এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জীবন তরঙ্গ - ৪ 

    Sukdeb Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৬ মে ২০২৪ | ২৪৯ বার পঠিত
  • জীবন তরঙ্গ - পর্ব ৪

    পাহারার প্রথম পর্বে পাড়াটা একবার প্রদক্ষিণ করে একদিন তেমাথার মোড়ে সকলে দাঁড়িয়ে আছে, হঠাৎ দেখা গেল বাজারের দিক থেকে একটা লোক ছুটে আসছে। ডিফেন্স পার্টির এতগুলো লোক, একজনকে আটকানোয় কোন রিস্ক নেই। বীর দর্পে এগিয়ে গিয়ে সকলে ওকে ঘিরে ধরল। ও তার মধ্যে থেকেও ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। সন্দেহ বাড়ল, ব্যাটা নির্ঘাত চুরি করে পালাচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের উত্তরে ছটফট করতে করতে বলল, “আমি রান্নার লোক, লাইনের ওপারের অনুষ্ঠান বাড়িতে কাজ ছিল। ছেড়ে দাও আমার হাতে মোটে সময় নেই।”

    -- রান্নার লোকজন তো সব একসাথে দল বেঁধে ফেরে, তুমি একা কেন?

    -- বাকিরা সব পিছনে আসছে। আমাকে আটকিও না, বিপদে পড়ে যাব।

    দু এক কথার পর বোঝা গেল যে ওর এখন তখন অবস্থা, অসময়ে বেগ এসেছে। তবুপুরোপুরি ছাড়া হল না। বলা হল পুকুরের পাশে ঝোপের ধারে গিয়ে কাজ সারতে। আর কোন উপায় নেই দেখে ও তাই গেল। কয়েকজন ওর দিকে নজর রাখল। এতদিনে একটা সন্দেহজনক কেস পাওয়া গেছে, চট করে ছাড়া চলবে না। একটু বাদে ওর দলের বাকি লোকজনেরা আসতে জিজ্ঞেস করে জানা গেল যে ও ওদেরই লোক। ইতিমধ্যে প্রথম জন কাজ সেরে তৃপ্ত মুখে হাতে একটা ডিম নিয়ে ফিরে এসেছে।

    একগাল হেসে বলল, “এখানে বসে লাভ হল। পুকুর ধারে ডিমটা পেলাম।”

    পুকুরে তখন সাঁতরে বেড়াচ্ছে ঘরে না ফেরা দলছুট দুটো হাঁস। ডিমটা ওদেরই কারো প্রোডাক্ট।

    সেদিন চা বিরতির পরে একটা রাউন্ড দেওয়ার সময় দেখা গেল বাজারের দিক থেকে বিপ্লব আসছে। বক্র রেখায় দু পা আগে তো এক পা পিছে করতে করতে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে আর দুটো কুকুর ওর পিছু নিয়েছে। মনে হল উভয় পক্ষে কিছু কথোপকথন হচ্ছে। বিপ্লব সকলের চেনা লোক। চেনা লোক চেনা রূপে নির্ধারিত সময়ে রাস্তায় ঘুরছে, প্রশ্ন করার কোন প্রশ্নই নেই। একটু কাছে আসতে পশু আর মানুষের কথোপকথন শোনা গেল । কুকুর দুটো গরর গরর করতে করতে ওর পিছু পিছু আসছে। টলতে টলতে দু চার পা এগিয়েই নৃত্যের ভঙ্গিমায় হঠাৎ পিছনে ফিরে আঙুল তুলে বেশ শাসিয়ে কুকুর দুটিকে বিপ্লব বলছে, “মাইন্ড ইয়োর ল্যাঙ্গুয়েজ। তোরা কার সাথে মুখ লাগাচ্ছিস জানিস? আই অ্যাম বিপ্লব, মাইন্ড ইট।” একটু বাদে কুকুর দুটো দূরত্ব কমিয়ে আর সাউন্ড বাড়িয়ে প্রায় গায়ের কাছে চলে আসতেই বিপ্লব ‘বাবা গো’ বলে লাফ দিয়ে বাকিদের কাছে সরে এল। লোক বেশি দেখে সারমেয় দুটি অচিরেই রণে ভঙ্গ দিল। বিপ্লব ওদের কাস্টডিতে থাকতে থাকতেইউল্টো দিক থেকে মন্টুদা হাজির হল। দুজনেই নিজের নিজের লাইনে তখন এলাকায় এক নম্বর। মন্টুদার মত অত রঙ বাহারি পাগল চট করে দেখা যায় না। স্বাভাবিক ভাবে কথা বললে বোঝাই যাবে না যে জিনিসটায় কোন গণ্ডগোল আছে কিন্তু একবার খিস্তি শুরু হলে আর রক্ষে নেই। নয়নের সাথে মন্টুদার সম্পর্ক বেশ মধুর ছিল। সম্পর্কের এই মাধুর্যের কারণে অনেক সময় নয়নকে রাস্তা ঘাটে বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। মন্টুদা নয়নের সামনে এসে গম্ভীরভাবে বলল, “তরে তো ভদ্র ঘরের পোলা বইলাই ভাবতাম।”

    নয়ন জিজ্ঞেস করল, “তা ভাবনাটাপাল্টালে কেন?”

    উত্তর এল, “এত রাইতে কোন ভদ্রলোক রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে না। আর ঘুরতাছস একটা পাঁড় মাতালের লগে। লোকে দেখলে ভাববটা কি?

    নয়নের উত্তর দেওয়ার আগেই বিপ্লব গর্জে উঠল, “চোপ রাও, পাগল কোথাকার। জানিস, এই এই দিস বিপ্লব রাতে পাহারা দেয় বলে এই পুরো এলাকায় কোন চুরির কেস নেই।”

    একপাক ঘুরে পুরো এলাকাটা হাত দিয়ে দেখাতে গিয়ে দেহের ভারসাম্য হারিয়ে বিপ্লব মাটিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ল।

    হাসতে হাসতে মন্টুদা বলল, “দেখ, কার লগে দাঁড়ায়ে ছিলিস একবার তাকায়ে দেখ। যা যা, পাঁচজনে তরে এই অবস্থায় দেখার আগে বাড়ি গিয়া ঘুমায়ে পড়।”

    এবার নয়ন মন্টুদাকে জিজ্ঞেস করল, “তা তুমি কি মনে করে রাত দুটোর সময় রাস্তায় বেরিয়েছ?”

    -- ফার্স্ট ট্রেন ধরুম।

    -- সে তো সাড়ে চারটেয়, এখনো আড়াই ঘন্টা দেরী। স্টেশনে পৌঁছোতে তো দশ মিনিটও লাগবে না।

    -- কইলকাতায় ইম্পরট্যান্ট কাম আসে, তাই হাতে একটু সময় রাইখ্যা বাইর হইসি যাতে ট্রেন মিস না হয়।

    -- কোথায়? কি কাজ?

    -- সব কি তোরে কইতে হইব না কি? আর কথা বাড়াইস না, বাড়ি গিয়া শুইয়া পড়।

    বিপ্লবের দিকে তাকিয়ে একটা তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে ফার্স্ট ট্রেন ধরার জন্য মন্টুদা হাঁটা দিল।

    পাহারাদারেরা এক আধবার সমাজ সেবার কাজেও লেগেছে। পাহারার গ্যাপে পাড়ার মাঝখানের মাচায় বসে গল্প হচ্ছে, এমন সময় একজন প্রৌঢ়া ঊদভ্রান্তের মত ছুটতে ছুটতে এসে বললেন, “আমার স্বামীর শরীরটা হঠাৎ খুব খারাপ হয়েছে। বাড়িতে আমি ছাড়া আর কেউ নেই। নতুন ভাড়া এসেছি আশেপাশে কাউকে চিনি না, একটু আসবেন ভাই?

    কয়েকজন দৌড়ে ওনার বাড়িতে গিয়ে দেখে ভদ্রলোক খুব কষ্ট পাচ্ছেন। অত রাতে ডাক্তার পাওয়া সমস্যা। পরিচিত এক ডাক্তারকে প্রায় জোর করেই ঘুম থেকে তুলে নিয়ে আসা হল। তিনি দেখে বললেন, “মনে হচ্ছেহার্ট অ্যাটাক হয়েছে, হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।”

    অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করে নয়ন দু একজনকে সাথে নিয়ে ভদ্রলোককে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করাল। সকালে ডাক্তারের সাথে দেখা করে রুগীর হাল হকিকত জেনে তারপর বাড়ি ফিরেছিল। তিন চার দিন রাতে জাগতে হয়েছিল। সেখানেও ওই পরিবারের ওরাই ভরসা।

    প্রথম রাতে নয়ন আর রজত থাকবে ঠিক হল। চৌধুরী পাড়ারই গৌতম বলে একটা ছেলে থাকতে চাইল। গৌতম ছেলে খারাপ নয় তবে একটু ছিটেল প্রকৃতির। সেদিন যেহেতু দুজন থাকছে তাই ওকে অন্যদিন থাকার কথা বলা হল, কিছুতেই শুনল না। ও আসলে নয়নের চেলা, নয়ন থাকছে জানতে পেরেই ও ওদের পিছু নিল।

    একটু রাত হতে নয়ন আর রজত একটা পাশে চাদর বিছিয়ে শুল। গৌতম তখন এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। বালিশ ছাড়া ঘুমোবার অভ্যাস নেই, তাই ওরা একবার এপাশ একবার ওপাশ ফিরছে। কিছুক্ষণ পরে গৌতম একটা বালিশ এনে নয়নের মাথার নিচে দিয়ে “হাবুদা, এবার একটু আরাম করে ঘুমোও” বলে আবার কোথায় চলে গেল। নয়ন স্বর্গ পেল। আরাম পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ল। কতক্ষণ ঘুমিয়েছে খেয়াল নেই কানের কাছে হঠাৎ “ও মশাই শুনছেন” ডাকে ঘুম ভেঙে গেল। তাকিয়ে দেখে সামনে একজন অচেনা লোক দাঁড়িয়ে। নয়ন চোখ খুলতে বলল, “মরা মানুষের বালিশ মাথায় দিয়ে ঘুমচ্ছেন মশাই!” ঘুম মাথায় উঠল। বালিশটা একেবারে নতুন, কোন রকম নোংরা লেগে নেই।

    “এইমাত্র একটা বডি বেরল। ওদেরই একজন এই বালিশ আর একটা চাদর ওইধারে ফেলে দিয়েছিল”, কথাগুলো বলে লোকটা চলে গেল। কতরকমের লোক থাকে। ঘুম চটকে তোর কি লাভ হল রে শালা! মড়ার বালিশ এটা না জানালে কি চলছিল না। একবার কানে যাওয়ার পর আর ওটা মাথায় দেওয়ার কোন প্রশ্নই নেই। রাগে নয়নের পিত্তি জ্বলে যাচ্ছে। আসুক ব্যাটা গৌতম। একটা মড়ার বালিশ মাথায় গুঁজে দিয়ে গেল। একটু বাদে গৌতমকে দেখতে পেয়ে স্টকে যা ছিল উজাড় করে গালমন্দ করল। সবটা হজম করে গৌতম বলল—কার বালিশ তাতো জানি না। নতুন বালিশ, দেওয়ালের ধারে রাখা ছিল, একটু আরাম করে ঘুমোতে পারবে বলে তোমার মাথার নিচে দিয়ে গেলাম।

    সময়ে ভর্তি হওয়ার ফলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে ভদ্রলোক বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। প্রৌঢ় দম্পতীর কাছে নয়নরা পেয়েছিল প্রাণ ভরা আশীর্বাদ।

    চলবে
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন