
আওতেরোয়ার জন্ম
আহা! কি গদ্য! রূপকথার জন্যই যেন এমন গদ্যভঙ্গিমা তৈরি হয়েছে। সমুদ্রের সফেন উচ্ছ্বাস, রৌদ্রের এলায়িত বিস্তার, কল্পনার যাদু প্রভাব - সব মিলেজুলে এক অসামান্য আখ্যান।
"মাউই দৃষ্টিপথের বাইরে যাওয়া মাত্রই দাদারা হামলে পড়ল মাছটার ওপর। একবার খুঁচিয়ে দেখে, ছুরি বার করে মাছটার গায়ে আঘাত করে, নিজেদের মধ্যে মাছের মালিকানা নিয়ে মারামারি, সে এক বিশ্রী কাণ্ড!
মাছটা গোঙায়, উথালপাথাল করে, লেজে আছাড় মারে। মাছের গা থেকে রক্ত বেরিয়ে গা বেয়ে রক্তের নদী বয়ে যায়। মাউই যখন ফেরত এল, এসে দেখে মাছটা তখন মৃত, আর মৃত সেই মাছের গায়ে একটা দ্বীপ, তার গায়ের রক্ত আর ছিঁড়ে যাওয়া চামড়া থেকে পাহাড়, নদী, নালা, উপত্যকার জন্ম হয়েছে। মাউইয়ের দাদারা লজ্জায় মাথা নীচু করে রইল। মাউই তাকিয়ে রইল তার নতুন মাছ-রূপী দ্বীপটির দিকে।
এই সেই নিউজিল্যান্ডের উত্তর দ্বীপ।"
aranya | 162.115.***.*** | ২০ অক্টোবর ২০২০ ২০:১৯98694সুন্দর। ভাল লাগল মাউই-এর আখ্যান
মাউইয়ের ভাষাও মাউইয়ের মতোই, স্বচ্ছ আর সুন্দর। জনজাতির ভাষা কতো সরল হয়। আমরা ভেতরের চিন্তা লুকিয়ে রাখবার জন্য তাকে অযথা জটিল করি !
ইন্টারেস্টিং, খুব ইন্টারেস্টিং লাগল লেখাটা। আগের পর্বগুলো পড়ে ফেলি।
Atoz | 151.14.***.*** | ২৩ অক্টোবর ২০২০ ০০:১১98787এই লেখাটার প্রতিটা পর্ব মনোযোগ দিয়ে পড়ছি। কিন্তু এই মহাকাব্যিক লেখা টুকরো টুকরো পড়ে তৃপ্তি হয় না, বই আকারে পেলে মিঠে শীতের ছুটির দুপুরে পিঠে রোদ্দুর নিয়ে ছাদে মাদুর পেতে বসে একসঙ্গে পড়লে তৃপ্তি হয়। খানিকটা করে পড়া আর খানিকটা করে আকাশে তাকিয়ে এক রূপকথার দেশকে মনে মনে দেখা।
সাগ্রহ প্রতীক্ষায় রইলাম।
Atoz | 151.14.***.*** | ২৩ অক্টোবর ২০২০ ২৩:৩০98827পরের পর্ব কবে আসবে?
ধন্যবাদ Atoz, লেখা প্রতি সপ্তাহে শনিবার প্রকাশ করে। প্রথম দিকে বেশ কয়েকবার iregular ছিলাম, এখন চেষ্টা করি নিয়ম করে পাঠাতে। এই সপ্তাহে একজন বিস্মৃত ভারতীয়কে নিয়ে লেখা। আজকেই আসবে মনে হয় ।
Atoz | 151.14.***.*** | ২৪ অক্টোবর ২০২০ ০৩:১৮98831আফ্রিকার ভিন্ন দেশের লোক / রূপ / উপকথাগুলোও এরকম আশ্চর্য সুন্দর। ভীষণভাবে প্রাকৃতিক ধরণের অথচ তারই মধ্যে সূক্ষ্ম বুননের মতন মিশে আছে আধ্যাত্মিকতা ।
শুধু মাওরি লোককথা নিয়েই একটা গোটা সিরিজ হতে পারে, লিখে শেষ করা যাবেনা। আমাদের ছোটবেলায় কেন যে পড়িনি এসব।
Atoz | 151.14.***.*** | ২৪ অক্টোবর ২০২০ ০৪:১৬98834মাউই এর একটা গল্প খুব প্রিয় আমার। সেই গল্পে ছিল দড়ির ফাঁস দিয়ে সূর্যকে ধরে আস্তে চলতে বাধ্য করার গল্প, যাতে বারো ঘন্টার দিন পাওয়া যায়। মাউই এর বৌ হিনা নিজের চুল কেটে দিয়েছিল দড়ি বানাতে, দেবতার আশীর্বাদে ঐ চুল ছিল এমন, যা আগুনে পোড়ে না। ঃ-)
Titir | 128.2.***.*** | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২৩:৪৫102300বাহ বাহ ।এই লেখাটি যদি বেড়াতে যাওয়ার আগে পেতাম বড় ভালো হত। এই মাওরি কথা বেশ সুন্দর হচ্ছে।