এই মরশুমের অন্য খেলাটি কৌতুহলোদ্দীপক। আফগানিস্তানের অর্থনীতি চলে আফিম, ফল ও বন্দুকের কুটির শিল্পের উপর। ফল ছাড়া দুটি পণ্যই আন্তর্জাতিক বাজারে বেআইনী। কিন্তু কিন্তু কিন্তু - আজারবাইজানের তেল করাচীর বন্দরে আনতে গেলে আফগানিস্তানের জমিনে কব্জা লাগবে। চীন-পাকিস্তান সেই কারনেই তালিবানের পাশে। করাচী থেকে রাস্তা তৈরীর কাজ বহুকাল ধরে চীন চালাচ্ছে। এই সাফল্য যতটা তালিবানেদের তার চেয়ে বেশী চীনের। ... ...
বেলা ১টা নাগাদ পৌঁছে গেছিলাম কার্জন পার্কে। সে এক উৎসবের মেজাজ সারা পার্কটাকে ছেয়ে ফেলেছে। জায়গায় জায়গায় গোল হয়ে বসে গেছে গানের দলগুলো। এখানে অরণি তো ওখানে মাস সিংগার্সের বন্ধুরা। ওদিকে উত্তরপাড়ার ইউনিট থিয়েটারের (যারা ‘হচ্ছেটা কী’ আর ‘লাশ বিপণি’ করত) বন্ধুরা নাটকের একটা বিশেষ অংশের মুভমেন্টগুলো ঝালিয়ে নিচ্ছে। এদিকে আরএকজন একটা আশ্চর্য মূকাভিনয় করে দেখাচ্ছে - প্রাণপণে দৌড়াচ্ছে সামনের দিকে কিন্তু আসলে পেছনে হাঁটছে - ইন্দিরার ‘প্রগতিশীলতার’ আসল চেহারা। ... ...
গত পঞ্চায়েৎ নির্বাচনে স্বৈরাচারী কাজকর্মের চূড়ায় পৌঁছে গেছিলো শাসকদল হিসাবে তৃণমূল। বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েৎ-এর কদর্য ভাবনায় বিরোধীদের মনোনয়ন না দিতে দেওয়া থেকে বিরোধী সন্দেহে মানুষকে ভোট দিতে না দেওয়া, ছাপ্পাভোট, বুথ দখল এইসব কাজের ফলে সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভ জমে উঠেছিলো। সেই সাথে আমফান ত্রান ও তার আগেকার নানান দুর্নীতি তো ছিলোই। কাজেই প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া ছিলোই তা নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু পাশাপাশি অন্য অনেক কাজের ফলে গ্রামীণ মানুষের কাছে তৃণমূলের গ্রহনযোগ্যতাও ছিলো সন্দেহাতীত। সেগুলো নিয়ে পরে আলোচনা করবো। ... ...
গত ১৫/৫/২০২১ অর্থাৎ ঈদের ঠিক পরেরদিন শান্তিপুর থানার অর্ন্তগত বেলতলার বাবলাবন গ্রামে স্থানীয় শনি মন্দিরের গ্রিলে গোমাংস ঝুলিয়ে রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। রাস্তা অবরোধ, পুলিশের লাঠিচার্জ, গ্রেফতার ও মারপিটের ঘটনাও ঘটে। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস শেল ও ফাটায়। এলাকায় এখন ও উত্তেজনা রয়েছে । এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এপিডিআর কৃষ্ণনগর শাখা ও শান্তিপুর জন উদ্যোগের পক্ষ থেকে ১৯/৫/২০২১ তারিখে একটি তথ্যানুসন্ধান করা হয়। ... ...
১৯৭৪। এপিডিআর থেকে মিছিল করে এসেছি এসপ্ল্যানেড ইস্টে, রাজনৈতিক বন্দিমুক্তির দাবিতে। মনে আছে, হাওড়ার ছেলে, বনবিহারীবাবুদের গ্রুপে ছিল সঞ্জীবদা, একটা বাসের মাথায় চড়ে বক্তৃতা করছিল। আমি আর জয় কৌটো ঝাঁকিয়ে পয়সা তুলছিলাম। সেদিন ওখানে ওয়েবকিউটার জমায়েতও ছিল। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম মনোভাবাপন্ন মাস্টারমশাইরা ওঁদের নানান দাবি দাওয়া নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন। আমিই প্রথম দেখি আমাদের কলেজের সলিলদা (ইংরাজি পড়াতেন) আর হিতেনদা (বাংলা পড়াতেন) দাঁড়িয়ে আছেন। সদ্য কৈশোরের অ্যাডভেঞ্চার পোকা নেচে উঠল। জয়কে বললাম - চল যাই। ওঁরা সেই আমলে দশ টাকা দিয়েছিলেন। আর সলিলদা বলেছিলেন কলেজে দেখা করতে। ... ...
যেটা চিন্তার সেটা হলো এই দর্শন, এই রাজনীতি। ইরাক যুদ্ধের সময় বুশ সিন্ড্রোম বলে কুখ্যাত হয়েছিলো যে উক্তিটি – “যদি তুমি আমার বন্ধু না হও, তবে তুমি আমার শত্রু”। এক সাম্যাজ্যবাদীর যে দর্শন মানায়, তাতে যদি বামপন্থী বলে দাবী করা কেউ আস্থা রাখে, তবে বুঝতে হবে সমস্যা গভীরে। এ দর্শন সাম্রাজ্যবাদ তথা ফ্যাসীবাদের দর্শন, যে তার মদমত্ত অহংকারে বন্ধু চিনতে ভুল করে, বা বলা ভালো বন্ধু চিনতে অস্বীকার করে। এ দর্শন বাম বলে কথিত পরিসরে জোরেশোরে মান্যতা পাচ্ছে মানে এ রাজ্যে বিজেপি ভোটে যতই হারুক, সে তার “কার্বন ফুটপ্রিন্ট” ছেড়ে গেছে। আজ না হলে তা বিষবৃক্ষ হয়ে ওঠার আগেই তাকে নির্মূল করে ফেলার কাজে সচেষ্ট হতে হবে। ... ...