এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জীবন তরঙ্গ পর্ব ২৯

    Sukdeb Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৩ মে ২০২৪ | ২৩৮ বার পঠিত
  • জীবন তরঙ্গ পর্ব ২৯

    খবরটা শুনে নয়ন আর দেরি না করে ঈজার সাথেই নিচে নেমে এল। ইরা কিছু একটা রান্না চাপিয়েছিল। ওদের বসতে বলল। একটু পরে ওদের কাছে এসে বসল।

    --দাদা তোমাদের ব্যাপারটা খানিকটা আন্দাজ করেছে। আমার কাছে জানতে চেয়েছিল। আমি   প্রথমে এড়িয়ে গিয়েছিলাম। পরে ভেবে দেখলাম ব্যাপারটা লুকোচুরির মধ্যে না থাকাই ভাল। তুমি তো জানই, দাদা আমাদের সংসারের জন্য কত করে। এ ছাড়াও ও ঈজার মামা। ঈজার বিয়ের ব্যাপারে স্বাভাবিভাবেই ওর মতামতের একটা গুরুত্ব আছে। সেই কারণে আমি দাদাকে খোলাখুলি সব জানিয়ে দিয়েছি। ভেবেছিলাম, দাদা রেগে আগুন হয়ে যাবে। কিন্তু সেরকম কিছু হয়নি।  মন  দিয়ে সবটা শোনার পর, তোমার সাথে একবার দেখা করতে চেয়েছে। কথাবার্তা শুনে তো মনে হল ব্যাপারটা মেনে নিয়েছে। দাদা সামনের রোববার বিকেলবেলা আসবে, তুমি বাবা ঐদিন একবার এস।

    --ঠিক আছে কাকিমা, আমি চলে আসব।

    চলে আসার আগে ঈজা হাসতে হাসতে বলেছিল—তোমার একটা বিয়ের ফাইনাল পরীক্ষা ভালভাবেই পার করেছ। আগামী রবিবার আর একটা বিয়ের ফাইনাল পরীক্ষা। আগেরটা ছিল রিটন আর এটা ওরাল। মামার পরীক্ষায় উৎরে গেলে একেবারে নিশ্চিন্ত। বেস্ট অফ লাক।

    --ও আমি ঠিক ম্যানেজ করে নেব।

    পরের রবিবার দুপুরে খাওয়ার পর নয়ন রহড়া থেকে রওনা হল।  সময়ের কিছুটা আগেই বাগবাজারে পৌঁছে গেল। নন্দ ঘরেই ছিল,আসার কারণটা জানত। নয়নই বলেছিল। নন্দ হেসে  জিজ্ঞেস করল—নার্ভাস লাগছে?

    --নার্ভাস হুওয়ার কি আছে!

    মুখে যাই বলুক, ভেতরে একটু টেনশন ছিল।    

    --ওই লোকটাই ভাড়া নেওয়ার সময় আমার সাথে কথা বলতে এসেছিল। কথা বলে তো লোকটাকে খারাপ মনে হল না।

    নয়ন উদগ্রীব হয়ে ঘরে বসে রইল। ঠিক যেন ইন্টারভিউ দিতে আসা অপেক্ষারত ক্যান্ডিডেট। তফাৎ একটাই, এখানে ইন্টারভিউ নেবে একজন, দেবেও একজন।

    সন্ধেবেলা ডাক এল। ইরা এসে নয়নকে নিচে নিয়ে গেল।

    কুণালের সামনে একটা চেয়ারে বসিয়ে পরিচয় করাল—দাদা এ নয়ন। খুব ভাল ছেলে। আমাদের বাড়িওয়ালার ভাগ্নে।

    কুণাল নয়নকে পুরো জরিপ করে নিয়ে জিজ্ঞেস করল—কোথায় থাকো?

    --আজ্ঞে রহড়ায়।

    -- কি করা হয়?

    --আজ্ঞে পড়াশোনা করছি।

    --কি পড়?

    --ইতিহাসে অনার্স নিয়ে বিএ পার্ট টু পরীক্ষা দিয়েছি।

    --জেনারাল লাইন, তাও আবার আর্টস। কোন ভবিষ্যৎ নেই। 

    নয়ন আসার আগে মনে মনে সম্ভাব্য কথোপকথনের কিছু কাল্পনিক মহড়া দিয়েছিল। কিন্তু সেই তালিকায় এমন সব বেয়াড়া প্রশ্ন ছিল না।

    যথা সম্ভব বিনয়ের সঙ্গে  বলল- আর্টস নিয়ে তো অনেকেই জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

    --দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হবে।

    নয়ন আর কথা বাড়ায়নি। ঐ কাঠখোট্টা মানুষকে ইমপ্রেস করার আর কোন চেষ্টা করেনি।

    নয়ন চুপ করে গেলেও মামা চুপ করেনি।

    --লেখাপড়ার নামে লবডঙ্কা, রোজগারের কোন আশা নেই, প্রেম করার শখ আছে। অসভ্য ছেলে কোথাকার। আর কোনদিন আমার ভাগ্নির দিকে যেন চোখ তুলেও তাকাতে না দেখি। বেরিয়ে যাও আমার সামনে থেকে।

    ইরা আস্তে করে বলল—দাদা এসব কি কথা তুমি বলছ!

    --চুপ কর। ওর ফেভারে একটা কথাও শুনতে চাই না।

    নয়ন জীবনে কোনদিন এভাবে অপমানিত হয়নি।

    ঈজার কথা ভেবে কোন উত্তর না দিয়ে মাথা নিচু করে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছিল। ঈজার প্রতিক্রিয়া জানতে পারেনি কারণ, ও ঘরের মধ্যে ছিল।

    কুণাল বেশ উঁচু স্বরেই কথাগুলো বলছিল। নন্দর কানে সব কথাই গেছে। ভাগ্নে ঘরে ঢুকতে জিজ্ঞেস করল—খুব অপমান করল, নারে?

    নয়নের উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না।

    --একটা কথা জেনে রাখ, তোরা নিজেরা যদি ঠিক থাকিস, অন্যে কেউ কিচ্ছু করতে পারবে না। মন খারাপ করিস না, মাথা ঠান্ডা কর। আজকে আর বাড়ি ফিরিস না, আমার এখানেই থেকে যা।

    একটু বাদে দরজায় টোকা পড়ল।  নন্দ উঠে গিয়ে দরজা খুলে দেখে কুণাল। নন্দ খুব ঠান্ডা মাথার মানুষ। একমাত্র ভাগ্নের অপমানে ওর মেজাজ বিগড়ে ছিল। একটু জোরেই জিজ্ঞেস করল—কি চাই?

    --আপনাকে একটা কথা জানাতে এসেছি।  আপনার ঐ (নয়নকে দেখিয়ে) বেকার ভ্যাগাবন্ড ভাগ্নে আমার ভাগ্নি ঈজার সাথে যেন কোনোরকম যোগাযোগ অথবা ওকে বিরক্ত করার চেষ্টা না করে। নাহলে আমি কিন্তু ছেড়ে দেব না।

    নন্দ গলার আওয়াজ আর এক ধাপ তুলে বলল—আমি যতদূর জানি ব্যাপারটায় দুজনেরই সম্মতি আছে। এতে আপনার যদি এতই আপত্তি থাকে তাহলে অন্যের বাড়িতে আদেশ, উপদেশ না দিয়ে নিজের বাড়িতে গিয়ে কপচান। আমার ভাগ্নে সম্পর্কে যদি আর একটাও কুকথা শুনেছি, আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না। এবার আপনি আসতে পারেন।

    উল্টো ঝাড় খেয়ে কুণাল ধীরে ধীরে নিচে নেমে গেল।

    নন্দ নয়নের কাছে এসে অনেক সান্ত্বনা দিয়ে বলল—তোদের ব্যাপারটা টিনা আর তোর বাবা জানে?

    --মাকে আমি বলেছি, বাবাও মনে হয় মায়ের কাছে শুনেছে।

    -- রমেনের সাথে আমি কথা বলব। আমি বললে রমেন আপত্তি করবে বলে মনে হয় না। ঈজার মা বাবারও কোন আপত্তি নেই। দুজনের মা বাবা যদি রাজি থাকে তাহলে তো আর  সমস্যার কিছু থাকে না। ঐ অসভ্য মামাটা কি বলল না বলল, তাতে কিচ্ছু যায় আসে না। একদম  ঘাবড়াস না, আমি আছি তোর সাথে।

    মামার কথায় নয়ন অনেকটা ধাতস্থ হল। ঠিকই তো, মামা তো একদম ঠিক কথা বলেছে। দু পক্ষের মা বাবার যদি কোন আপত্তি না থাকে তাহলে ঐ শালা চার অক্ষর মামাটার বাগড়ায় কি আসে যায়! কানটা ঝাঁ ঝাঁ করছে, কিভাবে হেনস্থা করে গেল জানোয়ারটা। এ অপমান নয়ন কোনদিন ভুলতে পারবে না। যদি কখনো সুযোগ আসে, সুদে আসলে এর শোধ তুলবে। সেই রাতটা মামার কাছে কাটিয়ে পরদিন সকালে রহড়ায় ফিরে এল। মনটা একদম ভাল নেই।  আড্ডাতেও বেরয়নি, ঘরে শুয়ে শুয়ে গল্পের বই পড়ছিল। আহেলি হাসিখুশি আড্ডাবাজ ছেলেকে ঘরে শুয়ে বই পড়তে দেখে বুঝতে পারল, কিছু একটা হয়েছে।

    --কিরে, তোর কি হয়েছে?  

    --কিছু হয়নি তো, কেন?  

    --পরীক্ষা হয়ে গেছে, এই সময় তো তুই বাড়িতে শুয়ে বই পড়ার ছেলে নয়।

    -- বই পড়ছি তো কি হয়েছে?

    --সেটাই তো আমি জানতে চাইছি, কি হয়েছে? 

    নয়ন আর নিজেকে চেপে রাখতে পারল না। মাকে গতকালের ঘটনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানাল। মাকে জানিয়ে নিজেও অনেকটা ভারমুক্ত হল।

    আহেলি নন্দর কথাগুলোই বলল।

    --তোর বাবা জানে। কোন আপত্তি করেনি। দু পক্ষের মা বাবাদের যদি অমত না থাকে তাহলে মামা কি করবে? ওর আপত্তিতে কি আসে যায়! তোরা নিজেরা যদি ঠিক থাকিস তাহলে কেউ তোদের আটকাতে পারবে না। একদম মন খারাপ করিস না।

    বিকেলে নয়নদের ল্যান্ডফোন বেজে উঠল। আহেলি ফোনটা তুলল—হ্যাঁরে ছোড়দা, বল।

    --নয়নকে কাল সকালে আমার এখানে একবার আসতে বলিস।

    --ওর কাছে তো সব শুনলাম। আবার কিছু হয়েছে?

    -- হ্যাঁ, সেইজন্যই তো আসতে বলছি।

    --কি হয়েছে রে?

    --পরে বলব। এখন ওকেও কিছু বলার দরকার নেই। যা বলার এখানে এলে বলব। শুধু বলবি যে ছোটমামা একবার দেখা করতে বলেছে।

    হঠাৎ মামা আবার কেন ডেকে পাঠাল! মা কিছু বলতে পারল না। চিন্তা ভাবনায় পাক খেতে খেতে নয়ন একটু বেশী সকালেই বাগবাজারে পৌঁছে গেল।

    --ডেকে পাঠালে কেন ছোটমামা, আবার কিছু গন্ডগোল হয়েছে?

    --ওরা কাল দুপুরে চলে গেছে।

    --চলে গেছে মানে? কোথায় চলে গেছে?

    --আমাদের বাড়ি ছেড়ে মালপত্র নিয়ে চলে গেছে। তুই চলে যাওয়ার খানিক পরে ঐ মামাটা আবার এসেছিল। আমার কাছে আসার আর সাহস হয়নি। ইরা এসে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা জানাল। সিদ্ধান্তটা যে ওর দাদার সে কথাও জানাল। ওকে খুব মনমরা মনে হল। একটু পরে একটা ছোট লরিতে সব মালপত্র তুলে ওরা একটা ট্যাক্সিতে করে চলে গেল। যাওয়ার  আগে এক ফাঁকে ঈজা এই চিঠিটা তোকে দেওয়ার জন্য দিয়ে গেছে। কোথায় যাচ্ছে জানতে চাইলাম, বলল “জানি না।”  আমাকে প্রনাম করে চলে গেল।

    নয়ন মামার কাছ থেকে খামটা নিয়ে ভেতর থেকে চিঠিটা বার করল।

    “আমি পারলাম না। আমাদের আর একসাথে পথচলা হল না। জানি তুমি খুব কষ্ট পাবে। আমি অসহায়, আমাকে ক্ষমা  কোরো। এ চিঠি লিখতে আমার বুক ফেটে যাচ্ছে। পরজীবীর নিজস্ব কোন ইচ্ছে, অনিচ্ছে, সুখ, দুঃখ থাকতে নেই। তাই আমার যন্ত্রণারও কোন মুল্য নেই। তোমার সান্নিধ্যের   বেলাটুকু আমার সারা জীবনের সম্পদ হয়ে থাকবে। চেষ্টা কোরো ধীরে ধীরে আমাকে ভুলে যেতে। ভাল থেক।”

    চলবে
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন