২২ মার্চ, ২০২০-র প্রতীকী জনতা কার্ফু (যা আসলে প্রয়োজনীয় লকডাউনের মহড়া ছিল) এবং ২৩ মার্চ থেকে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সহ ২২টি রাজ্যের ৭৫টি জেলায় পূর্ণ লকডাউন একান্ত প্রয়োজনীয় একটি পদক্ষেপ। এর জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাবো। সর্বেশেষ খবর অনুযায়ী, শেষ অব্দি সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ লকডাউনের আওতায় চলে। ১৯ মার্চ গুরুচণ্ডালীর পাতায় আমি করোনাভাইরাস নিয়ে যে লেখাটি লিখেছিলাম সেখানে সামাজিকভাবে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার চেইনটি কেটে ফেলার জন্য (অর্থাৎ স্টেজ ২ থেকে স্টেজ ৩-এ যাওয়া) ব্যক্তিদের গৃহবন্দী করে রাখা এবং “সেলফ-আইসোলেশন”-এর কথা উল্লেখ করেছিলাম। সরকারের এই উদ্যোগ জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক বিপর্যয়কে মোকাবিলা এবং এড়ানোর জন্য একটি কার্যকরী পদক্ষেপ হবে ভরসা রাখছি। গতকালের (২২ মার্চ, ২০২০, হু-র সর্বশেষ রিপোর্ট বলছে – ২৯২,১৪২ জন সংক্রমিত (নতুন সংক্রমণ ২৬০৬৯), মৃত্যু ১২,৭৮৪ জনের। হু-র বয়ানে - Four new countries/territories/areas from the African Region have reported cases of COVID-19. একই সাথে হু-র বয়ানে - There has been a rise in criminals disguising themselves as WHO to steal money or sensitive information. একে আমরা কোল্যাটারাল ড্যামেজ বলেও ধরতে পারি। ... ...
আধুনিক বৃহৎ প্রযুক্তি-নির্ভর চিকিৎসা বিজ্ঞান জনসাধারনের জীবনের বিনিময়ে এর পরিধিকে ক্রম-বিস্তৃত, ক্রম-প্রসারিত করতে চাইছে। পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র medicalized হয়ে উঠছে অর্থাৎ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত, রোগা হওয়া থেকে মোটা হওয়া, বিবাহ থেকে সন্তান ধারণ করা সবকিছুই চলে আসবে মেডিসিনের নজরদারিতে – সবকিছুর শেষ কথা হবে মেডিক্যাল ওপিনিওন, পরিচালজের স্থানে থাকবে মেডিসিন। কিভাবে ঘটে এই medicalization? সে এক মর্মন্তুদ, অতি আগ্রাসী যুদ্ধ – বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানিগুলোর তরফে। অতি বিস্তৃত এর জাল – পৃথিবীর প্রতিটি দেশে, ব্যতিক্রমহীনভাবে। ... ...