এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভ্রমণ  ঘুমক্কড়

  • বাঙালের কলিকাতা দর্শন! ( তৃতীয় ভাগ) 

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | ঘুমক্কড় | ২২ জুন ২০২২ | ১৫১৮ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • তৃতীয় দিন।
    ২১/০৬/২০২২

    রনি, আজকে আর অন্য কিছু ভাবি নাই। সকালে উঠেই নিয়ত করে ফেলছি আজকে আমার প্রথম কাজ হচ্ছে শেক্সপিয়ার সরণী যাওয়া। সাবেক থিয়েটার রোড। বাইক নিলাম। তেমন কোন জ্যামে না পড়ে আমাকে চালক এক জায়গায় নিয়ে বলল এই দেখেন, এইদিকে  প্রবেশ নিষেধ। একমুখী চলাচল। একটু হেঁটে গেলেই পৌঁছে যাবেন। আমিও হাঁটা শুরু করলাম। বলে রাখি, এইযে হাঁটা শুরু হল আজকে, এর আর কোন বাপ মা ছিল না। কই থেকে কই গেছি, কোথায় চক্কর খাইছি নিজে তো জানিই না, গুগলেরও প্যাঁচ লেগে গেছে কয়েকবার আমাকে উদ্ধার করতে গিয়ে।
    আমি যাব ৮ থিয়েটার রোড বা বর্তমান শেক্সপিয়ার সরণী। একদিকে হাঁটা শুরু করছিলাম ভেবে যে এই পথেই বাড়ির নম্বর কমবে। একটু গিয়ে বুঝলাম, উঁহু, উল্টা দিকে এসে গেছি। তাই আমার উল্টা হাঁটা শুরু। এবার বাড়ির নম্বর কমতে লাগল।  আস্তে আস্তে বাড়ির নম্বর কমে কমে আমার কাঙ্ক্ষিত বাড়ির কাছাকাছি এসে গেলাম। এবং হুট করেই দেখি আমি আট নম্বর বাড়ির সামনে। একদিকে আমি চরম ভাবে পুলকিত একই সাথে দারুণ হতাশা গ্রাস করা শুরু করল আমাকে। এত চমৎকার একটা বাড়ি অথচ আমি খুশি হতে পারলাম না। বাড়ির নাম শ্রি অরবিন্দ ভবন। না, আমি অরবিন্দ ভবন দেখতে এত আগ্রহ ভরে  এখানে আসিনি। এই বাড়িতেই  ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় অস্থায়ী সরকারের কার্যালয় ছিল। এখানেই তাজউদ্দীন আহমদ অবিশ্বাস্য নজির তৈরি করে, সমস্ত বাঁধা ঠেলে  মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে গেছে। আমাদের ইতিহসের এত গুরুত্বপূর্ণ একটা জায়গায় মুক্তিযুদ্ধ তো দূরে, বাংলাদেশেরও কোন নাম গন্ধ নাই। আমি জানতাম এই বাড়িটি আসলে ছিল ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর অরবিন্দ ঘোষ, যিনি পরবর্তীতে ঋষি অরবিন্দ, তাঁর মামা বাড়ি, এখানেই উনার জন্ম। এখন তাঁর নামেই একটা আশ্রম ধরণের একটা কিছু চলছে এখানে। আর তাই আমি ভিতরে ঢুকতে পারলাম। ঘুরে ঘুরে দেখলাম বাড়ীটা। কিছু ছবি তুললাম। মনে হচ্ছিল এইটা কী ঠিক হয়েছে? এইটা কীভাবে সম্ভব? গত বছর শুনেছিলাম মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ভারতীয় সরকারের কাছে বাড়িটি চেয়েছে। কিন্তু আজকে যা দেখলাম, যেভাবে জাঁকিয়ে বসেছে তাতে মনে হয় না কোন লাভ হবে। বাড়ির সামনে একটা সম্ভবত আম গাছ, মনে হল অনেকদিনের। হয়ত যুদ্ধের আমলের। কিছুক্ষণ গাছের গোরায় বসে চলে আসলাম। বড্ড ক্ষতি হয়ে গেছে এখানে। এটা কোনমতেই আমাদের হারানো ঠিক হয়নি।

    এবার শুরু হল হণ্টন। হণ্টন মানে মহা হণ্টন, আমি নিয়ত করলাম গুগল ম্যাপ দেখা দেখি নাই। একদিকে হাঁটতে থাকব। দেখি কই গিয়ে ঠেকি। যেহেতু আমার কোন গন্তব্য নাই তাই আমার হারানোর ভয়ও নাই। যেহেতু কোন পরিকল্পনা নাই তাই পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ারও কোন উপায় নাই।
    ও, এর মধ্যে নাস্তা করলাম। উত্তেজনায় সকালের খাওয়ার কথা ভুলেই গেছিলাম। রাস্তার পাশে একটা দোকান। দোকানদার আমাকে জিজ্ঞাস করল কী খাবেন? কী আছে? আছে হচ্ছে পরোটা আর নান লুচি না কি জানি একটা বলল। আমি পরোটা কি খাব আর, বললাম ওই বস্তুই দাও। কেমন যেন নরম লুচির মত। সাথে দিল ডাল, আলুর ঝোল, আর একটু চাটনি ধরণের কিছু। খেতে বেশ লাগছিল। এর মধ্যে আরেকজন এসে বলল পরোটা দাও। এবার আমার আক্কেলগুড়ুম হওয়ার পালা। দোকানদার জিজ্ঞাস করল কতটুকু? একশ দুইশ? আমি বলি রুটি একশ দুইশ মানে! ক্রেতা চাহিদা জানাতেই দোকানদার পাসের একটা বড় সসপ্যানের ঢাকনা খুলে ভিতরে হাত ঢোকাল। টেনে ছিঁড়ে ছিঁড়ে তেলে ভাজা পরোটার কিছু অংশ প্লেটে দিয়ে খেতে দিল, আমি তাজ্জব হয়ে দেখলাম! কি তামসা!

    হাঁটতে হাঁটতে হুট করে চোখে পড়ল ধবধবে সাদা এক দালান। দেখেই বুঝা যায় গথিক স্থাপনার এক অনন্য নজির এই দালান। কাছে গেলাম, দেখি সেন্ট পল ক্যাথিড্রাল। অপূর্ব সুন্দর গির্জা। আমার মফস্বল চোখ এত সুন্দর স্থাপনা খুব কমই দেখেছে। রনি, মজার কথা হচ্ছে গির্জায় ঢুকতে টাকা নিলো! কেমন বেশরিয়তি কারবার! মানুষ ঠিকমত ধর্মকর্ম করতে পারবে না? গির্জায় যেতে টাকা নিবে? দশ টাকা দিয়ে ভিতরে ঢুকলাম। সিনেমায় যেমন চার্চ দেখি আমরা তেমন একটা চার্চ। দা ভেঞ্চি কোডের শুটিং করা যাবে চোখ বন্ধ করে। আমি ভিতরে গিয়ে বসলাম। অল্প কিছু মানুষ। নীরবে প্রার্থনা করছে। মনে হল একজনকে জিজ্ঞাস করি যে উনিও দশ টাকা দিয়ে প্রার্থনা করতে আসছেন কি না। কিন্তু তা আর করা হয় নাই। আমি দেখি সারি সারি যে চেয়ার গুলো বসানো তার উপরে মুখোমুখি করে বড় বড় চেয়ারের সারি। দুই পাসেই আছে এমন। এবং সবচেয়ে দারুণ ব্যাপার হল এখানে এখনও ব্রিটিশ আমলের চিহ্ন ধরে রেখেছে। সমগ্র ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রধান প্রধান শহরের চার্চ প্রধানদের জন্য সংরক্ষিত জায়গা এগুলা। লাহোর, বোম্বে যেমন আছে তেমনই ক্যালকাটার পাসেই লেখা ডাক্কা! প্রতিটার জন্য আলাদা আলাদা পতাকা আছে। দারুণ লাগল দেখে।

    বের হয়ে আবার ভুল পথে হাঁটা শুরু। অনেকক্ষণ অকারণেই চক্কর খেলাম। দূরে দেখি একটা উঁচু দালানের চূড়া দেখা যায়। আগ্রহ জন্মাল। গিয়ে দেখি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। আর বসে থেকে লাভ কী, ঢুকে গেলাম। বাংলাদেশীদের জন্য একশ টাকা। ভারতীয়দের জন্য ত্রিশ টাকা টিকেট। আমি মনে মনে বললাম, আমি দিব কেন? অর্জন করে নাও। তোমরা আজকে আমাকে বাংলাদেশী বলে আলাদা করেছে, এখন তোমাদের দায় আমার পরিচয় বের করা। যদি না পার, যদি ভাষা, চেহারা, গায়ের রঙ দিয়ে বুঝতে না পার তাহলে আমাকে বিদেশি বলবা কোন যুক্তিতে? যদি বলতে পার এই যে আপনি, আপনি বিদেশি, একশ টাকা লাগবে আপনার। আমি একটা তর্কও করতাম না। আমার সাথে পাসপোর্ট ছিল, পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে প্রয়োজনে টিকেট কাটতাম। কিন্তু না, আসলেই যে আলদা করার উপায় নাই, তাই প্রমাণ হল। আমি ত্রিশ টাকা টিকেট কেটে ঢুকে গেলাম রানি ভিক্টোরিয়ার স্মরণে তৈরি এই দালান। বিশাল আয়তন। শ্বেত পাথরে তৈরি। দেখলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শক্তি সক্ষমতা সব বুঝতে পারা যায়। ভিতরে ঢুকে দেখলাম নেতাজির অনেক অনেক জিনিসপত্র রাখা আছে। কংগ্রেস থেকে নেতাজির পদত্যাগের পত্রটাও দেখলাম।

    এখানে বিশেষ মনে রাখার মত কিছু আমি পাই নাই। আমি আমার কাছে দালান কে দালানই মনে হয়। সুন্দর, ইংরেজরা নিজেদের জন্য বানিয়েছিল। এখন আমার এতে আনন্দিত হওয়ার কিছু দেখি না। মনে থাকবে সবার জন্য যে পানির ব্যবস্থা করা আছে তা। কলিজা ঠাণ্ডা করা পানির ব্যবস্থা আমি কোথাও দেখি নাই। বিশেষ করে এমন উম্মুক্ত কোন জায়গায়। প্রচণ্ড গরমে আমি যখন অস্থির তখন এই জিনিস যেন স্বর্গীয় আরাম এনে দিয়ে ছিল।

    বের হলাম। হতেই ধাক্কা খেলাম। আরে, পাসেই তো পল ক্যাথিড্রাল! মানে আমি কই কই দিয়ে ঘুরে এখানে আসলাম। একই বৃত্তে চক্কর খাচ্ছি!
    এবার আর আগের ভুল করলাম না। এবার আমি আমার গন্তব্য ঠিক করে নিলাম। গন্তব্য হচ্ছে পার্ক ষ্ট্রীট গোরস্থান। শুরু হল হাঁটা। ঠোকর ঠাকর খেয়ে হাজির হলাম পার্ক ষ্ট্রীট গোরস্থানে। এখানে কেন আসলাম বলতে হলে একটু ভিন্ন গল্প বলতে হবে। হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিয়োর কথা মনে আছে না? যার হাত ধরে বাংলার নবজাগরণের সূচনা। যাকে রেনেসাঁ বলা হয়। যদিও এখনকার অনেকেই সেই জাগরণকে রেনেসাঁ বলতে রাজি না। সে ভিন্ন প্রসঙ্গ। ডিরোজিয়ো সমাজ সংস্কারে হাত দেওয়াতে তৎকালীন প্রভাবশালীদের বিরাগভাজন হওন। হিন্দু কলেজের চাকরিটা হারান। অর্থকষ্টে পড়েন। শেষে কলেরায় মারা জান। এদিকে চার্চের সাথেও সম্পর্ক সুবিধার ছিল না। গির্জা কর্তৃপক্ষ বলল, কলেরায় মারা গেছে তাই আর কবর গোরস্থানে দেওয়া যাবে না। যিনি দেয়াশলাই জ্বালিয়ে দিয়ে গেছিলেন সেই হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিয়োর কবর হয় গোরস্থানের বাহিরে। আজকে পর্যন্তও ওই কবর গোরস্থানের বাহিরেই পড়ে আছে! এই প্রথম কলকাতার প্রতি আমার ক্ষোভ জন্ম নিলো। ডিরোজিয়োর মত মানুষের আগমন না হলে বর্তমান কলকাতার চেহারাও হয়ত এমন হত না। একটা নাম ফলক দিয়ে কাজ শেষ।

    একই কাণ্ড ডিরোজিয়োর আরেক সঙ্গী ডেভিড হেয়ারের বেলায়ও। আমি ওইখান থেকে চলে আসছি কলেজ স্কয়ারে। কতদূর হেঁটে আসছি। এরপরে মনে হল আর পারব না। তারপরে অজ্ঞতা…
    কলেজ স্কয়ারের দক্ষিণ দিকে, সূর্য সেন ষ্ট্রীটের ( সূর্য সেন ষ্ট্রীট! নামটা দেখে গর্বে বুক ভরে গেছিল। জাতীয়তাবাদ কী জিনিস। উনার বাড়ি চট্টগ্রাম আর তাই আমার কাছে মনে হচ্ছে উনি আমাদের! একই রকম ভাল লাগা কাজ করছে জয়া আহসানের বড় পোস্টার দেখে। মনে হচ্ছিল জয়া আহসান আমার কত্ত পরিচিত একজন!) কাছেই একটা পুকুরের মত আছে। এই পুকুরের পাড়ে কবর দেওয়া হয়েছে ডেভিড হেয়ারকে। উনাকেও গির্জা গোরস্থানে কবরের অনুমতি দেয় নাই। কবর হয় এই পুকুর পাড়ে। তৎকালীন হিন্দু প্রভাবশালীরা আপত্তি করে এখানেও। বলে পুকুরের পাড়ে কবর হওয়ায় পুকুরের পানি নষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু তাদের আপত্তি ধোপে টিকেনি। কারণ সেই পুকুরটাও ডেভিড হেয়ারেরই ছিল! আমি খুঁজে বের করে এই কবরখানা দেখলাম। চুপচাপ নীরবে নিভৃতে শুয়ে আছেন তিনি। অথচ হিন্দু কলেজ, সংস্কৃত কলেজ তৈরির পিছনে, বাংলার রেনেসাঁর কারিগরদের তৈরির পিছনে উনার অর্থ, সম্পত্তি সবই তিনি ঢেলে দিয়ে গেছেন। আরও একটু সম্মান দুইজনই মনে হয় দাবী রাখে! কলকাতাবাসির উচিত এই বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করা।

    এখান থেকে সিদ্ধান্ত নিলাম সিনেমা দেখব। ঢাকায় আইএমএক্স থিয়েটার নাই। এখানে আছে। কাজেই আজকেই দেখব। এখন হল আরেক কাণ্ড। উবারে একজনকেও পাচ্ছি না আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। ফোনেই টাকা বেশি দিলে যাবে বলে জানায়। এবং যত বেশি দিতে বলে ততই দিতে হবে, ত্রিশ বললে ত্রিশই, বিশ বললেও লাভ নাই। মেজাজ খারাপ করে না। তবুও একজনের সাথে কথা বলে রাজি হলাম। তিনি আজব চিড়িয়া এক। দেখা হতেই বললেন, উবারের কল কেটে দিন, আপনাকে আমি নিয়ে যাচ্ছি। আকাশে তখন দুর্যোগের ঘনঘটা। মেঘ ডাকছে। উনি তাড়া দিচ্ছেন, বলছেন তাড়াতাড়ি উঠুন, পুলিশ এখানে দাঁড়াতেই দিবে না। আমি আহাম্মকের মত কেন্সেল করে দিলাম। উনার পিছনে উঠে কিছু দূর যাওয়ার পরেই তিনি বললেন, আপনে বাংলাদেশী? আমি বললাম, জি। তিনি বললেন, আপনাকে নিয়ে পাঁচ ছয়জন বাংলাদেশীকে নিয়ে ঘুরলাম। তা ছাড়া আপনেও মুসলমান, আমিও মুসলমান! আমি এবার অবাক হলাম একটু! হ্যাঁ! ত্রিশ টাকা বেশি নেওয়া, উবারের ট্রিপ কেন্সেল করে দেওয়ার পরে উনার মনে হল আমিও মুসলমান তিনিও মুসলমান! পরে সিনেমা দেখে ফেরার সময় আবার যখন উবার ডাকছি, তখন দেখি উবার আমার কাছে ১৫ টাকা চাচ্ছে! অথচ কেন্সেল করার আগে বারবার করে জিজ্ঞাস করে ছিলাম এখন কেন্সেল করলে আমাকে জরিমানা করবে না? তিনি না করে ছিলেন। দারুণ প্রাণী না একটা!

    সাউথ সিটি মল। আমাদের বসুন্ধরা সিটি। তবে এখনে মনে হল বেশ অন্য রকম। সিনেমা দেখে ভাল লাগছে। আগে আইএমএক্স না দেখার কারণে হয়ত বেশি ভাল লাগছে। অবধারিত ভাবে একটা তুলনা এসেই যায়। ঢাকায় সেনা কল্যাণ টাওয়ারে স্টার সিনেপ্লেক্স যে শাখা খুলেছে তাতে এক ক্যাটাগরির টিকেট আছে যার মূল পনেরশ টাকা! আমি আইএমএক্স থিয়েটারে সিনেমা দেখলাম বাংলাদেশের টাকায় হয়ত সাড়ে তিনশ বা চারশ টাকা! এইটা একটু বাড়াবাড়ি না?

    বেশ লম্বা হয়ে গেছে। আজকে শেষ করি। আর দুইদিন আছি। আজকে সারাদিন কাওসারের সাথে দেখা হয় নাই। শেষ একটা ঘটনা বলে বিদায় নেই। সিনেমার টিকেট কাটার পরে ফুড কোর্টে গেছি খাওয়ার জন্য। একজন মেয়ে অর্ডার নিচ্ছিল। বাচ্চা একটা মেয়ে। আমাকে বলল আমরা ক্যাশে পেমেন্ট নেই না। আপনাকে কার্ডে পেমেন্ট করতে হবে। আমার সাথে কার্ড ছিল, আমি এখন পর্যন্ত এই দেশে কার্ড ব্যবহার করি নাই। বেশি টাকা কাটবে, আরও হয়ত নানা চার্জ কাটবে তাই করি নাই। উনাকে বললাম, দেহেন, এই কার্ড কাজ করে কি না! উনি আমার বাঙাল ভাষা শুনে অজ্ঞান হয়ে গেলেন যেন! কী বললেন? আমি অবাক হলেও মজা পেলাম। বললাম, যদি কার্ড কাজ করে তাইলে বার্গার আর ড্রিংক দেইনজে! সে আরও বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে রইল, আমি কইলাম দিয়ুন যাব না? যাই হোক, কার্ড কাজ করছিল আর বার্গারটাও মজার ছিল। শুভ রাত্রি!
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ভ্রমণ | ২২ জুন ২০২২ | ১৫১৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • যোষিতা | ২২ জুন ২০২২ ০২:৩৫509250
  • অনেক সুন্দর আপনার লেখা।
  • r2h | 134.238.***.*** | ২২ জুন ২০২২ ১৩:২৭509264
  • প্রসঙ্গত, এই খবরটা চোখে পড়লো
     
  • বিপ্লব রহমান | ২২ জুন ২০২২ ১৬:১২509268
  • মৈসিং-এর পুলাপাইন, ৭০টেহা মাইরা দিলেন! কেম্বে কী!?  devil
  • কিংবদন্তি | ২৫ জুন ২০২২ ০০:০৪509348
  • বিপ্লব ভাই, মৈসিঙ্গের পুলাপান না মৈসিঙ্গের পুনাই! laugh
  • কিংবদন্তি | ২৫ জুন ২০২২ ০০:০৮509349
  • @r2h, এইটা আসলেই দুঃখজনক। আসলেই শুধু ত্রিপুরা না, ভারতের ভিতরে কোথাও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তেমন কিছুই নেই। মাঝে মধ্যে হিন্দি সিনেমায় ১৯৭১ সালের যুদ্ধ মূলত ইন্ডিয়া পাকিস্তান যুদ্ধ ছিল এমন দাবী করা ছাড়া আর কোথাও মুক্তিযুদ্ধ নেই। থাকলে আমি জানতে আগ্রহী। আমি এরপরে গেলে সেই সব জায়গায় যেতেও আগ্রহী। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন