এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • সাংগ্রেং: সাগরপারের আদি রাখাইন উৎসব

    বিপ্লব রহমান লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৪ মে ২০১৮ | ২২৫৫ বার পঠিত
  • বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশে সাগর পারের পর্যটন নগরী কক্সবাজার। এটি বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, টানা ১৫৫ কিলোমিটার (৯৬ মাইল) এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এই সমুদ্রপাড় থেকে একইসঙ্গে বিস্ময়কর সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়, যা এই বঙ্গোপসাগরের বালুকাভূমিকে দিয়েছে অনন্য বৈশিষ্ট্য। প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের নাম এখন বিশ্ব পর্যটনের ভূচিত্রে খুবই উজ্জ্বল নক্ষত্র।

    আরো বিস্ময়কর এই যে, এই কক্সবাজার জেলাতেই হাজার হাজার বছর ধরে বাস করছেন ভিন্ন ভাষাভাষী রাখাইন জাতিগোষ্ঠী, যাদের রয়েছে অতি সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য।

    কিন্তু বরাবরই এই আদি বাসিন্দারা থেকে গেছেন অনেকটা যেন লোকচক্ষুর আড়ালে, মূলধারার উন্নয়ন ও জীবনপ্রবাহ থেকে বেশ খানিকটা বিচ্ছিন্ন হয়েই। তাঁদের ওপর গবেষণা হয়েছে কিছু, কিন্তু রাখাইন আনন্দ-বেদনা, লুঠ হয়ে যাওয়া ব্যবসা-বাণিজ্য, বিলুপ্ত বয়নশিল্প বা লেখ্যভাষার দুরবস্থা নিয়ে লেখালেখি ও তথ্য-সাংবাদিকতা হয়েছে খুব কমই।

    জীবন ও জীবিকার তাগিদে অতি নিভৃতে প্রতি বছর কমছে রাখাইন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা (দেখুন: রাখাইনরা কেন দেশ ছেড়ে যান, মুক্তমনা ব্লগ, লেখক)।

    আদিবাসী ফোরামের পরিসংখ্যান মতে, কক্সবাজার, পটুয়াখালি ও বরগুনা জেলায় রাখাইন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা আনুমানিক প্রায় ৫০ হাজার। তবে অধুনা ডিজিটাল বাংলাদেশেও ভাষাগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু রাখাইন জাতিগোষ্ঠী নানা নিপীড়ন-নিষ্পেষণের মধ্যেও আপ্রাণ চেষ্টায় ধরে রাখতে চাইছেন নিজ বৈশিষ্ট্য, লোকজ সংস্কৃতি, ও ঐতিহ্য।

    সম্প্রতি সরেজমিনে রাখাইনদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব ‘সাংগ্রাং’-এ দেখা গেছে এরই খণ্ড চিত্র।

    রাখাইন নেতার কথোপকথনে সাংগ্রাং

    কক্সবাজারের রাখাইন জনগোষ্ঠীর নেতা, আদিবাসী ফোরামের অন্যতম সংগঠক মং থেন হ্লা’র কাছে জানতে চেয়েছিলান রাখাইন বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণ উৎসব সাংগ্রেং বা সাংগ্রেইয়ের আদ্যোপান্ত।

    তরুণ এই নেতা যা বললেন, তা আলাপচারিতায় অনেকটা এরকম:

    “সাংগ্রাং–রাইখাইন বর্ষকে বরণ করে নেওয়ার জন্য রাখাইন জাতিগোষ্ঠীর সামাজিক উৎসব। আমরা এটি শুরু করি সকলে মিলে বৌদ্ধ বিহারে গিয়ে, চন্দন, সুগন্ধি, গাছ-গাছড়ার সুবাসিত পানি ইত্যাদি দিয়ে বুদ্ধমূর্তিকে স্নান করানোর মধ্য দিয়ে। এটি সাধারণত এপ্রিল মাসের ১২-১৩ তারিখ পালন করা হয়। এটি সাধারণত এপ্রিল মাসের ১২-১৩ তারিখে পালন করা হয়। ১৪-১৫ এপ্রিল, পঞ্জিকা অনুযায়ী রাখাইন বছরের শেষ দিন মন্দিরে গিয়ে আমরা নানা আচার পালন করি। এলাকায় রাখাইন ঐতিহ্য অনুযায়ী বিভিন্ন পদের মিষ্টি খাবার রান্না করা হয়। নুডলস জাতীয় খাবার, বিন্নি চাল দিয়ে ‘বিনিভাত’ ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করা হয়। এসব রাখাইন আত্মীয়-স্বজনকে দেওয়া হয়।’’

    “সাধারণত এপ্রিলের ১৭ তারিখ হলো রাখাইন নববর্ষের প্রথম দিন। এদিনকে ঘিরে আমরা পাড়ায় পাড়ায় ছোট ছোট প্যান্ডেল করি। ওয়াটার ফেস্টিভাল বাজল উৎসব বা পানি খেলার জন্য তরুণ-তরুণীরা একই রঙের কাপড় পরেন। মেয়েদের সাথে পানি খেলার জন্য ছেলেরা দল বেঁধে যান। পানি খেলার মধ্যে ছেলেমেয়েরা যখন পানি ছিটিয়ে উৎসব করেন, তখন তাঁদের মধ্যে একে অপরকে জানার সুযোগ হয়, বন্ধুত্ব, বোনের সম্পর্ক, ভাইয়ের সম্পর্ক ইত্যাদি তৈরি হয়।”

    “এভাবে (সাধারণত) এপ্রিলের ১৭, ১৮, ১৯ তারিখ আমরা সাংগ্রেং বা পানি খেলা উৎসব পালন করি। আর ২০ তারিখ আমরা আবার বৌদ্ধ মন্দিরে গিয়ে প্রদীপজ্বালিয়ে পুরনো বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিই।”

    জানতে চেয়েছিলাম, মং এর ছোটবেলার সাংগ্রেং-এর পর কয়েক প্রজন্ম পেরিয়েছে। তো, এখনকার সাংগ্রেং-এর সঙ্গে সেই সময়ের সাংগ্রেং-এর কোনোপার্থক্য? জবাবে রাখাইন নেতা যা বলেন, তা সত্যিই বেদনাদায়ক।

    তিনি বলেন, “আমরা ছোটবেলায় দেখেছি, কক্সবাজারে জনসংখ্যা কম ছিল, সব জায়গায় আমরা ঘুরে বেড়াতে পারতাম। কিন্তু এখন জনসংখ্যা এতো বেড়ে গেছে যে, সাংগ্রেং উৎসব বা ওয়াটার ফেস্টিভালের জন্য বলতে গেলে তেমন জায়গা নেই। এ কারণে দিন দিন উন্মুক্ত পরিবেশে চলাচল বা উৎসব করা সীমিত হয়ে যাচ্ছে।”

    মিয়ানমার থেকে আসা অন্তত ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর কেমন প্রভাব পড়েছে কক্সবাজারের আদি জনগোষ্ঠী রাখাইন জীবনে?

    এমন প্রশ্নের জবাবে মং থমকে যান। একটু দম নিয়ে আবারও বলতে থাকেন:

    “রোহিঙ্গারা আসার পর আমাদের নিত্য চলাচল, বাজারঘাট করা ইত্যাদি কমে গেছে। যারা উখিয়া-টেকনাফের দিকে আছেন (মিয়ানমার সীমান্তে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত অঞ্চল), তাঁদের চলাচল করতে গেলে কিন্তু হিসেব করে বের হতে হয়, কখন কী হয়, কেউ জানে না!”…

    “এত কিছুর পরেও বৃহত্তর কক্সবাজারে কিন্তু সাংগ্রেং উৎসব হচ্ছে। কক্সবাজার সদরের টেকপাড়া, চালবাজার, মাছবাজার, ক্যাংপাড়া…এর বাইরে মহেশখালি, চৌফলদণ্ডী, হারবাং, টেকনাফ, রামু, বালিছড়া এসব জায়গাতে সাংগ্রেং হচ্ছে। এর বাইরে বরিশাল, কুয়াকাটা (পটুয়াখালি) ও বরগুনায় রাইখাইন এলাকায় সাংগ্রেং হচ্ছে বলে আমরা জেনেছি। তবে শুধু সীমান্ত এলাকাগুলোতে নিরাপত্তাহীনতা আছে।”



    ঝটিকা সাংগ্রেং, বিস্মৃত রাখাইন রাজ্য…

    এই কথোপকথনের পর আমরা কক্সবাজারের সদর এলাকার বিভিন্ন সাংগ্রেং প্যান্ডেল ঘুরে ঘুরে দেখি। সেখানে উচ্চস্বরে চলছে রাখাইন ভাষায় লাইভ কনসার্ট। সুর ও বাদ্য জানায়, খুব সম্ভব হেভি মেটালিকা।



    জমকালো নতুন সাজপোশাকে রাখাইন তরুণ-তরুণীরা কনসার্টে মেতেছেন নেচেগেয়ে। পানি খেলাও চলছে সমানতালে। আর পানি খেলায় শিশু-কিশোরদের আগ্রহই যেন বেশী। বেশ কয়েকজনের হাতে আবার দেখা গেল, প্রমাণ আকৃতির ওয়াটার গান। উৎসবের লাগসই প্রযুক্তি বটে!
    অক্টোপাস বা শুঁটকি মাছ ভুনা, মুন্ডি (চাল দিয়ে তৈরি বিশেষ রাখাইন খাবার), তেঁতুলসহ তাজা লাইট্টা মাছের ঝোল, নাপ্পি (কয়েক রকম শুঁটকির পেস্ট) দিয়ে বানানো স্যুপি-নুডুলস ইত্যাদি অনুপানসহ রাখাইন আদি পানীয় “রা” টেনেছি খানিকটা।



    আর ছোট মাপের প্যান্ডেলে কনসার্টের আয়োজন করা না হলেও উচ্চস্বরে হিন্দি বা ইংরেজি গানের সিডি বাজতে দেখেছি।

    মোবাইল ফোন, ভিডিও শ্যুটিং ইত্যাদি বাঁচিয়ে নিজেরাও কাকভেজা হয়ে ছবি তুলেছি। রাখাইন ছেলেমেয়েরা সাদরে বরণ করে নিয়েছেন ঢাকা থেকে আসা রবাহুতদের।

    কয়েকটি জায়গায় ছোট ছোট পানাহারের আসরেও অংশ নিয়েছি। মুরগি, শূকর, অক্টোপাস বা শুঁটকি মাছ ভুনা, মুন্ডি (চাল দিয়ে তৈরি বিশেষ রাখাইন খাবার), তেঁতুলসহ তাজা লাইট্টা মাছের ঝোল, নাপ্পি (কয়েক রকম শুঁটকির পেস্ট)দিয়ে বানানো স্যুপি-নুডুলস, কাঁচা আম ভর্তা, পেঁপে সালাদ ইত্যাদি অনুপানসহ রাখাইন আদি পানীয় “রা” টেনেছি খানিকটা।

    বলা ভাল, ভাত গ্যাঁজানোর পর কয়েকবার ডিস্টিল করা এই রাইস জুসটি বেশ কড়া, পানির মতোই স্বচ্ছ ও রাখাইন সমাজে বেশ জনপ্রিয়। লোকে বলে, “রা খেয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মুশকিল!”…

    আর সাধারণ পর্যবেক্ষণ বলছে, উচ্চ শিক্ষিত রাখাইন তরুণ-তরুণী ও শিশু-কিশোররা সর্বত্রই খুব স্মার্ট, প্রজন্মের পর প্রজন্ম বৃহত্তর বাঙালি জনগোষ্ঠী ও পর্যটন বাজারে তীব্র প্রতিযোগিতা করেই তাদের টিকে থাকতে হচ্ছে বলে, এ প্রজন্ম একই সঙ্গে কর্মঠ, উদ্যমী, বিনয়ী, উচ্ছল, দ্বিধাহীন, বেপরোয়া ও রক্ষণশীল।…
    ---
    মূল লেখাটি এখানে : https://bengali.indianexpress.com/general-news/sanggreng-bangladesh-rakhain-festival/
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৪ মে ২০১৮ | ২২৫৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রৌহিন | ***:*** | ০৫ মে ২০১৮ ০৪:৫১62491
  • রাখাইনদের কথা আগে সেভাবে শুনিই নি। মুক্তমনার লেখাটা পড়ে দেখি
  • বিপ্লব রহমান | ***:*** | ০৯ মে ২০১৮ ০২:৪১62492
  • রৌহিন, আপনার আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ।
  • প্রতিভা | 172.69.***.*** | ১৬ এপ্রিল ২০২০ ০৯:৩৯92372
  • ধারণা ছিল রাখাইনরা মায়ানমারেই সীমাবদ্ধ। এরা বাংলাদেশেও আছেন তবে। 

  • বিপ্লব রহমান | ১৬ এপ্রিল ২০২০ ২১:১০92380
  • প্রতিভা দিদি, 

    নিশ্চয়ই, তারা এদেশে আছেন অনেক বছর ধরে। "রাক্ষাইন" শব্দের অর্থ  "রক্ষণশীল", এটি অনেকটাই যেন এই সমৃদ্ধশালী জাতিগোষ্ঠীর জন্য সত্য।  এ নিয়ে একদা অনেক লিখেছি। কিছু দুর্লভ দলিদপত্রও সংগ্রহ করেছি, আশির্বাদ রেখ, যেন আরো লিখতে পারি। 

    তোমার বিনীত পাঠের জন্য ধন্যবাদ ও কৃত

    জ্ঞতা। 

  • বিপ্লব রহমান | ১৬ এপ্রিল ২০২০ ২১:১৭92381
  • পুনশ্চঃ প্রতিভা দি,

    সময় পেলে মুক্তমনার এই পুরনো লেখাটিও পড়ে দেখতে পারো, "রাখাইনরা কেন দেশ ছেড়ে যান?" 

    https://blog.mukto-mona.com/2011/05/13/16211/

  • শক্তি একটা পরিচয় পাওয়া গেল ।ছবিগুলো ও সম্পদ ।ভালো লাগলো | 162.158.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ০৬:৫২92391
  • রাখাইন জনগোষ্ঠীর সম্পর্কে কিছুই জানতাম না ।বিপ্লবের লেখায় তাদের উৎসবের মধ্যে তাদের কৃষ্টির

  • বিপ্লব রহমান | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ০৯:২০92402
  • শক্তি দি, 

    বিনীত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। তোমার মন্তব্যের কিছু অংশ বোধহয় ভুল বশতঃ নামের ঘরে চলে এসেছে,  তবু পড়া যাচ্ছে।   

    গুরুতে আরও লেখ।       

  • রৌহিন | 172.69.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ১১:২৯92408
  • মুক্তমনার লেখাটা ২০১৮ তেই পড়েছিলাম। রাখাইন গোষ্ঠীর কথা তোমার কাছেই প্রথম জানতে পারি। খুব জরুরী লেখা এগুলো
  • রৌহিন | 172.69.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ১১:২৯92407
  • মুক্তমনার লেখাটা ২০১৮ তেই পড়েছিলাম। রাখাইন গোষ্ঠীর কথা তোমার কাছেই প্রথম জানতে পারি। খুব জরুরী লেখা এগুলো
  • ইশরাত তানিয়া | 172.69.***.*** | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ১২:০৩92410
  • লেখককে ধন্যবাদ। রাখাইন জাতির উৎসব সম্পর্কে ডিটেইল জানা ছিল না। চমৎকার একটি ফিচারধর্মী লেখা পড়লাম।

    ভিডিও ক্লিপিংসগুলোর সংযুক্তির জন্যও ধন্যবাদ। 

  • বিপ্লব রহমান | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ২১:২১92423
  • এবার লকডাউনের খপ্পরে নিরানন্দ আদিবাসী জীবন, বর্ষবরণ আয়োজন। জানি করোনালীলার পর আগামী আসবেই...

    @রৌহিন দা,

    নিবিড় পাঠের জন্য ধন্যবাদ। তুমি এপারে বেড়াতে এলে নিশ্চয়ই আমরা কক্সবাজারে রাখাইন গ্রামে ঘুরতে যাব। নিমন্ত্রণ রইলো। 

    @ইশরাত, 

    আগামীতেও সাথে থাকার বিনীত অনুরোধ। শুভ   

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন