এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জীবন তরঙ্গ পর্ব ৫৬

    Sukdeb Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৩ জুন ২০২৪ | ১৬৯ বার পঠিত
  • জীবন তরঙ্গ পর্ব ৫৬

    হানিমুনের প্রায় সবকটা ছবিই ভাল হয়েছে, সেরা হয়েছে ভারকালা সি বিচে সাহেবের তোলা ছবি দুটো। নন্দিতার জোরাজুরিতে নয়ন চুমু খাওয়ার ছবিটা আর একটা কপি করে বাঁধিয়ে এনেছে।

    নয়ন জিজ্ঞেস করেছিল — বাঁধান ছবিটা রাখবে কোথায়? লোকে দেখলে তো যা তা বলবে।

    -- যা তা বলার কি আছে! চুমু আমাদের মা বাবা, তাদের মা বাবা, সকলেই খেয়ছে। চুমুর মত সুন্দর জিনিস কমই আছে। তোমাকে অত ভাবতে হবে না। রোজ নয়, বিশেষ বিশেষ দিনে ওটা টেবিলে সাজিয়ে রাখব।

    এই বাড়ির মানুষগুলো বড়ই ভাল। নয়নের মা বাবা দুজনের কাছেই নন্দিতা অফুরন্ত ভালবাসা পেয়েছে। কোন কিছু চাইবার আগেই পেয়ে যেত। সংসারের অধিকাংশ ব্যাপারেই ওর মত আনাড়ির মত সব সময় নেওয়া হত। এই আদর, স্নেহ, ভালবাসার ঘেরাটপে শিলিগুড়ির বাড়ির লোকেদের সাথে বিচ্ছেদের কষ্ট নন্দিতা টের পেত না। এমনকি এই মানুষগুলোকে ফেলে শিলিগুড়িতে গিয়ে বেশিদিন থাকতেও মন চাইত না।

    হানিমুন থেকে ফিরে এসেই নয়নের মামাত বোন ঝিমলির বিয়েতে যেতে হল। কেবল নেমন্তন্ন খেতে যাওয়া নয়, নয়ন আর নন্দিতাকে ঐ বাড়িতে কয়কদিন থেকে অনেক কিছু সামলাতে হল।

    দেখতে দেখতে নয়ন আর নন্দিতার বিয়ের এক বছর পূর্ণ হল। কাছেই রমেনের এক বন্ধুর বাড়ি তৈরি হচ্ছিল। তারই একতলায় ছোট করে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। নয়নের নির্দেশে নন্দিতাকে কেঊ কিছু জানায়নি। সকালে ‘একটু কাজ আছে’ বলে নয়ন বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছে।

    নন্দিতা জিজ্ঞেস করেছিল — অফিস যাবে না?

    -- না, আজ অনেক কাজ আছে।

    একটু বেলা হতে নন্দিতা দেখে নয়নের সাথে মা আর ভাই বাড়িতে ঢুকছে। নন্দিতা আনন্দে লাফিয়ে উঠে বলে, “তোমরা!”

    -- অনেকদিন তোকে দেখিনি। মন কেমন করছিল, তাই চলে এলাম।

    -- বাবা আর ঠাম্মি কোথায়?

    -- ঠাম্মির শরীর ভাল নেই, তাই বাবা আসেনি।

    একটু বাদে ভ্যানে করে মাছ, বাজার সব এল। নন্দিতা ব্যাপার স্যাপার কিছু বুঝে উঠতে পারছিল না, ক্যামন ক্যামন লাগছিল।

    কিছু পরে নয়ন বাড়ি ফিরে ইশারায় নন্দিতাকে ঘরে যেতে বলল। নন্দিতা পিছন পিছন গিয়ে ঘরে ঢুকতে ওর হাতটা টেনে নিয়ে আঙুলে পরিয়ে দিল সুন্দর একটা আংটি।

    -- কি ব্যাপার বলত!

    -- প্রথম বিবাহ বার্ষিকীর দিনটা ভুলে গেলে কি করে? সকলে জানে, শুধু তুমি বাদে। আমি ইচ্ছে করেই তোমাকে কিছু জানাতে বারণ করেছিলাম। বুঝলাম আমার গৃহিণীর কাছে এই দিনটার কোন মূল্য নেই।

    -- প্লিজ ওভাবে বোল না, আমার কষ্ট হচ্ছে। তুমি আমায় এত সুন্দর একটা জিনিস দিলে, আমি তো তোমার জন্য কিছু আনিনি। আমি কি দেব!

    হঠাৎ কানে এল, “এই মেয়ে, একটু বাইরে আয়।”

    আহেলি একটা প্যাকেট নন্দিতার হাতে দিয়ে বলল — এটা বরের জন্য তোর উপহার।

    -- এতে কি আছে মা?

    -- স্যুটের কাপড়।

    নন্দিতা আহেলিকে জড়িয়ে ধরে আনন্দে কেঁদে ফেলল। আহেলি আদর করে চোখ মুছিয়ে দিয়ে বলল—যা ঘরে গিয়ে নয়নকে দিয়ে দে। আর দয়া করে দরজাটা বন্ধ করিস। আজ বাড়িতে কেবল আমরা নয়, বাইরের লোকও রয়েছে।

    নন্দিতা ইঙ্গিতটা বুঝতে পেরে লজ্জায় ঘরে ঢুকে গেল।

    কয়েকমাস বাদে রমেন রিটায়ার করল। নন্দিতার খুব আনন্দ হল, বাড়িতে একজন সাথী বাড়ল। রমেন রান্না করতে পছন্দ করত। রিটায়ারের পরে মাঝে মাঝেই রান্নায় লেগে পড়ত। আহেলির ব্যাপারটা পছন্দ না হলেও নন্দিতার বেশ লাগত। হাতে হাতে শ্বশুরকে সাহায্য করত।

    আহেলি একদিন কপট রাগ দেখিয়ে বলল—তুই ওকে একদম সাহায্য করবি না। যা পারে নিজে করুক। পুরুষ মানুষ, সারাদিন রান্না ঘরে ঘুরঘুর করছে।

    নন্দিতা হেসে বলল—আহা মা রাগ করছ কেন। বাবা তো তোমার উপকারই করছে। তোমার কত কাজ কমিয়ে দিচ্ছে।

    -- দরকার নেই আমার অমন উপকারের। তাও যদি ভাল রাঁধতে পারত। ঐ তো রান্নার ছিরি।

    -- এটা বোল না মা, বাবা ভালই রান্না করে।

    -- একটা দুটো পদ রাঁধবে, তার জন্য পুরো রান্নাঘরটার দখল নিয়ে বসে থাকে।

    -- এইবার তোমার রাগের আসল কারণটা বুঝতে পারলাম। মা তুমিও না। আহা বাবার সময় কাটছে না, এটা ওটা করে একটু সময় কাটায়। বাবার তো ওর মত আড্ডার ঠেক নেই।

    কথার মাঝে রমেন বাড়িতে ঢুকল।

    -- কিরে তোর মা কি বলছে? নিশ্চই আমার নিন্দে করছে।

    -- তুমি রান্নাঘরে যাও এটা মার একেবারেই না পসন্দ।

    -- পছন্দ হবে কি করে? এই কোয়ালিটির রান্না তো তোর মার হাত দিয়ে বেরোবে না।

    -- এলেন আমার বড় শেফ। সব রান্না তেলে চপচপ করছে।

    যার উদ্দেশে বলা সে তখন ওখানে নেই। কথাটা ছুঁড়ে দিয়েই চলে গেছে।

    -- মা, বাবা সবে রিটায়ার করেছে। এখন সময় কাটানটা সমস্যার।

    -- সে আমি বুঝি রে। সেই জন্যই ত আমি ওকে বাড়ির বাইরে বেরনোর জন্য জোর করি। সে কথা শুনছে কে। অকারণে এদিক ওদিক ঘোরে, এটা ওটা টানাটানি করে, মাঝে মাঝেই রান্নাঘরে উঁকি মারে। বাইরে বেরোলে মনটাও ত ভাল থাকে। দোকান বাজার ছাড়া বাইরে বেরোতেই চায় না।

    রমেন কাছাকাছিই ছিল, এসে আবার তরজায় যোগ দিল—মেয়ে শোন, একই মুখে কত রকম কথা।

    -- ওকে আবার টানছ কেন?

    -- রিটায়ার করার আগে তোর মা বলত, ‘ক’দিন বাদে রিটায়ার করবে। তাল তাল ছুটি পচিয়ে নষ্ট না করে মাঝেমধ্যে নিতে পার তো। এখনো অফিসে যাওয়ার এত কিসের আঠা বুঝি না।‘

    আর এখন আমাকে বাইরে বার করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। নিজের বাড়িতে নিজের মত করে ঘোরার উপায় নেই রে মা।

    নন্দিতা শ্বশুর শাশুড়ির এই মিষ্টি ঝগড়া খুব উপভোগ করে। এক এক বার এক এক দিকে তাল দেয়।

    রমেনের বাজারে রোজ যাওয়া চাই। শরীর যেমনই থাক, বাজার কামাই হবে না।

    নন্দিতা বলে—বাবা, আমি দেখেছি শরীর খারাপ থাকলেও তুমি বাজারে যাও। বারণ করলেও শোন না। এখন থেকে ওটি হবে না। তোমার ছেলেকে বলতে পার না!

    -- ওর দ্বারা হবে না, ও দোকান বাজারের কিছু বোঝে না।

    -- বোঝে না আবার কি! ছেড়েই দেখ, দু দিন করলেই সব বুঝে যাবে।

    -- ওর ওপর ছাড়লেই হয়েছে, খাওয়া দাওয়া লাঠে উঠবে। নারে মা, আসলে সারাদিন খেটেখুটে রাতে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফেরে, হাবুকে দিয়ে বাড়ির কাজ করাতে মায়া লাগে।

    -- তুমি যতদিন অফিস করেছ, দোকান বাজার তো তুমিই করতে।

    -- ও আমার অনেক দিনের অভ্যাস। হাবু তো ছেলেবেলা থেকে কখনও এসব করেনি, পারবে কি করে! যতদিন বেঁচে আছি করি, তারপর ত হাবুই যাবে।

    -- বাবা, বাজে কথা একদম বলবে না বলে দিচ্ছি। ফের যেন অমন কথা না শুনি।

    “ঠিক আছে মা, আর বলব না” বলে নন্দিতাকে বুকে টেনে নিল। ছেলেবেলায় নিজের বাবার কাছে আদর খাওয়ার সুখানুভূতি নন্দিতা আবার অনুভব করল।

    নন্দিতার ঠাকুমার শরীরটা বেশ কিছুদিন থেকেই ভাল যাচ্ছিল না। একেবারে শয্যাশায়ী। নাতনীকে বারে বারে দেখতে চাইছেন। নয়নের অফিসে কাজের চাপ রয়েছে, সেই মুহূর্তে ওর পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়। ঠিক হল, রমেন নন্দিতাকে শিলিগুড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসবে, পরে একসময় সুবিধেমত নয়ন গিয়ে নিয়ে আসবে। সেইমত নয়ন দুজনের টিকিট বুক করল। যাওয়ার আগের রাতে কিছুটা ঠাম্মির জন্য আর কিছুটা আসন্ন বিরহের জন্য একটু কান্নাকাটি হল।

    নাতনীকে একবার দেখার জন্য ঠাকুমার প্রাণটা আটকে ছিল। নন্দিতা সকালে পৌঁছল, ঠাকুমা রাতে বিদায় নিলেন। চলে গেল নন্দিতার বিয়ের আগের সব থেকে আপনজন, যার সাথে বন্ধুর মত ভাগ করে নিত অনেক মনের প্রাণের কথা। ঠাম্মির স্নেহের পরশে নিমেষে প্রশমিত হত মন খারাপের ব্যাথা। এই ঠাম্মির জন্যই পেয়েছে তার মনের মানুষ নয়নকে। তাই বৃদ্ধার মৃত্যুতে নন্দিতার কষ্টটা ছিল অন্য সকলের থেকে অনেকটাই বেশি।

    ঠাকুমার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর কয়েকদিন বাদে মাকে সাথে নিয়ে নয়ন শিলিগুড়িগামী গাড়িতে উঠল। এই ঠাকুমাই তাকে দিয়েছিল নন্দিতার ঠিকানা, একথা ভোলে কি করে!

    চলবে
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন