাশক রিচার্ড চারকিন ঢাকা ক্লাবে এক সকালের প্রাতরাশে বলেছিলেন, উদ্বাস্তু কোনো দেশের বিপদ নয়, দেশের সম্পদ।
    তাঁরা নতুন বসতির উন্নয়ন ও দেশের অগ্রগতিতে যথেষ্ট সহায়তা করেন।
    ইউরোপ থেকে শুরু করে সব দেশের ক্ষেত্রেই এটা সত্য।
    আমাদের বাংলায় শিক্ষা সংস্কৃতির বিকাশে উদ্বাস্তু পরিবারের সদস্যদের ভূমিকা অপরিসীম।
    যেকোনো কলোনি এলাকা দেখবেন, বিদ্যালয় পাবেন একাধিক। নাটক খেলার সংস্থাও চলে জোর কদমে।
    এবং এঁরা এটা করে থাকেন মানসিক শক্তির জোরে।

    নিজের মায়ের উদাহরণ দিয়েছেন লেখক। আজকের দিনে 'সমাদৃত' কেন্দ্রীয় বাহিনী পুলিশের সহযোগিতায় নকশাল আন্দোলনের সময় ঘর থেকে যুবকদের রাতে তুলে নিয়ে যেত। এঁরা অনেকেই ফিরতেন না।
    মেজদার খাতায় লেখা ছিল কেমিস্ট্রির ফর্মুলা, তাকে বোমা বানানোর ফর্মুলা ধরে তরুণ সুবিমল সরকারকে ধরে নিয়ে যাবে উল্লসিত বাহিনী। শিকার পাওয়া গেছে।
    মায়ের অসাধারণ সাহস আর জেদের কাছে হার মানতে হয়।

    এই উদ্বাস্তু কলোনির কাছে মুক্তিযুদ্ধ এক নতুন বার্তা নিয়ে আসে। ঘরে ঘরে উচ্চারিত হয় মুজিবুর রহমানের নাম।
    তারপর বাংলাদেশ ও ভারতে পরিবর্তন এল। মুজিবুর রহমান নিহত হলেন।
    ইন্দিরা গান্ধী পরাজিত হলেন ভারতে।
    কলেজ বা বিভিন্ন বাড়ির দেওয়ালগুলো উঠল রাজনীতি ও অর্থনীতির বুলেটিন। দেওয়াল লিখন তখন নিছক ভোট দিন আর সম্মেলন সমাবেশের বিজ্ঞপ্তিতে পরিণত হয় নি‌।

    কেন্দ্র রাজ্যের পুনর্বিন্যাসের দাবিতে রাজ্যে গড়ে উঠল আন্দোলন। জ্যোতি বসু  প্রমোদ দাশগুপ্ত অশোক মিত্র তাকে অন্য ভাষা দিলেন। জ্যোতি বসু বললেন, খানিকটা যেন মুজিবের স্বরেই, কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে টাকা ছাপানোর মেশিন আছে। ওদের যখন ইচ্ছে টাকা ছাপিয়ে নেয়। রাজ্য সরকারকে ভাগ দেয় না। আর রাজ্য সরকারের হাতে টাকা ছাপানোর মেশিনও নেই।'
    স্বর আরেকটু উঁচু পর্দায় যেতে পারত। গেলে দেশের মঙ্গল হতো। গেল না। কারণ সর্বভারতীয় হতে চাওয়ার দায়।

    অমল সরকার লিখেছেন: কংগ্রেস, বিজেপি যখন যে দল ক্ষমতায় থেকেছে, রাজ্যগুলিকে শোষণ করেছে। রাজ্যগুলিকে একদিকে রাজস্বের ভাগ কমিয়ে দিয়ে বাজার থেকে ঋণ নেওয়ার সীমা স্থির করে দেওয়ার পাশাপাশি নানা শর্ত চাপিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার যে হাজার হাজার কোটি টাকা ( এখন লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা; গত সাত বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের ঋণ বেড়েছে ৪৯ লাখ কোটি থেকে বেড়ে এক কোটি দুই লাখ  কোটি টাকা)  ঋণ নিচ্ছে তা নিয়ে জবাবদিহির বালাই নেই।

    রেডিওর সামনে সত্তর দশকে মুজিবুর রহমানের কথা শুনে লেখকের মনে পড়েছে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর বীরত্বের কথা। 
    সাংবাদিকতা করতে এসে আরো বেশি করে চেনেন বাংলাদেশকে, এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে এ-দেশের মানুষের অজ্ঞতা ও নির্দিষ্ট ধারণা কে।
    যে ধারণা আসলে অনুকম্পা এবং বিদ্বেষজাত । তার বাইরে যে বাংলাদেশ, আসল বাংলাদেশ-- তাকে ছুঁতে পারেন এক বাংলাদেশি সাংবাদিকের কথায়:
    'আপনি ক্যাবল ইসসা লন।' আপনি কেবল ইচ্ছা করুন। থাকা খাওয়া ফ্রি।  অতিথি হয়ে থাকবেন।

    বাংলাদেশের পাশাপাশি এসেছে এই বাংলার কথা।
    সত্তর দশকে বামফ্রন্টের নেতৃত্বে মাতৃভাষায় শিক্ষাদান আন্দোলন নয়ের দশকের শেষে উল্টোপথে হাঁটতে থাকে। প্রতিক্রিয়ায় জন্ম নেয় 'ভাষা ও চেতনা সমিতি'। অশোক মিত্রসহ বহু প্রতিষ্ঠিত বামপন্থী বুদ্ধিজীবী বামফ্রন্ট সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই সরব হলেন। বাংলা ভাষা আন্দোলন গড়ে উঠল। সারাদিন নববর্ষ উৎসব, সারা বাংলা ভাষা উৎসব পালন শুরু হল। এরপর সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে 'ভাষা শহিদ স্মারক সমিতি' ও অশোক দাশগুপ্তের নেতৃত্বে 'নবজাগরণ'। কলকাতায় হল বাংলায় নামফলক লেখা অভিযান।

    এর আগেই নয়ের দশকের শুরুতেই পশ্চিমবঙ্গ দেখেছে অযোধ্যায় বাঙালি করসেবক, ইটপূজা। আর লেখক তখনকার অতি শক্তিশালী বিশ্বহিন্দু পরিষদ নেতা অশোক সিঙ্ঘলের মুখে শুনেছেন ভিন্নকথা: আমি তো শুনেছি বাঙালিরা ভগবানে বিশ্বাসী নয়। বাংলা দেখেছে রামনারায়ণ রাম থেকে বাম, রাম সত্য হ্যায়, শুনেছে জয় শ্রীরাম।

    এর পটভূমি যে তৈরি ছিলি তার একাধিক উদাহরণ দিয়েছেন লেখক।
    মুসলিম বৃদ্ধসহ মুসলিমরা  ভোট দিচ্ছেন ১৯৯৮-এ দমদম কেন্দ্রে পদ্মের পক্ষে, আসলে সিপিএমের বিরুদ্ধে-- বাবরি মসজিদ ওখানে ভেঙেছে এখানে তো মসজিদ ভাঙেনি।

    দ্বিতীয় উদাহরণ ট্রেনের। ১৯৯৪-এর।
    নৈহাটি লোকালে দুই তরুণীকে বিরক্ত করছে কিছু অবাঙালি তরুণ। যাত্রীদের কারো কারো প্রতিক্রিয়া: এদের ঘাড় ধরে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত'। কথাকাটাকাটি। গণধোলাইয়ের জোগাড়। তখন তরুণরা বলে উঠল, 'আপলোগ কেয়া সোচতে হ্যায়, হামভি হিন্দু হ্যায়'।
    'বদলে গেল পরিবেশ। ছেড়ে দিন ছেড়ে দিন। এসব বয়সকালের অসুখ।' একটু আগেই তরুণদের মুসলিম ভেবে পাকিস্তান পাঠিয়ে দিতে চাওয়া লোকের গলায় ভিন্ন সুর।

    মনোজগৎ বদলেছে আগে। তারপর রাজনীতির দুনিয়া। উপলব্ধি লেখকের। লেখক আক্ষেপ করেছেন:
    লোকসভা উপনির্বাচনে অন্ধ্র থেকে প্রার্থী হলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের নেতা নরসিংহ রাও। অন্ধ্রপ্রদেশে তখন কংগ্রেস বিরোধী এন টি রামা রাও। তিনি বললেন, নরসিংহ রাও তেলেগু জনতার গরিব। আমরা প্রার্থী দেব না। জিতলেন নরসিংহ রাও।
    আর জ্যোতি বসুকে যখন বিজেপি বাদে কংগ্রেসসহ সব বিরোধী দল সাধাসাধি করছে বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ সিপিএম নেতা কেন্দ্রীয় কমিটিতে জ্যোতি বসুকে প্রধানমন্ত্রী হতে না দিতে ভোট দিলেন।

    বিজেপির সদর দপ্তরে সেদিন উল্লাস দেখেছিলেন বহু সাংবাদিক।
    বিজেপির সেই প্রথম কেন্দ্রীয় সরকার গড়া। আজ তাঁরা দেশের প্রধান নিয়ন্ত্রক শক্তি।

    ##

    ভারতের বাংলা ও বাঙালির পিছিয়ে পড়া লেখকের আক্ষেপ ও যন্ত্রণার বিষয়। কলকাতায় বাঙালি সংখ্যালঘু হতে দেখেছেন তিনি, রামমোহন রায়ের গ্রামে দেখেছেন তপশিলি জাতির জন্য শ্মশান আলাদা। 
    লক্ষ্য করেছেন, করাচ্ছেন, ১৯৯১ থেকে ২০০১ থেকে বাংলায় হিন্দু মুসলমান দুই সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উপাসনালয়, শনি মন্দির থেকে নানা মন্দির ও মসজিদ দ্বিগুণ বেড়েছে।

    আর এখন তো হনুমান মন্দির ক্রমবর্ধমান।
    বর্ধমান গির্জা ও মসজিদও।

    #

    লেখক ভারতের বাঙালি ও বাংলাদেশের বাঙালিকে পরস্পরের থেকে শিক্ষা নিতে বলছেন।
    পশ্চিমবঙ্গে নকশাল আন্দোলন, বাংলাদেশে বাকশাল--নিয়ে লেখকের সিদ্ধান্ত:
    নকশালবাড়ির রাজনীতির মতো এক সকালে উঠে চলো গ্রামে তাই বলে বিপ্লবের ডাক দিলে বিপ্লব হয় না।
    আবার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরে তাঁরা অর্থনীতি সংস্কৃতি স্বাস্থ্য সমাজকল্যাণে এতোটা এগোল স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও ভারত কেন তা পারল না।
    শিশুদের মৃত্যুহার বাংলাদেশে কম,  প্রসূতি মায়ের মৃত্যু কম, গড় আয়ু বেশি, গড় আয় বেশি-- কেন পারলো বাংলাদেশ।
    ইচ্ছাশক্তি ও মনের জোর এবং সদিচ্ছা এবং নিজস্ব জীবনাদর্শ। যা হারিয়ে যাচ্ছে।

    ###

    'বঙ্গবন্ধু ও রক্তাক্ত বাংলা' অধ্যায়ে লেখক বলেছেন: শেখ মুজিব শুধু রক্তাক্ত বাংলার নায়ক নন, তিনি গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রক্তাক্ত যুগসন্ধিক্ষণের নব নায়ক। নতুন ইতিহাসের নির্মাতা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইতিহাস ও ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে সন্দেহ নেই।

    আবার 'সোনার বাংলা এবং এক বাবা ও মেয়ের কাহিনি' অধ্যায়ে ' ইন্দিরা গান্ধী, বেনজির ভুট্টোদের মতো শেখ হাসিনা মৌলবাদী ও উগ্রপন্থী শক্তির নিশানায় রয়েছেন'  এই মন্তব্য করে লেখক বলেছেন, হাসিনাকে লড়াই করে ক্ষমতায় আসতে হয়েছে বিরুদ্ধ পরিস্থিতিতে। ইন্দিরা গান্ধীর সরকারি উন্নয়ন ও হাসিনার উন্নয়নের মধ্যে মিল খুঁজে পেয়েছেন তিনি।

    বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তার পাশাপাশি ব্যাঙ্ক জাতীয়করণ, খনি জাতীয়করণ একাধিক শিল্পের রাষ্ট্রায়ত্তকরণের মতো সাহসী পদক্ষেপ এই উপমহাদেশের ইতিহাসে তাঁকে চিরস্থায়ী আসন দিয়েছে।
    অন্যদিকে হাসিনার সময় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রগতি বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় ভালো। ভারতের তুলনায় তো যথেষ্ট ভালো। 

    ২০২১ এ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় চলে এসেছে বাংলাদেশ। কেবল ঢাকা নয় তৃণমূল স্তরে উন্নয়ন হয়েছে। গোটা দেশ জুড়ে হাইওয়ে সম্প্রসারণ ঘটেছে, ঢাকা মেট্রোসহ রেলের একাধিক প্রকল্পের সুবাদে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে।
    একের পর এক নদী সেতু নির্মাণ হয়েছে, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ বাড়ছে। মাথাপিছু আয় বাড়ায় চীন, জাপান, আমেরিকা বাংলাদেশের বাজার ধরতে আগ্রহী। 

    উল্টোদিকে পাকিস্তান পিছনে পড়েছে। পিছিয়ে পড়ছে ভারতও। বিশ্বব্যাঙ্ক, ইউএনডিপি, এশিয়ান ডেভেলাপমেন্ট ব্যাঙ্কসহ নানা প্রতিষ্ঠানের পরিসংখ্যান বলছে, 'বাংলাদেশ দারিদ্র্য দূরীকরণ, সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক উন্নতির মতো বিষয়গুলিতে উপমহাদেশের অনেক দেশ এমনকী ভারতের থেকেও এগিয়ে।। বাংলাদেশের মহিলাদের আর্থিক স্বনির্ভরতা বৃদ্ধি পেয়েছে লক্ষ্যণীয় হারে'।

    মায়ানমার থেকে নিপীড়িত অত্যাচারিত ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বিশ্বে নিজের ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন শেখ হাসিনা। 
    রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে স্যানিটারি প্যাড বিতরণের গল্প বলেছেন লেখক। বলেছেন রিলিফ নির্ভর দেশ আজ রিলিফ দিচ্ছে। 

    খোকা ইলিশ তথা জাটকা ধরতে না দেওয়ার হাসিনা সরকারের কঠোর নীতির প্রশংসা করেছেন লেখক। এতে ইলিশ উৎপাদন বেড়েছে। ১৬ হাজার কোটি টাকা আসছে ইলিশ থেকে। সামগ্রিক ভাবে মাছ উৎপাদনে উন্নতি চোখে পড়ার মতো। এর মধ্যে ১২-১৩ শতাংশ  ইংলিশ। প্রতিষ্ঠানের পরিসংখ্যান বলছে, 'বাংলাদেশ দারিদ্র্য দূরীকরণ, সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক উন্নতির মতো বিষয়গুলিতে উপমহাদেশের অনেক দেশ এমনকী ভারতের থেকেও এগিয়ে।। বাংলাদেশের মহিলাদের আর্থিক স্বনির্ভরতা বৃদ্ধি পেয়েছে লক্ষ্যণীয় হারে'।

    ###

    'অনুপ্রবেশ' শব্দটা সত্তর দশকে শোনেননি লেখক। লোকে গর্ব করে বলতেন, বরিশাল আমার দ্যাশ।  ১৯৯০-এর পর শব্দটিকে সুকৌশলে ব্যবহার করা হতো লাগল। ১৯৯৬-এর নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন সক্রিয় হল,নাম বাদ দিতে।লেখক দেখেছেন, বনগাঁ-তে বস্তা বস্তা নাগরিকত্বের  দরখাস্ত। রেশন কার্ড, ছেলে-মেয়ের জন্ম অশক্ষার প্রমাণপত্র। কিন্তু ভোটাধিকার মিলছে না।    ১৯৯৮ থেকে ' অনুপ্রবেশকারী' আর 'শরণার্থী' বলে বাংলাদেশ থেকে আসাদের ধর্মীয় পরিচয় বড় করে তোলা হল। তাতে কেন্দ্রের উপ্প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদবানি  ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একসুর।
    মতুয়া রাজনীতি, সিএএ--সব বিষয়েই আলোকপাত করেছেন লেখক।

    এসেছে সংখ্যালঘু তোষণের প্রসঙ্গ।লেখক মুজিবুর রহমানের পাকিস্তান সংসদে বক্তৃতা দীর্ঘভাবে উদ্ধৃত করে দেখিয়ে দিয়েছেন,হিন্দু মুসলিমের স্বার্থ অভিন্ন। মানুষ হিসেবে তাঁরা এক। জাতি হিসেবেও। পশ্চিমবঙ্গে 'সংখ্যালঘু তোষণ' চলের কথাটা মিথ--লেখক তথ্যসহ প্রমাণ করেছেন। সরকারি চাকরির ২০ ভাগ মাত্র মেয়ে। তার মধ্যে  মুসলিম মেয়ে অতি নগণ্য। বিজেপি নেতারা অন্য রাজ্যে লক ডাউনের মাঝে রাম মন্দিরের ঘটা করে উদ্বোধন করলেও কোনো রাজনৈতিক দল বা বড় সংবাদমাধ্যম প্রতিবাদ করতে পারে না। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে মমতা মুসলিমদের কোনো অনুষ্ঠানে গেলে অনেকেই লাফিয়ে ওঠেন। লেখক বলছেন, এর পিছনে আছে মুসলিমদের নিয়ে অনীহা।

    এবং বহুদিন ধরে চলে আসা পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক সংস্কৃতি। লেখকের বক্তব্য, দুর্গাপুজা কালীপূজা ইদ মহরম  কোনো কিছুতেই শুভেচ্ছা জানানো্র রীতি পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে ছিলনা।এবং মন্দিরে দরগায় যাওয়া। যেটা এখন হচ্ছে। এবং চোখে পড়ছে।  অবশ্যই বামনেতারা ব্যতিক্রম।

    পাকিস্তান নিয়ে অমল সরকারের সাফ কথা মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ নেই। যারা জোতদার তারাই শিল্প-কারখানার মালিক,ব্যাংক বীমার মালিক, তারাই আমদানি-রফতানির মালিক, আবার তারাই সেনাবাহিনী এবং তারাই অসামরিক আমলা।

    ভারতেও সেদিকে আস্তে আস্তে চলে যাচ্ছে।
    এ বই সতর্কতার। এ বই সময়ের। 
    এ বই একজন গবেষক ও সাংবাদিকের।

    কিছু মুদ্রণপ্রমাদ আছে। অল্প পুনরুক্তি আছে। উপেক্ষণীয়। তবু লেখক ও প্রকাশক নজর দিতে পারেন। প্রচ্ছদ, ছাপা,  বাঁধাই ভালো।


    আমার দেশ আমার দ্যাশ
    অমল সরকার
    দে'জ পাবলিশিং, কলকাতা-৭৩
    মুদ্রিত মূল্য - ৩৯৯ টাকা


    বাড়িতে বসে বইটি পেতে হোয়াটসঅ্যাপে বা ফোনে অর্ডার করুন +919330308043 নম্বরে।



    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • পড়াবই | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১৯৫৮৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দীপ | 2401:4900:3a11:f973:2e76:2ad9:e29b:***:*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:৩৪503985
  • আরেক মহাবিপ্লবীর বক্তব্য। এঁরা সর্ববিষয়ে সুচিন্তিত মতামত প্রকাশ করেন, গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ লেখেন। ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন, কাশ্মীর সবকিছু নিয়ে এঁরা বিপ্লব করেন। খালি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নারকীয় অত্যাচারের কথা আসলে এঁদের গলা দিয়ে আর আওয়াজ বেরোয় না!
  • | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:৩৫503998
  • আচ্ছা আমি দেখছি এই দীপ নামের ইউজারটা ইমানুল হকের লেখাগুলো খুঁজে খুঁজে ধারাবাহিকভাবে  হেকল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এর আগে এই লেখকের কালোরঙ, অসুর ইত্যাদি নিয়ে লেখাটায় দেখেছি ইমানুল অত্যন্ত ভদ্রভাবে উত্তর দিলেও এই দীপ নিজস্ব অভদ্রভঙ্গীতে বলেই যায়।  
     
    এই লেখাটা একটা বইয়ের আলোচনা,  সম্পাদকের নির্বাচনে প্রকাশিত। এখানেও এসে সম্পূর্ণ অপাসঙ্গিক জিনিষপত্র কপি করে খার মেটাচ্ছে। দেবরায়ার স্ট্যাটাস কপি করেছে অথচ দেবরায়া জন্মে কোনোদিন গুরুতে লেখে নি। 
     
    @গুপু, অ্যাডমিন প্যানেল 
    'ইমানুল হক' নামটাই এরকম ধারাবাহিক বুলি করার চেষ্টার কারণ বলে আমার মনে হচ্ছে। দৃষ্টি আকর্ষণ করে গেলাম।
     
    @দীপ,
    আপনার যাবতীয় বক্তব্য  বিদ্বেষ ইত্যাদি আলাদা টই খুলে বা খেরোখাতা খুলে লিখুন। অন্যকে অহেতুক হেকল না করে নিজের বক্তব্য পরিস্কারভাবে গুছিয়ে আলাদা করে রাখতে শিখে নিন। 
  • | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:৩৬503999
  • *অপ্রাসঙ্গিক
  • দীপ | 42.***.*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:৩৭504000
  • মাননীয়া, আমি কি বিদ্বেষ‌ প্রকাশ করেছি জানতে পারি কি?
  • দীপ | 42.***.*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:৪২504002
  •  একটি গণতান্ত্রিক দেশে প্রত্যেকের নিজস্ব মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে। সেটা বোধহয় আপনি ভুলে গেছেন! 
    সুতরাং যুক্তি দিয়ে আমার মত খণ্ডন করুন! 
    আর আমি কি লিখব, সেটা আমিই ঠিক করব। কেউ আপনার গৃহভৃত্য নয়! 
    নিজের বাড়িতে হুকুম ফলান!
    সম্ভবত এই ব্লগটিকে আপনি নিজস্ব সম্পত্তি ভেবে ফেলেছেন! 
  • দীপ | 42.***.*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:৪৩504003
  • আর এখানে অনেককেই কুৎসিত গালাগালি করেছে! তখন অবশ্য বিবেকবোধ জাগ্রত হয়নি! এখন হয়েছে! 
  • দীপ | 42.***.*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:৪৪504004
  • অনেকেই
  • দীপ | 2401:4900:3a11:f973:2e76:2ad9:e29b:***:*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:৪৯504006
  • আমাকে উদ্দেশ্য করে অজস্র কুৎসিত কথা বলা হয়েছে। তখন অবশ্য মাননীয়ার বিবেকবোধ জাগ্রত হয়নি। শুধু তাই নয়, সঙ্গত দিয়েছেন। এখন হঠাৎ বিবেকবোধে পীড়িত হচ্ছেন! চমৎকার!
  • দীপ | 2401:4900:3a11:f973:2e76:2ad9:e29b:***:*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:৫৩504007
  • এই লেখাতে প্রথম থেকেই মাতব্বরির সুর অত্যন্ত স্পষ্ট। সেটি অনেকের কাছে বিরক্তিকর লেগেছে। আমি প্রতিবাদ করেছি, যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছি! মাননীয়া র গাত্রদাহের সেটাই কারণ!
  • | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:৫৫504008
  • আপনার ব্যবহারই আপনার পরিচয়। 
     
    এটা ব্লগ নয়।  সম্পাদিত বিভাগ।  লোকজনকে 'গৃহভৃত্য' ভাবেন?  ওয়াক থুহ মানসিকতা।  একটা পোস্টে গুছিয়ে নিজের বক্তব্য লিখতে পারেন না দেখতেই পাচ্ছি। ADHD টেস্ট করিয়ে নিতে পারেন। সেরে যাবে চিকিৎসা নিলে। 
     
    @গুপু @অ্যাডমিন প্যানেল, 
    ইমানুল হককে আক্রমণের চেষ্টা আরেকবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে গেলাম। 
  • দীপ | 2401:4900:3a11:f973:2e76:2ad9:e29b:***:*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:৫৬504009
  • এই লেখাটি গত বছর সেপ্টেম্বরে  প্রকাশিত হয়েছিল। তখন থেকেই এই লেখা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক চলছিল। মাননীয়া বোধহয় সেটা ভুলে গেছেন!
  • দীপ | 2401:4900:3a11:f973:2e76:2ad9:e29b:***:*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:৫৭504010
  • আপনিই প্রথমে চোখ রাঙিয়েছেন। এর আগেও অনেক গালাগালি দিয়েছেন। দল পাকিয়ে আক্রমণ করেছেন। 
  • দীপ | 2401:4900:3a11:f973:2e76:2ad9:e29b:***:*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:০৫504011
  • অর্থাৎ বাংলাদেশের অসহায় সংখ্যালঘু মানুষের উপর অত্যাচারের কথা বললে বুলি করা হয়! চমৎকার ব্যাখ্যা! 
    আর আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি বি আর আম্বেদকর, মেঘনাদ সাহা, সত্যেন বোস, রমেশ মজুমদার, বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায়, হীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন! মাননীয়া র মতে সেটা বুলি করা! 
    অর্থাৎ অত্যাচারিত সম্প্রদায়ের কথা বলাকে বুলি করা বলা হচ্ছে! চমৎকার বিশ্লেষণ!
  • দীপ | 2401:4900:3a11:f973:2e76:2ad9:e29b:***:*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:১৬504013
  • আর দেবরায়ার লেখাটা কেন দিয়েছি সেটা পরিষ্কার করে লিখেছি। পশ্চিমবঙ্গের মহাবিপ্লবীরা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন সব কিছুর বিরুদ্ধে গর্জন করতে পারেন, কিন্তু বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের কথা উঠলেই তখন তাঁরা মৌনব্রত অবলম্বন করেন! শুধু তাই নয়, তখন দোষ হয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের! দুর্গাপূজায় কেন হনুমান এসেছে! 
    তসলিমা বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচারের কথা লিখলে তসলিমার ব‌ই নিষিদ্ধ করা হয়, তসলিমাকে দেশ‌ থেকে তাড়ানো হয়! 
    ভণ্ডামিটা দেখিয়ে দিয়েছি, রাগ তো হবেই! 
  • দীপ | 2401:4900:3a11:f973:2e76:2ad9:e29b:***:*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:১৫504022
  • তসলিমার লেখা থেকে জানা যায়, তৎকালীন কলকাতা পুলিশের কমিশনার (তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহধন্য এই মহাপ্রভু রিজ‌ওয়ানুর কাণ্ডেও যুক্ত ছিলেন) তাঁকে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী চাননা তিনি পশ্চিমবঙ্গে থাকুন, তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তিনি যেন পশ্চিমবঙ্গ থেকে চলে যান! যে বাড়িতে তসলিমা ভাড়া থাকতেন, সেই বাড়ির মালিককেও থানায় ডেকে হুমকি দেওয়া হয়‌ তিনি যেন তসলিমাকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলেন! অবশেষে পুলিশ-প্রশাসন ব্যবহার করে তসলিমাকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে তাড়ানো হয়!
    তসলিমার সঙ্গে যা করা হয়েছে, তা যদি কোন সভ্য দেশে হতো; তবে ঐ উদ্ধত মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশ কমিশনারকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে জেলে পাঠানো হতো! তৃতীয় বিশ্বের দেশ বলেই এই অসভ্যতা ও ঔদ্ধত্য সম্ভব! 
     
     
    যদি আপনি সত্যিই গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতেন, তবে এই দুই অসভ্য, উদ্ধত ব্যক্তির যথোপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাতেন। তা না করে আপনি আমাকে চোখ রাঙাচ্ছেন! চমৎকার! 
    "চোরের মায়ের বড় গলা" প্রবাদটা এমনি এমনি আসেনি!
  • দীপ | 42.***.*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:৪৭504026
  • আমি রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে, অত্যাচারের বিরুদ্ধে। সাধারণ মানুষের পক্ষে। তাই সবসময় সাধারণ মানুষের হয়ে কথা বলব। শিখদাঙ্গা, বাবরি মসজিদ ধ্বংস, গুজরাট দাঙ্গা - সব জায়গায় সাধারণ মানুষের হয়ে কথা বলব। তাই বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হয়ে কথা বলব। আর যে মহাবিপ্লবীরা ভণ্ডামি করবে, তাদের ধান্দাবাজি আর মুখোশ খুলে দেব।
  • দীপ | 42.***.*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:৫৫504028
  • আর বিজেপি, তৃণমূলের ধান্দাবাজি যেমন জানি; পশ্চিমবঙ্গের মহাবিপ্লবীদের ধান্দাবাজি খুব ভালো করেই জানি! হিন্দুধর্মের স্বঘোষিত ঠিকাদারদের যেমন চিনি, দলিত-মুসলিম ঐক্য নামক গপ্পিবাজিও তেমন জানি! 
    মূলনিবাসী, হুদুড়দুর্গার গপ্পিবাজিও তেমন জানি! 
    সবকটা ধান্দাবাজকেই ভালো করে চিনি! তাই ধান্দাবাজি করতে আসলে মুখোশ খুলব! 
  • ডিপ ভক্ত | 2a0b:f4c2:3::***:*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:৫৭504029
  • ডিপ(শিট) ভাই,

    এবার একটু রেস্ট নিন।

    বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে আপনার এই সহমর্মিতা - জাস্ট ভাবা যায় না। ওদের কথা ভেবে একনাগাড়ে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে এক কথা পোস্ট করে আপনি যেভাবে ওদের পাশে থাকছেন, তা এক কথায় অভাবনীয়।

    আপনি যে পথ দেখিয়েছেন, যে, কোনো নির্যাতিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর প্রথম স্টেপ হল - যারা অন্য জায়গার নির্যাতিতদের কথা লিখছেন (কিন্তু এনাদের কথা লিখছেন না) তাদের বিরুদ্ধে দিনে অন্তত গোটা কুড়ি পোস্ট করা।

    এভাবেও যে নির্যাতিত মানুষের পাশে থাকা যায়, এ কল্পনাতীত। অভিনব পদ্ধতি।

    আপনাকে আরও লড়তে হবে।

    কিন্তু আপনাকে নিজের শরীরটাও তো দেখতে হবে। আপনি ছাড়া এত ঘন ঘন পোস্ট করে ওই অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর আর আছেনই বা কে।

    - আপনার পোস্টমুগ্ধ ভক্ত
  • দীপ | 42.***.*** | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০০:০২504030
  • প্রিয় ভক্ত, আমি একজন সাধারণ মানুষ। কোনো ক্ষমতা নেই। সামান্য সাহায্যটুকুও করতে পারব না। কিন্তু চিৎকার তো করতে পারি! তাই সেটাই করছি! 
    আর সেটা বারবার করব!
  • deep-ভক্ত | 2a03:4000:6:f7d1::***:*** | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০০:১৪504032
  • একদম - চিৎকার করে ফটিয়ে দিন।

    আর শুনুন, বাংলাদেশ-টাংলাদেশ বাদ দিন, আসল উদ্দেশ্য তো কিছু লোককে গাল দেওয়া। তো সোজাসুজি যাদের পছন্দ না তাদের নিয়ে দিনরাত কুচালি করুন, গালাগাল দিন, চিৎকার করুন।

    বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু, বা, কর্নাটকের সংখ্যালঘু হিজাব-পরিহিত মুসলিম স্কুলছাত্রী - এসব কাটান।

    এমনিই পাতি গালাগাল দিয়ে যান - দিন রাত, উঠতে বসতে, মুখোশ ছিঁড়ে ছিঁড়ে মুখোশের মেটিরিয়ালের ব্যবসা শুরু করুন।

    তৃপ্তি করে গাল দিন। গাল দেওয়া এনজয় করুন।

    কিন্তু এই সংখ্যালঘুদের নিয়ে মমত্ববোধের ঢপটা কাটিয়ে দিন।

    আর, এত চিত্কারের মধ্যে খেয়াল রাখবেন স্বরনালী ছিঁড়ে না যায়। নিয়মিত গার্গেল করবেন। শরীরের যত্ন নেবেন।

    : deep-ভক্ত
  • দীপ | 42.***.*** | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০০:১৭504033
  • হুম মমত্ববোধের ঠিকা তো আপনি নিয়ে রেখেছেন!
  • ভাগাভাগি | 2a0b:f4c1:2::***:*** | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৩:১৫504050
  • গুরু-ভক্ত মিলে ভাগাভাগি করে নিন। দীপ তো জানিয়েই দিয়েছেন উনি চিৎকার চেঁচামেঁচির ঠিকাদারি নিয়েছেন, তাহলে ভক্ত মমত্ববোধের ঠিকাদারি নিয়ে নিন।
  • দীপ | 42.***.*** | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৮:১১504171
  • একদিকে গোসন্তান, অন্যদিকে শূকরশাবক! দুদল‌ই পুরো চালিয়ে খেলছে!
    তবে পশ্চিমবঙ্গের মহাবিপ্লবীরা এই প্রকাশ্য হুমকি নিয়ে একটি কথাও বলবেন না! তাঁরা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ, ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন নিয়ে অজস্র কথা বলতে পারেন, গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ লিখতে পারেন। খালি বাংলাদেশের ‌কথা আসলেই সেটা অন্যদেশের ব্যাপার হয়ে যায়! তখন তাঁরা শীতঘুমে চলে যান! 
    আবার কেউ কেউ বাংলাদেশ পেরেছে, ভারত পারেনি বলে লম্ফ দিতে থাকবেন! তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে অনেকে আবার বিদ্বেষ খুঁজে পাবেন!
  • দীপ | 2402:3a80:1968:9e1:df4c:926b:627a:***:*** | ১৮ মার্চ ২০২২ ১৬:০৯504954
  • মহাবিপ্লবীদের উদ্দেশ্যে সম্রাট চক্রবর্তীর লেখা।
     
    " ইউক্রেন আছে, সিরিয়া আছে, প্যালেস্টাইন ছিল, উত্তর কোরিয়াও থাকবে। ঘরের কাছে বাংলাদেশে ইস্কন মন্দিরে দ্বীনি ভাইদের হামলা নিয়ে বিপ্লবী বঙ্গসন্তান হিরন্ময় নীরবতা পালন করবে।"
     
    চিন্তা নেই, অনেক বিপ্লবী ও পোঁপার্টি ভয়ঙ্কর বিদ্বেষ খুঁজে পাবেন। 
    প্রসঙ্গত ইস্কনের চিন্তাধারা ও মতবাদের প্রতি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধাশীল নই।
  • :-))) | 2a03:e600:100::***:*** | ১৮ মার্চ ২০২২ ১৭:৩১504955
  • দীপচোদনা আবার ইমানুলের পোঁদে লাগছিস নাকি?দ দে দে স্প্যাম করে করে  লেখাটার আসল বক্তব্য ভুলিয়ে গুলিয়ে ঘুঁটে দিয়ে দে।
  • Emanul Haque | ১৯ মার্চ ২০২২ ১৯:০৬505007
  • লেখাটির শিরোনাম খেয়াল করলেই হয়
  • দীপ | 2402:3a80:196f:c385:406b:6d82:cefc:***:*** | ১৯ মার্চ ২০২২ ১৯:২৭505010
  • শিরোনাম ও বিষয়বস্তু খেয়াল করেছি বলেই লিখছি।
    ভারতীয় গণতন্ত্রে অনেক ত্রুটি ও ব্যর্থতা আছে, সন্দেহ নেই। কিন্তু কেউ যখন বাংলাদেশকে আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে দেখাতে চান, তখন তো কিছু কথার সম্মুখীন হতে হবে।
  • দীপ | 2402:3a80:196f:c385:406b:6d82:cefc:***:*** | ১৯ মার্চ ২০২২ ১৯:৩৮505012
  • ভারতে দুর্নীতি, সাম্প্রদায়িকতা, স্বজনপোষণ ভয়াবহরূপে আছে, কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু বাংলাদেশ কোনো আদর্শ তন্ত্র নয়।‌ গত সত্তর বছরে এক কোটিরও বেশি মানুষ পূর্ব পাকিস্তান বা  বর্তমান বাংলাদেশ থেকে চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন। এমনকি স্বাধীন বাংলাদেশ গঠিত হবার পর‌ও  এর ব্যতিক্রম হয়নি। গত বছর বাংলাদেশের একটি পত্রিকায় এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনটির মতে ১৯৭১এর পর‌ও ৭৫লক্ষ সংখ্যালঘু মানুষ বাংলাদেশ থেকে অভিপ্রয়াণ করেছেন। ভারতে নানা সমস্যা‌ দাঙ্গাহাঙ্গামা ঘটলেও এই ধরনের অভিপ্রয়াণ স্বাধীনতার পর ঘটেনি। 
    লেখক তে এই উপমহাদেশের ইতিহাসে চূড়ান্ত অজ্ঞ, এই লেখা তার প্রমাণ!
  • দীপ | 2402:3a80:196f:c385:406b:6d82:cefc:***:*** | ১৯ মার্চ ২০২২ ১৯:৪১505014
  • যে দেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নেই, একের পর এক ব্লগার খুন হন, তসলিমাকে পালাতে হয়, যে দেশের রাষ্ট্রধর্ম‌ ইসলাম, সে দেশ নিয়ে বড়ো বড়ো কথা না বলাই ভালো!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন