এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জীবন তরঙ্গ পর্ব ৩০ 

    Sukdeb Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৩ মে ২০২৪ | ২১০ বার পঠিত
  • জীবন তরঙ্গ পর্ব ৩০

    চিঠিটা পড়ে নয়ন দৃশ্যতই ভেঙে পড়ল।  সে বিশ্বাস করত যে, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন ঈজা সব সময় তার পাশে থাকবে। চিঠি পড়ে বুঝতে পারছে যে, ঈজাকে সরে যেতে বাধ্য  করা হয়েছে। নয়নকে জানতে হবে, কি এমন বাধ্যবাধকতা যা তার ভালবাসার ওপর রোলার চালিয়ে দিল! ভালবাসার  মানুষের থেকে মামার ইচ্ছে-অনিচ্ছেই  ঈজার কাছে বড় হল।

    নয়ন চিঠিটা মামার দিকে এগিয়ে দিল। নন্দ একটু ইতস্তত করে চিঠিটা নিয়ে পড়ল। চিঠিটা পড়ে নন্দ একটু চুপ করে থাকার পর নয়নের পাশে এসে বসল।

    --আমার মনে হয় শয়তান মামাটা এমন কিছু একটা করেছে যাতে ঈজা এইরককম একটা সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। তবে পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, মেয়েটার এই সিধান্ত আমি  মেনে নিতে পারছি না। আমরা সকলে যখন পাশে আছি তখন তোর কিসের এত ভয়! বাচ্চা  মেয়ে, চাপে পড়ে ঘাবড়ে গেছে। তুই যে কোন ভাবেই হোক, ওর সাথে একবার দেখা কর। ওর সমস্যাটা জানার চেষ্টা কর।       

    ঈজারা এখন কোথায় থাকে তা জানা নেই। ওর দেখা পাওয়ার একমাত্র জায়গা হল যোগমায়া কলেজ। নয়ন পরেরদিন যোগমায়া কলেজ ছুটি হওয়ার একটু আগেই ওখানে পৌঁছে গেল। যোগমায়া কলেজের ক্লাস তখনো শেষ হয়নি। একটু পরে কলেজ ছুটি হতে মেয়েরা সব বাইরে আসতে শুরু করল। নয়ন উদগ্রীব হয়ে তাদের মাঝে ঈজাকে খুঁজতে লাগল। একসময় শেষ   মেয়েটিও বেরিয়ে গেল, ঈজাকে পাওয়া গেল না। শুধু একদিন নয়, এভাবে যোগমায়া কলেজের সামনে দশ বারোদিন দাঁড়িয়ে থেকে হন্যে হয়ে ঈজাকে খুঁজেছে। শুধু তাই নয়,  লজ্জার মাথা খেয়ে বেশ কয়েকজন মেয়েকে ওর কথা জিজ্ঞেস করেছে। তার মধে অধিকাংশই ঈজার ক্লাসের নয়, ওকে চেনে না। শেষে দুজন ওর ক্লাসের মেয়ে পাওয়া গেল। তারা জানাল যে বেশ কিছুদিন হল ঈজা ক্লাসে আসছে না। কেন আসছে না, তা তারা জানে না।

    ঈজার দেখা পাওয়ার আশা নয়ন একরকম ছেড়েই দিল। মন মানতে চাইছে না। কিছুদিন বাদে নয়ন আবার একদিন ঈজাদের কলেজের সামনে গিয়ে দাঁড়াল। সেদিন পৌঁছতে একটু দেরি হয়ে গেছে। কলেজের মেয়েরা বেরোতে শুরু করে দিয়েছে। হঠাৎ ঈজাকে দেখতে পেল, দু একজন বন্ধুর সাথে কলেজ থেকে বেরচ্ছে। বন্ধুরা হাসাহাসি করছে কিন্তু ইজার মুখে কোন হাসি নেই। নয়ন ছুটে ঈজার কাছে গেল।

    --ঈজা একটু দাঁড়াও, তোমার সাথে কথা আছে।

    --কি বলবে তাড়াতাড়ি বল।

    --তোমার সাথে একটু একা কথা বলতে চাই।

    ঈজার বন্ধুরা অর্থপূর্ণ হাসি হেসে চলে গেল।

    --আমার যা বলার সে তো চিঠিতে লিখে এসেছি। আর কি কথা থাকতে পারে!

    এ কোন ঈজাকে নয়ন দেখছে। যে ঈজা তার কথায়, উষ্ণতায়, নয়নের মন ভরিয়ে দিত, এ তো  সে ঈজা নয়। এ যেন অচেনা এক মেয়ে। নয়ন বোঝাবার চেষ্টা করল যে, ও সঙ্গে থাকলে ওদের আলাদা করার কারো ক্ষমতা নেই। নয়ন এও জানাল যে, ওর মা বাবারও এতে সম্মতি  আছে। কিন্তু ঈজার কাছ থেকে কোন সাড়া পাওয়া গেল না। ও যেন চলে যাওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়েছিল।

    নয়ন ছলছল চোখে বলেছিল—আমার ভালবাসা নিয়ে এভাবে খেলা করতে তোমার বাঁধল না! তোমার কি মন বলে কিছুই নেই? তোমাকে প্রথম দিন অরুণিমা বলে ডেকেছিলাম, ওটাই তোমার নাম হওয়া উচিৎ ছিল। তুমি ভোরের আলোর মত ক্ষণিকের সাথী। নিজের নামের অর্থ আর কোনদিন কারো কাছে বড় মুখ করে বোল না। নিজের কাছেই নিজে ছোট হয়ে যাবে। অবশ্য সে বোধ তোমার নেই, থাকলে এমন প্রতারণা তুমি করতে পারতে না।

    ঈজা চিঠিতে লেখা কথাই রিপিট করে বলেছিল—আমি অসহায়, পারলে আমাকে ক্ষমা কোরো।

    কথা কটা বলেই ঈজা ছুটে নয়নের চোখের সামনে থেকে সরে গিয়েছিল।    

    সব সম্ভাবনার ইতি হয়ে গেল। জীবনটাই মূল্যহীন মনে  হচ্ছে। বাড়ি ফেরার আগে ছোট মামার সাথে দেখা করতে গেল। মামাই প্রথম থেকে ওর পাশে ছিল, মামাকে সবটা জানান দরকার। দরজা ভেজান, তার মানে মামা বাড়িতে আছে। সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠার আগে একবার নিচের ঘরের দিকে তাকাল। ঘরও শূন্য, ওর জীবনটাও শূন্য।

    মামার কাছে গিয়ে নয়ন কেঁদে ফেলল।

    --আমার জীবনটা শেষ হয়ে গেল ছোটমামা।

    --আমি বুঝতে পারছি, তোর খুব কষ্ট হচ্ছে। হওয়াটাই স্বাভাবিক। হয়ত জানিস, একসময় আমিও এই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। আমারও খুব কষ্ট হয়েছিল। একটা সময় পরে বিরহ ব্যথা অনেকটা থিতিয়ে গেছে। পরবর্তী জীবন নিজের মত করে গড়ে তুলেছি। তবে আমার মত ভাবপ্রবণ হয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিস না। পরিস্থিতিকে মেনে নিয়ে নিজের পথে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে চল। ঈজাকে খুব তাড়াতাড়ি হয়ত মন থেকে মুছে ফেলতে পারবি না। তবু চেষ্টা করবি বারবার তার কথা মনে না করার। নিজের ভাললাগার কাজগুলোতে ডুবে থাক। রেজাল্ট না বেরন পর্যন্ত বন্ধুদের সাথে যতটা সময় সম্ভব থাক, আড্ডা মার। দেখবি মনটা অনেক হাল্কা লাগছে।          

     

    ঈজা

    আর্থিক সমস্যার মধ্যে বড় হলেও তার আঁচ আমার গায়ে বিশেষ একটা লাগেনি। আর পাঁচটা  বাচ্চার মত আনন্দেই বড় হয়েছি। বাবা মা ছাড়া শৈশব থেকে আর একজন যাকে খুব কাছে পেয়েছি, সে হল আমার একমাত্র মামা। মায়ের থেকে কয়েক বছরের বড়। মামা আমাকে খুব স্নেহ করত। ছুটির দিন হলেই আমাদের বাড়িতে আসত, খবরাখবর নিত। এটা ওটা নিয়ে আসত, যার মধ্যে আমার জন্য আলাদা করে সব সময় কিছু না কিছু থাকতই। বড় হওয়ার পর বুঝতে পেরেছি যে, আমাদের সংসারে মামার অবদান অনেক।  

    বাড়ি বদল করে বাগবাজারে আসার সময় বন্ধু, পরিজন, চেনা পরিবেশ, অনেক কিছুই ছেড়ে আসতে হয়েছিল। প্রথম প্রথম বেশ খারাপ লাগত। ধীরে ধীরে নতুন পরিবেশে অভ্যস্ত হয়ে গেলাম। বাড়িওয়ালা কাকুর মত একজন  সহৃদয় মানুষকে পাশে পেলাম। পুরনো কোলকাতার নতুন পরিবেশ ধীরে ধীরে ভাল লাগতে লাগল। কিছুদিন পরে এই ভাললাগায় যোগ হল এক নতুন মাত্রা। আলোকবর্তিকার মত চারিদিক উদ্ভাসিত করে নয়ন আমার জীবনে এল। সে এক অদ্ভুত ভাললাগা। বুকের মধ্যে কেমন যেন এক তোলপাড় করা অনুভুতি। এর পর যত  দেখেছি, যত কাছে পেয়েছি, তত ওর প্রতি আমার আকর্ষণ বেড়েছে। এই আকর্ষণটা শারীরিক ছিল না এমন কথা বলব না, তবে মানসিক আকর্ষণ তার থেকেও বেশি ছিল। ওর সাথে গল্প করতে করতে এক অচেনা জগতে হারিয়ে যেতাম।   
     
    আমার আর নয়নের ভালবাসায় আমার মা বাবার কোন আপত্তি ছিল না। ওরা নয়নকে খুব  পছন্দ করত। মামাও আমাদের সংসারের একজন অভিভাবক। আমাদের সম্পর্কটা একটু দানা বাঁধতে মামাকে জানানটা উচিৎ বলে আমার মা বাবার মনে হয়। আমি নয়নকে মামার কথা জানিয়েছিলাম। বলেছিলাম এটা আমাদের বিয়ের ফাইনাল পরীক্ষা। ও হেসে বলেছিল ম্যানেজ করে নেবে।

    সেদিন বিকেলে মামা আসার পর নয়নকে ওপর থেকে ডেকে আনা হল। মা নয়নের সাথে মামার পরিচয় করিয়ে দিল। দু একটা কথার পর মামা ওকে যা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করল তা বলার নয়। আমার বাবাকেও বোধহয় অতটা হেয় কখনো করেনি। ঘরের ভেতর থেকে আমি সব শুনতে পাচ্ছিলাম। মামার এই অদ্ভুত আচরণে আমরা সবাই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।  লজ্জায় আমার মাথা কাটা যাচ্ছিল, প্রতিবাদ করার সাহস ছিল না। অত অপমানের পরেও নয়ন মামাকে কোন খারাপ কথা বলেনি। বলতেই পারত, আমার কথা ভেবে হয়ত চুপ করে ছিল। এতেও মামা থামেনি, ওপরে গিয়ে কাকুকেও দু কথা শুনিয়ে এসেছে। তবু আমি ভেঙে পড়িনি কারণ, আমি জানতাম মামা যতই অপমান করুক, নয়নকে আমার থেকে দূরে সরিয়ে দিতে পারবে না।  তবে শেষে মামারই জয় হল। নয়নকে আমার থেকে দূরে সরাতে না পারলেও, এক ভয়ানক কথায়, আমাকে নয়নের থেকে দূরে সরে যেতে বাধ্য করেছিল। জীবনের প্রথম ভালবাসাকে অস্বীকার করার মত জঘন্য অপরাধ, পরিস্থিতির চাপে আমি করতে বাধ্য হলাম। নয়ন আমার জীবন থেকে হারিয়ে গেল।

    চলবে
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন