এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  গপ্পো

  • ছোট নদী, ভেনিস আর ভিজে জুতোর গপ্পো

    Nirmalya Nag লেখকের গ্রাহক হোন
    গপ্পো | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৩৪৬৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৪ জন)
  • "আমাদের ছোট নদী যায় অলিগলি
    আশ্বিন মাসে সেথা হাঁটুজলে চলি
    ডুবে থাকে নুড়ি আর ভেসে যায় জুতো
    ঘরে জল ঢুকে আসে পেলে কোনও ছুতো…"

    এই পর্যন্ত ভাবতেই একটা কোটেবল কোট মনে এলঃ "আপনাকে কদাচ ক্ষুদ্র আধারে আবদ্ধ রাখিতে নেই”। কোটটা প্লেটোর না আমার বৌ-এর এখন ঠিক মনে পড়ছে না। অবশ্য তাতে কিছু আসে যায় না, মহামানবরা থিংক অ্যালাইক। সুতরাং রবি ঠাকুরের ছোট নদী ছেড়ে ভেনিসের খালবিলের কথা ভাবতে বসলাম। সত্যিই অনেক বড় হল ব্যাপারটা, একে ইটালির শহর, তায় অ্যাড্রিয়াটিক সাগর - হুঁহুঁ বাবা, সাগর - আর সেখান থেকে আসা জল।

    এই সব ভাবতে ভাবতেই জলে আলোড়ন। সমুদ্দুর, না না ছোট নদী, ধুত্তোর আমার বাড়ির সামনের রাস্তা ভর্তি হাঁটু জল ঠেলে পাশের বাড়ির ভাড়াটে হরিশ মুরারকা অফিস যাচ্ছে। পিঠে ব্যাকপ্যাক, গায়ে ফুল শার্ট, গলায় টাই আর সেই সাথে বারমুডা, সেটা ডানহাত দিয়ে একটু উঁচুতে তুলে ধরা (ব্যাকপ্যাকে নিশ্চয় অফিসে পড়ার মত প্যান্ট আছে), আর মোবাইল ধরা বাঁ হাত কানে। ফ্ল্যাট বাড়ির তিন তলার বারান্দা থেকে আমি ভাবছি ফোনটা না জলে পড়ে যায়। আমার ভাবা শেষ হল না, তার আগেই হোঁচট খেল হরিশ, সামনে একটা ছোট বাম্পার আছে সেটায়। জলের মত আকাশও ঘোলাটে, রোদ নেই, থাকলে হয়তো বাম্পারটা দেখতে পেত। ভাগ্য ভাল টাল সামলে নিতে পেরেছে। চেঁচিয়ে বললাম, “সাবধান।” ডান হাত তুলে আমার দৈববাণী অ্যাকনলেজ করতে গিয়ে বারমুডার নিচের দিকটা ভিজে গেল ভদ্রলোকের। ফোন জামার পকেটে পুরে এগিয়ে গেলেন তিনি।

    হরিশকে অফিসে যেতে হচ্ছে, কোথায় অফিস অবশ্য জানি না। আমি গত বেশ কয়েক মাস ধরে ভাবছিলাম আমায় কবে যেতে হবে। এই ‘ওফহো’ - মানে বাংলায় যাকে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ বলে - সেটা আর পোষাচ্ছে না। এখন অবশ্য মনে হচ্ছে ভাগ্যিস যেতে হচ্ছে না। সেক্টর ফাইভে আমার অফিস, টিভির খবর দেখে মনে হল ওখানে ‘দুয়ারে দীঘা’ প্রকল্প চালু হয়েছে। কলকাতার অন্য প্রান্তে থাকা একজন হোয়াটস্যাপে জানালো তার খুব ইচ্ছে ছিল নদীর ধারে একটা বাড়ি করবে, সে ইচ্ছা তার এত দিনে পূর্ণ হল। তার বাড়ির পাশ দিয়ে তাতা থৈথৈ তাতা থৈথৈ করে জলরাশি না কি নিতি নৃত্য করছে।

    তা করতেই পারে, বৃষ্টিটা সত্যিই সাংঘাতিক হয়েছে, সেপ্টেম্বরের ২০-২১-এ ২০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে, এমন বাদল নাকি ২০০৭-এর পর আর দেখেনি কলকাতা। চোদ্দ বছর আগের কথা অত মনে নেই। আমি কেষ্টপুরে থাকি, দেড় দিন কারেন্ট ছিল না। আশেপাশে কাদের বাড়ির মিটার বক্স নাকি জলের সাথে ছোঁয়াছুঁয়ি খেলছে, সেই জন্য। বারান্দায় দাঁড়িয়ে বাড়ির সামনে দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘোলা জল দেখছিলাম, লোকে যেমন বিচে বসে সমুদ্রের নীল জলের দিকে তাকিয়ে থাকে। ফেসবুকে এক জন লিখেছে কলকাতার লণ্ডন হওয়ার কথা ছিল, ভেনিস হয়ে গেছে। টিভিতেও দেখলাম কোথায় যেন গন্ডোলা, থুড়ি, র‍্যাফটে করে লোক যাচ্ছিল খাস কলকাতায়।

    ছোটবেলায় মোটা বেতের ঝুড়ি মাথায় ফেরিওয়ালারা হেঁকে যেত “হরেএএএক মাল পাঁসসিকে”, এখন যায় তাদেরই আধুনিক সংস্করনরা, রেকর্ড করা গলায় বলে “আমাদের প্রচার গাড়িতে পাবেন নানা ধরনের জিনিস”। ‘প্রচার গাড়ি’ শব্দগুচ্ছ অনেকটা ‘সৌন্দর্য সাবান’-এর মত, কী যে তার মানে কেউ জানে না। যাই হোক, সেই পায়ে চালানো গাড়িতে যা যা থাকে তার প্রায় সবই ভেসে যেতে দেখলাম বারান্দা থেকে - ছোট গামলা, বাটি, খেলার বল, বোতল, ক্যারি ব্যাগ, দড়ি ইত্যাদি। গাড়িতে যা থাকে না তাও দেখলাম - ধবধবে সাদা টগর ফুল, সবুজ রঙের বাঁশ, গাছের পাতা, এমনকি এক পাটি জুতোও।

    প্রচার গাড়ি না যাক, সবজির গাড়ি দু-একটা গেলে তো পারে। গৃহিনী বার বার ঘর আর বারান্দা করছেন। আলু পেঁয়াজ ডিমের স্টক নাকি কমে এসেছে। রাজু এবং শামসুল - তেনার দুই পছন্দের সবজি বিক্রেতা - ফোনে জানিয়েছে তারা আসতে পারেনি, তাদের বাড়ির কাছে কোমর সমান জলের জন্য। অন্য তরকারিওয়ালাদেরও একেবারেই দেখা যাচ্ছে না। বলতে গেলাম, “আমিই না হয় তাহলে এক বার বাজারের দিকে…”; পঞ্চদশী কন্যা পড়া ফেলে লাফিয়ে উঠল, “বাবা আমিও যাব…”; তারপর উভয়েই চুপ করে গেলাম। কেন গেলাম তা অন্য কোনও সময়ে বলব, যখন রাস্তায় জল জমে থাকবে না, যখন চাইলেই টুক করে পালিয়ে যাওয়া যাবে।

    টিভি, ল্যান্ডলাইন ফোন, ল্যাম্প পোস্টের ইলেকট্রিক লাইন আর ইন্টারনেটের জন্য যত সরু মোটা নানা কিসিমের তার এদিক ওদিক দিয়ে গেছে বলে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের একটা ফিজিক্যাল মাইক্রো মডেল তৈরী হয়েছে বারান্দার খানিক নিচে। সেই জালের ভেতর দিয়ে দেখা যাচ্ছে উলটো দিকের বাড়ির এক তলার বারান্দায় ‘মলি’, একটি লোম ঝুমঝুম সারমেয়, মন খারাপ করে গেটের গ্রিলে থুতনি রেখে বসে আছে। তাকে কেউ বেড়াতে নিয়ে যাচ্ছে না।

    মলির প্রতিবেশি জন্টির ভাগ্য কিঞ্চিৎ ভাল। তাকে কোলে নিয়ে জল ঠেলে ঠেলে একটু আগে ঘুরতে বেরিয়েছেন রায়দা। তাঁর নিজের আবার অন্য সমস্যা, বাইরে এসেছেন কিন্তু মাস্ক পরতে ভুলে গেছেন। নিচ থেকে ছেলের নাম ধরে ডাকাডাকি করায় দোতলার বারান্দা থেকে ব্যাগে করে মাস্ক নেমে এল। এবার সেটা পরবেন কী করে, কোলে তো জন্টি, আর তার সাইজ মলির চেয়ে বেশ বড়। আচ্ছা, পোষা কুকুরদের সব সময়ে এমন বহিরাগত নাম হয় কেন বলুন তো - হ্যারি, জিমি, টাইগার, স্নোয়ি ইত্যাদি? পাড়ার কুকুরদের তো সব সময়ে কালু, লালু, ভুলু এই সব নামে ডাকা হয়। যাই হোক, রায়দা একটা জায়গা পেয়েছেন জন্টিকে নামানোর। জলের ব্যাবসা করা শুভর তিন চাকা ট্রলি ভ্যানটা সামনে চেন দিয়ে বেঁধে রাখা ছিল, সেটার ওপরটা জলের ঊর্ধে মাথা তুলে বিদ্রোহীর হয়েছে। তাতে নামানো হল জন্টিকে। রায়দা গিয়ে ঝোঝুল্যমান ব্যাগ থেকে সার্জিক্যাল মাস্ক বার করে পরে নিলেন। তারপর জন্টিকে ফের কোলে তুলে চললেন ভিআইপি রোডের দিকে।

    হঠাৎ ঘরের ভেতর থেকে হঠাৎ কন্যার চেঁচামেচি। কী ব্যাপার? জানা গেল তার এক বন্ধুর বাড়ির একতলায় ভাল রকম জল ঢুকেছে আর তার সাথে ফ্রি অ্যাকোমোডেশন পেতে চলে এসেছে একটা ‘পয়জনাস’ সাপ। আরও দুর্ভোগের ব্যাপার হল সাপটাকে নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফোনবাহিত এই বার্তা পেয়ে সে বেশ ঘাবড়ে গেছে। এসব সাপ সাধারনতঃ বিষধর হয় না এই সব বলে টলে বারান্দায় ফিরে এলাম। ঘটনাটা সত্যিই বেশ বাজে - ঘরের ভেতর রাস্তার জল ঢুকে যাওয়া। ভবানীপুরে এক বান্ধবীর বাড়িতে নাকি ফি বর্ষায় জল ঢোকে আর তার সাথে অনেক ইয়ে - মানে যা শরীরের বাইরে যাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কিন্ত ঘরের ভেতরে থাকা নেহাতই বিবমিষাজনক - তাও কোথা থেকে চলে আসে। এবারের এই প্রলয়ংকর অবস্থায় তাদের কী অবস্থা জানি না, মানে জানতে না চাওয়াই ভাল।

    একটা ধাঁধা ছিল না - “হরির উপরে হরি, হরি শোভা পায়, হরিকে দেখিয়া হরি, হরিতে লুকায়।” ধাঁধার উত্তরটা বলে দেওয়াই ভাল - যদিও জেনারেশন জেড-এর কেউ এ লেখার দিকে দ্বিতীয় বার ফিরে চাইবে বলে মনে হয় না। আসলে ‘হরি’গুলোর অর্থ আলাদা আলাদা। জলের উপরে পদ্মপাতা, তার উপরে শোভা পাচ্ছে ব্যাং বাবাজী, সাপ দেখে সেই ব্যাং জলের মধ্যে ডুব দিয়ে লুকিয়ে পড়ল। এখনকার অবস্থাও অনেকটা সেই রকম - “জলের উপরে জল, জল শোভা পায়, জলকে দেখিয়া জল, জলেতে লুকায়”। তফাত হল এই ক্ষেত্রে সব জলের একটাই মানে - তা হল অপঃ সলিলং বারি অর্থাৎ জল। নাহ, ভুল বললাম। এ জলেরও নানা অর্থ - উৎপত্তি স্থলের ভিত্তিতে। এতে আছে আকাশের বৃষ্টির জল, রাস্তার ড্রেনের জল, এর রান্নাঘরের জল এবং ওর বাথরুমের জল। সব মিলিয়ে আমাদের নাকের জলে চোখের জলে অবস্থা।

    যাই হোক, এ হেন ডেমোক্রেটিক জলের মাঝে এই বার নামতে হবে। আমি গ্রিন সিগনাল পেয়েছি, কন্যা পায়নি। গৃহিনী জানালেন কিছু জিনিস না আনলেই নয়। আমার ভুলে যাওয়া রোগের জন্য হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ এল - ১) আলু চন্দ্রমুখী মাঝারি দেড় কিলো, ২) পেঁয়াজ ৫০০ মাঝারি লাল দেখে, ৩) মসুর ডাল ৫০০, ৪) মুগ ডাল ৫০০, ৫) ডিম ১ ডজন। লিখিত মেসেজের বাইরে ধ্বনিত মেসেজ এলঃ গণেশের দোকানে যেমন পাওয়া যায় তাই আনতে হবে, দূরে যাওয়ার দরকার নেই, আমার সর্দির ধাত, ঠান্ডা লাগলে… ইত্যাদি ইত্যাদি। যখন বললাম খবর পেয়েছি গণেশের দোকানে জল ঢুকেছে, শাটার নামানো; তখন মোড়ের মাথায় পাল ভাণ্ডার থেকে জিনিস আনার অনিচ্ছার অনুমোদন এল।

    পরনে ঘরে পরার হাফ প্যান্ট আর টি শার্ট, পায়ে কিটো আর হাতের ব্যাগের মধ্যে ওয়ালেট আর মোবাইল। বিল্ডিংয়ের সিঁড়ির নিচের জমা জল ঠেলে রাস্তায় এলাম আর ব্যাস, যা হওয়ার তাই হল - পুরো আর্কিমিডিস হয়ে গেলাম। না না, জলের মধ্যে ধড়াম, থুড়ি, ঝপাস করে পরিনি। ভদ্রলোকের সূত্রগুলো পুনরাবিষ্কার করলাম। থার্মোকলের বড় একটা টুকরো ভেসে ভেসে আসছে, একটা পাপোশ জলে পুরো ডুবে রয়েছে, আর একটা শুকিয়ে যাওয়া ছোট ডাব ডুবে ভেসে আছে। এমন অবস্থার মধ্যেও নিজের ভেতর বৈজ্ঞানিক সত্তা আবিষ্কার করে পুলকিত হলাম। মনে মনে ইউরেকা ইউরেকা আউড়ে, নিজের পিঠ নিজেই চাপড়ে দিলাম। এই জন্যই মহামানবরা বলেছেন "বি পজিটিভ"। চটপট পা চালিয়ে (মানে হাঁটু জলের ভেতর দিয়ে যতটা চটপট যাওয়া যায় আর কি), একটা কুকুরের সাথে ওয়েডিং কম্পিটিশন করে, পালের দোকান থেকে জিনিস নিয়ে ফ্ল্যাটের দরজার সামনে ফিরে এলাম। পায়ের কিটোটা খুলতে গিয়ে দেখি ধুলো পড়ে অত্যন্ত ময়লা হয়ে যাওয়া জুতো জোড়া নোংরা জলে ধুয়ে পরিস্কার হয়ে নতুনের মত ঝকঝক করছে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • গপ্পো | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৩৪৬৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • মহাব্রত | 2401:4900:1044:731b:0:5a:507f:***:*** | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১২:১৭498609
  • যাক, অন্তত একটা ভালো ঘটনা ঘটলো মানে জুতোটা পরিষ্কার হলো l নাহলে এই 'ওফহো' র দিনে তাকে আর কেই বা মনে রাখছে l 
  • | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১২:২৭498610
  • যেসব বাচ্চা বাচ্চা খোকাখুকুরা ৭৮ এর বন্যা দেখে নি ৮৫ র বন্যাও দেখে নি এইবারে দেখে নিচ্ছে।  ৭৮ এ সেন্ট্রাল অ্যাভনিউতে রীতিমত নৌকো  চলেছিল, যুগান্তর পত্রিকায় ছবি বেরিয়েছিল। 
     
    ওফ্রহো জিন্দাবাদ তা সেযে যাই বলুন।
     
    লেখাটা একদম বেগুনীর মত মচমচে।
  • দেবীপ্রসাদ রায় | 42.***.*** | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৩:০৭498611
  • বিগত কিছু বছর  ধরে একটা কথা খুব শুনছি --লাফিং ক্লাবের মেম্বার হয়ে যান আয়ু বাড়বে ।ধারণাটা যদি ঠিক হয় তবে আজ অবশ্যই কিছু  আয়ু  বেড়েছে ।
    তবে বারবার চার্লি চ্যাপলিনের উপস্থাপনা মনের মধ্যে এসে পড়ছিল । এত সাবলীল ভাবে দুর্দশার কথা বলা !  
     
  • রাজা প্রামাণিক | 2409:4060:8f:aa17::2752:***:*** | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৩:৩৯498612
  • আহা খাসা।
  • just DEB | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৪:০৪498614
  • লেখা শেষ হলো বটে, কিন্তু ভিজে ভাবটা থেকেই গেল। জল জমাটা বেকার গেল না।
  • Nirmalya Nag | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৪:১৬498617
  • ধন্যবাদ মহাব্রত, রাজা।
     
    দ, ঠিকই বলেছেন। এ রকম অভিজ্ঞতা হয়ে থাকাও বাচ্চাদের জন্য ভাল।
     
    দেবীদা, যা বললেন তার পরে আর একটি কথাও চলে না। ভাল থাকবেন।
  • সা.ম. | 2409:4060:383:2896::c83:***:*** | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৪:৪৬498619
  • এ যে জলে চুন তাজা! 
  • অদিতি বিশ্বাস | 2409:4060:1e:ab61:5d39:b4f1:acc9:***:*** | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৫:৫৬498626
  • একটু আগে দূরদর্শনের সংবাদে এক সন্তানহারা পরিবারের হাহাকার শুনছিলাম, মনটা যে কেমন ভার হয়ে গেছে বলে বোঝানোর দরকার নেই নিশ্চয়। সেই পাথরচাপা মনটার ওপর দিয়ে এ লেখা হাসির ফল্গুধারা বইয়ে দিল। দেবীপ্রসাদ বাবুর সাথে আমিও একমত। এক চোখে হাসি, অন্য চোখে জল নিয়ে গল্প বলার সেই কারিগরের কথাই মনে পড়ে যাচ্ছিল বারবার। আরও চাই এমন সরস এবং সরেস লেখা। অপেক্ষায় থাকব।
  • তপতী | 2402:3a80:196c:4e65:c925:a458:58c3:***:*** | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:০৪498627
  • দূর্দশা আর দূর্ভোগের কথা এমন করেও বলা যায়!!!
  • Sugata Sanyal | 223.235.***.*** | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:০১498628
  • দারুন 
  • কল্যাণ মুখোপাধ্যায় | 117.194.***.*** | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:৩৭498629
  • এই বর্ষাদিনে বর্ষার কথা ভালো ই লাগলো। স্কুলে (কৃষ্ণপুর আদর্শ বিদ্যামন্দির) পড়ার সময়ে থাকতুম বাঙ্গুর এভিনিউয়ে। সে অনেক কাল আগের কথা। তখনও আটাত্তরের বান ডাকেনি। তখন এমন জল জমার ছবি প্রতি বছর অবশ্য- দৃশ্য ছিল। সঙ্গে কাঁচা নর্দমা উপচে জল চলে আসতো আমাদের ভাড়া বাড়ির রোয়াকের গায়ে। বদ্যিবাটির ছেলে, তখনও এ দৃশ্য কল্পনাতেও আনতে পারতুম না। কাজেই জলে মুফতে নৌকা ভাসানোর সুযোগ পাবার জন্য কৃতজ্ঞ ছিলাম বাঙ্গুর এভিনিউ, কেষ্টপুর খাল - এদের উপর। এরপর হাওড়া। সেখানে পৌঁছে বুঝলুম হ্যাঁ, জল জমতে হলে এরকম বিশ্বরেকর্ড গড়েই জমা উচিত।
  • শংকর প্রসাদ ঘোষ | 110.227.***.*** | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৯:২২498630
  • শেষ হয়ে হইল না শেষ। চমৎকার। ভবানীপুরে বান্ধবী র বাড়ির সূত্রে বিবমিষাজনক বস্তু টির প্রয়োগ অনবদ্য। সামান্য বিষয়কে অসামান্য করে তোলার ক্ষেত্রে লেখকের জুড়ি মেলা ভার
  • Ranjan Roy | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২২:১৯498637
  • এই লেখা নিয়ে কোন কথা হবে না।
    একেবারে অসাম শালা!!!
    বাঙ্গুর এভিনিউয়ের বি ব্লকে আমার কাকিমার আবাসনে এখনও সিঁড়ির নীচে জল জমে আছে খবর পেলাম।
  • Nirmalya Nag | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০১:০৮498644
  • ধন্যবাদ just DEB., তপতী, Sugata Sanyal, শংকর প্রসাদ ঘোষ, রঞ্জন রায়। সবাই ভাল থাকবেন।
    সা.ম. - জলে চুন তাজার উপমাটা অনবদ্য।
    অদিতি বিশ্বাস - পাথরচাপা মন নিয়েই তো এখন সবাই থাকি। তার মধ্যেই আনন্দ খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করি। অনেক ধন্যবাদ।
    কল্যাণ মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণপুর আদর্শ বিদ্যালয় ভিআইপি রোডের যে পাশে তার উলটো দিকে আমি থাকি। আপনি যে সময়ের কথা বলছেন তখন অবশ্য ওই পাড়া কেমন ছিল ভাবনার বিষয়। ভাল থাকবেন।
     
     
     
     
  • kk | 68.184.***.*** | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০২:১৩498645
  • ভারী ভালো লাগলো পড়তে।
  • a | 123.243.***.*** | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৩:৫৩498657
  • বাহ বাহ খাসা হইসে 
  • Nirmalya Nag | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০১:১৯498672
  • ধন্যবাদ kk এবং a
  • শঙ্খ | 2402:3a80:a4b:7195:ffa5:1e6a:22a5:***:*** | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৩:৩৪498686
  • বাহ খুবই উপভোগ্য লেখা।
  • Nirmalya Nag | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২৩:৪১498703
  • ধন্যবাদ শঙ্খ
  • Enakshi Nandi | 223.223.***.*** | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৫:৩৬498716
  • দারুণ দারুণ। ভীষন উপভোগ্য লেখা।
  • abhijit sen | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১:৫১498722
  • অসাধারণ লেখা। 
  • Nirmalya Nag | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১০:২২498735
  • ধন্যবাদ এনাক্ষী নন্দী এবং অভিজিৎ সেন। ভাল থাকবেন। 
  • Nandita Das | 202.8.***.*** | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৩:২২498742
  • অনবদ্য ! দুর্দান্ত লাগল পড়তে 
  • Nirmalya Nag | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০১:৩২498761
  • @নন্দিতা দাসঃ অনেক ধন্যবাদ 
  • | 2601:247:4280:d10:b8e4:dbf8:140d:***:*** | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৪:২৮498763
  • বাপ্পারে তোর ফ্ল্যাটের পাশের বাড়িটাই আমার আত্মীয়ের বাড়ি:-) এদিকে মহা আর রাজাকে দেখে মনে হেবি ফূর্তি হলো। 
    লেখাটা খুব ভালো হয়েছে, অনেকটা সেই স্পেশ্যাল খাস্তা গজার মতো;-)
  • কৌশিক ঘোষ | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৪:৪৭498776
  • বার পাঁচেক পড়লাম গত কয়েক দিনে। মনখারাপ বা প্রেয়সীর সাথে মন কষাকষি, দু'রকম পরিস্থিতিতেই অব‍্যর্থ মহৌষধ। 
    এখন বৃষ্টি পড়ছে না বটে , কিন্তু আকাশ কালো হয়ে। পড়তে শুরু করলাম, হয়তো মন ভালো হয়ে যাবে এই আশায়।
    দেখলাম হিসাবে ভুল করিনি।
  • Nirmalya Nag | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০০:৫৭498796
  • @ ম - সে আত্মীয়ের বাড়ি তো ভাঙা হচ্ছে। যাই হোক, মহার বাড়ির এক তলায় জল ঢুকেছিল। আমি তিন তলা বলে বেঁচে গেছি। এক তলার বাসিন্দা হলে হেব্বি টেনশন। 
     
    @ কৌশিক ঘোষ - প্রেয়সীর সাথে মন কষাকষিও তো মন খারাপের কারণ। বর্ষাকালে এমনিতেই মন একটু স্যাঁতসেঁতে হয়ে থাকে, তার ওপর সত্যি কারের মন খারাপ থাকলে তো কথাই নেই। যাক, না জেনেই এক খান ওষুধ সাপ্লাই দিয়ে ফেলেছি।
  • কৌশিক ঘোষ | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১১:২১498810
  • @নির্মাল‍্য
    লেখা শেষ করার পরে চোদ্দবার কাটাকাটি করেন ? মানে ফাইনাল করার আগে বারবার এডিট করেন ?
  • Nirmalya Nag | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১১:৪৮498861
  • @ কৌশিক ঘোষ 
    এই মরেচে। হ্যাঁ,  লেখা শেষ হওয়ার পর কয়েক দিন ফেলে রেখে ফিরে দেখার বদভ্যাস আছে। তখন একটু আধটু এডিট করি। তবে সব সময়ে নয়। এই লেখায় করা হয়নি,  টাইপো আছে দেখছি পরে। কেন দাদা?
  • কৌশিক ঘোষ | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২৩:২৬498889
  • @নির্মাল‍্য
    আপনি এর আগে আমার উদ্দেশে যে মন্তব্য করেছেন, ঐ যে ওপরে যেখানে আমার প্রেয়সীকে নিয়ে টানাটানি করেছেন (ইসস্, হাসির ইমোজি দেওয়া গেলো না), ওখানে আপনার লেখা মন্তব্যের বাংলা আর আপনার মূল লেখা ভেনিস-ভেজা জুতো-র বাংলা এক না। একদম আলাদা।
    আপনার মন্তব্য পড়ামাত্র মনে হলো আপনি খুঁতখুঁতে। নিজের শব্দচয়ন এবং বাক‍্যবিন‍্যাসের ক্ষেত্রে আপনি সহজে খুশি হন না।
    তাই বলছিলাম আর কি...
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন