@Ranjan Roy, ধন্যবাদ দাদা। অশেষ ধন্যবাদ। @Santosh Banerjee, দাদা, এই সব এতদিন মনে মনে ভাবতাম, কল্পনা করে নিতাম, সাহায্য করত বইপত্র, সিনেমা, গান ইত্যাদি। কিন্তু এবার যখন যাওয়া হল, সীমান্ত পার হওয়ার পরে একই আবহাওয়া, ধান ক্ষেত, মানুষের বাড়িঘর, পুকুর, মায়ের কোলে শিশু, এই সব দেখে বেশ ভাল করেই বুঝতে পেরেছি আলাদা করে দিলাম বললেই একটা জাতি আলাদা হয়ে যায় না। সমাজ সংস্কৃতি এত মিল, এইটা আর কোথাও এমন করে প্রকট হয় নাই। ধর্মকে যদি পাশে সরিয়ে রাখতে পারে কেউ তাহলে আমার কথার যথার্থতা সহজেই বুঝতে পারবে। @dc, এই জন্যই লিখেছি যে ঢাকা বা বাংলাদেশ সম্পর্কে জানা না থাকলে আমি কেন এই প্রসঙ্গ নিয়ে লিখছি তা বুঝা মুশকিল হবে আপনাদের জন্য। গুরুত্বেই আমার আগের একটা লেখা আছে ঢাকার রাতের বার নিয়ে আমার এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতার গল্প। খুঁজলে পাওয়া যাবে। এই দেশে মদ নিষিদ্ধ, লাইসেন্স নিয়ে বার আছে কিছু, কিছু আছে ক্লাব, হোটেল। আর আছে যা লিখেছি উচ্চ শ্রেণীর ঈশ্বরেরা। বাকিরা ফেন্সি, বাবা খেয়ে অজ্ঞান!
@b ধন্যবাদ দাদা।
@শঙ্খ দাদা, হিমুর খালু কোন শ্রেণীর মানুষ ছিলেন মনে আছে? ওই শ্রেণিতে তো সবই জায়েজ। হুমায়ুন আহমেদ ভুল কিছু লিখেনি। ওই শ্রেণীর এখন সংখ্যা বেড়েছে, ঢাকা শহরে অভিজাত এলাকায় এখন মদ সাধারণ জিনিস, সাধারণ মানুষের জন্য তা না, ওগুলা ওই ঈশ্বরদের জন্যই। স্প্রাইট উইথ রক্স মজা করেই লিখছি। আমি আমার বন্ধুদের সাথে বারে যাই আসলে বাদামের লোভে। কী কী জানি দিয়ে দারুণ করে বানিয়ে দেয় বাদাম। আমি সেভেন আপ অথবা স্প্রাইট খাই আর বাদাম খাই। আমার কোন ট্যাবু নাই মদ নিয়ে, জাস্ট খাই না, যেমন আমি আজ পর্যন্ত একটা সিঙ্গেল টান সিগারেটও খাই নাই। আমার ধারনা আমি এক টান দিলেই ধরা খেয়ে যাব, এরপরে ভোক ভোক করে সিগারেট খেতেই থাকব! মদের ক্ষেত্রেও আমি একই ভয় পাই। আমার ধারনা আমি অতি দ্রুত আসক্ত হয়ে যাব! ছাত্র অবস্থায় বিয়ার খেয়েছিলাম একবার, আর আরেকবার পাহাড়ে এক পাহাড়ি আমাকে ধমক দিয়ে পাহাড়ি মদ চু খাইয়েছিল। সেটা আরও তিন মাস পরে মদ হবে এখন মদ হয়নি, এই যুক্তিতে তিনি আমাকে ধমক দিয়ে খাইয়েছিলেন। এই হচ্ছে মদ সম্পর্কে আমার প্রত্যক্ষ জ্ঞান। আর বাকি সবই হচ্ছে ওই যে যা বললাম, বাদাম আর স্প্রাইট!
@aranya, দাদা, সেদিন আমি সায়নদার বাড়িতেও বলেছি যে আপনি মন হয় আমাকে একটু বেশিই দাম দিয়ে ফেলেন। ওভাররেটেড যাকে বলে! আমি কোনমতেই অতখানির যোগ্য না। আমি বলছি আমি তো জানি আমি কি জিনিস, অরণ্যদা কবে জানি হতাশ হয়ে যায়, বলবে যাহ! এ তো রদ্দি মাল! আপনার অতি প্রশংসা আমাকে আসলেই শঙ্কিত করে! অশেষ ধন্যবাদ দাদা, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
@
যোষিতা, চিৎপুরে যা হয়েছে তার কোন ভাষা নাই। অবিশ্বাস্য একটা কাণ্ড। আমি সদ্য এই সব দেখা লোক, মানে এবারই প্রথম দেশের সীমা অতিক্রম করেছি। কাস্টমস, ইমিগ্রেশন ইত্যাদি সম্পর্কে আমার ধারণা ছিলই না। এখানে কোন যুক্তিতে কাওকে এমন করে তল্লাসি করবে আমার মাথায় ধরে না। ফিরতে সময়ে আমাকে আগাপশতলা পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে পারে বাংলাদেশ কাস্টমস, আমি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে কিছু আনছি কি না এইটা অবশ্যই তাদের দেখার অধিকার আছে। কিন্তু আমি যাই কিনি না কেন, তা তো ভ্যাট ট্যাক্স দিয়েই কিনিছি, তাই না? তাহলে সেই আপত্তির জায়াগাটা কোথায়? কিচ্ছু না, ঘুষ খাওয়াই হচ্ছে কাজ, যার কারণে বাংলাদেশের টাকাও চলে কলকাতা পুলিশের কাছে!! ভাল থাকবেন, ধন্যবাদ আপনাকে।