কই থেকে শুরু করব? আগুন এত জায়গায় লাগছে যে আলাপ শুরু করাই মুশকিল। অবস্থা এমন যে মনে হয় আমরা একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে বাস করছি। সব সময় তীব্র আতঙ্ক, না জানি কখন কী হয়ে যায়! যাই হোক, অনেক কিছুর মধ্যে আমার সবচেয়ে কষ্ট লাগছে যে ঘটনায় সেইটা নিয়েই শুরু করি আজকে।
আমরা যারা মফস্বল শহরে বড় হয়েছি তাদের কাছে ঢাকা মানে ছিল বিশাল কিছু। যদি কোন কারণে কদাচিৎ যাওয়া পড়ত তাহলে সেই গল্প শেষ হত না আমাদের। কেউ গেলে তার ফেরার পরে শুরু হত গল্পের আবদার! আমি তো গাড়ির টিকেটও রেখে দিতাম, এইটা ঢাকা যাওয়ার বাসের টিকেট, মানে বিশাল কিছু। আমাদের ঢাকা সম্পর্কে নানা কারণেই আগ্রহ ছিল। ব্যক্তিগত ভাবে আমার কাছে দারুণ লাগত যখন ঢাকার স্কুল গুলোর গল্প শুনতাম। আমার বড় খালার বাড়ি ঢাকায়। খালাতো বোন ঢাকায় পড়ে, এইটা মনে হত বাপরে! ঢাকার স্কুল! পত্রিকায় নানা স্কুলের মাধ্যমিকের ফলাফলের খবর আসত, কলেজের ফলাফল আসত, কল্পনা করতাম কেমন এই স্কুল কলেজ গুলো? এই কল্পনার গল্প গুলো প্রায়ই অল্প কিছু স্কুল কলেজ ঘিরেই তৈরি হত। সব বাদ, যে প্রতিষ্ঠান নিয়ে লিখতে চাচ্ছি তার কথাই বলি। এইটা হচ্ছে সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ। ঢাকার পুরান ঢাকায় সেন্ট গ্রেগরির অবস্থান। ঢাকার সবচেয়ে পুরাতন স্কুল গুলোর মধ্যে প্রথম সারির স্কুল হচ্ছে সেন্ট গ্রেগরি। ১৮৮২ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই ঐতিহ্যবাহি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটা সম্পর্কে খুব আগ্রহ ছিল আমার, সম্ভবত প্রাচীন বলেই বেশি আগ্রহ ছিল । কত গল্প শুনছি, পড়ছি। কত নামীদামী লোকজনের স্মৃতিধন্য এই জায়গা। কী হল এর? কিছুই না, স্রেফ ভেঙ্গে চুরমার করেছে কতিপয় মহান ছাত্র! তছনছ করে দিয়েছে স্কুলের তিনটা ফ্লোর। সন্ধ্যায় এসে করে গেছে কাজ, কেউ ছিল না, মনের সুখে আকাম করে গেছে। কেন? এবার আসল গল্পে যাই তাহলে।
পুরান ঢাকায় একটা কলেজ আছে নাম ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ (ডিএমআরসি)। এই প্রতিষ্ঠানের এক ছাত্র ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালে। ভুল শুদ্ধ কে জানে, এইটা ছাত্ররা দাবি করছে। তো এর জন্য কী করতে হবে? বাহ! এইটাও বলে দিতে হবে? এই বাংলাদেশে? ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালে আক্রমণ করতে হবে! ডিএমআরসি একা একা আক্রমণ করবে? এতদিনের আন্দোলনের সাথিরা কই? আশেপাশের আরও কলেজের ছাত্ররা মিলে হাসপাতালে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছাত্ররা। মুশকিল হচ্ছে এই আক্রমণ পরিচালনায় সম্ভবত কোন গলদ ছিল, হাসপাতালের কাছাকাছি দুই কলেজ কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের ছাত্রদের সাথে ডিএমআরসির মারামারি লেগে যায়। পরেরদিন ডিএমআরসির সোনার টুকরো ছেলেরা সবাই মিলে সোহরাওয়ার্দী কলেজে ঢুকে গণভবন লুটের সময় যে প্রশিক্ষণ নিয়ে ছিল তারা তেমন করে জাস্ট লুটপাট চালায়। ছাত্রদের ধরে পিটুনি তো আছে। অনার্স প্রথম বর্ষের পরীক্ষা চলছিল। ছাত্রছাত্রীরা কাঁদতে কাঁদতে জীবন নিয়ে কোনমতে পালিয়ে বেঁচেছে। দুপুরে সোহরাওয়ার্দী কলেজে ভাংচুরের পড়ে কে জানে কেন, বিকাল বা সন্ধ্যার দিকে সেন্ট গ্রেগরিতে ভাংচুর চালায়। আগুনও দেয় এখানে। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে সেন্ট গ্রেগ্ররি। ( তিতুমির, ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজের পরে এখন সেন্ট গ্রেগরি! আরও বন্ধ থাকতে পারে, আমি আর কতখানি জানি!)
কাহিনী এখানেই শেষ না। সোহরাওয়ার্দী কলেজে এই অপমান চুপচাপ মেনে নিবে? আকস্মিক এসে আক্রমণ করেছে বলেই তো তাদের সাথে পেরেছে, না হলে পারত? তো এখন? আবার জিগায়! গতকাল ২৫ নভেম্বর ঘোষণা দিয়ে সোহরাওয়ার্দী কলেজে আর কবি নজরুল কলেজের মহান ছাত্ররা ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ বা ডিএমআরসির ওপরে সমস্ত শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পরে। ফলাফল আগেরদিনের এদের কাণ্ডকে এখন অনেক সহনীয় মনে হচ্ছে! এরা ছাত্র! নিজেদের বয়সই একেকজনকে ধরে সাপ মারার মতো পিটাচ্ছে! একজন দৌড় দিয়ে পরে গেল, অন্তত দশ থেকে পনেরো জন মিলে লাঠি নিয়ে তার ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ল! এগুলা দেখা আমার কম্ম না। নেওয়া যায় না। দুইতিন দিন ধরে এই চলছে। অথচ দেশে এখন সরকার আছে, তারা দাবি করে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসেছে, এরচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক সরকার আর কী আছে? নোবেল বিজয়ী একজন ক্ষমতার শীর্ষে। দুই তিন ধরে টানা চলছে, কেউ থামানোর নাই, বুঝানোর নাই, ধমক দেওয়ার নাই! সেনাবাহিনী জানিয়েছে কেউ মারা যায় নাই! কিন্তু বিশ্বাস হয় না আমার। বিভিন্ন সূত্র বলছে অন্তত ১০ জন মারা গেছে! দশটা তাজা প্রাণ! না মারা গেলে আলহামদুলিল্লাহ।
২৪ তারিখ ছিল সবচেয়ে বেশি ঘটনা বহুল দিন। সোহরাওয়ার্দী কলেজে ভাংচুর ছিল সেরা। কিন্তু আশেপাশের ঘটনা গুলোও চমৎকার। দেশের ভবিষ্যৎ অনুমান করতে এগুলা জানা খুব জরুরি। খুব চমকপ্রদ কাহিনী হয়ে গেছে অন্যদিকে। মোল্লাদেরকে অনলাইনে খেপিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রথম আলো ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে। কেন? তারা ভারতের দালাল, হিন্দুত্ববাদের সমর্থক! কাঁচা মিথ্যা বলা একজন যিনি প্রথম আলোয় চাকরি করতেন, তিনি বলেছে তাকে প্রথম আলোয় নামাজ পড়তে দেয় নাই! এইটা থেকে শুরু। এরপরে পিনাকীর মতো লোকজন অনলাইনে যুদ্ধের ডাক দিয়েছে। এবং আমাদের বিলো এভারেজ আইকিউর লোকজন প্রতিবাদের আয়োজন করেছে। কী সেই প্রতিবাদ? প্রথম আলোর সামনে গরু জবাই করে জেফত খাওয়া হবে! হিন্দুত্ববাদকে গরু দিয়ে প্রতিরোধ! বাহ! ইউনিক না?
যথারীতি গরু নিয়ে হাজির লোকজন। জবাইও করা হল। বিরিয়ানি তুলে দেওয়া হল চুলায়! এগুলা প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনেই হচ্ছে। সবাইকে খোলাখুলি দাওয়াত দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসেন সবাই জেফত খাইতে! সবাই টানটান উত্তেজনায় বসে আছে, এরপরে কী হবে? মতিউর রহমান নিজেই এসে হয়ে যায় না কি আবার গরুর বিরিয়ানি খাইতে! বাদ সাধল আর্মি পুলিশ! আয়োজকদের ধরে ধোলাই দিল। রান্না রেখে সব পালিয়ে গেল। একজন আবার ডেকচি গুলোর ভিডিও করে দেখাচ্ছিল, এখন এগুলার কী হবে! বিরিয়ানির কী হয়েছে জানি না। সন্ধ্যার দিকে তৌহিদি জনতা আবার আসছিল। তার একটা ভিডিও ক্লিপ দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। আর্মি এক অফিসারকে সরাসরি থ্রেট দিয়ে দিল! বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মান সম্মান আগেই শেষ করেছে, এখন এগুলা আর বেশি কিছু মনে হয় না। যারা সেনাবাহিনী কোথায় সম্মান হারিয়েছে জানতে চান তারা যেদিন রিকশাওয়ালাদের সাথে আর্মির গণ্ডগোল হয় সেদিনের ভিডিও দেখতে পারেন। রিকশাওয়ালাদের দৌড়ানই খেয়ে জীবন নিয়ে পালিয়েছে মহান সেনাবাহিনী!
আমরা ভাবছি সন্ধ্যার পরে বুঝি শেষ হল ঘটনাবহুল দিন। কিন্তু না। ছাত্ররা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে যে এত তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যাওয়ার জন্য? রাতেই খবর আসল বুটেক্স মানে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভারসিটির ছাত্রদের সাথে পলিটেকনিকের ছাত্রদের মাঝে বিশেষ প্রীতি ম্যাচ শুরু হয়ে গেছে! যতটুকু খবর পেয়েছিলাম তাতে ২০/৩০ জনের মতো আহত হয়েছে। সোনার বাংলাদ্যাশ।
২৫ তারিখ মারামারি ছাত্রদের মাঝে হইছে। এদিকে আগেরদিন বিরিয়ানি কর্মসূচি বিফলে যাওয়ায় শাহবাগে জমায়েতের ডাক দিয়েছিল। কোন অজ্ঞাত কারণে আজকের এই আয়োজন জমে নাই। সম্ভবত বিরিয়ানি নাই দেখে! দিনটা শেষ হতে পারত আল্লায় বাঁচাইছে আর কিছু হয় নাই বলে। কিন্তু না। এইটা এখন নোবেল ম্যানের দেশ, এত সহজে একটা দিনও যাইতে দিবে না বলে পণ করেছে সবাই। কী হল? বলছি, সবুর!
সংখ্যালঘুদের ওপরে নানা অত্যাচার নিয়ে অনেকেই সোচ্চার এখন। রংপুরে হিন্দুদের বিশাল একটা জনসভা হয়েছে। মহান সরকার নির্লজ্জের মতো এই সভা ফেরানোর চেষ্টা করেছে। ধরপাকড় করেছে, হোটেলে রেড দিয়েছে! এগুলার পরে এবার “বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ”র মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময়কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে বিমানবন্দর থেকে ডিবি পুলিশ ধরেছে! কেন? উনি বেশি কথা বলতেছিল? না সবার নজর অন্যদিকে নেওয়ার চেষ্টা? লজ্জা ডক্টর ইউনুস লজ্জা!
এই আটকের খবর যখন মানুষ খেপে গিয়ে শাহবাগে জমায়েত হয় তখন পুলিশ আর্মি না ছাত্ররা ঝাঁপিয়ে পড়েছে তাদের ওপরে। পত্রিকাওয়ালারা এখন খুব সুশীল! লিখেছে দুর্বৃত্তরা আক্রমণ করেছে। ভাসুরের নাম মুখে নেওয়া যায় না গো! একজন আহত হইছে এই দুর্বৃত্তদের আক্রমণে।
আর নেওয়া যায় না এগুলা। গণ্ডগোল আগেও হয়েছে, ছাত্রদের মধ্যে মারামারিও হয়েছে, নানান আকাম করেছে। সেগুলার সাথে এই ঘটনা গুলোর পার্থক্য কী? পার্থক্য হচ্ছে পরিস্থিতি সামলানো। একটা দায়িত্বশীল মানুষকে কোথাও দেখা যায় না! ছাত্র নামের কুলাঙ্গাররা যা ইচ্ছা তাই করছে, ঘোষণা দিয়ে আক্রমণ করছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। জুলাই আন্দোলনের ইন্টালেকচুয়াল দিকটা সামাল দেওয়া পত্রিকা প্রথম আলো ডেইলি স্টারকে হিন্দুত্ববাদের দোসর, ভারতের দালাল এমন হাস্যকর ট্যাগ লাগিয়ে আক্রমণ করা হচ্ছে অথচ কেউ কোন শব্দ করছে না। আপত্তিটা এখানেই। আলোচনা নামে যে একটা বিষয় আছে তা এই দেশের সবাই ভুলে বসে আছে। একদল কর্মসূচি দিচ্ছে আরেকদল চুপ করে দেখছে। যখন মনে হচ্ছে এখন চালায় দেওয়া যায় তখন লাঠি হাতে চালিয়ে দিচ্ছে! আরে! এইটা কোন সভ্য দেশের কাজ? সারাদিন শুধু লাঠিপেটাই হচ্ছে! কেউ কারো সাথে বসে না, কথা বলে না!
ভণ্ড দিয়ে পূর্ণ দেশ। ভণ্ডামি, এই জিনিসটা আমরা করি নাই। আওয়ামীলীগের ভুল যখন দেখছি তখন বলছি যে শত অর্জনের পরেও এতগুলো লাশের পরে সরকারের গদিতে থাকার কোন নৈতিক অধিকার নাই। কিন্তু অনেকেই বা বলা চলে দুই একজন বাদে সবাই এখন এইটা বলতে পারছে না। তারা ধরে নিচ্ছে যেহেতু তারা আন্দোলন সমর্থন দিয়ে এই সরকার এনেছে মানে হচ্ছে এইটা তাদের তৈরি করা সরকার। এর কোন ভুল হলে সেটা তাদের ভুল। আর তাদের তো কোন ভুল হতেই পারে না! সাক্ষাত ফেরেশতা একেকজন, তাই না? তাই ইউনুস সরকার যাই করে তাকেই সমর্থন দিয়ে যায়, মারহাবা, কী দারুণ বলে যায়। হাওয়ার ওপরেই তারিফ করে যাচ্ছে। ব্যান্ড শিল্পী মাকসুদকে আমি এখন পর্যন্ত দেখছি আন্দোলনকে সম্পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে যেমন তেমনই এখন এই সরকারের ফাইজলামি গুলোকেও পরিষ্কার ভাবে বলে যাচ্ছে। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এই সরকারের অবস্থান নিয়ে তিনি পরিষ্কার প্রতিবাদ করেছেন। জেড আই খান পান্নাও একই রকম। । আমিও এইটাই চাই। গো ধরে বসে থাকার কিছু নাই। ভুলকে ভুল বলতে হবে, অন্যায়কে অন্যায় বলতে হবে। পরিষ্কার করে বলতে হবে ডক্টর ইউনুস সরকার চালাতে ব্যর্থ, একশ দিনের ওপরে এই সরকারের বয়সে তিনি সাফল্যের সাথে শূন্য পেয়ে এখন ঋণাত্মক মানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। ভুলকে ভুল বলতে দ্বিধা থাকবে কেন? এমন হলে বরং চুপ করেই বাতাবি লেবু চাষ করেন!
নবারুন ভট্টাচার্যর মতো করে বলতে ইচ্ছা করে -
"এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না
এই জল্লাদের উল্লাসমঞ্চ আমার দেশ না
এই বিস্তীর্ণ শ্মশান আমার দেশ না
এই রক্তস্নাত কসাইখানা আমার দেশ না"
কিন্তু হচ্ছে বলতে পারি না। কারণ সত্য হচ্ছে -
"এই মৃত্যু উপত্যকাই আমার দেশ
এই জল্লাদের উল্লাসমঞ্চই আমার দেশ
এই বিস্তীর্ণ শ্মশানই আমার দেশ
এই রক্তস্নাত কসাইখানাই আমার দেশ"
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।