আগেও এখানে বালি নিয়ে লিখেছিলাম – সেখানকার শিল্পীদের নিয়ে। আমার অন্ত্যন্ত প্রিয় জায়গা, অনেক বার গেছি এবং সুযোগ/সময় পেলে আবার যাব। এই লেখা যারা পড়বেন তাঁরা অনেকেই বালি ঘুরে এসেছেন নিশ্চিত – তাই আজকের ছবিগুলো অনেকের চেনা লাগবে এবং অনেকে নিজের স্মৃতির সাথে মিলিয়ে নিতে পারবেন। আজকাল বালি বেশ কমন হয়ে গেছে যাওয়া তাই কোথায় কোথায় বালি-তে গিয়ে ঘুরতে হবে তাও বহুল চর্চিত। তাই সেই সব নিয়ে নাড়া ঘাঁটা না করে আজকে কিছু অন্য গল্প শোনাবার চেষ্টা করি – হয়ত এই গল্প অনেকের নাও জানা থাকতে পারে।
ইন্দোনেশীয়া পৃথিবীর বৃহত্তম মুসলিম ধর্মাবলম্বি দেশ – কিন্তু এই দেশেরই একটি প্রদেশ বালি, যেখানে এখনো প্রায় ৮৪% লোক হিন্দু ধর্ম মেনে জীবন ধারণ করে। বালি দ্বীপ ইন্দোনেশীয়ার জাভা প্রদেশের পূর্বে এবং লম্বক-এর পশ্চিমে অবস্থিত। আজকাল বালিতে টুরিষ্টের আনাগোনা এর বেশী যে সেই নিয়ে আলাদা করে কিছু লেখার নেই – ১৯৮০ সালের পর থেকে এই টুরিষ্ট বুমিং এর শুরু। এটাও আমরা সবাই জানি যে বহু শতাব্দী আগে ভারত থেকে হিন্দু ধর্মের রাজারা আজকের দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ায় রাজত্ব বিস্তার করেন – আর তাই স্বাভাবিক ভাবেই কাম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড থেকে শুরু করে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ার অনেক অংশে হিন্দু ধর্মের প্রভাব দেখা যায়। সেই অঞ্চলের রাজারা নিজেরা অনেকে হিন্দু ধর্ম পালন শুরু করেন – কালক্রমে হিন্দু ধর্মের প্রভাব লুপ্ত হয়ে বৌদ্ধ এবং মুসলিম ধর্ম প্রাধান্য লাভ করে। কিন্তু বালি দ্বীপ অপরিবর্তিত থেকে যায় তাদের ধর্ম বিশ্বাসে।
যারা বালি গেছেন তাঁরা আমার সাথে এই বিষয়ে একমত হবেন যে একমাত্র রাস্তার ট্রাফিক ছাড়া বালি একদম যাকে বলে ম্যাজিক্যাল। আচ্ছা এটা জানেন তো যে বালিকে অনেক সময় “ভগবানদের দ্বীপ” বলা হয়? এর পিছনে গড়পড়তা বালির লোকেদের প্রবল ভগবানে বিশ্বাস তো কাজ করেছে বটেই – আজকার বালি দ্বীপে প্রায় ১০০০ টার বেশী মন্দির আছে। তাই বালিকে একটু ঘুরিয়ে “হাজারো মন্দিরের দ্বীপ” বললেও অত্যুক্তি হয় না। আর সব থেকে ইন্টারেষ্টিং ব্যাপার হল – এই সব মন্দিরগুলির বেশীর ভাগই কিন্তু প্রাকৃতিক ভাবে অপূর্ব সুন্দর দেখতে জায়গায় অবস্থিত – তা সে পাহাড়, বা সমুদ্রের ধার বরাবর, বা একদম খাদের সীমানা যেখানেই হোক না কেন।
ভারতের মত বালিরও প্রতিটি মন্দিরের সাথে জুড়ে আছে অনেক উপকথা, অনেক গল্প – আর এই সব গল্প সব গাইড বইয়ে পাবেন না – একটু খুঁজে বের করতে হবে যদি আপনার ইন্টারেষ্ট থাকে। তার মূল কারণ এই মন্দির ঘিরে উপকথা কিন্তু বিশেষ কোন জায়গায় লিখিত নেই – বরং তা এক পুরুষ থেকে অন্য পুরুষে, বিশেষ করে মন্দিরের পুরোহিতদের পরিবার পরম্পরায় সেই সব গল্প মৌখিক ভাবে প্রচলিত থেকে গেছে।
যদিও মন্দিরের কোন র্যাঙ্ক হওয়া উচিত নয় – কিন্তু স্থান মাহাত্ম এবং দেবতা মাহাত্ম তো কিছু থেকেই যায়, যার ফলে কোন কোন মন্দির বিখ্যাত হয়ে ওঠে অন্যদের তুলনায়। আমরা যদি বালির ১০টা প্রধান মন্দির খুঁজতে যাই তাহলে প্রথমেই আসবে এরা যেটাকে ‘মাদার টেম্পেল’ বলে সেই ‘বৈশাখি’ মন্দিরটির কথা। আর বাকিগুলোর তালিকা করলে সেগুলো দাঁড়াবেঃ
১) উলুয়াতু
২) পিতিতেনগেত
৩) তানহা লট
৪) চন্ডি দশ
৫) রাম্বুত সিউই
৬) বুকিত সারি
৭) কেবো ইদান
8) গডুয়া
৯) সামুয়ান তিগা
১০) জয়পর্ণ
এই প্রত্যেক মন্দিরের সাথে আবার একটা করে বড় টাইটেলের মত জুড়ে আছে – যেমন উলুয়াতু মন্দিরকে বলা হয় ‘স্বর্গের দ্বার’, যেমন তানহা লট মন্দিরকে বলা হয় “এক অতিকায় সর্পের বসবাসের জায়গা”। এবং একই ভাবে বাকি মন্দিরের সাথেও নাম জুড়ে আছে।
যাঁরা বালি বেড়াতে যান তাঁরা সব মন্দির ঘুরতে না গেলেও যে দুটি মন্দির অবশ্যই গিয়ে থাকেন সেই দুটি হল উলুয়াতু এবং তানহা লট। উলুয়াতু মন্দির প্রাঙ্গণে সন্ধ্যে বেলা সেই বিখ্যাত ‘কিচাক নাচ’ তো খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু আজকে আমরা উলুয়াতুর গল্প করব না – আজ হবে ‘তানহা লট’ মন্দিরের গল্প।
তানহা লটের মন্দিরের পুরো নাম “পুর তানহা লট” – এবং আপনারা বুঝতেই পারছেন যে এই মন্দির বালির সব থেকে দর্শিত মন্দির – এখানেই টুরিষ্টের আগমণ সবচেয়ে বেশী। আর শুধু যে হিন্দু ধর্মের লোকেরাই এখানে যায় তেমনটা নয় – সারা পৃথিবী থেকে পর্যটকরা এখানে গিয়ে জড়ো হন। আর স্বাভাবিক ভাবেই তানহা লট হয়ে উঠেছে সব থেকে বেশী ছবি ওঠা মন্দির!
গাইডের কাছে বা ট্রাভেল গাইডে পড়ে থাকতে পারেন যে এই তানহা লট মন্দিরটি স্থাপন করে এক হিন্দু পুরোহিত যাঁর নাম ছিল ডাঙ হায়াঙ নিরর্থ। আর এটা তো গিয়ে দেখেছেনই যে এখানের সূর্যাস্ত অতি মনোমুগ্ধকর – যদি এখনো না দেখে থাকেন তো বিশ্বাস করতে পারেন আমার কথা।
কিন্তু জানি না এর পরের গল্পটা আপনাদের গাইড বলেছে কিনা – যদি না বলে থাকে তা হলে শুনে ফেলুন। ডাঙ হায়াঙ নিরর্থ এক বিখ্যাত হিন্দু পুরোহিত ছিলেন সেই সময়কার – তিনি তানহা লট ছাড়াও বালিতে আরো বেশ কিছু মন্দির স্থাপন করেছিলেন তাঁর সেই তীর্থ যাত্রার সময় – যে যাত্রাপথে তিনি জাভা থেকে বালি দ্বীপে এসেছিলেন। বালিতে পোঁছবার পর নাকি নিরর্থ নিজের ভিতর থেকে ভগবানের নির্দেশ পেয়েছিলেন কোথায় কোথায় মন্দির স্থাপন করতে হবে – আর সেই নির্দেশ পালন করেই তিনি মন্দির স্থাপন করেন তানহা লট-তেও।
বালি ভ্রমণ কালে ডাঙ হায়াঙ নিরর্থ হিন্দু ধর্মে দিক্ষীত করতে লাগলেন স্থানীয় লোকেদের – ধীরে ধীরে তাঁর অনেক অনুগামী হয়ে গেল এবং তারা সবাই ডাঙ হায়াঙ নিরর্থ-কে অনুসরণ করে দ্বীপময় ভ্রমণ করতে লাগলেন। এইভাবে একদিন তাঁরা সবাই এসে পোঁছালেন তানহা লটে। এই জায়গার কাছাকাছি এসে নিরর্থ তাঁর আধ্যাত্মিক ক্ষমতার এক পরিবর্তন দেখলেন যেন – তাঁর মনে হতে গেল তাঁর ভিতরে যেন এক শক্তি জেগে উঠছে এবং সেই শক্তি কিছু বলতে চাইছে তাঁকে। এখানে যত সময় কাটাতে লাগলেন ভিতরের সেই অন্তর্শক্তি যেন আরো প্রবল হতে লাগলো – নিরর্থ সেখানে ধ্যানে বসে গেলেন। ভিতর থেকে কেউ যেন বলতে লাগলো সবুজ স্থলভূমি তো অনেক হল – কেন না তিনি এবার সমুদ্রের দিকে পা বাড়ান।
স্থলভূমি যেখানে শেষ হচ্ছে আর সমুদ্র শুরু হচ্ছে তেমন এক জায়গায় একটা পাথর বেছে নিয়ে তার উপর বসে নিরর্থ শুরু করলেন তপস্যা। তিনি বোঝার চেষ্টা করতে লাগলেন এইখানে এসে তাঁর ভিতরে এক অন্য শক্তি জাগ্রত হচ্ছে কেন! এর পিছনে কি ভগবানের কোন ইঙ্গিত আছে? ধ্যানে বসে বেশ কয়েকদিন কেটে গেল – নিরর্থ-এর অনুগামীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে পাশে। একসময় সেই শিষ্যরা দেখল নিরর্থ কেমন কাঁপতে শুরু করেছেন – মনে হচ্ছে তূরীয় অবস্থায় পৌঁছে গেছেন – পাশের এক পাথরের চারিদিকে জোর্তিবলয় দেখা গেল – প্রচন্ড উজ্জ্বল সেই আলোর ছটা। ধ্যান ভেঙে গেল নিরর্থ-র, তিনি বুঝতে পারলেন ভগবান চাইছেন সেই খানেই তাঁর এক মন্দির স্থাপন হোক।
নিরর্থ এগিয়ে গেলেন সেই উজ্জ্বল আলোর পাথরের দিকে – কিন্তু ঠিক সেই মুহুর্তে সবাইকে চমকে দিয়ে পাথরের নীচে থেকে বেরিয়ে এল এক ভয়ঙ্কর সমুদ্রের সর্প জাতীয় প্রাণী – ভয়াল তার রূপ। যে পাথরের উপর মন্দির বানানোর ইঙ্গিত পেয়েছিলেন নিরর্থ, ঠিক তার নীচেই বাসা ছিল সেই সাপটার। সাপ যেন বুঝতে পেরে গেছে নিরর্থ-র মন্দির বানাবার সঙ্কল্পের কথা। কিন্তু সাপ তার বাসা ছাড়বে না – আর এদিকে নিরর্থ-ও ভগবানের ইঙ্গিত মেনে সেই স্থানেই মন্দির বানাবেন। শুরু হল সাপ এবং নিরর্থ-র মধ্যে এক ভয়ঙ্কর যুদ্ধ। নিরর্থ সেই প্রবল যুদ্ধে জয়লাভ করেন – কিন্তু সেই সাপটাকে না মেরে তিনি প্রস্তাব দেন যদি সাপ এবার থেকে তানহা লট মন্দিরকে পাহারা দিতে শুরু করে, তাহলে তিনি সাপকে প্রাণে মারবেন না। সাপ রাজী হয়ে যায় এবং তার পর থেকে সাপটা আর মন্দ স্বভাবের রইল না। বালির লোকেরা বিশ্বাস করে যে আজও সেই সাপটা পাহারা দিয়ে আসছে তানহা লট মন্দিরকে। আগেই বলেছি এখানকার সূর্যাস্ত বড়ই মনোমুগ্ধকর – কিন্তু সমুদ্রের বুকে ডুবতে আসা সূর্যের আলো শুধু বালির লোকেদের কাছে বিকেলের প্রকৃতির সৌন্দর্য্য নয়, বরং তারা বিশ্বাস করে এই আলোর আসলে নিরর্থ-র ধ্যানের সময় মাথার পিছনে দেখতে পাওয়া অলৌকিক আলো।
তানহা লট মন্দির কাছে পিঠে আরো একটা মন্দির আছে, যার নাম বাতু বোলঙ মন্দির – অর্থ “ফাঁপা পাথর”। এই মন্দিরটিও বড় সুন্দর – কিন্তু লোকে তানহা লট নিয়ে ব্যস্ত থাকে বলে সেখানে আর বেশী লোক যায় না। আপনি যদি বালি যান, এই মন্দিরটাও একবার ঘুরে নিতে পারেন।
একটা জিনিস লক্ষ করে দেখেছেন কি বালির কারো বাড়ির ভিতর ঢুকে? এদের প্রত্যেকের বাড়িতে একটা ছোটখাট মন্দির থাকবেই, বা নিদেন পক্ষে মন্দিরের চাতালের মত। এবং গোটা বাড়ির মধ্যে সেই দেবতার চাতালটার উচ্চতায় সবথেকে বেশি – বাকি নিজেদের ঘরদোর সবই দেবতার উচ্চতার থেকে নীচুতে! এরা এত শ্রদ্ধা এবং ভক্তি করে নিজেদের কুলদেবতাকে।
যারা কেচাক বা বারং নাচের অনুষ্ঠান দেখেছেন বালি-তে তাঁরা হয়ত বালিনীজ পোষাকে পূজারিনী বা নর্তিকীদের পোষাক মনে আছে। সেগুলো ওদের ট্রাডিশন্যাল পোষাক। তো সেবারে অমৃতার ইচ্ছে হল একটা বালির ট্রাডিশন্যাল পোষাক পরে ছবি তুলবে। আমি অগত্যা আমাদের সহায় ড্রাইভার দেওয়া-কে বললাম সেই ইচ্ছার কথা। দেওয়া খুঁজে খুঁজে নিয়ে গেল তার চেনাশোনা এক দোকান/বাড়িতে যেখানে এমন পোষাক পরে ছবি তোলার ব্যবস্থা আছে। সেখানে গিয়ে ছবি তোলা হল –
মনে করতে পারছি না বালির ট্রাডিশন্যাল ড্রেসে কারো ছবি দেখেছি কিনা। তাই ভাবলাম দুটো ছবি দিই – যদি কেউ যান এর পরে বেড়াতে ট্রাই করতে পারেন কিন্তু – খুব একটা কিন্তু খারাপ লাগছে না দেখতে মনে হয় সেই পোষাকে –
তো এই সবে একটা মন্দিরের গল্প – এখনো নয়টা বাকি রইল J
মনে হচ্ছে বেশী পোষ্ট করে ফেলছি আমি নিজে - এমনিতেও প্রচুর ভালো লেখা প্রকাশ পাচ্ছে আজকাল। তবে ওই যতদিন এনথ্যু থাকে আর কি!
কিন্তু ডিসি এবং লসাগু-দার লেখায় বালি-র উল্লেখ দেখে ভাবলাম এই পোষ্টটা করেই দিই। ডিসি যেতে পারলেন না বলে খারাপ লাগছে, তবে পুরো বাতিল করবেন না কিন্তু সুযোগ পেলেই প্লীজ ঘুরে আসুন।
সুকিকে অনেক ধন্যবাদ লেখার জন্য. অবশ্যই ঘুরতে যাবো, পরের বছর না হলে তার পরের বছর :-)
বালি সত্যিই অসাধারন সুন্দর জায়গা, আশপাশের দ্বীপ গুলোও অসাধারন। ei বৈশাখি আর তানাহ লটেও যাবো ঠিক করেছিলাম। আমরা প্ল্যান করেছিলাম একটা গাড়ি ভাড়া করে নর্থ থেকে সাউথ পুরোটা কভার করবো। আর নুসা পেনিডায় যাবো, যাকে কিনা ডাইনোসর আইল্যান্ড নামে বিখ্যাত। বালির কেচাক নাচ খুব বিখ্যাত। হায়াট হোটেলে সন্ধেবেলা একটা অ্যাম্ফিথিয়েটার মতো জায়গায় ডিনার সার্ভ করে, আর স্টেজে কেচাক ডান্স হয়। এবার না হলেও পরে হবে।
সুকির লেখাটা ভাল লাগল। বালি সত্যি সুন্দর। আমার শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, বাংলাদেশের বন্ধুদের সংগে আগ্নেয়গিরি ভ্রমণ বাদ পড়ে গেল এক বিজ্ঞানীপ্রবরের পাল্লায় পড়ে মশা আর সীমান্ত ম্যালেরিয়ার গুরুগম্ভীর আলোচনার চক্করে, আর তারপর ভাঙ্গা কোমর নিয়ে তেমন জোরে দৌড়তে না পেরে তাদের গাড়িটা কানঘেঁষে মিস করে। কিন্তু তার বদলে বিচে সমুদ্রের রঙ বদলাতে দেখতে দেখতে ঠাণ্ডা হাওয়ায় যা ঘুম দিতে পেরেছিলাম, ওরকম একটা অসম্ভব ক্লান্তি কাটানো ঘুমও যে সম্ভব , না ঘুমুলে বুঝতামই না ! আর তারপর সন্ধেবেলায় একা আরেক সমুদ্রধারের অভিযানে চলে যাওয়া !
ডিসি, কেচাক নাচ হোটেলে কেন দেখবেন ?
উলুয়াতু ক্লিফে সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে দেখুন। বিকেল গড়িয়ে সন্ধের অন্ধকা্রে ডুবলে মশালের আলোয় আলাদাই অভিজ্ঞতা। কেবল আমাকে সূর্যাস্ত আর নাচ, কোনটাই মিস না করতে গিয়ে প্রচুর দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছিল, ওই ভাঙ্গা কোমর নিয়ে সেও আরেক অভিজ্ঞতা। ভিডিও মোটেও ভাল আসেনি, তাও দিলাম। ছবি সব মেমরি কার্ডের ব্ল্যাকহোলে।
সুকির লেখা পড়ে মনে হচ্ছে, তানহার কেচাক নাচ আরোই সুন্দর !
আর অমৃতাকে বোধহয় সবেতেই অসম্ভব সুন্দর লাগে যে সাজে দেখি, তাতেই মনে হয় , এই সাজেই মানিয়েছে সবচে আর এই সাজে এর থেকে সুন্দরও আর কাউকে লাগবেনা !
পাই ম্যাডাম, কেচাক নাচ অন্য জায়গাতেও দেখার ইচ্ছে আছে। হোটেলের কথা বললাম কারন ওটা ওদের একটা প্যাকেজ, সেটাও ভালোই এক্সপি হবে আশা করি।
আমিও ওই হোটেলেই ছিলাম। যেহেতু হাতে সময় একেবারেই বেশি ছিল না, গেছিলাম তো মিটিং এ, তাই হোটেলেরটা কাটিয়ে উলুয়াতু চলে গেছিলাম। একসংগে ক্লিফদর্শনও হয়ে যাবে ভেবে।
আপনি কোন লোকেশনের হোটেল নিচ্ছেন জানিনা, আমি ছিলাম নুসা দুয়ারটা, এর ভিতরের সাজানো আর সমুদ্র সৈকত অসাধারণ। বিশেষ করে সন্ধে হলে আলোয়াঁধারির ফাঁকে ফাঁকে সমুদ্র । পুরোটা মাত্র দোতলা কিন্তু হাতপা মেলা ছড়ানো। তবে গাছপালা দেখে মনে হবে একেবারে আমাদের বাংলাদেশ। বিশেষ করে চাঁপায় চাঁপায় ভরপুর !
ডুবে গিয়েছিল, তুললাম।
ওই নুসা দুয়ার হায়াটের কথাই বলছি। ওদের ক্লাব রুমে একটা অফার দিয়েছিল, এক রাতের ডিনার ফ্রি, সেখানে কেচাক নাচ দেখা যাবে।
এবার বেলুড় এবং লিলুয়া নিয়েও কিছু লেখা চাই।
যেমন লেখা, তেমনই ছবি। ঠিক যেন মানসভ্রমণ।
ডিসকভারিতে কিচাক ডান্স আগে দেখেছিলাম, এখন পাইয়ের ভিডিও ক্লিপিং-এ আরেকবার দেখলাম। খুবই বর্ণাঢ্য, রীতিমতো নৃত্যাভিনয়!
ব্রেভো