এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জীবন তরঙ্গ পর্ব ৪৫ 

    Sukdeb Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১০ জুন ২০২৪ | ২০৭ বার পঠিত
  • জীবন তরঙ্গ পর্ব ৪৫

    নন্দিতা সময় নষ্ট না করে দৌড়ে গিয়ে ফোনে বাবাকে নয়নের ইচ্ছেটা জানাল।  অসিতও শুনে খুব খুশি হল।

    --বাঃ, খুব ভাল প্রস্তাব। অনেকদিন সকলে মিলে কোথাও যাওয়া  হয়নি। আমি এখনি খোজ খবর নিয়ে সব ব্যবস্থা করছি।

    সব ব্যবস্থা পাকা করে অসিত বাড়ি ফিরল। ছজন লোক বাড়ির গাড়িতে ধরবে না, তাই একটা  বড় গাড়ি বুক করে এসেছে।

    নন্দিতা উৎসুক হয়ে জিজ্ঞেস করল—বাবা আমরা কোথায় যাচ্ছি?

    --আমরা যাব খুব সুন্দর একটা পাহাড়ি গ্রামে। আমরা একবার অফিসের পিকিনিকে  গিয়েছিলাম, দারুন জায়গা।  এমন কিছু দূরে নয়, কিন্তু তোরা মনে হয় কোনদিন যাসনি।

    --জায়গাটার নাম বলবে তো!

    --দুধিয়া।

    --শুনেছি খুব ভাল জায়গা। কলেজ থেকে আমাদের একবার ওখানে যাওয়ার কথা হয়েছিল, কিন্তু শেষমেশ আর যাওয়া হয়নি।

    --নয়ন কোথায় গেল রে?

    --এই তো এখানেই ছিল। কোথাও গেছে বোধহয়।  

    একটু পরে দুহাতে দুটো ব্যাগ নিয়ে নয়ন বাড়ি ফিরল।

    --ওগুলো কি নয়ন?

    --এতে কালকের জলখাবার আছে। কাকিমা,কাল সকালের চায়ের পর রান্নাধর বন্ধ হয়ে যাবে।  কাল আমরা কোথায় যাচ্ছি?  

    --এখান থেকে ছাব্বিস কিলোমিটার দূরে, পাহাড়ের গায়ে একটা গ্রামে। নাম হচ্ছে দুধিয়া। হাতে যদি আর একদিন সময় থাকত তাহলে জলদাপাড়ার দিকটা ঘুরিয়ে আনতাম। ওখানে একদিন না থাকলে ভাল লাগবে না। ভোর ভোর সকলকে উঠে পড়তে হবে। কাল সকাল সাতটায় গাড়ি আসবে।

    নয়ন খাবার গুলো নীলিমার হাতে দিয়ে ঘরে গেল। কাল সময় পাবে না তাই গোছগাছ সেরে নিচ্ছিল। নন্দিতা চা নিয়ে ঘরে এল।

    --বাবা আমাদের বেরোবার সময়টা বলার পর থেকে একটু চিন্তায় পড়ে গেছি।

    --কিসের চিন্তা।

    --যে মানুষটাকে আটটার সময়েও ঠেলে তুলতে হয়, সে অত সকালে উঠবে কি করে?

    --ও ঠিক উঠে যাব। না উঠতে পারলে তুমি তো আছ।

    --আমি ঠেলে তুললেই তো বলবেন যে, গায়ে হাত তুলেছি।

    --সব সময় আগ্রাসন মাথায় ঘোরে কেন? একটু আদর করেও তো ডাকা যায়।

    --খুব শখ না! কালকেরটা কালকে ভাবব, এখন চা খেয়ে নিন। আচ্ছা একটা কথা জিজ্ঞেস করব? 

    --কর।

    --আপনার কোন ডাকনাম আছে?

    --কেন , ডাকনাম দিয়ে কি হবে?

    --এমনি, বলুন না।

    --মামার বাড়িতে ভন্টে, বাড়িতে আর পাড়ায় হাবু।

    নন্দিতা খিলখিল করে হেসে ফেলল।

    --এতে হাসির কি আছে। ডাকনাম ওই রকমই হয়।

    নয়ন এমনিতে বেলা পর্যন্ত ঘুময়, কিন্তু কোন কাজ থাকলে বা কোথাও বেরোবার থাকলে ঠিক  সময়ে ঘুম ভেঙে যায়। পরেরদিন ভোর পাঁচটাতেই ঘুম ভেঙে গেল। প্রয়োজনের থেকে একটু আগে হলেও, বিছানায় আর গড়াগড়ি না খেয়ে উঠে পড়ল। প্রাতঃকৃত্য সেরে, মুখ ধুয়ে  বারান্দায় গিয়ে বসেছিল। ছটা নাগাদ নন্দিতা চা নিয়ে এসে নয়নকে বিছানায় দেখতে না পেয়ে আশ্চর্য হল। দেখে সে বারান্দায় বসে রয়েছে।

    --একি কান্ড! খোকাবাবু আজ নিজে থেকেই উঠে পড়েছে, তাও এত সকালে।

    --যখন যেমন, তখন তেমন। ফ্লেক্সিবল পার্সন, শরীরেও, মনেও। বিরল মানের জীব, এমনটি  চট করে পাবে না।

    --বাবা, আপন গুণে আপনি পাগল। কবি হরিশ্চন্দ্র মিত্রের একটা কবিতা আছে---

    আপনারে বড় বলে বড় সেই নয়,

    লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। 

    নিজেরটা সবই নিজে বললে কি করে হবে! আমাদেরও তো কিছু বলার আছে।। যদিও এই ক’দিনে যা ফিল্ড করে নিয়েছেন তাতে প্রশংসার বন্যা বইবে। তবে সকালে উঠে আপনার কিন্তু লোকসান হল। অবশ্য শুধু আপনার নয়, আমারও।

    --সাত সকালে আবার কি লোকসান হল?

    --একটু ভেবে দেখুন।

    --না, কিছু মাথায় আসছে না।

    --আপনাকে ঘুম থেকে তোলার জন্য কাল আমার কাছে একটা আবদার করেছিলেন।

    --এবার বুঝতে পেরেছি, আদর করে  তুলতে বলেছিলাম। ওটা পরে কোন সময়ের জন্য তোলা থাক।

    --আজ রাতেই তো চলে যাচ্ছেন, পরে আর পাব কোথায়?

    --তাও বটে। দুজনে দুই প্রান্তে থাকি, কপালে থাকলে আবার দেখা হবে।

    --কপাল নয়, ইচ্ছে থাকলে আবার দেখা হবে। একটা কথা জিজ্ঞেস করব? হেঁয়ালি না করে সোজাসুজি উত্তর দেবেন।

    --কি বল?

    --আমি কি আপনার সহযাত্রী হতে পারি?

    --হতে পারি কেন, হয়ে গেছ। একটু পরেই তো আমরা একসাথে বেড়াতে যাচ্ছি।

    --সেই হেঁয়ালি। আমার প্রশ্নটা আপনি বুঝেও না বোঝার ভান করছেন।

    --আমার কি সে যোগ্যতা আছে?

    --দর বাড়াচ্ছেন? এখন সময় নেই, আমি রেডি হতে যাচ্ছি। আপনি ফিরে যাওয়ার আগে উত্তরটা আমার চাই। খোলা মনে উত্তর দেবেন, আমার মন রাখার কোন বাধ্যবাধকতা নেই।

     

    একেবারে ডট সাতটায় গাড়ি এসে গেল। সকলেই রেডি হয়ে ছিল। খাবার প্যাক করাই ছিল,  নয়ন ওগুলো  নিয়ে গিয়ে গাড়িতে রেখে এল। চারটে চেয়ার, একটা সতরঞ্চি ও আরো টুকিটাকি  জিনিসপত্র গাড়িতে তোলা হল। নয়ন হাত ধরে নিয়ে গিয়ে ঠাকুমাকে গাড়িতে বসিয়ে দিল।  সবাই গাড়িতে ওঠার পর সাড়ে সাতটা নাগাদ গাড়ি দুধিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হল। একটু পরেই শহরকে টাটা করে সবুজ আঙিনার মাঝে আঁকাবাঁকা পথ দিয়ে গাড়ি এগিয়ে চলল। চারিদিকে সবুজ তৃণভূমি, রাস্তার দুধারে গাছের ছাউনি। আর একটু এগোবার পর দূর থেকে একটা নদী  দেখা গেল। ড্রাইভার জানাল, ওটা বালাসোন নদী। ঐ নদির ধারেই দুধিয়া গ্রাম। দুধিয়ার উত্তরপশ্চিম দিকে মিরিক আর উত্তরপূর্ব দিকে কারসিয়াং। ড্রাইভারের কথা শুনতে শুনতেই গন্তব্যস্থল এসে গেল। কি অপূর্ব জায়গা। নদীর গা ঘেঁষে ছোট একটা গ্রাম। এক এক করে  সকলে গাড়ি থেকে নামল। নদীর ধারে পরিষ্কার জায়গা দেখে সতরঞ্চি পাতা হল। পাশে রাখা  হল চেয়ার । ঠাকুমার জন্য নয়ন চেয়ায়  এগিয়ে দিলেও উনি সতরঞ্চিতে বসতে চাইলেন।  সকলেই সতরঞ্চিতে বসল। অসিত বলল—চেয়ারগুলো বেকার আনা হল।

    --বেকার নয় কাকু, একটু পরেই কাজে লাগবে।

    --কি কাজ।

    --এখন সাসপেন্স থাক।

    এখানে অনেকেই পিকনিক করতে আসে। সেদিন উইক ডে হওয়ায়  জায়গাটা একেবারে ফাঁকা ছিল। নয়ন তিমিরকে গাড়ি থেকে খাবারের প্যাকেট আর কাগজের থালাগুলো আনতে বলল। তিমির ওগুলো নিয়ে আসার পর নীলিমা পরিবেশনের জন্য রেডি হতেই নয়ন থামিয়ে দিয়ে বলল—আপনারা খেতে বসুন। আজ আপনাদের ছুটি। আমি আর তিমির ডিস্ট্রিবিউট করব। তিমির মহা উৎসাহে নয়নের পাশে এসে দাঁড়াল। প্রথমে ঠাকুমাকে দিয়ে তারপর বাকিদের দেওয়া হল। ঠাকুমা বিধবা মানুষ, নিরামিষ খান। তবে ঠেকাঠেকির কোন ছুৎমার্গ ওনার নেই। সকলকে দেওয়া হলে নয়ন গাড়িতে গিয়ে ড্রাইভারকে জলখাবার দিয়ে এল।  পিকনিকের মেজাজে হৈ হৈ করতে করতে খাওয়া দাওয়া হয়ে যাওয়ার পর নয়ন জানাল—এবার আমাদের কিছু অনুষ্ঠান আছে। প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান।

    সকলে উৎসুক হয়ে ওর দিকে তাকাল।

    --প্রথমে হবে মিউজিকাল চেয়ার। এখানে চারটে চেয়ার আছে, ঠাকুমাকে বাদ দিলে আমরা পাঁচজন লোক। ঠাকুমা ঐ সতরঞ্চিতে বসেই আমাদের দিকে পিছন ফিরে থালা বাজাবেন। বাজনা থেমে গেলেই, যে বসতে পারবে না সে আউট। এরপর একটা করে চেয়ের কমিয়ে দেওয়া হবে।  

    নয়ন একটা স্টিলের প্লেট আর ওর ব্যাগের তালাটা ঠাকুমার হাতে দিয়ে বলল—আপনি এই তালা দিয়ে থালাটা বাজাবেন। আপনার যখন ইচ্ছে হবে বাজান বন্ধ করে দেবেন।

    --বুঝেছি দাদুভাই। ছোটবেলায় আমরাও এসব খেলেছি। তোমরা সকলে রেডি হলে আমায় বোলো, আমি বাজান শুরু করব।  চেয়ারগুলো গোল করে সাজান হয়ে যাওয়ার পর ঠাকুমাকে জানাতে, থালা পেটান শুরু হল। মিনিট খানেক বাজবার পর আওয়াজ বন্ধ হল। নিজের বরের সাথে ধাক্কা লেগে নীলিমা আউট হয়ে গেল। চেয়ার কমিয়ে তিন করে দেওয়া হল।

    ঠাকুমা জিজ্ঞেস করলেন—কে গেল?

    নন্দিতা জানাল—তোমার বৌমা।  

    আবার বাজনা শুরু হল। এবার বাজছে তো বাজছেই, ঠাকুমা থামে আর না। হঠাৎ থামল। তিমির আউট হয়ে গেল। কিন্তু ও দিদির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাল। দিদি নাকি একটু হেঁটেই চেয়ারের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ছিল। নীলিমা মেয়ের পক্ষে যাওয়ায় অভিযোগ টিকল না। পরের বারে আউট হল অসিত। এবার একটা চেয়ার, দুজন প্রতিযোগী, নয়ন আর নন্দিতা।

    ঠাকুমার থালা বাজান শুরু হল, দুজনে ঘুরছে তো ঘুরছেই। ঠাকুমার হাত থামল, নয়ন তখন চেয়ারের একেবারে সামনে। নয়ন একটু এগিয়ে গেল। এমন ভাব করল যেন টাল সামলাতে না পেরে কয়েক পা এগিয়ে গেছে। নন্দিতা এসে চেয়ারে বসে পড়ল। নন্দিতা উইনার।

    এরপর শুরু হল গানের অন্তাক্ষরী। ঠাকুমা নন্দিতা আর অসিত একদিকে,  অন্যদিকে নীলিমা, নয়ন আর তিমির। নয়নের গানের গলা সুবিধের নয়, স্টকও সীমিত। তিমিরেরও তাই। মা আর মেয়েতেই লড়াই হল। জিতল নীলিমার দল।  

    অন্তাক্ষরী শেষ হওয়ার পর শুরু হল আবৃত্তি। যার যা কবিতা মুখস্থ ছিল বলল। আবৃত্তিতে নয়ন ধ্বনিভোটে চ্যাম্পিয়ন হল।  অনুষ্ঠান সমাপ্ত হলে নয়ন জানাল—এবার আমরা চারপাশটা ঘুরে দেখব। তবে তার আগে প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ হবে।  প্রথমে আমাদের এই ছোট্ট অনুষ্ঠানের সঞ্চালককে পুরস্কৃত করা হবে।

    নয়ন তিমিরকে গাড়ি থেকে একটা ব্যাগ নিয়ে আসতে বলল। ব্যাগ থেকে একটা শাড়ি বার করে ঠাকুমার হাতে দিয়ে নয়ন বলল—এটা আপনার পুরস্কার।

    বুড়ি আনন্দে নয়নকে জড়িয়ে ধরলেন।

    --বাকি পুরস্কারগুলো ঠাকুমা আপনি দেবেন।

    মিউজিকাল চেয়ারের জন্য নন্দিতা আর  অন্তাক্ষরীর জন্য দলের ক্যাপ্টেন হিসেবে নীলিমা শাড়ি পেল। আবৃত্তির পুরস্কারের সময় অসিত বলল- এই পুরস্কার আমি দেব। কেবলমাত্র আবৃত্তির জন্যই নয়, সাধারণ একটা বেড়ানকে অসাধারণ করে তোলার কারিগর হিসেবেও নয়নের পুরস্কার প্রাপ্য। আমি তো এইসবের জন্য তৈরি ছিলাম না, তাই কাইন্ডে কিছু দিতে পারব না, ক্যাশে দিতে হবে।

    --কাকু ওটা তোলা থাক, ভবিষ্যতে কাইন্ডে নেব। সুদে বাড়ুক। এখন আবৃত্তির জন্য এই বইটা আমাকে পুরস্কার হিসেবে তুলে দিন।

    একটু বিমর্ষ হয়ে বইটা নয়নের হাতে তুলে দেওয়ার সময় অসিত বলল—আগে জানলে পুরস্কারটা কাইন্ডেই দিতে পারতাম। ঠিক আছে ওটা তোলা রইল। সকল প্রতিযোগীর হাতে একটা করে চকলেট দিয়ে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শেষ হল।

    চলবে
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন