এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  সিনেমা

  • গরম হাওয়া, বা রুখসতনামা

    দেবর্ষি দাস
    আলোচনা | সিনেমা | ০৫ অক্টোবর ২০২১ | ২৮৫৮ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • ‘গরম হাওয়া’র নির্দেশক এম এস সাথ্যু কর্ণাটকের লোক, পুরো নাম মাইসোর শ্রীনিবাস সাথ্যু। গণনাট্য মঞ্চের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বহুদিন। ভাষা নিয়ে ওঁর সিনেমায় প্রায়ই পরীক্ষা নিরীক্ষা দেখা যায়। একটা সিনেমার মধ্যেই লোকে বিভিন্ন ভাষায় কথা বলতে থাকে। বহু আগে ওঁর বক্তৃতা শোনার সৌভাগ্য হয়েছিল। সিনেমায় ভাষার বহুত্ব নিয়ে প্রশ্ন করায় জবাব দিয়েছিলেন, একটু কান পেতে শুনে দেখবেন তো আমরা রোজকার জীবনে কত ভাষা বলি আর শুনি। ভারত যে বহুভাষী দেশ তার ছাপ সিনেমাতে পড়াটাই স্বাভাবিক।

    গরম হাওয়া সম্ভবত ওঁর বানানো সবথেকে বিখ্যাত সিনেমা। এতেও ভাষা নিয়ে একটা ব্যাপার আছে। নিখাদ তকল্লুফ সমন্বিত উর্দু আলফাজের ব্যবহারের কথা বলছি না। সে তো চিত্রনাট্য লেখক কাইফি আজমির কলমের জোরের জন্য আসতে পারে। বা লেখিকা, উর্দু সাহিত্যের আরেক বাঘ, ইসমত চুঘতাইয়ের দৌলতে আসতে পারে। তার বাইরেও বোধহয় সিনেমার মেজাজ বলে কিছু থাকে। এই সিনেমায় সেই মেজাজ আসছে একদা মোগল সাম্রাজ্যের কেন্দ্র আগ্রা শহরের বাসিন্দা উর্দুভাষী এক মুসলমান পরিবারের হেঁসেল ছাদ লেপ কম্বল বালিশ তোষক দস্তরখান থেকে। উত্তর ভারতীয় উর্দু আবহ ফুটিয়ে তোলার চ্যালেঞ্জ দক্ষিণী নিয়েছিলেন। প্রায় পঞ্চাশ বছর পর যে সেই সিনেমা নিয়ে লিখতে বসেছি তা বোঝায় যে সাথ্যুর হিম্মত সার্থক হয়েছিল।

    সিনেমাটি অনেকেই দেখেছেন নিশ্চয়ই। খেই ধরানোর জন্যঃ সলিম মির্জা (বলরাজ শাহনি) ছোট এক জুতো কারখানার মালিক। দেশভাগের পর সলিমের দাদা লুকিয়ে পাকিস্তানে পালালেন (লিগের নেতা ছিলেন)। পৈতৃক হাবেলি সরকার ক্রোক করল (শত্রু সম্পত্তি, বাড়ি দাদার নামে ছিল)। এদিকে জুতোর কারবার লাটে উঠছে কেননা পাকিস্তানে পালাবে এই ভয়ে কেউ ধার দিতে চায় না। ক্যাপিটাল ছাড়া ছোট ব্যবসা কী করে চলে। সলিমের দুই ছেলে, এক মেয়ে। বড় ছেলে ব্যবসায়ে বাবার সাহায্য করত। হিন্দুস্তানে নানানভাবে হেনস্তা হয়ে, বৌ-বাচ্চা নিয়ে পাকিস্তানে চলল। ছোট ছেলে সিকন্দর (ফারুক শেখ) শিক্ষিত যুবক। কলেজ পাশ দিয়ে চাকরি খুঁজছে, ঠোক্কর খাচ্ছে। মেয়ে আমিনার (গীতা সিদ্ধার্থ) সাথে জ্যাঠতুতো দাদার প্রেম ছিল, বিয়ে ঠিক ছিল। হবু বর পাকিস্তান চলে যাওয়ার ফলে বিয়ে বানচাল হল। সিনেমা এবার বাবার থেকে সরে মেয়ের ওপর কেন্দ্র করবে। আমিনার পেছনে পিসতুতো দাদা শামশাদ ঘুরঘুর করছিল। মন ভেঙে যাওয়ার পর তাকেই আমিনা আঁকড়ে ধরল। কিন্তু পিসেমশাইও নানান ফেরেববাজি করে শেষে সপরিবারে পাকিস্তানে পালালেন। অঙ্গীকার ভেঙে শামশাদ সেখানেই বিয়ে করবে এই খবর শোনার পর আমিনা আত্মহত্যা করে। শেষ দৃশ্যে সলিম মির্জা হেরে গেছেন, তার বিরাট পরিবারের অবশিষ্ট, স্ত্রী (শওকাত আজমি) আর ছেলেকে নিয়ে আগ্রা স্টেশনে ট্রেন ধরতে যাচ্ছেন। রুজি-রুটি-মকানের দাবিতে রাস্তাজুড়ে লাল ঝান্ডার মিছিল চলছে তখন। ছেলে বলে, যাব না, এখানেই থাকব। বাপ-ব্যাটা টাঙ্গা থেকে নেমে মিছিলে মিশে যাবে।

    অভিনয়ে দুর্বল জায়গা নেই বললেই চলে। বলরাজ শাহনির অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাজ। শওকাত আজমিও উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন। এডিটিং পরিমিত। পুরোনো ধাঁচের বাড়িঘরে শুটিং হয়েছে। ঘর ছোট, ক্যামেরার সামনে কম জায়গার জন্য দমচাপা একটা ভাব এসেছে। তবে তা মানিয়ে গেছে। ক্যামেরার কিছু অভিনব ব্যবহার চোখে পড়ল। আবহসংগীতের প্রয়োগ ঠিকঠাক। অপ্রাসঙ্গিক গানটান নেই। ভিলেন চরিত্রগুলো খানিক একমাত্রিক হয়েছে, এছাড়া চিত্রনাট্য নিয়ে নালিশ নেই।

    বলার অপেক্ষা রাখে না সিনেমাটি মুসলমান সমাজ ও দেশভাগের ট্র্যাজেডি নিয়ে। চলে যাওয়া বা রুখসত নিয়েও। প্রথম দৃশ্যে কালো ঢাউস টিউবের মত দেখতে স্টিম ইঞ্জিন হুইসল বাজিয়ে আগ্রা স্টেশন ছেড়ে যাচ্ছে। এর পরেই এক দীর্ঘ শটে সলিম মির্জার প্রোফাইল দেখা যাবে শুধু (সে যুগের বোম্বাই ফিল্মের নিরিখে বেশ চিত্তাকর্ষক), শুধু মুখের দিকে আলো এসে পড়েছে, ব্যাকগ্রাউন্ডে ট্রেন জোরে ক্রমে আরো জোরে ছুটে বেরিয়ে যাচ্ছে। সাদাচুল মাথার ওপর কালো টুপি, প্রবীণ মুখে বলিরেখা আলো ছায়ায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, শেরওয়ানি গায়ে, স্মিত মুখে এক হাত নাড়িয়ে বিদায় জানাচ্ছেন চলন্ত ট্রেনকে। মনে হয় সিনেমার মূল চুম্বক দৃশ্য। পরে টাঙ্গাওয়ালার সাথে কথাবার্তায় জানতে পারব মির্জা বড়দিকে পাকিস্তানের ট্রেনে উঠিয়ে এলেন। ফিল্মের শেষ দৃশ্যেও মির্জা দেশ ছেড়ে যাওয়ার জন্যই বেরিয়েছিলেন। রুখসত – প্রস্থান -- ফিরে ফিরে আসে সিনেমায়। বার বার আমরা দেখব অপস্রিয়মাণ রেলগাড়ি; তার পিছনে দৃশ্যমান হচ্ছে অতিকায় কোন বাদশাহি ইমারতের গম্বুজ, যা স্থানু। দেখব যাঁরা প্রিয়জনদের ছাড়তে এসেছেন তাঁদের। কখনও মির্জা, কখনও বা তাঁর মেয়ে -- প্রেমাস্পদকে পাকিস্তানের পানে রওনা করে দেওয়ার জন্য এসেছে, সে নিজেও যাবে একদিন, সে রকমই কথা ছিল। শেষ পর্যন্ত তাদের কারওই যাওয়া হবে না।

    আশ্চর্য ব্যাপার, সলিম মির্জার মুখে কোনও বক্তৃতা শোনা গেল না। উটকো লোকে পাকিস্তানের চর বলছে, সেখানেই চলে যেতে বলছে। রুজি-রোজগার দফারফা। দাঙ্গায় মাথা ফেটে গেছে। দাদা-দিদি-ছেলে-নাতি দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। সাতপুরুষের ভিটে সরকার নিলাম করে দিয়েছে। কাঁধে তুলে বুড়ি মাকে পুরোনো ভিটেতে নিয়ে যাচ্ছেন, যাতে বাড়িতে মরতে পারার মিথ্যে মায়া রয়ে যায়। মুসলমান হওয়ার অপরাধে ছেলের চাকরি জুটছে না। বড় আদরের মেয়ের বিয়ে ভেঙে যাচ্ছে, আত্মহত্যা করছে। তাও গোঁ ধরে হিন্দুস্তানে পড়ে আছেন কেন? এইখানে হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতির একখানি বক্তিমে অনায়াসে গুঁজে দেওয়া যেত। কিন্তু না। খালি, ‘ইয়ে উমর ওয়াতন ছোড়কে জানে কি নহি, ইস দুনিয়া সে উস দুনিয়া জানে কি হ্যায়।’ ব্যাস। দর্শক বুঝে নিন মির্জার ওয়াতন কোনখানা।

    অনুচ্চকিত এই সিনেমার আরেক বৈশিষ্ট্য ঐতিহাসিক আবহ। মোগল সাম্রাজ্যের হৃতগৌরব অথবা গঙ্গা-জমুনি তহজিবের ওপর বক্তৃতা নেই। উত্তর ভারতের মুসলমান সমাজের হাতের থেকে ক্ষমতা চলে যাওয়ার, পদে পদে অসম্মানিত হওয়ার বিষাদ আছে, অনুচ্চারিতভাবে। আগ্রার বিরাট নির্লিপ্ত ইমারতের সমুখে খুদে মানুষদের মধ্যে ঘটনার বয়ে যাওয়ার শটগুলোয়। সলিম চিস্তির দরগার কাওয়ালির আসমান-ছোঁয়া তানে আছে। সেই তান ফিরে ফিরে আসে। প্রেমে-সান্নিধ্যে, হৃদয় ভেঙে যাওয়ার মধ্যে, মৃত্যুতে। ‘ঘুঙ্ঘট কি লাজ রাখনা, ইস সর পে তাজ রাখনা’। তাজ খসে গেছে কবে।

    উনিশ শতাব্দীর শেষ দিকে আমাদের শহরে তৈরি হয়েছিল দুর্গামণ্ডপটি। ব্রিটিশ আমলে প্রবাসী বাঙালিদের মাথারা ভালই টাকাকড়ি করেছিলেন, ওকালতি, চা-ব্যবসা, সরকারি চাকরিতে। তাদের উদ্যোগে এই দুর্গামণ্ডপ গড়ে ওঠে। বাংলা মাধ্যম ইস্কুল টিস্কুল এদের সাহায্যে তৈরি হয়। দেশভাগের উদ্বাস্তুর ঢলের ফলে এই বারোয়ারি জায়গাগুলোতে লোকের অভাব হয় নি। তিরিশ-চল্লিশ বছর আগে পুজোর দিনগুলোয় পা রাখা যেত না। গতবছর অষ্টমীর সন্ধ্যায় দেখলুম, গুটিকয় মানুষ ইতস্তত ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ঢাক বাজছে, ঝাপসা, একলা মত। ছাত্রের অভাবে বাংলা ইস্কুল বন্ধ হওয়ার মুখে। নতুন জেনারেশন কতক বেঙ্গালুরু, পুনে, গুড়গাঁও। আগের প্রজন্ম শিলিগুড়ি-কলকাতা পাড়ি দিয়েছিল। ভূমিপুত্র না হওয়ার অগৌরব কত সওয়া যায়। কলকাতা, শিলিগুড়ি বা বেঙ্গালুরুতেও কি ভূমিপুত্র হওয়া যাবে?

    তবে সলিম মির্জা পাকিস্তানে চলে গেলেই পারতেন। ‘মানুষ আর কতদিন একলা বাঁচতে পারে’ বলে যে ইনকিলাব জিন্দাবাদের মিছিলে নেমে পড়লেন, তা শেষ রুখসতকে থামিয়ে দিল ঠিক। কিন্তু তাকে কি ঠেকাতে পারল যা মির্জাকে শেষমেষ হারিয়ে দিয়ে স্টেশনের পথে ঠেলে দিয়েছিল? আমরা কি ঠেকাতে পারছি? মির্জার পাকিস্তান না যাওয়া গণনাট্য মঞ্চের ভাল লাগলেও, পঞ্চাশ বছর পর মোদিরাজ্য ও যোগীরাজ্যের প্রজা সলিম মির্জার সন্ততিদের ভাল লাগছে কিনা জানতে ইচ্ছে হয়।

    ছবির উৎস: মূল ছবি, উইকি


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৫ অক্টোবর ২০২১ | ২৮৫৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • santosh banerjee | ০৫ অক্টোবর ২০২১ ১৮:০৯499127
  • অসাধারণ ছবি। ঋত্বিক বাবু ,নিমাই ঘোষ কে বাদ দিয়ে আর কেউ এত বলিষ্ঠ ছবি ( দেশভাগের ওপর) করেছেন কিনা সন্দেহ। আমরা, যারা দেশভাগ... মুসলিম হিন্দু এসব ব্যাপারে ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে বড়ো হয়েছি, তাদের চোখ খুলে দিয়েছিলেন সথ্যু সাহেব।আর মনে হয় যেভাবে দেশভাগের দগদগে ঘা টাকে বর্তমান সরকার আবার চাগিয়ে দিচ্ছে, ঐ ক্যা ... বিদেশি..ঘুষপেটিয়া... উইঘুর এসব করে মানুষের অস্তিত্ব বিপন্ন করে তুলেছে, তখন তো এই ছবি বারবার দেখানো উচিৎ। তাই, মনে হয়, সেলিম মির্জা'র উত্তরাধিকার গন ঐ মিছিলের সাথী হবেন। পালিয়ে যাবেন না। 
     
  • Kallol Dasgupta | ০৫ অক্টোবর ২০২১ ১৯:৪৫499136
  • "সেলিম মির্জা'র উত্তরাধিকার গন ঐ মিছিলের সাথী হবেন" -  ঐখানেই যতো গন্ডোগোল। সেই মিছিলটাই যে উবে গেছে। ছবিটা দেখেছিলাম, তখন কলেজে পড়তাম, স্বপ্ন তখনো উথালপাথাল। সেই স্বপ্ন ক্রমশঃ ছিঁড়েখুঁড়ে ন্যাতকানি। তবু কেউ প্রতিবাদ করলে তার হাত ধরি।  এভাবেই শেষ হয়ে যাবো, অন্য অনেক বন্ধুর মতোই। হয়তো বা গায়ে জড়ানো থাকবে বিবর্ণ লাল সালু আর বেঁচে থাকা বন্ধুরা স্খলিত স্বরে গাইবে আন্তর্জাতিক গান। এটুকুও পাবো কি ? 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:7475:c72d:3da8:***:*** | ০৫ অক্টোবর ২০২১ ২০:৩৯499145
  • ভাল লাগল, দেবর্ষির লেখা। 
    কল্লোল-দা, স্বপ্ন টা থাকুক, সেটুকু অন্তত। দিন তো বদলায় , নতুন মানুষেরা আসে। 
    রিলে রেসের ব্যাটন দিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন হাত ঠিকই পেয়ে যাবেন 
  • Kallol Dasgupta | ০৬ অক্টোবর ২০২১ ০৭:৩৭499162
  • অরণ্য। বন্ধুদের চলে যাওয়ার তাড়া দেখে এখন এসবই মনে হয়। ঈশ্বরধারণায় বিশ্বাসী হওয়া গেলো না, তাই সব কিছু "তাঁর" উপর ছেড়ে দেওয়ার বিলাসীতা করতে পারিনা। স্বপ্ন অনেকটা নিশ্বাস বা হৃদস্পন্দনের মতো - থেকেই যায় আমৃত্যু। মৃত্যুর পর মস্তিষ্ক থাকে না, তাই স্বপ্নও থাকে না। আমার শরীর ক্ষিতি-অপ-তেজ-মরুৎ-ব্যোম এ ভাগ হয়ে যাবে। আমি থাকবো না। তখন স্বপ্ন দেখার কেউ থাকবে কি না সেট আজকের আমি'র কাছে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে। এই অবয়বটি যতক্ষন আছে, তা চেতনাহীন হলেও ততক্ষণ তা নিয়ে কিছু কল্পনা করতে পারি। তারপরে তো কল্পনার অতীত। 
    এখনো পর্যন্ত যে ভাবে সব কিছু চলছে, তাতে হারারীর ২১ প্রশ্নই প্রায় জবাবহীন। মার্ক্সের মতো অসাধারণ চিন্তবিদ প্রযুক্তির এই অভাবনীয় উল্লম্ফণ ভাবতে পেরেছিলেন, কিন্তু তার মনে হয়েছিলো এসব ঘটবে উত্তর পুঁজির কালে। ওনার গ্রুড্রিজে নোটবুকে সেসব লিখেও গেছেন। সেও তো স্বপ্নই ছিলো, আজ বাস্তব, কিন্তু একেবারেই অন্য বাস্তব।  
  • santosh banerjee | ০৬ অক্টোবর ২০২১ ০৯:৫৫499173
  • একটা দেশের সবাই যদি হতাশ গ্রস্থ হয়ে ওঠে, বিশ্বাস আর ভিতে যদি ফাটল ধরা পড়ে ( এবং স্বীকার‌ করতে দ্বিধা নেই ...চিড় ধরেছে) তখন কল্লোল বাবু কেন , আমিও ঐ একই কথা বলব। কিন্তু... তাহলে বাঁচবো কি করে। ঠকিয়েছে তো সবাই...ডান,বাম, মধ্যম.. বন্ধু.. দাদারা... সংসার...নেতা... লম্বা লিস্ট!! তার মধ্যে উঠে দাঁড়ায় একটা সট্যান স্বামী, একটা কালবরগী, বা একটা গৌরী লঙকেশ??? তখন যেন বেঁচে থাকতে আরো ইচ্ছে হয়! এটা আমার অভিমত।
  • Ranjan Roy | ০৭ অক্টোবর ২০২১ ১২:৫৩499262
  • প্রথমবার সন্তোষবাবুর  সংগে  আমার- মতে মিলল।
  • Sobuj Chatterjee | ০৭ অক্টোবর ২০২১ ২০:৩২499279
  • এই ধরনের ছবির চাহিদা এবং তার কদর  ভীষণ ভাবে বর্তমান। ''মান্টো' উঠে আসুক এমনি গভীর মননশীল আলোচনায়। খুব বড় করে দাঁড়িটা টানা হচ্ছে না। কোথাও যেন 'all is well' ধরনের এক অলসতা , এক মানসিক দৈন্যতা কাজ করছে! কিন্তু সেটাতো এক হঠকারিতা! এক মনখারাপি কানহাইয়া সংবাদ।
    এমন পরশ পাথরের জন্য লেখককে শারদীয় ধন্যবাদ। চরৈবেতি! 
     
  • Kallol Dasgupta | ০৮ অক্টোবর ২০২১ ১৯:৫৭499317
  • সন্তোষবাবু। 
    কি জানি ! সেই ক্ষুদিরাম, ভগৎ সিং থেকে স্ট্যান স্বামী সবই পরাজয়ের ইতিহাস। বিদ্রোহ-লড়াই ও পরাজয়। 
    এমনি করেই আর কতোকাল জীবনের বিনিময়ে বারবার কালো মৃত্যুকে হবে কেনা ? 
    মৃত্যুর দামে কবে শোধ দেবো, জীবনের যতো দেনা !
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন