এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জীবন তরঙ্গ পর্ব ৩২ 

    Sukdeb Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৭ মে ২০২৪ | ২০৮ বার পঠিত
  • জীবন তরঙ্গ  পর্ব ৩২

    পিসির বাড়ি থেকে নয়নের  কাছে জরুরি তলব এল। একটা শনিবার বিকেলের দিকে নয়ন পিসির বাড়িতে এল। ঢোকার মুখেই নেহার সাথে দেখা।

    --দাদা, আমরা ধরা পড়ে গেছি। বাবা আমাদের দুজনকে দেশপ্রিয় পার্কে দেখে ফেলেছে।

    --কাকুর কাছে ধরা পড়েছিস, আবার বড় মুখ করে বলছিস!

    --মা ওর সম্বন্ধে জানতে চাইতে, সব বলার পর বলেছি যে, ও তোর বন্ধু হয়।

    --ব্যাস, তাহলে তো ষোল কলা পূর্ণ হয়ে গেল। এখন বুঝতে পারছি, ঐ জন্যই আমাকে ডেকে পাঠান হয়েছে। আজকেই বোধহয় এ বাড়িতে আমার শেষ আসা।  

    --না রে দাদা, তোর রেফারেন্স পেতেই বাবা মার সুর পাল্টে গেল। এখন গিয়ে একটু ভাল করে  সবাইকে ম্যানেজ করে দে।

    নয়ন মনে মনে ভাবল, যে নিজেরটাই ম্যানেজ করতে পারেনি সে অন্যেরটা কি ম্যানেজ করবে।   

    নয়নের মুখ থেকে রজত আর ওর পরিবারের ব্যাপারে বিস্তারিতভাবে সবটা জানার পর বিমল আর চন্দ্রা কিছুটা নিশ্চিন্ত হলেন। কেবল ছেলেটার চাকরি না হওয়া পর্যন্ত কিছুটা চিন্তা রয়ে গেল।

    রজত স্কুল-কলেজে লেখাপড়াকে তার প্রেফারেন্স লিস্টে নিচের দিকে রাখত। কিন্তু প্রেমের গুঁতোয় চাকরির পরীক্ষার জন্য খুব আগ্রহ সহকারে পড়াশুনো শুরু করেছিল। খুব উচ্চাশা কিছু ছিল না, মাঝারি একটা চাকরি পেলেই যথেষ্ট। লাগাতার পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু চাকরি পাওয়া তো দূরের কথা, ইন্টারভিউএতে পর্যন্ত ডাক পাচ্ছিল না।

    নয়নের কাছে একদিন দুঃখ করে বলল—এত পড়াশুনো বাপের জম্মেও করিনি। শালা একটা কলও এখনো অব্দি পেলাম না।

    নয়ন আশ্বস্ত করে বলল—হতাশ হস না, দিতে দিতে দেখবি ঠিক একটা লেগে যাবে। 

    নয়ন আরো দু একটা চাকরির পরীক্ষার বই রজতকে এনে দিল। মাস ছয়েকের টানা ব্যর্থতার পর রেলওয়ে সার্ভিস কমিসনের পরীক্ষা দিয়ে দক্ষিণ পূর্ব রেলে অ্যাকাউন্টস ক্লার্কের চাকরি পেল। খবর পাওয়া মাত্রই লাফাতে লাফাতে নয়নের  বাড়িতে  এসে জানিয়ে গেল।  নেহার বাড়িতেও রজত একটু জাতে উঠল। মাইনে বলার মত কিছু নয়। জীবনের প্রথম চাকরি। ঠাকুর ঘরে পেন্নাম করে, মার থেকে কপালে দইয়ের ফোঁটা নিয়ে একটু সকাল সকাল রওনা দিল। বিরাট অফিস, চারদিকে ছোট বড় অনেক বাড়ি। মাঝে একটা সুন্দর খেলার মাঠ। নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়োগ পত্র দেখাতে রুক্ষ স্বরে প্রশ্ন এল—বিলাসপুর না নাগপুর, কোথায় জয়েন করতে চাও?

    রজত খুব সমস্যায় পড়ে গেল। এই কটা টাকা মাইনেতে প্রবাসে থাকা আর খাওয়ার খরচ ম্যানেজ করা কঠিন। সব থেকে বড় কথা, নেহার সাথে দেখাসাক্ষাৎ তো বন্ধ হয়ে যাবে।  মিনিমিন করে জিজ্ঞেস করল—স্যার হেড অফিসে হয় না! নিদেনপক্ষে আদ্রাতে।

    কেঠো উত্তর এল—না। কোন ভ্যাকেন্সি নেই।

    জয়েন করার জন্য পনের দিন মত সময় হাতে ছিল। সেদিন কিছু না জানিয়ে রজত বাড়ি  ফিরে এল। কপালটা ভাল ছিল। কিছুদিন অপেক্ষা করার পর, ঐ অফিসের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির সৌজন্যে হেড অফিসেই পোস্টিং পেল।

    হাঁড়ি পুকুরের আড্ডায় খবরটা পৌঁছতেই খাওয়ানর দাবি উঠল।  রজতের মাইনে পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা তো দূরে থাক, জয়েন করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে কেউ রাজি নয়। তার আগেই বড় করে খাওয়ার  ব্যবস্থা করতে হল। বুড়োদার চায়ের দোকানের উল্টো দিকে একটা টালির চালের ঘর ছিল। ওখানে কেউ থাকত না। এলাকার কিছু বিহারী মিস্ত্রি ওখানে রান্না করত। ভেতরে বড় বড় দুটো পাতা উনুন ছিল। ঐ খানেই রান্না খাওয়ার ব্যবস্থা হল। ভাত,ডাল, আলুভাজা, দেশী মুরগীর মাংস আর একটা করে রসগোল্লা। দেশী মুরগী, সেদ্ধ হতে একটু দেরি হচ্ছিল। নিমু আর পিন্টু ডাল আর আলুভাজা দিয়েই একথালা ভাত মেরে দিল।  মাংস রেডি হতে আবার নতুন করে খাওয়া শুরু করল। যত লোক ধরা হয়েছিল, কোথা থেকে খবর পেয়ে তার থেকে বেশ কিছু বেশি লোক চলে এসেছিল।  চেনা লোক সব, তাড়ানোও যায় না। নয়ন আর রজতের মত যে ক’জন শেষে বসেছিল তাদের মাংসের ঝোল আলু ছাড়া আর কিছুই জোটেনি। 

    অফিসে জয়ন্তর ঠাঁই হল ট্রাফিক অ্যাকাউন্টসের টিবি বিলস ডিপার্টমেন্টে।  ওর জন্য বরাদ্দ অফিসটা ছিল পুরনো আমলের বড় বড় খিলেনওয়ালা বাড়ি।  প্রথম দিন একটু লাজুক লাজুক মুখে নিজের সেকশনে গিয়ে দাঁড়াল। দু একজন বাদে প্রায় সকলেরই বয়স পঞ্চাশের ওপর। একটা অপত্য স্নেহের আবহাওয়া পেল। রজতের বসার কোন জায়গা নেই দেখে ‘বড়বাবু’ ঘোষাল দা নিজের চেয়ার ছেড়ে দিলেন। রজতের খুব সংকোচ হচ্ছিল। আশপাশের সিনিয়রেরা রজতকে নিঃসঙ্কোচে বসতে বললেন। ঘোষাল বাবুর আর বছর খানেক চাকরি বাকি ছিল। ঐ ছেড়ে দেওয়া চেয়ারে ঘোষাল বাবু আর কখনো বসেননি। অফিসে এসে হাজিরা খাতায় সই করার পর,  কিছুক্ষণ টুকটাক ফাইলপত্র একটু এদিক ওদিক করে, কাছেই একটা ফাঁকা কোয়ার্টারে ব্রিজ খেলতে চলে যেতেন। তখন এত বাস ছিল না। ট্রেনে শেয়ালদায় নেমে, বারো নম্বর বাসে ঘন্টা খানেক ধস্তাধস্তি করতে করতে রজত অফিসে পৌঁছত। যাতায়াতের ঐ কষ্টটুকু বাদ দিলে রজতের অফিস ছিল স্বাধীনতার পীঠস্থান। যাওয়া আসা মর্জি মাফিক। হাজিরা খাতায় লেট মারার মত শ্রমিক বিরোধী কাজ ওখানে হত না। সই করেই বয়স্কদের কারো কারো প্রথম কাজ ছিল অফিসের হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে বিনা পয়সায় ওষুধ সংগ্রহ করে আনা।  তারপর কিছুক্ষণ চলত গ্যাস অম্বলের প্রদাহ, পাইলসের রক্তক্ষরণের মত বিবিধ শারীরিক সমস্যার বিস্তারিত আলোচনা ও তথ্য বিনিময়। অফিসের কাজ খুব কম ছিল, সেটাও আবার ইচ্ছা ভিত্তিক। আজ কাজ করতে ইচ্ছে করছে না, কোন ব্যাপার নয়, কাল হবে। শরীর বা মনকে কষ্ট দিয়ে কাজ করা বা করান  একেবারেই অনৈতিক কাজ। মনকে চাঙ্গা রাখার নানান উপকরণ ওখানে মজুত ছিল। হাসপাতালের সামনে দিয়ে গঙ্গার গা ঘেঁসে একটা রাস্তা ছিল। সেখানে কিছু দূরে দূরে ছিল বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ঠেক। বাদ্যজন্ত্র সহযোগে চলত নানা গুরুবন্দনা। ধর্মে মতি না থাকলে ছিল তাসের মত বিনোদনের আড্ডা।  এ ছাড়া ছিল অফিসের নিজস্ব একটা জেটি আর লঞ্চ। সকাল আর বিকেলে স্টাফেদের নিয়ে গঙ্গা পারাপার করত। দুপুরবেলা ফাঁকা লঞ্চে বসে মনোরম পরিবেশে রজত টিফিন খেত। কেবল পরিবেশ নয়, অফিসের বাড়িরও একটা ঐতিহাসিক পশ্চাৎপট আছে। ট্র্যাফিক একাউন্টস এর বড় বড় খিলেনওয়ালা বাড়িটা একসময় ছিল নবাব ওয়াজেদ আলীর আস্তাবল। আগে থাকত ঘোড়া আর তখন ছিল রজতরা। বিবর্তনের এমন উদাহরণ আর বোধহয় দ্বিতীয় নেই।

     রজতের অফিসটা ছিল আনন্দ নিকেতন। মাঝে মাঝেই কিছু না কিছু মজার ঘটনা ঘটত। গুপ্তদা ছিলেন রজতদের সেকশন অফিসার।  হেড অফিসেরই একজন সিনিয়ার অফিসার একদিন রজতদের ডিপার্টমেন্টে পরিদর্শনে এলেন।  

    গুপ্তদা হাত কচলে বললেন- স্যার, একটা সমস্যা ছিল।

    - কি সমস্যা ?

    -- আজ্ঞে বসার জায়গা স্টাফের তুলনায় একটু কম আছে। সকলে উপস্থিত থাকলে বসার  জায়গা তিন চারটে কম পড়ে যায়।

    -- এই ব্যাপার। যেদিন সকলে আসবে, তিন চারজনকে ছুটি দিয়ে দিও। কাকে কাকে ছুটি দেবে সেটা তোমার ব্যাপার।

    পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কত সহজ, সরল, সুন্দর সমাধান।

     দিল্লী থেকে একবার একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক অফিস পরিদর্শনে এলেন। অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট হয়ে তাঁর পদধূলি পড়ল রজতদের ট্র্যাফিক একাউন্টসে। সব কটা ঘর ঘুরে এসে  একাউন্টস অফিসারকে শুধোলেন—এখানে কি কাজ হয় ?

    একাউন্টস অফিসার বিনয়ের সঙ্গে জানালেন—স্যার, আমরা সংস্থার আয়ের দিকটার হিসাব রাখি।

    -তার হিসাব তো প্রতিটি স্টেশন থেকে স্টেশন মাষ্টাররা পাঠিয়ে দেন।

    - আমরা স্যার সেগুলি কম্পাইল করি।

    বিস্ফারিত চোখে ভদ্রলোকের স্বগতোক্তি—বাবা, তার জন্য এত লোক!

    রজতের অফিসের মজার মজার সব গল্প শোনার জন্য আড্ডার সকলে উদগ্রীব হয়ে থাকত। শোভন কাজ করত একটা প্রাইভেট ফার্মে। একদিন হতাশ হয়ে বলেছিল—শালা কপাল। আমি সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত খেটে মরছি, আর রজত শালা বগল বাজিয়ে মাইনে পাচ্ছে।

    চাকরি পাওয়ার পর, দূরত্ব কমে যাওয়ায়, নেহার সাথে যোগাযোগ করাটাও অনেক সহজ হয়ে গেছে। সপ্তাহে কয়েকটা বিকেল নেহার জন্য রাখা থাকত।  

     
    চলবে
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন