এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জোক্‌স্‌ এর জার্নাল [কাকে আপনি বিশ্বাস করবেন?] 

    Atanu Majumdar লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ | ২৪ বার পঠিত
  • কয়েক মাস আগে আমাদের আদরণীয় গৃহমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ্‌ জি সংসদে দাঁড়িয়ে বিরোধী সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলছিলেন- আপনাদের ধিক্‌। আপনারা এই সংসদে শপথ নেওয়া বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরজির বদলে বিদেশের কোন্‌ মন্ত্রী কি বলল সেটাকে বেশী বিশ্বাস করছেন?  ধিক্‌ আপনাদের ধিক্‌। বিরোধী সদস্যরা উনার এই আরোপকে কতটা পাত্তা দিলেন, তা ঠিক বোঝা গেল না। আমি ভেবেছিলাম তার্কিক মহুয়া মৈত্র বা রসিক সায়ণী ঘোষ বা পণ্ডিত সৌগত রায় বা নিদেনপক্ষে মহারসিক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যুক্তি তত্ত্বের মৌলিক নীতিগুলির দার্শনিক দিক নিয়ে কিছু সারগর্ভ বা রমণীয় আলোচনা করে আমাদের জ্ঞানচক্ষু উন্মীলিত করবেন। কিন্তু সে গুড়ে বালি। আমি দেখলাম তারা অমিত শাহ্‌জির  principle of logic এর এপ্লিকেশনের চেয়ে তার content of statement কে খণ্ডন করতে বেশী ব্যস্ত থাকলেন এবং মহা ভুল করলেন।  

    যুক্তি তত্ত্বের মৌলিক নীতিগুলি নিয়ে যদি আমরা ঐক্যমতে না পৌঁছাতে পারি, তাহলে কিন্তু আপনি যে কোন জিনিষ বিশ্বাস করতে বাধ্য হবেন। আপনি বিজ্ঞান পড়ে জেনে এসেছেন র‍্যাডার থেকে একধরণের বেতার তরঙ্গ নির্গত হয়, যা কিনা ইঁট, কাঠ, আলো, অন্ধকার, ঝড়, বৃষ্টি সব ভেদ করে চলে যেতে পারে।  এবারে শপথ নেওয়া একজন মহামানব মহামন্ত্রী এক ঝড় জলের রাতে তার বায়ুসেনাধ্যক্ষকে ডেকে বললেনঃ এই হল শত্রুপক্ষকে আক্রমণ করার সঠিক সময়, যাও আক্রমণ কর, এই দুর্যোগে রাত্তিরে শত্রুপক্ষের র‍্যাডার তোমাদের বিমানের হদিশ পাবে না। সেনাধ্যক্ষের অবস্থাটা একবার ভেবে দেখুন। তিনি বিজ্ঞানকে বিশ্বাস করবেন, না বস্‌কে বিশ্বাস করবেন।

    আপনাকে কাউকে না কাউকে বিশ্বাস কিন্তু করতেই হবে। পৃথিবী যে সূর্যের চারিদিকে ঘোরে সে তো আপনি নিজে চোখে দেখেন নি। তবুও যে আপনি এই কথাটা মানেন, কারণ আপনি গ্যালিলিওকে বিশ্বাস করেন। আপনি মাস্টারমশাইদের কাছে শুনেছেন দুধ হল সুষম খাদ্য, তার মধ্যে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট সবকটি খাদ্যগুণই পরিমিত মাত্রায় আছে। কিছুকাল আগে এক রাশভারী নেতার মাধ্যমে জানা গেল গরুর দুধে সোনা আছে। আপনি যদি কোন পক্ষের অন্ধভক্ত হন, তাহলে কোন চিন্তা নেই। কিন্তু যারা একটু চিন্তা করেন, তাদের হয় খুব মুশকিল। আমাদের বাড়ির কাজের মেয়েটি একদিন বললঃ দাদা, আপনি তো পড়ালিখা করা লোক। দুধ থেকে সোনা পাওয়া যায়, সে সোনা বের করার জন্য কি অনেক যন্ত্রপাতি লাগে? তার কি অনেক দাম? আমরা যেমন গমকলে গম নিয়ে যাই, সেখানকার লোক গম ভাঙ্গিয়ে আটা বানিয়ে দেন, তেমন কি কোন দুধসোনাকল আছে, যেখানে দুধ ভাঙ্গিয়ে  সোনা বানিয়ে দেবে? দুধসোনাকল শব্দটা কিন্তু তারই মুখের কথা ছিল। আমি তাকে বললাম- বাঃ দুধসোনাকল শব্দটা তো দারুণ বানিয়েছ। সে বলল কল্‌কে তো কল্‌ই বলব, না কি। আমাদের মত ছোট মানুষের কথা ধরবেন না দাদা, এমন কল্‌ আছে কিনা বলুন না। আমি বললাম আমরা তো স্কুল কলেজে কখনও পড়িনি যে দুধ থেকে সোনা পাওয়া যায়। সে বলল তার মানে আপনি দিলীপদা’র মত অত পড়ালিখা নন্‌, তাই তো?

    এর উলটো দিকের একটা ঘটনাও দেখেছি, যেখানে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোদুল্যমানতায় কেমন মানসিক অস্থিরতা তৈরী হয়। ছোটখাটো অসুখ-বিসুখে আমি পাড়ার এক ডাক্তারের কাছে যাই, সে ডাক্তারের পসার তেমন নেই, তাই তিনি অনেক্ষণ সময় নিয়ে রোগী দেখেন, রোগীদের অনেক প্রশ্নের বেশ যত্ন করে উত্তর দেন। আমি ডাক্তারের ঘরে ঢুকতেই একজন গ্রাম্য লোককে ডাক্তারবাবুর চেম্বার থেকে বেরিয়ে যেতে দেখলাম।  বেশভূষা থেকেই তার আর্থ সামজিক অবস্থানের স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়। অন্য কোন রোগী না থাকায় আমি আর ডাক্তার অনেক্ষণ ধরে গল্পগুজব করছি। প্রায় একঘণ্টা হয়ে গেছে, হঠাৎ দেখি সেই গ্রাম্য লোকটি আবার ফিরে এসেছে – ডাক্তারবাবু, আসব?

    - হ্যাঁ, এসো, কিন্তু আবার কি হল, ওষুধের নাম লেখা কাগজটা হারিয়ে ফেললে নাকি ?
    - না ডাক্তারবাবু, বাড়ী প্রায় পৌঁছেই গিয়েছিলাম, আবার ফিরে এলাম, একটা কথা জানতে।
    - কি কথা?
    - আপনি যে বললেন, ছেলেটাকে গরুর দুধ খাওয়াতে।
    - হ্যাঁ, খাওয়াবে তো, রোজ দুধ খেলে তোমার ছেলের শরীর স্বাস্থ্য ভাল হয়ে যাবে।
    - যদি ছাগলের দুধ খাওয়াই, তাহলে হবে না?
    - ছাগলের দুধ কেন, তোমাদের ওখানে কি গরুর দুধ পাওয়া যায় না ?
    - তা পাওয়া যাবে না কেন? আমাদের বাড়ীর চারপাশেই তো খাটাল ?
    - তাহলে অসুবিধা কিসের ?
    - না, অসুবিধা কিছু নেই। সবাই বলছে গরুর দুধে নাকি সোনা আছে। আমার ছেলেটা কি সোনা খেয়ে হজম করতে পারবে ? যদি পেটখারাপ হয় ?
    - ডাক্তারবাবু একবার আমার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে, সেই লোকটির উদ্দেশ্যে বললেন, যত সব বুজ্রুকি, গরুর দুধে সোনা ফোনা কিছু পাওয়া যায় না। তাহলে গোয়ালারা আর দুধ না বেচে, সোনার দোকান খুলে ফেলত।
    - কি বলছেন ডাক্তারবাবু, অতবড় একজন নেতা বললেন, তিনি কি মিছে কথা বললেন ?
    -আরে, আমিও তো একজন ডাক্তার, পড়াশোনা করে ডাক্তার হয়েছি। এতদিন ধরে রোগী দেখছি, আমি কি তোমাকে মিছে কথা বলব ?
     
    লোকটি অসহায় দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে বলল – এ এক মহা মুশকিলের ব্যাপার, কাকে বিশ্বাস করি বলুন তো। আমি উত্তর না দিয়ে ডাক্তারের দিকে চেয়ে রইলাম। আমারও তো এই একই কন্‌ফিউসন। গরুর দুধে সোনা আছে অথবা নেই – এই বিশ্বাস-অবিশ্বাসের বাইরে, গ্রাম্য লোকটির আরেকটি বিশ্বাসের কথা উপলব্ধি করে আমার খুব অবাক লাগলো। সে বিশ্বাস করে সোনা জিনিষটার খারাপ দিকও আছে। সোনা খেলে পেটখারাপ হতে পারে। গ্রাম্য লোকটি কোন মতেই নেতা গোছের লোক নন্‌। যারা অর্থশাস্ত্রে বিশ্বাস করেন, তারা এই লোকটির কথা বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা।

    বিশ্বাস-অবিশ্বাসের অলি গলিতে ঢুকে গিয়ে মেইন রোড থেকে দূরে চলে গিয়েছিলাম। আদরণীয় অমিত শাহজির বক্তব্যের মধ্যে এত জটিলতা ছিল না। তার মতে আপনি যাকে চেনেন না, জানেন না, তাদের বিশ্বাস করবেন না। তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হলেও না।  যাদের আপনি চেনেন, জানেন, যাদের আপনি ভোট দিয়েছেন, যারা শপথ গ্রহণ করে আপনার সেবা করার জন্য মন্ত্রী হয়েছেন তাদের কে আপনি নির্দ্বিধায় বিশ্বাস করতে পারেন। কিন্তু তাতেও যে মুশকিল আছে, সেটা এই জোক্‌স্‌টা থেকে জানা যাবে। এটা সত্যজিৎ রায়ের মোল্লা নাসিরুদ্দিন বইতে আছে। অনেকদিন আগে পড়েছিলাম, তাই হুবহু উদ্ধৃত করতে পারব না। তবে মূল গল্পটা এই রকমের। 
     
    মোল্লা নাসিরুদ্দিনের এক প্রতিবেশী এসেছে তার গরুটা ধার চাইতে। নাসিরুদ্দিনের সাথে তার ভালই জানাশোনা। আফটার অল্‌, সে তার প্রতিবেশী। নাসিরুদ্দিনের বোধহয় সেদিন তাকে গরু দেওয়ার ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু প্রতিবেশীকে কি এই কথাটা মুখের পরে বলা যায়? তাই সে একটা বেমালুম মিথ্যে কথা বলে দিল – তুমি যদি ভাই একটু আগে আসতে! এইমাত্র ওপাড়ার রমজান এসে গরুটাকে নিয়ে গেল। সে আবার তিনদিন পরে গরুটাকে ফেরৎ দেবে। গরুটা বোধহয় গোয়ালঘর থেকে আন্দাজ করতে পারছিল যে তাকে নিয়েই কথাবার্তা চলছে। সে তার উপস্থিতি জানান দিয়ে ডাকল – হাম্বা। প্রতিবেশী ততক্ষণে চলে যেতে উদ্যত। গরুটার ডাক শুনতে পেয়ে সে আবার ঘুরে দাঁড়াল – নাসির ভাই, তুমি আমাকে মিথ্যে কথা বললে! নাসিরুদ্দিন কিন্তু তার কথাতে গলল না। সেও মুখের পরে জবাব দিল – ছি ছি, ভাই, তুমি আমার চেয়ে আমার গরুকে বেশী বিশ্বাস করলে! তোমাকে তো আমি গরু দেবই না।

    আদরণীয় অমিত শাহজির যে ভিডিওটির কথা উপরে উল্লেখ করলাম, সেটা এইখানে পাবেন- 

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন