তারাপদ স্যার একবার ঠ্যাঙানো প্রসঙ্গে বলেছিলেন - তোদের সব কমপ্ল্যান খাওয়া হাড়, ধরলেই মট করে ভেঙ্গে যায়, মারব কি! আমাদের স্কুলে পেটাই ও আদর দুইই ছিল। তবে সবচেয়ে অসুবিধে হত স্যারমিসদের ছেলেমেয়েদের - বেশ একটু শাঁখের করাত টাইপ অবস্থা!
"স্যারমিসদের ছেলেমেয়ে" দের সত্যি করুণ অবস্থা!
আমার এক বন্ধুর বাবা নরেন্দ্রপুরে পড়াতেন। তা একদিন বোর্ডে অঙ্ক কষতে গিয়ে কিছু একটা ছড়িয়েছেন, আর বারবার ভুল করে খুব লেজেগোবরে হচ্ছেন, ক্লাসে যথারীতি চাপা গুঞ্জন ও খিকখিক - খালি একজনের মুখ ভয়ানক গম্ভীর।
শেষে বিধ্বস্ত স্যারবাবা তার দিকে ফিরে বললেন, "কি রে হাসছিস না যে বড়ো? তোর বাবা বলে? হাস, হাস তুইও হাস!"
পেটানো প্রসঙ্গে
এখন আর নিজের ছেলেপিলেদের নিজের স্কুলে দিতে পারেন না টিচাররা, বেসরকারী মহার্ঘ্য স্কুলে পাঠাতে বাধ্য হন। পরিবেশ একেবারেই বদলে গেছে মাত্র দশ-পনেরো বছরে।
এটাও থাকা উচিত
জ্যোতিষ্ক নামটা বেশ কঠিন। কিন্তু ভেবে দেখুন সম্রাট কণিষ্কের কথা। অবশ্য তাঁর আর কী? যেসব কর্মচারীদের ক্রমাগতঃ সম্রাটের নাম লিখতে হত বড় বড় রোল করা লাটাইয়ের মতন চিঠিতে, তাঁদের চাপ।
আমাদের ব্যাচমেটের নাম আনন্দ শঙ্কর মাইতি (ASM)।
বাবা GSM = গ্রেট স্লো মোশান
ছেলে ASM = আরো স্লো মোশান
লীলা মজুমদারের বাবা তো শুনেছি নিজের ছেলেমেয়েদের পিটিয়ে মাটিতে বিছিয়ে দিতেন। অবশ্য দুরন্তগুলোকে। লীলার এক প্রায় সমবয়সী দিদি ছিল, সে খুব শান্ত লক্ষ্মীমেয়ে ছিল।পাকদন্ডীতে তার গল্প পড়ে যা মনে হয়। হয়তো ওদের বাবা ওই মেয়েকে মারতেন না।
অভ্যুদাঃ গল্পটা দারুণ !! এটার-ই শেষ গপ্পোটা ছিলো সেই ছাত্র আর তার থিসিস গাইড? লীলা মজুমদারের গল্প পড়া হলো কতোদিন বাদে - পড়লেই অটোমেটিক্যালি মুখে হাসি খেলে যায় ! আচ্ছা ওই অসাধারণ ইলাস্ট্রেশন-গুলো কার? জানো?
&\- আমার ইস্কুলের লক্ষ্মী স্যার আমাকে কণিষ্ক বলেই ডাকতেন। কেন সে বোধগম্য হয়নি। তবে বড়ো বয়সে লজ্জায় মাথা কাটা গেছে অনেকবার কাজেই তাঁর দূরদর্শিতার প্রশংসা না করে উপায় নেই।
যদুবাবু, শুধু ফেবুপেজে কেন, আগেকার দিনে এখানেও স্কুলডেজ নিয়ে আহা আহা বাহা বাহা হত। কোন কোন টিচার আর গার্জিয়ান পিটিয়েপুটিয়ে মেরেধরে কত উন্নতি ঘটিয়েছিলেন, সেই নিয়ে আহা আহা।
সেই তেনাদের মাঝে মাঝে বলতে ইচ্ছে করে তাহলে আর বস টস নিয়ে অভিযোগ করেন কেন? বস প্রত্যেকদিন সকালে ঠাঁটিয়ে থাপ্পড় যাতে দেন সেই ব্যবস্থা করে নিন, তাতে আরো উন্নতি হবে।
কণিষ্কদের বংশে কার যেন হুবিষ্ক না কী নাম ছিল। সেই তুলনায় কণিষ্ক অনেক শ্রুতিমধুর।
হা হা হা হা !! আরও স্লো মোশন ... এই লাইনের শেষে নিশ্চয়ই পারফেক্টলি মোশনলেস কেউ আবির্ভূত হবেন।
নাম বলতে মনে পড়লো, কদিন আগে জানলাম গ্রীক পুরাণের প্রমিথিউস আর তার ভাই এপিমিথিউস - এদের নামের অর্থ forethought, ও afterthought। পৌরাণিক-দের রসবোধ ছিলো মানতেই হবে।
"তাহলে আর বস টস নিয়ে অভিযোগ করেন কেন? বস প্রত্যেকদিন সকালে ঠাঁটিয়ে থাপ্পড় যাতে দেন সেই ব্যবস্থা করে নিন, তাতে আরো উন্নতি হবে।" - এইটা মোক্ষম বলেছেন। এরপরে এই মারধোরের নষ্টালজিয়া দেখলেই এইটা স্প্রে করে আসবো। :D
মূল শব্দটা একই। মেথিউ মনে হয়। একজনের ক্ষেত্রে আগে একটা প্রো লাগিয়েছে, আরেকজনের ক্ষেত্রে লাগিয়েছে এপি। ঃ-)
স্ট্রাকচার মনে হয় আমাদের সংস্কৃতের মতই। প্র পরা অপ সম ইত্যাদিদের মতন নানা উপসর্গ সামনে জুড়ে জুড়ে নতুন নতুন শব্দ তৈরী।
ঠিক, ঠিক ... আমার পাশের বাড়ির কাকুরা যেমন অনেক ভাইবোন, কিন্তু তাদের নাম সব জোড়ায়-জোড়ায় ছন্দ মেলানো। একদম বড়ো থেকে ছোটোর দিকে গেলে - সদা - গদা, পল্টু-লাল্টু, কালু-বিলু, ্ রমা-ক্ষমা। যিনি অড-ম্যান-আউট তার ডাক নামটিও আউটলায়ার - খ্যাঁদা।
হ্যাঁ, ইভোলিউশনের ট্রি-তে নিশ্চয়ই গ্রীক আর সংস্কৃত কাছাকাছিই (মানে এক-ই শাখার ডালপালা) পড়বে কে জানে? ক্লাসিক ল্যাঙ্গোয়েজ নিয়ে আমার অবশ্য এক বিন্দুও জ্ঞান নেই, কাজেই আন্দাজে অন্ধকারে ঢিল মারলাম। খালি কয়েকটা গাছপালা আর ব্যাঙের সায়েন্টিফিক নেম জানি। আর অঙ্কে যা যা লাগে।
হ্যাঁ শেষ গল্পটা ছিল "যা মা বাবাকে বলগে যা। এই বলে চলে গেল।" :)
লীলা মজুমদারের খেরোর খাতার ছবিগুলো বিখ্যাত কারও আঁকা। অহিভূষণ মালিক সম্ভবতঃ কিন্তু এখন ঠিক মনে পড়ছে না। খুঁজেও পাচ্ছি না কোথাও।
এইটা খুব ভালো লাগল
Delhi is a novel
Bangalore is a blog
Bombay is a poem
Calcutta is a little magazine: avant-garde, blue-sky, obscure; hopelessly rebellious and romantic.
একজন লিখেছিলো, Kolkata is a heated argument over a cup of tea. আমার মনে হলো এর থেকে ভালো উপমা হয় না?
এটাও ভালো, তবে তোমার লিট্ল ম্যাগাজিনের উপমাটা আরো বেশি ভালো লেগেছে আমার।
খেরোর খাতার ছবি বোধহয় ভাইপোবাবুর আঁকা।
সত্যজিৎ রায়ের আঁকা? তোমার কাছে পুরোনো কপি আছে, যেখানে নাম লেখা? আমি মাঝখানে অনেক খুঁজেছিলাম।
দেখলাম। ইলাস্ট্রেটরের ক্রেডিট যায়নি। কিন্তু, ছবি দেখেও ভাইপোবাবুই মনে হচ্ছে। লেখাগুলো কি সন্দেশে বেরিয়েছিল?
খবর পেয়েছি। ইলাস্ট্রেশন তাপস দত্ত।
থ্যাঙ্কু ন্যাড়াদা।