এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জীবন তরঙ্গ  পর্ব ৪৪ 

    Sukdeb Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৯ জুন ২০২৪ | ১৮৫ বার পঠিত
  • জীবন তরঙ্গ  পর্ব ৪৪

    অসিত বাড়ি ফেরার পর সন্ধেবেলা নয়নের ঘর সংলগ্ন বারান্দায় শতরঞ্চি পেতে আড্ডা বসল। মা আর মেয়েতে মিলে নয়নের আনা খাবারগুলো গরম করে নিয়ে এল। খাবার রেখেই ওরা আবার চলে যাচ্ছে দেখে নয়ন জিজ্ঞেস করল—আবার কোথায় যাচ্ছেন? বসুন, সকলে মিলে  খেতে খেতে গল্প করি।

    নীলিমা হেসে বলল—চা ছাড়া কখনো আড্ডা হয়। একটু পরে চা করে এনে আমরাও তোমাদের সাথে আড্ডায় যোগ দিচ্ছি।

    সেদিনও খুব মন মাতান আড্ডা হল। আগের দিন মাতিয়েছিল মা আর মেয়ের গান, সেদিন মাতল ঠাকুমার রং বেরঙের গল্পে। কত গল্পের স্টক আর কি সুন্দর বলার কায়দা, নয়ন মুগ্ধ হয়ে শুনল। গল্প শেষে উচ্ছ্বসিত হয়ে বলল—গল্প শুনতে শুনতে কখন যেন পৌঁছে গিয়েছিলাম সেই ছোটবেলার দিনগুলোতে। তিমির আর নন্দিতা খুব ভাগ্যবান, ছোলেবেলা থেকে আপনার  সান্নিধ্য পেয়েছে। আমি মা আর বাবা কোন দিকেরই দাদু দিদাকে চোখে দেখিনি। আমার জন্মের ঢের আগেই তাঁরা হারিয়ে গিয়েছেন।

    বুড়ি কিছুটা প্রশংসায়, কিছুটা নয়নের অভাব বোধে, ছলছল চোখে নয়নকে জড়িয়ে ধরলেন।

    ঐ বাড়িতে নয়নের যত্নআত্তি যথাযথ ভাবেই হচ্ছিল। ঠাকুমার মতলবটা বাড়ির লোকেরা অবগত  হওয়ার পর থেকে তাতে আরো মাত্রা যোগ হল। যাকে নিয়ে এইসব চিন্তা ভাবনা,  সেই নয়ন কিন্তু এই পরিকল্পনার বিন্দু বিসর্গও জানত না। যদিও তার চিন্তা ভাবনাও ঐ একই খাতে বইছিল।

    নন্দিতা গত দিনের মত সকালবেলা চা নিয়ে নয়নের ঘরে এসে দেখে ও আরাম করে  ঘুমোচ্ছে। আঁচলের কোনাটা পাকিয়ে নয়নের কানে সুড়সুড়ি দিল। চোখ বন্ধ অবস্থাতেই নয়ন মশা মাছি তাড়ানর মত করে হাতটা কানের পাশে নেড়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ল। আর একবার সুড়সুড়ি দিতে কানের পাশে একটা চাপড় মারল। ঘুমন্ত অবস্থায় হাত চালিয়েছে, ওজনটা একটু বেশী হয়ে গিয়েছিল। ধরমর করে উঠে বসল।

    --আজ কিন্তু আমি গায়ে হাত দিইনি। নিজেই নিজেকে চড় মেরেছেন। আচ্ছা, আপনি নিজে থেকে কোনদিন ঘুম থেকে ওঠেন না? রোজই কি ডেকে তুলতে হয়?

    --মা রোজ ডেকে দেয়, ওতেই বাজে অভ্যাস হয়ে গেছে।

    --বাইরে কোথাও পোস্টিং হলে তো অফিসে সময়ে পৌঁছতেই পারবেন না।

    --মানুষ অভ্যাসের দাস, তখন নতুন অভ্যাস হয়ে যাবে।

    --আর কথা না বলে, চট করে মুখ ধুয়ে এসে চা খেয়ে নিন। আমি ঢাকা দিয়ে রেখেছি। বাসি মুখে চা খাওয়া আমার একদম ভাল লাগে না।

    --আরে বাবা তুমি তো আর খাচ্ছ না, খাব তো আমি। ঘুম চোখে বিছানায় শুয়ে, আয়েস করে  চা খাওয়াটা আমার অনেক কালের অভ্যাস। দু একবার ঘুমের ঘোরে হাত লেগে চায়ের কাপ উল্টেও গেছে।

    --এটা আবার বড় মুখ করে বলছেন। আর কথা নয়, শিগগিরি মুখ ধুয়ে এসে চা খেয়ে নিন।

    --পারফেক্ট দিদিমণি। বরকে কড়া শাসনে রেখে দেবে।

    নয়ন বাধ্য ছেলের মত মুখ ধুয়ে এসে চায়ে চুমুক দিল। নিজের অজান্তেই নন্দিতাকে আপনি থেকে তুমিতে নামিয়ে এনেছে।

    --একটা কথা জিজ্ঞেস করব?

    নয়ন হেসে বলল, “খুব গোপন কিছু?”

    --কিছুটা।

    --তাহলে কানে কানে বল।

    --অতটাও নয়। দুটো দিন তো দেখলেন, আমাদের কেমন লাগছে?

    নয়ন এদিক ওদিক দেখে নিয়ে নন্দিতাকে একটু কাছে ডেকে জিজ্ঞেস করল—তোমাদের না  তোমাকে?

    নন্দিতা লজ্জা পেয়ে জানাল—দুটোই

    --সকলকেই ভাল লেগেছে। বুলিকে একটু বিশেষভাবে ভাল লেগেছে।   

    নন্দিতা আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারেনি। পালিয়ে এসেছিল নয়নের সামনে থেকে।

    সেদিন দুপুরের মধ্যেই অফিসের কাজ শেষ হয়ে গেল। চিঠিপত্র, কিছু ডকুমেন্টের জেরক্স ইত্যাদি একটা ফাইলে ঢুকিয়ে অফিস থেকে বেরিয়ে এল।  পরের দিন রাতে ট্রেন। হাতে তখনো দেড় দিন সময়। যে সময়টা ওদের বাড়িতে থাকাটা একদিন আগেও বিড়ম্বনার মনে হচ্ছিল, তখন সেটাই বড় উপভোগ্য সময় বলে মনে হচ্ছে। সময় নষ্ট না করে ফিরে এল ক্ষুদিরাম পল্লীর আবাসে। কয়েকবার কলিং বেল বাজাবার পর  নীলিমা এসে দরজা খুলল।

    --আজকে এত তাড়াতাড়ি ফিরে এলে?

    --কাজ মিটে গেল, ফালতু আর অফিসে বসে থেকে কি করব?

    --খুব ভাল করেছ।

     মুখ চোখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে, তাই নয়ন জিজ্ঞেস করল—অসময়ে এসে ঘুম ভাঙিয়ে দিলাম?

    মহিলা একটু লজ্জা পেয়ে বলল—না না, বই পড়তে পড়তে একটু চোখ লেগে গিয়েছিল। তুমি ঘরে যাও, আমি চা করে আনছি।

    --আপনাকে ব্যস্ত হতে হবে না। আপনি বিশ্রাম করুন। চা আমি পরে খাব।

    নয়ন ঘরে গিয়ে পরের দিন কি করা যায় তাই নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছিল। নন্দিতা হাই তুলতে তুলতে সামনের চেয়ারে এসে বসল।

    --সলিড একখানা দিয়ে এলে। মুখের মানচিত্রই পাল্টে গেছে।

    “ওই একটু” বলে নন্দিতা শুরু করতেই ওকে থামিয়ে দিয়ে নয়ন হাসতে হাসতে বলল—বই পড়তে পড়তে চোখ লেগে গিয়েছিল। তাই না?

    --আপনি কি করে জানলেন?

    --কাকিমা এইমাত্র বলে গেলেন। অবশ্য উনি ওনার কথা বলেছেন, আমি ওটাকে জেনারালাইজ করে দিলাম।

    --আপনাকে তো জিজ্ঞেস করতেও ভয় লাগে। কিসের থেকে কি মানে বার করবেন।

    --অভয় দিচ্ছি, জিজ্ঞেস কর।

    --আজকে কি আপনাদের হাফ ডে?

    --আমি এই অফিসে একটা কাজ নিয়ে এসেছি। আমার হাফ ডে ফুল ডে বলে কিছু নেই। যখন ইচ্ছে যাব, যখন খুশি চলে আসব। নির্দিষ্ট সময়ে কাজটা শেষ হওয়া নিয়ে কথা। যে কাজে এসেছিলাম তা আজ শেষ হয়ে গেল। রাতের গাড়ি, একটু গোছগাছ করতে হবে।

    নন্দিতা বিমর্ষ হয়ে জিজ্ঞেস করল—আজকেই চলে যাবেন?

    --ক’দিন তো অনেক জ্বালালাম, বেশীদিন থাকলে তোমরাই আপদটাকে বাড়ি থেকে  বার করে দেবে।

    --একদম বাজে কথা বলবেন নাতো। আপনি আসায় বাড়ির  সকলেই খুশি।

    --তুমি?

    --আমি কি সকলের থেকে আলাদা। আমি খুশি, খুব খুব খুশি।

    --তাহলে একটা গোপন কথা বলি। কাছে এস, জোরে বলা যাবে না। 

    নন্দিতা চারপাশটা দেখে নিয়ে নয়নে অনেকটা কাছে এগিয়ে এল।

    নয়ন ফিসফিস করে বলল—আমি আজকে যাচ্ছি না।

    আনন্দে নয়নের হাতটা চেপে ধরে বলল--মাইরি বলছেন?

    --আমার কাল রাতের ট্রেন।

    --আরিব্বাস, কি মজা। এতো আনন্দের খবর, ফিসফিস করে বলার কি আছে! আপনার তো বহুমুখী চরিত্র।  মিথ্যে কথা বলেন, অভিনয় করতে পারেন, এখন দেখলাম মজাও বেশ ভালই করেন। আমি ভাবলাম কি না কি গোপন কথা বলবেন।

    --কি গোপন কথা শুনতে চাইছিলে?

    --কথা বলবেন আপনি, আমার ইচ্ছে অনিচ্ছের সাথে তার কি সম্পর্ক।

    --তবু মনের কথা শুনি না একটু।

    “সব কথা কি সব সময় প্রকাশ করা যায়? কিছু বুঝে নিতে হয়”, বলে নন্দিতা চলে যাচ্ছিল।

    --কোথায় যাচ্ছ? আমার কাছে দুদণ্ড বসতে তোমার এত সমস্যা কিসের? 

    --আরে না না, আমি আপনার জন্য চা করে আনতে যাচ্ছি।

    নন্দিতাকে আর উঠতে হল না। নয়ন আর নিজের মেয়ের জন্য নীলিমা দু কাপ চা আর স্ন্যাক্স নিয়ে ওপরে এল।

    --আপনি কষ্ট করে এসব ওপরে নিয়ে এলেন কেন? আমাকে তো নিচে ডাকতে পারতেন।  দুপুরে কাঁচা ঘুম ভাঙিয়ে দেওয়ার জন্য অপরাধবোধে ভুগছি, আমার পাপের বোঝা আর বাড়াবেন না। 

    নীলিমা  হেসে ফেলল।

    --আপনাদের দুজনকেই একটা অনুরোধ করব। আমার ফেরার ট্রেন কাল রাতে। অফিসের কাজ শেষ হয়ে গেছে, ফলে কাল সারাদিন আমি একদম ফ্রি। কাল কাছাকাছি  কোন একটা ভাল  জায়গায় সকলে মিলে ঘুরে আসলে হয় তো। কাকুকে অফিসে একটু ফোন করে দেখুন না, যদি  সেরকম কোন জায়গায় ব্যবস্থা করতে পারেন। তবে একটা শর্ত আছে। খরচ আমি দেব।

    নীলিমা আর তার মেয়ে দুজনেই প্রস্তাব শুনে খুব খুশি হল।

    --আমি এখনি ওনাকে অফিসে ফোন করে বলছি। টাকার কথা যেন আর একবারও না শুনি। তোমার বাবা মায়ের সাথে গেলে কি এইরকম শর্ত রাখতে পারতে? 

    চলবে
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন