নিউজিল্যান্ডের মাওরি নাম আওতেরোয়া, মানে দীঘল শ্বেতকায় মেঘমালার দেশ, আমরা অবিশ্যি দখিন হাওয়ার দেশ বলে বলছি এখানে—সেখানে তিনটে দ্বীপ লম্বা মালার মতন করে সাজানো। উত্তরদিকে উত্তর দ্বীপ, মাঝখানে দক্ষিণ দ্বীপ, আর আরও দক্ষিণে স্টুয়ার্ট আইল্যান্ড যার মাওরি নাম রাকিউরা। নিউজিল্যান্ড শুনলেই কেমন যেন মনে হয় নির্জন মনমাতানো সুন্দর দেশ, সে অবিশ্যি সত্যিই সুন্দর, এবং নির্জন যদি বলেন, সাকুল্যে পঁয়তাল্লিশ লক্ষ মানুষের দেশ। তার সৌন্দর্যের প্রাণকেন্দ্রে ধ্যানগম্ভীর তুষারশ্রেণি, মাওরি নাম আওরাকি, আমরা তাকে সেই নামে ডাকব। ইংরেজ তার নাম দিয়েছে ক্যাপ্টেন কুকের নাম অনুযায়ী, তাই ইংরেজের কাছে সে মাউন্ট কুক। আজকে না হয় আওরাকির গল্প করি।
আমাদের আর মাওরিদের এই একটা বিষয়ে মিল আছে (আরও অনেক ব্যাপারে মিল আছে, সেকথায় পরে আসছি)। আমরা যেমন গঙ্গানদীকে শুধুই নদী বলে ভাবি না, তার একটা মানবিক রূপ কল্পনা করে নিই, যে কারণে গঙ্গানদী আমাদের কাছে ‘মা গঙ্গা’, মাওরিরাও ওইরকম, নদী, পর্বত, উপত্যকা, সমুদ্র, সবকিছুর একটা মানবিক আধ্যাত্মিক রূপকল্পনায় সে বিশ্বাস রাখে। তাই, মাওরিদের কাছে সে আওরাকি, কারণ সে মেঘ ফুঁড়ে গগনবিহারী, স্বমহিমায় বিরাজমান। মাওরি লোককথায় রাকিনুইয়ের ছেলেরা, আওরাকি আর তার ভাইয়েরা স্বর্গ থেকে মস্ত একটা নৌকো (ওয়াকা) নিয়ে তাদের সৎ-মা পাপাতুয়ানুকু-র সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। দেখা করে ফিরে যাবার সময় হল কী, গান গাইতে গিয়ে হয়ে গেল ভুল, আর তাদের নৌকো উলটে গেল। যেই না আওরাকি আর তার ভাইয়েরা মিলে নৌকোটাকে সোজা করার জন্য নৌকোর একদিকে গেছে, অমনি দখিন হাওয়া দিল তাদের পাথর বানিয়ে। আওরাকি সকলের বড়োদাদা, তাই সে সগৌরবে মেঘ ফুঁড়ে দাঁড়িয়ে, আর তার চারপাশে তার ভাইয়েরা। আর যে নৌকোটা নিয়ে তারা মা-র সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল, সেটা হয়ে গেল একটা মস্ত দ্বীপ, তাই দক্ষিণ দ্বীপের মাওরিরা (যাদের গোষ্ঠীর নাম নহাই টাহু), তারা দক্ষিণ দ্বীপের নাম রেখেছে ‘টেওয়াকাও আওরাকি’ (আওরাকির নৌকো)।
আওরাকিকে ইংরেজ অবিশ্যি নাম দিয়েছে মাউন্ট কুক, নাবিক অভিযাত্রী দেশ আবিষ্কারক ক্যাপটেন জেমস কুকের নাম অনুযায়ী ১৮৫১ সালে জন স্টোকস নাম রাখেন, তবে কুক স্বয়ং কোনোদিন মাউন্ট কুক দেখেননি। আওরাকি ১২,২০০ ফুট উঁচু, তার তিনটি শিখর (একটা ছোটো, একটা মেজো, আর একটা বড়ো)। তবে সে একা নয়, তার চারপাশে ৭২ খানা হিমবাহ, ১৪০ টা শিখরচূড়া, আইস ফল, উপত্যকায় ফুল পাখি, শিখরের একপাশে মাউন্ট টাসমান, টাসমান হিমবাহ, টাসমান উপত্যকা, টাসমান সরোবর, আর অন্যপাশে মাউন্ট কুক, হুকার উপত্যকা, হিমবাহ, আর হুকার সরোবর। এই বিশাল পর্বতমালা যখন ক্যাপটেন কুক প্রথম দেখেন, তিনি তার নাম দিয়েছিলেন, দক্ষিণ আলপস। মাওরিরা আজ থেকে ৭০০ বছর আগে নিউজিল্যান্ডে পা রাখে। আবেল জানজুন টাসমান আর তাঁর সহনাবিকরাও আওরাকিকে নিশ্চয়ই দেখে গিয়েছিলেন, কারণ এই প্রকাণ্ড পর্বতমালা দক্ষিণ দ্বীপকে উত্তর থেকে দক্ষিণ আড়াআড়ি ভাগ করে ফেলেছে; পশ্চিমদিকে টাসমান সমুদ্রের হিমেল হাওয়া পর্বতমালায় বাধা পেয়ে সারাবছর বৃষ্টি দেয়, যার জন্য নিউজিল্যান্ডের পশ্চিম তট বৃষ্টিভেজা সবুজে পাহাড়ের অন্যরকম সৌন্দর্য।
তবে আওরাকির যে ব্যাপারটা আমার সবচেয়ে প্রিয়, জায়গাটি এত বিশালও এতটাই ব্যাপ্ত, যে আপনাকে মাউন্ট কুকের নাগাল পেতে গেলে অনেকটা যেতে হবে না, এমনকি পর্বত আরোহণের অভিজ্ঞতা না থাকলেও প্রায় সারাবছর আপনি মাউন্ট কুক অঞ্চলে ঘুরে বেড়িয়ে পাহাড় থেকে পাহাড়, সরোবর, হিমবাহ দেখতে পাবেন, সবজায়গায় হয়তো শীতকালের দিকে যেতে পাবেন না, তা না হোক, এ ভারী সুন্দর।
আওরাকি অঞ্চলে যেতে গেলে আপনি তিনটে জায়গা থেকে শুরু করতে পারেন। দক্ষিণ দ্বীপের সবচেয়ে বড়ো শহর ক্রাইস্ট চার্চ, সেখান থেকে শাটল বাস ধরুন। না হলে রেন্টাল গাড়ি নিয়ে ঘণ্টা দুয়েক চালিয়ে আসুন লেক টেকাপোয়। এইখানে একটি অ্যালপাইন লেক পাবেন, রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে টেকাপো লেকের দিগন্তবিস্তৃত নীল জলের ধারে খানিকক্ষণ বিশ্রাম নিন, দেখবেন দূর দিগন্তে পাহাড়ের সারি, তার মধ্যে সবচেয়ে মাথা উঁচু করে যে শিখরটিকে দেখবেন, ওইটেই মাউন্ট কুক। হ্রদের ধারে দেখবেন একটি চার্চ, চার্চের নাম চার্চ অব গুড শেপার্ড, ম্যাকেনজিনামে এক দুরন্ত মেষপালক আর তার মেষপালক কুকুরের কাহিনি লোকগাথায় পরিণত হয়েছে। এই চার্চটির কাছে যতবার আমরা এসেছি, মাঝেমধ্যেই দেখেছি নববিবাহিত নরনারী আর বিয়ের পার্টি হচ্ছে। আপনিও দেখতে পারেন। চার্চটি খুব সম্ভবত পৃথিবীর সব থেকে ফোটোগ্রাফিক চার্চ। চার্চের গায়ে দেখবেন একটি মেষপালক কুকুরের মূর্তি রাখা আছে। এও হয়তো পৃথিবী একমেবাদ্বিতীয়ম দ্রষ্টব্য দৃশ্য।
টেকাপো থেকে বেরিয়ে পড়ুন, আধঘণ্টা গেলে আর-একটি হ্রদের ধারে চোখ আটকে যাবে। এ হ্রদের নাম পুকাকি, এও এক অসাধারণ লেক, দেখবেন দিগন্তে যেন মাউন্ট কুক সেই লেকটি ভেদ করে উঠেছে। ঘন নীল জলের আদিগন্ত প্রসারিত জলরাজি, রোদ ঝলমলে দিনে হ্রদ আর পাহাড়ের পারস্পরিক সহাবস্থান মনোমুগ্ধকর। তবে পথিক, থামবেন না, সবে শুরু এক অলৌকিক দৃশ্যপট। চোখের সামনে পালটাতে থাকবে।
তবে একটা ব্যাপার খেয়াল রাখবেন, টেকাপো শুধু ক্রাইস্ট চার্চ থেকে শুরু করলে তবেই পথে পড়বে, পুকাকি হ্রদ আপনি যে পথেই আসুন দেখতে পাবেন। পুকাকি থেকে ৫০ কিলোমিটার সড়কপথে মাউন্ট কুক, হাইওয়ে ধরুন। তবে পারলে আর কারও হাতে স্টিয়ারিং-এর ভার তুলে দিন, কারণ বাঁদিকে লেক পুকাকি পড়বে একটু পরেই, আর তার পর সারাটা পথ জুড়ে শুধু মাউন্ট কুক দেখতে পাবেন। সে এক অপার্থিব মনভোলানো দৃশ্য, এক গগনচুম্বী পর্বতমালা আপনার গোটা পথের সামনেটায়, একপাশে লেক পুকাকি, তারপর দু-পাশে উঠেছে অজস্র পাহাড়ের সারি, তাদের কারও কারও মাথায় বরফের চাদর, কোথাও খরস্রোতা নদী আর ব্রিজ পেরিয়ে একসময় আদিগন্ত বিস্তৃত উপত্যকার মাঝখান দিয়ে গাড়ি চলে দাঁড়াবে মাউন্ট কুক শহরের মাঝখানে।
শহর?
না না, সেরকম কিছু নয়, তবে বেশ কিছু মোটেল আর শ্যালেট (ঢালু ছাদের কাঠের বাড়ি) ইত্যাদি পূর্ণ একটি বসতিমাত্র। এখানেই থাকুন। চোখের সামনে দেখবেন মাউন্ট সেফটন আর মাউন্ট কুক। থাকার জায়গার বারান্দা থেকে দেখুন পাহাড়ের মাথায় বরফের ধোঁয়া উড়ছে, কড়কড় শব্দে ভেঙে পড়ছে হিমবাহ, শনশন করে হাওয়া বইছে। গাড়ি রাখুন ওয়াইট হর্স কারপার্ক নামের ক্যামপিং গ্রাউন্ডে, তারপর হাঁটতে শুরু করুন। প্রথমে দেখতে চলুন কিয়া পয়েন্ট।
কিয়া? সে কেমন টিয়া?
বলিনি বুঝি যে পৃথিবীর একমাত্র পাহাড় অঞ্চলের টিয়াপাখি যার দেখা আপনি শুধু নিউজিল্যান্ডেই পাবেন। ভারী উৎসুকি পাখি, মানুষের প্রতি তার কী যে আগ্রহ। অবশ্য আজকাল তাদের দেখা মাউন্ট কুকেও পাওয়া ভার, তাদের দর্শন পেতে গেলে আপনাকে আরও উঁচুতে, বল পাস আর তার Hut-এ যেতে হবে। ঘণ্টা আধেক হাঁটুন, তারপর একটি টিলার ধারে দাঁড়ান। সাবধান, এ কিন্তু গ্লেসিয়ারের মোরেন, দেখুন কীভাবে গ্লেসিয়ারের গা থেকে লেকের উৎস। মাথা তুলুন, সামনেই আওরাকির দক্ষিণ মুখ। এইটা ক্যারোলিন গ্লেসিয়ার, এইটার নাম ক্যারোলিন ফেস। যে গ্লেসিয়ার হ্রদটির উৎস, তার নাম মুলার গ্লেসিয়ার, হ্রদটির নাম মুলার লেক। চুপ করে কিছুক্ষণ বসে থাকুন, কান পেতে শুনুন ওপরে-নীচে পর্বতের গায়ে ধোঁয়া উড়ছে, কড়কড় গুড়গুড় শব্দে গ্লেসিয়ার ভাঙছে। কখনো-কখনো হাজার টনের গ্লেসিয়ার ভেঙে পড়ে, ভেঙে পড়া বরফগলা পাহাড় থেকে হ্রদের উৎপত্তি।
এত দূর যখন এলেন, এবার কিছুক্ষণ হ্রদের ধারে বসে থাকুন। তারপর ধীরে ধীরে উঠুন, পথ ধরে হাঁটতে থাকুন। চারপাশে ঘিরে থাকবে ধ্যানমগ্ন পর্বতশ্রেণি, নজর করুন তাদের গা বেয়ে উঠেছে যেন পায়েচলা পথ। দু-শতাব্দী ধরে পর্বতারোহীর দল এই পথে শিখর আরোহণের পথ তৈরি করেছেন।
আমরা এবার হুকার উপত্যকায় যাব। হুকার উপত্যকার প্রবেশপথে একটি সংকীর্ণ সাঁকো, এইরকম তিনটি সাঁকো পেরিয়ে আপনি হুকার লেকের সামনে মাউন্ট কুকের সামনাসামনি পৌঁছোবেন।
হুকার লেক |
(By Pseudopanax@Wikimedia, CC BY 3.0, https://commons.wikimedia.org/w/index.php?curid=50628306)
আমার কাছে হুকার উপত্যকা বলুন, বা মাউন্ট কুক গোটা অঞ্চলটাই ধরুন অসাধারণ লাগে এই কারণে যে এর আনাচে কানাচে আশ্চর্য সব দৃশ্য অথচ প্রায় যে কেউ, মোটামুটি রকমের ফিটনেস থাকলেই পৌঁছে যেতে পারবেন। এর অধিকাংশই পাহাড়, গ্লেসিয়ার, হ্রদ, একটা নিষ্কলুষ শান্ত প্রকৃতির মধ্যে পড়ে আছে। সকলের সমান প্রবেশাধিকার। মাওরি সংস্কৃতিতে আওরাকির বিশেষ রকমের আধ্যাত্মিক তাৎপর্য রয়েছে। আমরা যারা ভারতবর্ষের মানুষ, আমার মনে হয় আমাদের অনেকের মনেই এই পাহাড়, নদী, হ্রদ, উপত্যকা, হিমবাহের পারস্পরিক সমাবেশ হয়তো আধ্যাত্মিক চেতনার উন্মেষ করবে, আমার নিজের অনেকসময় মনে হয় একজায়গায় গিয়ে চুপ করে বসে সেই জায়গাটির তন্মাত্র তাকে ধরার চেষ্টা করি। হয়তো পারব না, তবু এই যে প্রকৃতির অমলিন সৌন্দর্য, এর কোনো তুলনা নেই। এসব জায়গায় অনেকেই হেলিকপ্টারে করে, স্পিডবোটে করে গেলে শুধু প্রকৃতির ক্ষতি করা হয় তাই নয়, জায়গাটির আধ্যাত্মিক চেতনা, গাম্ভীর্যের প্রতি অবিচার করা হয়।
আরও একটি হ্রদ ও গ্লেসিয়ার দেখে আমরা এবারের মতন আওরাকি পরিক্রমা শেষ করব। তবে আওরাকির তো শেষ নেই, আমরা আবার একবার আসব, আরও একবার তাকে অন্যদিক থেকে দেখব। চলুন, এবার টাসমান গ্লেসিয়ারের দিকে যাই। মাউন্ট কুক ভিলেজ থেকে গাড়িতে কিলোমিটার দশেক গেলে আর-একটি উপত্যকার প্রবেশপথে আসবেন। এই উপত্যকার নামটা সমান উপত্যকা, নিউজিল্যান্ডের ইউরোপীয় আবিষ্কারক, আবেল জানজুন টাসমানের নামে এই উপত্যকাটির নামকরণ করা হয়েছে। এই উপত্যকার কেন্দ্রে মাউন্ট টাসমান, আর টাসমান গ্লেসিয়ার, সেখান থেকে উৎসৃত টাসমান লেক। উপত্যকাটির প্রবেশপথে দেখবেন তিনটি নীল রঙের লেকে যাবার পথের কথা। প্রথমে চলুন যত্ন করে তৈরি করা চড়াই বেয়ে আমরা নীল হ্রদগুলো দেখে আসি। প্রথম হ্রদটি একটি গ্লেসিয়ারের প্রায় নীচে (দেখুন):
নীল বললাম বটে, এ যে দেখি পান্না সবুজ। কারণ এখন আর এ হ্রদ গ্লেসিয়ারের বরফ-গলা জলে পুষ্ট নয়, সম্বৎসর বৃষ্টির জল একে ভরিয়ে রাখে। লেকের জলে ইদানীং বিশ্ব জুড়ে উষ্ণায়ণের কারণে একধরনের সবুজ রঙের Algae জন্মায়, যার জন্য জলের এই অদ্ভুত রং। লেকের ধারে কিছুক্ষণ পারলে বসুন। তারপর আসুন, আরও ওপর থেকে টাসমান গ্লেসিয়ার আর তার থেকে উৎসৃত লেকটিকে দেখে আসি। অনেকটা চড়াইয়ের পথ। পায়ে মজবুত জুতো, হাতে লাঠি থাকলে ভালো, না হলেও ক্ষতি নেই বিশেষ, শুধু খেয়াল রাখবেন ওপরের দিকে একেবারে উন্মুক্ত পাহাড়ের ধারে ঝোড়ো হাওয়ায় দাঁড়াতে পারবেন না। ওই দেখুন, ঘন নীল জল, দিগন্তে টাসমান হিমশৈলের মুখ, সেখান থেকে সঞ্জাত এই বিশাল হ্রদ। ঝোড়ে হাওয়া। নেমে আসুন লেকের ধারে। অনুভব করুন প্রকৃতির এক অসামান্য রূপ।
নিউজিল্যান্ড সম্বন্ধে কিছুই জানতাম না। ভাবতাম উটি অস্ট্রেলিয়ার মাসতুতো ভাই বটেক । আপনার লেখায় যা পাচ্ছি তা বই পড়ে হয়়় না।
আহা! বাংলায় কি নরম আলতো স্বাদু গদ্য! "কিয়া? এ কি টিয়া?" অংশটুকু অনবদ্য।
নিউজিল্যান্ড আমার অতি প্রিয় দেশ, যাওয়ার ইচ্ছা আছে অবশ্যই। এখানকার খাওয়ার দাওয়ার ও নাকি শুনেছি খুব ভালো, বিশেষত ডেয়ারি ও পোল্ট্রি প্রোডাক্ট। মানুকা মধুও তো পৃথিবী বিখ্যাত। বেশ আয়েশ করে রয়েবসে ঘোরার সুুলুক সন্দে্ধ্যান দিন পেলাস নানা তথ্যও দিন খুব ভাল লাগছে পড়তে