এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • সরকারহীন বাংলাদেশের দ্বিতীয় দিন!

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৮ আগস্ট ২০২৪ | ১১৯৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • এক দল ১৫ বছর ধরে খেয়েছে, তোরাও ১৫ বছর খা। কিন্তু তিনারা এমনই ক্ষুধার্ত যে তর সইছে না। ১৫ বছরের খাবার একবারে খাওয়ার চেষ্টা করছে। দুর্ভিক্ষের গল্প শুনছি অনেক। প্রচণ্ড ক্ষুধায় কাতর কাওকে না কি শুরুতেই খাবার দিতে হয় না। আগে একটু পানি, হালকা কিছু দিয়ে ভারি খাবার দিতে হয়। না হলে তাড়াহুড়ো করে গলায় আটকে মরতে বসে অনেকে। বিএনপির দশা এখন তেমনই। কেউ এদের বলছে না একটু রয়ে সয়ে খাও। না হলে দম আটকে মরবে। বিএনপিকে তো ভোটের জন্য মানুষের কাছে যেতে হবে, এখন যা করছে, ১৫ বছরের তিক্ততা এরা দুইদিনেই এনে ফেলবে এমন অবস্থা।

    সরকার নাই দেশে, পুলিশ নাই, সেনা বাহিনী নামে মাত্র আছে। তারা কেউ সামনে খুন হয়ে গেলে চেয়েও দেখবে না এমন নিয়ত করেই বসে আছে।

    গতকাল দুপুরে বের হয়েছিলাম আমার শহর দেখার জন্য। সমমনাদের সাথে কথা বলে একটু মনটা হালকা করার ব্যাপারও ছিল। সবই হয়েছে মানে শহর দেখাও হয়েছে, মনটাও হালকা হয়েছে। আবার একই সাথে ভারিও হয়ে গেছে। মানুষ যে কোন পর্যায় যায়, নামতে পারে তার নতুন করে মাপ নির্ধারণ হচ্ছে যেন।

    কালকে শুনলাম আমাদের শহরেরই এক এলাকা যেখানে সকাল থেকে বেশ বৈষম্যহীন ভাবে চাঁদাবাজি চলছে। মানে হিন্দু মুসলিম, আওয়ামীলীগ বিএনপি নাই। সবার বাড়ি যাচ্ছে, এখন ২০ হাজার দিতে হবে, ১৫ হাজার দিতে হবে না হলে দিব আগুন ধরিয়ে! মানুষ একটা শব্দ করতে পারছে না। যা পারছে দিয়ে দিচ্ছে। ওই এলাকাটা সব সময় বিএনপির এলাকা বলেই পরিচিত। মানে হচ্ছে এই এলাকার মানুষ বিএনপির সমর্থক হয়েও তাদের কর্মীদেরকে চাঁদা দিতি হচ্ছে না হলে ঘর জ্বালিয়ে দিবে! আমাদের শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে কিছু দোকানপাট আছে, মানুষের বাড়ি ঘর আছে, শহীদ মিনার আছে। এই এলাকার মানুষ সরকার পতনের প্রথম ধাক্কাটা কেটে যাওয়ার পরে, লুটতরাজ দেখে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেয় রাতে এই এলাকা পাহারা দিতে হবে, না হলে বড় সর্বনাশ হয়ে যাবে। ওই এলাকায় ঢুকতে চারটা রাস্তা, চারটা রাস্তায় মানুষ বসে গেল ব্যারিকেড করে। সমানে অতি উৎসাহী এসে যাচ্ছে, ঢুকতে চাই, ভাংচুর করতে চায়। বুঝিয়ে শুনিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল সবাইকে। এই এলাকাতেই বিএনপির এক নেতা, এক সময়ের মাঝারি মানের নেতা তিনি খুব দৌড়াদৌড়ই করা শুরু করলেন। এবং এক সময় সেখানের সবচেয়ে বড় যে দোকানটা, ইলেক্ট্রনিক্সের দোকান, টিভি ফ্রিজসহ আরও নানা জিনিস দিয়ে বিশাল বড় দোকান ওইটা। তাকে বলল আমি পাহারা বসাইছি, কিছু টাকা দাও। কত টাকা? ২৫ লাখ! দোকান মালিক বলছে আমি পারব না ভাই এত টাকা দিতে। এদিকে যারা নিজেদের গরজেই রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে তারা এগুলার বিন্দুমাত্র কিছু জানে না। তারা লোক আসলে বুঝিয়ে ফেরত দিতে থাকছে। এর মধ্যে একজন সাথে দুই তিনজন ছেলেকে নিয়ে এসে জোর করেই ঢুকবে, ওই দোকানটাই পুড়বে! যথারীতি বুঝানোর চেষ্টা করা হল। কিন্তু তিনি কিছুতেই বুঝেন না। শাটার ভেঙ্গে পেট্রল গান পাউডার দিয়ে ধুম করে জ্বালিয়ে দিল! নিমিষে শেষ। দোকান মালিক যারা পাহারা দিচ্ছে তাদেরকেও ওই নেতার লোকোই ভাবছে, কারণ সে বলেছে তার লোকজন পাহারা দিচ্ছে। তিনি পরেরদিন সকালে আসছে, মানুষ জন এগিয়ে এসে বলছে যে আমরা এমন বাঁচানোর চেষ্টা করছি কিন্তু অমুককে তো ফিরাইতেই পারলাম না! তখন এর হুশ হইছে, বলল আপনেরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন? সবাই বলে হ, কিন্তু ও তো জোর করেই দিল। বেশি কিছু করার তো দিন না এখন। তখন তিনি বললেন এই কাহিনী! সবাই হতবাক।

    নানান কিচ্ছা ছড়িয়ে আছে এখন। সবই অবিশ্বাস্য। এক ছেলে এই আন্দোলনেও ছাত্রলীগ করত। মিছিল করেছে সমানে। ওর বাবা আবার করত এক সময় বিএনপি। আমরা চিনতাম হিরোইন ব্যবসায়ী হিসেবে। বাপের পরিচয়ে এই ছেলে এখন ছাত্রদলের কঠিন কর্মী! শুধু তাই না, সে এখানকার আরেক ব্যবসায়ীকে থ্রেট করে এক লাখ টাকাও চেয়েছে। এইটা নিয়াই গতকাল গণ্ডগোল হইছে, আমি যেটার চেহারা দেখছি একটু। বিএনপির ছেলেরা যখন এইটা শুনছে তখন ওদের মেজাজ খারাপ হইছে, টাকা খাবে ওরা, এইটা ক্যাডা? এই নিয়ে তুমুল মারামারি, বিএনপির দুই কর্মী হাসপাতালে, সেলাই লাগছে ১৫/২০টা করে! এখন ওই ছেলেকে এরা আবার খুঁজছে, ওর বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, আশেপাশের আরও কয়েকটা বাড়ি সহ নাই, পুড়ে ছাই! দেশে আইন কানুন না থাকলে যা হয় আর কী!

    শেরপুর তো বটেই, বাংলাদেশের মধ্যেই অন্যতম চাল ব্যবসায়ীর নাম গোপাল সাহা। তিনি বাতাস আগেই বুঝতে পেরেছেন। জানেন এবার ডলা খাওয়ার সময় এসে গেছে। কিন্তু তিনি কাচা কুমলা না। ঝানু লোক। কেউ থ্রেট করার আগেই তিনি নিজেই যারা যারা মাথা আছেন ওই এলাকার তাদেরকে ডাক দিয়েছেন। ১০/১৫ লাখ টাকা ধরায় দিছেন। বলছেন এবার আমার কোন প্রতিষ্ঠানে যেন একটা ফুলের টোকাও না লাগে! সবাই নিজ দায়িত্বে তার সব কিছু দেখে রাখবে কথা দিয়ে চলে গেছে। আমি শুনে বললাম বাহ! এই না হলে গোপাল সাহা!

    আরেকজন শ্রমিক নেতা। বেশ পুরান নেতা। আওয়ামীলীগ করতেন। এই জিদে তাকে ফোন দিয়েছে। টাকা দেন জান মাল বাঁচান। তিনি উল্টা ফাপর দিয়েছেন তাদেরকে। বলছে আমার বন্দুক আছে কয়েকটা, যে আসব ওরে ফালায় দিমু। তোরা যেমন আইন কানুন নাই এইটার সুবিধা নিয়া যা ইচ্ছা তাই করবি, কোন বিচার নাই এগুলার, এইটা কিন্তু আমার জন্যও সত্য। যে পর্যন্ত গুলি আছে ফালায় যাব। এইটার বিচার হব না এই দেশে। পুলাপান ভয় পেয়ে ওইদিকে আর যায় নাই। উনি নিজের কিছু লোককে পাহারায় বসায় রাখছিলেন।

    প্রথমদিনের গল্প শুনলাম আরেকজনের কাছে। তিনি শুধু দাঁড়িয়ে মিছিল দেখতেছিলেন। রাম দা হাতে এক ছেলে, বয়স পায়ের টাকনু সমান, ধমক দিলেন তাকে, কী দেখস? বাড়ি যা, আওয়ামীলীগ করস? উনি আমাকে বলল শরিফ, আতঙ্কটা বলে বুঝানো মুশকিল। আমার শরীর থরথর করে কাঁপা শুরু হয়ে গেল যেন! এই জিনিস নিজের সাথে না ঘটলে অনুধাবন করা সম্ভব না।

    আমাদের শেরপুর শহরে বঙ্গবন্ধুর মুরাল ছিল। ওইটা ভাঙ্গা হইছে। বঙ্গবন্ধু জাদুঘরই নাই আর তো আমাদের এই শহরের মুরাল। কিন্তু কথা ওইটা না। যে জায়গাটাতে মুরাল ছিল ওইটা অবৈধ জমি উদ্ধার করে, জায়গাটা দখল মুক্ত করে বের করা হয়েছিল। যারা তখন দোকান হারিয়েছে তারা এক রাতে মুরাল ভেঙ্গে ওই জায়গায় আবার দোকান দেওয়ার ব্যবস্থা করে ফেলছে! কেউ বাধা দেওয়ার আগে দিয়ে ফেলতে পারলেই তো চিন্তা নাই আর।

    পরিচিত, বন্ধুরা সবাই রাত জাগছে প্রতিদিন। নিজেদের দোকান পাহারা দিচ্ছে। আমি তো রাতে এই কয়দিন বের হইনি। গতকাল শুনলাম এরা সবাই মার্কেটে বসে থাকে। ভোরের দিকে বাড়ি যাচ্ছে। একজনের কথা শুনে দোকান আছে এমন কয়েকজনকে জিজ্ঞাস করলাম, সবাই বলে আমরাও তো পাহারা দেই, রাতে বাড়ি থাকি না।
    কী অবিশ্বাস্য একটা সময়!

    এবার জাতীয় পর্যায়ের আলাপ করি। ডক্টর ইউনুস প্রধান উপদেষ্টা হচ্ছেন এইটা নিশ্চিত করেছে সেনা সদর। কে কোন মন্ত্রণালয় পাচ্ছে তা নিশ্চিত না এখনও। আগামীকাল শপথ নেওয়ার সময়েই জানা যাবে সব। বিএনপি সমাবেশ করে ফেলেছে ঢাকায়। কেন জানি বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নেতা থেকে শুরু করে মাঠের কর্মীরা সবাই ধরেই নিচ্ছে তারা ক্ষমতায় এসেছে। যদি হিসাব ভুল না হয় তাহলে ইউনুস সাহেব বিএনপির জন্য আসেন নাই। যদি এর পিছনে বড় কোন হাত থাকে তাহলে তা ইউনুস সাহেবের জন্যই আছে। ছাত্ররা এখনও হামবড়া ভাব নিয়ে আছে। দেখা যাক কবে এরা বলে উঠবে বিপ্লব হাত ছাড়া হয়ে গেছে!

    আমি মোটেও চাচ্ছি না তাদের এই বিপ্লব হাত ছাড়া হোক। পরিবর্তন আসুক। ইউনুস সাহেব যদি দল গঠন করেন, যদি মোটামুটি চেহারার মানুষজন তার সাথে থাকেন তাহলে আমার তো আপত্তি নাই। আমি ভোটও দিব। তৃতীয় একজনের খুব দরকার। কিন্তু যদি এমন হয় ইউনুস সাহেব শুধু প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে কাজ শেষ করে চলে যাবেন তাহলে মরছি! কারণ তাহলে অবধারিত ভাবেই বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। আওয়ামীলীগের আমলে তো তাও বিএনপি ছিল। ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চার মতো হলেও ছিল। এবার বিএনপি যদি আসে তাহলে ওইটাও থাকবে না। বিকল্প নাইয়ের আরেক নতুন ধারায় প্রবেশ করব আমরা! বিকল্প নাই শোনার পরে যখন তারেক রহমানের চেহারাটা চোখের সামনে আসবে! আল্লা মাফ কর আমারে!

    জামাত একটা বড় খেলা খেলবে বলে আমার ধারনা। বিএনপি আসা মানেই জামাত আসা। তবু জামাতের বড় খেলা একটা জমা আছে।

    ছাতার বামেরাও যদি জাতের হত আমাদের দেশে! তাহলেও রক্ষা হত এবার আমাদের। এমন রুগ্ন, হতদরিদ্র বাম দল মনে হয় দুনিয়ায় কোথাও নাই। একেকটা পার্টি একজন নিয়ে। নেতারা ভাগ হতে হতে এখন একজন মানে একটা দল। আওয়ামীলীগ আবার এদেরকেও জায়গা দিয়ে ছিল সরকারে।

    এবার এমন কিছু বাম নেতাকে সামনে দেখা যাচ্ছে। এরাও একই কেস। শুদ্ধ করে, চমৎকার বাচন ভঙ্গিতে কথা বলে। ভারি ভারি কথা বলে। প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী, ফ্যাসিবাদ, পুঁজিবাদ শব্দ গুলা সুযোগ পাইলেই ব্যবহার করে। কিন্তু মানুষের সাথে কোন যোগাযোগ নাই। একদম ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন দিলেও এরা একজন জামানতের টাকা তুলতে পারবে না। অথচ এদেরই সবচেয়ে বেশি মানুষের সংস্পর্শে থাকার কথা।

    আনু মোহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এমন কয়েকজন আছেন। কিন্তু এদেরও ভূমিকা বুঝতে পারা কঠিন। সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে আনু মোহাম্মদ রাজাকারদের বিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছিলেন। আদালত অবমাননার জন্য পরে ক্ষমা চেয়েছেন! তাই ভরসা পাই না কোথাও।

    ছাত্রদের আবেগ পরিষ্কার। যদিও মাথায় যারা আছে তারই জানে তারা কী করছে। জেনে খেলছে, না না জেনেই খেলছে কে জানে! যদি দেখা যায় এরা আসলেই বড় একটা কাণ্ড করে ফেলছে, মানে দল টল বানাচ্ছে। মানুষের প্রচুর সমর্থন পাচ্ছে, তাহলে দেশবাসী তো অবশ্যই, দুনিয়াবাসীও দেখতে পারবেন আরেক খেলা। টপাটপ উপরের লোকজন নাই হয়ে যাবে। শিবির বা ছাত্রদল এদেরকে গুম করে ফেলবে। ক্ষমতার এত কাছে এসে, নাকে গন্ধ লাগছে এমন সময় কোন ইয়ার্কি তারা সহ্য করবে না। এইটা নিশ্চিত। কিন্তু আমার ধারণা এগুলা করতে হবে না। ছাত্ররাই তাদের মনোবাসনা পূরণ করবে।

    ৩ অক্টোবর থেকে নারী টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশে। আমরা বিশ্বকাপ খেলা দেখব, জ্যোতির খেলা দেখব ভেবে এতদিন শিহরিত হয়ে ছিলাম। অবস্থা যেমন বুঝতেছি আইসিসি ভেনু রাখবে না এখানে। জ্যোতির সাথে কথা হল। ওর মন খুব খারাপ। ও তো খেলা ছাড়া আর কিছু বুঝে না। দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ, ও দলের অধিনায়ক, ওর তো নিশ্চিয়ই বড় কিছুর আশা ছিল। আইসিসি ভারত, শ্রীলংকা অথবা আরব আমিরাতকে বিকল্প ভেনু হিসেবে ঠিক করে রাখছে।

    এখন খেলার কথা গুলো কেমন খেলো শোনালো না? কী কুৎসিত সময়! আজকে যখন আড্ডা হচ্ছিল তখন কী প্রসঙ্গে হাসছিলাম আমরা। হাসতে হাসতেই আমার মনে হল কী অদ্ভুত প্রাণী মানুষ, আমরা। অবলীলায় সব ভুলে যাচ্ছে। কালকে আমার এক বন্ধু রাতে পাহারার কাজ করছিল। বিএনপির ছেলেপেলেও আছে। ওরা খিচুরি রান্না করেছে। ফুর্তি করে খাচ্ছে। ও ওর ভাগের খিচুরি নিয়ে হেঁটে হেঁটে বাড়ি চলে গেছে। আমাকে বলল ভাই খাইতে পারলাম না। এমন একটা রক্তাক্ত সময়ে খিচুরি মুরগি রান্না করে ফুর্তি করে খাওয়া, আক্ষরিক অর্থেই পোড়া মাটিতে দাঁড়িয়ে এই জিনিস খাওয়া যায় না।

    উফ! হায় বাংলাদেশ! আর কত? এবার কিছু হোক, ভালো কিছু হোক, আর পারি না জননী।

    যে তুমি ফোটাও ও ফুল ঘ্রাণে ভরো ব্যাপক সবুজ
    জমিতে বিছিয়ে দাও ধান শিম খিরোই তরমুজ
    কুমডোর সুস্বাদ, যে তুমি ফলাও শাখে ফজলি আম
    কামরাঙা পেয়ারা, বাতাসে দোলায় গুচ্ছগুচ্ছ জাম,
    যে তুমি বহাও নদী, পাললিক নদীর ভেতরে
    লালনপালন করো ইলিশ বোয়াল স্তরেস্তরে,
    যে তুমি উঠাও চাঁদ মেঘ ছিড়ে নীলাকাশ জুড়ে
    বাজাও শ্রাবণ রাত্রি নর্তকির অজস্র নুপুরে,
    যে তুমি পাখির ডাকে জেগে ওঠো, এবং নিশ্চুপে
    বলিকার সারা দেহ ভ’রে দাও তলেতিলে রূপে
    আর কণকচাঁপার গন্ধে আর ভাটিয়ালি গানে,
    যে তুমি বইয়ে দাও মধুদুগ্ধ গাভীর ওলানে
    খড় আর ঘাস থেকে, যে তুমি ফোটাও মাধবী
    আর অজস্র পুত্রকে দাও ছন্দ - ক’রে তোলো কবি,
    যে তুমি ফোটাও ফুল বনে বনে গন্ধভরপুর-
    সে তুমি কেমন ক’রে, বাঙলা, সে তুমি কেমন ক’রে
    দিকে দিকে জন্ম দিচ্ছো পালেপালে শুয়োরকুকুর?

    ( হুমায়ুন আজাদ)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৮ আগস্ট ২০২৪ | ১১৯৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ইউনুস | 117.194.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০২৪ ০৩:৩৪535989
  • খুব জানতে ইচ্ছে করছে মহম্মদ ইউনুস আসলে ঠিক কেমন লোক? গ্রামীণ টেলিফোনের মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রসূত তো বটেই, কিন্তু যা পড়েছি মনে হয়েছে ওয়েলফেয়ার ফান্ডের টাকা জমা পড়েনি এটাও সত্যি।  তাতে ইউনুসের ব্যক্তিগত লাভ না থাকলেও এবং হয়ত সরাসরি ভূমিকা না থাকলেও। আসলে মাথার মধ্যে খচখচ করছে যে অন্যায় হয়ে থাকলে সংস্থার ফাউন্ডার হিসেবে তাঁর কি কোন নৈতিক দায় থাকে না? পার্মানেন্ট এমপ্লয়ীর বদলে বাজারের নিয়ম মেনে কন্ত্রাক্ট কর্মী নিয়োগ তো প্রমাণিত সত্য। 

    আসল সত্যিটা কি? কেসটা ভুয়ো? আসলে সব টাকা ঠিক ঠিক জমা পড়েছে? জানতে পারলে খুশি হব। ভাবতে ভাল লাগবে যে বাংলাদেশে ওঁর জনপ্রিয়তার পিছনে যুক্তি আছে, সবটাই শুধু আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্তি জনিত আবেগের ফল নয়।
  • . | ০৮ আগস্ট ২০২৪ ০৩:৫৩535990
  • শরীফ,
    আজ তোর রোমানিয়ায় যাচ্ছি। পুরোনো শহরেই থাকব। সাতদিনের সফর।
    সাবধানে থাকিস। লেখা চালু রাখিস। এটা সময়ের ইতিহাস হয়ে থাকবে।
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:5500:e009:a91:***:*** | ০৮ আগস্ট ২০২৪ ০৭:২২535994
  • শরীফবাবু, লেখাটা পড়তে পড়তে বুক টনটন করে উঠছে। তবু এটা চলুক।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:4dc0:7a10:8732:***:*** | ০৮ আগস্ট ২০২৪ ০৭:৫৮535995
  • পড়ছি 
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ০৮ আগস্ট ২০২৪ ০৯:৪৬535999
  • সময়ের দলিল হয়ে থাকছে এই লেখাগুলো। লিখতে থাকুন। তবে আশা করছি এগুলো আপনি হয়তো ফেসবুকে দিচ্ছেন না, কারণ এই পরিস্থিতিতে দেওয়াটা ঠিক হবে কিনা জানিনা। গাড়ি থামিয়ে ফেসবুক চেকের ঘটনাতো আগে দেখিনি। তাই সাবধানে থাকুন।
  • | ০৮ আগস্ট ২০২৪ ১১:০০536001
  • একেই বলে মাৎস্যন্যায়।  সাবধানে থাকুন...  আর কি বলব। 
  • Guru | 2409:4060:2ec1:75a9:258e:b0f8:387f:***:*** | ০৮ আগস্ট ২০২৪ ১১:১৮536002
  • https://www.prothomalo.com/bangladesh/ccu8gknzew
    শরীফ, সাবধানে থাকবেন। আওয়ামী লীগের এখন এই রকম নেতার প্রয়োজন। মুজিব পরিবারের পরে এরাই ভরসা।
  • কিংবদন্তি | ০৮ আগস্ট ২০২৪ ১১:২৭536003
  • রমিত চট্টোপাধ্যায়, আমি ফেসবুকে নাই। আমি এখানেও আমার নামে লেখা ঠিক হচ্ছে কি না বুঝতেছি না। বাংলাদেশ থেকে কেমন পাঠক পড়ে জানি না। কালকে থেকে এইটা নিয়ে চিন্তা হচ্ছে। 
     
    অরণ্য দা, পড়তে থাকো। এ এক আজব সময় চলছে। যতখানি ধরে রাখা যায় ধরে রাখছি লেখার মধ্যমে। 
     
    দিদি, আমার রোমানিয়া! হা হা হা! ছবি দিও, দেখব। শুক্রবার, শনিবার রাত নয়টার দিকে পুরান শহরে বিশাল বড় একটা ফাউন্টেন আছে, ওইটাতে একটা শো হয়। পুরো এলাকা জুড়ে স্পিকারে মিউজিক বাজে। ওইটার তালে তালে ফাউন্টেনের পানিকে নাচানো হয়। বেশ উপভোগ্য একটা জিনিস। প্রচুর মানুষ দাঁড়িয়ে দেখি এই শো। 
     
    পলিটিশিয়ান, আমি লিখতে পারছি কি না জানি না। আমার প্রায়ই অসহায় লাগে। 
  • কিংবদন্তি | ০৮ আগস্ট ২০২৪ ১১:২৯536004
  • ইউনুস, ডক্টর ইউনুসের ব্যাপারটা একটু জটিলই। কিছু সমস্যা তো ছিলই। যখন বিচার চলে তখনও এখানকার যারা তার পক্ষে কথা বলেছে তারাও বিচার ভুল, মিথ্যা এগুলা বলে নাই খুব একটা। এরা বলেছে উনি যেহেতু নোবেল বিজয়ী একজন মানুষ, তাকে সম্মান জানানো হোক। একটু নরম করে দেখা হোক। কারণ এই সব কেসে অন্যদের বেলায় আদালত বা সরকার বেশ নরম। কেউ বলতেই পারবে না এমন মামলাও হয়। এর চেয়ে বড় বড় ব্যাপারে চোখ বন্ধ করে রাখার নীতি নিয়েছিল আওয়ামীলীগ সরকার। কিন্তু এইখানে ইউনুসকে এক বিন্দু ছাড় দেওয়া হয়নি। 
    উনি কেমন মানুষ? ভালো মানুষই হয়ত। যখন নোবেল জিতে তখন আমরা শেরপুরে মিছিল করছি, মিষ্টি বিতরণ করছি। কিন্তু তিনি দুনিয়ার নানা জায়গায় নানা কিছু করলেও কেন জানি দেশের জন্য তেমন কিছু করতে আগ্রহী হন নাই। সরকারের প্রতি রাগ থেকে? জানি না। আওয়ামীলীগ সরকার যদিও পদ্মা সেতুর টাকা আটকে দেওয়ার অভিযোগ করে এসেছে বারবার। শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু হওয়ার পরে সেতু থেকে ইউনুস সাহেবকে পদ্মায় চুবিয়ে আনতে চেয়েছেন। এগুলা একেবারে হাওয়ার উপরে ভর করে বলেছেন? কিচ্ছু নাই, শেখ হাসিনা কাঁচা মিথ্যা কথা বলেছেন? বিশ্বাস করা একটু কঠিন। 
  • কিংবদন্তি | ০৮ আগস্ট ২০২৪ ১১:৩১536005
  • গুরু, প্রথম আলোর লিংক কাজ করছে না। 
  • | ০৮ আগস্ট ২০২৪ ১১:৪৯536007
  • প্রথম আলোর লিংক খুলছে তো। অন্তত ভারত থেকে।
  • পারমিতা | 2409:40e0:1d:7356:70b6:b0ff:fe82:***:*** | ০৮ আগস্ট ২০২৪ ১৪:২৩536011
  • নিজের নামে লিখোনা বিপদে পরতে পারো।
  • স্বাতী রায় | ০৮ আগস্ট ২০২৪ ১৬:০২536012
  • বাংলাদেশের অনেক খবরের সাইট খুলতে গেলে আমার কলকাতার বাড়িতে অন্তত নতুন একটা সিকিউরিটি চেক করে তারপর খুলছে। ঠিক বুঝতে পারছি না, তবে একটু অন্যরকম। 
    এই লেখার মূল্য অনেক। তবে আমারও মনে হয় স্বনামে না লেখাই ভাল । স্বেচ্ছায় ঘাড়ে বিপদ টেনে এনে কী দরকার। বিপ্লবের ছাত্র নেতাদের জন্যও বেশ ভয় হচ্ছে।
     
    ভাল থাকুন এইটুকুই কামনা। 
  • রঞ্জন | 2001:999:408:3f3:9bf0:9cbd:9229:***:*** | ০৮ আগস্ট ২০২৪ ১৭:৩৪536014
  • ভালো থাকুন শরীফ ভাই!
    সতর্ক থাকুন. 
    অন্য নামে লিখুন,  কিন্তু লিখুন.. 
    সময়ের अनन्य দলিল. 
  • Guru | 2409:4060:2ec1:75a9:258e:b0f8:387f:***:*** | ০৮ আগস্ট ২০২৪ ১৭:৪০536015
  • আপন নামের বদলে নিক ব্যবহার করে লিখুন l     
  • Guru | 2409:4060:2ec1:75a9:258e:b0f8:387f:***:*** | ০৮ আগস্ট ২০২৪ ১৭:৪৪536016
  • https://asiatimes.com/2024/08/bangladesh-as-color-revolution-on-indias-doorstep/      এই লেখক নিজেও একজন বাঙালী বলেই আমার ধারণা l উনি দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার একটি দেশের নাগরিকত্ব নিয়েছেন l যদিও বর্তমানে প্রায় ৫ বছর পরে কলম ধরলেন l
  • Guru | 2409:4060:2ec1:75a9:258e:b0f8:387f:***:*** | ০৮ আগস্ট ২০২৪ ১৯:০২536018
  • বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার এসে গেছে l দুজনে মাইনোরিটি মেম্বারও আছেন l
  • অরিত্র | 103.77.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০২৪ ১৯:০৬536020
  • কালের দলিল এই লেখাগুলো। আপনি সঞ্জয়ের মতন বাংলাদেশের এই সময়টিকে তুলে ধরছেন। আপনার লেখা এত সাবলীল এত প্রাঞ্জল যে মনে হয় প্রায় চোখের সামনে দেখছি সবকিছু। 
  • Guru | 2401:4900:735a:c656:6bcf:ea03:db40:***:*** | ০৮ আগস্ট ২০২৪ ২১:২৯536031
  • আমি শরীফের সঙ্গে একটা ব্যাপারে একেবারেই একমত নই। আমি মনে করি অন্তর্বর্তী সরকারের খুব তাড়াতাড়ি নির্বাচন করানো উচিত। নির্বাচনের ডেডলাইন না আসা পর্যন্ত এই অসহনীয় অরাজকতা চলতেই থাকবে। আসলে হাসিনা নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনএর রাস্তাটি বন্ধ করে দেবার জন্যই এই অরাজকতার, এই দমবন্ধ পরিবেশেরজন্ম। এটা আমি শরিফকে গত বছর থেকেই বলে আসছিলাম ওনার সবকটা রাজনীতি নিয়ে লেখার উত্তরেই। জামাত যদি নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসে, নির্বাচনের রাস্তাতেই তাদের হারানো যেতে পারে। হাসিনা নিজেও কিন্তু বহুবার জামাতের সঙ্গে জোট করছেন রাজনীতির দরকারে।
    আরেকটা কথা। ২০১৩ শাহবাগ আন্দোলন আমি মনে করি আজকের এই ঘৃণা আর হিংসার দমচাপা পিছনে দায়ী। জামাত শাহবাগ থেকেই শিখেছে হিংসার রাজনীতির পাঠ।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:71fa:5198:adbb:***:*** | ০৯ আগস্ট ২০২৪ ০০:২২536052
  • 'জামাত শাহবাগ থেকেই শিখেছে হিংসার রাজনীতির পাঠ '
     
    -আমার ধারণা ছিল, জামাত ১৯৭১-এও হিংসার রাজনীতি করেছে 
  • দীপ | 2402:3a80:1989:13f6:578:5634:1232:***:*** | ০৯ আগস্ট ২০২৪ ০০:৩৫536055
  • ছাগুবাহিনী সর্বদাই ৭১ এ পাকবাহিনী ও রাজাকারদের অত্যাচার মুছে দিতে তৎপর!
  • কিংবদন্তি | ০৯ আগস্ট ২০২৪ ০০:৫৪536058
  • জামাতের সাথে বহুবার জোট করেছে এই তথ্যের কোন ভিত্তি নাই। মনগড়া কথা বলার মানে নাই কোন। একই আন্দোলন জামাত কয়েছে আওয়ামীলীগ করেছে, এই এক মিল ছাড়া আর কোন ক্ষেত্রেই আওয়ামীলীগ জামাত এক হয়নি। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:71fa:5198:adbb:***:*** | ০৯ আগস্ট ২০২৪ ০১:০০536059
  • মূল লেখার শেষে হুমায়ুন আজাদের বিখ্যাত কবিতা-র পংক্তি গুলো - আজকের দিনেও কি প্রাসঙ্গিক। 
    রবীন্দ্রনাথের ভাঙা মূর্তি দেখে আজাদেরই কিছু  কথা মনে পড়ছিল - 'প্রতিক্রিয়াশীল নষ্টরা অনেক লড়াই করেছে তাঁর সাথে, পেরে ওঠে নি; তাঁকে মাটি থেকে বহিষ্কার করা হলে তিনি আকাশ হয়ে ওঠেন'
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:59c:70f3:ed0:***:*** | ০৯ আগস্ট ২০২৪ ০১:৩০536062
  • বিএনপি তো সেই 1999 থেকেই জামাতের সাথে জোটে। আওয়ামী লীগের সাথে তাহলে কবে জামাতের জোট ছিল? গত পঁচিশ বছরে তো নয়।
  • Guru | 2409:4060:2ec1:75a9:258e:b0f8:387f:***:*** | ০৯ আগস্ট ২০২৪ ০১:৫৫536065
  • শরীফ , জামাতকে নিষিদ্ধ করবার দিনে আপনার  প্রিয় ঐতিহাসিক  মহিউদ্দিন সাহেব প্রথম আলোতে লিখেছিলেন  l https://www.google.com/amp/s/www.prothomalo.com/amp/story/opinion/column/y4bfwqjo54
  • কিংবদন্তি | ০৯ আগস্ট ২০২৪ ০৩:১৯536067
  • ভাই, আপনে যে লেখাটার লিংক দিয়েছেন সেই লেখাটাই আবার পড়েন। 
    "তার পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৫ দলের জোট, বিএনপির নেতৃত্বে ৭ দলের জোট আর জামায়াত অভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে যুগপৎ আন্দোলন করেছে।" এর মানে জামাতের সাথে জোট বাধা? "আওয়ামী লীগ তার সমমনাদের নিয়ে এই নির্বাচনে যায়। সঙ্গী হয় জামায়াত।"  বা "১৯৮৮ সাল থেকে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে জোয়ার আসে। তখন সবাই মিলেঝুলে ‘যুগপৎ’ আন্দোলন করে।" এইখানে কই পাইলেন জোট করেছে আওয়ামীলীগ জামাতের সাথে? 
    মহিউদ্দিন আহমেদ কেন লেখছেন, শত্রু যখন ‘কমন’, তখন ‘রাজাকার’, ‘মুক্তিযোদ্ধা’ সব এক কাতারে। একাত্তরের স্মৃতি তাদের মাথায় আর নেই। কে আর ইতিহাস আঁকড়ে থাকতে চায়। তাৎক্ষণিক প্রয়োজনই মুখ্য। এইটা এই ক্ষেত্রে যায়? কিন্তু তিনি লিখেছেন। এখন বাংলাদেশে এমন অনেক কিছুই হচ্ছে, হবে। ইতিহাস এই মহিউদ্দিনরাই ভিন্ন ভাবে লিখবে। এবার শহীদ জিয়া একাত্তুরের র‍্যাম্ব হবে হয়ত! এখানে প্রথম আলো বিশাল একটা শক্তি। আজকে যারাই শপথ নিয়েছে তারা প্রায় সবাই প্রথম আলো গোষ্ঠীর লোক। কোন খেলা কই কে খেলছে ধুলায় অন্ধাকার! মহিউদ্দিন আহমেদ উনার সেরা কাজ দিয়ে দিয়েছেন। এখন আর আমার অন্তত উনার কাছ থেকে নেওয়ার আর কিছু নাই। দল পরিবর্তন হয়েছে বলে না। আগেই বুঝছি আমি। এই বইমেলা থেকেও একটা বই কিনি নাই উনার। কারণ আমি বুঝে গেছি নতুন কিছু দেওয়ার নাই আর। তিনি আগের গুলাই নানা নামে, নতুন মোড়কে পুরান মাল দিতে চাচ্ছেন। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন